সুইটহার্ট-পর্ব:২১

0
1279

#সুইটহার্ট
#Sohani_Simu
২০.(বোনার্স পার্ট)

আমি যে এতটা ভয় পাবো শ্রাবণ ভাইয়া কল্পনা করতে পারেন নি।গাড়িতে জ্ঞান হারানোর পর শ্রাবণ ভাইয়া আমাকে বাসায় আনলেন।জ্ঞান ফেরার পর থেকে ভয়ে আমি জড় সড় হয়ে আছি।আমার হেলুসিনেশন হচ্ছে।বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে এক ভয়ঙ্কর ছেলের আত্মা।দু বছর আগে স্কুল থেকে আসার সময় রাস্তায় একটা ছেলেকে ট্রাকের নিচে চাপা পরতে দেখেছিলাম,কি মর্মান্তিক দৃশ্য!!বার বার ঐ দৃশ্য চোখের সামনে আসছে।আমি এখন দরজা ফুপ্পিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি।আমার কাছে শ্রাবন,তৌসি,নিতু আপু,ভাবি,দাদু,কুলসুম,দাদি আছে তাও ভয়ে আমি অস্থির।সর্বদা পাগলের প্রলাপ বকছি।ফুপ্পি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে,
“ভয় নেই,কোথায়ও ভূত নেই।শ্রাবণ তো তোকে মিথ্যে কথা বলেছে।দেখ আমরা সবাই এখানে আছি,তাকা আমাদের দিকে।”

আমি ফুপ্পির বুকে মাথা রেখে চোখ খিচে বন্ধ করে বিছানায় বসে আছি।হেঁচকি তুলতে তুলতে বললাম,”ট্রাকের নিচের ওই ছেলেটা কেন আসছে এখানে?কত রক্ত,কান দিয়ে রক্ত পরছে,ওর মাথা থেকে ব্রেন বের হচ্ছে।দরজা লাগিয়ে দাও।”

শ্রাবণ ভাইয়া আমার পাশেই বসে আছেন।এতক্ষণ আমার প্রত্যেকটা কথার পেছনে অসংখ্য যুক্তি দাঁড় করালেও এখন চুপচাপ বসে আছেন উনি।তৌসি বলল,
“আরে পাগল ভূত বলে কিছু হয়না।আগেও একবার ভয় পেয়েছিলি কই তখন ভূত এসেছিল একবারও?”

দাদু বলল,”তোমরা একটু চুপ করো,ওকে একটু সবটা বুঝতে দাও।”
নিতু আপু বলল,”হ্যা হ্যা চল আমরা বাহিরে যাই,জুঁই একটু ঘুমাক।”

ভাবি বলল,”সেবার তো অনেক প্রবলেম হয়েছিল।তালহার ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল।এই শ্রাবণ তালহাকে ফোন দাও।”

তৌসি বলল,”এবার মনে হয় সাইকিয়াট্রিস্ট দিয়ে কাজ হবে না, ভূত তাড়াবার জন্য ওঝা লাগবে।ওঝা আসলে আমাদের বাসার সব ভূত তাড়িয়ে নিবো।”

ফুপ্পি তৌসিকে ধমক দিল।তারপর রাগী কন্ঠে বলল,”তৌসি আর নিতু যা এখান থেকে।বাবা আপনিও যান রেস্ট করুন,আপনার শরীর ভাল নেই।শিরিন তুমিও মাকে নিয়ে যাও।আমি একটু কথা বলে দেখি।”

কেউ গেলনা,সবাই চুপ করে বসে আছে।আমি ফুপ্পির বুকে মাথা রেখেই তৌসির দিকে তাকিয়ে দেখছি ও মিটিমিটি হাসছে,নিতু আপুও নিঃশব্দে হাসছে।আমি মাথা তুলে দরজার দিকে তাকালাম।দরজা বন্ধ আছে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বিল্ডিং এর সিঁড়ি ভেঙ্গে ওই মৃত ছেলেটা এখানে আসছে।আমি দরজার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকলাম।

দুই ঘন্টা পর,
বিরক্ত হয়ে সবাই রুম থেকে চলে গেছে।শুধু ফুপ্পি আর শ্রাবণ ভাইয়া বসে আছে।ফুপ্পি শান্ত কন্ঠে বলল,”সেই সকালে একটু খেয়েছিস এখন বিকেল হয়ে গেছে ক্ষুধা পেয়েছে না তোর?তুই এখানে বস আমি খাবার নিয়ে আসি?”

