সেই_সন্ধ্যা পর্ব_৫১

0
3581

#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৫১
.
একটা ড্রেস নিয়ে আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে দেখছে সকাল। এটা তার পছন্দ হয়েছে। ড্রেসটা প্যাক করে দিতে বলে দাঁড়িয়ে রইলো ও। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে অনুভব। এমন সময় একটা পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে সকাল চমকে উঠলো। পেছনে তাকাতেই চোখ দুটো স্থীর হয়ে গেল। কতগুলো বছর পর তার ডাক্তার সাহেবকে দেখছে সকাল। চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো ওর। স্নিগ্ধর পাশে তাকিয়ে নীলামকে দেখে অবাক হয়ে গেল। নীলামের পেট অনেকটাই উঁচু হয়ে আছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে ওর প্রেগন্যান্সির হয়তো ৬-৭ মাস চলছে। এটা দেখে ওর চোখের পানি গাল গড়িয়ে পড়লো। তাড়াতাড়ি উল্টো দিকে ফিরে চোখ মুছে নিলো। দোকানদার টাকা চাইতেই সকাল পার্স চেক করে দেখলো ও টাকা নিয়ে আসে নি। সকাল নিজের উপর প্রচুর বিরক্ত হলো। দোকানদারের দিকে তাকিয়ে জোর করে একটু হাসার চেষ্টা করে পেছন ঘুরতেই স্নিগ্ধর সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল। স্নিগ্ধ যেন ওখানেই থমকে গেল সকালকে দেখে।

সকাল একটা ঢোক গিলে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে অনুভবকে ডাকতেই ফোন কানে করে দোকানের ভেতরে ঢুকলো অনুভব। চোখের ইশারায় ‘কি হয়েছে?’ জিজ্ঞেস করতেই সকাল ওর মানিব্যাগ চাইলো। অনুভব কোনো কথা না বলে মানিব্যাগ বের করে ধরিয়ে দিল সকালের হাতে। সেখান থেকে টাকা নিয়ে দোকানদারকে দিয়ে জামা নিয়ে স্নিগ্ধর পাশ কাটিয়ে চলে আসতে গেলে নীলামের বাঁধা পেয়ে দাঁড়িয়ে যায় সকাল। স্নিগ্ধ এখনো অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সকালের দিকে।

-“তুমি দেশে কবে ফিরলে সকাল?”
-“স্যরি বাট আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। আর তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি অচেনা কারো সাথে কথা বলি না।”
-“(….)”
-“চলো অনুভব।”

অনুভবের হাত ধরে দোকান থেকে বেরিয়ে গেল সকাল। নীলাম কিছুটা অপমানিতবোধ করলো। স্নিগ্ধ অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সকালের চলে যাওয়ার দিকে। এর থেকেও বেশি অবাক হলো সকালকে একটা ছেলের হাত ধরে থাকতে দেখে। ওর মনে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, “সকাল দেশে কবে ফিরলো? আর ওর সাথের ছেলেটাই বা কে?”

দোকান থেকে বেরিয়ে কিছু দূরে এসে সকাল জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। তখন ইচ্ছে করেই নীলামকে উপেক্ষা করেছে। তা নাহলে ওর চোখেরপানিগুলো দেখে ফেলতো ওরা। অনুভব সকালের কাঁধে হাত রাখতেই সকাল পেছনে ঘুরে অনুভবকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। যার জন্য ও এখনো নিজের চোখেরপানি ফেলছে সে তো দিব্যি বিয়ে-শাদি করে বাচ্চা নিয়ে সুখে আছে। তবে ও কেন আগের সবকিছু ভুলতে পারছে না। কেন অন্য কাউকে গ্রহণ করতে পারছে স্নিগ্ধর মতো?

অনুভব সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। স্নিগ্ধকে দেখেই ও চিনে ফেলেছিল। সকালের কাছ থেকে সবটাই শুনেছে আর ছবিও দেখেছে, সেই সুবাদেই চিনে ফেলেছিল স্নিগ্ধকে। সকালকে কাঁদতে দেখে অনুভবের ভেতরটা জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্য একটা মানুষের জন্য কাঁদতে দেখাটা খুব কষ্টের। যেই কষ্টটা এখন অনুভব পাচ্ছে। একহাত মুষ্টিবদ্ধ করে কিছু একটা ভাবলো অনুভব। মুচকি হেসে সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলো সকালকে। পাশেই বসার জায়গা দেখে সেখানে সকালকে বসিয়ে দিল। ঠিক সেই মুহূর্তেই স্নিগ্ধ আর নীলাম এদিকে এলো। অনুভব আর সকালকে এত কাছাকাছি দেখে স্নিগ্ধর পা সেখানেই থেমে গেল। ও একধ্যানে তাকিয়ে আছে সকালের দিকে।

