স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 পর্ব- ১৭

0
2148

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part- 17
_______________________

সবার সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প হলো।
কিন্তু আমার মনের কোনে জমে আছে একটাই প্রশ্ন ম্যাজিশিয়ান টা কে ?
আমার বড্ড বাজে একটা স্বভাব যদি মনের কোনে কোন প্রশ্ন জাগে , তাহলে তা না জানা অব্দি শান্তি নেই ।
যেমন টা এখন অনুভব হচ্ছে, মনের ভেতর প্রশ্ন গুলো খচখচ করছে কিছু তেই শান্তি দিচ্ছে না ।
কি অশান্তি রে বাবা , আচ্ছা এখানে কাউকে প্রশ্ন করব ?
ধ্যাত কি সব বলছি আমি, সবাই কি ভাববে যে আমি এই ম্যাজিক এ খুশি হই নি নাকি।
কিন্তু ম্যাজিকটা হলো কোন ম্যাজিশিয়ান দ্বারা
মনটা আনচান করছে।
এমন সময় ফারহান ভাইয়ার উপস্থিতি তে আমি শিউরে উঠলাম।
এই লোকটা ইদানিং কেমন উল্টো পাল্টা প্রশ্ন করে আমাকে ঘাবরে দেয়।
____________________

ফারহান ভাইয়া এসেই রিফাত ভাইয়ার সাথে গলা জড়িয়ে ধরে বলল
– কিরে ভাবিজান কে পেয়ে আমাকে ভুলেই গেছিস মনে হচ্ছে ।

মনিকা আপু লজ্জা পেলো তারপর ফারহান ভাইয়া কে বলল
– ভাইয়া তুমি বড়দের সামনে কি সব বলছো।

ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে মনিকা আপু কে বললেন
– দুইদিন বাদে বিয়ের পিরিতে বসবি আর এখন লজ্জা পাচ্ছিস।

রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়া কে হালকা ধাক্কা মেরে বলল
– আব্বু সামনে দেখতে পাচ্ছিস না নাকি ।

এবার বড় আব্বু মনিকা আপুর মাথায় হাত রেখে রিফাত ভাইয়া কে বললেন
– লুকিয়ে কি হবে ।
বিয়ে তো তোকে আমার মনিকা মামুনি কেই করতে হবে।

রিফাত ভাইয়া চমকে উঠলেন ।
কারন বড় আব্বু ওদের বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না।
কিন্তু এখন কথা শুনে মনে হচ্ছে বড় আব্বু ও রাজি।

বাহহহ তার মানে খুব তাড়াতাড়ি এদের এনগেন্সমেন হবে আহা কি মজা।
_________________________

ভাবতে না ভাবতে ছোট চাচ্চু বলে উঠলেন তাহলে এদের এনগেন্সমেন কয়েক মাসের মধ্যেই হয়ে যাক।

এবার ছোট চাচ্চুর জন্য খারাপ লাগছে বেশ।
ধ্যাত আমার চাচ্চু র কপাল টাই খারাপ ।

ভাবনাতে ছেদ কাটলো ফারহান ভাইয়ার কথায় ।
ফারহান ভাইয়া চাচ্চু কে জড়িয়ে বলল
– আরে আমার হ্যান্ডসাম চাচ্চু এবার কিন্তু তোমার ও বিয়ের ফুল ফুটবে।

চাচ্চুর সাথে সাথে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে গেলাম।
আব্বু বলে উঠলো
– ফারহান ক্লিয়ার করে বল।

চাচ্চু ও জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

ফারহান ভাইয়া কিছু বলার আগেই রাজিব চাচ্চু বড় আব্বু কে বললো
– আরে ভাইয়া বুঝো নি ।
এই বার আমি আমার দুশমন কে কষ্ট থেকে মুক্ত করে দিবো।

ছোট চাচ্চু রাজিব চাচ্চু কে বলল
– দেখ ভাই গত চার বছর ধরে জ্বলছি আর জ্বালাস না।
হেঁয়ালি না করে ক্লিয়ার করে বল।

তখনি ফারহান ভাইয়া মনি আন্টি কে কাছে নিয়ে এসে রাজিব চাচ্চু কে চোখ দিয়ে ইশারা করলো।

