স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 পর্ব- ৭

0
3136

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 7
____________________

শিলাকে বিদায় জানিয়ে আপাদমস্তক চিন্তা করতে করতে বেশ খানিকটা চলে আসলাম ।
ওমন সময় চোখে পড়ে দুটো ছোট্ট বাচ্চা রাস্তার পাশে খেলছে ।
ওদের দেখে মনটা ভরে উঠলো ।
সমস্ত ধ্যান ধারনা ওবে গিয়ে ওদের দিকে চোখ আটকে গেল।
সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে বাচ্চা দুটো খেলছে ঠিকই কিন্তু আমার কাছে ওদের কেমন যেন বর বউ মনে হচ্ছে।
মেয়ে টার বয়স পাঁচ কি ছয় আর ছেলেটার আট নয় হবে ।
ওদের দেখে সমস্ত চিন্তা ভুলে গেলাম ।
ওদের খেলা দেখার জন্য পাশের বেঞ্চ এ বসলাম ।
ব্যাগ টা কাঁধ থেকে ছাড়িয়ে বেঞ্চের পাশে রাখলাম ।
তারপর ব্যাগ থেকে কিটক্যাট টা বের করে ও কিছু একটা ভেবে রেখে দিলাম আর পাশে রাখা চকোচকো বের করলাম।
চকোচকো মুখে দিয়ে বসে আছি আর ওদের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি ।
বাচ্চা দুটো খেলছে পিচ্ছি মেয়ে টা মিথ্যে মিথ্যে রান্না করছে আর ছেলেটা তার পাশেই বসে আছে ।
মেয়ে টা বেশ অনেকক্ষণ ধরে বিভিন্নভাবে রান্না করলো ।
তারপর ছোট প্লাস্টিকের চুলা থেকে হাঁড়ি টা নামালো।
নামানোর সময় আবার কি সুন্দর মিথ্যে মিথ্যে ছ্যাঁকা খেলো ।
ছেলেটা ওকে বলল
– তুমি ব্যাথা পেয়েছো ।
মেয়ে টা কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে বলল
– হুম ।
ছেলেটা আবার বলল

– আমি তো বললাম সাবধানে রান্না করো । কিন্তু তুমি শুনলেই না ।
দেখি দেখি কোথায় ব্যাথা পেয়েছো।
আমি ওদের এহেম কান্ডে অবাক না হয়ে পারলাম না।
এই টুকুনি দুটো বাচ্চা কি সুন্দর অভিনয় করছে ।
বাববাহ আমি তো পুরো ফিদা । আরো বেশি আগ্রহ নিয়ে ওদের দিকে মনোযোগ দিলাম ।
ছেলেটা মেয়ে টার হাত ধরে ফু দিয়ে দিচ্ছে ।
মেয়ে টা আবার কিছু ক্ষুন পর বলছে আস্তে ফু দাও দেখো নি কতোটা পুরে গেছে ।
ছেলেটা টা মেয়ে টার মাথায় গাট্টা মেরে হেসে হেসে বলল
– হয়েছে অনেক ক্ষিদে পেয়েছে খেতে দাও ।
মেয়ে টা বলল
– না আমি পারব না ।
ছেলেটা বলল
– তাহলে কিন্তু বড় হয়ে তোমায় বিয়ে করবো না ।
মেয়ে টা এবার রেগে গেল আর বলল
– তোমাকে আমি ও বিয়ে করবো না । যাও
এই বলে উঠতে লাগলো তখনি ছেলেটা মেয়ে টার হাত ধরে বলল
– আচ্ছা রাগ করো না ।আমি আর বলব না এমন এই যে কান ধরছি।
মেয়ে টা মানল না রেগে ফুলে অন্য দিকে মুখ করে বসে রইল
এবার ছেলেটা মেয়ে টার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে মেয়ে টার হাত ধরে বলল
– বললাম তো আর হবে না।
কিন্তু মেয়ে টা মানতে নারাজ
এবার ছেলেটা উঠে দাড়িয়ে
মেয়ে টার কপালে চুমু এঁকে দিলো।
এবার দুজনেই ফিক করে হেসে দিলো
আর হাত ধরে চলে গেল।
আমি শেষের দুটো কান্ডতে শিউরে উঠলাম সাথে কিছু টা লজ্জা ও পেলাম সেইদিনের কথা ভেবে । কারন সেইদিন আমি কান্না করায় ফারহান ভাইয়া ও হাঁটু গেড়ে বসে আমার কপালে চুমু এঁকে দিয়েছিলো ।
এই সব ভাবতে ভাবতে আবার হাঁটা লাগালাম।
আজকে যেন পা চলছেই না।
ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসলো ।
_______________

