#সুপ্ত_প্রেমাসুখ
#ইলোরা_জাহান_ঊর্মি
#পর্বঃ৪৬
সাকিব, ইলোরা আর ডালিয়া ভার্সিটি গেটে পা রাখতেই এরেনকে সামনে পেয়ে গেল। সাকিব তাই ওখানেই দাঁড়িয়ে পড়ল। ইলোরা এরেনকে দেখেও না দেখার ভান করল। মূলত সে গতরাতের জন্য প্রচুর লজ্জা পাচ্ছে। এরেন তা বুঝতে পেরে মুচকি হাসল। ইলোরা আর ডালিয়া ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় সাকিব পেছন থেকে বলল,“ইলু, একটা ক্লাস শেষ করে ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে নিস।”
“আচ্ছা ভাই”, যেতে যেতে ইলোরা বলল। ক্যাম্পাসে ঢুকতেই বন্ধুরা সবাই তাকে ঘিরে ধরল। সবার মুখেই এক কথা। তোর না-কি বিয়ে ঠিক হয়েছে? তাহলে এরেন ভাইয়ার কী হবে? এখনও চুপ করে আছিস কেন? বিয়ের কথা জানাচ্ছিস না কেন সবাইকে? বিয়ের তারিখও তো ঠিক হয়ে গেছে। পরে কিন্তু অনেক বড়ো ঝামেলা হবে। সময় থাকতে বলে দে। তোদের মাথায় কী চলছে? এরেন ভাইয়াই বা চুপ আছে কেন? কী করবি এখন?”
ইলোরা চুপচাপ সবার কথা শুনে হতাশ দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকিয়ে বলল,“ভাই থাম তোরা, একটু জিরিয়ে নে। এত প্রশ্ন কেউ একসাথে করে? কোনটা রেখে কোনটার উত্তর দিব আমি?”
নাদিয়া বলল,“আচ্ছা, একটা একটা করে দে।”
ইলোরা গতকালের সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলল আর এটাও বলল যে, যা করার এরেনই করবে। এটা শুনেও সবাইকে বেশ চিন্তিত দেখাল। অর্থাৎ কেউই ব্যাপারটা এত সহজভাবে নিতে পারছে না। মাথায় একরাশ চিন্তার ঝুলি নিয়ে সবাই ক্লাস করল। প্রথম ক্লাসের পর ইলোরা বলল সে ক্যান্টিনে যাবে। কারো ক্ষুধা না থাকা সত্ত্বেও সবাই তার সাথে ক্যান্টিনের দিকে গেল। ক্যান্টিনে ঢোকার আগেই এরেন সামনে এসে দাঁড়াল। তাকে দেখে ইলোরা মিইয়ে গেল। বাকি সবাই এরেনের সাথে কুশল বিনিময় করল। তার থেকে জানা গেল সাকিব বাড়ি গেছে। অনন্যা না-কি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পরে সাকিব আবার আসবে। ডালিয়া সুযোগ বুঝে বলে উঠল,“ভাইয়া, আমাদের কারোর ক্ষুধা নেই তবু আপনার বউয়ের সাথে ক্যান্টিনে যেতে হচ্ছে। আপনার বউকে আপনি খাইয়ে আনেন প্লিজ।”
এরেন হেসে বলল,“যথা আজ্ঞা শ্যালিকা।”
ইলোরাকে কেউ কোনো কথা বলার সুযোগই দিল না। তাকে রেখেই সবাই চলে গেল। ইলোরা এক জায়গায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে এদিক-ওদিক চঞ্চল দৃষ্টি বিচরণ করতে লাগল। এরেন গলা ঝাড়া দিয়ে বলল,“মিসেস, চলুন।”
ইলোরা বাধ্য হয়ে এরেনের সাথে ক্যান্টিনে ঢুকল। এক কোণে একটা টেবিল দখল করে দুজন গিয়ে বসল। এরেন খাবার অর্ডার করল। ইলোরা মাথা নিচু করে এরেনের মুখোমুখি বসে আছে। ভুল করেও সে সামনে তাকাচ্ছে না। এরেন মিনিট দুয়েক ইলোরার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে বলল,“অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বসে আছো কেন?”
ইলোরা একবার এরেনের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিল। এরেন গালে হাত দিয়ে বড়ো একটা শ্বাস নিয়ে আবৃত্তির ন্যায় বলল,
জানো কী? তোমাকে ছুঁয়ে দেয়ার দারুণ ইচ্ছাকে
দমন করা কতটা কঠিন?
অথচ এই কঠিন কার্যটাই
আমি দমবন্ধ করে মেনে নিচ্ছি।
কেন জানো?
