শেষ_প্রহর পর্বঃ০৩

0
1223

#শেষ_প্রহর
পর্বঃ০৩
জাহান আরা

নিষাদ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চন্দ্রর দিকে,তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হচ্ছে এই মেয়ে এক সময় তার কেউ ছিলো না অথচ আজ মেনে না নিলেও সামাজিক রীতিমতো সে তার বৌ,তার সব দায়িত্ব এখন থেকে নিতে হবে তাকে,তার হাসি কান্না আনন্দ বেদনা সব কিছুর খেয়াল তাকে রাখতে হবে।

অথচ গল্পটা অন্যরকম হবার কথা ছিলো,এই অচেনা মেয়েটার জায়গায় আজ সুস্মিতার থাকার কথা ছিলো।আজ তাদের বাসর রাত ছিলো,এই রাতে সুস্মিতার গহীন সমুদ্রে ডুব দিয়ে হারিয়ে যেতো সে,অথচ তার রাত কেটেছে ঘুমিয়ে।

বুকের ভিতর তোলপাড় থামে নি,মন কিছুতেই মানছে না সুস্মিতার এই বদলে যাওয়া।
এজন্যই কি ভাবী বলেছিলো সুস্মিতা আমাদের লেভেলের না?

এজন্যই কি বলেছিলো সুস্মিতার সাথে আমাদের যায় না?

না আর ভাবতে পারছে না নিষাদ,বুকের ভিতর একটা তীব্র ব্যথা তাকে ব্যথিত করছে। কে নিভিয়ে দিবে বুকের এই আগুন?

এই মেয়েটা!!!
কি আছে এই মেয়ের মাঝে এমন যা সুস্মিতার নেই,চন্দ্রকে দেখার কাজে মনোযোগ দিলো নিষাদ এবার।এতোদিন ধরে এই বাড়িতে আছে অথচ নিষাদ কখনো ভালো করে দেখেই নি চন্দ্রকে,মনে হয় ৫ মাসে ৫-৬ বারের বেশি দেখা হয় নি চন্দ্রর সাথে,তাও সে ছিলো ফোনে ব্যস্ত সুস্মিতা কে টেক্সট করায় আর চন্দ্র ছিলো ভাবীর সাথে।

কোঁকড়া চুল,মুখে দুটো তিল বাম চোখের নিচে একটা আর থুতনিতে একটা,নাকে একটা সাদা পাথরের নাকফুল,ঠোঁটে কোনো লিপস্টিক নেই তাও কেমন হালকা লালচে লাগছে।
নিষাদের দৃষ্টি নিচের দিকে নেমে আসে,এক পর্যায়ে দৃষ্টি এসে থামে চন্দ্রর ব্লাউজের গলার পাশ দিয়ে বের হয়ে থাকা নেভী ব্লু কালারের ব্রার স্ট্র‍্যাপে,অন্যায় হচ্ছে মনে হতেই নিষাদ চোখ সরিয়ে নেয় সেখান থেকে,তাকাতে তাকাতে আবার চোখ পড়ে চন্দ্রর বুকের উপর।

ফর্সা একটা শরীর,শাড়ি নিচে পড়ে যাওয়ায় দেখা যাচ্ছে শরীরের কামনীয় একটা অংশ,অথচ নিষাদের ভালো লাগছে না।
মাথার ভিতর টা কেমন ভোঁতা হয়ে আছে।

আলগোছে চন্দ্রর উপর থেকে সরে গিয়ে চন্দ্রর গায়ের উপর ফ্লোরে লুটিয়ে থাকা শাড়ি তুলে দেয়।

রুম থেকে বের হয়ে বাগানে চলে যায়।

নিশান রাতেই টিকিট কেটে রেখেছে,সুলতানার শারীরিক এই কন্ডিশনে কিছুতেই সে সুলতানা কে হার্ট করতে চায় না।
সকাল ১০ টার ফ্লাইট তাদের,সুলতানা সকালে উঠে লাগেজ ঘুছিয়ে ফেলেছে।
মাজেদা খালা সকালের নাশতা বানিয়ে টেবিল সাজাচ্ছেন
সুলতানা যায় নিষাদ আর চন্দ্র কে ডাকতে।
গিয়ে দেখে নিষাদ রুমে নেই,চন্দ্র সোফায় শুয়ে আছে।

ওদের মাঝে যে কিছু হয় নি সুলতানা তা বুঝে যায়।তার মন খারাপ হয় না তাতে মোটেও,দুজনের জন্য আগে দুজনের ভালোবাসা জন্মাক,ওদের দুজনকে সে স্পেস দিতেই তো সে চলে যাচ্ছে।