অনুভব বড় বড় দু-তিনটে শ্বাস নিয়ে সকালের সামনে হাঁটু মুড়ে বসলো। সকাল অবাক হয়ে তাকালো অনুভবের দিকে। হাসলো অনুভব। দু’হাতে সকালের হাত দুটো ধরে বললো,
-“আগেই কোনো রিয়্যাক্ট করবে না। আমার কথাগুলো আগে মন দিয়ে শুনবে। ঠিক আছে!”

সকাল মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। অনুভব মুচকি হাসলো। আবারও বললো,
-“তুমি যখন এখানে মেডিকেলে পড়তে তখন আমি দেশে এসেছিলাম বাবার সাথে। মূলত বাবা এসেছিল ঘুরতে আর আমি এসেছিলাম ব্যবসার কাজে। কিন্তু এখানে এসে তোমাকে দেখার পর আমার মনে হয়েছিল আমার দেশে আসা স্বার্থক। যে ক’দিন এখানে ছিলাম, তুমি আমার যথেষ্ট খেয়াল রেখেছো। আর আমি একটু একটু করে দূর্বল হয়ে পড়েছি তোমার উপর। জানি না বিশ্বাস করবে কি-না! কিন্তু আমি চেয়েছিলাম আমার পড়াশোনা শেষ হলেই আমি বাবাকে বলবো তোমার কথা। বলবো যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তার আগেই জানতে পারলাম তুমি অন্য কারো বাগদত্তা হয়ে গিয়েছো। এই কথাটা জানার পর আমি সত্যি অনেক বেশি ভেঙে পড়েছিলাম। ভাবতে পারছিলাম না যে আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি তখন বুঝতে পারছিলাম যে আমি শুধু তোমাকে পছন্দই করি না বরং ভালোও বাসি। অনেক বেশি ভালোবাসি। কিন্তু তখন তুমি আমার কপালে ছিলে না। ভুলে থাকার চেষ্টা করছিলাম তোমাকে। কিন্তু একদিন হুট করে তুমি কানাডা চলে এলে। তখন তোমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। একা একা রুমে থাকতে সারাদিন আর কাঁদতে। যা আমাকে খুব কষ্ট দিতো। তারপর বাবাকে জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারলাম যে তুমি নিজের বাগদান ভেঙে দিয়েছো। কিন্তু তুমি ওই ছেলেটাকে ভীষণ ভালোবাসতে। আর তার ওপর আবার তোমার বাবাকেও তখন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। এর জন্য তুমি মানসিকভাবে একদম ভেঙে পড়েছিলে। তাই আমি দায়িত্ব নিয়ে তোমাকে ঠিক করলাম। সুস্থ করে তুললাম তোমাকে। আমার মন আমাকে জানান দিল হয়তো তুমি এবার আমার ভাগ্যেই আছো। তোমার সাথে গড়ে তুললাম নিজের এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যার ফলস্বরূপ তুমি এখন নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস আমাকে করো। আমি এখনো তোমাকে ভালোবাসি সকাল। তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাটা তখনো ছিল এখনো আছে। তফাৎ শুধু এতটুকুই যে আগের থেকে সেই ভালোবাসাটা কয়েকগুণ বেড়েছে তোমার প্রতি। আমি কখনো এই কথাগুলো বলার সাহস পাইনি তোমাকে। কিন্তু আজ না বলে থাকতে পারলাম না। তুমি যাকে ভালোবাসতে সে তো নিজের জীবনটাকে অন্য একজনের সাথে সাজিয়ে ফেলেছে। তাহলে তুমি কেন সেই পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছো? তোমারও তো উচিৎ নিজের জন্য কাউকে বেছে নেয়া, যে তোমাকে সবসময় আগলে রাখবে, ভালোবাসবে তোমাকে। আমাকে কি একটা সুযোগ দিতে পারবে তুমি! তোমায় আগলে রাখার জন্য আর ভালোবাসার জন্য?”

