সবটা অন্যরকম♥ পর্ব-২৩

0
315

সবটা অন্যরকম♥
#পর্ব_২৩
Writer-Afnan Lara
.
কিরে আহনাফ,,আজ আসতে এত দেরি করলি?
.
আদনানের সাথে মনুর বিয়ের সব এরেঞ্জমেন্টে হেল্প করছিলাম তাই দেরি হলো,এখন জলদি জলদি ভাত দাও,খেয়ে একটু ঘুমিয়ে আবার অফিস যাব আমি
.
আমি টেবিলে আনছি,তুই গোসল করতে যা
.
আহনাফ গায়ের জ্যাকেটটা খুলে বিছানার উপর রেখে গেলো গোসল করতে
দিবা সবেমাত্র গোসল সেরে বেরিয়েছে,গায়ের আকাশী রঙের জামাটা পাল্টে একটা কমলা রঙের থ্রি পিস পরেছে সে এখন,এই জামাটা তিন বছর আগে মা ওকে কাটা পিস কিনে দিয়েছিলো তারপর টেইলার দিয়ে সেলাই করে সে পরা শুরু করলো,,তিনবছরেও জামাটা কত ভালো,,জামাটা পরলে আরাম লাগে,এই গরমে জামাটা বেস্ট তা বলা চলে
চুলগুলো থেকে ভেজা গামছা সরিয়ে দিবা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো,,চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে নিজের আনা ফুলগাছ গুলোর দিকে আনমনে চেয়ে রইলো দিবা
তারপর কি মনে করে চুল দিয়ে গাছগুলোতে পানির ছিঁটা দিয়ে নিজেই হেসে ফেললো
গলায় গানের সুর এসে গেলো,,গুনগুন করে একটা গান গাইতে শুরু করলো সে হঠাৎ করে
.
আমি কি দেখেছি হায়
একলা পথে দাঁড়িয়ে
সে ছিল দূরে দূরে তাকিয়ে
আহারে, আহারে
কোথায় পাবো তাহারে
যে ছিল মনেরও গহীন কোণে

আকাশে, বাতাসে বসন্ত সুবাসে
কোকিলের কুহু ডাকে তারি ছোঁয়া
অলিতে, গলিতে ঘরেতে বাহিরে
যেথা যাই ডাকে মোরে তারি ছায়া….
.
গামছা দিয়ে চুলে এক ঝাড়া দিতেই দিবা খেয়াল করলো হালকা আওয়াজ আসলো পাশ থেকে
চুলগুলোকে পিঠের উপর দিয়ে দিবা পাশে তাকালো
সেখানে আহনাফ দাঁড়িয়ে চোখ মুছতে মুছতে বললো”গান গাইতেছিলা ভালো কথা এমন করে চুল ঝাড়লে কেন?আমার চোখ গেলো”
.
আমি কি জানি আপনি দর্শক হয়ে আমার গান শুনছিলেন এতক্ষণ
.
দিবা মুখ বাঁকিয়ে একটা গাঁদা ফুল ছিঁড়ে কানে গুজে চলে গেলো
আহনাফ ফুলগাছগুলোকে একবার দেখে নিজেও গেলো খাবার খেতে,দিবা এপারে চেয়ার টেনে বাসে নিজের খাবার সাবাড় করে যাচ্ছে,আহনাফ ওর বরাবর ঐ পাশে বসে প্লেটটা নিজের দিকে টেনে দিবার দিকে তাকালো আবারও
দিবার জামার সাথে গাঁদা ফুলটা বেশ মানিয়েছে
ওর ভেজা চুল বেয়ে পানি পড়ছে টেবিল ক্লথের উপর,,চুল লম্বা তবে যেগুলো ছোট ওগুলো থেকে পানি টপটপ করে পড়ে টেবিলে এসে জমছে কারণ দিবা টেবিলের সাথে লেগে বসেছে
আহনাফ মুগ্ধ হয়ে চুল থেকে পানি পড়ার দৃশ্যটা দেখছিলো
হঠাৎ মা ডালের বাটি ওদের দুজনের সামনে রাখতেই ও চোখটা সরিয়ে নিলো
মা বললো তার ঘুম আসছে অনেক, ওরা যেন যা যা লাগে তা নিয়ে নিয়ে খায় এটা বলে মা চলে গেলেন
আহনাফ খাবার মুখে দিয়ে আবারও দিবার দিকে তাকালো
দিবা ভেজা চুলগুলোকে বারবার কানপর পিছনে দিচ্ছে আর বারবার সেগুলো মুখের সামনে চলে আসছে
আহনাফ খেতেই পারছে না আজ,,হুট করে এক ধমক দিয়ে দিলো সে দিবাকে
দিবা চমকে বললো”কি হলো?”
