#সিনিয়র_খালাতো_বোন
#part_21 & #last
#writer_srabon
প্রায় ৬ ঘন্টা জার্নি করার পর খুলনা শহরে এসে পরলাম। নাদিয়া যেহেতু আগে এই শহরে ছিল। তাই ওর আর আমাদের বাসা চিনতে অসুবিধা হলো না।
কিন্তু বাসার সামনে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
বসার কাছে এসে বুকের ভেতরের ভয়টা যেন আরো বেরেই চলেছে।
আমাদের পুরো বাসাটা লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। আগের থেকে হাজার গুন বেশি সুন্দর লাগতেছে বাসাটা। কিন্তু আমার ভিতরে এসব কিছুই ছিল না।
আমার মনে শুধু এটাই ছিল যে করেই হোক বিয়েটা আটকাতে হবে।
আমি আর দেরি না করে বাসার ভিতরে ঢুকে গেলাম।
বাসার ভিতরে ঢুকে আরো ভয় পেয়ে গেলাম।
কারন পুরো বাসা খালি। কিন্তু বাসাটা দেখে যেকেউ বলে দিতে পারবে যে, কিছুক্ষণ আগেই বাসায় প্রচুর লোকজন ছিল।
তারমানে কি বিয়েটা হয়ে গেছে..? আমি কি আসতে দেড়ি করে ফেললাম.??
আমি বাসার বাইরে বসেই জোরে জোরে আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করলাম। সাথে সাথেই আমাদের বাসার সকলেই বাইরে চলে এলো।
আব্বু,আম্মু,ভাইয়া,ভাবি, খালা-খালু, মামা-মামি সকলেই আমার সামনে দাড়িয়ে আছে। শুধু শিমলা বাদে।
— আব্বু তূই তো বলেছিলি বিয়েতে আসবি না। তাহলে.? আর এলি যখন একটু তাড়াতাড়ি আসবি না। আর একটু আগে এলে তো শিমলার বিয়েটা দেখতে পারতি। (আম্মু)
আম্মুর কথা শুনে আমার মাথাটা কেমন যেন ঘুরতে লাগল। কিন্তু তবুও আমি সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম। তখনই ভাইয়া বলে উঠল,,,
— জানিস শ্রাবন,,,শিমলার বিয়েটা খুবই সুন্দর ভাবে হয়েছে। সকলে তো আমাদের সুনাম করতে করতে বাসা থেকে বিদায় নিয়েছে। তুই থাকলে আরো ভালো হতো..!(ভাইয়া)
— হুম..! আরেকটু আগে এলে কি হতো..?(ভাবি)
তখনই নাদিয়া আমার পাশে এসে দাড়ালো।
— আন্টি তারমানে শিমলা আপুর বিয়ে হয়ে গেছে…?(নাদিয়া)
— হুম…!!!!(আম্মু)
কথাটা শোনার সাথে সাথে নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরতে লাগল।
কত বছর পরে আজকে চোখের পানি ঝরতেছে সেটা আমার জানা নেই…! নিজের প্রতি সত্যিই আজকে কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি।
এটাই হয়তো শিমলার প্রতি আমার ভালোবাসার টান। যেটা আমি আগে বুঝতে পারি নাই।
মনে হচ্ছে কেউ আমার কাছ থেকে আমার প্রানটা কেড়ে নিয়ে গেছে। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
হাটু ভাজ করে মাটিতে বসে পরলাম।
আর চোখ থেকে পানি ঝরতে লাগলাম।
এটা দেখে আম্মু তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে এলো…!