একদমে কথাগুলো বলে সকালের দিকে তাকালো অনুভব। সকাল অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। আশেপাশে প্রায় অনেকটাই ভিড় জমে গেছে। সবাই অনুভবের বলা কথাগুলো শুনেছে। এখন সবাই সকালের দিকে তাকিয়ে আছে তার উত্তর শোনার অপেক্ষায়। অনুভব অনেকটা আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে সকালের চোখের দিকে। এতক্ষণ যে সকাল কাঁদছিল তা নিমেষেই ভুলে গেছে ও। সকালের চোখ পড়লো অনুভবের পেছনে থাকা স্নিগ্ধর দিকে। মুহূর্তেই সেই পুরোনো স্মৃতিগুলো নাড়া দিয়ে উঠলো মনে। স্নিগ্ধর দিকে তাকিয়ে রইলো ও।

-“আপনাকে এত ভালোবেসে আমি শুধু কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাইনি। আমি আপনাকে অনেক বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু আমার বিশ্বাসের মর্যাদা আপনি রাখেননি। আমি এতগুলো বছর আপনাকে ভেবে ভেবে কষ্টে কাটিয়েছি আর আপনি নীলামকে বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে নিজের জীবন কাটাচ্ছেন। কতটা স্বার্থপর মানুষ আপনি। আমি সত্যি আপনাকে চিনতে ভুল করেছিলাম ডাক্তার সাহেব। আপনি যখন নিজের জীবন অন্য কারো সাথে সাজাতে পেরেছেন তখন আমিও আর বসে থাকবো না। আমিও নিজের জীবন সাজাবো অনুভবের সাথে। এই ছেলেটা আমাকে নিঃস্বার্থভাবে শুধু ভালোবেসে গিয়েছে। বিনিময়ে কখনো ভালোবাসা চায়নি আমার কাছ থেকে। যখন আমি আপনাকে পাশে চাইছিলাম তখন আপনাকে পাশে পাইনি। কিন্তু অনুভব আমার পাশে সবসময় ছিল। প্রতিটা মুহূর্তে আমার খেয়াল রেখেছে ও। মনে মনে ভালোবেসে গিয়েছে আমাকে। ওর প্রতি আমার একটা আলাদা মায়া জন্মে গিয়েছে। ওকে আমি প্রত্যাখ্যান করবো না। আমি নিজের ভালোবাসা পাইনি তো কি হয়েছে! অনুভব ওর ভালোবাসা পাবে। আমি জানি ও আমাকে কখনো কষ্ট দিবে না। এতটুকু বিশ্বাস ও অর্জন করেছে আমার।”

মনে মনে কথাগুলো ভেবে অনুভবের দিকে তাকালো সকাল। অনুভব এখনো অনেকটা আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে সকালের দিকে। চোখ বন্ধ করে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনুভবের হাত দুটো শক্ত করে চেপে ধরে চোখ মেললো। মুচকি হেসে বললো,
-“যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করো। আমি চাই তোমাকে ভালোবাসতে। নিজের সমস্ত পুরোনো আবেগ ভুলে নতুন করে বাঁচতে চাই আমি। আর আমি জানি তুমি পারবে আমাকে ভালোবেসে পুরোনো সব ভুলিয়ে দিতে। আমাকে আগলে রাখার জন্য আর ভালোবাসার জন্য আমি তোমাকে সুযোগ দিলাম। নিরাশ করো না যেন আমায়!”
-“কখনো নিরাশ করবো না। সবসময় ভালোবেসে যাবো তোমাকে। আই লাভ ইউ সকাল।”

অনুভব বিশ্বাস করতে পারছে না যে সকাল রাজি হয়ে গেছে ওর প্রস্তাবে। ও খুশি হয়ে সবার সামনেই জড়িয়ে ধরলো সকালকে। আশেপাশের কয়েকজন হাত তালি দিচ্ছে আবার কয়েকজন সিটি বাজাচ্ছে। সকালও মুচকি হেসে নিজের চাপা কষ্টগুলো লুকিয়ে রেখে চোখ বন্ধ করে জড়িয়ে ধরলো অনুভবকে।

স্নিগ্ধ সকালের দিকে এক পলক তাকিয়ে চলে গেল সেখান থেকে। তার কলিজাটা যে ছিঁড়ে যাচ্ছে সকালকে অনুভবের বুকে দেখে। শপিংমলের বাইরে এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো। চোখ বন্ধ করতেই চোখ থেকে একফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। সকালকে সে এখনো ভালোবাসে। তবে নীলামের সাথে তার বিয়ে হয়ে গেছে। এর একমাত্র কারণ শুধু তার মা আসমা বেগম। সকাল চলে যাওয়ার পর স্নিগ্ধর ছন্নছাড়া ভাব দেখে উনি জোর করে নিজের কসম দিয়ে নীলামকে বিয়ে করতে রাজি করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাধ্য করেছেন নীলামকে মেনে নিতে। কিন্তু আজও ওর মনের জায়গাটা দখল করে আছে সকাল। নীলামের সাথে সংসার করলেও এই মনে ও জায়গা করে নিতে পারেনি। নীলাম স্নিগ্ধর দিকে তাকিয়ে স্নিগ্ধর মনের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করছে। স্নিগ্ধ পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখলো অনুভব সকালের হাতে আংটি পড়িয়ে দিচ্ছে। মোচড় দিয়ে উঠলো স্নিগ্ধর বুকের ভেতরটা।

