#সুইটহার্ট
#Sohani_Simu
২০.
একমাস ধরে একই রুটিনে দিন কাঁটছে।সব সময় ঘরের কোনায় বসে থেকে পড়তে হচ্ছে।এক্সামের দিন ছাড়া বাহিরে যাওয়ার কোন সময় নেই,একমাসে একবার ছাদেও যেতে পারিনি।আজকের প্রাকটিকাল এক্সাম টা শেষ হলেই সব এক্সাম শেষ আমি ফ্রি।আনন্দে আমার কিছু পড়তে ইচ্ছে করছেনা।সকাল দশটায় এক্সাম শুরু আমি আর শ্রাবণ ভাইয়া সাড়ে আটটায় রওনা দিব।এখন আটটা বাজে, আমি পুরো রেডি হয়ে ফাইলপত্র নিয়ে ফুপ্পিকে বলে আমাদের বাসায় আসলাম।আমার রুমে এসে আমার মেজাজ খারাপ হলে গেল।নিতু আপু আমার রুমটা একটা গোয়াল ঘর বানিয়ে ফেলেছে।আমার সবগুলো টেডি আলমিরা থেকে বের করে বিছানায় নিয়ে ঘুমোচ্ছে।নিতু আপুর জামা কাপড় সব অগোছালো হয়ে এখানে ওখানে পরে আছে।আমি ফাইল টেবিলে রেখে আমার টেডি গুলোকে জড়িয়ে ধরে ফুপ্পির বাসায় গেলাম।ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দশটা টেডি আমি দুইহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছি,সামনে কিছু দেখতে পাচ্ছিনা।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পা দিয়ে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম।কুলসুম এসে দরজা খুলেই বলল,
“হায় আল্লাহ,এত গুলা কুত্তা বিলাই কোথ থিকা আনলা?”
আমি আন্দাজে আমার রুমের দিকে যেতে যেতে বললাম,”একদম কুত্তা বিলাই বলবা না।এগুলো আমার জান।এরা বেয়ার,মানে ভাল্লুক একটা পান্ডা আছে।সাদা কালো ওটা পান্ডা।নীলটা ডোরামন আর টাইগারকে তো চিনতেই পারছো।শোন এগুলোতে হাত দিবানা।”
বলতে বলতেই কারো সাথে ধাক্কা খেলাম।শ্রাবণ ভাইয়ার কথা শুনে বুঝলাম আমি উনার সাথে ধাক্কা খেয়েছি।উনি আমার পেছন দিকে এসে বললেন,
“এসব কি করছিস?এখনও রেডি হোসনি কেন?এক্সাম দিবিনা না কি?”
আমি ঘাড় ঘুড়িয়ে পেছনে তাকিয়ে বললাম,”কানা হয়েছেন?দেখতে পাচ্ছেন না স্কুল ড্রেস পরে আছি।আপনি যান আমি এগুলো রেখে আসছি।এই কুলসুম আফা,ভুলেও এগুলোতে হাত দিবানা নিতু আপুকেও হাত দিতে দিবানা।”
কুলসুম যে এখানে নেই সেটা এখন খেয়াল করলাম।শ্রাবণ আমার কাছে এগিয়ে এসে বলল,”তুই নাকি আজই এই বাসা থেকে বিদায় হবি? তাহলে এসব আনছিস কেন? তারমানে এখানেই থাকবি?হোয়াটএভার রাখ এগুলো এখানে দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,”আমি এখানেই থাকবো আপনার সমস্যা টা কোথায়?সব সময় আমাকে তাড়াবেন নাতো নাহলে দেখবেন আমিই একদিন আপনাকে তাড়িয়ে দিব।তখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে।”
উনি আমার হাত থেকে সবগুলো টেডি নিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলেন।সিরিয়াস হয়ে বললেন,”জ্যাকেট পরে ফাইল নিয়ে আয় ফাস্ট।”
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,”এই ফেব্রুয়ারিতে জ্যাকেট পরবো?গরম তো।ফাইল আমাদের বাসায় রেখে এসেছি।”