— আব্বু কি হয়েছে তোর..? তুই এমন করতেছিস কেন..? আর তোর চোখে পানিই বা কেন..?(আম্মু)
—…….. (চুপ)
— একি শ্রাবন তূই কান্না করতেছিস..?(ভাইয়া)
স্পর্শি অবাক হয়ে আমার কাছে এসে বলল,,
— তুই কান্না করতেছিস..? মনে আছে সেই কবে কান্না করেছিলি..? (স্পর্শি)
আমি কারো কোন কথার উত্তর দিচ্ছি না। শুধু চুপচাপ করে শুনে যাচ্ছি। তখনই নাদিয়ে বলে উঠল,,,
— আন্টি,, আজকে সকাল থেকে একভাবে কান্না করে চলেছে। দেখুন চোখ দুটো কেমন লাল হয়ে আছে। (নাদিয়া)
— কার জন্য কান্না করতেছে ও..?(আব্বু)
— আংকেল,,, শিমলা..! ও শিমলাকে ভালোবেসে। আর সেটা আজকেই বুঝতে পেরেছে ও। (নাদিয়া)
— কিন্তু আমরা তো ওকে সবাই জিজ্ঞেস করেছিলাম যে শিমলামে বিয়ে করবে কি না.. তখন তো ও সরাসরি না করে দিয়েছিল। তাহলে এখন এইসবের মানে কি.?(আব্বু)
— আংকেল আসলে ও অনেক কনফিউজড ছিল। প্লাস অনেক অভিমান ছিল শিমলার প্রতি। তাই তখন বিয়েতে রাজি ছিল না। আর আজকেই ও বুঝতে পেরেছে যে শিমলাকে ছাড়া ও থাকতে পারবে না। কিন্তু….. (নাদিয়া)
— কিন্তু,, বিয়েটা তো হয়ে গেছে..!(আব্বু)
আমি নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলাম।
কিন্তু কিছুতেই যেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারতেছি না।।
বাসার সকলে যে যার মতো করে কথা বলে যাচ্ছে। অবশেষে আমি আর সহ্য করতে না পেরে উঠে দাড়ালাম। এরপর চোখের পানি মুছে নিলাম।
— আসলে তোমরা কেউ আমাকে বুঝতেই পারো না। যদি সত্যিই আমাকে বুঝতে তাহলে আজকে এমনটা হতো না। আর যদি কেউ মন থেকে কাউকে ভালোবেসে থাকে তাহলে সে কখনোই অন্য কারো সাথে নিজের জীবনটা গুছিয়ে নিতে পারে না। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। শিমলা হয়তো কোনদিন আমার ছিল না। (আমি)
আমার কথা শুনে সকলেই চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।
মনে মনে চিন্তা করলাম এখানে থাকা আমার জন্য ঠিক হবে না। তাই সকলের উদ্দেশ্যে একটা শেষ কথা বললাম,,,,
— ভালো থেকো সবাই…! (আমি)
আম এটা বলেই গেটের দিকে হাটা শুরু করলাম।
বাসার সকলেই আমাকে আটকানোর অনেক চেষ্টা করতেছে। কেউ নাম ধরে ডাকতেছে। আবার কেউ হাত ধরে আছে। কিন্তু সবাই ব্যর্থ হলো।
আমার পিছে পিছে নাদিয়াও এলো।
বাসার গেট দিয়ে রাস্তায় বের হতে যাব। তখনই সেই অতি পরিচিত কন্ঠে কেউ আমাকে ডাক দিল।
প্রথমে ভাবলাম এটা আমার মনের ভুল।
সারা দিন শিমলার কথা চিন্তা করতে করতে মাথার মধ্যে শুধু শিমলা ঘুরতেছে। তাই হয়তো শিমলার কন্ঠ শুনতেছি।
তখনই আবার শিমলার কন্ঠ আমার কানে এলো।