রাজিব চাচ্চু মনি আন্টির হাত ধরে নিয়ে এসে আরিফ চাচ্চুর হাত আর মনি আন্টির হাত এক করে দিল।
তারপর বলল
– এইবার আর তদের কষ্ট পেতে দিবো না।
এই যে দুজোন কে এক করে দিলাম।

আরিফ চাচ্চু রাজিব চাচ্চু কে জড়িয়ে ধরলো।
তারপর বলল
– ঠ্যাংস ভাই।
আমার জীবনের বড় একটা প্রাপ্তি তুই আজ আমাকে উপহার দিলি।

রাজিব চাচ্চু আরিফ চাচ্চুর পিঠ চাপরে বলল
– দুর কি সব বলসিস । উল্টো আমি তদের কাছে সরি।
আমার জন্য তদের এতো কষ্ট পেতে হয়েছে।

সবার মুখে হাসির রেখা দেখা গেল।
বাহহহ কতো সুন্দর ই না পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছে কিন্তু ।

মনি আন্টির মুখ টা দেখে ই মনে এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করলাম কারন মনে হলো বুকে গেঁথে থাকা কতো জনমের পাথরটা আজ নেমে গেছে।
আরিফ চাচ্চু আর মনি আন্টির চোখে চোখে কথা হচ্ছে।
কি অদ্ভুত শান্তি সে দৃশ্যে বলে বোঝানো যাবে না।

ঠিক তখনি ফারহান ভাইয়া ওদের দুজোনের মাঝে ফোরন কাটলো।

ফারহান ভাইয়া হালকা কেশে বলল
– একটু সামলাও নিজেদের পাশে বড় আর ছোট রা ও তো আছে।

এই কথায় মনি আন্টি লজ্জা পেলো।
তারপর ই বলল
– চুপ পুঁচকে তুই আমাকে ক্লাস টেন থেকে
জ্বালাচ্ছিস ।
এক মাসের জন্য আমাদের স্কুলে সিফট হয়ে পুরো হাড় মাশ কালি করে দিয়েছিলি।

ফারহান ভাইয়া অভিমানি সুরে বলল
– যাও তার জন্যে ই তো তোমাদের এক করে দিলাম।
সেই আমাকেই বকা দিচ্ছো
এই গুলো ঠিক না কিন্তু।
তোমার মেয়ে হলে তো আমাকেই বিয়ের জন্য ডাকবে।
যদি ও বুড়ো হয়ে যাবো তখন।

আমি এদের দিকে তাকিয়ে বললাম
– এই যে কেউ তো আমাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

সবাই এক যোগে বলল
– আহারের।

আমি ভ্যাবলা হয়ে গেলাম।

রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়া কে বলল
– আরে বেটা এইবার বল কাহিনী তে কি টুইস্ট করেছিস।

ফারহান ভাইয়া একটু ভাব নিয়ে বলল
– ইটস ম্যাজিক।

এই বার বুঝলাম আমি। এই সব যা যা হয়েছে সব এই হনুমানের ম্যাজিক।

রিফাত ভাইয়া বলল
– আরে সেটাই তো বল।

ফারহান ভাইয়া বলল
– আরে তেমন কিছু ই না।
রাজিব চাচ্চু কে বুঝালাম যে শুধু শুধু দুটো আত্মা কে মরন যন্ত্রণা না দিয়ে এক করে দেও।
দুজোনের সাথে সাথে দুটো পরিবার ও কষ্ট পাচ্ছে।
রাজিব চাচ্চু ও বললেন
– হ্যাঁ। আর ওদের কষ্ট দিবো না।

তাই চটপট চলে আসলো ফারাবি কে দেখে যাবে আর ওদের এক ও করে দিবে।

এই যা ।

আরিফ চাচ্চু ফারহান ভাইয়া কে বলল
– ঠ্যাংস আব্বা জান।

ফারহান ভাইয়া একটু ভাব নিয়ে বলল
– আব্বা জান ছাড়ো।
জামাই জান বলো তোমার মেয়ে হলে আমি ই কিন্তু বিয়ে করবো।

সবাই এক সাথে হেসে উঠলাম।

____________________________

বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া বলল
– আচ্ছা তোমাদের কি ডিনার করার ইচ্ছে নেই ?
অলরেডি 9’50, খাবে আবার বাসায় ও তো বেক করবে।

রিফাত ভাইয়া বলল
– হ্যাঁ বড্ড খিদে পেয়েছে।
চল গিয়ে দেখি কোনো রেস্টুরেন্ট এ ভালো কিছু আছে নাকি।

ফারহান ভাইয়া বলল
– মহারাজ এতো ভাবতে হবে না ।
আপনাদের খাবার রেডি ই আছে।
শুধু আপনাদের যাওয়াই বাকি ।

আরিফ চাচ্চু বলল
– মানে ?

