স্রোতের টানে পর্ব:১১

0
3866

#স্রোতের_টানে
লেখিকা:#Tarin_Niti
পর্ব :১১

আয়ান আর ফারিহা পার্টিতে এসেছে।ফারিহা চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আশপাশ দেখছে।ফারিহার একহাত আয়ানের হাতের মধ্যে বন্দি।আয়ান ফারিহার ড্রেসের সাথে মিলিয়ে সাদা শার্টের উপর কালো কোট পড়েছে,সাথে কালো প্যান্ট। হাতে দামি ঘড়ি, চুলগুলো স্টাইল করা,মুখে চাপ দাড়ি। আয়ানকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।
ফারিহা ও কম না,ফর্সা শরীরে কালো গাউনটা বেশ ফুটে উঠেছে। সামনের চুলগুলো একটা সাদা পাথরের ক্লিপ দিয়ে আটকানো আর পেছনে চুলগুলো ছেড়ে দেওয়া।হাতে ডায়মন্ডের ব্রেসলাইট, চোখে কাজল কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। হালকা সাজে ফারিহাকে একদম পরীর মতো লাগছে।
আয়ান ফারিহাকে নিয়ে ওর বিজনেস পার্টনার দের কাছে গেলো।তারপর সবার সাথে ফারিহার পরিচয় করিয়ে দিলো।এখানে ঐ লোকগুলোর ওয়াইফও আছে।ফারিহা সবার সাথে হাসিমুখে কথা বললো।

ওরা দাঁড়িয়ে কথা বলছিল কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে এসে আয়ানকে বললো,
“হেই,,আয়ান খান!হোয়াটসঅ্যাপ?”

ছেলেটাকে দেখে আয়ান খুশি হয়েছে বলে মনে হলো না।আয়ানের চোখে মুখে একটা বিরক্তি ভাব ফুটে ওঠলো।আয়ান কিছু বলছে না দেখে ছেলেটা আবার বললো,
“কিরে এখনো শত্রু ভাবছিস?আরে ইয়ার পার্টি তে এসেছিস।ইঞ্জয় কর এখানে সবাই বন্ধু!”

আয়ান দাঁতে দাঁত চেপে হেসে বললো, “আমার খবর ভালোই তোর কি অবস্থা?”

“আমি তো বিন্দাস আছি।ওটা কে?গার্লফ্রেন্ড?”

ছেলেটার কথা ফারিহা আয়ানের আরেকটু কাছে এসে দাঁড়ালো।ফারিহার কেনো যানি ছেলেটাকে ভালো লাগছেনা।ছেলেটার হাতে মদের গ্লাস।এমনিতেই ফারিহার এসব ভালো লাগেনা।
ছেলেটার কথায় আয়ান হেসে বললো,
“নো!মাই ওয়াইফ ফারিহা।এন্ড ফারিহা মিট মাই এনিমি হিমেল!”

হিমেল একটু বাঁকা চোখে ফারিহার দিকে তাকিয়ে বললো,
“ওয়াইফ?তুই কবে বিয়ে করলি?বাই দ্যা ওয়ে কংগ্রাচুলেশন।আর আমাকে তোর শত্রু বলে পরিচয় করিয়ে দিলি কেনো?”

“তাতে কি? আমার বন্ধু নাকি?”

আয়ানের কথা শুনে হিমেল মাথা নেড়ে হাসলো। তারপর ফারিহার দিকে তাকিয়ে বললো,
“তোর বউ কিন্তু অনেক সুন্দর।ওকে দেখে রাখিস কখন আবার কার নজর পড়ে যায়!”

হিমেলের কথা শুনে আয়ান হাত মুঠো করে রাগ সামলানোর চেষ্টা করে।আর ফারিহা আয়ানের হাত চেপে ধরলো।হিমেল একটু বাঁকা চোখে ফারিহার দিকে তাকিয়ে ফারিহাকে চোখ টিপ মেরে চলে গেলো।

আয়ান আর হিমেল মূলত বিজনেস শত্রু। বিজনেসে ওদের রেষারেষি লেগেই থাকে।তবে হিমেল কখনো আয়ানের সাথে পেরে উঠেনা।কারণ আয়ান বিজনেসের পাশাপাশি মাফিয়া নামেও পরিচিত। হিমেল আজকে একটু মাতাল তাই আয়ানের সাথে নির্ভয় কথা বললো।আর ফারিহার সম্পর্কে এসব বলার সাহস পেলো!