তবে এবারের কন্ঠটা কান্না মিশ্রিত।
আমি আর দেড়ি না করে পিছনে ফিরে তাকালাম।
পিছনে ফিরে তাকিয়ে প্রচুর অবাক হলাম।
কারন শিমলা আমার সামনে দাড়িয়ে আছে লাল রঙের একটা শাড়ি পরে। আর সাথে হালকা মেকাপ করা। মানে বিয়েতে মেয়েরা যেভাবে সাজে আরকি। শিমলাও সেই সাজে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।
আমি কিছু ভাবতে না ভাবতেই শিমলা দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরল।
আমিও ওকে শক্ত করে আকরে ধরলাম নিজের বুকে।
এ জেন হাজার বছর পরে মরুভূমির বুকে বৃষ্টির পানির ফোঁটা। শিমলা আর আমি দুজনেই অঝোর ধারায় কান্না করে চলেছি। আমাদের সামনে আমার পরিবারের ছোট থেকে শুরু করে বড় সকলেই উপস্থিত রয়েছে এটা এখন আমার বা শিমলার কারোই মাথায় নেই।
কতক্ষণ এভাবে ছিলাম সেটা মনে নেই। তবে আমিই প্রথম নিরবতা কাটিয়ে বলে উঠলাম,,,
— কোথায় চলে গিয়েছিলে আমাকে ছেড়ে..?(আমি)
— আমি কোথাও যাই নি। তুমিই আমাকে একা রেখে চলে গিয়েছিলে। (শিমলা)
— ভুল হয়ে গেছে অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। বিশ্বাস করো অনেক বড় ভুল হয়্র গেছে। (আমি)
— হুম…! এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। (শিমলা)
— কি শাস্তি.?? (আমি)
— এখন না। পরে বলব..(শিমলা)
আমি আর শিমলা দুজনেই যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছি। যেন আমাদের আশেপাশে কেউ নেই।
তখনই কেউ এসে আমার কাধে হাত রাখল। আস্তে আস্তে আমি বুঝতে পেরে গেলাম যে আমি কোথায় আর কি অবস্থায় আছি। সাথে সাথেই আমি শিমলাকে ছেড়ে দিলাম।
শিমলার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে।
আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
বড় ভাইয়া আমার সামনে চলে এলো।
ভাইয়া আমার মুখে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পড় মারল।।
আমি মুখে হাত দিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।।
— একটু আগে কি বলেছিলি.?? আমরা কেউ তোকে বুঝি না..? (ভাইয়া)
—……. (চুপ)
— এখন কিছু বলিস না কেন..??(আব্বু)
— তোর জন্য শুধু মাত্র তোর জন্য আমাদেরকে এত বড় একটা নাটক করতে হলো। (মেজ ভাইয়া)
এইবার অনেকটা অবাক হলাম। ভাইয়া কি বলতেছে এগুলো.??
— নাটক..? মানে..??(আমি অবাক হয়ে)
— হুম নাটক…! তুই এতক্ষণ যেগুলো দেখেছিস এগুলো সব নাটক ছিল। আর আগে যেগুলো গুনেছিস সেগুলো সব নাটক ছিল। (আব্বু)
— আমি কিছু বুঝতেছি না। প্লিজ তোমরা আমাকে একটু খুলে বলবে..?(আমি)
— আমি বলতেছি…..(ভাইয়া)
এরপর ভাইয়া বলতে শুরু করল….
