সবটা অন্যরকম♥
#সূচনা_পর্ব
Writer-Afnan Lara
.
ঢাকার বাস কোনটা?সব দূরপাল্লার,রাজশাহী /বরিশাল/নোয়াখালি আরও কত কি!
কক্সবাজার ও আছে দেখছি
কিন্তু যেটা খুঁজছি সেটাই তো পাচ্ছি না
এখন এই মূহুর্তে আমার তো ঢাকার বাস দরকার
হ্যালো ভাইয়া??শুনতে পাচ্ছো,হ্যালো?
.
কি সমস্যা??বলতে পারিস না কি হয়েছে?
.
আসলে আমি না কিছু বুঝছি না,ঢাকার বাস কোনটা সেটাই তো পাচ্ছি না
.
কি দরকার ছিলো মিনিকে নিয়ে যাওয়ার?এখন দৌড়াতে বললেও তো পারবি না
.
তুমি তো জানো আমি মিনিকে ছাড়া থাকতে পারি না
.
তোর মিনি তুই বুঝবি,,ইকোনো নামের বাস খোঁজ,ভোর চারটার ঐ বাসটাই শুধু ঢাকার জন্য রওনা হবে,যাকে বলে দৌড়াতে হবে এখন তোকে
চারটা বাজে এক মিনিট এখন,বাস ছেড়েও দিয়েছে,এক দৌড় দে
.
ভাইয়া দৌড় দিতে বলে লাইন কেটে দিলেন
.
মেয়েটা মিনিকে বুকে জড়িয়ে ট্রলি ব্যাগের ডাটা শক্ত করে ধরে ভাইয়ার কথা মতন দৌড় লাগালো,,যে বাসটা ছুটছে বুঝতে হবে সেটা ঢাকার বাস
বাসের সারিতে একটা বাস চোখে পড়লো যেটা কিনা স্টার্ট দিয়ে এবার সাইড খুঁজছে মেইন রোডে উঠার জন্য
মেয়েটা দৌড়ের গতি আরও বাড়িয়ে দিলো,,বাসটার খুব কাছাকাছি সে তবে উঠার উপায় নেই,একটুর জন্য নাগাল পাচ্ছে না
ভাবতে ভাবতে হাতের ট্রলিটা দরজা দিয়ে সে বাসের ভেতর ছুঁড়ে মেরে দিল
ড্রাইভার হকচকিয়ে বাস থামিয়ে বললেন”কি আজব?? এমন করলো কে?”
.
আমি আমি!
.
আমি টা কে?এটা কোন ধরনের ব্যবহার
.
আমি ঢাকার যাত্রী, বাস খুঁজতে লেট হয়ে গেলো,সরি
.
কথা না বাড়িয়ে মেয়েটি বাসে উঠে ট্রলিটা ধরে বাসের ভেতরে তাকালো,কেউ কেউ ঘুমাচ্ছে আর কেউ জেগে জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে
মেয়েটি হাতে থাকা বাসের টিকিটটা চেক করলো
বাম পাশের সারির ৫ম তম সিট,উইন্ডো সিট
মুচকি হেসে সে সিটে গিয়ে বসলো,মিনিকে কোলে নিয়ে
.
মিনি হলো মেয়েটির কলিজার টুকরা,,সে একটা বিড়াল,,নরমাল বিড়ালের মতন তার গায়ের রঙ সাদা নয়
তার গায়ের রঙ গোল্ডেন কালার থেকে একটু হালকা,দেখতে সেই রকম গলুমুলু
মেয়েটি মিনির মাথায় হাত বুলিয়ে ফোন হাতে নিলো ভাইয়াকে কল করে জানাবে যে সে বাসে উঠেছে কিন্তু ভাইয়া ফোন বন্ধ করে দিয়েছে ততক্ষণে
আরেক সিম চালায় যেটার নাম্বার আমাকে দেয়নি,আমি কথায় কথায় ডিস্টার্ব করি বলি তাই
এসময়ে ডিস্টার্ব করবো জানে ভাইয়া তাই আগে ভাগেই ফোন বন্ধ করে ফেলেছে
মেয়েটি মন খারাপ করে গলায় ঝুলানো সাইড ব্যাগটায় ঢুকিয়ে নিলো ফোনটা,কন্ডাকটর এসে বললো ট্রলি ব্যাগ বাসের বক্সে রাখলো না কেন সে
.
আসলে তাড়াহুড়োই কিছু হলো না,,মাফ করবেন
.
পরের স্টেশন আসলে ব্যাগটা দিবেন,আমি বক্সে রেখে দিব
.
ঠিক আছে
.
