সুইটহার্ট-পর্ব:১৮

0
1414

#সুইটহার্ট
#Sohani_Simu
১৮.

সকাল সোয়া দশটায় শ্রাবণের রুমে উনার বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।উনি বালিশে হেলান দিয়ে আধ শোয়া হয়ে বসে আছেন।উনি পা মেলে দিয়ে রেখেছেন, কোমড় পর্যন্ত কম্বল টেনে দেওয়া।পেটের উপর ল্যাপটপ নিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে স্ক্রিনে তাকিয়ে হাতের সবগুলো আঙুল দিয়ে কিবোর্ডে খটখট শব্দ করছেন।আমি যে কয়েকমিনিট ধরে খাতা কলম নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি উনি আমাকে দেখেও কোন কথা বলছেন না,কেন এসেছি জিজ্ঞেসও করছেন না।আমি এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বিছানার সাথে লেগে দাঁড়িয়ে বললাম,

“শ্রাবণ ভাইয়া,আপনি কি এখন বিজি আছেন?”

উনি একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মন দিলেন।আমি প্রায় ষাট সেকেন্ড উনার দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম।উনি কিছু বলছেন না দেখে আমি একটা ছোট দম ছেড়ে ধীরে ধীরে হেঁটে চলে আসলাম।রুম থেকে বেড়িয়ে দরজা দিয়ে লুকিয়ে উনাকে দেখলাম।উনি এখনও একই ভাবে ল্যাপটপের মধ্যে ডুবে আছেন।আমি বই খাতা মাথার উপর নিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।ম্যাথের একটা প্রবলেম সল্ভ করতে পারছিলাম না জন্য উনার রুমে গিয়েছিলাম কিন্তু উনি আমার সাথে কথায় বললেন না।আমি ঠোঁট উল্টে কিছুক্ষণ বসে থেকে টয়কে নিতে রকিদের বাসায় গেলাম।

টয়কে কোলে নিয়ে আমাদের বাসায় এসে দেখি ভাবি অসুস্থ,শুয়ে আছে।আমি টয়কে নামিয়ে দিয়ে ভাবির পাশে বসে চিন্তিত হয়ে বললাম,
“ভাবস কি হয়েছে তোমার?”

ভাবি দূর্বল কন্ঠে বলল,”তেমন কিছু হয়নি একটু মাথা ঘুরছে।”

দাদি খুড়িয়ে খুড়িয়ে ভাবির রুমের দরজায় এসে বলল,”ও নাতবউ তালহারে জানা নাহয়।”

ভাবি উঠে আমাকে ধরে ওয়াশরুমে যেয়ে বমি করে দিল।আমি ভয় পেয়ে দাদিকে ডাকতে থাকলাম।দাদি আর আমি ভাবিকে ধরে রুমে এনে শুয়ে দিয়ে ভাইয়াকে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে বললাম।দাদি চিন্তিত হয়ে বলল,
“জুঁই ফুল যাতো তোর ফুফুরে ডাইকা নিয়ে আয়।”

দাদির বলতে দেরি হয়েছে আমার ফুপ্পির বাসায় যেতে দেরি হয়নি।কলিং বেল বাজাতেই কাজের মেয়ে কুলসুম দরজা খুলে বলল,
“এই তো গেলা বাপু,এখনই আবার চইলা আইলা।দরজা খুলতে আর বন্ধ করতেই আমার হাত পা মইরা যাইবো গা।”

আমি ধমক দিয়ে বললাম,”এই চুপ কর ছেমড়ি,তুই দরজা খুলবি না তোর বাপ খুলবে। আজকে থেকে তোর সিরিয়াল দেখা বন্ধ,চল ফুট!”

কুলসুম আমাকে মুখ ভেংচি দিল। আমি একদৌঁড়ে ফুপ্পিকে ডাকতে ডাকতে ড্রইং রুম পার হতেই ধপাস করে পরে গেলাম।ঘটনাটা ঘটার কয়েকসেকেন্ড পর বুঝলাম আমি পা স্লিপ করে পরে গিয়েছি।কুলসুম আর তৌসি সবার আগে আমার কাছে আসলো।তৌসি আমাকে টেনে তুলতে লাগলো আর কুলসুম দাঁত বের করে হাঁসতে লাগলো।আমি পরে যাওয়ায় সে খুব আনন্দ পেয়েছে।এদিকে আমার পা মনে হয় মচকেই গেছে।ফুপ্পি আমার কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,
“এই ভয়টায় আমি পাচ্ছিলাম।ভাগ্যিস ভাঙ্গা কাঁচগুলো আগেই সরালাম।কোথাও লেগেছে আম্মু?”

