সেঁজুতি পর্ব_২০

0
1817

#সেঁজুতি(পর্ব_২০)
#লেখা_সুমাইয়া_আক্তার_মনি

কেউ হুম হুম অসুখের রোগী হলে আমিও ডাক্তার হতে পারি। সে কি জানে এসব?

সাওনের কথায় হেসে দেয় সেঁজুতি। ছোট করে বলে,” আমিও ভীষণ ভয়ংকর রোগী। আমার অসুখে ডাক্তারকেও আক্রান্ত করতে পারি।”

সেঁজুতির কথায় হেসে দেয় সাওন। সেঁজুতি নিজেও হাসে।

.

সকালে তৈরি হয়ে নাশতা করার সময়ে বড় আপু আসলো। না হলে আর দেখা মিলবে না আজ। শান্ত ভাবে বলল,” বেলা দশটার দিকে যাবো, আমরা। ”

সাওন খাবার ঠোঁটের কাছে নেওয়ার সময়ে কথাটি বলেন বড় আপু। খাবার মুখে দিয়ে চিবিয়ে, পানি খেয়ে বড় আপুর দিকে তাকালো সাওন। শান্ত ভাবে বলল,” হঠাৎ সবাই যাচ্ছেন যে! ক’দিন বেড়াতে পারেন তো। তাছাড়া আশিক আসছে মামা বাড়িতে কিছু তো করতে পারিনি এখনও। ভাইয়া না হয় পুরনো হয়ে গিয়েছে৷ আশিক তো ছোট। ”

সাওনের কথা শুনে ওর বোন বলল,”আশিককে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না। মামা বাড়ি ক’দিন বেড়িয়েছে এটাই অনেক। ”

বড় আপুর কথায় সাওন শান্ত ভাবে বলল,” ঠিকাছে। যা ভালো মনে করেন তাই করবেন। ”

বড় আপু আমতা-আমতা করে বলল,” মাকে নিয়ে যাবো আমাদের সাথে?”

বড় আপুর কথা শুনে তার দিকে মাথা ঘুরিয়ে তাকালো সাওন। অস্ফুটস্বরে বলল,” মা যাবে কেন? এমনিতেই ঝামেলা এখন মা গেলে তো কাহিনী রটবে। ”

বড় আপু শান্ত ভাবে বলল,” শাশুড়ি তার মেয়ের বাড়িতে গেছে। তাছাড়া আমার মা আমার বাড়িতে যেতেই পারে। কয়েকদিন বেড়িয়ে আসুক। ”

সাওন শান্ত ভাবে বলল,” মা যেতে চাইলে নিয়ে যান।”

বড় আপু বলল,”তুই একা থাকবি? না-কি শ্বশুর বাড়ি যাবি?”

বড় আপুর কথা শুনে সাওন বলল,”দেখি কী করা যায়!”

বড় আপু বলল,”আমরা বিকেলে যাবো, তোর সাথে দেখা হবে না। আমরা সারাজীবন চাই, আমাদের একটামাত্র ভাই ভালো থাকুক। সবসময় ভাইয়ের ভালো চাই। কোনো বোন তো ইচ্ছে করে ভাইয়ের খারাপ চাইবে না। তবুও যদি কোনো কারণে কষ্ট দিয়ে থাকি, মনে রাখিস না কিছু। তাছাড়া তোর সংসারে ফিরে তাকাবো না। তুই ভালো থাক এটাই চাই।”

বড় আপুর কথায় চুপ হয়ে যায় সাওন। বড় আপু বলে,” অফিসে যা৷ আজকে আর দেখা হবে না। কিন্তু বোন দু’টোর খোঁজ-খবর রাখিস। বাবা তো নাই। মা আজ আছে কাল নেই। থাকবি একটামাত্র ভাই। বোন আছে না-কি মারা গেছে একটু খোঁজ রাখিস। ”

বড় আপুর কথায় সাওন চুপ হয়ে বসে থাকে। বড় আপু কিছু না বলে চলে যায়। অফিসে যাওয়ার আগে আশিককে ডেকে কোলে বসালো সাওন। কপোলে চুমু খেয়ে আশিকের শার্টের পকেটে দু ‘ হাজার টাকা রাখে। আশিকও ওর মামার গলা জড়িয়ে ছোট হাসি উপহার দেয়।

বাসার ডুপ্লিকেট চাবি সবসময় সাওনের ওয়ালেটে থাকে। সবার থেকে বিদায় নিয়ে অফিসে চলে যায় সাওন।

সকাল ন’টা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে বাসা থেকে বের হয় সবাই। সাওনের খাবার গোছানো সব। তাছাড়া শ্বশুর বাড়িতে গেলে তো হলোই। আনোয়ারা বেগমকে বড় মেয়ে আর মেয়ে জামাই নিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন বেড়ানোর পরে চলে আসবে।

.