কনডাক্টরটা মিনিকে ব্রু কুঁচকে দেখে চলে গেলেন,মিনি সেই আরামে মেয়েটির কোলে ঘুমাচ্ছে,তার বয়স ১বছর,খুব আদরের সে,তাই তো ঢাকায় যাওয়ার সময় মেয়েটি ওকে বাসায় রেখে আসলো না
মিনিকে এক হাতে আগলে রেখে সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুজলো মেয়েটি
বেশ কিছুক্ষণ পর গোপালগঞ্জ এসে বাস থেমেছে,,যাত্রী উঠছে এক এক করে,এরপর আর বাস থামবে না,একেবারে ঢাকার সায়দাবাদ গিয়ে থামবে,,
হাতে ফোন নিয়ে আর কানে ইয়ারফোন ঝুলিয়ে একটা ছেলে উঠলো বাসে তখন,,কাঁধে কালো রঙের ব্যাকপ্যাক
মাথায় আবার কালো ক্যাপ,,পরনে আবার কালো নয়
বরং হলুদ রঙের টিশার্ট তার উপর কালো জ্যাকেট,জ্যাকেটের চেইনটা আবার খোলা
হেলেদুলে বাসের ভেতর হাঁটছে সে এখন,কারণ বাসটা চলা শুরু হয়ে গেছে,এবার ফোন উপুড় করলো সে,কারণ ফোনের পিছনেই বাসের টিকিটটা রাখা ছিলো
টিকিট অনুযায়ী সেই মেয়েটার পাশের সিটটা ছেলেটার
ছেলেটি চুপচাপ সেখান পর্যন্ত এসে ব্রু কুঁচকালো,কি যেন ভেবে মুখটা একদম ভার করলো
মেয়ে মানুষের পাশে বসলে বিরক্তি আসে তার,গায়ে এক গাদা পারফিউম মেখে রাখে তারা সবসময়
অসহ্য!তার উপর মাথা ভর্তি খোলা চুল দেখলে আরও মেজাজ উঠে ওর
গরমে মাথায় ঘাম এসে গেছে ছেলেটার, অথচ যে চুল ছেড়ে রেখেছে তার কোনো গরম নাই
মেয়েটার মুখ ঢাকা তার মাথা ভর্তি চুলের ঢেউতে,,সে মাথাটা একপাশে এলিয়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছে
ছেলেটা পাশে বসলো নিঃশব্দে,কানে ইয়ারফোনটা ভালোমতন গুজে দিয়ে একটা গান প্লে করলো-
♥আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক , খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।
- ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে…♥
.
একটা সেতু পেরিয়ে বাস নিচে নামতেই সেই ধাক্কায় মেয়েটি জেগে গেলো,,পাশে একজনকে বসতে দেখে হুট করে ভয় পেয়ে গেলো সে,বুকে থুথু দিয়ে মুখের সামনের চুলগুলো সরিয়ে ফেললো তৎক্ষনাৎ
.
ছেলেটি কানের থেকে ইয়ার ফোন সরিয়ে বাসের করিডোরের দিকে তাকালো,,ড্রাইভার ভেতরের লাইট অফ করলেন কারণ ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে চারিদিকে
মেয়েটি জানালার দিকে তাকিয়ে সুন্দর সকালটা দেখছে মিনিকে চেপে ধরে
মিনি জেগে গিয়ে হাত উঁচু করে সেটা চাটছে
.
ছেলেটি করিডোর দেখে নিয়ে ফোন দেখতে গিয়ে একবার পাশে তাকালো,,মেয়েটির সেই চুল ছাড়া আর কিছুই দেখলো না এবারও
তবে ঐ তাকানোটাই শনি হয়ে দাঁড়ালো তার জন্য,,মিনির গায়ের পশম তাকে প্রচণ্ড রকমভাবে আঘাত হানলো
তাহলে আর কি,হাঁচি আর হাঁচি!!
পরপর দুটো হাঁচি দিয়ে ছেলেটি একটু পিছিয়ে গেলো
মেয়েটি এবার হকচকিয়ে জানালার দিক থেকে মুখটা ফিরিয়ে নিয়ে ছেলেটির দিকে তাকালো,ছেলেটি কিছুটা পেরেশান হয়ে পকেট থেকে কালো রুমাল বের করে নাকে ধরে বললো”সরাও এটাকে”
.
এটাকে?কোনটাকে?
.
এই বাঘের মতন দেখতে বিড়ালটাকে
.
এক্সকিউজ মি,ও আমার মিনি,ওকে দেখতে বিড়ালের মতনই
আমিও না বোকা,বিড়াল তো বিড়ালের মতনই দেখতে হবে
বাঘ বললেন কেন তাহলে?
.
