সবটা অন্যরকম♥
পর্ব_২৮
Writer-Afnan Lara
.
মিনি বারান্দার গ্রিলের সাথে লেগে গাঁদা ফুল গাছটার তলায় বসে নিচের রোডের ব্যস্ত যানবাহন দেখছে
এই ধরো সাইকেল,,বাইক,,রিকশা এরকম
কলোনিতে তো আর বাস ট্রাক চলবে না,,দুপুরের রোদ শেষ হতে চললো বৈকি,এখন বিকালের শোভাযাত্রা তো তাই রোদ ঢলে পড়েছে সবখানে,দূরের গাছগুলোতে কিছু কিছু রোদের দেখা পাওয়া যায়,,চারিদিকে এখন বিকেলে ঘ্রান,বড় করে শ্বাস নিলেই টের পাবেন বিকেল হতে চললো,,তবে এখন বিকেল বললেই চলে কারণ চারটা বাজতে চললো তো…
মিনির এরকম উদাসীন হয়ে বসে থাকার কারণ হলো দিবা এখনও আসছে না,সাথে আহনাফ ও না,,ওরা এরকম দেরি আর কখনও করেনি,মিনির মন খারাপ তাই
কিছুক্ষণ বাদে একটা বাইক দেখলো বাসার নিচে থেমেছে,দূর থেকে দেখা যায় দিবার মতন,মিনি বুঝে গেছে দিবা এসেছে,সে ছুটে দরজার কাছে এসে বসলো,,
কলিংবেল দুবার বাজার পর আরিফ এসে দরজা খুললো,,দিবা ভেতরে ঢুকতেই মিনি ওর পায়ের কাছে এসে দাঁড়ালো সাথে সাথে,দিবার হাতে টব বলে ও মিনিকে ছুঁতে পারলো না,টব নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে বললো”মিনি চল আজ বাগানটায় আরেকটা ফুলগাছ বাড়লো,দেখবি চল”
.
কিন্তু মিনি গেলো না,কারণ তার এখনও আহনাফকে দেখা বাকি,,দিবা টব নিয়ে চলে গেছে,,আহনাফ মিনিট পাঁচেক পর বাইকের চাবি নিয়ে বাসায় ঢুকতে নিতেই দেখলো মিনি ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,সে কিঞ্চিত মুচকি হেসে আরেকদিকে মুখটা ঘুরিয়ে মিনিকে না দেখার ভান করে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
আহনাফকে দেখা শেষ হলো বলে মিনি চলে গেলো দিবার কাছে,,দিবা ওড়না কোমড়ে বেঁধে টবটা সব ফুলগাছগুলোর মাঝ বরাবর সেট করছে,,মাটি কিছু টব ছেদ করে উপচে পড়েছে বলে সেগুলোকে তুলে দিবা ভেতরে রাখছে এখন
গরমে কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে দিবার,জলদি করে গোসলটা সেরে ফেলতে হবে
মাটির কাজ সারতেই কলিংবেল বেজে উঠলো,বরাবর কয়েকবার বাজার পরেও কেউ খুলছে না দেখে দিবা ছুটে গেলো খুলবে বলে,,আদনান এসেছে,,হাতে পাঁচ ছয়টা প্যাকেট
মুচকি হেসে সে বললো”মামি কোথায়?”
.
দিবা ওকে ভেতর আসতে বলে একটু পিছিয়ে গিয়ে বললো” খালামণি মনে হয় ঘুমায়,আমি ডেকে আনছি”
.
না থাক তাহলে,আমি এগুলো দিতে এসেছিলাম তোমায়
.
আমায়?কি এগুলো?
.
আদনান সোফায় বসতে বসতে বললো”এগুলো তোমার জন্য কিছু জামাকাপড়”
.
মাথার ছোট ছোট অবাধ্য চুলগুলোকে কানের পেছনে গুজে দিয়ে দিবা মলিন চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো” হঠাৎ আমাকে কেন জামাকাপড় দিতে গেলেন,কি দরকার ছিলো,ঠিক বুঝতে পারলাম না”
.
আসলে মণির শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ওকে ঢের জামাকাপড় দিয়েছে,মা তার থেকে কিছু তোমায় দিতে বললো,তোমার হয়ত তেমন জামাকাপড় নেই আর তাছাড়া মনির বিয়েতেও তো নতুন জামা পরতে হবে তাই না?
.
দিবার খুব খারাপ লাগলো,কেন জানি না তার বুকের ভেতরটা খালি খালি লাগা শুরু হয়ে গেছে,ঢোক গিলে মুখটা ফ্যাকাসে করে সে বললো”বসুন,আমি পানি আনছি”
.