.
ফারিহা একটা জায়গা চুপচাপ বসে আছে।আয়ান দূরে দাঁড়িয়ে কিছু লোকদের সাথে কথা বলছিলো।ফারিহার হাতে একটা নরমাল জুসের গ্লাস।কিছুক্ষণ পরপর গ্লাসে চুমুক দিচ্ছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।এখানে অনেক মেয়েরা অনেক ছোট ছোট ড্রেস পড়ে আছে। ফারিহা ওদের মধ্যে নিজেকে কেমন আনকম্ফোর্টেবল ফিল হচ্ছে।ও চুপচাপ বসে থাকে আর আয়ানের দিকে তাকালো।তখন হঠাৎ কেউ এসে ফারিহার পাশে বসলো। ফারিহা সেদিকে তাকিয়ে দেখে হিমেল।
ফারিহাকে দেখে হিমেল হেসে বললো,
“তোমার মত এতো মিষ্টি একটা মেয়ে ঐ গম্ভীর রাগী আয়ানের সাথে থাকো কিভাবে?”

হিমেলের ফারিহার পাশে বসে আছে তাই ফারিহা একটু দূরে সরে গেলো।ফারিহা কিছু বলছে না দেখে হিমেল মুচকি হেসে বললো,
“কথা বলছো না যে?আয়ান বারণ করেছে বুঝি?”

“বারণ করবে কেনো?আমার মনে হয় না আপনার সাথে আমার কোন কথা আছে।তাই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না”

“অ্যাটিটিউড! আই লাইক ইট।বাই দ্যা ওয়ে ইউ আর সো কিউট”

ফারিহা কোনরকম একটু হেসে বললো, “থ্যাঙ্ক ইউ”

“আহ্…হোয়াট এ বয়েজ!এতো মিষ্টি কন্ঠস্বর কারো হয়।জানা ছিলো না”

“ফ্লাট করতে চাইলে অন্য মেয়েদের সাথে করুন। আমার সাথে করে লাভ নেই আমার হাজবেন্ড আছে”

হিমেল বুকে হাত রেখে বললো, “বুঝে ফেললা?তুমি অনেক বুদ্ধিমতী ফারিহা”

ফারিহা কিছু বলেনা মুচকি হাসলো।হিমেল ফারিহার দিকে হাত বাড়িয়ে বললো,
“উইল ইউ বি মাই ডান্স পার্টনার?”

ফারিহা কিছু বলতে যাবে তখন পেছন থেকে আয়ান বলে উঠলো,
“ওর ডান্স পার্টনার এখানে। তুই অন্য কাউকে ট্রাই কর।”

ফারিহা তাকিয়ে দেখে আয়ান পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ফারিহা আয়ান দিয়ে দেখে মুচকি হাসলো।হিমেল আয়ানকে বললো,
“আরে ব্রাদার তুই একাই ডান্স করবি নাকি এই কিউট মেয়েটার সাথে? আমাকেও একটু ডান্স করার সুযোগ দে”

“নোপ!ও শুধু আমার।ওকে আমি কারো সাথে শেয়ার করতে পারবো না।তুই আসতে পারিস”

হিমেল ফারিহার দিকে তাকিয়ে বললো, “তোমার সাথে ডান্স করতে না পারার আফসোস রয়েই গেল” তারপর মদের গ্লাস হাতে নিয়ে টলতে টলতে চলে গেলো।
হিমেল চলে গেলে আয়ান ফারিহার পাশে বসে গম্ভীর মুখে বললো,
“ওর সাথে কি কথা বলছিলে?”

ফারিহা আয়ানকে রাগানোর জন্য দুষ্টুৃাৃমি করে বললো, “ও বলছিলো আমি নাকি অনেক কিউট”

ফারিহার কথায় আয়ান ভ্রূ কুঁচকালো।তারপর বললো,
“ছেলেদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে খুব ভালো লাগে,, তাই না?”

“তো কি করবো? আপনি তো কখনো আমার প্রশংসা করেন না।তাই অন্য কারোর কাছ থেকে শুনে মনের আশ মিটাই!”