যেদিন তোমাকে খুব কাছ থেকে ছুঁবো,
ঠোঁটে ঠোঁটে কথা বলব,
সেদিন কিন্তু তোমাকে লজ্জায় মিইয়ে যাওয়ার
সুযোগ দেবো না লাজুক লতা।
ইলোরা এবার আরও লজ্জায় পড়ে গেল। ছেলেটা যে তার লজ্জা আরও একধাপ বাড়ানোর জন্যই এমন কবিতা বানাচ্ছে, তা সে বেশ বুঝতে পারল। এরেন ঠোঁট টিপে হেসে আফসোসের সুরে বলল,“ইশ্! কালকের রাতটা কতই না সুন্দর হতে পারত। অবশ্য খুব কমও সুন্দর ছিল না।”
ইলোরার এবার রাগ হলো। ছেলেটা তাকে লজ্জায় মাটিতে মিশিয়ে ফেলার ফন্দি এঁটেছে। ইলোরা গাল ফুলিয়ে নিজের কোলের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে হাত কচলাতে শুরু করল। খাবার চলে এলে এরেন ইলোরার দিকে প্লেটটা ঠেলে দিয়ে বলল,“শুরু করো।“
ইলোরা সেভাবেই চুপচাপ বসে রইল। এরেন ভ্রুকুটি করে বলল,“ম্যাডাম, নিজে পাগলামি করে এখন আবার লজ্জায় মাথা তুলতে পারছেন না? ওসব ভুলে যান। অতিরিক্ত উত্তেজনায় তখন আপনার মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ছিল না। এখন নিজে খাবেন না-কি খাইয়ে দিতে হবে?”
ইলোরা এবার খাবার মুখে তুলল। এরেনও খেতে খেতে বলল,“কাল রাতে খাওনি, তারপর আবার সকালে না খেয়ে এসেছ কোন আক্কেলে?”
ইলোরা মুখ গোমড়া করে বলল,“বসেছিলাম তো খেতে। খাবার মুখে তুলতেই সবাই বিয়ে নিয়ে পড়েছিল।”
“আর সেসব শুনে তোমার গলা দিয়ে খাবার নামেনি, তাই তো?”
ইলোরা উপর নিচে মাথা ঝাঁকাল। এরেন বলল,“বলেছি না কোনো চিন্তা না করতে? না খেয়ে থেকে কি অসুস্থ হতে চাও?”
ইলোরা কথা ঘুরিয়ে প্রশ্ন করল,“কী করবে ভেবেছো?”
“বাবার সাথে কথা বলব।”
“কবে?”
“আজ।”
“কিন্তু তোমার তো মাস্টার্স শেষ হয়নি এখনও। আঙ্কেল মানবে?”
এরেন চিন্তিত কন্ঠে বলল,“তো কী করব? মাস্টার্স শেষ করার জন্য কি তোমাকে ছেড়ে দেবো? সবসময় তুমিই তো বলো তোমাকে যেন আমি আমার বুক থেকে না সরিয়ে দেই, কোনো পরিস্থিতিতেই যেন না ছাড়ি। তাহলে? এত সহজে আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো ভাবছো?”
ইলোরা ধরা গলায় বলল,“আমার খুব ভয় লাগে।”
“আমি বাবাকে বলব আমি তোমাকে পছন্দ করি, আর তোমার অন্য একজনের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আগের বিয়ের কথা বলব না। আম্মী তো জানেই তোমার কথা। বাবাকে ঠিক রাজি করানো যাবে।”
“কিন্তু, আব্বু আর ভাই?”
“বলেছি না মাথায় এত চাপ নিও না। আমার ওপর ছেড়ে দাও। শুধু এটুকু নিশ্চিত থাকো যে আমি তোমাকে ছাড়ছি না অন্য কারো হাতে। এখন চুপচাপ খাও। ক্লাস আছে না?”
ইলোরা মাথা দুলিয়ে আবার খেতে শুরু করল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারা ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে এল। ইলোরা বন্ধুদের সাথে পুনরায় ক্লাসে চলে গেল। ভার্সিটি ছুটির আগেই সাকিব চলে এল। ইলোরা আর ডালিয়া বাড়ি ফেরার সময় সাকিবের থেকে জানতে পারল অনন্যার হঠাৎ করে বুকে ব্যথা উঠেছিল। ডাক্তার বাড়িতে গিয়েছিল, এখন অনন্যা কিছুটা ঠিক আছে।
•
“মেয়েটা কে?”
