“হালাল প্রেম” পর্ব- ৩১

“হালাল প্রেম”
পর্ব- ৩১
(নূর নাফিসা)
.
.
“হু, খান বাহাদুর নানা দয়ালু অনেক। আমাদের প্রিয় বলে দাম বাড়ায় না।”
জোভান হেসে বললো,
“এতোই পছন্দ?”
“অন্নেক টেস্ট, ভাইয়া। খেয়ে দেখেন। আপু, দাও ভাইয়াকে একটা।”
“না, তোমরা খাও। প্যাকেট এতো ছোট কেন?”
“ছোট ই। এগুলো পাওয়াই যায় না বাজারে। কোম্পানি বোধহয় বন্ধ করে দিচ্ছে।”
শারমায়া জোর পূর্বক জোভানকে এক প্যাকেট দিলে জোভান খেয়ে বললো,
“আসলেই টেস্ট।”
অতঃপর সাফওয়ানার সাথে গল্প করতে করতে নাড়ু খেতে লাগলো। এদিকে শারমায়া জেভার শাড়ি প্যাকেট করে নিয়ে এলো। অতঃপর জোভান বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলো। শারমায়া দরজা পর্যন্ত এসেছে এগিয়ে দিতে। জোভান বললো,
“কোচিং-এ তো যাওনি আজও। আর কতদিন মিস হবে?”
“যতদিন নাকের ঘা না শুকায়।”
“কেন, অনেক ব্যাথা পাও?”
“উহুম।”
“নেক্সট ডে থেকে যাবে। আর মিস দিবে না।”
“এই নোজপিন পরে কোচিং-এ যেতে পারবো না। ঘা শুকালে তারপর।”
“মাইর চেনো?”
“উহুম।”
শারমায়ার জবাবে জোভানও মৃদু হেসে বললো,
“কিছু হবে না নোজপিনে। নেক্সট ক্লাসে যাবে।”
“রেজাল্টের পর যাবো তাহলে।”
“উহুম।”
“রেজাল্টের আগে আর দুইটা ক্লাস হবেই। দুইদিন মিস দিলে কিছু হবে না। এইটুকু সময় একটু রেস্টে থাকি।”
“তারপর মিস হবে না তো?”
“উহুম।”
জোভান দু’হাতে শারমায়ার মাথার দুপাশে ধরে বললো,
“আসি তাহলে।”
দু’হাতে মাথা ধরায় ভেবেছিলো জোভান এখানে দাঁড়িয়ে কপালে চুমু দিবে তাই শারমায়া বড় বড় চোখ করে তাকিয়েছে। জোভান তার এমন দৃষ্টি দেখে বললো,
“কি?”
শারমায়া লজ্জায় মুখচেপে হেসে মাথা দু’দিকে নাড়ালো। জোভান হেসে চলে গেলো।
শারমায়া পরদিনই বাসায় চলে যেতো। কিন্তু সাফওয়ানার জন্য আরও দুদিন খালামনির বাসায় কাটিয়ে তারপর বাসায় এলো। পড়াশোনা রেখে বেড়ানোর কারণে মায়ের বকুনিরও শেষ নেই।
রেজাল্টের টেনশনে অর্ধেক রাত নির্ঘুম কেটে গেলো শারমায়ার। সকাল থেকে হৃদপিণ্ড ধুকপুক করে কাপছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি ভীতিকর অবস্থা আজ তার। অন্যান্য রেজাল্টের সময় তো শ্বশুর বাড়ি ছিলো না। যদি রেজাল্ট খারাপ হয়, শ্বশুর বাড়ির লোকদের সম্মুখীন হবে কিভাবে তা ভেবে ভেবে তার চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। আর সাফওয়ানা আছে একটু পরপর জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য! হঠাৎ করেই বলে যাচ্ছে,
“আপু জিপিএ ফাইভ না এলে কিভাবে কান্না করবা? আমি কিন্তু আজ বাসায়ই আছি। তোমার কান্না ভিডিও করে ভাইয়াকে পাঠিয়ে দিবো।”
শারমায়া তাড়া করলে দৌড়ে পালাচ্ছে আবার এসে বলে যাচ্ছে,
“রেজাল্ট খারাপ হলে দেখবা তোমার স্যার সুইটের বদলে সল্ট খাওয়াবে তোমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের। ভাইয়া কি লজ্জা দিবে ভাবতে পারছো?”