ফারিহার কথা শুনে আয়ান রেগে হাত মুঠো করে। আর এইদিকে ফারিহা আয়ানের রাগ দেখে মিটিমিটি হাসছে।আয়ান ফারিহার হাত ধরে বললো,
“চলো তুমি না ডান্স করতে চেয়েছিলে।এখন আমার সাথে ডান্স করবে”

“আরে আরে! কি করছেন?আমি কি বলেছি নাকি যে ডান্স করতে চেয়েছিলাম?আমি ডান্স করতে পারিনা”

আয়ান ফারিহাকে নিয়ে ডান্স ফ্লোরে যায়।তারপর ফারিহার ঠোঁটে হাত দিয়ে বললো,
“হুশশশ..আর কোন কথা নেই”

আয়ান এক হাতে ফারিহার কোমর জড়িয়ে ধরলো।আর একহাতে ফারিহার হাতে হাত রাখলো।তারপর ফারিয়াকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ডান্স করতে থাকলো। আয়ানকে এতো কাছে থেকে ফারিহার নিঃশ্বাস ভারর হয়ে আসছে, অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।ফারিহা আয়ানের বুকের কাছে মিশে গেলো। আয়ানের শরীর থেকে একটা পুরুষালী গন্ধ আসছে।ফারিহা নিজেকে সামলে আয়ানের থেকে একটু দূরে সরে গেলো।
আয়ান ডান্স করতে করতে কখনো ফারিহার কোমরে, কখনো ফারিহার নগ্ন পিঠে হাত রাখে।আর ফারিহা বারবার কেঁপে ওঠে!

ওরা অনেকক্ষণ ধরে ডান্স করলো।তারপর ওখানে ডিনার করে।সবার থেকে বিদায় নিয়ে হোটেলে আসার জন্য গাড়িতে উঠলো।
ফারিহা এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে।আজকে আয়ান বারবার ওর কাছে আসছে।যা ফারিহাকে অবাক করে তুলছে।ফারিহা আয়ানের দিকে তাকালো।আয়ানের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই ও একমনে ড্রাইভ করে যাচ্ছে।

হোটেল এসে রুমে ঢুকে ফারিহা চেঞ্জ করার জন্য ওয়াশ রুমের দিকে গেলো।আর আয়ান সোফায় বসে ল্যাপটপ বের করে কি যেন করলো।
কিছুক্ষণ পর ফারিহা একটা থ্রি-পিস পড়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো।ফারিহা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আয়ানকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।আয়ান কি কোনো কারণে রেগে আছে?
ফারিহা আয়নের সামনে গেলো।আয়ান সোফা থেকে উঠে ফারিহার হাত টেনে ধরলো। ফারিহা আয়ানের দিকে ফিরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে হাতের দিকে তাকালো। তারপর আবার আয়নের দিকে তাকায়।আয়ান ফারিহাকে বললো,
“গতকাল মিস্টার আজাদ তোমার সাথে দেখা করতে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিল। তাই না?”

আয়ানের কথা শুনে ফারিহার গলা শুকিয়ে গেলল। আয়ান হঠাৎ এখন এই কথা বলছে কেনো?ফারিহা তো ভেবেছিলো আয়ান জানেনা!আর জানলে ওকে কিছু বলেনি। কিন্তু হঠাৎ এখন কেনো এ কথা তো হচ্ছে!ফারিহাকে চুপ থাকতে দেখে আয়ান রাগি স্বরে বললো,
“কি হল প্রশ্নের উত্তর দাও”

“এখন এসব কথা কেনো?আমি ঘুমাবো প্লিজজজ.. ”

“না,আমি যা জিজ্ঞেস করছি তার উত্তর দাও।তুমি তোমার বাবাকে কি বলেছো? তুমি সুখেই আছো আমার কাছে, তাই না?”

ফারিহা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো। আয়ান ফারিহাকে চুপ থাকতে দেখে আরো রেগে যায়। তারপর বললো,
“আমি তোমাকে বিয়ে করেছি কষ্ট দেবার জন্য! যেন তোমার কষ্টে মিস্টার আজাদ ও কষ্ট পায়।আর তুমি তোমার বাবাকে বলো তুমি আমার কাছে ভালো আছো?আজকে আমি দেখাবো আমার কাছে তুমি কেমন ভালো থাকো!”

ফারিহা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
“হুম আমি বলেছি ভালো আছি।নাহলে আমি যদি বলতাম আমি কষ্টে আছি তাহলে বাপি আমার জন্য অনেক টেনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়তো”

আয়ান জোরে হেসে বললো, “আমি তো সেটাই চাই!যেনো মিস্টার আজাদ কষ্ট পায়,অসুস্থ হয়ে পড়ে।আর আমি তোমাকে আমার পরিকল্পনা নষ্ট করতে দিবো না”

“আপনি কেনো বুঝতে পারছেন না বাপিই আমার সবকিছু।আমি বাপির কিছু হতে দিতে পারবো না।আর আমার জন্য বাপি অসুস্থ হবে এটা আমি কখনো মানবো না”

