সূর্য ডোবার আগে পর্ব-৩

0
2881

#সূর্য_ডোবার_আগে
পর্ব-৩
লেখিকা ~ #সুমন্দ্রামিত্র
কঠোরভাবে প্রাপ্তমনষ্কদের জন্য।
.
.
.

ব্রাশ করে, মুখচোখ ধুয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়েই শুভদীপ দেখল মা খাবার আগলে বসে হয়েছে। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত, আলুভাজা, ডিমসেদ্ধ।সকাল সকাল জলখাবারে ভাতের থালা দেখলেই মেজাজ গরম হয়ে যায় শুভদীপের। বেজার মুখে খাবার টেবিলে এসে বসতে না বসতেই ভাস্বতীদেবী হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন ছেলের দিকে।

—চুলটা আবার কি করলি? ওমন মাথার ওপর খ্যাংড়াকাঠি হয়ে আছে!! আয় দেখি এদিকে, ঠিক করে দিই!

বলেই শুভদীপের মাথায় হাত দিতে ওর সদ্য ওয়াক্স লাগানো সেট করা চুলে হাত দিতে গেলেন ভাস্বতীদেবী। ছিটকে সরে গেলো শুভদীপ।

— স্টপ ইট মা!! আমি এখন আর ছোটো নেই, যথেষ্ট বড়ো হয়েছি, সবসময় বাচ্ছাদের মতো করে ট্রিট কোরোনা আমাকে। বন্ধুরা হাসে আমায় দেখে। আর রোজ রোজ ব্রেকফাস্টে ভাত দাও কেন? বারণ করেছি না সকাল সকাল আমাকে ভাত খাওয়াবে না? আবার আগলে বসে আছো! যতসব মিডলক্লাস আদেখলেপনা!

ভাতের থালা ঠেলে দিয়ে জলখাবার না খেয়েই বেরিয়ে গেলো শুভদীপ। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন ভাস্বতীদেবী। তাঁর ছোট্ট শুভ এতটা বড়ো হয়ে গেল যে মা’র খাবার বেড়ে দেওয়াটা আদেখলেপনা লাগে? কই তিনি তো লক্ষ্য করেন নি! দূর থেকে এতক্ষন সব দেখছিলেন রন্জনবাবু। এবার চেঁচিয়ে উঠলেন

— বারণ করেছিলাম ছেলেকে এত আস্কারা দিও না! মধ্যবিত্ত্য বাড়ির কষ্টটা বুঝতে দাও! তা নয়, মেয়ে খেটে খেটে মরছে আর বেকার ছেলের মুখ থেকে খসাতে না খসাতেই সব জিনিস চলে আসছে। মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব কিনে দেওয়া হলো, এখন বোঝো! ঘরে এত রোয়াব! কি জানি রাস্তাঘাটে কি করে বেড়াচ্ছে।

রন্জনবাবুর চিৎকারে ঘোরটা ভাঙলো ভাস্বতীদেবীর, কিছুটা আমতা আমতা করেই বললেন

— ও কিছু না! বোধহয় কোনো বাজে স্বপ্ন টপ্ন দেখেছে ভোররাতে, মুড অফ ওর কোনো কারণে। একটু পরই সব ঠিক হয়ে যাবে।

— এখনো, এরপরও তুমি ওকে সাপোর্ট করবে? সময় থাকতে রাশ টানো ভাস্বতী, পরে কিন্তু হাজার কেঁদেও আমরা কিছু করতে পারবো না!

কথায় কথায় ছেলেকে বার বার দোষারোপ করা রন্জনবাবুর, সেটাই আরো বিরক্ত করে তোলে ভাস্বতীদেবীকে।

— আহঃ, যে যূগের যেমন ধর্ম! সবেতেই শুভকে বিনাকারণে দোষ দেওয়াটা কবে বন্ধ করবে বলো তো? এই তো সবে কলেজ শেষ হল, এখনো চাকরিটাও পেলো না। সবসময় কেমন মনমরা হয়ে থাকে, দেখেছো?! কোথায় এসময় ওকে আমরা সাপোর্ট করবো, মনোবল বাড়াবো তা নয়, সকাল সকাল ওর দোষগুণের বিচারসভা বসাচ্ছো তুমি?