এই কথার প্রেক্ষিতে শারমায়া হাতে ঝাড়ু নিয়ে তাড়া করেছে তাকে। সাফওয়ানা হাসতে হাসতে বলে গেছে,
“রেজাল্ট ভালো হলে কেএফসিতে ট্রিট দিয়ো।”
“সাফুর বাচ্চা, তোরে টয়লেটে ট্রিট দিবো।”
প্রহর কেটে যাচ্ছে অপেক্ষার যেন অবসান ঘটছে না। দুপুরে তার খাওয়াও হয়নি। যখন রেজাল্ট প্রকাশ হলো, কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের রেজাল্ট খুঁজতে লাগলো। এমনি জোভানের কল! লোকটা কল করার আর সময় পেলো না! শারমায়া কল কেটে দিলো। আবার নেটে সার্চ দিতে যাবে এমনি ফোন কানে রেখে শারমিন এসে বললো,
“দেখেছিস রেজাল্ট?”
“না আম্মু। দেখছি।”
“তোর আব্বু বললো জিপিএ ফাইভ পেয়েছিস।”
শারমায়ার চোখে পানি টলমল করছে। তার কাপা হাত দেখে বিরক্ত হয়ে সাফওয়ানা ফোন নিয়ে নিলো এবং রোল, রেজিষ্ট্রেশন নং আবার টাইপ করে সার্চ করলো। অতঃপর শারমায়ার চোখের সামনে ফোন ধরে বললো,
“এই যে, জিপিএ ফাইভ। এবার কেএফসিতে ট্রিট দিয়ো।”
শারমায়া মুখে হাসি নিয়ে দৌড়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরলো। শারমিন ফোনে কথা বলে জানলো আশরাফ স্যার জানিয়েছে সাখাওয়াত বদরুদ্দোজাকে। মেয়ের এমন কাণ্ড দেখে মুখে হাসি ফুটিয়ে ওদিকে বললো,
“এই যে, তোমার মেয়ে খুশিতে কান্না করে দিয়েছে। রাখি এখন।”
কল কেটে শারমিন বললো,
“আরে, কাঁদছিস কেন? এই মেয়ে!”
শারমায়া কোনো জবাব না দিয়ে মাকে জড়িয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলছে শুধু। শারমিন তার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
“খুশির সময় কান্না করলে কিভাবে? আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর।”
“আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আম্মু জানো না তুমি, আমি কত ভয় পাচ্ছিলাম।”
“ভয়ের কি আছে? ভাগ্যে যা আছে তা-ই হবে।”
এমনি আবার শারমায়ার ফোন বেজে উঠলো। সাফওয়ানা বললো,
“আপু, ভাইয়া কল করেছে।”
শারমিন শারমায়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
“যা, জোভানের সাথে কথা বল।”
ওদিকে সাফওয়ানা রিসিভ করে সালাম দিয়ে কথা বলছে। জোভান শারমায়ার কথা জিজ্ঞেস করলে সে বললো,
“মানুষ দুঃখ লাগলেও কান্না খুঁজে পায় না আর আপনার বউ সুখের লাগি কাইন্দা লইছে।”
জোভান হেসে বললো,
“ডাকো বউকে।”
শারমায়া তার মাথায় ঠুসি দিয়ে ফোন হাতে নিলো। দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। কাঁদছো কেন?”
“কোথায় কাঁদছি?”
“মিষ্টি কি তুমি খাওয়াবে নাকি আমি খাওয়াবো?”
শারমায়া মুখ চেপে হেসে বললো,
“ইশ, এতো কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে মিষ্টি আমি কেন খাওয়াতে যাবো? অবশ্যই আপনি খাওয়াবেন।”
জোভান শব্দযোগে হেসে বললো,
“ওকে। কখন খাবে?”
“যখন খাওয়াবেন।”
“আপুর বাসায় যে খায়িয়েছি ওই মিষ্টি বেশি মজা ছিলো না?”
“ছি!”
“ছি মানে?”
“আপনি চুপ করবেন! খাবো না আমি মিষ্টি।”
“আহা, রাগ করে না সুইটহার্ট। তুমি এমনিতেই আমার মিষ্টি বউ।”
“আপনি কার কাছে জেনেছেন রেজাল্ট?”
“আমি নিজে দেখেছি অনলাইনে।”
“আপনি আমার রোল, রেজিষ্ট্রেশন নং জানেন কিভাবে?”
“জানতে কতক্ষণ? তোমার স্যারের কাছ থেকে আরও দুদিন আগেই সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।”
“মা কল দিচ্ছে। আপনি রাখুন পরে কথা বলি।”
“কেন, আন্টি বাসায় নেই? নাকি তুমি বাসায় নেই, কোনটা?”
