#সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল
#তানিয়া
পর্ব:৮
আজ আকাশে বিশাল একটা চাঁদ উঠেছে। চাঁদটা বড় একটা রুটির মতো লাগছে।এতো পরিষ্কার আলো আসছে যে আদ্যর ইচ্ছে করছে চাঁদটাকে নিজের হাতে নিয়ে আসতে।কিন্তু চাইলেও কি সব ইচ্ছা পূরণ হয়!
আজকে জ্যোৎস্না রাতে এত সুন্দর আলো হয়েছে যে আদ্যর মধ্যে এক প্রকার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বারান্দার ক্ষুদ্র ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করা আলোটা যেন আদ্যকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারছে না।আদ্যর ইচ্ছে করছে আজ জ্যোৎস্না স্নান করতে।আদ্য আগপিছ না ভেবে সোজা ছাদে গেলো।
রাত প্রায় তিনটা।আদ্য হাত পা ছড়িয়ে ছাদে শুয়ে আছে। আদ্যর আজ খুব ভালো লাগছে। আসলে জ্যোৎস্না দেখার অভ্যাসটা সে মায়ের কাছে শিখেছে।খুব ছোট থাকতে আদ্য যখন কোনোকিছু নিয়ে কাঁদত তখন তাকে হাসানোর জন্য মা বলতো,
“ঐ দেখো আদ্য কতো বড় চাঁদ! জানো চাঁদটা এখন হাসছে,একটু পর সেটা আধারে লুকিয়ে যাবে।কেনো জানো,কারণ চাঁদ বাচ্চার কান্না পছন্দ করে না।বাচ্চা কাঁদলে তারা কষ্ট পায় তখন তারা লুকিয়ে পড়ে। তুমি কি চাও না চাঁদটা হাসুক?”
আদ্য মায়ের কথা শুনে কান্না বন্ধ করে দিত।তারপর খিলখিল করে হাসতো।কত বছর পার হলো কিন্তু আদ্যর এখনো সেসব মনে পড়লে হাসি পায়।হঠাৎ আদ্যর মাথায় একটা চিন্তা এলো।এ চাঁদটা মর্জিনাকে দেখালে কি হয়? নিশ্চয়ই খুশিই হবে? বিষয়টা ভেবে আবার চুপ হয়ে গেলো কারণ এত রাতে কাউকে ঘুম ভাঙিয়ে চাঁদ দেখানোটা নিশ্চয়ই শোভনীয় নয়? আদ্য শোয়া থেকে উঠে বসলো।অনেকক্ষণ শুয়েছে এবার একটু হাঁটা দরকার।
আদ্য উঠে ফুলবাগানের কাছে গেলো।কতো সুন্দর ফুল ফুটেছে। চাঁদের আলোয় ফুলের রঙ গুলো অন্য রকম রূপ নিয়েছে। আদ্য ফুল বাগান এড়িয়ে আবারও হাঁটতে থাকে।হঠাৎ সে থমকে দাঁড়ায়।কারণ মর্জিনার জানলা খোলা আর জানলা দিয়ে হালকা আলো আসছে।এত রাতে মর্জিনা আলো জ্বালিয়ে কি করছে সেটা ভাবতেই সে এগিয়ে গেলো জানলার পাশে।জানলায় পর্দা আটকানো ছিলো।পর্দা ওপাশে কি আছে তা দেখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু এটা অন্যায়।একজন যুবতী মেয়ের ঘরে অকারণে উঁকি দেওয়াটা খুবই কুৎসিত ব্যাপার কিন্তু কৌতূহল বড়ই আশ্চর্যজনক বিষয়। একবার সেটা মনে গেঁথে গেলে না মিটানো পর্যন্ত শান্তি মিলে না।আদ্য যেই না পর্দাটা সরালো সাথে সাথে তার চোখ জোড়া বিস্ফোরিত হলো।কি দেখছে সে? কে এই মেয়েটা? মর্জিনা কোথায়?
আল্লাহর সৃষ্টি কি সত্যি এতো সুন্দর! আদ্য চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না যে একটা মেয়ে কি করে এত সুন্দর হয়! আদ্য ভাবছে রাতের ঘুম নষ্ট হওয়ায় ভুল দেখছে তাই চোখ গুলো ভালো করে ডলাডলি করে আবারও তাকালো।না ভুল না,এটা একটা মেয়ে! উঁহু মেয়ে নয়,জ্যোৎস্না কন্যা! আজ জ্যোৎস্নার সকল সৌন্দর্য যেনো মেয়েটা নিয়ে নিয়েছে তাই তো জ্যোৎস্নার আলোতেও তার রূপের এতটুকু কমতি লাগছে না।মাশাল্লাহ এত রূপসী মেয়ে তাদের ঘরে কখন এলো,কীভাবে এলো,আর মর্জিনাই বা কোথায়?
