“হালাল প্রেম”
পর্ব- ৩০
(নূর নাফিসা)
.
.
রাতে ভাবির রুমে এসে শারমায়া ব্যাগ গোছাতে দেখে বললো,
”কোথাও যাচ্ছো নাকি, ভাবি?”
“কাল বাসায় যাবো। কাজিনের বিয়ে। যাবে?”
“নাহ। যা-ও। কে কে যাবে?”
“দাওয়াত তো সবারই। সুষনা যাবে না।”
“কেন?”
“সে নাকি পর হয়ে গেছে। অন্য বাড়ির বউ তাই আমাদের বাড়ির দাওয়াতে যেতে এখন তার লজ্জা লাগে। তার শ্বশুর বাড়ির দাওয়াত পড়লে কেবল সে দাওয়াতে যাবে। বাবার বাড়ির কোনো দাওয়াতে যাবে না। কতবার যে বললাম, রাজি করাতে পারলামই না।”
শারমায়া মুখ চেপে হেসে বললো,
“এতো পোশাক নিচ্ছো যে, ক’দিনের জন্য যাচ্ছো?”
“অনেকদিন হয়েছে যাই না। বিয়ে খেয়ে সপ্তাহখানেক থাকবো আমি তারা চলে আসবে।”
শারমায়া কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে ঘুমানোর জন্য সুষনার রুমে চলে এলো। কাঁথা টেনে শুয়ে পড়তে পড়তে বললো,
“আপু, কাল যাওয়ার আগে শাড়িটার কথা মনে করো। আমার তো আবার মনভোলা।”
“কাল চলে যাবি বুঝি?”
“হ্যাঁ।”
“এই না। কাল কেউ বাসায় থাকবে না। আমার একা একা ভালো লাগবে না। যাবি না৷ এখান থেকে তোর কোচিং আরও বেশি কাছে। কোচিং করে চলে আসবি।”
“আরও থাকবো! তোমার খালামনি আমাকে বাড়িতেই জায়গা দিবে না।”
“খালামনি জায়গা না দিলে শ্বশুর বাড়ি চলে যাবি। সমস্যা কি? তারা তো আর ফেলবে না।”
“হুম, এমনই আরকি।”
রাতে আর কথা হয়নি জোভানের সাথে। সকালে নাস্তা করে সুষনা বাদে বাড়ির সবাই চলে গেছে। তারা চলে যাওয়ার পর সুষনা বললো,
“তারা তো দাওয়াতে গেলো। আমরা কি বাসায় ডাল ভাত খাবো। চল, আমরাও স্পেশাল কিছু রান্না করে খাই। কি খাবি?”
“যা খাওয়াতে চাও।”
“অধিকাংশ সময় তো আমিই খাওয়াই, আজ তুই কিছু রান্না করে খাওয়া।”
“ওকে। কি রান্না করবো বলো?”
“তোর কি খেতে ইচ্ছে করছে? ভুনাখিচুড়ি আর গরুর মাংস হলে কেমন হয়? নাকি তাদের মতো পোলাও মাংসই খাবি?”
শারমায়ার মাথায় অনেক্ক্ষণ যাবত একটা আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। জোভানকে সারপ্রাইজ দেওয়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। সে সুষনাকে বললো, “আপু বিরিয়ানি রান্না করি?”
“ওকে।”
“একটা কিছু ভাবছিলাম।”
“কি?”
“উনাকে আসতে বলি এখানে? সমস্যা হবে?”
সুষনা শারমায়ার মাথায় হালকা ঠুসে বললো,
“কিসের সমস্যা? এটা তো আরও বেশি ভালো। সাফুরও না আজ এক্সাম শেষ, তাকে বলে দেই এক্সাম শেষে সোজা এখানে চলে আসতে। এগারোটা বাজেনি এখনো, স্কুলের জন্য রওনা হয়নি হয়তো। খালামনির কাছে ফোন দেই।”
সুষনা ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস নামিয়ে সাফওয়ানার সাথে কথা বলে নিলো। এদিকে শারমায়া জোভানকে কল করে বললো,
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুমুস, কেমন আছো?”
“আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?”
“আলহামদুলিল্লাহ।”
“আজ দুপুরে ফ্রি আছেন?”
“দুপুর তো হয়েই এলো।”
“হয়নি তো এখনো।”
“কেন?”
“আগে বলুন ফ্রি আছেন কি না।”
“ফ্রি নেই তবে জরুরী কাজও নেই।”
“দুপুরে খালামনির বাসায় আসতে পারবেন একটু?”
“হঠাৎ খালামনির বাসায় কেন?”
“এমনি। আসতে পারবেন কি না বলুন।”
“একটা প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে না? কারণ না বললে কিভাবে?”