সকাল থেকে সেঁজুতির সাথে কথা হয়নি সাওনের। সেঁজুতি ঘুমে ছিল তাই ফোনকল দেয়নি। এখন সাওন নিজেই ব্যস্ত রয়েছে অফিসের কাজে, তাই কথা বলা হয়নি।
অফিস থেকে ফেরার পরে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সাওন। তন্দ্রার মতো পরেছে কেবল তখনি সেঁজুতির ফোনকলে ধড়ফড়িয়ে উঠে। ফোনকল ব্যাক করার পরে অপরপাশ থেকে সেঁজুতি বলে,”আজকে একবারও কল দিলেন না, কেন!”

সাওন বলল,”তুমি তো হুম হুম ছাড়া কথা জানো না আর আপনি আপনি ছাড়া কথা বলতে জানো না ; তাই ফোনকল দেইনি। ”

সাওনের কথায় শব্দ করে হেসে দেয় সেঁজুতি। হেসে বললো, “বুড়ো বয়সে ভীমরতি!”

সেঁজুতির কথা শুনে থতমত খায় সাওন। নিজেও হেসে দেয় সেঁজুতির কথা শুনে। হাসতে হাসতে বলে, “আমি বুড়ো!”

সেঁজুতি বলল,” আপনার চুল দেখেছেন, ভালোভাবে! মাথাভর্তি কালো ঘন চুলের মাঝে মাঝে সাদা চুলের দেখা মিলে। জোনাকি চুল! যা-ই হোক না কেন আমার কাছে বুড়ো লাগে। আমার বুড়ো। ”

সাওন হেসে বলে,”বাবুই পাখির বুড়ো হলে আমার আফসোস নেই। বুড়োর কথা শুনতে হয়, না হলে বুড়ো রেগে গেলে কিন্তু সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটে যায়। কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়, অবশেষে ডাক্তারিতেও সফলতা পেলাম! কয়েকঘন্টা ফোনকল দেইনি এর জন্যই হুম হুম অসুখ শেষ হয়ে গেল আর বউ পক্ষে চলে আসলো। আজ থেকেই চেম্বার খুলবো৷ ”
কথাগুলো বলেই সাওন হেসে দেয়।

সাওনের প্রথম কথাগুলো শুনে লজ্জায় চুপ হয়ে যায় সেঁজুতি। কথার মাঝে আপনা-আপনিই বলে দিয়েছে ‘আমার বুড়ো’। এর উল্টো জবাব সাওন দিয়ে দিয়েছে, এরজন্য লজ্জায় চুপ হয়ে যায় সেঁজুতি। কিন্তু সাওনের শেষের কথা শুনে শব্দ করে হেসে দেয়। সাওন নিজেও হাসে।

সেঁজুতি জিজ্ঞেস করলো,”আশিক কেমন আছে? কী করে?”

সাওন বললো,”আলহামদুলিল্লাহ ভালো। ও বাড়িতে চলে গিয়েছে। ”

সেঁজুতি বলল,”ওহ। মেজো আপু?”

সাওন শান্ত ভাবে বলল,”মেজো আপু গতকাল বিকেলে গেছে, আজ সকালে বড় আপুরা। ”

সেঁজুতি বলল,”আম্মা আর তুমি বাসায়? ”

সাওন কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,”মা বড় আপুর সাথে তার বাড়িতে গেছেন। ”

সেঁজুতি দৃঢ় ভাবে বললো, “তুমি একা রয়েছো। আর একবারের জন্যও বলার ইচ্ছে হয়নি! ”

সেঁজুতির কথায় চুপ হয়ে যায় সাওন। সেঁজুতি বলল,” এখন কী করবা?”

সাওন নিশ্চুপ।

সাওনের থেকে কোনো জবাব না পেয়ে ফোনকল কেটে দেয় সেঁজুতি। নিজেকে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল করতে চায়। রাগ তো কোনোভাবেই দেখাবে না। কিন্তু সাওনের উপরে রাগ হচ্ছে। নিশ্চয়ই বাসার খাবার পেটে পরেনি। একা বাসায় আছে, কী খাবে! এমনিতেই ঘরে-বাইরের সমস্ত চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে, এ অবস্থায় একা থাকা কতটুকু যুক্তিযুক্ত! এটা ভেবেই রাগ হচ্ছে সেঁজুতির। একবারের জন্যও বলার প্রয়োজন মনে করেনি।

.