ফারহান ভাইয়া হালকা হেসে বললেন
– আরে আমি তোমাদের জন্য রেস্টুরেন্ট বুক করে রেখেছি ।
তোমরা শুধু যাবে।

বড় মা বলল
– তুই এতো কষ্ট করতে গেলি কেন ?

ফারহান ভাইয়া বড় মা কে হালকা জড়িয়ে ধরে বলল
– আরে কাকি ।
চিন্তা করো না তো তোমরা যাও।

পরক্ষণেই বড় আব্বু, বড় মা , আম্মু, আব্বু, রাজিব চাচ্চু, আরিফ চাচ্চু, মনি আন্টি , রিফাত ভাইয়া আর মনিকা আপু আমাকে আর ফারহান ভাইয়া কে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন।

ফারহান ভাইয়া এই দুদিন এই হসপিটালেই থাকবেন।
হসপিটালে দুটো পারসোনাল বেড রুম আছে।
যাতে কখনো হসপিটালে ফারহান ভাইয়ার পরিবার বা রাফান ভাইয়ার ইমার্জেন্সি থাকলে ওদের কোনো সমস্যা না হয়।
ফারহান ভাইয়া ঐ রুমে ই থাকবেন ।
আর তাছাড়া আমার বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজন হতে পারে যা ফারহান ভাইয়া ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে হবে না।

সবাই চলে যাওয়ার পর ফারহান ভাইয়া আমার কাছে এসে বসলেন তারপর আলতো ভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাঙলেন।
কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া বললেন
– কোনো সমস্যা হচ্ছে ফারাবি ?

আমি বললাম
– উঁহু।

ফারহান ভাইয়া আমাকে বলল
– আচ্ছা তাহলে ঘুমিয়ে পড়।
আমি বললাম
– ঘুম আসছে না।
ফারহান ভাইয়া হালকা হেসে বললেন
– ঘুম আসছে না ।
আচ্ছা চল তোকে একটু ঘুড়িয়ে নিয়ে আসি।
আমি বললাম
– কোথায়?
ফারহান ভাইয়া বলল
– উঁহু । এত প্রশ্ন করছিস কেন, গেলেই তো বুঝবি।

আমি তা ও বললাম
– বলুন না ।

ফারহান ভাইয়া নিচু হয়ে বললেন
– আমাকে ভয় পাচ্ছিস ?
যদি কিছু করে দেই ?

আমি ওনার কথায় চমকে গেলাম ।
তারপর তুতলিয়ে বললাম
– নাহহ তোতত ।
ভয় কেন পাবো ?
ফারহান ভাইয়া হালকা হেসে বললেন
– উহু।
ভয় পাওয়া উচিত।
আমাকে দিয়ে ও ভরসা নেই।
এই বলেই ওনি ডেবিল হাসি দিলেন।

আমি শুধু চেয়েই আছি ।
এই লোকটা ইদানিং কেমন হয়ে গেছে।
কি সব বলে যার অর্ধেক টাই আমার মস্তিষ্কে ঢুকে না।
আজব তো
_______________________

ফারহান ভাইয়া আমাকে ধীরে ধীরে উঠালেন।
এখনো শরীরটা বেশ দুর্বল যে।
আমাকে আস্তে আস্তে নিয়ে যেতে লাগলেন।
কিন্তু হঠাৎ ই আমার পা যেন অবশ হয়ে গেল।
ফারহান ভাইয়া আমার এমন অবস্থা দেখে অন্য দিকে তাকিয়ে বললেন
– ফারাবি একটা কথা বলব ?

আমি তো আকাশ থেকে পরলাম ওনি আবার কবে থেকে আমাকে কিছু বলার জন্য পারমিশন নেন।
এই লোকটা একটা

ফারহান ভাইয়া অন্য দিকে ফিরে নিচু হয়ে আবার বললেন
– একটা কথা বলতে পারবো ?

আমি হালকা স্বরে বললাম
– হুমম।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– তোর এভাবে হাঁটতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
তোর যদি কোনো সমস্যা না থাকে তো কোলে নিতে পারি ?

