স্বপ্নচূড়ার আহবান ‘ পর্ব-২৪

0
991

“স্বপ্নচূড়ার আহ্বান”
পর্ব-২৪

পরিবেশ ঠান্ডা, শান্ত, স্থিতিশীল। উপস্থিত প্রতিটি মানুষের মুখমন্ডল বিস্ময়ে বিমুঢ়। চোখের একমাত্র দৃষ্টি টেবিলে নির্লিপ্ত ভাবে বসে ভাত মেখে খেতে থাকা জীর্ণ শীর্ণ পোশাকের কিশোরী মেয়েটির দিকে। মেয়েটির কোনরূপ হেলদোল নেই ৷ সে খুবই যত্নমাখানো হাতে লোকমা মাখিয়ে খাচ্ছে। এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ আদৌও আছে কিনা জানা নেই।

তিতিক্ষার মুখ কালো হয়ে গেছে। এমন ভাবে সে আগে কখনো ভাবেনি। বয়স একজন মেয়ে হিসেবে তো তার কম নয়। অথচ, পনেরো ষোলো বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের মুখে সামান্য একটি জিনিস এতটা নিখুঁত ব্যাখ্যা দিলো। সে যেমন মনে অনুতপ্ত একইসাথে আহত। প্রবীর, তমাল, নিশান, তেজসী সবাই হা করে এতক্ষণ তাকিয়ে ছিলো৷ আর নীলাংশের মুগ্ধ দৃষ্টিতে আবদ্ধ হয়ে গেছিলো পায়রার প্রতিবাদী কথায়। কে বলেছে বাহ্যিক সৌন্দর্য ও রূপই আসল! ভেতরের রঙটা যার উজ্জীবিত রশ্মির মতোন জ্বলজ্বলে সেই প্রকৃতপক্ষে আসল রূপবান।
সবার এমন দৃষ্টিতে বেশ খানিকটা অপ্রস্তুত বোধ করছিলো পায়রা। সে আচানক উপলব্ধি করে, নিজেকে এতদিন একটা বদ্ধঘরে আঁটকে রেখেছিলো। সে ঘরের অন্ধকার পায়রার অস্থিমজ্জায় গভীর ভাবে নিজের শেকড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছিলো। আজ থেকে সে নিজেকে তালা মুক্ত করে দিলো। আর সে নিজেকে দূর্বল ভাববে না। চুপ থেকে তো দেখলোই, ঠিক কতটা অসহায় হয়ে পড়েছিলো। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে কেউই অসহায় নয়। কারণ, প্রতিটি মানুষই পৃথিবীতে একাই এসেছে এবং মৃত্যুবরণের সময়ও তাকে একলাই পথ পাড়ি দিতে হবে। নিজের পায়ের তলা নিজেকেই শক্ত করে গড়ে তুলতে হয়। কেউ নিজের স্বার্থ ছেড়ে কারো জন্য কিছু করেনা। করলেও, তার সংখ্যা নিতান্তই কম। যেনো রূপকথার গল্পের কোনো চরিত্র৷ যার বাস্তবতা নেই বললেই চলে৷
পায়রা কিছুক্ষণ চুপ থেকে নীলাংশের হাতের কবজিতে হালকা ধাক্কা দিয়ে মৃদু হেসে বললো –

‘সুন্দর সাহেব, আমার পেটে কিন্তু ইদুর দৌড়াইতাসে। এবার আর কিসুক্ষণ খালি পেটে থাকলে মইরা যাবো এক্কেরে! ‘

নীলাংশের সম্বিত ফিরল বোঝা গেলো। পায়রার আবারও অশুদ্ধ বাক্যগঠনে ভ্রু কুচকে বললো-

‘আবারও আগের মতো বলছো!আর এমন শুদ্ধ ভাষায় কথা বললে কীভাবে? ‘

পায়রা খিলখিল করে হাসলো। তার হাসিতে নীলাংশের বুকে ব্যাথারা ঝাপিয়ে পড়লো। সুখের নামহীন অজ্ঞাত কোনো ব্যাথা। কী এক জ্বালা হলো তার! মেয়েটা কাঁদলে ব্যাথা, হাসলে ব্যাথা, রাগলে ব্যাথা, অভিমানে ব্যাথা। উফ! এটা মেয়ে নাকি ব্যাথা বৃদ্ধির ট্যাবলেট! নীলাংশ আনমনেই অসহায় মুখে ঠোঁট উল্টে মনে মনে বললো-

‘পিচ্চি, ইউ আর হার্টিং মি! ‘

পায়রা নীলাংশের মনের কথা শোনেনি তাই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো –

‘আমি গেরামে মাস্টার বাবার কাছে অনেক আগেই শুদ্ধ ভাষায় কথা কওয়া শিখসি। কিন্তু নিজের ভাষা না কইলে অশান্তি লাগে৷ কিন্তু, আমি শুদ্ধ ভাষা জানিনে তা না। ‘