আদনান প্যাকেট গুলো টেবিলের উপর রেখে টাই টা একটু টেনে ঢিল করলো,সরাসরি অফিস থেকে এসেছে সে,এগুলোকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছিলো একেবারে,,অফিসে কেবিনের এক কোণায় রেখে দিয়েছিল আর এখানে আসার সময় নিয়ে আনলো সে
আহনাফ গোসল করে বেরিয়ে মাথার চুলগুলো তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে ড্রয়িং রুমে এসে দেখলো আদনান সোফায় বসে ম্যাগাজিন পড়ছে মনোযোগ দিয়ে
.
কিরে তুই,কখন এলি?
.
আরে আহনাফ যে,ঘুমাস নি?তোর তো এটা ঘুমানোর সময়
.
আজ ভার্সিটি থেকে আসতে দেরি হয়ে গেলো,ঘুমানো হয়ত হবে না,লাঞ্চ করে একেবারে ডিউতে চলে যাব,আয় বস লাঞ্চ করবি আমার সাথে
.
নাহ,,আমি অফিসে লাঞ্চ করেছি,আর এটা কি লাঞ্চের সময়??বিকেলবেলা এখন
.
তাহলে দাঁড়া চা খাওয়াবে তোকে
.
দিবা গেছে পানি আনতে
.
আমি ওকে বলছি চা বানাতে,ওয়েট এ মিনিট
.
আহনাফ তোয়ালেটাকে ডাইনিংয়ের চেয়ারের উপর ওলটপালট করে রেখে চুলগুলোকে হাত দিয়ে ঝাড়তে ঝাড়তে রান্নাঘরের দিকে গেলো
দিবা নিঃশব্দে কাঁদছিলো সেখানে
হাতে পানির গ্লাস নিয়ে সে কেঁদেই যাচ্ছিলো এতক্ষণ ধরে
আহনাফ রান্নাঘরে ঢুকতেই দিবার কান্নার আওয়াজটা স্পষ্ট শুনতে পেলো
দিবা কেন কাঁদছে তার কারন ওর মাথায় আসলো না,দিবা কেঁদেই যাচ্ছে শুধু
আহনাফ চা বানানোর কেটলিটা হাতে নিয়ে হালকা কাশ দিয়ে বললো”চা বানাবো সরো”
.
দিবা হাতে থাকা গ্লাসটা রেখে দিয়ে তড়িগড়ি করে ওড়না দিয়ে মুখ মুছে ফেলে কোনোরকম গ্লাসটা নিয়ে বেরিয়ে চলে গেলো
সোজা হেঁটে আদনানের দিকে গ্লাসটা বাড়িয়ে ধরলো সে
আদনান মুচকি হেসে ম্যাগাজিন টা রেখে দিয়ে পানির গ্লাসটা নিলো,দিবা মুখ নিচু করে রেখেছে
.
অনেক ক্লান্ত লাগছে তোমায়,যাও ফ্রেশ হয়ে আসো
.
দিবা কিছু না বলেই চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
নিজের রুমে ঢুকেই দরজাটা লাগিয়ে ফেললো সে
আহনাফ চা বসিয়ে দিয়ে দিবার রুমের দরজাটা বন্ধ দেখলো,এর মানে সে বুঝছে না,কেন দিবা কাঁদছিলো সেটাই ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়,বিসকিটের বোয়াম নিয়ে সোজা আদনানের কাছে গিয়ে বসলো সে,,ওর দিকে বোয়ামটা ছুঁড়ে মেরে বললো”নে,নিজে নিয়ে খা,আর এসব কি?”
.
এসব ঐ যে মা পাঠিয়েছে দিবার জন্য,মনির শশুর বাড়ির থেকে পাঠানো,মামি তোকে বলেনি?
.
ওহ আচ্ছা,,দিবাকে বলেছিস??
.
বললাম তো,কোনো রিয়েক্টই করলো না,,ও কি গিফট পাওয়া পছন্দ করে না?খুলে দেখলো ও না,দেখলে হয়ত বলতে পারতাম পছন্দ হয়নি
.
আহনাফ প্যাকেটগুলোর দিকে চুপচাপ চেয়ে রইলো এরপর দিবার রুমের বন্ধ দরজার দিকে তাকালো সে,বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে গেলো দিবার কান্নার কারণ আসলে কি ছিলো
.
দিবা বারান্দায় গিয়ে সেখানে ফ্লোরে বসে আছে চুপচাপ,,হাতে মাটি শুকিয়ে আছে,,আজ আর গোসল করেনি সে
ইতির বলা কথাটা আজ সত্যি হয়ে গেলো
খুলনা থেকে এখানে আসার সময় ইতি দাঁত কেলিয়ে বলেছিলো”দেখিও আপু,আজ তো অন্যের বাসায় আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছো,এরপর যা পাবা সব ভিক্ষা,,তোমাকে মানুষ দান করবে,রোজা রমজান আসলে যখন দান করার সময়ে মাথায় গরীব দুঃখীদের কথা মাথায় আসে ঠিক তেমনি কেউ কিছু ফ্রিতে দেওয়ার হলে তোমায় দেবে,কারণ সবাই জানবে তুমি অসহায়,আহারে
.