আমার চোখ গুলো রসগোল্লার আকার ধারণ করেছে ।

ফারহান ভাইয়া আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
আজব তো তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা করার কি ছিল ?
আমাকে ব্যালেন্স করতে ফারহান ভাইয়ার গলা জড়িয়ে ধরতে হলো।
কেমন যেন লাগছে , আর ফারহান ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়ে নিঃসংকোচে এগিয়ে যেতে লাগলো।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে আছি যা ওনি দেখে ফেলেন।
মৃদু হেসে ফারহান ভাইয়া বললেন
– ছোট সময়ে অনেক কোলে উঠেছিস।
আহামরি কিছু না এটা।
হা হয়ে তাকিয়ে আছিস কেন?

আমি ওনার কথার উত্তর দিতে পারলাম না উল্টো বেশ লজ্জা তে পরে গেলাম।
ধ্যাত কেন যে তাকালাম ,
এই সব কিছু আমি ভাবতে ভাবতে
ফারহান ভাইয়া আমাকে কোথাও এক টা নিয়ে আসলেন।
আমি ভাবনাকে এতটাই বিভোর ছিলাম যে আমার খেয়াল ই নেই যে আমাকে কোলে করে ফারহান ভাইয়া কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।

আশে পাশে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম এটা কোথায়।
আমার বোঝার পূর্বে ই ফারহান ভাইয়া বললেন
– অন্ধকুঠরি তে নিয়ে আসি নি।
এটা নার্সিংহোম এর ছাদ

আমি বুঝতে পেরে বললাম
– ওহহ। কিন্তু আমাকে এখানে আনলেন কেন?

ফারহান ভাইয়া কানের কাছে মুখ নিয়ে বললেন
– তোকে এই বারো তলার ছাদ থেকে ফেলে দিতে।

আমি ওনার কথায় বিষম খেলাম ওনারে দিয়ে বিশ্বাস নেই ।
যা খুশি করতে পারেন এমনকি আমাকে ফেলে দিতে ও।
আতঙ্কে শিউরে উঠলাম, এই দেখে ফারহান ভাইয়া মৃদু হাসলেন।
তারপর ই বললেন
– এতো ভয় পাস কেন আমায় ?
তোর মনে হয় আমি তোকে ফেলে দিবো ?
তবে হ্যাঁ ভয় পাবি আমাকে বুঝেছি ।
তোর ভয় পাওয়া ফেস টা খুব সুন্দর লাগে ।

ওনার বলা শেষ উক্তি টিতে আমি লজ্জা পেলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে লজ্জা পেতে দেখে বলল
– লজ্জা তে তোকে অন্য রকম লাগে।
লজ্জা পাস না, এতে সমস্যা হয় আমার ।

এবার আমি ওনার দিকে সন্দিহান চোখে তাকালাম
আজব তো আমি লজ্জা পেলে ওনার সমস্যা কি ?
কিন্তু মুখে বললাম
– তো লজ্জা তে ফালান কেন ?

ফারহান ভাইয়া মৃদু হাসলেন তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন
– আজকাল তোকে পিচ্ছি ও লাগে আবার মনে হয় বড় হয়ে গেছিস ।
কনফিউশনে চলে যাই তাই লজ্জা দেই।

আজব তো এর সাথে লজ্জা দেওয়ার কি সংযোগ।

আমি বললাম
– বুঝলাম না।

ফারহান ভাইয়া বলল
– এই যে তুই বুঝতে পারলি না।
এতে তোকে বাচ্চা বাচ্চা লাগে।
আর যদি কখনো তোর দিকে গভীর ভাবে তাকাই তখন মনে হয় ,না অনেক ম্যাচুউর হয়েছিস।
তো সব মিলিয়ে কনফিউশনে চলে যাই।
আর বাচ্চা দের ভয় দেখাতে হয় আর বড় দের আতঙ্কে ফেলতে হয়।
কিন্তু তোকে কোন টাতে ফেলবো বল ?
তাই কনফিউশনের জন্য তোকে লজ্জা দেই।
কিন্তু তবু ও তোর মাথায় কোনো কিছু ঢুকে না।

আজব তো এর সাথে কোথায় কি সম্পর্ক ।

ফারহান ভাইয়া কে বললাম
– এভাবে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে থাকবেন ?