নীলাংশ মৃদু হেসে বললো-

‘যেভাবে তুমি বলে শান্তি অনুভব করবে সেভাবেই বলো। ‘

পায়রা বাচ্চাদের মতোনই মাথা নাড়লো। নীলাংশ ক্যান্টিন বয়কে ডেকে ভাত সঙ্গে কিছু সবজি ডাল মাছ দিয়ে যেতে বললো। ক্যান্টিন বয় প্রথমে অবাক হলো। তারপর সবকিছুই সুষ্ঠু পরিমাণে নিয়ে আসলো। ভাত যে পাওয়া যায় না, তা না৷ ভার্সিটিতে যারা হোস্টেলে থাকে তাদের জন্য এসবই বানানো হয়৷ শুধু ক্যান্টিনে ফাস্টফুড ব্যতীত অন্যান্য খাবার কেউ খায়না বলেই ভাতের ম্যানু রাখা হয়না। সদ্য রান্না হওয়া গরম ভাত বেশ সুস্বাদু লাগছে পায়রার কাছে৷ গ্রামে তাঁরা বুবু প্রায়ই গরম ভাতের সঙ্গে ভর্তা মেখে খাইয়ে দিতো৷ সে হাতটা ধুয়ে ভাত মেখে খেতে শুরু করলো। নীলাংশ সবাইকে নিজের খাওয়ায় মন দিতে বললো। কারণ, সে খেয়াল করেছে এতো মানুষের তাকানোতে পায়রার অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। নীলাংশ নিজের হটডগে সস লাগিয়ে নিলো৷ খেতে খেতে পায়রার দিকে আড়চোখে দেখছে। পায়রার লোকমা বানিয়ে খাওয়া দেখে তার হটডগেও স্বাদ পাওয়া যাচ্ছেনা। হঠাৎ, একটু লোভ জাগছে। লোভটা খাবারে নয় , বরং পায়রার মাখিয়ে খাওয়ার ভঙ্গিতে। পাখির মতো অল্প অল্প করে মুখে দিচ্ছে। বেখেয়ালীতে ঠোঁটের কোণে একটু ঝোল মেখে গেছে। নীলাংশ অল্প হেঁসে নিজের হাতের আঙুল দিয়ে এগিয়ে মুছে দিলো৷ পায়রা চমকে উঠলো। শিরায় শিরায় ক্রমশ কাঁপুনি বাড়লো৷ হাত সহ সর্বাঙ্গ কাঁপছে। ছেলেটা তাকালেও তার বুকের হৃদকম্পন বাড়ে। হৃদরোগ হয়ে গেছে নাকি! মুখে স্বাভাবিক করে পুরো খাবারটা শেষ করলো। সবার খাওয়া শেষ। নীলাংশ বিল মিটিয়ে, প্রবীরের কাছে থেকে নোটস নিয়ে আসলো। পায়রার মুখ এখন পরিষ্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে। সে আর ওরনা লাগায়নি। তবে,মাথার অর্ধাংশ ওরনা জুড়ে নিয়েছে। মুখে ঝুলছে অকৃত্রিম হাসি। নীলাংশ প্রথম বার হাসতে দেখলো৷ হৃদপিন্ড ছেদ করা হাসি। সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে দুইজন বের হলো। বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে অন্য দিকে গাড়ি ঘুরাতেই পায়রা ভ্রু কুচকে বললো-

‘সুন্দর সাহেব,এইডা বাড়ির রাস্তা না। তাইলে ঐদিকে কই যাইতেসেন? ‘

নীলাংশ ড্রাইভ করতে করতে দুষ্টুমি করে বললো -‘ সামনে একটা দোকান আছে৷ ওখানে মেয়েদের বেঁচে দিলে খুব ভালো দাম পাওয়া যায়। ‘

পায়রা হা করে তাকিয়ে আছে। ঢাকায় মেয়ে কেনা বেঁচাও হয়! তার জানা ছিলো না তো। বড় একটা ঢোক গিলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজালো।
সন্দিহান চোখে বললো-

‘কিন্তু আপনে ঐ দোকানে ক্যান যাইবেন?’

‘তোমাকে বেঁচে দিতে। ‘

‘এ্যা!’