আবার কিছু টা পথ চললাম পাশের দোকানে ফারহান ভাইয়া কে দেখতে পেলাম ।
ফারহান ভাইয়া দুজোন গরিব ব্যক্তি কে কিছু কিনে দিচ্ছেন ।
লোক দুটো ফারহান ভাইয়ার হাত ধরে আবার কিসব যেন বলছে ।
ফারহান ভাইয়া ও ওনাদের হালকা হেসে হেসে উওর দিচ্ছেন ।
মনের ভেতর এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করলাম ।
ফারহান ভাইয়া সত্যিই অসাধারণ মানুষ।
সবাইকে কেমন সাহায্য করে ।
যখন হানিফ কাকা ও কাকি ছেলেদের অবহেলার কারনে বাড়ি ঘর ছেড়ে এখানে চলে আসে তখন ফারহান ভাইয়া ওনাদের অনেক সাহায্য করেছিলেন।
তখন ফারহান ভাইয়া নবম কি দশম শ্রেণীর ছাএ।
হানিফ কাকার থাকা খাওয়া দোকান সব কিছু তো ফারহান ভাইয়াই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
কাকা তো ফারহান ভাইয়া কে বাবা ছাড়া কথাই বলেন
না ।
আর ফারহান ভাইয়া ও সবসময় কাকার খোঁজ খবর রাখবে ।
কেমন আছে কোনো অসুবিধা হচ্ছে নাকি বা কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে নাকি সব।
কাকি তো ফারহান ভাইয়া কে প্রায় সময় ই নিজেদের সাধ্য মতো রেঁধে খাওয়াবেন ।
ফারহান ভাইয়া ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ।
ওনারা দরিদ্র বলে কখনো অবহেলা করে না ।
বরং এক সাথে বসে খায় আর কাকিকে পা ধরে সালাম করে সবসময় ।
এইটুকু বয়সেই দরিদ্র মানুষের প্রতি এতো ভালোবাসা ভাবা যায় ।
আসলেই মানুষ টা খুবই ভালো ।
এই সব ভাবতে ভাবতে বেশ আবার কিছু টা পথ চলে আসলাম।

_______________________

হানিফ কাকার চায়ের দোকান পাশ দিয়ে যাচ্ছি এমন সময় হানিফ চাচা ডাক দিলেন ।
ওনাকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দিলাম আর জিজ্ঞাসা করলাম
– কেমন আছেন কাকা ?

[ হানিফ কাকা অসম্ভব ভালো মানুষ । কিন্তু কথায় আছে না ভালো মানুষের কপালে বেশির ভাগ সময় সুখ থাকে ঠিক তেমনি।
তাই তো তিন ছেলে থাকা সত্যে ও আজ কাকা কে চা বিক্রি করতে হয় । যদি ও এতে কাকার কোনো অভিযোগ বা অভিমান নেই। দিব্বি আছেন তিনি তার সহধর্মিনী কে নিয়ে ।
কাকার বয়স হবে 52 কি 55 তিন ছেলে কে বিয়ে দিয়ে ছেন ভালো চাকরি ও করেন তারা কিন্তু মধ্যবয়সী বাবা মায়ের আশ্রয় নেই তাদের কুটিরে ।

কাকা এখানে আছেন চার বছর ধরে ।
অসম্ভব সুন্দর করে কথা বলেন ।
আমাকে দেখলেই বলবে মামুনি কেমন আছো । আমার হাতে চা খেয়ে যাও। বাসার সবাই কেমন আছেন সব । অনেক ভালো লাগে ওনার সাথে কথা বলতে ]

আজ ও তার ব্যতিক্রম হলো না কাকা আমাকে বলল বসো মামুনি ।
তোমার জন্য স্পেশাল চা বানিয়ে দেই ।
কাকার হাতের চা উফফফ মিস করা যাবে না ।
বসে আছি কাকা চা দিলেন আমি চায়ের কাপে চুমুক দিতে না দিতে কাকা জিজ্ঞাসা করলেন তা মামুনি চা টা কেমন হয়েছে।
আমি আরেক বার চুমুক দিয়ে বললাম,
– উফফফ কাকা কি যে বলব অসাধারণ।
কাকা হেসে উঠলো পরক্ষণেই বলল ,
– মামুনি আজ ঐ বখাটেরা তোমাকে হয়রান করে নি তো ?
মূখ টা মলিন হয়ে গেলো আমার , বললাম
– না কাকা ওরা তো আজকে আমার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে ।
কিন্তু কাকা
আমার কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই কাকা হেসে উঠলেন।
আমি ওনার হঠাৎ অপ্রত্যাশিত অট্টহাসি তে কিছুটা বেকুব বনে গেলাম ।
পরক্ষণেই কাকা যা যা বললেন আমি তো আকাশ থেকে পরলাম।
– তা মামুনি ওদের ঘাড়ে কয় টা মাথা যে ওরা আবার হয়রান করবে ।
সেইদিন কি মার টাই না খেয়েছে ।
আমি হতবাক হয়ে গেলাম সম্পূর্ণ ঘটনা বুঝার জন্য নিজেকে সিরিয়াস করে নিলাম তারপর কাকা আমাকে যা যা বললেন তা শুনে আমি নিজের বাকশক্তি হারিয়ে ফেললাম ।
কতো ক্ষন থম মেরে বসে রইলাম ।