আমি ফুপ্পিকে দেখেই ব্যস্ত হয়ে বললাম,”ফুপ্পি তাড়াতাড়ি আমাদের বাসায় চলো,ভাবস অসুস্থ হয়ে পরেছে।”

ফুপ্পি চিন্তিত হয়ে বলল,”সেকি কি হলো?তোরা থাক আমি আসছি।”

তৌসি আমার হাত ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,”ও আম্মু দাঁড়াও আমিও যাবো।”

বলেই তৌসি ফুপ্পির পেছন পেছন চলে গেল।আমি এবার উঠে দাঁড়াবো তখনই পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করলাম।কুলসুমকে দেখে আমি রগচটা মেজাজে বললাম,
“এখানে এসব কে ফেলেছে?কি এগুলো?”

কুলসুম আমার হাত ধরে টেনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলল,”এইগুলা জলপাই এর ত্যাল।খালাম্মা ভাইয়ের জন্যি একটা বিদেশি খাবার বানাইতে চাইছিল সেই খাবারে এই ত্যাল দেওন লাগে।বোতলের সিপি খুলতাছিল না দেইখা খালাম্মা ভাইরে ডাকলো, ভাই আইসা বোতল হাতে নিতেই নিচে পইরা অত সুন্দর কাঁচের বোতলডা ভাইঙ্গা গেল।মুই ভাবছিলাম ত্যাল ফুইরা গেলে খালাম্মারে কইয়া বোতলডা মুই নিমু সেইডা আর হইলোনা।”

আমি কুলসুমের উপর চটে গিয়ে বললাম,”তুমি জায়গাটা পরিষ্কার করলা না কেন?এখন দেখো আমি পায়ে আর কোমড়ে কত ব্যথা পেলাম,হাঁটতে পারছিনা।”

কুলসুম এক হাতে আমার এক হাত নিজের কাঁধের উপর দিয়ে ধরে অন্য হাতে আমার কোমড় ধরে আমাকে ধীরে ধীরে সোফার দিকে নিয়ে যেতে যেতে বলল,”মুই সাফ করুম আর তহনই তুমি আইলা তাই আগে যাইয়া দরজা খুইলা দিছি।”

আমি চোখমুখ খিঁচে বললাম,”উফ্ আমার পা!!সব তোমার জন্য হলো কুলসুম আফা।”

“হোয়াট হেপেন্ড?কুলসুম ওর কি হয়েছে।”

শ্রাবণের উদ্বিগ্ন কন্ঠ পেয়ে আমি পেছনে ঘাড় ঘুরালাম।উনি আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন।কিলসুম বলল,
“তহন ত্যাল পরলোনা ওই ত্যালের উপর পা দিয়া ছোট আফা পইড়া গেছেগা।অহন আর হাঁটতে পারতাছেনা।”

শ্রাবণ আমার সামনে এসে আমার একবাহুতে হাত রেখে মাথা নিচু করে আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,

“দেখি কোথায় লেগেছে তোর?”দেখে চলতে পারিসনা?সব সময় এত ছুটোছুটি করিস কেন?”

আমি উনার হাত সরিয়ে দিয়ে উনাকে বিদ্রূপ করে বললাম,
“ঢং ভং শেষ?কেন কথা বলতে এসেছেন?কথা নাকি বলবেন না আমার সাথে?হুহ্,ভাব দেখে বাঁচিনা।”

বলেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম।উনি মাটিতে হাঁটু রেখে আমার পায়ে হাত দিতেই আমি হকচকিয়ে লাফিয়ে উঠে কুলসুম এর উপর পরে গেলাম।কুলসুম আমাকে সামলে নিল নাহলে দুজনই নিচে পরে যেতাম।উনি একদম আমার ব্যথা লাগা জায়পায় হাত দিয়েছেন।তীব্র ব্যথা লাগায় আমার চোখে পানি চলে এসেছে।পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি টাখনু একটু ফুলে গিয়েছে।শ্রাবণ বলল,
“কুলসুম,যাও তো আপু আমার রুমে বেড সাইট টেবিলের উপরের ড্রয়ারে স্প্রে আছে নিয়ে আসো।”

কুলসুম বলল,
“আফা তুমি সোফায় বইসা থাকো আমি আনতাছি।”

কুলসুম আমাকে বসিয়ে দিয়ে চলে যেতেই শ্রাবণ ফ্লোরে বসে আমার পা উনার কোলের উপর নিলেন।আমি উনাকে চোখ রাঙিয়ে বললাম,”আমার পা ছাড়ুন বলছি নাহলে কিন্তু এক লাথি দিয়ে উগান্ডা পাঠিয়ে দিব।আপনি একটা বদমাইশ লোক,ইচ্ছে করে আপনি ওখানে তেল ফেলেছেন।আমাকে ফেলে দেওয়ায় আপনার মূল উদ্দেশ্য ছিল,ছাদ থেকে ফেলে দিতে পারেননি তাই এখানে ফেলে দেওয়ার ফন্দি করেছিলেন।আপনার মতো খারাপ আর বা……..।”