.
চুল নিয়ে এমন করো কেন??জানো না আমার বুকের ভেতর ধুক করে ওঠে
.
দিবা বোকার মতন এক মিনিট তাকিয়ে রইলো তারপর বরবটি এক পিস মুখে পুরে বললো”আপনার কাঁধে হাত রাখলে আপনার বুকের ভেতর ধুক করে উঠে এতদিন সেটা জানতাম আবার এখন আমার ভেজা চুল দেখে আপনার বুকের ভেতর ধুক করে ওঠে?আর কিছু বাকি আছে?”
.
চুল বাঁধো বলছি
.
ভেজা চুল বাঁধলে আমার মাথা ব্যাথা করে,চুল ছাড়াই ভালো,আপনাকে কে বলে তাকাতে?
নিজের খাওয়াতে মন দিন না
.
আমার সামনে বসে এভাবে হাত দিয়ে চুল নড়াচড়া করলে আমার সমস্যা হয়
.
দিবার মনে পড়লো আহনাফের ডিলের কথা,সে প্লেটটা নিয়ে উঠে নিজের রুমে চলে আসলো একেবারে,,তারপর বুকে হাত দিয়ে বললো”খুব বাঁচা বেঁচেছি, উনার ডিলের কথা মনে নেই”
.
আহনাফ খাবারটা শেষ করে হাতের পিঠ দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে নিজের রুমে আসলো,,তারপর নিজের ভার্সিটির ব্যাগটা বিছানা থেকে সরিয়ে টেবিলে রাখতে গিয়ে কানে আসলো খসখস আওয়াজ
তাই আওয়াজটার সন্ধান পেতে ব্যাগে হাত ঢুকাতেই একটা ডেইরি মিল্ক পেলো সে,মনে পড়লো আদনান দিবার জন্য কিনে দিয়েছে,আনাফের জন্য চকলেট কিনার সময় দিবার জন্য ও নিয়েছে সে
দিবাকে আনাফের মতই ছোট মনে হয় ওর
.
আহনাফ চকলেটটা এপিঠ ওপিঠ করে দেখে এগিয়ে গেলো দিবার রুমের দিকে
দিবা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে পিঠ দেখার চেষ্টা করছে যে কোথায় ছিঁড়েছে,নিচু হয়ে ফ্লোর থেকে চুড়ি নিতে গিয়ে ক্যাত করে শব্দ হলো
মনে হয় জামা ছিঁড়েছে কিন্তু কোন দিক দিয়ে ছিঁড়েছে সেটাই বুঝা যাচ্ছে না
.
আসবো?
.
আহনাফের কথা শুনে দিবা আয়নার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে পড়লো পিঠ ঢেকে
.
এরকম ভূত দেখর মতন এক্সপ্রেশন দিচ্ছো কেন?আমি জাস্ট এই চকলেটটা দিতে এলাম যেটা আদনান তোমার জন্য পাঠিয়েছে,নাও ধরো
.
আআআআআপনি ওটা বিছানায় রেখে যান
.
কেন?আর তুমি ওমন করে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
.
না মানে কিছু না,আপনি যান
.
মিনি বিছানায় বসে ছিলো,, দুপ করে ফ্লোরে নেমে সে দিবার কাছে ছুটে গেলো,,দিবা ওর দিকে তাকিয়ে ভাবছে না জানি কোনো কান্ড ঘটায়,,কিছুতেই সরা যাবে না এখান থেকে,,
ছেঁড়া জায়গাটা যদি দেখে ফেলে উনি,লজ্জাজনক হবে ব্যাপারটা
.
আহনাফ ভ্রু কুঁচকে চকলেটটা বিছানায় রাখলো তারপর মিনির দিকে তাকিয়ে যেতে যেতে বললো”কাঁধের তিলটা দেখাতে পিঠ ঢেকে রেখেছিলে?”
.
দিবা চোখ বড় করে কাঁধের দিকে তাকালো,জামা পিঠে নয় বরং এই জায়গা দিয়েই ছিঁড়ে ছিলো
দিবা ওড়না সেদিকে টেনে মুখে হাত দিয়ে ফেললো,আহনাফ মুচকি হেসে চলে যাচ্ছে
মিনি এক পা এক পা করে সেদিকে গেলো,অনেকদিন হলো আহনাফকে ডিস্টার্ব করা হয় না
.