আদ্য জানলা দিয়ে যতটুকু দেখা যায় দেখলো, না কোথাও তো মর্জিনাকে দেখা যাচ্ছে না।আদ্য চিন্তিত হলো তৎক্ষনাৎ তার চোখ বড় হয়ে গেলো।তার মানে কি এই সেই মেয়ে মানে মর্জিনা যে তাদের বাসায় কাজ করে? এতদিন সে কালো সেজে ছিলো, কিন্তু কেনো?
আদ্যর মাথায় একগাদা প্রশ্ন কিন্তু তার কোনো উত্তর নেই। এসব প্রশ্নের উত্তর আদ্য কীভাবে পাবে? সত্যি বলতে আদ্য বুঝতে পারছে না সে যা দেখছে তা ঠিক নাকি দৃষ্টি ভ্রম।
সারাদিন পরিশ্রম শেষ করে এসে মেহু ফ্রেশ হয়ে পড়তে বসে।গতদিন আলো জ্বলা দেখে আদ্য আসায় মেহু একটা স্বল্প আলোর টেবিল ল্যাম্প কিনে আনে।সে চিন্তা করে দেখলো,আলো জ্বলা থাকলে বাইরে আলোর ছটাক দেখা যাবে তারচেয়ে আলো বন্ধ করে ভালো করে দরজা জানলা আটকে ল্যাম্প জ্বালিয়ে পরলে বাইরে থেকে কেউ বুঝবেও না ভেতরে কি হচ্ছে। সেই মোতাবেক মেহু ভালো করে সবকিছু চেক করে পড়তে বসে।
দমকা হাওয়ায় মেহুর জানলার একপাটি খুলে যায়। জানলাটার হুকে সমস্যা ছিলো যা মেহু জানতো না।পড়তে পড়তে একসময় মেহু ঘুমিয়ে পড়ে। আদ্য যখন হাঁটতে হাঁটতে জানলার সামনে আসে, দ্বিধা থাকা সত্ত্বেও সে পর্দা তুলে ভেতরে চোখ রাখে আর তখনি সে মেহুকে দেখতে পায়।জানলার পর্দা সরাতেই জ্যোৎস্নার আলোটা এসে মেহুর মুখে পড়ে আর স্তব্ধ হয়ে যায় আদ্য।এত রূপ কী করে একটা মানুষের হয় তা আদ্যর জানা নেই! অপলক দৃষ্টিতে আদ্য চেয়ে থাকে মেহুকে!
রোদের ছটাক এসে মুখে পড়তেই ঘুম ভাঙে মেহুর।হাই তুলতে তুলতে বিছানায় পা ছড়িয়ে বসে।রোদ এবার তার মুখ বরাবর। চোখ গুলো কোনোরকমে খুলতে দেখে জানলা খোলা আর সাথে সাথেই লাফ দিয়ে সে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।তাড়াতাড়ি সে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।না মুখে কালি নেই। থাকবে কীভাবে রাতে কি সেই কালি মেখে ঘুমায়?ভয়ে অস্থিরে তার পুরো শরীর হিম হয়ে যায়। জানলা কখন খুলেছিল?আর খুললেও সে এতটুকুও টের পায় নি?আজকে কোচিং এ ও যায় নি তার মানে অনেক বেলা হয়েছে। এরমধ্যে কি কেউ ছাদে এসেছে।না, আসলে নিশ্চয়ই বাড়িতে একটা হুলুস্থুল কান্ড হতো তার মানে এখনো কেউ মেহুকে দেখে নি।
চট করে তার মাথায় অন্য চিন্তা খেলে গেলো।আদ্য প্রায় রাতে ছাদে আসে।জানালা যদি রাতে খুলে যায় তবে কি আদ্য গতকালও এসেছিল?কোনোভাবে কি সে মেহুর ঘরে উঁকি দিয়েছিল?মেহুর মাথা ভনভন করছে।এ কি সর্বনাশ হলো, যদি সত্যি আদ্য আসে আর মেহুকে দেখে ফেলে তাহলে তো এ বাড়ির পাট চুকিয়ে তাকে চলে যেতে হবে।তাড়াতাড়ি ঘড়ি দেখে মেহু সাড়ে আটটা হয়েছে। এ বাড়ির এখনো কেউ উঠে নি। মেহু কি করবে সে কি এক্ষুনি আমেনা খালাকে বলে বিদায় নিবে নাকি অপেক্ষা করবে?মেহু চোখ বন্ধ করে দপ করে বিছানায় বসে পরলো।মনে মনে ভাগ্যকে গালি দিতে শুরু করলো!