“আরে, শ্বাশুড়ি মা।”
“ওহ্! ওকে।”
জুলেখা ইয়াসমিন অভ্যর্থনা জানালেন শারমায়াকে। কিছুক্ষণ কথা বলে শারমায়া লাঞ্চ করতে বসলো। এরই মাঝে আবার জেভার কল। খেতে খেতে জেভার সাথেও কথা বলে নিলো সে। এরপর ছুটে গেলো ফারিয়া আপুর কাছে। এসে চাচীর কাছে জানলো ফারিয়া ঘুমাচ্ছে। শারমায়া চাচীকে রেজাল্টের কথা জানাতে জানাতে এদিকে সাফওয়ানা হুলস্থুল করে ফারিয়াকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বললো,
“ওঠো, আর কত ঘুমাবা? আপু জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। আমাদের কেএফসিতে ট্রিট দিবে।”
ফারিয়া তার মাথা চেপে ধরে বললো,
“ওফ্ফ! এভাবেই বলে! আমার তো হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো আরেকটুর জন্য!”
শারমায়া মৃদু হেসে তার দিকে আসতে আসতে বললো,
“এখনই হার্ট অ্যাটাক হলে কিভাবে! ভাইয়া যে তোমার অপেক্ষায় আছে। আগে তার কাছে যাও।”
ফারিয়া শারমায়ার হাতে একটা মেরে বললো,
“বড্ড পাকা হয়ে গেছিস তোরা দুইটা! যাক, আলহামদুলিল্লাহ। খুব তো চিন্তা করছিলেন, খুশিতো এবার?”
শারমায়া হেসে মাথা নাড়ালো। ফারিয়া বললো,
“ট্রিট কি সত্যিই পাচ্ছি নাকি?”
“হ্যাঁ, সাফওয়ানা ট্রিট দিবে।”
সাফওয়ানা হা করে বললো,
“আল্লাহ! এমন কিপ্টুস মাইয়া জীবনে এই একটাই দেখছি! আপু, দেখো তুমি। কিপ্টামি করতে করতে জোভান ভাইয়াকে এই মাইয়া কোটিপতি বানিয়ে ফেলবো।”
ফারিয়া হেসে বললো,
“তোরই তো ভালো। তুই কোটিপতির শালি হবি।”
“তুমিও তার পক্ষই নিলে!”
শারমায়া হেসে উঠলো। কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে তারা ফ্ল্যাটে চলে এলো। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফ্রেন্ড ও কাজিনদের ফোন রিসিভ করতে করতে ক্লান্ত শারমায়া। সকলেই তার রেজাল্টের জানার জন্য উত্তেজিত। সে-ও এমনই উত্তেজিত থাকে অন্যদের রেজাল্ট জানার জন্য। কলেজে চারজন গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়েছে তার মধ্যে শারমায়া একজন। সেই প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় সারপ্রাইজড শারমায়া! সন্ধ্যায় তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি মিষ্টি নিয়ে বাসায় হাজির। জুলেখা ইয়াসমিন শারমায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
“কত পাজি মেয়েটা। নাক ফুটো করবে, আমাকে বলবে না? তাহলে তো আমি নোজপিন আগেই পাঠিয়ে দিতাম।”
শারমিন সাখাওয়াত বললেন,
“আমাকেও তো জানায়নি৷ এটা তার খালামনি দিয়েছে। আমি দুই বোনের জন্য দুইটা নোজপিন আর ছোট এয়ার রিং বানিয়ে রেখেছি আরও দুই-তিন বছর আগেই। কান ফুটো করা থাকায় এয়ার রিং পরেছে, নাক ফুটায়নি বিয়ের সময় ফুটাবে বলে।”
“যাক, ভালোই হয়েছে। আমিও একটা নিয়ে এসেছি। জয়ের কাছে শুনে তার পরের দিনই জেভার সাথে গিয়ে নিজে পছন্দ করে এনেছি।”
শারমায়া হেসে বললো,
“আর কত! সুষনা আপুও বলেছে একটা দিবে।”
সাফওয়ানা হেসে উঠে বললো,
“আরও পাঁচটা ফুটো করে নাও।”
সাফওয়ানার কথায় উপস্থিত দুই মা-ও হেসে উঠলো। জুলেখা ইয়াসমিন বললো,
“কারোটা রেখে দিবা না। ঘুরে ফিরে সবার ভালোবাসাই গায়ে মাখবে। বুঝেছো?”
শারমিন জুলেখার কাছে নালিশ স্বরূপ বললো,
“হুম, সে পরবে নোজপিন! নিজেই দৌড়ে গিয়ে নাক ফুটো করেছে, এখন কোচিং-এ যায় না ক’দিন যাবত। নোজপিন পরে কোচিং-এ যেতে নাকি লজ্জা লাগে।”
“সবসময় পরে থাকার প্রয়োজন নেই তো। শখের জিনিস, যখন ইচ্ছে হবে তখন পরবে। আমারও ভালো লাগছে দেখতে।”
শারমায়ার মুখটা টেনে কপালে চুমু দিয়ে জুলেখা ইয়াসমিন পার্স থেকে নোজপিন নিয়ে বললো,
“দেখোতো, কেমন হয়েছে ডিজাইনটা?”