যাই হোক,সরাও এটাকে,আজব সাজব মানুষ বাস করে দুনিয়াতে,বাসের সিটেও নাকি মানুষ বিড়ালকে বসিয়ে নেয়,জীবনে এই প্রথম শুনলাম আর দেখলাম
.
একদম উল্টা পাল্টা কথা বলবেন না,আমার মিনি কারও কোনো ক্ষতি করে না,আমার তো কোনো সমস্যা হয় না
.
বিড়ালের পশমে আমার এলার্জি,সরাও এটাকে,নাহলে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মারবো
.
আপনি এমন বিহেভ কেন করছেন,ঠিক করে কথা বলুন,মিনি আমার ভাই হয়
.
ডিসগাস্টিং!
.
ছেলেটি মুখে রুমাল চেপে এদিক ওদিকে একটা খালি সিটের সন্ধান করছে,কিন্তু নাহ,সব সিটে মানুষ,এবং সেই মানুষগুলো ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে এখন
মেয়েটি মিনিকে ভালো করে আগলে ধরে একটু চেপে বসে ভাবছে এই ছেলেটির জন্য না জানি তাকে বাস থেকে নেমে যেতে হয়,,এরকম দূর পাল্লার বাসে আগে ওঠা হয়নি,মিনিকে নিয়ে ও না,,কলেজ থেকে বাসা,বাসা থেকে কলেজ এরকম করেই চলতো বলে মিনিকে সাথে নিতো না সে
আর আজ প্রথমবার বের হয়েই এই লোকটার ঝাড়ি খেতে হলো আমায়
.
হুমমম,হ্যালো মা
.
কিরে বাসে ঘুমাচ্ছিলি?
.
আমি ঘুমাই না বাসে,,হঠাৎ এসময়ে ফোন করলে কেন?
.
তুই তো গোপালগঞ্জ থেকে বাসে উঠেছিস তাই না?
.
হুম তো?
.
সায়দাবাদ নেমে একটু খোঁজ করিস তো একটা মেয়ের
.
কে?
.
নাম তো বললো ইভা নাকি কি যেন
.
আমি একটা মেয়ের খোঁজ নিতাম যার নাম তুমি নিজেই জানো না?
.
আরেহ তোর ছোট খালা ফোন করলো,আমি ফজর নামাজ পড়ে মাত্র জায়নামাজ নিয়ে উঠলাম ঠিক তখন,বললো মেয়েটা নাকি খুলনা থেকে বাসে উঠেছে,তুই তো গোপালগঞ্জ থেকে উঠেছিস,তাই যদি ওকে সায়দাবাদ নেমে পাস তাহলে ভাল হয়
.
কে মেয়েটা?ছোট খালার কি হয়?
.
সেটা তো জানি না,আমিও তো নাম এই প্রথম শুনলাম,সিউর হতে পারছি না ইভা বললো নাকি কি বললো,ফোন করছি তাও ধরছে না,ইভানকে কল করলাম কিন্তু সে মনে হয় ঘুমাচ্ছে,সেও ধরছে না
.
গায়ে কি রঙের ড্রেস পরছে জানো?আর ঐ মেয়েটাকে আমি খুঁজে কি করবো?
.
মৌসুমী বললো ওকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে,তারপর সবটা জানাবে
.
আজিব তো,মেয়েটাকে আমাদের নাম্বার বা এড্রেস দিতে পারতো তাহলে আর এত ঝামেলা হতো না
.
আচ্ছা তুই দেখ কি করতে পারিস,আর শুন,মেয়েটা নাকি হালকা গোলাপি রঙের জামা পরেছে,যেমন করে হোক খুঁজে বের করিস, নাহলে মৌসুমী আমার মাথা চিবিয়ে খাবে
.
ঠিক আছে
.
নাকে রুমাল আবারও চেপে ছেলেটি বাসের সিটে হেলান দিলো
পাশের মেয়েটি ভুলেও ওর দিকে তাকাচ্ছে না,এক হাতে মিনিকে চেপে আরেক হাতে ভাইয়াকে কল করে যাচ্ছে,ভাইয়া ইচ্ছে করে ফোন অফ করে রেখেছে,আর অন্য সিম অন রেখেছে নিশ্চয়
নিজের ভাই হলে এতক্ষণে জান দিয়ে দিতো,হয়ত নিজেই সাথে করে আমাকে ঢাকায় পৌঁছে দিতো,নিজের ভাইয়া না বলে আজ আমায় এত বিপদে পড়তে হচ্ছে
.
হ্যালো ইভান?
.
ইভান নামটা শুনে মেয়েটা চোখ বড় করে পাশে তাকালো
ছেলেটি কি সুন্দর করে কথা বলছে
এই ইভান কি সেই ইভান?নাহ!ইভান নামের তো কতই ছেলেই আছে,আমিও না বোকা!