শ্রাবণ ভাইয়া চরম বিরক্ত হলেন।দ্রুত পায়ে আমার রুমে যেতে লাগলেন।আমি ফ্লোর থেকে টেডি গুলো তুলতে লাগলাম।সবগুলো হাতে সাজিয়ে নিতেই শ্রাবণ ভাইয়া এসে আবার সব ফেলে দিলেন।আমি রাগী চোখে উনার দিকে তাকালাম।উনি আমার স্কুলের লাল হুডিটা আমার উপর ছুড়ে বললেন,
“পরে নে।”
আমি ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।ফুপ্পি এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বলল,”একি তোরা এখনও যাসনি?লেট হবে তো।”
আমি চোখ মুখ কটমট করতে করতে হাঁটা দিলাম।আমাদের বাসায় এসে ফাইল নিয়ে সবাইকে বলে বাহিরে এসে দেখি শ্রাবণ লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে ফোন কানে উল্টো দিক মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।আমি উনাকে পাশ কাটিয়ে লিফটে গিয়ে উঠলাম।উনিও ফোন পকেটে রেখে আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন।
গাড়িতে পুরো রাস্তা চুপচাপই আসলাম।স্কুলের সামনে এসে গাড়ি থামাতেই আমি নামবো তখনই দেখি দরজা লক করা।শ্রাবণের দিকে তাকাতেই উনি বাঁকা হেসে বললেন,
“তুই এত দিন আমার নামে মিনিমাম হাজারটা কমপ্লাইন করেছিস।কাল রাতে আম্মু আমাকে কত বকেছে জানিস?আমি তোকে কবে চুমু দিয়েছি রে?তুই যে আম্মুকে বলেছিস আমি তোকে চুমু খেয়েছি,কবে খেলাম?”
আমি মুখ কাচুমাচু করে বললাম,”আমি বলতে চাইনি তৌসি শিখিয়ে দিল তাই বলেছি।তৌসিকে আপনি বকেছেন তাই তৌসিও আপনাকে বকা খাইয়ে নিয়েছে।আমার কোন দোষ নেই,আমি নির্দোষ।”
উনি আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন,”তোকে আমি চুমু খাবো বুঝেছিস?গালে কয়েকশোটা আর ঠোঁটে কয়েকঘন্টা।এক্সাম দিয়ে বাসায় যেয়ে গাল ভাল করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবি আর দাঁত ব্রাশ করবি,কোথাও যেন কোন জীবাণু না থাকে।”
আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম।উনি মুচকি হেসে গাড়ি থেকে বের হলেন।আমি এখনও একই ভাবে বসে আছি।মনে মনে ভাবছি এখন কি হবে?এসব চুমুটুমু তো ভাল জিনিস নয়। শ্রাবণ আমার পাশে এসে দরজা খুলে আমার হাত ধরে আমাকে বের করে হাসতে হাসতে বললেন,”আরে ডোন্ট ওরি,আমি তো মজা করলাম কিন্তু নেক্সট টাইম এরকম কিছু আম্মুকে আর বলবানা।এখন যাও সবাই হলে ঢুকছে,অল দ্যা বেস্ট।”
আমি কিছু নাবলে শুধু মাথা নেড়ে হলের দিকে চলে গেলাম।কেমন কেমন যেন লাগছে।ফুপ্পিকে এসব উল্টা-পাল্টা কথা বলা ঠিক হয়নি।আসলে তৌসির কথা শোনায় আমার ঠিক হয়নি।উফ্ এখন আমার অসস্তি লাগছে।
এক্সাম শেষ করে বন্ধুদের সাথে দৌঁড়ে বেড়িয়ে আসলাম।আজকে অনেক মজা হবে।গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই গল্প করছিলাম তখনই কেউ আমার ডান কাঁধে হাত রাখলো।আমি চমকে পেছনে তাকিয়ে দেখি শুভ ভাইয়া,সাথে আরও দুটো ছেলে আছে।আমি কিছু বলার আগেই শুভ আমার হাত ধরে এক সাইডে নিয়ে আসলো।আমি হেমার হাত ধরে ছিলাম তাই হেমা আমার সাথেই আছে।আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
“কি ব্যাপার শুভ ভাইয়া, আপনি এখানে কেন?”
