শেষ রাত পর্ব-২১

0
1362

#শেষ_রাত
#পর্বঃ২১
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত

‘আমার বুকে খুব ভয়ংকর কিছু একটার উপস্তিতি টের পাচ্ছি তুলতুলের আম্মু। স্বাভাবিক কোনো রোগ বলে মনে হচ্ছে না। হঠাৎ হঠাৎই বুকে সেই ভারী জিনিসটা অনুভব করি। তখন আচমকাই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। আপনি কি বুঝতে পারছেন আমার কষ্টটা?’

ধ্রুব ভীষণ উত্তেজিত হয়ে কথা গুলো বললেন। আমি হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম বেশ কিছুক্ষণ। ধ্রুব এখনও বুকে হাতে দিয়ে হাঁপাচ্ছেন৷ হয়তো এতগুলো কথা এক সাথে বলার কারণে এমনটা হয়েছে। আচ্ছা ওনার কি সত্যিই কিছু হয়েছে? আমি উদ্বিগ্ন হয়ে এগিয়ে গেলাম ধ্রুবর দিকে। ওনার বাহুতে হাত রেখে চিন্তিত গলায় বললাম-

‘কি বলছেন আমি তো কিছুই বলতে পারছি না। কি হয়েছে আপনার! আর হঠাৎ করে অসুস্থই বা হলেন কিভাবে! ডক্টর দেখিয়েছেন?’

‘ভয়ংকর কিছু একটা হয়েছে। খুবই ভয়ংকর। ডক্টর কিছুই করতে পারবে না। আমি এখনও টের পাচ্ছি আমার বুকে সেই ভয়ংকর জিনিসটা নাড়াচাড়া করছে। আমাকে তীব্র যন্ত্রণা দিচ্ছে। বুক চিড়ে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে ওই জিনিসটা।’

ধ্রুব এবারও হাইপার হয়ে কথাগুলো বললেন। তার এমন বিধস্ত অবস্থা দেখে আমি খানিকটা ভয় পেলাম। ওনার পাশে বসে ভয় জড়ানো কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম-

‘খুব খারাপ লাগছে আপনার? ডক্টর আনতে বলবো? কি হয়েছে বুকে? আগে তো কখনো এসব বলেননি। আর কি সব নাড়াচাড়া করার কথা বলছেন? কিসের ভারী ভয়ংকর জিনিস? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। একটু বুঝিয়ে বলুন না তুলতুলের আব্বু৷ আমার ভয় করছে।’

ধ্রুব সরু চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। ওনার ভাবভঙ্গি আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। কখনই বুঝতে পারি না। ধ্রুব তার মাথা হাল্কা উঁচু করে ক্ষীণ স্বরে বললেন-

‘বুঝিয়ে বলবো?’

আমি দ্রুত মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালাম। ধ্রুব এবার আধশোয়া হয়ে বসলেন। হাত নাড়িয়ে আমাকে কাছে ডেকে বললেন-

‘এদিকে আসুন। বুকে মাথা রেখে শুনুন।’

ধ্রুব অপেক্ষা করলেন না। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথা ওনার বুকে চেপে ধরলেন। আমি অবাক হলাম। খানিকক্ষণ স্তব্ধ থেকে দারুণ আগ্রহ নিয়ে শুনলাম ওনার বুকের ধুকপুকানি। ওনার হৃদপিণ্ড লাফাচ্ছে। হয়তো কিছুটা দ্রুত গতিতে। তবে এটাই কি ওনার সমস্যা! আমি সরে আসতে চাইলেই ধ্রুব বাধা দিলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখলেন শক্ত করে। নরম গলায় বললেন-

‘আমার বুকে বিশাল এক ভালোবাসার দলা পাকিয়ে গেছে। পাহাড় সমান ভালোবাসা অনুভব করছি। হঠাৎ করেই বুকের ভেতর এসে চেপে বসলো এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসা। ভালোবাসা গুলো বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। বুকের ভেতর চাপা থাকতে চাইছে না কিছুতেই না। ভালোবাসা ছাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। শহরের প্রতিটি অলিতে গলিতে। আর আমাদের সেই বেলি ফুল গাছটাতে। ফুল হয়ে ফুটতে চাচ্ছে ভালোবাসা। বৃষ্টির ফোটা হয়ে ঝড়তে চাচ্ছে। ধুয়েমুছে দিতে চাচ্ছে সকল বিষাদ আর অবসন্নতা।’