এক লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসলো স্নিগ্ধ। সম্পূর্ণ শরীর ঘামে ভিজে গেছে তার। কপাল বেয়ে টপটপ করে ঘাম পড়ছে। এই শীতের ভেতরেও এত জঘন্যভাবে ঘেমে গিয়েছে দেখে রাগ হলো স্নিগ্ধর। পরক্ষণে সকালের কথা মনে পড়তেই আশেপাশে তাকাতে লাগলো। নিজেকে নিজের বাসার বেডরুমে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো।

-“তার মানে এসব একটা স্বপ্ন ছিল! স্যরি স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন ছিল! আমার মিস বিকাল কানাডা চলে যায়নি। আমাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি ও।”

স্নিগ্ধ তাড়াতাড়ি ফোন হাতে নিয়ে সময় দেখে নিলো। নয়টা বাজতে আরও তিন মিনিট বাকি।

-“কাল রাতে মায়ের কাছ থেকে মিস বিকালের বাবার জেলে যাওয়ার কথাটা শুনে আমি মিস বিকালদের বাসায় যেতে চেয়েছিলাম। মা অতো রাতে যেতে নিষেধ করলো বলে গেলাম না। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু ঘুমিয়ে ছিলাম বলে এত বাজে একটা স্বপ্ন দেখতে হবে ভাবতেও পারিনি। এই স্বপ্নের ভেতরে আবার মিস বিকালের কাজিন অনুভব কেন আসলো? ওর সাহস কত্তবড় যে ও আমার মিস বিকালকে কেঁড়ে নিতে চায় আমার কাছ থেকে? মিস বিকাল আমার ছিল আর আমারই থাকবে। ওকে আমি হারাতে পারবো না। নাহ! আমায় এখুনি মিস বিকালের কাছে যেতে হবে। এত বিশ্রী একটা স্বপ্ন দেখার পর ওকে যে পর্যন্ত না আমার চোখের সামনে দেখতে পাবো, সেই পর্যন্ত আমার শান্তি হবে না।”

স্নিগ্ধ বিছানা ছেড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে ফ্রেস হয়ে গোসল করে বের হলো। কোনোমতে একটা প্যান্ট আর টি-শার্ট পড়ে ফোন আর গাড়ির চাবি হাতে নিয়ে অন্য হাত দিয়ে চুল ঠিক করতে করতে দৌড়ে বেরিয়ে গেল বাসা থেকে। ড্রাইভ করে সোজা সকালের বাসায় পৌঁছে গেল।

বাসার দরজা খোলা দেখে দেরি না করে ভেতরে ঢুকে পরলো স্নিগ্ধ। ভেতরে ঢুকতেই সোফায় পলক আর আখিকে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে গেল সেদিকে। পাশের সোফায় একজন মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক বসে আছেন। তার পাশেই বেশ সুদর্শন একটি ছেলে বসে আছে। পলক স্নিগ্ধকে দেখে দাঁড়িয়ে গেল। স্নিগ্ধকে কাছে এসেই জড়িয়ে ধরলো পলককে। নিজেদের টুকটাক কুশলাদি বিনিময় শেষ করে পলক সোফায় বসে থাকা অচেনা লোক দুটোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল স্নিগ্ধকে। একজন সকালের চাচ্চু আর অন্যজন তার ছেলে অনুভব।

স্নিগ্ধ ভড়কে গেল অনুভবের নাম শুনে। অনুভব মলিন হেসে হাত মেলালো স্নিগ্ধর সাথে। স্নিগ্ধ আখির দিকে তাকিয়ে সকালের কথা জিজ্ঞেস করলে, আখি জানালো সকাল নিজের রুমে আছে। ও পলককে বলে উপরে চলে গেল। অনুভব একধ্যানে তাকিয়ে রইলো স্নিগ্ধর দিকে।

চলবে….

নোটঃ ক্যাসা লাগা মেরা মাজাক!🤐

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here