দিবা কপালে দুম করে চড় মেরে বললো”দিবা তুই এত উজবুক কেন রে??জামা ছিঁড়েছে তোর কাঁধ থেকে আর তুই কিনা তখন থেকে পিঠ ঢেকে যাচ্ছিলি,ইস আমার মান সম্মান আর রইলো না,এখন উনি ভাববে আমি ইচ্ছে করে সমসময় এমন করি,আসলেই এখন থেকে ওড়না পেঁচিয়েই পরতে হবে যা দেখলাম,এভাবে এক পাশে রাখলে উনিও রেগে যান আর আজ তো একেবারে লিমিট ক্রস ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেলো আমার”
.
আহনাফ বিছানায় এসে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়েছে,,শুয়ে শুয়ে বারান্দার পর্দাটার দিকে তাকিয়ে রইলো সে
বাতাসে বার বার নড়ছে পর্দাটা,,দেখতে দেখতে ও খেয়াল করলো পর্দাটার কিনারা দিয়ে ফুলে আছে,,মনে হচ্ছে পর্দার নিচে কিছু একটা আছে
বিছানা থেকে নেমে আহনাফ পর্দাটা সরালো,মিনি লুকানোর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে গেলো
ভেবেছিলে পর্দার পেছনে লুকালে আহনাফ ওকে দেখবে না খুঁজেও পাবে না
কিন্তু কি করে আহনাফ টের পেয়ে গেলো
.
আহনাফ কোমড়ে হাত দিয়ে বললো”নিজেকে চালাক মনে করো তুমি??তোমার ঐ মোটকা গলু গলু দেহ নিয়ে তুমি পর্দার পিছনে লুকাবা আর পর্দা ওমনি মিহিন হয়ে থাকবে?
আমি তো ভাবলাম পর্দার নিচে না জানি বাঘ না ভাল্লুক,এখন দেখি আমাদের বাসার সেই আজাইরা বিড়ালটা
ধরে বারান্দা দিয়ে ফালাই দিবো আর একদিন আমার রুমে আসলে,হাইচ্ছু!!দিবা!!ওরে নিয়ে যাও!
.
দিবা জামা পাল্টাচ্ছিলো,,তাই আহনাফের ডাকে আসলো না সে
.
আহনাফ যখন দেখলো দিবা আসছে না তখন সে মিনিকে বললো”যাও আমার রুম থেকে বের হও,কথা কানে যায় না??
নাকি তোমার বইনের কথাই বুঝো খালি,আমার কথা বুঝো না?”
.
মিনি বোকার মতন বসে আছে পর্দার পাশে
আহনাফ রুম থেকে বেরিয়ে দিবার রুমে যেতে গিয়ে দেখলো দরজা লক করা ভেতর থেকে
আজব তো! দরজা লক করলো ক্যান,,দিবা দরজা খুলো
.
আমি চেঞ্জ করছি,কি দরকার?
.
তোমার ঐ আজাইরা বিড়াল ছাড়া তোমার থেকে আমার আবার কি দরকার হবে?
ও আবার আমার রুমে এসে জুটেছে,ওরে নিয়ে যাও,আমি ঘুমাবো এখন
.
দিবা জামাটা চেঞ্জ করে ওড়না পরে বের হলো রুম থেকে,আহনাফ চলে গেলো ওকে দেখে
দিবা আহনাফের পিছু পিছু গেলো ওর রুমে,,দুজনে রুমে এসে অবাক,মিনি নেই সেখানে
.
একি গেলো কই
.
হয়ত রুম থেকে বেরিয়ে গেছে
.
হাইচ্ছু!!না না ও যায়নি,,ও এখানেই আছে,হাইচ্ছু!
.
দিবা চুল বাঁধতে বাঁধতে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো মিনিকে
আহনাফ নাক মুছে খাটের তলায় চেক করতে গিয়ে ওর চোখ গেলো আলমারির দিকে,,আলমারির উপর মিনির লেজ ঝুলছে
.
ইয়া আল্লাহ!!!
দিবা তোমার ঐ বিড়াল এত উঁচুতে উঠেছে কি করে?
.
দিবা ও তাকালো উপরে তারপর দাঁত কেলিয়ে বললো”টেবিলে উে সেটা থেকে আলমারিতে উঠে মিনি,ওর এটা পুরান অভ্যাস
.
তো??জলদি করে ওকে নামাও,আমার হাঁচি থামছি না
.
দিবা চেয়ার টপনে আলমারির কাছ নিয়ে চেয়ারে উঠে আলমারির উপরে হাত দিতেই মিনি এক লাফে টেবিলে নেমে গিয়ে আরেক লাফে আহনাফের গায়ে উঠে গেলো
আহনাফ চেঁচিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে সাথে সাথে
মিনি ওর গলায় বসে আছে ভালো বিড়ালের মতন
.
আহনাফ নাকে হাত দিয়প বললো”সরাও ওরে,আমার দম আটকে আসছে”
.