সুলতানা বেশ ভালো করেই জানে সে না থাকলে নিষাদ সব কিছুতেই দ্বিধায় পড়বে,তার সব কিছু সুলতানা করে দিতো,কখন কি পরবে,কি খাবে,কি ইচ্ছে করছে,কখন ব্লাক কফি,কখন কোল্ড কফি,কখন দুধ চা,কখন আদা চা,কখন ঔষধ,সব কিছুতেই সে সুলতানার উপর নির্ভর।

সুলতানা না থাকলে তাকে চন্দ্রর উপর নির্ভর হতে হবে,চন্দ্র ও সে না থাকলে একা হয়ে যাবে,সময় কাটানোর জন্য হলেও সে নিষাদের প্রিয় অপ্রিয় ব্যাপারে মাথা ঘামাবে।

অনিতার একটা ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারলেই সুলতানার দায়িত্ব শেষ হতো।

সুলতানা গিয়ে চন্দ্রর কপালে হাত রাখে।চন্দ্র জেগে উঠে। সুলতানা কে রুমে দেখে ধড়মড়িয়ে উঠে যায়।

“হাত মুখ ধুয়ে আয় খেতে,নাকি খাবার ঘরে পাঠাবো তোদের জন্য? ”

“না আপা,আমি আসছি।”

সুলতানা চন্দ্রর দিকে তাকিয়ে থাকে,কোনো এক অজানা কারণে চন্দ্র তাকে পছন্দ করে না সুলতানা তা বুঝে ভালো করে। চন্দ্রর এই স্বভাবের জন্যই সুলতানা চন্দ্রকে এতো ভালোবাসে।

খাবার টেবিলে বাড়ির সবাই বসে আছে। মেহমানদের জন্য খাবার আয়োজন করেছে বাবুর্চিরা,তারা সেখানে খাচ্ছে,নিষাদ বন্ধুদের সাথে সেখানে খাচ্ছে।

চন্দ্র কিছু খাচ্ছে না,আঙুল দিয়ে শুধু নড়াচড়া করছে খাবার।চন্দ্রর মা শায়লা বিষয় টা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছেন। মেয়েটা কি অসুখী এই বিয়েতে?
এতো বড় বাড়ির বৌ হওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার,তাহলে চন্দ্র এতো মনমরা কেনো?

মেয়ের দিকে তাকিয়ে শায়লা ও খেতে পারছে না,মেয়ের ব্যথা যেনো তাকেও কাবু করে ফেলেছে।

সুলতানা তার রুমে বসে আছে,কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না তার।একটু পর তারা বের হবে।

নিশান নাশতা করে এসে সুলতানা কে রেডি হতে বলে। সুলতানা তাৎক্ষণিক উঠে রেডি হয়ে নেয়।
খানিক পরেই নিচে নেমে আসে তারা।

সুলতানা সত্যি চলে যাচ্ছে???

চন্দ্রর বিশ্বাস হচ্ছে না।

সবার থেকে বিদায় সুলতানা আর নিশান চলে যায়।

কিছুক্ষণ পর সুরাইয়া বেগম আর শায়লা বেগম ও চলে যায়, মেহমানরা সবাই বিদায় নিয়ে চলে যায়।পুরো বাড়ি খাঁখাঁ করে জনশূন্যতায়।
বাহিরে কড়া রোদ উঠেছে।

চন্দ্র রুমে বসে আছে, এই প্রথম সে সুলতানার অভাব টের পাচ্ছে,ভীষণ একা লাগছে সুলতানা কে ছাড়া। সুলতানা যে তাকে কি ভীষণ ভালোবাসে হঠাৎ করেই চন্দ্র বুঝতে পারছে।

সুলতানা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতো চন্দ্রকে কিছু খেতে ইচ্ছে করে কি-না,চন্দ্র কখনোই হ্যাঁ বলে নি,কিন্তু সুলতানা তবু বুঝে যেতো,ঠিকই ফুডপান্ডাতে অর্ডার করে দিতো।

নিজে কিছু খেতে পারতো না,খাবারের গন্ধে তার বমি পায় বলে,তবুও চন্দ্রকে পাশে বসিয়ে খাওয়াতো।
চন্দ্রর খাওয়া শেষ হলেই বেসিনে ছুটে যেতো বমি করতে।

মাঝেমাঝে চন্দ্র অবাক হয়, কেনো এতো ভালোবাসে সুলতানা তাদের দুই বোন কে!