শুভ আমার হাত ধরে রেখেই বলল,”বাসায় যাবা না?চলো আপু একটু অসুস্থ তাই আমি আপুকে দেখতে তোমাদের বাসাতেই যাচ্ছিলাম ভাবলাম তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাই।”
আমি উনার থেকে হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে বললাম,”মিথ্যে কথা বলবেন না।ভাবস সুস্থ আর ভাইয়া আপনাকে আমাদের বাসায় যেতে নিষেধ করেছে।হাত ছাড়ুন।”
শুভ আমার হাত আরও শক্ত করে চেপে ধরে বলল,”আচ্ছা ঠিক আছে যাবোনা তোমাদের বাসায়,চলো আমরা কোথাও বসে কথা বলি,তোমার সাথে অনেক কথা আছে।”
বলেই উনি আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন।আমি চেঁচিয়ে বললাম,”যাবোনা আমি।এই হেমা দেখ জোড় করে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে।শুভ ভাইয়া আমার হাত ছেড়ে দিন আমি কিন্তু ভাইয়াকে বলে দিব।”
হেমা বলল,”আরে ভাইয়া আপনি এমন করছেন কেন?জুঁই তো যেতে চাচ্ছে না।”
শুভর সাথে থাকা দুটো ছেলের একজন আমার হাত থেকে হেমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে হেমাকে বলল,”আপুমনি তুমি এখন বাসায় যাও।”
আমি রেগে শুভর হাটুতে লাথি দিলাম।উনি হাত ছেড়ে দিতেই আমি কোমরে দুই হাত রেখে বললাম,”তোর সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?”
শুভ রেগে আমার হাত ধরতেই পেছন থেকে শ্রাবণ ভাইয়া বললেন,”জুঁই কাম হেয়ার।”
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি কিছুটা দূরে শ্রাবণ ভাইয়া আর হেমা দাঁড়িয়ে আছে।শ্রাবণ একটা নেভি ব্লু শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে আছেন।দুই হাত প্যান্টের পকেটে রেখে আবার বললেন,”কি হল,আসতে বললাম তো।”
আমি এবার শুভর দিকে তাকালাম।ভীতুটা আমার হাত আগেই ছেড়ে দিয়েছে।আমি দ্রুত পায়ে শ্রাবণ ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম,”শ্রাবণ ভাইয়া দেখুন না আমাকে জোড় করে নিয়ে যাচ্ছিলো।”
শুভ আমাদের কাছে এগিয়ে এসে হাসতে হাসতে বলল,”আমি এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম জুঁইকে দেখে ভাবলাম ওকে বাসায় দিয়ে আসি কিন্তু জুঁই মনে হয় আমাকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না।”
শ্রাবণও হাসতে হাসতে বললেন,”আমার তো মনে হয় জুঁই আপনাকে সিরিয়াসভাবে নিয়েছে, দেখলেন না হাঁটুতে কেমন কিক করলো?”
শুভ হাসি থামিয়ে বলল,”আবার আপনি বলছো,আমরা সেদিনই ফ্রেন্ড হলাম,আমাদের তুই তাকারি করে কথা বলা উচিত ইয়ার।”
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,”শ্রাবণ ভাইয়া তোর ফ্রেন্ড হবেনা, যা ভাগ।আর একবার আমাদের বাসায় গেলে তোর পা ভেঙ্গে দিব।”
শ্রাবণ আমার একহাত ধরে নিজের পাশে দাঁড় করিয়ে আমাকে ধমক দিয়ে বললেন,”শাট আপ।”
শুভ হাসতে হাসতে বলল,”আরে ওকে কিছু বলো না, আমি কিছু মনে করিনি।এখনও অনেক ছোট তো তাই…”
শ্রাবণ শুভকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,”ওকে শুভ সি ইউ লেটার,আমার একটু কাজ আছে।”
শুভ আমার দিকে তাকিয়ে বলল,”ওকে সি ইউ।”
শ্রাবণ কিছু না বলে আমার হাত ধরে হাঁটতে লাগলেন।হেমা আমাকে আমার ফাইল দিয়ে চলে গেল।পেছনে তাকিয়ে দেখি শুভ চোখ মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে।গাড়িতে বসেই আমি বললাম,
“এক্সাম শেষ বাংলাদেশ,এখন আমাকে আমার সিম ফেরত দিন।”
শ্রাবণ ড্রাইভ করতে করতে বললেন,”সিম দিয়ে কি করবি?”
আমি সিটের উপর পা তুলে বসে বললাম,”সিম দিয়ে মানুষ কি করে আপনি জানেন না?আপনি তো দেখছি অংক ছাড়া কিছুই জানেন না।”
উনি সামনের দিকে তাকিয়ে বললেন,”সিম তুই পাবিনা।”
আমি চেঁচিয়ে বললাম,”কেন?”
উনি একহাতে কপালের চুল ঠিক করে বললেন,”পাবিনা মানে পাবিনা,এত কেন ফেন করিস না।”
আমি রেগে বললাম,”গাড়ি থামান।”
উনি ভ্রু কুচকে বললেন,”কেন?”