ধ্রুব থামলেন। নিরব হলেন কিছুক্ষনের জন্য। আমি স্তম্ভিত হলাম। বাকরুদ্ধ কর অবস্থা হলো আমার। বাহিরে দমকা হাওয়া বইছে। এলোমেলো বাতাস। আমার মন, মস্তিষ্ক সবটাই এলোমেলো হলো সেই বাতাসের মতো। ধ্রুব ক্লান্ত ভঙ্গিতে নিঃশ্বাস ফেললেন। বিষন্ন গলায় বললেন-

‘ভালোবাসারা বুকের ভেতর থেকতে না চেয়ে আমায় তীব্র যন্ত্রণা দিচ্ছে। অসহনীয় যন্ত্রণা। আমি অসহায় হয়ে পরেছি ভালোবাসার অত্যাচারে। ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পরেছি। আপনার কি মনে হচ্ছে না এটা খুব ভয়ংকর একটা রোগ! আমার মনে হচ্ছে আমি এই রোগে-ই মারা যাবো। আমার বুকটা ফেটে যাবে। একটু যত্ন দরকার। আপনার উচিত ছিল একটু যত্ন নেওয়া। ভালোবাসা গুলো একটু আপনার আগলে রাখা প্রয়োজন ছিল।
একটু সামলে নেওয়া প্রয়োজন। পারবেন তো আমাকে বাঁচতে? আমার পারসোনাল বুকটাকে একটু আগলে রাখতে পারবেন আপনি!’

আমি কোনো জবাব দিলাম না। এই মূহুর্তে কিছু বলার মতো অবস্থা আমার নেই। গলার স্বর আটকে গেছে কণ্ঠনালীতে। আমার মস্তিষ্কের পুরোটা জায়গায় দখল করে নিয়েছে ধ্রুবর কথা গুলো। আমি ভাবতে লাগলাম তার বলা কথা। ওনার ভালোবাসা আগলে রাখার ক্ষমতা কি আমার আছে? আমি কি আদোও কারও ভালোবাসা যত্নে রাখার যোগ্য? জানি না এসব প্রশ্নের উত্তর। এই অনুভূতি গুলোকে অসহনীয় লাগতে লাগলো। ভীষণ অস্বস্তি বোধ করলাম আমি। শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় জেদ বয়ে গেল। রাগ হতে লাগলো নিজের উপর। আমি কারও ভালোবাসা আগলে রাখার ক্ষমতা রাখি না। যে আমার কাছে ভালোবাসা নিয়ে আসবে সে শুধুই কষ্ট পাবে। আমার দ্বারা মানুষ শুধুই কষ্ট পায়।

ধ্রুব হাল্কা হেসে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললেন-

‘আমার মনে হয় আপনি একটা শামুকের মতো। শামুক যেমন একটু নাড়াচাড়াতে নিজেকে খোলসের ভেতর লুকিয়ে নেয়। আপনিও ঠিক সেভাবেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাচ্ছেন। তবে সমস্যা নেই। আপনি শামুক হলে আমি আপনার খোলস হতে রাজি। নিজেকে লুকিয়ে নিতে চাইলে আমার মাঝেই লুকিয়ে নিতে হবে। অন্য কোথাও না। অন্য কারও সেই অধিকার নেই।’

ধ্রুব আমাকে ছেড়ে দিতেই আমি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলাম। নিজেকেই এখন রুগী মনে হচ্ছে। ধ্রুবর বুকের ব্যথাটা যেন এখন নিজের মধ্যেই এসে পরেছে। বুক ধড়ফড় করছে তীব্রভাবে। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এসেছে। আমি ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম। ধ্রুব বিছানা থেকে উঠে গম্ভীর কণ্ঠে বললেন-

‘আপনি পড়তে বসুন আমি শাকিল আর আব্বু-আম্মুর সাথে কথা বলে আসি। আমি এসেই আপনার সব পড়া চেক করবো। কাল সকালে আপনার এক্সাম তাই আজ এখানেই থাকবো।’

ধ্রুব হনহনিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। কিছুক্ষন হতভম্ব হয়ে বসে থেকে বই নিয়ে পড়তে বসলাম।

ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো। ভেজা মাটির গন্ধ ছড়িয়ে পরলো চারপাশ। কানে শুধু ভাসতে লাগলো বৃষ্টির পাগল করা ছন্দ। অনুভূতিহীন আমি হঠাৎ করেই বৃষ্টির ছন্দে মাতাল হলাম। চেনা অচেনা সব অনুভূতিরা এসে ঝাপটে ধরলো আমায়। বৃষ্টিস্নাত এক গভীর রাত। ধ্রুব আমার হাত নিজের মুঠোয় আগলে নিয়ে এগিয়ে গেলেন বারান্দার দিকে। আমাকে পাশে নিয়ে দাঁড়ালেন রেলিঙের সামনে। বৃষ্টির ছাঁট আসছে গাঁয়ে। শীতল হাওয়ায় কাঁটা দিয়ে উঠছে সারা শরীর। দু’জনের মাঝে এক আকাশ সমান নিরবতা। মিনিট খানেক পর নিরবতা ভাঙে ধ্রুব অতি নিম্ন স্বরে বললেন-

‘এই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর মুশলধারার বৃষ্টি দুটোই তোমার মতো স্নিগ্ধ। আমাদের মাঝের এই নিরবতা ঠিক তোমার চোখের মতোই গভীর। আর বাতাস!! সেটা তো তোমার মুগ্ধকরা চাহনির মতোই শীতল।’

আমি অপলক তাকিয়ে রইলাম ধ্রুবর মুখের দিকে। কয়েকঘন্টা আগের সেই কথাগুলো আবারও মনে পরলো। হঠাৎ করেই ধ্রুবর এমন পরিবর্তন আমাকে বার বার অস্বস্তিতে ফেলছে। ধ্রুব তার মুগ্ধ দৃষ্টি আমার দিকে নিক্ষেপ করলেন। অত্যন্ত শীতল কন্ঠে থেমে থেমে বললেন-

‘সানসাইন! শুনো না একটা কথা বলছি। তোমাকে ভালোবাসি। হুম তোমাকে ভালোবাসি আমি। তোমাকে ভালোবাসার কারণটা জানি না। আর খুঁজতেও চাই না। ভালোবাসার নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পেলে ভালোবাসার তীব্রতা কমে যায়। মানুষটার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। আর হ্যাঁ আমি কিন্তু তোমাকে জোর করছি না আমাকে এত জলদি ভালোবাসতে। তুমি ধীরে ধীরে বুঝবে নিজের অনুভূতি তখনই আমায় ভালোবাসবে। হয়তো তোমার আগেই আমি বুঝে যাবো তোমার ভালোবাসা।’

আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম। ধ্রুব আমার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে গাঢ় স্বরে বললেন-

‘তুলতুলের সাথে কথা হয়েছে??’

আমি মিহি কন্ঠে বললাম-

‘হ্যাঁ ডিনার করার পরেই কথা হয়েছে।’

‘আচ্ছা এখন যান রুমে যেয়ে ঘুমিয়ে পরুন। সকাল সকাল উঠতে হবে।’

আমি মাথা নাড়িয়ে রুমের দিকে পা বাড়াতেই ধ্রুব পেছন থেকে ডাকলেন,

‘তুলতুলের আম্মু!’

আমি পেছন ঘুরে কৌতুহলী চোখে তাকালাম ওনার নির্লিপ্ত চোখের দিকে। ঠোঁটের কোণে তরল ভঙ্গির হাসি। মুখে বৃষ্টির পানি লেগে আছে। কি অদ্ভুতই না দেখাচ্ছে তাকে। আমার দিকে চেয়ে থেকে শান্ত গলায় বললেন-

‘আমার হতে হলে পুরোপুরি আমারই হতে হবে। সেখানে অতীতের বিন্দুমাত্র রেশ থাকবে না। আমি অপেক্ষা করতে রাজি তবে হার মানতে নয়।’

‘ধ্রুব ভাই আপনি জানেন অনুর যে পরিক্ষার হলে ফিট হয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে?’

ভাইয়ার কথা শুনে আমি জ্বলন্ত চোখে ওর দিকে তাকালাম। ভাইয়া পাত্তা দিলো না আমার চাহনি। ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে ধ্রুবর দিকে। মুখে সয়’তানি হাসি। ভাইয়াকে আরও উৎসাহ দিয়ে ধ্রুব বেশ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন-

‘ক্লাস ফাইভের সমাপনী পরিক্ষা দেওয়ার সময় ফিট হয়েছিল সেটা জানি। এখনও কি সেই অভ্যাস আছে??’

