সবটা অন্যরকম♥ পর্ব-২৯

0
308

সবটা অন্যরকম♥
#পর্ব_২৯
Writer-Afnan Lara
.
গোসল সেরে দিবা জলদি করে চুল না মুছেই ছুটে আসলো আহনাফকে দুপুরের খাবার দেবে বলে
আহনাফ তখন ডাইনিংয়ে বসে মিনির খাওয়া দেখছিল
দিবা ওদের দিকে এক নজর তাকিয়ে ছুটে গেলো রান্নাঘরে,সেখান থেকে তরকারি ভাতের পাতিল নিয়ে টেবিলে রেখে ফটাফট আহনাফের প্লেট রেডি করে বললো”নিন খাওয়া শুরু করে দিন”
.
আহনাফ মিনির থেকে চোখ সরিয়ে দিবার দিকে তাকালো এবার
সাদা রঙটা বড়ই অদ্ভুত,পরলে যে কোনো মানুষকেই অন্যরকম লাগে,তার উপর যদি সাত রঙের ফোটা ফোটা আড়ি ডিজাইন থাকে তাহলে সেই সাদার রুপ আরও বেড়ে যায়,আজ ঠিক সেরকম একটা জামা পরেছে দিবা
ভেজা কালো চুলগুলো এক পাশে ফেলে সে খাবারের আয়োজন করতে বড়ই ব্যস্ত
বিয়ের পরেরদিন নতুন বউদের যেমন লাগে ঠিক তেমন,শুধু শাড়ীটা পরনে নেই,মেয়েরা ভেজা চুলে কেন এত সুন্দর হয়
চুল তো মোছেইনি,সাথে মুখটাও না,আর তাই মুখ শুকাচ্ছেও না,চুলের পানির তেড়ে মুখটা ভেজাই রয়ে আছে তখন থেকে
আজকের দিনের রোদটা চলে যাচ্ছে,,তার শেষ রশ্নি জানালা দিয়ে এসে ওয়ালে পড়েছে,মানে এখন তার যাওয়ার পালা,দিবা ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বলে রোদটা তার মুখে পড়েছে
তার মধ্যে পানি পড়ে তার মুখের ঝলক দেখতে পাচ্ছি যেমনটা আমার কল্পনার সেই মেয়েটির মুখ ছিলো
.
দিবা হাত বাড়িয়ে আহনাফকে বলছে খাওয়ার জন্য অথচ দিবার হাত নড়াচড়া ছাড়া আর কিছুর দিকেই খেয়াল করতে পারছে না আহনাফ,দিবার কথা তার কানের কাছে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে,কোনো এক নাম না জানা ঘোরের ভেতর ডুব দিয়েছে মন
আহনাফের সাড়া পেলো না বলে দিবা একাই খেতে বসলো,আহনাফের চোখ তাও ওর দিকেই,এখন কিন্তু রোদের শেষ ঝলক ওর মুখে নেই,আস্তে করে চোখের পলক পড়তেই হুস আসলো আহনাফের
একটু নড়েচড়ে বসে জিভ দিয়ে ঠোঁটটা ভিজিয়ে নিলো সে
ভাবতেই লজ্জা লাগছে যে সে কি ভাবছিলো এতক্ষণ
চোখ বন্ধ করে ঘুরে বসে চোখ খুলে নিজের প্লেটটা নিজের কাছে নিয়ে আনলো সে
দিবা মিনির দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে,,খালামণি ঘুম থেকে উঠেছেন সবে,,এসে দেখলেন ওরা সবেমাত্র খেতে বসেছে
.
মাথার চুলগুলো গুছিয়ে খোঁপা করতে করতে খালামণি বললেন”কিরে তোরা এখন খাচ্ছিস?”
.