দিবা চেয়ার থেকে নেমে ছুটে এসে মিনিকে আহনাফের গলা থেকে উঠিয়ে আনলো,,আহনাফ চোখের সামনে দিবার ওড়না পেয়ে সেটা নাকে চেপে ধরে বললো”সরাও ওরে,, আমার শ্বাস নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে”
.
দিবা মিনিকে নিয়ে চলে গেলো,আহনাফ দিবার ওড়নাটা নাকে ধরে চুপ করে আছে,,নাকের ভেতরটা জ্বলছে,এই বিড়ালটা আমাকে এত পছন্দ কেন করে বুঝি না একেবারে মুখের উপর এসে পড়লো,,হাইচ্ছু!
আচ্ছা এই কাপড়টা থেকে এত মিষ্টি ঘ্রান আসছে কিসের ঘ্রান এটা??
আহনাফ চোখ খুলে যখন টের পেলো এটা দিবার ওড়না সাথে সাথে ছুঁড়ে মারলো,,পেরেশানিতে হাতে কি নিয়েছিল সেটাই টের পেলো না ও,,
এরপর টিসু বক্স থেকে টিসু নিয়ে সেটা নাকে চেপে শুয়ে পড়লো সে,,একটু ঘুমিয়ে ডিউটিতে যেতে হবে,,বাঁচলাম আজ ভার্সিটিতে মিশকাকে দেখিনি,তার মানে আমার বলা কথাটা বিশ্বাস করেছে,,আর যেন আমার চোখের সামনে না আসে,এরকম বিপদই যেন আর না আসে

তোর আর কাজ নেই?ঠিক এই কারণেই উনি তোকে আজাইরা বিড়াল বলে,,
আমি আছি,আরিফ ভাইয়া আছে তার পরেও উনার কাছে গিয়ে কি করস তুই?
জানস না উনি তোকে পছন্দ করে না?আর কখনও যাবি না,আজ তোর কারণে উনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো,,
.
দিবা মিনির মাথায় হাত বুলিয়ে ওকে বারান্দায় ছেড়ে দিয়ে আলমারি থেকে আরেকটা ওড়না নিয়ে পরলো,,আলমারি খুঁজে ওড়না বের করতে গিয়ে আজ তাদের ফ্যামিলি ফটো পেলো দিবা
সেখানে তাদের লাল সোফায় বসা মা,ইতি,ইভান আর বাবা বসে আছে,,দিবা কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে,এই ছবিটা দিবা আসার আগে নিয়ে এসেছিলো,,মায়ের কথা খুব মনে পড়ে,একটিবার কি কথা বলতে পারে না আমার সাথে?দেখি একবার কল দিয়ে
.
দিবা চুপিচুপি খালামনির রুমে আসলো,খালামণি আর খালু ঘুমাচ্ছেন
দিবা টেবিলের উপর থেকে ফোনটা নিয়ে বাহিরে আসলো,,মায়ের নাম্বারটা খুঁজে ফোন করলো সে,,তার ফোন থেকে তো কল যায় না তাই এত কষ্ট করা
তখন বিকেল চারটা বাজে,,মা এসময়ে বিকালের নাস্তা বানানো শুরু করে,,ফোন অনেকক্ষণ রিং হওয়ার পর মা রিসিভ করলো
দিবা বুকে হাত দিয়ে চুপ করে আছে,মা হ্যালো বলে বললেন”কিগো মৌ আপু,কথা বলছো না কেন?কিসের জন্য ফোন দিলে?দিবা ঠিক আছে তো?”
.
মাহহহ!
.
মা আর একটা কথাও বললেন না,দিবার মুখ থেকে মা শুনে কেটে দিলেন লাইন,,মুখে হাত দিয়ে কান্নাটা চেপে ছুটে গেলেন রান্নাঘরের দিকে
দিবা ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে,,চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে ফোনের স্ক্রিনে পড়তে লাগলো
মা ওখানে কাঁদছেন আর এখানে দিবা
মা চেয়েও কথা বলতে পারলেন না আজ,,কথা বললেই যে মায়াটা বেড়ে যাবে,দিবাকে শক্ত রাখতে আমার নিজেকে শক্ত করতে হলো,,মাফ করে দিস আমায় দিবা,তোর মা তোকে অনেক আঘাত করে
হয়ত আমার আঘাতের চেয়ে তোর আঘাত বেশি না তবে তোর কাছে এটাই হয়ত অনেক বড় আঘাত,,মা হিসেবে আমি তোকে সেসব দিতে পারলাম না যা তোর প্রাপ্য
আমার যেমন ফুটা কপাল ছিল এখন তোর ও তেমন,,
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here