‘এ্যা নয় বলো হ্যা। ‘

নীলাংশ ঠোঁট টিপে হাসছে৷ বোকা মেয়ে তার কথায় বিশ্বাস করে ফেলেছে। কথায় যতই পাকা বুড়ি হোক, বয়স তো কম। মুখে গম্ভীরতা নিয়ে কথা বললে সহজেই সত্যি ভেবে ফেলে। নীলাংশ বহু কষ্টে হাসি চেপে রাখলো৷ নাহলে, পায়রার কাঁদো কাঁদো চেহারা দেখে হাসি কন্ট্রোল করা মুশকিল। গাড়ি থেমে গেলো। নীলাংশ পকেটে থাকা সানগ্লাসটা চোখে লাগিয়ে গাড়ি থেকে নামলো৷ পায়রার দরজাটা খুলে নামতে বললো। পায়রার কপাল গড়িয়ে করে ঘাম ছুটছে ৷ সে মাথা নেড়ে বললো-

‘নামতে পারুম না। ‘

নীলাংশ অবাক হয়ে বললো-

‘নামবে না মানে! ‘

পায়রা কেঁদে ফেললো। ঠোঁট ফুলিয়ে বললো-

‘আপনে আমারে বেঁইচা দিতে চান, আপনে এতো খারাপ জানতাম না তো! ‘

নীলাংশ হকচকিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিস্ময়ে কোনো কথা বলতে পারলো না৷ ফিক করে হেঁসে, পায়রার হাত টেনে জোড় করে নামালো।পায়রা ভীতু চেহারা নিয়ে জড়সড়ভাবে দাঁড়ালো। নীলাংশ হালকা ঝুঁকে পায়রার মাথায় এক হাত বুলিয়ে বললো-

‘তোমার সত্যিই মনে হয় আমি তোমাকে বেঁচে দেবো? তোমার সুন্দর সাহেব কী এত পাষাণ?

সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তারপর আবারও ধীর কন্ঠে বললো-

‘তার আদরিনীকে দূরে সরানোর সাধ্য আছে নাকি?’

পায়রা শেষের কথাটা ঠিকঠাক শুনতে না পেলেও পূর্বের কথাতে বুঝতে পেরেছে সুন্দর সাহেব মজা করছিলো। ইশ, সে সত্যি সত্যি ভেবে ফেলেছিলো। নীলাংশ মৃদু হেসে বললো –

‘সামনে তাকিয়ে দেখো তো। ‘

পায়রা তাকালো, বিশাল বড় বিল্ডিং। আশেপাশে প্রচুর ভীড়। বুঝতে না পেরে বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে রইলো। নীলাংশ বললো-

‘আজ তোমার শপিং হবে পিচ্চি। দিজ ইজ এ শপিংমল। তোমার প্রয়োজনীয় যা যা লাগে তা কিনবো। সঙ্গে তোমার স্কুল ইউনিফর্ম কিনতে হবে। ‘

পায়রা বড় চোখে তাকিয়ে আছে। এত বড় জায়গায় তার জামা কাপড় কেনা হবে! গ্রামে থাকতে বাবা বাজার থেকে বছরে দুইটা বা তিনটা জামা এনে দিতেন৷ সেটা জোড়াতালি দিয়েই বছর পার হয়ে যেত। পরের ইদ না আসা পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুণতে হতো৷ নীলাংশের হাত ধরায় ঘোর ভাঙলো । নীলাংশ শপিংমলের দিকে তাকে নিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটা এভাবে হুটহাট হাত ধরে কেনো! কেনো বোঝেনা তার উপর ঝড় বয়ে যায়!
নীলাংশ ভেতরে এসে তাকে এক সাইডে দাঁড় করালো। পায়রা যেটার দিকেই তাকাচ্ছে নীলাংশ সেটাই প্যাক করে দিতে বলছে। পায়রা অবাক হয়ে গেছে। আর কিছুর দিকে তাকাবে না ঠিক করলো৷ দশটা কেনার পর যখন পায়রা আর তাকাচ্ছে না, তখন নীলাংশ ধমক দিয়ে বললো-

‘এই পিচ্চি, কিছু বলছো না কেনো? আর কোনটা নিবো? ‘

পায়রা ভয়ে ভয়ে বললো-

‘আর লাগবো না আমার। দশটা কিনসেন। অনেক টাকা খরচ হইয়া গেসে আমার পিছে। ‘

নীলাংশ আরও কিছু জামা দেখতে দেখতে বললো-

‘আহা! টাকার কথা কে ভাবতে বলে তোমাকে?
তুমি তো গ্রাম থেকে বেশি জামা কাপড় আনোনি। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ঘন ঘন বাহির হতে হবে৷ তখন এসব লাগবে৷ ‘

পায়রা চুপ করে থাকলো৷ নির্বাক দর্শকের মতো নীলাংশের প্রতিটি কথায় মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো। বলা তো যায় না! কখন আবার তাকে ধমক লাগিয়ে দেয়।