চমকে যাওয়া মুখ নিয়ে তিনি এবার সোফায় এসে বসলেন,প্রশ্নের উত্তরের আশায় এখনও চেয়ে আছেন ওদের দিকে
দিবা দেখলো আহনাফ মিটমিট করে হাসছে আর তার প্লেটের ভাতের মাঝে আঙ্গুল দিয়ে গোল গোল করে ঘুরাচ্ছে,দিবা বুঝলো উত্তরটা তাকেই দিতে হবে,মুখের লোকমাটা শেষ করে একটু পানি খেয়ে সে বললো”আসলে আজ ভার্সিটি থেকে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো,আমাদের সাদাত স্যার অসুস্থ বলে তাকে দেখতে গিয়েছিলাম আমরা,,আবার বাসায় ফেরার পর আদনান ভাইয়া এসেছিলো”
.
ওহ,,তোর জন্য জামাকাপড় এনেছে,কই দেখি?
.
দিবা আহনাফের দিকে তাকালো আবার,চোখ দিয়ে বুঝাতে চাইছে যে উত্তরটা এবার আপনাকেই দিতে হবে,কিন্তু নাহ,আহনাফ এখনও কিছুক্ষণ আগের সেই মুগ্ধতাকে মনে করতে গিয়ে হারিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে চলে গেছে
.
খালামণি টিভি অন করে বললেন”এগুলো কি ঈদের জামা যে দেখালে পুরোনো হয়ে যাবে,দিবা তুই আস্ত একটা পাগল”
.
দিবা আহনাফের পাতে তরকারির ঝোল ঢেলে দিলো,,তারপরেও আহনাফ এখনও মিটমিট করে হাসছে
আশ্চর্য !এই লোকটা কি আবার মদ খেলো নাকি,এরকম করছে কেন!
.
এই যে ভাইয়া,,??
.
আহনাফ চমকে প্লেটের থেকে চোখ উঠিয়ে দিবার দিকে তাকিয়ে বললো”হ্যাঁ?কি হলো?”
.
কি হলো??খালামণি জিজ্ঞেস করছে আমি কেন আদনান ভাইয়ার থেকে জামাকাপড় নিই নাই
.
ওহ!মা আসলে আমি দিবাকে নিতে দি নাই
.
মা চোখ বড় করে বললেন”কেন?”
.
আমি দিবাকে কিনে দেবো,,দান খয়রাতের জিনিস দিবা কেন নেবে?তুমি ভেবে দেখো,দিবা আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে এখানে থাকছে,তো আমাদের উচিত ওকে কিনে দেওয়া,অন্যের দেওয়া জিনিস কেন ও রাখবে?
.
মা মুখটা ছোট করে বললেন”হুম,ঠিক বলেছিস,আমারও মাথায় আসছিল বিষয়টা,ভালো করে ভেবে দেখিনি বলে হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম,একদম নেক কাজ করেছিস,কাল তুই দিবাকে নিয়ে গিয়ে নতুন জামা কিনে দিস”
.
দিবা খাওয়া শেষ করে উঠে চলে গেছে রান্নাঘরের দিকে
আহনাফ ওর চলে যাওয়া দেখে মাথার চুলগুলোকে নাড়িয়ে নিজের প্লেটটা নিয়ে উঠে দাঁড়ালো
দিবা ভেসিনের কাছে এসে প্লেট ধুচ্ছে,আহনাফ আস্তে আস্তে এসে প্লেটটা সাইড করে রেখে দিয়ে কোনোরকমে চলে আসলো,দিবার দিকে আর তাকাবে না ঠিক করেছে
চুপচাপ রুমে এসে রেডি হচ্ছে সে এখন,পাঁচটার বেশি বাজে,আজ দেরি হয়ে গেলো,হাই স্পীড দিয়ে যেতে হবে
.