“কোনো স্পেশাল আয়োজন নেই। জাস্ট এমনি আসবেন। আমি আছি, আপু আছে আর কেউ নেই বাসায়। আমরা একসাথে লাঞ্চ করবো আর গল্পগুজব করবো। জাস্ট কিছুক্ষণের জন্য। জরুরী কাজ থাকলে আসতে বলবো না।”
“আচ্ছা।”
“কি আচ্ছা?”
“আসবো।”
“ওকে।”
জোভান আসবে তা সুষনাকে জানিয়ে শারমায়া রান্নার আয়োজন করতে লাগলো। দুজনেই গল্প করতে করতে বিরিয়ানি রান্না করে ফেললো সাথে জর্দা। অতঃপর উভয়ে গোসল সেড়ে নামাজ আদায় করে নিলো৷ দুপুর দুটোর দিকে জোভান কল করে জানালো সে বাসার সামনে। শারমায়া তাকে ফ্ল্যাটে আসতে বললো। কলিং বেল বাজলে শারমায়া দরজা খুলে সালাম দিলো। জোভান সালামের জবাব দিলো ঠিকই কিন্তু সবসময় লেগে থাকা মুখের হাসিটা আজ অদ্ভুতভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তার হাসিই বলে দিচ্ছে সে কতটা অবাক। দৃষ্টি যেন সবার আগে তার নাকেই নিক্ষেপ হয়েছে। কিন্তু শারমায়া তার চেহারা দেখে একটু চিন্তিত। তবুও হাসিমুখে বললো,
“ভেতরে আসুন।”
জোভান ভেতরে প্রবেশ করতে করতে তার হাতে প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে বললো,
“তুমি নাক ফুটো করেছো! এজন্যই পার্লারে গিয়েছিলে?”
শারমায়া মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়ে বললো,
“এটা কি? শাড়ি? আর মিষ্টি আনার কি প্রয়োজন ছিলো?”
“মিষ্টি না। আর এমন বোকার মতো কথা বলো কেন? আমি কি তোমার শ্বশুর বাড়ি এসেছি যে খালি হাতে আসবো?”
“আমি বোকা?”
জোভান মুচকি হেসে ফিসফিসিয়ে বললো,
“উহুম। তুমি টুকটুকির আম্মু।”
শারমায়া চোখ পাকালো। জোভান হাসলে শারমায়া দুষ্টুমি স্বরূপ বললো,
“আমার শ্বশুর বাড়ি গেলে কি আমাকেও মিষ্টি নিয়ে যেতে হবে?”
তার দুষ্টুমিতে জোভান মুচকি হেসে বললো,
“তুমি দুহাত ভরে প্রেম নিয়ে যেয়ো।”
শারমায়া মুখ চেপে হাসলো অতঃপর সুষনাকে ডাকলো। সুষনা রুম থেকে বেরিয়ে এসে সালাম দিলো।
“আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া। কেমন আছেন?”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি কেমন আছেন আপু?”
“এইতো, আলহামদুলিল্লাহ।”
“আপু ডাকবো না ভাবি ডাকবো সেদিনও কনফিউশান আজও।”
সুষনা হেসে বললো,
“একটা ডাকলেই হলো।”
শারমায়া তার কনফিউশান দূর করতে বললো,
“অবশ্যই আপু বলবেন। এখানে তো আর আরিফ ভাইয়ার জন্য আসেননি।”
জোভান হেসে বললো,
“ওকে। খালামনি বাসায় নেই?”
সুষনা বললো,
“না। সবাই ভাবির বাসায় গেছে।”
তারা ড্রয়িংরুমে বসে কথা বলতে লাগলো। শারমায়া কিচেনে এসে প্যাকেট খুলে দেখলো দুই প্রকার নাড়ু এনেছে জোভান। লালচে নাড়ু তার খুব পছন্দের। সে একটার অর্ধেক টুপ করে মুখে দিয়ে ফেললো। অতঃপর ডাইনিং টেবিলে খাবার গোছাতে লাগলো। তার কাজ শেষ করে ড্রয়িংরুমে এসে জোভানের উদ্দেশ্যে বললো,
“হাতমুখ ধুয়ে নিন।”
সুষনা বললো,
“হ্যাঁ ভাইয়া। চলুন লাঞ্চ করতে করতে কথা বলি।”
হাত ধুয়ে জোভান টেবিলের দিকে আসতে আসতে বললো,
“বিরিয়ানির দারুণ স্মেল ছড়িয়েছে।”
সুষনা হেসে বললো,
“বিরিয়ানি কিন্তু শারমায়া রান্না করেছে। আপনার নাকি ঝাল বিরিয়ানি খুব পছন্দ।”
জোভান তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো,
“জর্দাও আছে দেখছি। এটাও আমার পছন্দ।”
শারমায়া বললো,
“জর্দা আপু রান্না করেছে।”
“আহা, সব পছন্দের খাবার। দেখেই মন ভরে গেছে এবার পেট ভরার সময়।”
তিনজন একসাথে কথা বলতে বলতে লাঞ্চ শেষ করলো। লাঞ্চের পর ড্রয়িংরুমে বসে সুষনা আরিফকে ভিডিও কল করলো। তারা সবাই-ই কথা বললো। সুষনা জানালো,
“শারমায়া বিরিয়ানি রান্না করেছে, তুমি মিস করলে।”
“তাই নাকি। দেখি?”