আমি বললাম,”না।”
ফুপ্পি বলল,”তুই খাচ্ছিস না দেখে শ্রাবণও না খেয়ে আছে।আমি একটু খাবার নিয়ে আসি তোরা দুজনেই খেয়ে নে।”

আমি বিছানায় হেলান দিয়ে বললাম,”তুমি কোথাও যেওনা ফুপ্পি,ওই ছেলেটা সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে।আমাকে দেখে হাসছে,তুমি গেলেই এখানে আসবে।”

শ্রাবণ চিন্তিত হয়ে বললেন,”আম্মু এভাবে আর হবেনা সাইকিয়াট্রিস্টকে আসতে বলি।সন্ধ্যা হয়ে আসছে আরও বেশি ভয় পাবে।”

ফুপ্পি রাগী কন্ঠে বলল,”সব তোর জন্য হয়েছে।কেন ভয় দেখাতে গেলি?আগের বার ভয় পেয়ে সমস্যা হয়েছিল শুনিসনি?ওসব ডাক্তার আসলে ভাল হবে ভাবছিস?শুকিয়ে যায় মেয়েটা।ওসব সব পাগলের ডাক্তার আনার দরকার নেই।”

শ্রাবণ ফোন হাতে নিয়ে কাউকে ফোন করে বললেন,”হ্যালো ভাইয়া?…ও ভাবি বলেছে?…না এখনও ভয় পাচ্ছে।আই থিংক রাত হলে আরও বেশি ভয় পাবে।…..উনি আসতে না পারলে আমি অন্যকাউকে আসতে বলি?….ওকে ওকে।”

কল কেটেই উনি ফুপ্পিকে বললেন,”ভাইয়ার ফ্রেন্ড আসবে একটুপর।”

ফুপ্পি উঠে দাঁড়িয়ে বলল,”থাক এখানে,আমি খাবার নিয়ে আসছি।”

আমি ফুপ্পির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।শ্রাবণ আমার একপাশে বসে করুন কন্ঠে বললেন,”তখন আমি মিথ্যে বলেছিলাম,গাড়িতে কোনো আত্মা নেই।”

আমি উনার দিকে তাকিয়ে দূর্বল গলায় বললাম,”কিন্তু সেদিন সত্যি এক্সিডেন্ট হয়েছিল।ওই ছেলেটার ব্রেন বের হয়ে গিয়েছিল,উফ্ এত রক্ত।আমাদের গাড়িতে রক্ত লেগেছিল।ছেলেটা তো মারা যায়নি,এখনও ওই ভাবেই আছে।সিঁড়িতেই আছে,এতগুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে আসতে পারছেনা।আচ্ছা যদি লিফটে আসে?তাহলে তো এখনই চলে আসবে!!!”

আতংকে আমার মুখ শুকিয়ে গেল।শ্রাবণ আমার দুই গালে হাত রেখে সিরিয়াস হয়ে বললেন,”কাম ডাউন,এগুলো সব তোমার ডিলিউশন,ভ্রান্ত ধারণা।ওই ছেলেটা মারা গেছে আর কখনও ফিরে আসবেনা,আসতে পারবেনা।আসলেও আমি এখানে আছি কিছু হতে দিবনা তোমার।”

আমি গাল থেকে উনার হাত সরিয়ে দিয়ে বললাম,”আপনি এখানে বসে থাকুন,দরজা বন্ধ করে দিন।আমার পা লেগে গিয়েছে একটু হাঁটতে হবে।”

শ্রাবণ আমার হাত ধরে বললেন,”চল ড্রইং রুম থেকে ঘুরে আসি।”

আমি হাত টান দিয়ে ভীত কন্ঠে বললাম,”না!!দরজা লাগিয়ে দিন,তাড়াতাড়ি।”

উনি উঠে গিয়ে দরজা ভিরিয়ে দিয়ে আসলেন।আমি ধীরে ধীরে বেডের উপর দাঁড়ালাম।শ্রাবণ ভাইয়া আমাকে হাত ধরে ফ্লোরে নামিয়ে দিলেন।আমি কয়েকধাপ হাঁটার পরই কলিং বেল বেজে উঠলো।আমি হকচকিয়ে শ্রাবণ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বললাম,”ওই ছেলেটা চলে এসেছে।”

শ্রাবণ আমাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে আমার পাশে বসে বললেন,”আসবেনা ওই ছেলে।অন্যকেউ এসেছে,ভাইয়ার ফ্রেন্ড এসেছে হয়তো।আচ্ছা তুমি দেখেছো উনাকে?আমি না দেখিনি উনাকে,তুমি একটু পরিচয় করিয়ে দিবা আমার সাথে উনাকে?শোন রাতে ছাদে যেয়ে আমরা বার্বিকিউ করবো,তুমি কাল বলছিলেনা এক্সাম শেষ হলে ছাদে যেয়ে বার্বিকিউ করবা?আজ তো এক্সাম শেষ,আমরা আজ বার্বিকিউ করবো,গ্রীল করবে।নান রুটি খাবা তুমি?আর আইসক্রিম?”

