#হুজুরের_বউ_যখন_ডক্টর
লেখকঃ রাকিবুল ইসলাম
পর্বঃ১৯
নাসরীন আপু, আমার জাফরীর এখন কি অবস্থা?
– আসলে…….?
– আসলে কি আপু?
– দেখুন ভাইয়া আমরা আমাদের যথা সাধ্য চেষ্টা চালিয়ে জাচ্ছি, এর পরেও ওর কোন পরিবর্তন করতে পারিনি।,ওর চোখ গুলোও পরিবর্তন করে দিয়েছে,
– তাহলে কি আমি আর জাফরিকে পাবো না?
– এখন ৪৮ ঘন্টা না হওয়া অবদি কিছুই বলা জাচ্ছে না,।আর তাছাড়া জাফরীও মনে বেশ জোর পাচ্ছে না,সে ভাবছে আপনি তাকে ছেড়ে চলে গেছেন,এর কারনে ও মনে মনে অনেকটাই ভেঙে পড়ে।
– এখন বাকি সব আল্লাহ তায়ালা’র হাতে।
______________________
খাদিজার আম্মু বাইরে থেকে ফিরে এসে দেখে তার স্বামী মন খারাপ করে বসে আছে,তার সে এগিয়ে গিয়ে বলল,
– কি ব্যাপার, তুমি এমন করে বসে আছো কেন? আর জাফরীর অপারেশন কি শেষ?
– হুম,
– তাহলে?
এবার মেহেদী মাথাতুলে বসলো,খাদিজার আম্মু দেখলো মেহেদীর চোখে পানি,।
– কি ব্যাপার তুমি কান্না করছো কেন? জাফরীর কিছু হয়নি তো?
– ডাক্তার বলেছে ৪৮ ঘন্টা না হওয়া অবদি কিছুই বলা যাচ্ছে না,এখন তুমিই বলো আমি এখন কি করবো?
– আল্লাহর রাসুল সাঃ এর যখন মন খারাপ লাগতো তখন তিনি আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকতেন আর বেশি বেশি নামাজ আদায় করতেন,।আর যারা মুমিন বান্দাহয় তাদের কে আল্লাহ বিপদ- আপদের মাধ্যমে পরিক্ষা নিয়ে থাকেন
মুমিন বান্দার বিপদ-আপদের কারণ
মুমিন বান্দার প্রতি বিপদ-আপদ আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসার বহি:প্রকাশ আল্লাহ তা‘আলা মুমিন বান্দাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। তিনি কখনও তাঁর বান্দাকে বরবাদ করে দিতে চান না। এমনকি বান্দার সম্পদের সামান্য ক্ষতিও তিনি বরদাশত করেন না। তাই তা রক্ষা করার জন্য কুরআনে কারীমে সূরা বাকারার শেষের দিকে এক পৃষ্ঠাব্যাপী একটি আয়াত নাযিল করেছেন।
হাদীসে পাকের বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলা তাঁর অফুরন্ত ভালোবাসার মাত্র এক ভাগ তামাম মাখলুকের মধ্যে বণ্টন করেছেন। আর অবশিষ্ট নিরানব্বই ভাগ তাঁর নিজের নিকট রেখে দিয়েছেন, যা দিয়ে তিনি মুমিন বান্দাকে মুহাব্বত করে থাকেন।
তো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আল্লাহ তা‘আলা বান্দার প্রতি বিভিন্ন সময়ে যে সব বালা-মুসীবত ও বিপদাপদ দেন তা-ও মূলতঃ তাঁর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। বস্তুতঃ বিপদাপদ দিয়ে তিনি বান্দাকে জান্নাতের উপযোগী করে নেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, গুনাহ মাফ করেন এবং সতর্ক সংকেত দিয়ে সুপথে ফিরে আসার সুযোগ করে দেন।
– আচ্ছা,ইনশাআল্লাহ আমি ঠিক এমনটাই করবো,।
– আরেকটা জিনিস আমি লক্ষ করেছি যা হয়তো তুমি জানো না।
– কি জিনিস?
– তোমাকে যেই ছেলেগুলো মেরেছিল তাদের মধ্যে একজন এই হাসপাতালেই আছে,তাও আবার রূপ ধারন করে,
– কি বলো এসব,আর তুমি তাকে চিনলে কিভাবে?
– আমি সেদিক আবছায়ায় তাদের দেখেছিলাম আর আজকে তার সাথেই আমার ধাক্কা লেগে যায়,যার কারনে আমার চিনতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।
– কিন্তু ওরা আবার এখানে কেন? আর কি চাইছে ওরা?
– তা তো আমি জানি না,তবে এইটুকু বলতে পারি ওরা হয়তো আবার তোমার বা জাফরির ক্ষতি করতে পারে?