[ সেই দিনের ঘটনা যখন আমি ফারহান ভাইয়া কে রিফাত ভাইয়া ভেবে জড়িয়ে ধরে ছিলাম ।
যখন দেখলাম আমি রিফাত ভাইয়া কে না ফারহান ভাইয়া কে জড়িয়ে আছি তখন আর তাঁর দিকে দ্বিতীয় বার তাকাতে পারলাম না । লজ্জার সাথে সাথে খানিকটা ভয় ও কাজ করছে ।
ফারহান ভাইয়া হলো বড্ড রাগি কিন্তু বড়দের যথেষ্ট সম্মান করে । সবার মুখে মুখে ওনার প্রশংসা শোনা যায়। ওনার সাথে তো আমার তেমন কোনো দিন কথাই হয় নি ।কারন আমি ওনাকে প্রচন্ড পরিমানে ভয় পাই । ওনার দিকে তাকালেই মনে হয় ওনি রেগে আছেন । সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হলে ও সত্যি যে আমি ওনাকে কখনো কাঁদতে আর অট্টহাসি তে দেখিনি । হাসি বলতে ঠোঁটৈর কোনে মৃদু হাসি ।
কিন্তু এই মানুষটির মৃদু হাসি টা চোখ ধাঁধানোর মতো সুন্দর ।
প্রান খোলা স্বচ্ছল হাসিটা কতই না সুন্দর হবে।
বরাবরই ওনার থেকে আমি দূরে থাকি ।
ওনার দিকে তাকাতেই পারছিলাম না ।
ওনি শান্ত স্বরে বললেন
– ফারাবি কি হয়েছে, বল আমায় ।
আমি কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই। আমাকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে ওনি এবার আমাকে ধমক দিলেন ।
– ফারাবিইই ।
ওনার ধমকে আমি চমকে গেলাম আর সাথে সাথে ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিলাম।
ওনি যেন বোকা বনে গেলেন।
আমাকে আলতে ভাবে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে দিলেন।
তারপর আমাকে ছাদে রাখা আরটিফিশিয়াল ফুল দিয়ে সাজানো মিষ্টি দোলনাটা তে বসালেন ।
আর ওনি হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসলেন।
কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করলো ।
তারপর আমার হাত টি ধরে চুমু খেয়ে বললেন আমাকে ভয় পাচ্ছিস ?
আমি কোনো রখম ইতস্তত না করে মাথা দোলালাম ।
ফারহান ভাইয়া বললেন
– আচ্ছা আমি বকা দিব না তোকে, কিন্তু যদি তুই আমাকে সত্যি টা বলিস তো ।
আমি মাথা দোলালাম ।
তারপর আবার বলা শুরু করলেন এবার বল তুই ঐ ভাবে কাঁদছিলি কেন ?
সব টা মনে পড়ে যাওয়ায় আমি আবার কেঁদে দিলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে বললেন এবার কিন্তু বকা
দিবো ।
– উঁহু আর কাঁদবি না । চোখের পানি আবার মুছে দিলেন আর বললেন সবসময় কাঁদলে তোকে ভালো লাগে না।
যেমনটা এখন তোকে কান্না তে মানাচ্ছে না ।
এখন আর কাঁদবি না ।
তারপর বললেন বল আমায় কি হয়েছে আমি ওনাকে অনড়গল সব বলে দিলাম। ওনি আমাকে কাছে টেনে নিয়ে হালকা ভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন কিছু হয় নি ফারাবি এই টুকুতে কেউ এভাবে কাঁদে ।
শোন বাসায় কাউকে কিচ্ছু বলবি না ঠিক আছে আর এখন সুন্দর করে ফ্রেস হয়ে খেয়ে একটা ঘুম দিবি ।
আমি পতিউওরে মাথা দোলালাম ।
– ওনি আমাকে দোলনা থেকে উঠিয়ে কপালে চুমু এঁকে দিলেন আর বললেন লক্ষ্মী মেয়ে ।
ফাস্ট , ফাস্ট যা না হলে কিন্তু বকা দিবো ।
আমি তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে ওনার কথা মতো খেয়ে ঘুম দিলাম ।
_____________