আদ্য গতদিন গুলোর ন্যায় আজও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলো।উদ্দেশ্য মর্জিনাকে ফলো করা। সে কোথায় যায়? তাছাড়া গতরাতে যাকে মর্জিনার ঘরে দেখেছিল সেই কি মর্জিনা নাকি অন্য কোনো মেয়ে? মর্জিনা কি এ বাড়ির লোকজনের দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মেয়েটাকে ঘরে তুলেছে নাকি নিজেই কালো রং এর লুকিয়ে আছে? না সকাল থেকে আদ্য অপেক্ষা করলো কিন্তু মর্জিনা নামের মেয়েটা আজ বেরুলো না।আদ্য কি মনে করে চট করে ছাদে চলে গেলো।এখনো বাড়ির কেউ উঠে নি। সম্ভবত মর্জিনাও উঠে নি, উঠলে হয়তো তাকে নিচে দেখা যেত। আদ্য ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে।যদি মেয়েটা জেগে উঠে বা তাকে দেখতে পায় তাহলে কি হবে?তাছাড়া গতকালকের জানলা কি এখনো খোলা আছে?
আদ্য আড়াল থেকে দেখলো জানলা এখনো খোলা তার মানে কি মর্জিনা নামের মেয়েটা এখনো উঠে নি নাকি উঠে নিজের এমন অবস্থা দেখে বসে আছে? আদ্য কখনো ভয় পায় নি তবে এবার ভয় লাগছে।আস্তে আস্তে সে জানলার সামনে গেলো,আর উঁকি দিতেই দেখে মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে। কতটা আরামে ঘুমোচ্ছে। আদ্য এবার আরো গভীর ভাবে দেখছে।দিনের প্রথম রোদটা একদম তার মুখে এসে পড়ছে।আদ্যর নজর সরাতে ইচ্ছে করছেনা তবে মেয়েটা নড়ে উঠতেই সরে গেলো।এরমধ্যে পুরো ঘর চোখ ঘুরালো।না মেয়েটাকে ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না তার মানে এ অপরূপ মেয়েটায় মর্জিনা!
মেহুর কান্না পাচ্ছে কেনো বারবার তার সাথেই এমন অঘটন ঘটে?কেনো সে আশ্রয় হারা হয়?এখন কি করবে,নিচে যাবে নাকি এখানেই বসে থাকবে? ভাবতে পারছেনা মেহু।চোখের জল রোদের আলোয় চিকচিক করছে।না, যা হবার হবে,সে আর বসে থাকবে না।ফ্রেশ হয়ে সে কালি মাখতে যায়।
“মেখে আর কি হবে, একটু পর তো সব ফাঁস হয়ে যাবে?”
মনে মনে চিন্তা করে মেহু।ভরাক্রান্ত মনটা নিয়ে সে নিচে যায়। আমেনা খালা টেবিলে জুস বানাচ্ছে। মেহুকে দেখে এগিয়ে আসে।
“কি হইলো মাইয়া,তুমি আজ বেয়ানে যাও নাই? ”
“না খালা আজকে যাইতে পারি নাই। তার মধ্যে একটা অঘটন ঘইটা গেছে। ”
আমেনা খালা চমকে যায়। এ মাইয়া সবসময় অঘটন ঘটাইয়া রাখে।বিরক্ত মুখে জিজ্ঞেস করে,
“কি হইছে ক?”
“খালা…”
“আমেনা খালা তোমার ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়েছে আজ অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে।”
ওপর থেকে আরাফ চেঁচিয়ে উঠে। আমেনা খালা মেহুর কথা না শুনে রান্নাঘরে চলে যায়। মেহু আহত দৃষ্টি নিয়ে সেদিকে চেয়ে রয়।
খাবার টেবিলে সবাই এসেছে শুধু আদ্য ছাড়া। শাহেদ আহসান ছেলের কথা জিজ্ঞেস করতে লুৎফা জানায় আদ্যর শরীরটা নাকি ভালো না সে ঘুমোচ্ছে। শাহেদ খাবার বন্ধ করে স্ত্রীর দিকে তাকান।লুৎফা বুঝতে পেরে অভয় জানিয়ে বলে,
“দীর্ঘদিন কাজ করলে শরীর ক্লান্ত হয় তাই আরো কিছু সময় আদ্যর রেস্ট দরকার।”
বিষয়টা বুঝে তিনি আবারও খেতে শুরু করেন।মেহু একে ওকে এটা সেটা দিচ্ছে কিন্তু মন পড়ে আছে অন্য দিকে।তার মানে এরা কেউ মেহুর বিষয়টা জানেই না।তবে আদ্যকে নিয়ে তার ঘটকা আছে। লোকটাকে তার সন্দেহ হয়।কোনোভাবে রাত জাগার কারণে কি এখন ঘুমোচ্ছে? রাতে আবার ছাদে চলে যায় নি তো?কথাটা ভেবেই মেহুর শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল বাতাস বয়ে যায়।
আদ্যর ঘুম ভেঙেছে।তবে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছেনা। মূলত আদ্য জেগেই ছিল।তবে তার ইচ্ছে ছিল না অফিসে যাওয়ার তাই সে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করে যাতে অফিসে যেতে না হয়।মাথাটা ধরেছে,ঘুম আসলে এক কথা তবে ঘুম না আসলে জোর করে ঘুমের ভান করাটাই বিরক্তিকর। তবে আদ্যর মাথায় গতকাল আর আজকের সকালের বিষয়টা ঘুরপাক খাচ্ছে।গতকাল না হয় ভুল ছিল তবে আজ সকালে সজ্ঞানে যা দেখলো তা তো ভুল না।তবে আদ্যকে আরো তদন্ত করতে হবে।কোনটা আসল কোনটা নকল সেটা তাকে খুঁজে বের করতে হবেই!