সাওন চুপচাপ শুয়ে আছে। হঠাৎ এমন রিয়াক্ট করবে বুঝতে পারেনি। কীভাবে যাবে সেঁজুতির বাড়িতে! তাছাড়া, সেঁজুতি নিজেও এত তাড়াতাড়ি আসবে কি-না শঙ্কায় ছিল সাওন।
সেঁজুতির ভাই বলেছিল, “সবকিছু ঠিকঠাক করার পরে সেঁজুতি আসবে।” এখনও সব ঠিক আছে কি-না জানা নেই সাওনের। তাছাড়া, আজকেই তো সবাই গেল। ভালো খারাপ তো জানা নেই।

.

সেঁজুতির ভাবি চা দিতে এসে দেখে, সেঁজুতি চুপচাপ বসে আছে। চোখ-মুখ কেমন হয়ে আছে। রাগ, অভিমান সব একসাথে জমা হয়ে আছে। সেঁজুতির ভাবি জিজ্ঞেস করলো, ” কী হয়েছে?”

সেঁজুতি কিছুক্ষণ চুপ থেকে সাওনের কাণ্ড গুলো বললো। ভাবি ওর কথা শুনে ‘থ’ হয়ে বসে আছে। ধীর কণ্ঠে বললো, “তোমার ভাই বলেছিল, সবকিছু ঠিকঠাক করার পরে না-কি তুমি ওর সংসারে পা রাখবে। এর জন্য হয়তো কিছু বলেনি। ”

সেঁজুতি দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “এরজন্য বাড়িতে একা থাকবে! বিয়ের পরে তো কম দেখিনি তার কাণ্ডজ্ঞান। নিজের জন্য সহজে জামাকাপড় কিনবে না, আমি ইচ্ছেকৃত ভাবে যদি কিছু দিতাম সেটা থাকতো। তাছাড়া আমি টাকা রোজগার করলে আলাদা কথা ছিল, যা ইচ্ছে তাই কিনতাম। কিন্তু সেই যোগ্যতা নেই তাই ভাইয়া যা টাকা দিতো, সে টাকা দিয়ে সাওনের জন্য কিনতাম। আমার তো লাগতো না। কারণ সাওন আমাকে কখনো কোনোকিছুতে অভাবে রাখেনি। শুধু সে নিজেই হিসেব করে থাকতো। এখন বাড়িতে একা আছে, নিশ্চয়ই না খেয়ে থাকবে। ”

সেঁজুতির কথাগুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় ভাবি। শান্ত ভাবে বললো,”অফিসে গেলে তো দুপুরেও খেতে আসে না বাড়িতে, তাই না?”

সেঁজুতি বললো,”হ্যাঁ। দূর হয়ে যায় না-কি অনেক। তারজন্য বাইরের খাবার খেতে হয়। কিন্তু আমি কয়েকবার টিফিন দিয়েছিলাম, সে নেয়নি। এসব টানাটানি ভালো লাগে না। আমি জানি ভাবি, সে টাকা খরচ করে উরাধুরা কিছুই করে না। বাসায় আসতে যেতে গাড়ি ভাড়া লাগে অনেক, এরজন্য সে চেষ্টাও করে না। যখন বাড়িতে আসে, আমি চুপচাপ থাকি। তবুও তার মা আর বোনদের জন্য চুপ থাকতে পারি না। সেও মাঝেমাঝে তাদের পক্ষে কথা বলতো। আমাকে বলতো আমি না-কি বেশি কথা বলি, ঝামেলা দেই, এরজন্য ক্ষেপে যেতাম। কিন্তু পরবর্তীতে যখন শান্ত হতাম তখন বুঝতাম, এই মানুষটি সারাদিন অন্য মানুষের খাটুনি করছে আমাদের জন্যই তো। তখন সবকিছু ঠিকই ভুলে যাই। কিন্তু একজনের পিছনে যদি হাজারো জন দোষ খোঁজার জন্য পরে থাকে, তখন কীভাবে শান্ত থাকি?”

ভাবি একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো,” সাওনের জন্য হলেও চুপ থাকা উচিত বোন। সবকিছু তো ওর মাথাতেই পরে থাকে! ঘরের চিন্তা, বাইরের চিন্তা এমনকি সংসারের সবার চিন্তাও ওর করতে হয়। একজন চুপ থাকলে অন্যজন কিছু বলেও শান্তি পায় না, সে আপনা-আপনিই চুপ হয়ে যায়। কারণ একা-একা আর কতক্ষণ কথা বলা যায়? এমন নয়, সাওন কিছুকিছু মানুষের মতো মাথা খারাপ। সারাদিন যদি কানের কাছে একই কাহিনী হয়ে থাকে তখন এমনিতেও মাথা খারাপ হতে বাধ্য। কিন্তু তবুও সাওন যথেষ্ট ভালো ছেলে। তুমি চুপ থেকে দেখো, সবাই ঠিকই চুপ থাকবে। তর্ক করলে জিততে পারে না, মন দিয়ে জিততে হয়। তুমি তোমার আচরণ দিয়ে মানুষ জয় করবা। দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে। অন্ততপক্ষে, সাওনের জন্য হলেও তোমার ঠিক করতে হবে।”