“খেতে পারবে না দেখে কি লাভ।”
“খেতে পারবো না বলেই তো দেখবো। তা না হলে তো খেতেই চাইতাম।”
“আহারে! আচ্ছা, তুমি এলে আমরা শারমায়ার বাসায় চলে যাবো বিরিয়ানি খেতে।”
বলতে বলতে সুষনা চলে গেলো কিচেনে আরিফকে বিরিয়ানি দেখাতে। জোভান শারমায়াকে বললো,
“দেখেছো আপু কতটা ইজি। আর তুমি শুধু পালানোর সুযোগ খোঁজো। যেন কাপল নয়, নিউ বর্ন এফেয়ার চলছে আমাদের মাঝে।”
“আপনি রাতে ঘুমাননি?”
“তোমার কি মনে হয় আমি নির্ঘুম পাগল হয়ে মাতলামো করে এসব বলছি?”
“যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটার উত্তর দিন।”
“বুঝলে কিভাবে?”
“এই চেহারা আমার চেনা আছে। ঘুমাননি কেন? কালও অফিসে ছিলেন সারা রাত?”
“বারোটা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, খারাপ লাগছিলো তাই আপুর বাসায় চলে গিয়েছিলাম। ঘাড় ব্যাথায় সারারাত ঘুম হয়নি। সকালে নাস্তা করে ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। তখনই তুমি কল করলে। তাই গোসল করে ঘুমটা নাশ করলাম।”
“আপনি অসুস্থ, তাহলে আসলেন কেন?”
“তুমি বলছো, আমি আসবো না? এখন ঘাড় ব্যাথা নেই৷ কমে গেছে।”
“আমি যে আপনাকে বারবার বললাম জরুরী কাজ থাকলে আসতে হবে না, আপনি কেন এলেন?”
“জরুরী কাজ তো নেই।”
“ঘুমটা কতটা জরুরী ছিলো সেটা আপনার মাথায় আটলো না? আসুন আমার সাথে।”
“কোথায়?”
“যেখানে নিয়ে যাবো, সেখানেই যাবেন।”
জোভান আর জিজ্ঞেস না করে শারমায়ার পিছু পিছু যেতে লাগলো। শারমায়া সুষনার রুমে এসে দরজা আটকে দিলো। অতঃপর বিছানায় বালিশ ঠিক করে রেখে বললো,
“ঘুমান এখানে।”
“মাথা খারাপ তোমার? আমি বেড়াতে এসেছি, এখন ঘুমাবো?”
“হ্যাঁ, আমার মাথা খারাপই। যা বলছি তা করুন।”
“হেই! আপু কি বলবে! আর আমার তো এখন খারাপ লাগছে না। ব্যাটার ফিল করছি।”
“কেউ কিছু বলবে না। আপু তার হাসব্যান্ডের সাথে কথায় ব্যস্ত। আপনি ঘুমান।”
“শারমায়া, আমি ইজি আছি।”
শারমায়া তাকে ঠেলে বিছানায় বসালো। অতঃপর ওয়ারড্রব খুলে পাতলা একটা কাঁথা ছড়িয়ে দিলো। জোভান হাত বাড়াতেই শারমায়া বললো,
“আমি নির্ঘুম রাত কাটাইনি।”
“তাহলে আমিও ঘুমাবো না।”
শারমায়া বাধ্য হয়ে আরেকটা বালিশ নিয়ে কাঁথা টেনে শুয়ে পড়লো। জোভান তার বালিশেই চলে এসে হাতে মাথা ভর করে শুয়ে রইলো। নোজপিনের উপর আলতোভাবে ঠোঁট ছুয়ে বললো,
“তুমি তো আমার মাথাই খারাপ করে দিয়েছো। এসব করতে কে বলেছে? কতটা ফোলে গেছে, দেখেছো? ব্যাথা পাচ্ছো না?”