শারমায়া হাতে নিয়ে বললো,
“মাশাআল্লাহ।”
সাফওয়ানা বললো,
“এটার সাইজ ঠিক আছে। খালামনি কি একটা দিয়েছে, আপুকে একেবারে বুড়ি বানিয়ে ফেলছে। দাদি নানির যুগের।”
জুলেখা ইয়াসমিন জবাব দিলেন,
“দাদি নানির যুগের না, এযুগেরই। নানির যুগে আরও বড় পড়তো। তোমার নাক ফুটো করো, তোমাকে আমি দিবো একটা নানির যুগের নোজপিন।”
“এহ! আমার প্রয়োজন নেই। আমি নাকই ফুটো করবো না।”
একজোটে হেসে উঠলো সবাই। ওদিকে দুই বাবা নিজেরা গল্পগুজবে ব্যস্ত। জোভানকে কল করে সাখাওয়াত বদরুদ্দোজা এখানে চলে আসতে বলেছে অফিস থেকে। তা জেনে শারমায়া তার মাকে চুপিচুপি বললো,
“মা, উনার সাথে দুতিনজন বন্ধুবান্ধব দাওয়াত করলে কি তোমার আপত্তি আছে?”
“কিসের আপত্তি! বল আসতে। নয়তো দে আমি বলি।”
“ওকে।”
শারমায়া জোভানকে কল করে সালাম দিয়ে বললো,
“আসবেন না এখানে?”
“আসতেই হবে?”
“এটা কেমন কথা! আপনি বাবার কাছে বলেছেন আসবেন, আর আমাকে এখন জিজ্ঞেস করছেন আসবেন কি না!”
“তুমিতো জেনেও জিজ্ঞেস করলে তাই আরকি।”
“আপনার সাথে ইফাজ ভাইয়াও আছে?”
“হুম।”
“আর কে আছে?”
“আমি, ইফাজ ও মিরাজ আছি। ম্যানেজার ছিলো এতোক্ষণ, এখন চলে গেছে।”
“ভাইয়াদেরও সাথে নিয়ে আসবেন। সাদাত ভাইয়াকেও।”
“কেন? রেজাল্ট ভালো হওয়ায় পার্টি আছে নাকি বাসায়?”
“বেশি কথা বলবেন না।”
জোভান হেসে বললো,
“সাদাত নেই এখানে।”
“ফোন করে বললে আসবে না?”
“দেখি।”
“অফিস থেকে বের হবেন কখন?”
“কিছুক্ষণ পরেই।”
“সারাদিন অফিস করে টায়ার্ড, ড্রেস-আপ ভালো না এসবের অযুহাতে দেরি করবেন না আবার। সবাই জানেই আপনারা অফিস থেকে আসবেন।”
“এতো সতর্কবার্তা!”
“হুম। আম্মু কথা বলবে।”
অতঃপর শারমিন আবার বলে দিলেন জোভানকে তার বন্ধুদের নিয়ে আসার কথা। বিনা পরিকল্পনায় ছোটখাটো এক আয়োজন করে ফেললো ডিনারের। রাত নয়টার দিকে জোভান ও তার বন্ধুরা এসেছে। দরজা খুলেছে শারমায়া। সে খুব খুশি হয়ে সালাম দিলে সালামের জবাব দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানালো তারা। ইফাজ একটা প্যাকেট এগিয়ে দিলে শারমায়া বললো,
“এসব আনতে কে বলেছে! স্যার এতোগুলো মিষ্টি নিয়ে এসেছে।”
ইফাজ বললো,
“আংকেল মিষ্টি নিয়ে এসেছে তাই আমরা ছানা আর দই নিয়ে এসেছি।”
“আপনারা খেয়ে আজ শেষ করে দিয়ে যাবেন এগুলো।”
সাদাত বললো,
“ওকে ভাবি, সমস্যা নেই। খেতে না পারলে ফ্রিজে রেখে দিবেন। মাঝে মাঝে এই পথে যাওয়ার সময় এসে খেয়ে যাবো।”
শারমায়া হেসে বললো,
“আচ্ছা।”
ওদিকে সাফওয়ানা তাদের দেখে সালাম দিলো। অন্যরা ঠিকভাবে কথা বললেও মিরাজ নিজের গলা চেপে ধরে মরে যাওয়ার ভঙ্গিতে জিভ কেটে বললো,
“ফাঁ…সি, কেমন আছো?”
সাফওয়ানা রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকালে সে বললো,
“ওহ্! নো! শিফা, কেমন আছো?”
“আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি সিংহ মার্কা চুলওয়ালা ভাইয়া।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here