ঠিক তেমনটাই হলো আজ,,জিনিসগুলো নিতে গা কাঁপছে দিবার,তার তো জামা আছে যথেষ্ট,তাহলে কেন তাকে এমন করে অন্য একটা পরিবার জামাকাপড় দিতে চায়
তারা দিতে চায় এটা সমস্যা না,কিন্তু আমার যে নিতে কষ্ট হচ্ছে অনেক
মা আমাকে জীবনের একটা সময়ে এমন একটা সিচুয়েশনে ফেলে দিলো মনে হয় গলায় কাঁটা বিধে থাকে সারাক্ষণ, না পারছি মুখ দিয়ে বের করতে আর না পারছি গিলতে
আমার কষ্ট হয়,সেই দিন থেকে যেদিন থেকে শুনেছি মা আমাকে ঢাকায় পাঠাতে চলেছে চিরজীবনের জন্য
আর আজ আমায় কারোর দয়া নিতে হচ্ছে,উনারা নিজে কিনে দিলেও হয়ত এত খারাপ লাগতো না আমার
এখন না নিলে খালামণি যদি রাগ করে??ঠিক আছে নেবো,,ইতির কথাই উপরে রইলো,আমি হেরে গেলাম
ঠিকই তো,যার মা বাবা থেকেও নেই তার জীবনে এসব হওয়া তো একদমই স্বাভাবিক একটা বিষয়,আমিও না!খাপ খাওয়াতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি
খালামণি আমার কথা ভাবে বলেই তো আমাকে এতগুলো জামাকাপড় পাওয়ার সুযোগ করে দিলো,পজিটিভ না ভেবে কেন নেগেটিভ ভাবতে গেলাম
.
দিবা চোখ মুছে ফেললো হাতের ওপিঠ দিয়ে,,ভেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে মুখটাও ধুয়ে ফেললো সে,,তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে দরজা খুললো সে
আদনান টিভি দেখছে,দিবা এগিয়ে এসে মুচকি হেসে বললো”ধন্যবাদ এগুলো দেওয়ার জন্য,সরি এগুলো নিতে ভুলে গিয়েছিলাম তখন”
.
ইটস ওকে,,সবগুলো পরে দেখিও কেমন?
.
দিবা মাথা নাড়িয়ে হাত বাড়িয়ে প্যাকেটগুলো নিতে যেতেই আহনাফ এগিয়ে এসে ওর হাত ধরে আটকালো
দিবা ওর দিকে তাকিয়ে আছে,চোখ দুটো লাল বর্নের হয়ে আছে ওর
আহনাফ ওর চোখে চোখ রেখে প্যাকেটগুলো গুছিয়ে আদনানের দিকে বাড়িয়ে ধরে বললো”এসব মনুকেই দিয়ে দিস,মনুর তো একটা জামা দুদিন ও টেকে না,ওর পরে লাগবে,ওর জিনিস ও রাখুক”
.
দিবা আহনাফের দিকে তাকিয়ে আছে শুধু,,আহনাফ কেন এমন করলো সে বুঝলো না,বুঝার চেষ্টা করছে মাথা খাটিয়ে
.
আদনান কপাল কুঁচকে বললো”সেকি!এগুলো তো দিবার জন্য আনলাম,আবার ফেরত নেবো কেন?দিবা তো নিচ্ছিলোই”
.
না ও নেবে না,কারণ ওকে আমি কাল নতুন জামাকাপড় কিনে দেবো,ওর পছন্দের
.
এগুলোতে কি সমস্যা?
.
আহনাফ কথা কাটাতে আদনানের ঘাঁড়ে হাত রেখে ওর পাশে বসে পড়ে বললো”আরে ভাই এগুলো নতুন বউয়ের,নতুন বউয়ের জিনিস কি আবিয়াতি মেয়েরা পরে,কিংবা পরতে পারে??কেমন দেখায় বল?”
.
দিবার ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটলো,আহনাফকে সেই হাসিটা দেখালো সে,আহনাফ দেখলো না,সে আপাতত আদনানকে ভুলভাল বোঝানোয় ব্যস্ত
দিবা হাসিটাকে বরাদ্দ রেখেই নিজের রুমে ফিরে আসলো,,আহনাফ এভাবে সিচুয়েশনটাকে হ্যান্ডেল করবে সে জানত না,তবে যা করেছে ভালো করেছে,তিনি বুঝিয়ে দিলেন আমি কি চাইতেছিলাম
.