“আপনি কি সারপ্রাইজড হননি? আমি তো আপনার জন্যই এতো দ্রুত নাক ফুটো করলাম। নতুবা এখন করতাম না।”
জোভান মুচকি হেসে বললো,
“তুমি কি একটুও ধারণা করতে পারছো না যে তোমাকে দেখার পর আমি কতটা সারপ্রাইজড হয়েছি? টুকটুকির আম্মু, ইচ্ছে করে গিফট মিস করো কেন তুমি? আগে বললে তো গিফট পেতে।”
“প্রয়োজন নেই গিফট। আপনি ঘুমান।”
জোভান আর কিছু না বলে পরপর দুইবার নোজপিনে কোমল স্পর্শ দিয়ে তাকিয়ে রইলো তার চেহারায়। শারমায়া তাকে ঠেলে চোখ পাকিয়ে বললো,
“আমি এজন্য নিয়ে আসিনি এখানে। এখন না ঘুমালে খুব খারাপ হবে।”
জোভান তাকে জড়িয়ে রেখে চোখ বুজে রইলো। দশ মিনিটের মতো পাড় হতেই সাফওয়ানার চেচামেচি,
“ওফ্ফ! বিরিয়ানির গন্ধে আমার ক্ষুধা তো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বাসায় নেই কেউ? তোমাদের সুন্দরী কই?”
সুষনা তার মুখ চেপে বললো,
“গলা এতো উঁচু কেন? জোভান ভাইয়া এসেছে। চুপ।”
“তাই নাকি! ভাইয়াও আসছে! কোথায়? আপু, দেখো কি নিয়ে আসছি। খান সাহেবের চানাচুর…”
সাফওয়ানা তাদের রুমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলে সুষনা তাকে টেনে ব্যাগ রেখে বাথরুমে পাঠিয়ে দিলো হাতমুখ ধোয়ার জন্য। এদিকে সুষনার কণ্ঠ না শুনলেও সাফওয়ানার উঁচু গলা শুনে শারমায়া চোখ খুলে তাকালো এবং দেখলো জোভানও তাকিয়ে আছে তার দিকে। জোভান বললো,
“সাফওয়ানা না?”
“হ্যাঁ, তো?”
“আর কে এসেছে?”
“আর কেউ না। সে স্কুল থেকে চলে এসেছে।”
“সে আসবে তুমি বলবে না? আমরা আরেকটু অপেক্ষা করে একসাথে লাঞ্চ করতাম।”
“হুম, সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তার জন্য বসে থাকবো? আপনাকে ঘুমাতে বলেছি আপনি কি শুরু করেছেন এসব?”
“বাসার সবাই এখন ফিরলে কি ভাববে বলো তো? তাছাড়া সাফওয়ানা এসেছে, একটু গল্পসল্প করবো।”
“সন্ধ্যার আগে কেউ ফিরবে না। আর সাফওয়ানার সাথে গল্পসল্প পরে হবে। আপনি ঘুমান, আমি দেখে আসছি।”
জোভান শারমায়াকে আটকে রেখে বললো,
“আমরা এখন ঘুমাবো।”
শারমায়া আরও পনেরো মিনিটের মতো চোখ বুজে থেকে চোখ খুলে তাকালো। ভাবলো জোভান ঘুমিয়ে পড়েছে, সে খান সাহেবের চানাচুরের ভাগ নিয়ে আসুক। যেই জোভানের হাত সরানোর চেষ্টা করলো, জোভান চোখ খুলে তাকালো। তা দেখে শারমায়া বললো,
“এখনো ঘুমাননি?”
জোভান আবারও নোজপিনের উপর ঠোঁট ছুয়ে বললো,
“ঘুম আসবে না এখন। বাসায় ফিরে ঘুমাবো, প্রমিজ।”
শারমায়া আর কিছু না বলে উঠে পড়লো। বিছানা গুছিয়ে সে বেরিয়ে এলো পিছু পিছু জোভানও। জোভানকে দেখেই সাফওয়ানা খাওয়ার মাঝে সালাম দিয়ে উঠলো। জোভান সালামের জবাব দিয়ে কথা বলতে বলতে তার পাশের চেয়ারে এসে বসলো। সুষনা নাড়ু আনতে গেলো জোভানের জন্য। শারমায়া এক প্রকার দৌড়ে এসেই টেবিল থেকে খান সাহেবের চানাচুরের প্যাকেটগুলো হাতে নিলে সাফওয়ানা বললো,
“ওই, সব কিন্তু গিলে ফেলো না। ভাগ করে খাবা।”
“আহ, কতদিন পর! মাত্র পাঁচটা কেন?”
“পাওয়া যায় না। একটা দোকানে পাঁচটা পেয়েছি, দশটাকা দিয়ে নিয়ে চলে আসছি।”
“এখনো দুই টাকা ই দাম?”
“হু, খান বাহাদুর নানা দয়ালু অনেক। আমাদের প্রিয় বলে দাম বাড়ায় না।”