” তুই মুখে না বললেও আমরা জানতাম যে তুই শিমলাকেই ভালোবাসি। কিন্তু তুই মুখে এটা শিকার করতে রাজিই ছিলি না। তাই আমি শিওর হওয়ার জন্য একটা ফর্মুলা কাজে লাগাই।
তোর কানে কোন ভাবে এটা পৌছে দেই যে,, শিমলাকে কেউ ডিস্টার্ব করে। ব্যাস আমার বলতে বাকি। কিন্তু তোর ওই ছেলেটার কাছে যেতে দেড়ি নেই। তখনই আমরা সকলে শিওর হয়ে যাই যে তুই এখনো শিমলাকেই ভালোবাসিস।
ব্যাস তখনই আমরা সকলে মিলে অনেক বড় একটা প্লান বানাই।
সেটা হচ্ছে শিমলাকে বিয়ে দেওয়ার নাটক। প্রথমে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও পরে নাদিয়ার কাছ থেকে জানতে পারি যে তুই ডিপ্রেশনের মধ্যে আছিস। আমরা সকলে নিশ্চিন্ত হয়ে যাই।
খালা খালুও আমাদের সাথে রাজি হয়ে যায়। আর আমি জানতাম তুই যেকোন মুল্যে আজকে এখানে আসবি। আর বিয়েটা আটকানোর চেষ্টা করবি। অবশেষে সেটাই হলো। ”
ভাইয়ার কথা শোনার পরে আমি সম্পূর্ণ চুপ হয়ে যাই। এত কিছু হয়ে গেল। আর আমি কিছুই টের পেলাম না। কত বড় বোকা আমি। আর নাদিয়া ওই ছেমরিও আমার সাথে নাটক করেছে। ওই সব জানত। কিন্তু আমাকে কিছু বলে নাই।
— আরেকটা বিষয় কি জানিস.??(ভাইয়া)
— কি..??(আমি)
— শিমলাও না জানত যে এটা একটা নাটক ছিল। আর তাই তো মেয়েটা সকাল থেকে কান্না করতে করতে চেহারা কি হাল করেছে। ওর দিকে তো তাকানোই যাচ্ছে না। (ভাইয়া)
— তোমরা খুব বাজে..! জানো আমি কিসের মধ্যে ছিলাম এই কয়টা দিন। (শিমলা)
সবাই জোরে জোরে হেসে দিল…!
তখনই আমি ভাইয়াকে গিয়ে জরিয়ে ধরলাম।
— কি রে.?? কি করতেছিস এটা..?(ভাইয়া)
— Thank you ভাইয়া..! তুমি বেষ্ট (আমি)
— পাগল একটা…! (ভাইয়া হেসে দিয়ে বলল)
এরপর একে একে আমি সকলের সাথে বোঝাপড়া করতে লাগলাম। সবাই নাটক করল আর আমি টেরই পেলাম না।
— অনেক হয়েছে কথা..! এইবার বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। (আম্মু)
বিয়ের কথা শোনার সাথে সাথেই শিমলার মুখ লাল হয়ে গেল। সেটা নিয়েও সকলে মজা করল।
— সেটা তো বুঝলাম। কিন্তু এখন কাজী পাবো কোথায়..?
তখনই গেট দিয়ে আসীমের আগমন ঘটল। সাথে করে কাজি সাহেবকে নিয়ে এসেছে। মানে এই ব্যাটাও জানত সব কিছু। ছি আমি কি বোকা..!
— এই তো সব কিছু রেডি আছে। এইবার তাড়াতাড়ি কাজটা সম্পন্ন করতে হবে।
ব্যাস দেখতে দেখতেই পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল। খুবই সল্প আয়োজন।
স্পর্শি,নাদিয়া, ভাবি সকলে মিলে শিমলাকে আমার রুমে নিয়ে গেল।
আর আমি ভাইয়াদের কাছে থেকে সব কিছু শুনতে লাগলাম। কিভাবে এত কিছু প্লান করে পারফেক্ট ভাবে করল তারা।
এর মাঝে খালা-খালু আমার সামনে এসে দাড়ালো।
— বাবা, আমি জানি আমি তোমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তুমি দয়া করে আমার মেয়েটাকে দেখে শুনে রেখো কেমন..?(খালু)
— শ্রাবন..! আব্বু আমার,, আমি জানি তুই আমার মেয়েকে কখনোই কষ্ট দিবি না। তবুও আমি তো ওর মা। তাই বলতেছি দেখে শুনে রাখিস আমার মেয়েটাকে। (খালা কান্না করে বলল)
আমি খালার হাত ধরে বললাম,,,
— সব কিছুই তো বুঝলাম,, কিন্তু (আমি)
— কিন্তু কি..?(খালু অবাক হয়ে)
— আমি তোমাদেরকে কি বলে ডাকব.?? খালা-খালু নাকি শ্বশুর আব্বা, শ্বাশুড়ি আম্মা..? (আমি)
— ফাজিল একটা…!!!!