ফারহান ভাইয়া বলল
– নাহহ । তবে তোর ইচ্ছে হলে থাকতেই পারি।

আমি আবার ক্যাবলা হয়ে গেলাম তারপর বললাম
– আমি কি বলেছি নাকি।

ফারহান ভাইয়া মৃদু হাসলেন।
তারপর ছাদের এক পাশে রাখা একটি টুলে আমাকে বসালেন আর অন্য টিতে ওনি বসলেন।
_____________________

এই কুয়াশা ভরা শীতের রাতে কিছুক্ষণ আকাশের দিকে চেয়ে রইলাম দুজোন এর মাঝেই নিরবতা চলছে।
এখন খানিকটা শীত লাগছে , ফারহান ভাইয়া আমাকে কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকতে দেখে উঠে গিয়ে ছাদের মধ্যে থাকা ছোট্ট ঘরের মতো রুমটাতে গেল।

তারপর হাতে করে একটা চাদর নিয়ে আসল।
চাদরটা আমার গায়ে জড়িয়ে দিলো , আমি কিছু বললাম না ।
কারন এই কুয়াশা ভরা শীতের রাতের সুন্দর দৃশ্য টুকু আমি অনুভব করতে চাই।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে কিছুক্ষণ এক ধ্যানে তাকিয়ে রইল , আমি বুঝতে পেরে ও ওনার দিকে তাকালাম না ।
ওনি আবার উঠে গেলেন, তারপর সেই ছোট্ট কুটিরের মধ্যে প্রবেশ করলেন।
এবার কয়েক মিনিট পার হয়ে গেল কিন্তু ওনি আসছেন না।
কিন্তু এতে যেন আমার ধ্যান ই নেই।
আমি এই সুন্দর রাতটি অনুভব করছি।
প্রকৃতির এ রূপ আমি কখনো দেখি নি।

এই সময় টা বোধহয় একটু বেশি ই সুন্দর ।
বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া ফিরে আসলেন , সাথে নিয়ে আসলো দু মগ কফি।
একটি মগ আমার দিকে এগিয়ে দিলেন , আমি তাকাতেই চোখ দিয়ে ইশারা করলেন কফি টা নিতে।
আমি আলতো হেসে কফি টা নিলাম ।
কফি কাপে একটি চুমুক দিলাম ।
অদ্ভুত সে প্রশান্তি , আবার কফি কাপে
ঠোঁট ছোঁয়ানোর আগে ফারহান ভাইয়ার একটি কথাটে আমি থমকে গেলাম।
ঘোর লাগানো চোখে তিনি বললেন
– জানিস না কেউ কোনো কিছু দিলে প্রথমে তাকে ভাগ দিতে হয়।

আমি আলতো হেসে আমার কফি টা এগিয়ে দিলাম।
ফারহান ভাইয়া চুমুক দিয়ে বলল
– কফিটার স্বাদ ই বদলে গেছে ।

আমি এটাই খাবো ।

তারপর ওনি ওনার কফি টা আমার দিকে এগিয়ে
দিলেন ।

আমি আলতো হেসে ওনার কফি টা নিলাম ।
চুমুক দিতেই অদ্ভুত ভালোলাগা অনুভব করলাম।
গাঁয়ে চাদর মুড়িয়ে কফি টা শেষ করলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে ধীরে ধীরে উঠিয়ে ছাঁদের অন্য পাশে নিয়ে গেলেন।
অন্ধকার আর কুয়াশার কারনে কিছু দেখা যাচ্ছে না।
ছাদের একদম কর্নারের নিয়ে গেলেন ওনি।
আমাকে পেছন থেকে ধরে আছেন ফারহান ভাইয়া ।
তারপর যা ঘটলো এতে আমার বাকশক্তি হারিয়ে গেল।
________________________

( আসসালামুআলাই রির্ডাস । আজকে গল্প কিন্তু অনেক বড় করে দিয়েছি । আই হোপ সবার ভালো লাগবে । প্লিজ একটি কমেন্ট করবেন ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক দিয়ে পাশে থাকুন। যদি কেউ গল্প টি কপি করেন তো অবশ্যই রাইটারের নাম দিতে হবে।
আর হ্যাঁ বাজে মন্তব্য করবেন না প্লিজ । আমার গল্প যদি কোথাও অন্য রাইটারের নাম দিয়ে পোস্ট করা হয় তবে অবশ্যই আমকে জানাবেন। )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here