নেভি ভ্লু টিশার্টের উপর কালো জ্যাকেটটা পরে মাথার চুলে হাত বুলিয়ে আহনাফ আলমারি খুললো,সেখান থেকে মাস্ক আর চশমা নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে আইডিকার্ডটাও খুঁজে বের করলো সে,,হাতে লাগানো ট্যাটুটা ড্রয়ার থেকে বের করে সেটার কাগজ ফেলে হাতে লাগিয়ে নিলো,,যেকোনো সময়ে এই ট্যাটুটা উঠিয়ে ফেলা যায়,বারের কাজের জন্য এটা হাতে রাখে সে
বাসায় এসেই খুলে ফেলে আবার
অফিসের ব্যাগটা খুঁজে হাতে নিয়ে সে বের হলো রুম থেকে
দিবা খালামণির পাশে সোফায় বসে ছিল তখন,,দুজন মিলে টিভি দেখছে,,মিনি দিবার পাশেই চিটপটাং হয়ে শুয়ে আছে,এত ভালো খাওয়া দাওয়ার পর একটু ঘুম দরকার
আহনাফ যাওয়ার সময় ওদিকে এক নজর তাকিয়ে চোখটা আবার নামিয়ে নিয়ে বললো”মা,, যাই”

আজ রাস্তায় জ্যাম ছিল না বলে বেশ তাড়াতাড়ি করেই আহনাফ বারে চলে এসেছে,ঢোকার সময় মাস্ক আর চশমাটা পরে নিলো সে,নাহিদ আগেই এসে পড়েছে,গালে হাত দিয়ে কিসের যেন হিসেব করছে সে
আহনাফ ওর পিঠে এক ঘা বসিয়ে দিয়ে ওর পাশে বসে বললো”কিরে,আজ দেখি আমার আগে আসলি!”
.
আরে হিসেব করতে দে,,দশ হাজার /বিশহাজার/ ত্রিশ হাজার
.
এ্যাহ!সেটা আবার কিসের হিসেব,এত টাকা তো তুই মাসেও পাস না
.
এক্সাক্লি!মিশকাকে বিয়ে করলে ওর পিছনে কত টাকা যাবে সেসব হিসেব করছি সেই অনুযায়ী জব খুঁজবো আমি
.
হায় রে,এত পরিকল্পনা!
.
নাফি?
.
কিরে প্রিতম,আবার কি,আজ কিন্তু বিয়ার খাব না আমি
.
না সেটা না,বস ডাকছে তোকে
.
আহনাফ মাস্কটা থুতনির নিচে নামিয়ে নাহিদের দিকে তাকালো,নাহিদ ঢোক গিলে বললো”নে!মিশকা নালিশ করেছে হয়ত”
.
উফ!ভাই বিশ্বাস কর,এরকম বেতনের অন্য জব পেলে এটা এই মূহুর্তে ছেড়ে দিতাম আমি,আর পারবো না এত প্যারা নিতে
.
কি আর করবি
.
আহনাফ জ্যাকেটের হাতা একটু উঠিয়ে গেলো বসের রুমের দিকে
.
আসবো স্যার?
.
বস কাগজপত্র দেখছিলেন মনোযোগ দিয়ে,,ফাইলটা রেখে মুখ তুলে বললেন”নাফি যে,, আসো,আসো,,সেই কখন প্রিতমকে দিয়ে ডাকালাম,এখন আসলে তুমি”
.
সরি স্যার,আজ একটু লেট হয়ে গেলো
.
আরে সরি বলার কিছু নাই,বসো এখানে
.
বস উঠে দাঁড়িয়ে আহনাফকে একটা চেয়ার টেনে বসালেন,আহনাফ এর মানে বুঝলো না,বস একটা পেপার টেবিলের উপর থেকে নিয়ে ওর দিকে বাড়িয়ে ধরলেন
.
এটা কি স্যার
.
পড়ে দেখো
.
আহনাফ পেপারটা নিয়ে পড়ে দেখলো তার পদের উন্নতি হয়েছে,,সে এখন থেকে কন্ট্রোল রুমে বসবে মেইন হেড হিসেবে
.