এতক্ষণ জাকির জামানের কাছে ইলোরার কথা বলে মাথা নিচু করে বসে ছিল এরেন। বাবার প্রশ্নে এরেন চোখ তুলে তাকাল। পাশে বসা আন্নি হক আর জারিন চুপচাপ বসে কথা শুনছে। এরেন বড়ো একটা দম নিয়ে বলল,“সাকিবের বোন।”
জাকির জামান ভীষণ অবাক হয়ে বললেন,“মানে? এসব কী বলছো তুমি? বন্ধুর বোনকে তোমার পছন্দ?”
“হ্যাঁ।”
“তোমার বন্ধু জানে?”
“কেউ জানে না।”
“সম্পর্ক কতদিনের?”
“আট মাস।”
জাকির জামান গম্ভীর মুখে চুপচাপ কিছু একটা ভাবলেন। মুখ দেখে বুঝার উপায় নেই তার মাথায় কী চলছে। এরেন, জারিন আর আন্নি হক উৎসুক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে জাকির জামান বললেন,“তুমি তো বললে মেয়েটার বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। তাহলে এখন আর আমাদের কী করার আছে? আমরা প্রস্তাব নিয়ে গেলেই যে তারা বিয়ে ভেঙে দিবে এটা ভাবা ভুল।”
আন্নি হক বললেন,“চেষ্টা করতে দোষ কী? হয়তো ওনারা ওদের সম্পর্কটা মানতেও পারে।”
জাকির জামান স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন,“ওই পরিবারের আরেক মেয়ের জন্য তোমার মেয়ে কষ্ট পেয়েছে, ভুলে গেছো?”
জারিন বলল,“এসবের সাথে ওসব কথা কেন গুলাচ্ছ বাবা? ওসব বাদ দাও। এখন শুধু ভাইয়ার ব্যাপারে ভাবো।”
“তোমার ভাইয়ের এখনও লেখাপড়া শেষ হয়নি। বিয়ে করতে চাইছে কোন আক্কেলে তাই তো বুঝতে পারছি না।”
এরেন বলল,“বিয়ে করলে আমার লেখাপড়া থেমে যাবে না বাবা। তাছাড়া আমার তো আর চাকরি-বাকরি খোঁজার ঝামেলা নেই। লেখাপড়া আজ শেষ হোক বা কাল, তোমার বিজনেসের দায়িত্বই তো নিব।”
“ওই পরিবারের সাথে আমাদের স্ট্যাটাসে অনেক তফাৎ।”
“তুমি ভালো করেই জানো আমি কোনো সম্পর্কের মাঝে স্ট্যাটাস খুঁজি না।”
জাকির জামান রাগত কন্ঠে বললেন,“মানলাম তোমার সব কথা। কিন্তু তুমি এটা কী করে ভাবলে যে অন্য কারো সাথে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে জেনেও আমি প্রস্তাব নিয়ে যাব? আমার কি মান সম্মান বলে কিছু নেই?”
“এত খুঁত ধরার মানে কী? তুমি মানতে চাইছো না?”
“না।”
জাকির জামানের সোজাসাপ্টা উত্তর বাকি তিনজনের মুখ অন্ধকার করে দিলো। জারিন বলল,“বাবা প্লিজ, ভাইয়ার জন্য একটু চেষ্টা করো। সাকিব ভাইয়ার বোনকে আমি দেখেছি। মেয়েটা খুব মিষ্টি দেখতে। আচার-আচরণও খুব ভালো। ভাইয়ার জন্য একদম পার্ফেক্ট।”
জাকির জামান মেয়ের কথায় কানই দিলেন না। আন্নি হক বললেন,“তোমার ছেলে ওই মেয়েটাকে খুব পছন্দ করে। এভাবে নিরাশ করলে ছেলেটা কষ্ট পাবে।”
“দু একদিন হয়তো কষ্ট পাবে, তারপর ভুলে যাবে। মাস্টার্স শেষ হলেই বিজনেসের দায়িত্ব দিয়ে আমি ওকে বিয়ে করাব।”
এরেন বলল,“ততদিন অপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব না বাবা। আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাই না।”
জাকির জামান কারোর কথা তোয়াক্কা না করে সোফা ছেড়ে উঠে রুমের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বললেন,“আমি যেখানে না বলে দিয়েছি সেখানে আর আমার সিদ্ধান্ত পাল্টাবে না।”
জারিন উঠে জাকির জামানকে পিছু ডাকতে ডাকতে চলে গেল। এরেন গোমড়া মুখে আন্নি হকের দিকে তাকাল। আন্নি হকের মুখটা চুপসে গেছে। ছেলেকে তাকাতে দেখে তিনি বললেন,“আমি বুঝিয়ে বলব। চিন্তা করিস না।”