— সেই!! তুমি তো আমাকেই ধমকে চুপ করাবে, ছেলেকে কিছুই বলতে পারবেনা। তিন্নি ওর বয়সে চাকরিতে ঢুকে গিয়েছিলো ভাস্বতী, মেয়েটা বারো ঘন্টা যাতায়াত করে এই ঝড় বৃষ্টিতেও অফিস করছে আর সেই মেয়েকে তুমি না খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে বাধ্য করো!

— হ্যাঁ হ্যাঁ ! সব দোষ তো আমার, তোমার আদরের মেয়ে তো ধোয়া তুলসীপাতা! ছোটো থেকে গুণধরী, বিদ্যাধরী মেয়েকে দেখতে গিয়ে ছেলেকে অবহেলা করেছো তুমি। আজ না হয় কাল, তিন্নি পরের বাড়ি চলেই যাবে। ওই কটা তো পেনসন পাও, পঙ্গু বাবা নিয়ে ছেলের মুখাপেক্ষী হয়েই আমাকে বাকি জীবন কাটাতে হবে, সেকথা ভেবেছো?

ব্যথাতুর গলায় রন্জনবাবু বললেন

— তিন্নির লেখাপড়ায় ভালো হওয়াটা তোমার কাছে খারাপ? তিন্নির জায়গায় শুভ হলে তুমি এগুলো বলতে পারতে? ভবিষ্যত ছেড়ে বর্তমানের দিকে তাকাও ভাস্বতী। মেয়ে তোমার সংসার চালাচ্ছে আর ছেলে বেকার হয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে টো টো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটু শক্ত হাতে হালটা ধরো, না হলে তিন্নির থেকে শুভ তোমায় বেশী দুঃখ দেবে এই বলে রাখলাম।

 

চুপ করে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে রান্নাঘরে ঢুকে গেলেন ভাস্বতীদেবী। রন্জনবাবুর কথায় কান দিলে এখন চলবে নাওনার , মালতি এসে ঠিক কাজ গুলো সেরে দিয়ে গেলে ওনাকে একবার বাজারটাও যেতে হবে। শুভ বাজার করে দিয়ে যায় নি, ওঁনাকেই বেরোতে হবে।

***********************–***********************

.

.

বৃষ্টিটা আবার শুরু হয়েছে। ট্রেন অটো সব পেরিয়ে যখন সেক্টর ফাইভের চোদ্দতলার অফিসে ঢুকলো তিন্নি, সকাল তখন সাড়ে নয়টা। ওডিসির ফ্লোরের মেয়েদের ওয়াশরুমটায় ঢুকে সাবান দিয়ে অনেকক্ষন ধরে হাত ধুলো ঘষে ঘষে তিন্নি, এটা ওর স্বভাব। রুমাল দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া চুল রুমাল দিয়ে মুছে ব্যাগে রাখা কাজলটা চোখে টেনে নিল তিন্নি, আর ঠোঁটে একটু লিপগ্লস। আগে এসব লাগাতো না, এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। কাজল না লাগালে অফিসের ওই চড়া সাদা আলোতে কেমন যেন অসুস্থ লাগে তিন্নিকে, চোখের তলার কালিটা আর একটু প্রকট হয়, মুখটা আর একটু বিষন্ন লাগে। তাতেও তিন্নির কিছু যায় আসতো না কিন্তু ওই যে মানুষের কৌতুহল! চারপাশের আট দশটা মুখ বারবার তিন্নিকে জিজ্ঞেস করবে “কি ব্যাপার সীমন্তিনী? কাকুর শরীর খারাপ? বাড়িতে এনি প্রবলেম!”

অনর্থক উটকো প্রশ্নগুলো এড়াতে তিন্নি তাই চেষ্টা করে অফিসে টিপটপ থাকার। মেকী হাসিটা ঠোঁটের আগায় হালকা ঝুলিয়ে ফ্লোরে এলো তিন্নি। নিজের নির্দিষ্ট কিউবিকলে বসে কম্পিউটারটা অন করতে না করতেই পাশের কিউবিকল থেকে সায়ক মুখ বাড়ালো।

— কি রে আজও লেট?

— লেট কই রে? দশটাও বাজে নি!!! হালকা হেসে হাতঘড়িটা উল্টে দেখলো তিন্নি!

— বাহ্। মিথিলেশ সেদিন টীম মিটিংয়ে বললো যে এবার থেকে সবাইকে সাড়ে নয় ঘন্টা ডিউটি করতেই হবে। তুই তো আবার ছয়টা বাজার আগেই পালিয়ে যাস অফিস থেকে।

মুখ তুলে আবার একটু হাসলো তিন্নি — আজ শনিবার! মিথিলেশদার শিফ্ট নেই!