উনার কোন কথায় আমার মাথায় ঢুকছেনা।আমি উনার বুকের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।প্রায় পাঁচমিনিট পর দরজা ঢেলে ফুপ্পি আর একটা লোক ভেতরে ঢুকলো।লোকটাকে আমি চিনি,ভাইয়ার ফ্রেন্ড।লন্বা,শ্যামলা,সুন্দর চেহারার ছেলেটি এসে আমার সামনে বিছানায় বসলেন।ছোট ছোট চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা পরে আছেন।ড্রেস আপ ভাইয়ার মতো ফর্মাল,অ্যাশ কালার কোট প্যান্ট পরে আছেন।শ্রাবণ ভাইয়া বললেন,”হ্যালো স্যার….”

লোকটি হাত দিয়ে ইশারা করে শ্রাবণকে থামতে বললেন।আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“আমি আসার সময় তালহাকে সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে রেখে এসেছি।ওই মৃত ছেলেটা উপরে আসতে পারবেনা।কি হয়েছে তোমার?ভয় পাচ্ছো?আচ্ছা তুমি একটু সোজা হয়ে বসো,হেলান দিয়ে শুয়ে থাকো।”

আমি শ্রাবণ ভাইয়াকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।লোকটাকে এত রসহ্যময় দেখাচ্ছে কেন?উনার কন্ঠ এত শান্ত কেন?কি করতে চাইছেন উনি?আমি ভীত চোখে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।শ্রাবণ ভাইয়া কিছু বলবেন তখনই উনি শ্রাবণ ভাইয়াকে থামিয়ে দিলেন।ফুপ্পুিও ইশারায় কোন কথা বলতে না করলো।লোকটা মুচকি হেসে বললেন,
“আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ওখানেই বসে থাকো শুধু মাথাটা সোজা করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো ওকে?”

শ্রাবণ ভাইয়া ঝটপট উঠে বসে কি যেন করলেন আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। এখন আমি শ্রাবণের সাথে হেলান দিয়ে লোকটার মুখোমুখি বসে আছি।লোকটা পকেট থেকে একটা চেইন লাগানো ঘড়ি বের করে আমার চোখের সামনে পেন্ডুলামের মতো দোলাতে দোলাতে বললেন,
“জুঁই?”

“হুম?”

“তুমি খুব ক্লান্ত,তোমার এখন ঘুম দরকার।ঘুমে তোমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।”

“হুম।”
আমি চোখ বন্ধ করলাম।উনি আবার বললেন,
“তুমি একটা সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছো,বিশাল একটা সাদা বিল্ডিং। গেইটের সামনে লিখা আছে ড্রিম ওয়ার্ল্ড,স্বপ্বের পৃথিবী।দেখতে পাচ্ছো?”

“হুম”

“একটা কালো গাড়ি থেকে তুমি বের হয়ে আসলে।আশেপাশে কেউ নেই।তুমি বাগানের পাশ দিয়ে ফুল গুলোকে ছুয়ে দিয়ে পুলের কাছে আসলে।পুলের নীল স্বচ্ছ পানিতে তোমার প্রতিবিম্ব ভাসছে।তুমি মিষ্টি হেসে এক দৌড়ে সিঁড়ির কাছে এসে দাঁড়ালে।”

“হুম।”

“এক পা একপা করে তুমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছো।”

“হুম”
আমার নিঃশ্বাস ভাড়ি হতে লাগলো।উনি আবার বললেন,
“অনেক গুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে তুমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছ।আর মাত্র দুটো সিঁড়ি ভাঙলেই তুমি তোমার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।”

সত্যি সত্যি আমার খুব দূর্বল লাগছে,হাত পা নড়ানোর বিন্দু মাত্র শক্তি পাচ্ছিনা।উনি আবার বললেন,

“জুঁই আমার কথা মন দিয়ে শুনো।আর দুই ধাপ তোমাকে এগুতে হবে।দুই ধাপ এগুলে আর কোন ভয় থাকবেনা।তুমি অনেক কষ্টে এক ধাপ উঠলে,তোমার মন বলছে কোন ভয় নেই,তুমি হাসছো।শেষ ধাপ উঠলে আমি দুবার হাত তালি দিবো তখন তোমার ঘুম ভেঙ্গে যাবে।তুমি শেষ ধাপটাও অতিক্রম করলে।তুমি চিৎকার করে বললে কোন ভয় নেই,সব ভয় তুমি ভুলে গিয়েছ এবার জেগে যাও।”

উনি দুবার হাততালি দিতেই আমি হকচকিয়ে কেঁপে উঠে তাকালাম।ভাইয়ার ফ্রেন্ড মুচকি হেসে বললেন,
“কেমন আছো জুঁই?”