সেইদিন রাতের বেলা আকাশ ভাইয়া রা মদ খাচ্ছিলো আর ক্যারাম খেলছিলো সাথে সেইদিনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি করছিলেন ।
আকাশ ভাইয়া বললেন কালকে আবার মেয়ে টাকে পাবো বলেই পৈশাচিক হাসি দিলেন ।
হঠাৎ কারো ঘুসি খেয়ে আকাশ ভাইয়া নিচে পড়ে গেলেন ।
এমন হঠাৎ আক্রমণে কিছুটা রেগে গিয়ে উঠে দাড়িয়ে এক অশব্র গালি দেওয়ার জন্য সামনে থাকা মানুষটার দিকে তাকালেন।
তাকিয়ে আকাশ ভাইয়া বাকশক্তি হারিয়ে ফেললেন।
চোখ গুলো অসম্ভব লাল, মনে হচ্ছে এখনি ফেটে রক্ত পরবে ।
আকাশ ভাইয়ার মনের ফেতর ছ্যাত করে উঠলো ।
ভয়ে ওনার পা অনড়গল কাঁপছে তারপর তুতলিয়ে বললেন
– ফাফাররহান ভাই। কিছু বলার পূর্বে ই আবার এক ঘুসি পড়লো আকাশ ভাইয়ার মুখে ।
ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো ।
কিছু বোঝার পূর্বেই ফারহান ভাইয়া, আকাশ ভাইয়া আর সিহাব ভাইয়া কে উদোম মারতে
লাগলেন ।
পাশে থাকা কোনো মানুষের সাহস নেই এগিয়ে গিয়ে ফারহান ভাইয়া কে আটকানোর ।
আকাশ ভাইয়ার হাত টা পা দিয়ে পিষে বললেন এই হাত দিয়ে আমার ফারাবি কে স্পর্শ করেছিস।
তোর এই হাত আমি ভেঙে গুড়িয়ে দিবো ।
আর সিহাব ভাইয়ার কলার চেপে ধরে বললেন তোর এই মুখ দিয়ে তুই ফারাবিকে কটূক্তি করেছিস , তোর এই চোখ দিয়ে বাজে ইঙ্গিত করেছিস তোকে তো আমি বলেই অঝোরে মারতে লাগলেন।
তোর জিভ আমি ছিড়ে ফেলবো হাড়া*** বা** ।
পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া। দুজোন ফারহান ভাইয়া কে থামাতে গেলো । কারন যে ভাবে মারছে তাতে বেশি ক্ষন এভাবে মার খেলে মৃত্যু হওয়া তেমন আশ্চর্যের বিষয় না
ফারহান ভাইয়া কে আটকানো যাচ্ছে না ।
ওদের দুজোনের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । জীম করা বডি স্কুল কলেজ বক্সিং চ্যাম্পিয়ন কে সহজে আটকানো যাবে না এটা স্বাভাবিক ।
রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া আশে পাশের মানুষের সাহায্য নিয়ে কোনো মতে ফারহান ভাইয়া কে দূরে সরিয়ে আনলো ।
রানা ভাইয়া বললেন ফারহান ক্যাল্ম ডাউন কি করছিলি কি মরে যেতো তো ।
ফারহান ভাইয়ার চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট ফুটে উঠছে।
ফারহান ভাইয়া বলল
– ঐ জানো**** বা*** তো মেরেই ফেলতে
চেয়েছিলাম।
ওর সাহস বেড়ে গেছে ।
জামান ভাইয়া বলল
– আচ্ছা ও করেছে কি যার জন্য ওর
জামান ভাইয়ার কথা শেষ হওয়ার আগেই ফারহান ভাইয়া বলল
– ও কি করেছে । বল ও কি করে নাই । ঐ জানো**** বা** আমার ফারাবির দিকে নজর দিয়েছে ।

– ফারাবি মানে । রিফাতের বোন ওওওওওও

রানা ভাইয়া বলল
– তবে বুঝি আমাদের রাজনের মনে প্রেমের ফুল ফুটলো।

রানা ভাইয়া আর জামান ভাইয়া একসাথে বলে উঠলো ।
– হুমমমম বুঝে গেছি মামা।
এবার ফারহান ভাইয়া হেসে ওদের পীঠ চাপড়ে বললেন বেশি বকসিছ তোরা ।
তারপর তিনজন একসাথে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন ]

[ আসসালামুআলাই রির্ডাস । আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু । আগের থেকে আজকের পর্ব টা বড় হয়েছে । আশা করি আপনাদের খারাপ লাগবে না।
আর আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন । সাথে আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কোনো গ্রুপে রিভিউ দিবেন ।
এতো কষ্ট করে গল্প লেখি আপনাদের কাছে তো একটা রিফিউ দাবি করতেই পারি তাই না । ভুল ক্রুটি হলে ধরিয়ে দিবেন। বাজে মন্তব্য করবেন না প্লিজ । ]

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here