সায়ক একটু চুপ করে কেমন যেন সিরিয়াস গলায় বললো — আগামী মাস থেকে কিন্তু কোম্পানি টাইমট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করছে। আই ডি কার্ডে চিপ লাগানো থাকবে, সোয়াইপ করে অফিস ঢুকতে হবে, ন’টার একটু পর হলেই সোজা এইচ.আর থেকে মেল আসবে।

মুখ তুলে স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষন সায়কের চোখের দিকে তাকালো তিন্নি, তারপর চোখ ফিরিয়ে নিল।

— ভয় পাওয়াচ্ছিস সায়ক?

— খামোকা ভয় কেন পাওয়াবো সীমন্তিনী? তুই বাকিদের জিজ্ঞেস করে দেখ। কবে থেকে বলছি এই সল্টলেক নিউটাউনেই একটা পিজিতে থেকে যা সপ্তাহের পাঁচদিন, বাকি দুদিন বাড়ি থাকিস। প্রতিদিন রোদ জল বৃষ্টিতে তিনঘন্টার জার্নি করিস,এভাবে আর কদিন টানবি?

— বাড়িতে শুনবে না রে।

একদৃষ্টিতে কম্পিউটারের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে খুব আস্তে করে বিড়বিড় করলো তিন্নি। সায়ক শুনতে পেলো না ঠিক, উঠে এলো সীমন্তিনীর কিউবিকলে।

—-কি বললি??

নিজেকে সামলে নিলো তিন্নি। মুখ তুলে বললো

— ও আমি ম্যানেজ করে নেবো ঠিক।

— তোর ভালোর জন্যই বলছি সীমন্তিনী। তুই তো একা ঘরকুনো নস, আমরা সবাই বাড়ি মিস করি। এতদিন অজয়দা টিমলিড ছিল, ও তোকে খুলা ছুট দিয়েছিলো! নেহাত কাকুর ব্যপারটা সবাই জানে…তাই। তুই এত রিজিড,এখন কিন্তু অফিসে হালকা কানাকানি শুরু হয়েছে তোকে নিয়ে। সবার পরে অফিস আসিস, সবার আগে বেরোস। শিফ্টের ডিউটি করিস না, রোববার অনকল নিস না। মিথিলেশ নতুন টিমলিড তার ওপর বিহারী। এসব বাড়ি নিয়ে বাঙালী সেন্টিমেন্ট ও শুনবে না!

— আমার কাজটা কি আমি করি না সায়ক? এই ডিপার্টমেন্টে কেউ আমার কাজ নিয়ে একটা আঙুল তুলতে পারবে? আজ অবধি একটা ডেডলাইন মিস হয়েছে? আর ক্লায়্ন্ট আ্যপ্রিশিয়েশন?? এগুলো ম্যাটার করে না?

শেষের দিকে গলাটা একটু জোরেই হয়ে গিয়েছিলো তিন্নির, নিজেকে সামলে নিল। ততক্ষনে সবাই ওদের দিকে তাকাচ্ছে। চট করে তিন্নির কম্পিউটার স্ক্রীনটা লক করে সায়ক ওর হাত ধরে টানলো

— এখানে এসব বলিস না। নীচে চল, চা খেতে খেতে বলছি।

মুখটা একটু শক্ত হয়ে উঠলো তিন্নির। সায়কের হাতটা ছাড়িয়ে লিফ্টের দিকে এগোলো। একটু থমকে সায়কও এগোলো তিন্নির পিছুপিছু। ঠান্ডা অফিস কিউবিকল থেকে আট দশ জোড়া কালো খয়েরী চোখ চেয়ে রইলো ওদের গমনপথের দিকে।

 