আহনাফ খুশি হয়ে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই বস ওর সামনে চেয়ার নিয়ে বসে বললেন”এটার জন্য মিশকাকে থ্যাংকস দেওয়া উচিত তোমার,কারণ ওর বাবার সুপারিশেই তোমার পদের উন্নতি হলো”
.
কথাটা শুনে আহনাফ কাগজ ফেলে চলে গেলো রিসিপশানে,ওখানে আসতেই সামনে পড়লো মিশকা
একটা থ্রি পিস পরে দাঁড়িয়ে আছে সে,আগের কার মিশকা আর এই মিশকার আকাশ পাতাল তফাৎ,,আহনাফ সাদামাটা পছন্দ করে শুনার পর মিশকা মূহুর্তেই নিজেকে পাল্টে ফেললো
আহনাফের চোখে মুখে রাগ দেখে সে মুচকি হেসে বললো”দেখো তোমার দিবার থেকেও সুন্দর লাগছে কিনা?”
.
আমার দিবা মানে.?
.
তোমার ফ্রেন্ড জিসান বললো দিবার সাথেই তোমার এঙ্গেজমেন্ট হয়েছে,বাট তুমি চমকালে কেন?নাকি তুমি নিজেই জানো না যে তোমার এঙ্গেজমেন্ট হয়েছে?
.
আহনাফ হালকা কেশে চেয়ারে বসলো,তার মানে জিসান এভাবে বাঁচালো আমাকে,বিষয়টা নিয়ে পরে দেখবো আপাতত এখন চুপ থাকাই ভালো
.
আমি বিশ্বাস করিনি একটুও,আমি জানি তুমি এখনও পিউর সিঙ্গেল,,আর তাই সেটাতে খুশি হয়ে আমি বাপিকে বলে তোমার পদ উন্নতি করে দিয়েছি,থ্যাংকস জানাবে না?”
.
আহনাফ স্বাভাবিক ভাবে বললো”আমি আজ এই চাকরি ছেড়ে দেবো,আমার কারোর দয়ার প্রয়োজন নেই”
.
মিশকা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,তারপর একটু পিছিয়ে গিয়ে চিৎকার করে বললো”এই শেখর আঙ্কেল!এদিকে আসো
ওয়েটার!!তোমাদের বসকে ডাকো,এক্ষুনি”
.
প্রিতম ছুটে গেলো বসের রুমের দিকে,মিনিট পাঁচেক পর বস আসলো রুম থেকে বেরিয়ে,মিশকার কাছে এসে দাঁড়াতেই ও আহনাফ থেকে চোখ সরিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে বললো”এর পদ উন্নতি করতে হবে না,ও যেমন আছে তেমন থাক,জাস্ট খেয়াল রাখবেন ও যেন চাকরি না ছাড়ে,ওকে?”
.
ওকে ম্যাম,,চিন্তা করবেন না,কিছু খাবেন?এই প্রিতম ম্যামের জন্য জুস নিয়ে আয়
.
মিশকা হনহনিয়ে বেরিয়ে চলে গেলো বার থেকে,ওখানে দাঁড়ালো না আর
বস ওর চলে যাওয়া দেখে বললেন”নাফি??এত বড় সুযোগ কেন যেচে হাত ছাড়া করছো?তোমাকে কি সুখে থাকতে ভূতে কিলায়?”
.
না স্যার,আমাকে কিছু কিলায় না,জাস্ট এসব মানুষদের থেকে বিরত থাকতে চাই,বরং ওদের ভূতে কিলায়,এত এত ইগনরের পরেও পিছু ছাড়ে না,কতটা চিপ হতে পারে
.
নাহিদ ব্রু কুঁচকে বললো”আমার ক্রাশকে চিপ কবি না একদম”
.
স্যার নাহিদকে দেখুন,,রঙে ও আমার থেকেও সুন্দর,তাহলে কেন আমার পিছনে লেগে আছে
.