ইভান ভাইয়া তো আমারই ফোন ধরে না আর সে কিনা এই লোকটার ফোন ধরবে
.
ছেলেটি যখন দেখলো মেয়েটি বিড়াল সমেত এগিয়ে এসে কান পেতে ওর কথা শুনছে তখন সে উঠে একটু দূরে এসে দাঁড়ালো,,পাশের একটা সিটের সাথে হেলান দিয়ে কানে ফোন ধরলো সে
মেয়েটা গাল ফুলিয়ে ঠিক হয়ে বসে মনে মনে গালি দিতে থাকলো
.
হ্যালো আহনাফ!কি খবর ভাই
.
ভালো,,তোর কি খবর?আম্মু কল করে বললো ছোট খালা নাকি একটা মেয়েকে পাঠিয়েছে আমাদের বাসায়,আমাকে খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছে,তোরা মেয়েটাকে এড্রেস কিংবা ফোন নাম্বার দিলেই পারতি
এত হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে আমি তারে পাবো কই?
.
দিয়েছিলাম রে ভাই,ও একটু বোকাসোকা,নাম্বার দিয়েছি খালুর,,আর এড্রেস ও দিয়েছিলাম সাথে
বাস খুঁজতে গিয়ে এড্রেস লিখা কাগজটাই হারিয়ে ফেলেছে
দিয়েছে মোজাজ খারাপ করে,তাই আমি আমার সেই সিম বন্ধ করে রেখেছি
.
এটা কেমন কথা!এই সিচুয়েশনেও তোর রাগ পায়??মেয়েটাকে আমি খুঁজে না পেলে তখন?
.
আরে পাবি পাবি,ওর নাম দিবা,,সায়দাবাদ নেমে সংয়ের মতন দাঁড়িয়ে থাকবে,,এমনি এমনি পেয়ে যাবি
.
ও আচ্ছা,ইভা নয় দিবা!আচ্ছা মেয়েটা কে হয় তোদের?
.
মা বলবে তোদের,এখন আমাকে ঘুমোতে দে,এমনিতেও ভোর থেকে আমাকে সবাই কল করে জ্বালাচ্ছে,কাল সকাল সকাল অফিস
.
অফিস আমার ও আছে,যদিও নাইট ডিউটি তাও বাসায় পৌঁছে রেডি হয়ে ভার্সিটির দিকে দৌড়াতে হবে সবার আগে,আমার তো শান্তিই নাই
কিরে ইভান? শুনতে পাচ্ছিস?হ্যালো?
আবার ঘুমিয়েছে ব্যাটা!
.
আহনাফ ফোন পকেটে ঢুকালো,কানের থেকে ইয়ারফোন খুলে সেটা গোলগোল করে পেঁচাতে পেঁচাতে এসে সিটে বসলো আবার,,মেয়েটা আবারও ঘুমোচ্ছে,মিনি নামক বিড়ালটা ড্যাবড্যাব করে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়ে গিলে খাবে,ওর ভাবগতি দেখে বোঝা যাচ্ছে ও আহনাফকে হেট করে,আহনাফ ওর জন্য মেয়েটাকে বকেছে বলে আহনাফের প্রতি তীব্র রাগ তার এখন
আহনাফ একটা ভেংচি কেটে সামনের দিকে চেয়ে ঠিকঠাক হয়ে বসলো
এলার্জি না থাকলে এই বিড়ালের এরকম গলুগলু গাল টিপে চ্যাপটা বানিয়ে দিতো আহনাফ
বিড়াল কিউট তবে এলার্জির কারণে দূরে থাকে সে
.
মিনির নড়াচড়ায় মেয়েটি আবারও জেগে গেছে
না মা ফোন তুলছে,না ভাইয়া
নিজের মা ও এমন করতে পারে??এখন তো মা জেগে আছে তাহলে ফোন ধরছে না কেন?
মনে হচ্ছে তারা তাদের গায়ের বোঝা নামিয়ে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছে
আমি যাদের কাছে যাচ্ছি তাদের কোথায় পাবো?আদৌ পাবো তো?যদি এই বিরাট শহরে হারিয়ে যাই?
জীবনে ঢাকায় যাইনি আমি,পথঘাট তো কিছুই চিনি না
.
পথটা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না,সকাল দশটা বেজে গেছে,আহনাফ মুখে কফি চকলেট পুরে ফোন টিপছে
পাশের মেয়েটা পেটে হাত দিয়ে জানালার সাথে হেলান দিয়ে চুপ করে আছে,খুব খিধে পেয়েছে ওর
চলবে♥