লিফ্টের সামনে এসে সায়ক দেখলো তিন্নি বারবার লিফ্টের বোতাম টিপছে। দুর থেকে চেঁচিয়ে কিছু বলতে গিয়েও থমকে গেল সায়ক। কচি কলাপাতা রঙা চিকনকুর্তিতে সীমন্তিনীকে আজ যেন বর্ষামঙ্গলের নায়িকা লাগছে। মেয়েটার ড্রেসিং সেন্স অনবদ্য! যবে থেকে সীমন্তিনী ওদের প্রজেক্টে জয়েন করেছে, তবে থেকে ওর প্রতি সায়কের হালকা একটা দুর্বলতা তৈরী হয়ে গেছে। পরে অজয়দা যখন জানিয়েছিল, সীমন্তিনীর বাবা নাকি কোমড়ের তলা থেকে প্যারালাইসড, সংসারের সব ভার সীমন্তিনীর ওপর, এটা জানার পর থেকে দুর্বলতার পাশাপাশি একমুঠো শ্রদ্ধাও জমা হয়েছে সায়কের মনে! প্রথম আলাপেই জেনে নিয়েছিল ওরা দুজনে একই ব্যাচমেট তবে অন্য কলেজ ওদের। নতুন অফিসে প্রজেক্টের প্রথমদিন সীমন্তিনীকে দেখেই ধাঁ করে ঘুড়ি কেটে গিয়েছিলো সায়কের। কিছু কিছু মেয়েকে ফর্সা রং ঠিক মানায় না, সীমন্তিনী সেই মেয়েদের দলে। না ফর্সা না শ্যামলা, না লম্বা না বেঁটে, না গম্ভীর না মিশুকে- সীমন্তিনীকে কোনো ক্যাটাগরিতেই ফেলা যায় না! খুব সাধারণ, অথচ অন্যরকম। এই অন্যরকমটা ঠিক কোন রকম, ধাঁধু কোডিং এক্সপার্ট সায়ক গুলিয়ে ফেলে প্রায়ই – সীমন্তিনীর টানা টানা কাজল রাঙানো চোখদুটো নাকি ওর চোখে লেগে থাকা বিষন্নতার কালো? সীমন্তিনীর মুখ চাপা হাসি নাকি ওর হাসির মধ্যে লুকিয়ে থাকা উদাসীনতা? যদিও ওর সাথে কয়েকদিন মিশেই সায়ক বুঝতে পেরেছে… অফিসে, টিম মিটিংয়ে সীমন্তিনী যেন থেকেও নেই। ওর চোখদুটো কম্পিউটার বা প্রোজেক্টরের স্ক্রীনে এঁটে থাকলেও, মনটা যেন পাড়ি দিয়েছে শহরের অন্য কোন ঠিকানায়, নাকি বঙ্গোপসাগরের তলায়। তবে এতে কিন্তু ওর কাজে কোনো প্রভাব পড়ে না! ঝড়ের গতিতে সব কোডিং নামিয়ে দেয়, এক একটা ফাংকশনাল রিকোয়ারমেন্ট, প্রেজেন্টেশন একদম মাখনের মত মসৃন! একটুও ভুল হওয়ার উপায় নেই। আর হবে নাই বা কেন? দিন কয়েক পরে কানাঘুসোয় সায়ক শুনেছিল সীমন্তিনী আচার্য্য ওদেরই ব্যাচের মাধ্যমিকে নবম, উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম রাঙ্ক করেছিল রাজ্যের মধ্যে। বলতে গেলে একটু সম্ভ্রম বোধই চলে এসেছিল সায়কের মধ্যে। একজনের মধ্যে এত প্রতিভা! আই.টিতে কি করছে এ!! সীমন্তিনীকে ইমপ্রেস করতেই হয়তো প্রথমদিকে সায়ক আপ্রাণ চেষ্টা করতো পারফেক্ট কোডিং করার। কিন্তু তারপর দেখলো লাভ নেই। সীমন্তিনী ওকে লক্ষ্যও করে না। সীমন্তিনী কাউকেই লক্ষ্য করে না।শুধু মুখ বুজে নিজের কাজটা করে যায় যন্ত্রমানবের মতো।

লিফ্টটা চলে আসার শব্দে ঘোর কাটল সায়কের। দৌড়ে লিফ্টটায় ঢুকলো দরজা বন্ধ হওয়ার ঠিক আগের সেকেন্ডে। তিন্নির দিকে তাকালো — আমার জন্য ওয়েট করলি না যে বড়?

বিষন্ন কালো চোখদুটো তুলে সীমন্তিনী বললো — তুই জীবনানন্দ দাশের কবিতা পড়িস?