বস তার দুহাত টেবিলের উপর রেখে একটু ঝুঁকে বললেন”রঙ তো ঠিক আছে,তবে নাহিদের কি তোমার মতন এ্যাটিটিউড আছে??বড় লোকের কিছু কিছু মেয়েরা তাকেই পছন্দ করে যে প্রথম প্রথম খুব ভাব দেখায়,যার মধ্যে এ্যাটিটিউডে ভর্তি,এসব কিছু ওদের আকর্ষিত করে,আর তোমার আর নাহিদের কথা কি বলবো,এসবের বেলায় নাহিদ জিরো আর তুমি একশোতে দুইশো প্লাস”
.
বস মুচকি হেসে চলে গেলেন,আহনাফ কপালে হাত দিয়ে চুপ করে আছে,নাহিদ অসহায় লুক নিয়ে বললো”বুঝলাম না আমার মধ্যে এ্যাটিটিউড আসে না তো আমি কি করতে পারি,আমার দিল নরম রে ভাই,শক্ত করতে পারি না তো”.।
.
ডেইলি এই রিকশা এসে আমার কাজে জ্যাম লাগাই চলে যায়,একটু শান্তি নাই আমার

দিবা আজ আবার আহনাফের রুমে এসে হাজির,খালামণি নামাজ পড়তে গেছে,এ সময়টা কাজে লাগাতে হবে
মিনি আহনাফের বিছানায় বসে দিবার ব্যস্ততা দেখছে
একবার টেবিলে,একবার টেবিলের ড্রয়ারে,আলমারিতে,সব জায়গায় খুঁজছে দিবা কিন্তু আহনাফ কি চাকরি করে তার কেনো ক্লু পেলো না সে
মন খারাপ করে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো দিবা তারপর রাগ করে আলমারিতে একটা বাড়ি দিয়ে দিলো দুম করে
বাড়ি দেওয়ার পর মনে আসলো আলমারির উপরে একটা ব্যাগ দেখা যায় খয়েরী রঙের ট্রাভেল ব্যাগ
জলদি করে চেয়ার টেনে চেয়ারে উঠে ব্যাগটা নামালো সে আলমারি থেকে
চেইন খুলে পুরোনো জামাকাপড় দেখতে পেলো সব
দিবার মেজাজটাই গেলো খারাপ হয়ে,আজব তো,কিসের চাকরি করে তার বুঝি কোনো ঠিকানাও থাকে না রুমে
একটা হলুদ টিশার্ট নিয়ে ঝাঁকালো দিবা কারন টিশার্টের ভেতর কিছু আছে তা বোঝা যাচ্ছিলো,ঝাঁকাতেই কতগুলো ছবি এলোমেলো হয়ে পড়লো ফ্লোরে
দিবা একটা ছবি হাতে নিলো,সেটাতে পাঁচছয়টা ছেলে একজন আরেকজনের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে
সবার গায়ে একই জ্যাকেট এবং জ্যাকেটে বড় করে লেখা আছে বারের নাম”হোয়াইটলকস্ বার”
সবার মুখ স্পষ্ট বোঝা গেলেও মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার মুখে মাস্ক এবং চোখে চশমা থাকায় দিবা এখন তাকেই দেখছে,বাকিদের কাউকে না চিনলেও এই চশমা পরা লোকটাকে দেখে কেন যেন চেনা চেনা লাগছে
বাকি ছবিগুলো হাতিয়ে যা ছবি পেলো দিবা সব গুলোই ঐ বারে তোলা,সবগুলোতেই সেই ছেলেগুলো,এবং সেই মাস্ক- চশমা পরা লোকটা,আসলে লোকটা কে,এত চেনা লাগে কেন
একটা ছবিতেও তো আহনাফকে দেখলাম না
তাহলে এই ছবিগুলো এত যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছেন কেন উনি, রহস্যের পর রহস্য সামনে আসছে
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here