“মিস্টার আজাদকে তো আমি শেষ করবোই।কিন্তু তার আগে চোখের সামনে মিস্টার আজাদের আপনজন মানে তোকে কষ্ট দিবো।তুই আমার বারন থাকা সত্ত্বেও মিস্টার আজাদের সাথে কথা বলে কাজটা ঠিক করলি না”

ফারিহা ভীতু চোখে আয়ানের দিকে তাকালো।আয়ান ওর সাথে কি করবে?কিভাবে কষ্ট দিবে?আচ্ছা আয়ান কি ফারিহাকে মেরে ফেলবে!ফারিহা তাচ্ছিল্য হাসলো।এই নরকে থাকায় চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো!
ফারিহা ভাবনার মাঝেই আয়ান ফারিহাকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিলো।ফারিহা অবাক চোখে তাকিয়ে উঠতে যাবে কিন্তু আয়ান ফারিহার উপর আধশোয়া হয়ে ফারিহা দুহাত বিছানার সাথে চেপে ধরলো।ফারিহা ভীতু চোখে কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো,
“কি করছেন?ছাড়ুন আমাকে”

আয়ান ফারিহা গলায় মুখ গুজে বললো,
“আমার কাছে তুই ভালো আছিস তাই না?আমি তোকে ভালো থাকতে দিবো না।আমিও দেখি মেয়ের এই অবস্থা শুনে মিস্টার আজাদ কি করে!”

আয়ান ফারিহার গলা থেকে ওরনাটা খুলে ছুঁড়ে মারলো।ফারিহা আঁতকে উঠে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আয়ান ফারিহা ঠোঁট আটকে দিলো।আয়ান ফারিহার ঠোঁটে ইচ্ছামতো কামড় দিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেনো নিজের সব রাগ ফারিহার ঠোঁটের উপর ঢেলে দিচ্ছে।
এইদিকে ফারিহা ব্যাথায় চোখে পানি এসে পড়লো।আয়ান আজকে উন্মাদের মতো আচরণ করছে।ফারিহা ছোটার চেষ্টা করেও পারছে না।আয়ানের শক্তির কাছে ফারিহার শক্তি নগণ্য!
আয়ান ফারিহা ঠোঁট ছেড়ে গলায় কামড় দিলো।ফারিহা চিৎকার করে কান্না করে দিলো।কিন্তু আজকে কেউ ওর কান্না শুনবে না।

কিছুক্ষণ পর আয়ান ফারিহার উপর থেকে উঠে ওর শার্টের বোতামগুলো খুলে শার্টটা সোফায় ছুড়ে মেরে টেবিল ল্যাম্পটা অফ করে দিলো।পুরো রুম এখন অন্ধকার।শুধু বাইরে থেকে এক টুকরো জোসনার আলো জানালা দিয়ে রুমে প্রবেশ করছে।যেই পূর্ণিমার রাত ফারিহা এতো পছন্দ ছিলো আজকে সেই পূর্ণিমার রাতটাকে বিষাক্ত মনে হচ্ছে।

ফারিহা আয়ানের থেকে ছোটার জন্য ধস্তাধস্তি করতে থাকে আর চিৎকার করে বললো,
“ছাড়ুন আমাকে।প্লিজজজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আ..আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।প্লিজ আমার সাথে এরকমটা করবেন না।বাপিইইইই…
প্লিজ ছাড়ুন,আপনার পায়ে পড়ছি আয়ান।আমার কষ্ট হচ্ছে….”

কিন্তু ফারিহার আর্তনাদ আয়ানের কানে পৌঁছালো না।আয়ান তো আজকে পাগল হয়ে গিয়েছে।যে করেই হোক মিস্টার আজাদের মেয়েকে কষ্ট দিবেই!
ফারিহা ছোটাছুটি করতে দেখে আয়ান ওর পা দিয়ে দুই পা আটকে দিলো।ফারিহা আর নড়তে পারলো না।আয়ান টেনে ফারিহার কাঁধের দিকে জামাটা ছিঁড়ে ফেলে।আয়ানের নখের আঁচড়ে ফারিহা কুঁকড়ে উঠে।

একসময় ফারিহা একদম শান্ত হয়ে গেলো।একদৃষ্টিতে উপরের ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকলো।আর আয়ান ফারিহাকে ভোগ করতে ব্যাস্ত।ফারিহার চোখের কার্নিশ বেয়ে একফোটা জল গড়িয়ে পড়লো…

  1. চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here