খালা খালু দুজনেই হেসে দিল।।।।
——————————————
এরপর অবশেষে রাত ১১ টার পরে সেই মুহুর্ত এলো।
মানে আমি আমার রুমে সরি বাসর ঘরে ঢুকলাম।
রুমে ঢুকে দেখি শিমলা বিছানা থেকে বালিশ আর কোলবালিশ ফ্লোরে ফেলে রেখেছে।
আমার তো অনেক মায়া হলো ওদের জন্য।
কিছু বলতে যাব তার আগেই শিমলা এসে আমাকে সালাম করল। আমি তো আকাশ থেকে পরলাম। মেয়ে দেখি অনেক কিছু জানে। যাই হোক ভালো…!
শিমলার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা লজ্জায় একদম লাল হয়ে আছে। তাই আমি মজা করার জন্য বললাম,,
— তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও..! আমি শুরু করব 🐸 (আমি)
শিমলা অনেকটা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল,,
— মানে….??(শিমলা)
— বুঝো না ন্যাকা..? বাসর রাতে জামাই বউ কি করে ওগুলো করব.. (আমি)
— তুমি কিন্তু অনেক ফাজিল হয়ে গেছো। (শিমলা ভয়ে আমার কাছ থেকে সরে বসল)
[শিমলা মুখে যতই বকবক করুক না কেন এইসব বিষয়ে শিমলা একদম কাচা। এত বছরের প্রেমের মধ্যে আমি ওর হাতটা পর্যন্ত নিজের ইচ্ছায় ধরতে পারি নাই। নিশ্চয়ই বুঝতেছেন সে কেমন মেয়ে]
এইবার আমি আস্তে আস্তে শিমলার কাছে যেতে লাগলাম। শিমলাও আস্তে আস্তে আমার কাছ থেকে সরে যেতে লাগল। এক পর্যায়ে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দেয়ালের সাথে ঠেকে গেল।
শিমলা ভয়ে চোখ বুঝে আছে। আমি ওর মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিলাম। শিমলা হালকা কেপে উঠল।।।
— ভালোবাসি..! অনেক ভালোবাসি তোমাকে। (আমি)
শিমলা আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকিয়ে বলল,,,
— আমিও..! অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে। (শিমলা)
— যদি কখনো তোমাকে একা ফেলে রেখে চলে যাই………তখন কি করবে..?(আমি)
— কোথাও যেতে দিব না তোমাকে..! আর যদি চলে যাও তাহলে এইভাবে অপেক্ষা করে যাবো। (শিমলা)
— বাব্বাহ…! অনেক ভালোবাসো বুঝি আমায়.??(আমি)
— হুম…! এই শুনো না,,,,(শিমলা)
— হুম বলো..(আমি)
— আমার না একটা…. (শিমলা)
— কি একটা..??(আমি)
কিছুক্ষণ চুপ থেকে চোখটা বন্ধ করে বলে উঠল,,
— আমার একটা বেবি লাগবে। একদম তোমার মতো কিউট একটা বেবি…!(শিমলা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে আছে)
— ওলে বাবা লে..! বাবু তুমি এটা আমাকে আগে বলবা না.? এটা আগে বললে কি আর আমি এত সময় নষ্ট করতাম। (আমি)
— ফাজিল কোথাকার….! (শিমলা)
এরপর আমি শিমলাকে কোলে করে বিছানায় নিয়ে গেলাম। আর পাগলি মেয়েটা চোখ বন্ধ করে আমাকে ধরে আছে। দেখে মনে হচ্ছে যেন কোন একটা পিচ্চি মেয়ে লুকিয়ে আছে।
এইভবেই শেষ হলো একটা লাভ স্টোরি…..!!!!!
#সমাপ্ত