আচমকা জীবনানন্দ দাশের নাম শুনে ধাঁ করে আবার মাথা ঘুরে গেল সায়কের। আমতা আমতা করে বললো —না, মানে সিলেবাসে ছিল যেটুকু।

ম্লান একটা হাসি ফুটে উঠল সীমন্তিনীর ঠোঁটের আগায়। খুব ধীরে ধীরে বললো

নীলকণ্ঠ পাখিদের ডানা গুঞ্জরণ
ভালোবেসে আমাদের পৃথিবীর এই রৌদ্র;
কলকাতার আকাশে চৈত্রের ভোরে যেই
নীলিমা হঠাৎ এসে দেখা দেয় মিলাবার আগে
এইখানে সে আকাশ নেই;
রাতে নক্ষত্রেরা সে রকম আলোর গুঁড়ির মতো অন্ধকার অন্তহীন নয়।

 

আর থাকতে না পেরে খুব কাতর গলায় বলে উঠলো সায়ক — তোর এত কিসের দুঃখ সীমন্তিনী? একটুও কি আমাকে বলা যায় না??

সায়কের কথা যেন কানেই যায়নি তিন্নির, একই ভাবে আবৃত্তি করে যেতে লাগলো। ধীর গলায় স্পষ্ট উচ্চারনে ওর গলা ধাতব লিফ্টে যেন গমগম করে উঠলো।

এখন বাতাসে শব্দ নেই-তবু
শুধু বাতাসের শব্দ হয়
বাতাসের মত সময়ের
কোনো রৌদ্র নেই, তবু আছে
কোনো পাখি নেই, তবু রৌদ্রে সারাদিন
হংসের আলোর কণ্ঠ র’য়ে গেছে;
কোন রাণী নেই-তবু হংসীর আশার কণ্ঠ
এইখানে সাগরের রৌদ্রে সারা দিন।

 

 

চোদ্দতলা থেকে লিফ্টটা একতলায় নামতে তিন্নি বাইরে এগিয়ে গেল স্নিকার্স পায়ে, বৃষ্টিটা আবার শুরু হয়েছে। লিফ্টের মধ্যে হততম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সায়কের মনে হল সীমন্তিনী ঠিক যেন এক রাজহাঁস। জল কেটে এগিয়ে যাচ্ছে অথচ জলে ভিজছে না। আই.টি ফার্মের লিফ্টে জীবনানন্দ আওড়ানো কোডিং এক্সপার্ট, কচি কলাপাতায় রাঙানো অদ্ভুত ওই নারীর এগিয়ে চলার দিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাঁ করে চেয়ে রইলো সায়ক!

ক্রমশঃ

© সুমন্দ্রা মিত্র। ভালো লাগলে নামসহ শেয়ার করবেন।

-পরবর্তী পর্ব কাল দুপুর দুটোয়-

সকল পর্বের লিঙ্ক~
Video Teaser
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/145475543838322/?vh=e&d=n
Part 1
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/145129087206301/?d=n
Part 2
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/145859077133302/?d=n
Part 3
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/146221053763771/?d=n
Part 4
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/146595433726333/?d=n
Part 5
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/147293876989822/?d=n
Part 6
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/148075966911613/?d=n
Part 7
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/148530310199512/?d=n
Part 8
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/148951006824109/?d=n
Part 9
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/149405760111967/?d=n
Part 10
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/150313546687855/?d=n
Part 11
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/151106323275244/?d=n
art 12
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/151923336526876/?d=n
Part 13
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/152353663150510/?d=n
Part 14
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/154065792979297/?d=n
Part 15
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/156163186102891/?d=n
Part 16
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/157132182672658/?extid=QdVQFGSjLzQUsE31&d=n
Part 17
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/157444422641434/?extid=fI3jIc0PCiYXDa0N&d=n
Part 18
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/158095955909614/?extid=1E2JOZfMCmqscBoi&d=n
Part 19
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/158831902502686/?extid=R8zo6L2l274CIQ7r&d=n
Part 20
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/159626782423198/?extid=0e8jrLLhsuLqgsQX&d=n
Part 21
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/160047349047808/?extid=e9DIdFXAkqxTg77U&d=n
Part 22
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/160963752289501/?extid=EgYDh0z3hVr5TCBY&d=n
Part 23
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/161833698869173/?extid=gRK0HHMoLW0bu0gK&d=n
Part 24
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/162740122111864/?extid=KIR9o3zetBHgH9mt&d=n
Part 25
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/163061178746425/?extid=fhzBxEjnlA7n6Ulu&d=n
Part 26
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/163695728682970/?extid=tm0Y81ykORQhpsq9&d=n
Part 27
https://www.facebook.com/110448980674312/posts/164305438621999/?extid=WsYE2BjXkYvPmqyF&d=n

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here