বিকেলে চন্দ্রর টিউশন আছে,চন্দ্র বুঝতে পারছে না তাকে টিউশন করতে দিবে কি-না।

নিষাদ সকালে বের হয়েছে সুস্মিতার খোঁজে,সুস্মিতা কে কোথাও খুঁজে পায় নি।গুলশানের ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁতে গিয়ে বসে ছিলো ২ ঘন্টা,সুস্মিতার প্রিয় রেস্টুরেন্ট এটা,খোঁজ নিয়ে জানতে পারলো সকালে কোনো এক মধ্যবয়স্ক লোকের সাথে এসেছে সুস্মিতা।
খাবার খেতে খেতে দুজন অনেক হাসাহাসি করেছে,বের হয়ে যাওয়ার সময় লোকটা সুস্মিতার কোমর জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে বের হয়ে গেছে।

নিষাদের মাথায় আগুন ধরে যায় এসব শুনে।ভরদুপুরে বাসায় ফেরে ভগ্ন হৃদয় নিয়ে।একরাতের মধ্যে সুস্মিতা এভাবে বদলে গেলো?
না-কি অনেক আগে থেকেই সুস্মিতার এসব চলেছিলো নিষাদের অগোচরে।
তবে কি ভাবী ই ঠিক ছিলো?

বাসায় ফিরে রকিং চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ে নিষাদ,প্রচন্ড মাথা ধরেছে তার।
চন্দ্র সাহস সঞ্চয় করে নিষাদের পাশে এসে দাঁড়ালো।

“আমার টিউশন আছে বিকেল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত,আমি আজকে ভার্সিটি ও যেতে পারি নি,আমি কি আমার আগের লাইফ লিড করতে পারবো?”

নিষাদের মেজাজ এমনিই খারাপ,চন্দ্রর কথা শুনে আরো খারাপ হয়ে গেলো। এই মেয়ে ভাবছে কি নিজেকে,এই বাড়ির বৌ না-কি সে???

“তুমি আগে যেমন ছিলে তেমনই চলবে,ভাবীর জন্য বিয়ে করেছি তার মানে এই না যে তুমি আমার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা পাবে।আমি মনেপ্রাণে সুস্মিতা কে ভালোবাসি,ভালোবাসবো,আন্ডারস্ট্যান্ড?
তোমার কোনো বিষয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই,তুমি যদি হাজার ছেলের সাথে ও চলাফেরা করো,আমি একটা প্রশ্ন ও করবো না,কজ তুমি আমার কেউ না”

চন্দ্র যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো নিষাদের এই কথা শুনে। সে তার মতো চলতে পারবে এর চাইতে খুশীর কথা আর কি হতে পারে?
চন্দ্র তক্ষুনি রেডি হয়ে বের হয়ে যায়,লাস্ট ক্লাসের টাইম হাতে আছে,ক্লাস মিস দিতে চন্দ্রর কখনো ইচ্ছে করে না।

ক্যাম্পাসে ঢুকতেই চন্দ্র নিশি,রুমি,মিরা,আদিবের দেখা পায়,তাদের ৫ ফ্রেন্ডের জুটি সেই স্কুল লাইফ থেকে।আদিব চন্দ্র কে দেখে রেগে যায়।

“মহারানীর এখন আসার সময় হয়েছে।” (আদিব)

“ওই,সকাল থেকে তোর ফোন কই ছিলো,ঠাডা পড়ছে নি তোর ফোনের উপর? ” (রুমি)

“আরে ভাই,আমাকে তো বলার সুযোগ দিবি,আমি মাইনকার চিপায় ফাঁইসা গেছি” (চন্দ্র)

“তোর অনামিকাতে এটা কিসের রিং চন্দ্র?
ডায়মন্ডের মতো মনে হচ্ছে। ” (নিশি)

“আমার বিয়ে হয়ে গেছে গতকাল রাতে”

“কি!!!!!”
সবাই একসাথে বলে উঠে। কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না চন্দ্রর বিয়ে হয়ে গেছে। একে অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
চন্দ্রর দুচোখ ভিজে যায় জলে।

চন্দ্র সব খুলে বলে সবাই কে। শুনে সবাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে।এটা কেমন বিয়ে?