মেহু মনমরা হয়ে কাজ করছে।অচেতন হয়ে কাজ করায় হঠাৎ একটা গ্লাস ভেঙে দু টুকরো হয়ে যায়। আমেনা খালা আওয়াজ শুনে এগিয়ে যায়।
“হায় হায় ও মাইয়া কি করলি এটা?মন কই পইড়া থাহে?এহোন যদি কেউ দেহে তুই গ্লাস ভাঙছোস তোরে আস্তো রাখবো নি?”
মেহু জলভরা নয়নে আমেনার দিকে তাকায়।আমেনার কঠিন কথাগুলো মমতা মাখানো হয়ে যায়।
“কি হইছে রে তোর?সকাল থেইক্কা দেখতাছি তোর মনটা উদাসীন। তহোন জানি কি কইতে চাইছিলি।ক দেখিনি কি হইছে?”
“খালা আমার ডর করতাছে। মনে হইতাছে এ বাড়িতে আমার থাহোনোর সময় ফুরাইয়া আইছে।”
“ক্যান কি হইছে?”
মেহু এক এক করে গতকালের সবটা জানায়।আমেনা কপালে ভাঁজ ফেলে বলে,
“এর লাইগা তুই এমন কইরা ডরাইতাসোস।আল্লাহ কই যামু?হুন ডরাইছ না।সক্কাল বেলা কেউ ছাদে যায় না।তুই তো দেখসোস সবাই কতো দেরীতে উঠে। আর ঐ ঘরের জানলাটায় গ্যাঞ্জাম আছে। তুই আইজ রাইতে ভালো কইরা বাইন্ধা ঘুমাইস।”
“কিন্তু খালা আমার ডর করতাছে মেজ স্যাররে নিয়ে। ওনি প্রায় ছাদে হাটে।এহোন কাল যদি ছাদে যায় আর ঘরে আমারে দেখে তাইলে তো সমাস্যা হইয়া যাইবো।”
“হো এটাও ঠিক। তবে কাল হয়তো মেজ বাবা নাও যাইতে পারে।যদি তোরে দেখতো তাইলে এতক্ষণে পুরো হগ্গলোরে জানাইতো।আইচ্ছা ঐ টা বাদ দে।আগে আদ্য উঠুক তহোন দেহা যাইবো নে।নে এবার কিছু খাইয়া লো।এ অল্প সময়ে তো চেহারারে বারোটা বাজাইয়া দিছোস।আয় খাবি,আমিও খাই নাই।”
আমেনা খালার কথায় মেহু খেতে বসে তবে খাবারটা গলা দিয়ে নামছে না।পানি দিয়ে গিলছে।
“খালা আমাকে গরম গরম এক কাপ কফি দাও তো সেটা এ মেয়েকে দিয়ে উপরে পাঠিয়ে দাও।”
কন্ঠস্বর শুনে মেহুর গলায় খাবারটা আটকে যায়। খকখক করে কাশি দিয়ে উঠে মেহু।আদ্য হুকুমটা দিয়ে পিছু না ফিরে উপরে চলে যায়। আমেনা মেহুকে পিঠের মধ্যে মালিশ করতে থাকে।হঠাৎ করে তার এমন হলো কেনো?
“ধর ধর পানি খা।কি যে হইছে এ মাইয়ার?”
“খালা ওনি আমারে যাইতে কইলো ক্যান?তার মানে কি কালকের বিষয় নিয়া ওনি কথা কইবো?”
“দূর ছেমরি। তুই বেশি ভাবোস।এতো ভাবিস না কিছুই হইবো না।আমি কফি দিতাছি তুই নিয়া যা।আর সত্যি কওনের থাকলে আগেই কইতো।এবার খাইয়া লো আমি কফিডা বানাইয়া লই।”
,
,
,
চলবে……