ঠিক আছে তাহলে ফেরত নিচ্ছি আমি,কিন্তু আরিফ কোথায়,ও নাকি যাবে আমার সাথে?
.
ও বাসার বাইরের পার্কটাতে,,তুই বের হয়ে ওকে কল দিস,এসে পড়বে
.
ঠিক আছে,তাহলে যাই আমি
.
আদনান উঠে চলে গেলো প্যাকেটগুলো নিয়ে,,আহনাফ দরজা লাগিয়ে দিবার রুমের দিকে আসলো,দিবা মিনিকে জড়িয়ে মিটমিট করে হাসছে
.
আহনাফ দরজার উপর দুবার বাড়ি দিয়ে বললো”এরকম পেত্নির বেশে থাকো বলেই মিনির পশমে আমার হাঁচি আসে,,তুমি পরিষ্কার থাকবে তো মিনির পশমেও আমার এলার্জি আসবে না আর,বিকাল পাঁচটা বাজতে চললো আর এখনও গোসলই করলে না
হাসি দিয়েই দিন পার করবেন উনি,আমার যে খাওয়া হয়নি সেদিকে খবর আছে তোমার??তুমি খাবে না বলে কি আমিও খাবো না?দশ মিনিটে গোসল করে খাবার টেবিলে দাও নয়ত গোসল না করে খাবার দিয়ে যাও,আমার ডিউটি আছে,,আমি এত আজাইরা না”
.
আহনাফ চলে গেলো ধমকিয়ে টমকিয়ে
দিবা তাও হেসে দিলো,,মিনিকে চুমু দিয়ে সে ছুটে গেলো গোসল করতে,,
আহনাফ চেয়ারে বসে গালে হাত দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে,,বোরিং লাগছে,দিবাকে দেওয়া দশমিনিট শেষই হচ্ছে না,এদিকে খিধায় মরে যাব মনে হয়
মা আজ টেবিলে খাবার রাখেনি,ঘুম থেকেও উঠছে না,আমি একা একা এসব পারি নাকি,রাতে একা একা খেতে আমার কত বিরক্ত লাগে,এখন আবার দুপুরেও একা খাব?
ঐ আজাইরারে ডাকবো?তাহলে সময়টা জলদি চলে যাবে,ঐ মিনি!!আজাইরা বেড়াল!!হাড্ডি খাবা?
.
মিনি দরজা দিয়ে উঁকি মেরে চেয়ে আছে,আহনাফ হাত বাড়িয়ে বললো”এদিকে আসো,তবে বেশি কাছে আসবে না,দূরত্ব বজায় রেখে আসো”
.
মিনি বুঝলো না আহনাফের কথা,তবে হাত বাড়িয়ে ডাকা দেখে বুঝলো তাকে ডাকছে
সে তো চোখে সর্ষে ফুল দেখছে
এক ছুটে আহনাফের সামনে চলে আসলো সে
আহনাফ উঠে গিয়ে তাকের উপরে থাকা ক্যাট ফুডের প্যাকেটটা খুলে ফ্লোরে ঢেলে দিলো কিছু,মিনি তো এত কেয়ার নিতে পারছে না,ড্যাব ড্যাব করে শুধু আহনাফকেই দেখছে সে
আহনাফ আবারও হাত বাড়িয়ে বললো”আমাকে না দেখে নিচে খাবারগুলো দেখো,, বেকুব!!”
.
মিনি এক পা দু পা করে এসে খাবারে মুখ দিলো,আহনাফ পাশেই চেয়ার টেনে বসে ওর খাওয়া দেখছে
কি কিউট বিড়ালটা,, জাস্ট এই এলার্জি!হাইচ্ছু!!এলার্জি না থাকলে আমিও আদর করতাম এরে,এত ঝাড়ি খাওয়ার পরেও আমার ডাকে ছুটে আসলো,মিনি দেখো তোমায় কত আদর করি,তোমার এই ক্যাটফুট কিনেছি আমার চা খাওয়ার টাকা বাঁচিয়ে,,মানে আগে দিনে দু কাপ খেতাম বাসার বাহিরে,এখন এক কাপ খাই
হিসেবি মানুষ,,নতুন খরচ যোগ হলে নিজের খরচ থেকে একটা পদ বাদ দিতে হয় বুঝলে??
তবে সমস্যা না,,চা খেয়ে কি বা লাভ হয়,তোমাকে খাওয়ানোতে লাভ আছে,,সওয়াব আসবে এটা থেকে,খাও আরও বেশি করে খাও বাট আমার থেকে একটু দূরে দূরে থেকো কেমন?
চলবে♥