আমি রাগী কন্ঠে বললাম,”এত কেন ফেন করেন কেন?থামাতে বলেছি থামাবেন।”
উনি একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার সামনের দিকে তাকিয়ে বললেন,”যদি না থামায়?”
আমি কিছু বললাম না।সিটের উপর দিয়ে উঠে পেছনের সিটে এসে বসলাম।লুকিং গ্লাসে উনাকে দেখা যাচ্ছে জন্য অন্যদিকে সরে বসলাম।উনি আবার লুকিং গ্লাস আমার দিকে সেট করে বললেন,
“সিম নিতে হলে আমার সব কথা শুনতে হবে।”
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম,”আপনার একটা কথাও শুনবোনা আই প্রমিস,কোনদিনও না, কখনও না।সিম আমি বাবার থেকে কিনে নিব।”
শ্রাবণ মুচকি হেসে বললেন,”তুই কিন্তু আমার কথা না শোনার প্রমিস করেছিস,একটা ছোট টেস্ট করে দেখি তোর প্রমিসের ধার কেমন।তুই এক কাজ কর,বাসায় না যাওয়া পর্যন্ত পেছনেই বসে থাক ওকে?”
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,”দেখুন একদম আমাকে রাগাবেন না,ইট মেরে আপনার মাথা ফাটিয়ে দিব।”
উনি হাসতে হাসতে বললেন,”ও তোর প্রমিস তাহলে মূল্যহীন।আমার কথা তো ভালই শুনলি, পেছনে বসে থাকতে বললাম পেছনেই থাকলি ভেরি গুড।”
আমি থম থমে মুখ করে সিটের উপর শুয়ে বললাম,”আপনি বসে থাকতে বলেছিলেন আমি শুয়ে থাকলাম আর কথা বলবেন না,আপনাকে আমার অসহ্য লাগছে।”
উনি বললেন,”একদিন রাতে আমি গাড়ি নিয়ে বেড়িয়েছিলাম সাথে একটা ফ্রেন্ড ছিল।গাড়ি সাইড করে আমরা ব্রীজের ওখানে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম তারপর আবার গাড়িতে উঠে দেখি তুই যেখানে শুয়ে আছিস ওখানে একটা ছেলের আত্মা শুয়ে আছে।কি ভয়ানক দেখতে!!আমার ফ্রেন্ড তো সঙ্গে সঙ্গে সেন্সলেস হয়ে গেল।আমি ভয়ে ভয়ে আত্মাকে জিজ্ঞেস করলাম ও এখানে কেন?আত্মা তখন বলল ও নাকি সব সমময় ওখানেই থাকে কেউ তাকে দেখতে পায় না কিন্তু ও সবাইকে দেখতে পায়। ”
আমি লাফ দিয়ে উঠে সামনের সিটে গিয়ে উনার বাম বাহু চেপে ধরে ভীত কন্ঠে বললাম,”আত্মা এখনও ওখানে আছে?গাড়ি থামান, যাবো না এই গাড়িতে।”
উনি রহস্যময় হাসি দিয়ে একবার পেছনে তাকালেন তারপর সামনে তাকিয়ে বললেন,”আমি সব সময় ওকে দেখতে পাই,এখন ও পেছনে বসে তোর দিকে তাকিয়ে আছে।জম্বিদের মতো লাগছে ওকে দেখতে,চোখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।ওর মনে হয় তোকে খুব পছন্দ হয়েছে,আমার কথা শুনে হাসছে।জুঁই তুই কি ভয় পাচ্ছিস?ছাড় আমাকে,উফ এভাবে চেপে ধরে থাকলে ড্রাইভ কি করে করবো।”
আমি চোখ খিচে বন্ধ করে উনাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছি।উনি একহাত দিয়ে ড্রাইভ করছেন।পুরো রাস্তা উনি আমাকে আত্মার কথা বললেন।আমি একবারও চোখ খুলিনি।বাসায় এসে গাড়ি থেকে নামার সময় আরেক কাহিনী হলো।শ্রাবণ ভাইয়ার সাথেই গাড়ি থেকে নামছিলাম কিন্তু জামার পেছনের পার্ট কার সাথে যেন আটকে গেল।ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে গেল,হঠাৎ আমার কি যে হল আর কিছু মনে নেই।
চলবে….!…….!….