“ভাল”

“তোমার হাতে এত কলমের দাগ লেগে আছে কেন?আজকে এক্সাম ছিল?খুব লিখেছো না?”

আমি মুচকি হেসে বললাম,”একটু লিখলেই হাতের তালুতে দাগ লাগে।তুমি একা এসেছো?ভাবি আসেনি?ইরাম বাবুকে নিয়ে আসোনি?”

উনি মুচকি হেসে বললেন,”তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে আসো তারপর কথা বলবো ওকে?যাও ফ্রেশ হয়ে আসো,আমি বাহিরে ওয়েট করছি।”

বলেই উনি আর ফুপ্পি নিঃশব্দে হেঁটে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন।আমি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি আমি এখনও স্কুল ড্রেস পরে আছি।একটু নড়ে চড়ে বসতেই খেয়াল করলাম আমাকে কেউ ধরে আছে।আমি পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি শ্রাবণ। আমি ভ্রু কুচকে বললাম,”আপনি এখানে?”

উনি একটা শুকনো হাসি দিয়ে আমার গাল টেনে বললেন,”ফটফটানি গার্ল জুঁই ইজ ব্যাক।”

আমি বেড থেকে নেমে বললাম,”আবার আমাকে ফটফটানি বললেন?আপনি ফটফটানি,আপনার বাবা ফটফটানি।কেন এসেছেন আমার রুমে,গেট আউট।”

উনি বসা থেকে উঠে দাঁড়ালেন।হুট করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।আমার মাথার উপর থুতনি রেখে বললেন,”আম্মুকে কিন্তু বলবিনা আমি তোকে জড়িয়ে ধরেছি বললে সিম পাবিনা।ফ্রেশ হয়ে ফোন নিয়ে আমার রুমে আয় আমি তোর ফোনে নিউ সিম লাগিয়ে দিবো।”

উনি আমার মাথায় চুমু দিয়ে আমাকে ছেড়ে হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।আমি গোসল দিয়ে একটা হালকা গোলাপি টপস আর নীল জিন্স পরে রুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম।ডাইনিং এ যেয়েই ফুপ্পিকে বললাম,
“ফুপ্পি তাড়াতাড়ি খেতে দাও, খুব ক্ষুধা লেগেছে।ভাইয়ার ফ্রেন্ড কেন এসেছে? কোথায় গেল?আমাদের বাসায়?”

ফুপ্পি প্লেটে খাবার দিয়ে আমার পাশে বসে বলল,”এমনি এসেছিল।চলে গেছে,কাজ আছে বলল।তোর এখন কেমন লাগছে? ”

আমি খেতে খেতে বললাম,”ভাল লাগছে না,মাথা ব্যাথা করছে।ঘুমাতে হবে,আচ্ছা আমি কি স্কুল থেকে এসে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম?”

ফুপ্পি বলল,”হুম,তুই ঘুমোচ্ছিস দেখে আর ডাকিনি।”
আমি খেতে খেতে বললাম,”আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে, খেতে পারছিনা। ”

প্লেট ঠেলে উঠে দাঁড়িয়ে বেসিনে হাত ধুয়ে রুমের দিকে যাওয়ার সময় শ্রাবণের সাথে দেখা।আমি উনাকে পাশ কাটিয়ে রুমের দিকে যাবো তখনই উনি বললেন,”খেয়েছিস?খাব চল।”

আমি হাই তুলে বললাম,”খেলাম তো,এখন ঘুম পাচ্ছে।”

পেছন থেকে নিতু আপু বলল,”এই জুঁই?তুই আর ভয় পাচ্ছিস না?”

আমি চমকে পেছনে তাকিয়ে বললাম,”কিসের ভয়?”
শ্রাবণ ধমক দিয়ে বললেন,”শাট আপ নিতু।”

তারপর উনি আমার হাত ধরে রুমে রেখে আসলেন।আমি কোন রিয়েক্ট না করে ঘুমিয়ে গেলাম।ঘুমে আমার চোখ খোসে পরছে।

চলবে…..

(বি.দ্র. :-সাইকিয়াট্রিস্টদের কাজ সম্পর্কে আমার বেশি কিছু জানা নেই।হিপনোটিক সাজেশনের পদ্ধতিটির সামান্য কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here