সেঁজুতি কাঁদোকাঁদো স্বরে বললো,”আমি ঠিক হবো কীভাবে! এই দেখো, আবারও সে বাড়িতে একা আছে এটাও বলেনি আমায়। খেয়েছে কি-না সেটাও জানি না। বাসায় থাকলে তো অফিস থেকে আসার পরেই খাবার গুছিয়ে রাখি। এখন বাসায় কেউ নেই, এখন নিজ ইচ্ছেতে খাবে সে!”

সেঁজুতির ভাবি শান্ত ভাবে বললো,” চা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। ঠাণ্ডা চা খেতে হবে না এখন। আমি নতুন ভাবে নিয়ে আসি। ”

ভাবির যাওয়ার পরে চুপচাপ বসে রইলো সেঁজুতি। ভাবি ওর কথা এড়িয়ে গেল, বুঝতে পারছে। নিজেও সাওনকে কল দেয়নি আর।

সেঁজুতির ভাইকে কল দিয়ে ভাবি বললো, ” রাস্তায় আছো?”

ভাইয়া বললো,” না। কেন?”

ভাবি বললো, “সাওনকে ফোনকল দিয়ে আমাদের বাসায় আসতে বলো। বাড়িতে একা আছে। কী খাবে বা না খাবে এসব নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।”

ভাইয়া ধীর ভাবে বললো,” ও বাসায় একা আছে, এসব ব্যপার তো আমি জানি না। আমি বললে খারাপ দেখায় না বিষয়টি! সেঁজুতি তো বলতে পারে।”

ভাবি শান্ত ভাবে বললো,” দুজনকেই চেনো তুমি। সাওনকে তুমি বলেছিলা, সবকিছু ঠিক করার পরে যেন সেঁজুতির সামনে আসে। এসব ভেবে হয়তো বাড়িতে একা আছে। এদিকে আসার সাহস পায়নি।”

ভাইয়া তড়িঘড়ি করে ফোনকল কেটে সাওনের কাছে কল দিল। সাওন রিসিভ করে সালাম দিলো। ভাইয়া সালামের জবাব দিয়ে বললো,”বাসার সবাই কেমন আছে?”

সাওন বলল, “আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছে।”

ভাইয়া বললো,” আমাদের বাসায় এসো। এখান থেকেও তো তেমন দূরে নয় অফিস। কয়েকদিন বেড়ানো হবে আর চাকুরীতেও যেতে পারবে, সমস্যা হবে না। ”

সাওন ধীর ভাবে বললো,”আচ্ছা, দেখি কী করা যায়।”

ভাইয়া বললো, “আচ্ছা দেখি মানে কী? এখনই আসো। পরবর্তীতে অনেক রাত হয়ে যাবে তখন যাতায়াতের সমস্যা হবে।”

সাওন শান্ত ভাবে বলল, “আচ্ছা। ”

ভাইয়া বললো, “হ্যাঁ। ”

ভাইয়ার ধমক খেয়ে চুপচাপ তৈরি হলো সাওন। এ মাসে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। হাতের টাকার প্রায় টান টান অবস্থা। ফলমূল, পান-সুপারি, মিষ্টি কেনাকাটার পরে শ্বশুর বাড়ির পথে গেল।

সাওনকে দেখে সে বাড়ির সবাই হাসিমুখে জামাই আপ্যায়ন করাতে শুরু করলো। সেঁজুতির ভাবি চা নিয়ে যাওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছে। সে সাওনের জন্য খাবার যোগাড় করতে ব্যস্ত। সেঁজুতির কাছে গিয়ে যে বলবে, সাওনকে ওর ভাই কল দিয়ে আসতে বলেছে। এসব ভুলে গেছে ভাবি, সে কাজে ব্যস্ত।
কিছুক্ষণ পরে সেঁজুতির রুমে গেল সাওন। সেঁজুতিকে দেখে হাসি-কান্না দুটোই পাচ্ছে সাওনের। এলোকেশী চুলে দরজার বিপরীত পাশে মুখ করে খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে খুব দুঃখী একজন।

#চলবে
(১৬০০ শব্দের একটি পর্ব ছিল। এরপরেও যে ছোট বলবে, তার আগে থেকেই ডিপ্রেশনের ঔষধ কমেন্ট বক্সে জমা দিবেন। আমি খেয়ে ঘুমিয়ে যাবো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here