এরেন মেঝের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল,“ওকে ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব না আম্মী। যে করে হোক বিয়েটা আটকাতে হবে। আর তার জন্য বাবাকে আগে রাজি হতে হবে। অলরেডি একটা দিন কেটে গেছে। আর মাত্র নয় দিন বাকি আছে। মেয়েটার মনের অবস্থা একদম ভালো না। এমনিতেই ও অল্পতে ইমোশনাল হয়ে পড়ে।”
আন্নি হক মাথা দুলিয়ে বললেন,“দেখছি কী করা যায়। ঘুমাতে যা। অনেক রাত হয়েছে।”
এরেন চুপচাপ উঠে নিজের রুমে চলে গেল। দরজা লক করে লাইট বন্ধ করে বিছানায় ক্লান্ত দেহটা এলিয়ে দিলো। চোখ বন্ধ করতেই ইলোরার মুখটা ভেসে উঠল। বিকাল থেকে মেয়েটার সাথে একবারও কথা হয়নি। চোখ খুলে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে বেড সাইড টেবিল থেকে ফোনটা হাতে নিল। ইলোরার নাম্বারে ডায়াল করল। ইলোরা এতক্ষণ তার ফোনের অপেক্ষাতেই ছিল। কল করার সাথে সাথেই রিসিভ করল। ইলোরা হ্যালো বলতেই এরেনের গলায় কথা আটকে গেল। ফোন তো করল, কিন্তু এখন কী জবাব দিবে মেয়েটার কাছে? কী করে বলবে যে বাবা মানতে নারাজ? ইমোশনাল মেয়েটা এসব শুনলে নিশ্চিত ভুলভাল কিছু করে বসবে। এরেনের সাড়া না পেয়ে ইলোরা তিনবার হ্যালো হ্যালো করল। এরেন বড়ো একটা শ্বাস নিয়ে বলল,“শুনছি।”
ইলোরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল,“চুপ করে ছিলে কেন?”
“নেটে প্রবলেম ছিল বোধ হয়। শুনতে পাইনি।”
“আঙ্কেল কী বলল?”
“বলেছে ভেবেচিন্তে কাল জানাবে”, মিথ্যা বলল এরেন।
ইলোরা চিন্তিত কন্ঠে বলল,“যদি রাজি না হয়?”
“আম্মী আছে তো। আম্মী বুঝিয়ে বললে বাবা ঠিক বুঝবে।”
“আমার তা মনে হচ্ছে না।”
“তুমি বেশি বেশি ভাবছো। ডিনার করেছ?” কথা ঘুরানোর চেষ্টা করল এরেন।
ইলোরা মিনমিনে গলায় বলল,“না।”
এরেন নিশ্চিত ছিল ইলোরা আজ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় রাতের খাবার খাবে না। সে শান্ত কন্ঠে বলল,“চুপচাপ গিয়ে খেয়ে নাও।”
“এখন রাত বারোটা বাজে। বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি আগেই বলে দিয়েছি আমি খাব না। এখন আবার চোরের মতো খেতে যাব?”
“নিজের বাড়িতে আবার কিসের চোর?”
“ধুর! কী নিয়ে পড়লে তুমি? বাদ দাও। আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।”
এরেন মুখ দিয়ে চ-সূচক শব্দ করে বলল,“করো চিন্তা। আমাকে তো বিশ্বাস বা ভরসা করাই যায় না, তাই না? চিন্তা করে যদি সমাধান পাও তো নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘন্টা চিন্তাই করো।”
ইলোরা মিনমিনে গলায় বলল,“রাগ করছো কেন?”
এরেন নিজেকে সামলে বলল,“অনেক রাত হয়েছে, ঘুমাও। সকালে তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করবে। মনে থাকবে?”
ইলোরা ছোটো একটা শব্দ করল,“হুম।”
“আল্লাহ্ হাফেজ।”
এরেন ফোন কেটে দিয়ে ফোনটা বিছানার একপাশে ছুঁড়ে মারল। তারপর দুহাতে মুখ ঢেকে জোরে শ্বাস নিল। ইলোরাকে বুঝতে না দিলেও তার প্রচন্ড চিন্তা হচ্ছে। কারণ তার বাবা সম্পর্কটা মানতে চাইছে না বলেই নানা রকম কারণ দেখাচ্ছে। আম্মী বুঝালেও বুঝবে কি না কে জানে? এভাবে তো হাল ছাড়া যাবে না। যে করেই হোক বাবাকে রাজি করাতেই হবে। তারপর না হয় সাকিবকে বুঝিয়ে বলা যাবে। সাকিব জানলে যে বিয়েটা হতে দিবে না, তা সে একদম নিশ্চিত। এখন শুধু আগামীকাল বাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষা।
চলবে…………………🌸