উনি আমার দিকে রাগী চোখে তাকাতেই আমি থেমে গেলাম।কুলসুম স্প্রে নিয়ে আসলেই উনি আমার পায়ে স্প্রে করে দিলেন।আমি একটু আরাম পেলাম কিন্তু ফোলা কমলোনা।আমি ভীত হয়ে বললাম,”এই শ্রাবণ ভাইয়া আমার পা ভেঙ্গে গেল নাতো?এত ফুলছে কেন?স্কুলে যাবো কি করে আমি, একমাস পরই এক্সাম।”

শ্রাবণ ভাইয়া ফ্লোর থেকে উঠে আমার পাশে বসে বললেন,
“রিল্যাক্স কিচ্ছু হবেনা,আমি তোর কিছু হতে দিব নাকি?এখনই মেডিসিন দিব ওয়েট।তোর কিছু হলে আমার বিয়ে হবে নাতো।”

আমি হাসতে হাসতে বললাম,”হা হা হা তুমিও আমার অভিশাপে ভয় পেয়েছো।আমার পায়ের যদি কিছু হয় না তোমার বউয়ের পা আমি ভেঙ্গে দিব।”

উনি আমাকে কিছু না বলে কুলসুমের দিকে তাকিয়ে বললেন,”আম্মু কোথায়?”

কুলসুম বলল,”খাল্লামায় তো ভাবির কাছে গেল,ভাবির নাকি কি অসুখ করছে।”

আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম,”হ্যা ভাবস তো মাথা ঘুড়ে পরে যাচ্ছে আর বমি করছে,ইয়াক!”

শ্রাবণ আমাকে টেনে বসিয়ে দিয়ে বলল,”কোথায় যাচ্ছিস বস এখানে।পা ব্যথা করছে তো।”

আমি আবার দাঁড়িয়ে বললাম,”তাতে আপনার কি?ইচ্ছে করে তেল ফেলে আইছে এখন আমার সেবা করতে,বদ লোক কোথাকার!”

উনি চোখমুখ শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়ে উনার ডান হাতের বুড়ো আর তর্জনী আঙুল দিয়ে আমার দুই ঠোঁট এক করে বললেন,
“কুলসুম সুচ আর সুতো নিয়ে আসো ফাস্ট,আজ এর মুখ সেলায় করে দিব।”

আমি চোখ বড় বড় করে উনার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,”নাআআআ।”

কুলসুম তো এক দৌঁড় দিয়েছে অনেক আগেই।উনি দুষ্টু হেসে বললেন,
“উম নাহ থাক সেলায় করব না তার থেকে ভাল আমি তোর ঠোঁট খেয়ে ফেলি।”

আমি ভয়ে গলা ছেড়ে দিয়ে কান্না শুরু করে দিলাম।উনি আমাকে কোলে নিয়ে আমার রুমে নিয়ে গেলেন। কুলসুম সেখানেই সুচ আর সুতো নিয়ে হাজির।আমি এবার চিৎকার করে কান্না করতে লাগলাম যাতে ফুপ্পি আমাদের বাসা থেকে শুনতে পেয়ে এখানে চলে আসে।শ্রাবণ আমার মুখ চেপে ধরে বললেন,
“আরে চুপ কর,এত চিৎকার করলে তোর গলা ব্যথা করবে।মুখ সেলায় করব নাতো।কাম ডাউন,আমি মেডিসিন আনছি।এই কুলসুম তুমি ওর কাছে বসে থাকো আমি এখনই আসছি।”

আমার কান্নার সাউন্ড কমে গেলেও কান্না এখনও থামেনি। উনি আমার চোখ মুছে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন।একটু পরই একটা চাপা আর ভারী শব্দ পেয়ে প্রথমে কুলসুম তারপর খুড়িয়ে খুড়িয়ে আমিও বেড়িয়ে এসে দেখি ড্রয়িং রুমের কাছে আমি যেখানে পরে গিয়েছিলাম শ্রাবণ ভাইয়াও একই জায়গাই পরে গিয়েছেন।আমাদের দেখেই উনি উঠে দাঁড়িয়ে হাত পা ঝারতে ঝারতে বললেন,
“কি ভয়ানক!!জুঁই,তোর তো খুব বেশি লেগেছে।”

আমি খিলখিল করে হাসতে হাসতে বললাম,”দেখেছ তো ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়।”‘

উনি কুলসুমের দিকে তাকিয়ে বললেন,”তাড়াতাড়ি এখানে পরিষ্কার করো।দাদু পরে গেলে প্রবলেম হয়ে যাবে।”