পূর্ণ দেড় ঘন্টা জামা কাপড় সহ যাবতীয় জিনিস পত্র কিনে দুই হাত ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ফিরলো৷ গাড়ির পেছনের সিটে রেখে দিলো। পায়রা তো দুটো জামাতেই খুশি হয়ে যায়। সেখানে এতকিছু দেখে সে রীতিমতো স্তব্ধ। নীলাংশ হাসিমুখে বললো-
‘পিচ্চি তোমার সবগুলো ড্রেস পছন্দ হয়েছে তো?আমি কিন্তু কখনো মেয়েদের ড্রেস কেনাকাটা করিনি। জীবনে প্রথম বার করা।’

পায়রা আচানক টলমল চোখে বললো –
‘আপনে এতো ভালো ক্যান সুন্দর সাহেব? এই ঋণ কেমনে শোধ করুম? ‘

নীলাংশ হঠাৎ-ই গম্ভীর গলায় বললো –
‘এখনই শোধ করে দাও৷ ‘

‘এখন! ‘

‘হুম, এখনই৷ ‘

‘কিন্তু আমার কাছে তো টাকাপয়সা নাই, তাইলে?’

বড্ড মায়াবী শোনালো পায়রার কন্ঠ। নীলাংশ হেঁসে বললো –

‘সব জিনিস কী আর টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব পিচ্চি? দুনিয়ার সবচেয়ে অমূল্য অনুভূতি কিনতে টাকার প্রয়োজন নেই । ‘

পায়রা বহু দ্বিধায় আমতাআমতা করে বললো –

‘তাইলে বলেন কী দিতে পারি? ‘

পায়রার প্রশ্নবিদ্ধ চোখের দিকে তাকিয়ে নীলাংশ বললো-

‘যা চাইবো কিন্তু দিতেই হবে।’

পায়রা মিনমিন করে বললো –

‘আইচ্ছা। ‘

নীলাংশ পায়রার ভয় বুঝতে পেরে বললো-

‘তোলা থাকুক, একদিন চাইবো। সেদিন না কিন্তু খুব কষ্ট পাবো। না বলবে না তো? ‘

পায়রা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। পরেরটা পরে ভাবা যাবে তাই প্রফুল্লচিত্তে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে দিলো।

গাড়িতে উঠে পায়রা সিটবেল্ট লাগানোর চেষ্টা করছে ৷ আগে দুইবারের সময় তো সহজেই লেগে গেলো। এখন কেনো লাগছে না! পায়রা বিরক্ত হয়ে ‘চ’ আকারের শব্দ করলো। নীলাংশ গাড়ি স্টার্ট দিচ্ছিলো। তাই খেয়াল করেনি। পায়রা লাগাতে না পেরে হতাশ হয়ে বেল্ট ওভাবেই রেখে দিলো। মাঝে মাঝে নীলাংশ প্রশ্ন করছে পায়রা হাসিমুখে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে।
দশ মিনিট পর গাড়ির পাশ দিয়ে একটা মালবাহী ট্রাক কাছ ঘেঁষে যাচ্ছিলো। নীলাংশ স্বাভাবিকভাবেই দ্রুত সাইড করে নিলো। ঘটনা ঘটে গেলো এখানেই। পায়রা অন্য দিকে মনোযোগ দিয়ে ছিলো। সেদিকে খেয়াল না থাকায় ধাক্কা লাগতেই মাথা গাড়ির জানালার চোখা জায়গায় লেগে গেলো। ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠতেই নীলাংশ চকিতে তাকালো। দ্রুত গাড়ি থামিয়ে দিয়ে পায়রার মাথা ঘোরাতেই মাথা ঘুরে গেলো৷ অস্ফুটে বললো-

‘ওহ নো, পিচ্চি! ‘

চলবে….
অধিকাংশ পাঠক পাঠিকারা চাচ্ছিলেন পায়রা প্রতিবাদী, চালাক, শক্ত হোক। কিন্তু সবার খেয়াল রাখতে হবে,প্রথমত পায়রার বয়স অনেক কম। তারপর সে গ্রামে বড় হয়েছে। এখন বলতেই পারেন, গ্রামের মেয়েরা অনেক কম বয়সেই সংসার করে। হ্যা কথাটা সত্য। কিন্তু, গ্রামের পরিবেশ থেকে একজন মানুষ হুট করেই ঢাকা শহরের পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট সময়ের। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, সব জায়গায় প্রতিবাদ করা যায় না। যতদিন পর্যন্ত কেউ নিজের দায়িত্ব নিজে না নেয়, অন্য কারো সহায়তায় তাকে জীবন ধারণ করতে হয়। ততদিন চাইলেও মুখের উপর কথা বলা যায় না। পরিস্থিতি মানুষকে শক্ত বানায় তো কখনো দূর্বল। সময় হলে অবশ্যই পায়রা তেমন হবে। ততদিন অপেক্ষা করুন। যেহেতু উপন্যাস তা-ই ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে। সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন আশা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here