‘অবশ্যই আছে। কেন থাকবে না! এই যে এখনও যদি দুষ্টুমি করে একটা থাপ্পড় দেই দেখবেন কান্না করতে করতে বেহুশ হয়ে গেছে।’

ভাইয়া পুরো ড্রয়িং রুম কাঁপিয়ে হেসে উঠলো। ধ্রুবও তাল মিলালো ভাইয়ের সাথে। তাদের এমন ঝংকার তোলা হাসি দেখে আমি রাগান্বিত গলায় বললাম-

‘ভাইয়া তুই কি থামবি নাকি আম্মুর কাছে বিচার দিবো?’

ভাইয়া মুখ বিকৃতি করে করে বলল-

‘দেখলেন ধ্রুব ভাই কিছু না বলতে কেমন শুরু করেছে।’

আমি রেগেমেগে কিছু বলবো তার আগেই ধ্রুব নিজের হাসি চেপে রেখে বললেন-

‘থাক শাকিল বাদ দাও। একটু পর এক্সাম এখন আবার কান্নাকাটি করলে সমস্যা।’

ধ্রুবর কথায় আমি তীক্ষ্ণ চোখে চাইলাম। ধ্রুব ঠোঁট চেপে হাসলেন। আমার রাগ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে আমার হাত ধরে বেরিয়ে পরলেন ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। পুরো রাস্তা আমি আর কোনো কথা বলিনি। ভার্সিটিতে এসে আমি গাড়ি থেকে নামতেই ধ্রুব আমার পেছন পেছন আসলেন। আমার সাথেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন সানিয়ার জন্য। আমি কিছু বললাম না। বেশ খানিকটা সময় পর সানিয়া আসলো। ধ্রুবর সাথে কুশল বিনিময় শেষে ভার্সিটির ভেতরে চলে যাবো তখনই ধ্রুব আমার হাত ধরে নরম গলায় বললেন-

‘ঠিক মতো এক্সাম দিও। আর হ্যাঁ অন্য কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করো না। মনোযোগ দিয়ে লিখবে। নিজের উপর বেশি চাপ দিও না যতটুকু পারবে ততটুকুই লিখবে। আর হ্যাঁ সব কিছু নিয়েছো কিনা একবার দেখে নাও।’

আমি অবাক চোখে তাকিয়ে ধ্রুবর কথা শুনলাম। আমার পাশ থেকে সানিয়া দুষ্টুমি করে বলল-

‘দুলাভাই আপনার বউ কিন্তু এর আগেও অনেক বার এক্সাম দিয়েছে। আর আপনি যেমন করছেন মনে হচ্ছে কোনো বাচ্চা এই প্রথম এক্সাম দিতে এসেছে।’

ধ্রুব খানিকটা বিব্রতবোধ করলেন। থতমত খেয়ে বললেন- ‘আচ্ছা যাও তোমরা দেরি হচ্ছে।’

সানিয়া এবারও ঠোঁট চেপে হেসে বলল-

‘দুলাভাই অনুর হাতটা না ছাড়লে যাবো কিভাবে? অবশ্য আপনি অনুর সাথে যেতে চাইলে আমি টিচারের সাথে কথা বলে দেখতে পারি রাজি হয় কি-না।’

ধ্রুব এবার ভীষণ লজ্জা পেলেন। ঝট করে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে আশেপাশে চোখ বুলালেন। দু হাত পকেটে গুজে জোরপূর্বক একটা হাসি দিয়েই চলে গেলেন তিনি। আমি অপলক সেদিকেই চেয়ে থাকলাম। ধ্রুব কারো কথায় লজ্জা পায়, বিব্রতবোধ করেন এটাও আজ নতুন দেখছি৷ মানুষটাকে যত দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।

‘দুলাভাই তোর অনেক কেয়ার করে তাই না অনু? তোর কি মনে হচ্ছে না তোর নেওয়া সিদ্ধান্তটাই ঠিক ছিল?’

চলবে…

[বিঃদ্রঃ কিছুদিন পর আমার এক্সাম। যদিও এক্সাম অল্পদিনেই শেষ তবুও আমি ভাবছি গল্পটা তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবো কি-না। আপনারা অপেক্ষা করতে চাইলে আমি গল্প চালিয়ে যেতে পারবো। সপ্তাহে হয়তো দু-একদিন গল্প পাবেন না। আর আমি হয়তো নির্দিষ্ট টাইমে দিতে পারবো। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছে। কমেন্টে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা।❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here