“তোর বরের ছবি দেখা না দোস্ত ” (নিশি)

“বর! তাও আমার?
ও আমার বর না রে,ও কাগজে কলমে আমার বর,মনেপ্রাণে সে তার ভালোবাসার,আমার অবশ্য আফসোস নেই তাতে,আমাকে আমার মতো লাইফ লিড করতে দিয়েছে এটাই তো অনেক,আমার কাছে ওর ছবি নেই”

চন্দ্র মুখ অন্ধকার করে আছে তা সহ্য হচ্ছে না কারো।

“আচ্ছা চল আমরা ঘুরে আসি কোথাও থেকে,আজ আর ক্লাস করতে হবে না”

আদিব প্রস্তাব দেয়। চন্দ্র ছাড়া সবাই হৈহৈ করে রাজি হয়ে যায়। চন্দ্র যেতে চায় না দেখে টেনে নিয়ে যায় সবাই মিলে।

ধানমন্ডি লেকের দিকে যায় সবাই মিলে। সবাই মিলে হাসাহাসি করছে আদিবের জোকস শুনে,চন্দ্রর মন খারাপ ভাব দূর হয়ে গেছে।

“আদিব,আরেকটা জোকস বল” হাসতে হাসতে মিরা বললো।

“শুন তাহলে

একদিন ঘুম থেকে উঠে এক লোক তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ‘আজকের সকালটা সুন্দর।’
পরদিনও ঘুম থেকে উঠে ও বললেন, ‘আজকের সকালটা সুন্দর।’
এর পরদিনও একই ঘটনা।

এভাবে এক সপ্তাহ পেরোনোর পর লোকটির স্ত্রী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘প্রতিদিন এই কথা বলার মানে কী?’

লোকটা: সেদিন ঝগড়ার সময় তুমি বলেছিলে, কোনো এক সুন্দর সকালে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।”

আরেক দফা হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়।

হাসতে হাসতে লেকে প্রবেশ করে সবাই মিলে।পাশাপাশি দুটো বেঞ্চিতে বসে পড়ে।

“আরেকটা জোকস বল না আদিব” (রুমি)

“স্ত্রী: বলো তো, স্বামী ও গাধার মধ্যে পার্থক্য কী?
স্বামী: স্বামী গাধা হতে পারে। কিন্তু গাধা এত বড় গাধাও নয় যে সে স্বামী হবে!”

আদিবের জোকস শুনে সবাই আবার খিলখিল করে হেসে উঠে।

চন্দ্রর বেঞ্চির পাশের বেঞ্চে বসে নিষাদ তাকিয়ে থাকে তার দিকে।লেকে এসেচিলো সুস্মিতার খোঁজ করতে,প্রায় সময় সুস্মিতা এখানে আসে,কিন্তু এসে দেখে চন্দ্র বসে আছে এক ছেলের সাথে এক বেঞ্চে,আর ৩টা মেয়ে বসে আছে সামনের বেঞ্চে,সবাই খুব হাসাহাসি করছে,হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে ঢলে পড়ছে।

একসময় রুমির নজর যায় নিষাদের দিকে,এতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। রুমি তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে ছোট একটা লিপস্টিক বের করে লাগাতে থাকে।

“কিরে,তোর আবার কি হলো এখান দিয়ে?” (মিরা)

“দোস্ত,পাশের বেঞ্চে তাকিয়ে দেখা কতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,যদি কোনোভাবে আমাকে তার ভালো লেগে যায় তার জন্য একটু লিপস্টিক লাগালাম”

রুমির কথা শুনে সবাই হাহা করে হেসে উঠে।

“যতো যা-ই মাখোস তোরা,এই ছেলে যদি কাউকে পছন্দ থাকে তবে চন্দ্রকে করবে পছন্দ,তোদের মতো কাউয়াঠুঁটিরে কোনো ভালো ছেলে পছন্দ করবে না।”

আদিবের কথা শুনে মিরা রেগে যায়। চন্দ্র হাসতে হাসতে আদিবের গায়ে পড়ে। ওদের নিত্যদিনের ঝগড়া এগুলো।

“চন্দ্র,ছেলেটা তোর দিকেই তাকিয়ে আছে,দেখতো তোর চেনা কেউ কি-না”

নিশির কথা শুনে চন্দ্র তাকায় সেদিকে। নিষাদ কে দেখতে পাবে সেটা চন্দ্র ভাবতে পারে নি।নিজের অবাক হওয়ার বিষয় টা গোপন রেখেই বলে,”না তো,আমার চেনা না উনি,আমি এই লোককে চিনি না।”

চন্দ্র কথাটা একটু উঁচু গলায় বলে,নিষাদ স্পষ্ট শুনতে পায়।চন্দ্র এভাবে কেনো বলছে তাকে চিনে না,তবে কি চন্দ্র তার বন্ধুদের বলে নি তার বিয়ে হয়েছে নিষাদের সাথে,না-কি পাশে বসে থাকা ছেলেটার সাথে চন্দ্রর কোনো সম্পর্ক?

যা ইচ্ছে হোক,আমার কি ভেবে নিষাদ অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে।চন্দ্র তো তার ভালোবাসার মানুষের সাথে আছে তার ভালোবাসার মানুষ কই আজ?

চলবে???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here