কুলসুম নিজের কাজে লেগে গেল।শ্রাবণ আমার কাছে এসে করুন কন্ঠে বললেন,”তোমার অনেক ব্যথা করছে না?আ’ম সরি সুইটহার্ট।”

আমি হাসতে হাসতে বললাম,”এতক্ষণ ব্যথা করছিল কিন্তু এখন আর করছেনা।”
বলেই আবার হাসতে লাগলাম।উনিও হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।

বিকেলে আমরা জানতে পারলাম ভাবি কনসিভ করেছে।সবার আনন্দ আর দেখে কে।আমাদের বাসার সোফায় সবাই বসে আছি।ভাবি,দাদি,ফুপ্পি আর ভাবির মা রুমে আছে।আমি ভাইয়াকে বলছি,
“ভাইয়া শোন,আমি কিন্তু সবার আগে বাবুকে কোলে নিব।”

ভাইয়া মুচকি হেসে বলল,”আচ্ছা ঠিক আছে।”
আমি আবার বললাম,”আর…”

আমাকে থামিয়ে দিয়ে শ্রাবণ ভাইয়া বললেন,”আর কিছু না,এবার একটু মুখটা বন্ধ কর প্লিজ।দুঘন্টা ধরে ননস্টপ কথা বলে যাচ্ছিস।”

আমি উনার দিকে কুশনটা ছুড়ে মেরে রাগী কন্ঠে বললাম,”এই আপনার প্রবলেমটা কোথায় বলুনতো?আমি কথা বললে আপনার কি?আপনার মুখ দিয়ে তো বলিনা।সব সময় আমাকে বাঁচাল প্রমাণ করতে চান আপনি।আমার সাথে এমন করছেন তো একদিন দেখবেন আপনার বউ একটা হাই লেভেলের বাঁচাল হবে।”

সবাই হু হা করে হেসে দিল।আমি রেগে নিজের রুমে চলে গেলাম।পায়ে হালকা ব্যথা থাকায় ভাল করে হাঁটতে পারছিনা তাই আমি নিজের আনন্দটা ভাল করে প্রকাশ করতে পারছিনা।আসলে মুখের সাথে হাত পা না চললে আমি শান্তি পাইনা।আমরা সবসময় চেয়েছি আমাদের বাসায় একটা ছোট বাবু থাকবে,সবাই তাকে অনেক আদর করবো।আজ এমন একটা সংবাদ পেয়ে আমরা খুব খুশি।

রাতে ফুপ্পির বাসায় আমার রুমে শুয়ে আছি।ফুপ্পিও আমার পাশে শুয়ে আছে।আজকে একটু বেশি ঠান্ডা লাগায় হুট করে আমার বুক ব্যথা শুরু হয়েছে।মেডিসিন খেয়ে এখন একটু কমেছে কিন্তু ঘুম আসছেনা।সর্দি লেগে নাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই হা করে শ্বাস নিচ্ছি।বাম কাত হয়ে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে ছিলাম তখনই শ্রাবণ ভাইয়া রুমে এসে নরম কন্ঠে বললেন,

“আম্মু?ও কি ঘুমিয়ে গিয়েছে?”

ফুপ্পি আস্তে বলল,”হ্যা একটু আগেই ঘুমোলো।”
শ্রাবণ মনে হয় বিছানার কোনায় বসলেন আমি দেখতে পাচ্ছি না আর দেখার ইচ্ছেও হচ্ছেনা।ফুপ্পি আস্তে বলল,”কিছু বলবি?”

উনি বললেন,”হুম,নিতু ফোন করেছিল ইডেনে ট্রান্সফার নিতে চাইছে।আমাদের বাসায় থেকে পড়াশুনা করবে,তুমি প্লিজ না করে দাও।”

ফুপ্পি উঠে বসে বলল,”না না নিতুকে আমি এখানে রাখবোনা।অনেক রাত হয়েছে যা ঘুমো গিয়ে আমি যায় দেখে আসি তোর বাবা কি করছে,প্রেশারের ওষুধ খেয়েছে কিনা কে জানে!

আমি ডানপাশে ফিরে চোখ হালকা খুলে ডিম লাইটের আলোই দেখলাম ফুপ্পি আর শ্রাবণ ভাইয়া দরজার কাছে চলে গিয়েছে।আমি এখন ঘোরের মধ্যে আছি বলা চলে,আমার মনে হচ্ছে আমি ঘুমোচ্ছি কিন্তু সব শুনতে পাচ্ছি।নিতু আপু আসলে তো অনেক মজা হবে কিন্তু ওরা আসতে দিতে চাইছেনা কেন?সকালে ফুপ্পিকে বলতে হবে।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here