– হুম তুমি ঠিকই বলেছো,এখন থেকে আমি জাফরীর বেশি করর খেয়াল রাখবো ইনশাআল্লাহ
————————————–
এদিকে নয়ন ও তার লোকের জেনে গেছে যে জাফরীর অপারেশন চলছে আর মেহেদীও আছে সেখানে,তাই নয়ন বলল,
– দেখ খবর একদম পাক্কা,জাফরীর অপারেশন চলছে,আর সুস্থ হতে ২ – ৩ দিন লাগতে পারে,আবার সুস্থ নাও হতে পারে,
– জি বস আমরাও শুনেছি।তাহলে এখন কি করবেন?
– আমি যেটা চাই তা যেকোন মূল্যে নিজের করেই ছাড়ি,আর যদি না পাই তবে কাওকে পেতে দিবো না আমি, এখন শো আমি কি বলি,
– হ্যা বলুন,
-সব সময় নজর রাখবি কখন জাফরী একা থাকে, তখনি আমাকে জানাবি,কেমন?
– জি বস,আমরা আজ থেকেই নজর রাখছি,ওদের উপর।
————————-
অপারেশন এর পরের দিন……
– খাদিজার আম্মু তুমি গিয়ে খেয়ে নাও অনেক বেলা,হয়ছে,
– আর তুমি?
– আমি খাবো না,
– কেন খাবে না?
– এমনি,আমার খেতে ইচ্ছে করছে না,।
– তা বললে তো হবে না,তুমিও চলে আমার সাথে?
– নাহ,একসাথে দু- জনের জাওয়া যাবে না,আগে তুমি খেয়ে নাও,আর আমার ছেলেটাকেও কিছু খাওয়াও ,দেখো অনেক ক্ষন হলো কান্না করছে।
– আচ্ছা,তাহলে আমি আসি কেমন?
– ফি আমানিল্লাহ,
খাদিজার আম্মু খাবার খাওয়ার জন্য চলে গেল,আর মেহেদী একাই ওখানে বসে রইলো,
এদিকে কিছু সময় পর জোহরের আজান দিয়ে দিল। মেহেদি ভাবলো,
– জাফরী কে একা রেখে জাবো কিভাবে? খাদিজার আম্মুও তো এখনো আসলো না।
তাই একটা নার্সকে সেখানে রেখে মেহেদী নামাজ পড়তে যাবে ভাবলো।
যথা রিতী একটা মেয়ে নার্স কে রেখে সে নামাজ আদায় করতে গেল।
এদিকে নয়নের লোকজন সবাই নজর রেখেছিল তাদের উপর,যখনি দেখলো ওরা চলে গেছে তখনি
– হ্যালো বস,
– হ্যা বল,
– বস মেহেদি এখন নামাজে গেছে জাফরী কে রেখে।
– ও তাহলে তো সুজুক পেয়েই গেছি,(অট্টহাসি দিয়ে)
– না বস,আরেকটা সমস্যা আছে।
– আবার কি সমস্যা?
– কেবিনে একটা নার্স রেখে গেছে মেহেদী।
– আচ্ছা কোন ব্যাপার না,আমি দেখছি ব্যাপারটা।
– জি বস।
__________________
মেহেদি না থাকায় নয়ন চুপিচুপি জাফরীর কেবিনে প্রবেশ করে। সেখানে জাওয়ার পর…..
– আরে আপনি কে আর এভাবে এই কেবিনে আসলেন কিভাবে?
– আমি যেই হই না কেন,তা জেনে তোমার কোন কাজ নেই,সরে যাও আমার পথ থেকে।
– না,আমি জাবো না,
– ঠিক আছে,আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর শাস্তি তুমি এখনি পাবে,এই বলে নয়ন নার্স এর মাথা বরাবর ভারী কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে, ফলে নার্স জ্ঞানহারায়।
নয়ন গিয়ে জাফরীর পাশে বসে,বসে বলতে থাকে।
– কি গো সুন্দরী, কেমন আছো তুমি? বলেছিলাম না আমি যা চাই তা নিজের করেই ছাড়ি, নইলে কাওকে পেতে দেইনা,আর তুমি কিনা আমার প্রস্তাব কে না করে দাও? এর শাস্তি এতদিন যেমন পেয়েছো, ঠিক এখনো পাবে,
কি এমন হতো যদি তুমি ওই গাইয়া হুজুর কে বিয়ে না করে আমায় বিয়ে করতে হুম? জানো,আমি তোমাকে রাজ রানীর মতন করে রাখতাম,কিন্তু আজ তোমার এই ভুলের কারনেই আজ তোমার এই অবস্থা।
তবে এখন আর সেই সুজোক নেই, বিদাই জাফরী, বিদাই।
এই বলে নয়ন জাফরীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিল,আর জাফরী অক্সিজেন না পাওয়ায় জোরে জোরে স্বাস নিতে থাকলো,
ঠিক সেই মূহুর্তে খাদিজার আম্মু তার ছেলেকে নিয়ে কেবিনে আগমন ঘটে কেবিনে।
সে দেখে জাফরীর বেডের কাছে কেও দাড়িয়ে আছে আর জাফরী জোরে জোরে স্বাস নিচ্ছে,খাদিজার আম্মু বলল,
– এই কে আপনি? আর জাফরীর কেবিনে প্রবেশ করেছেন কেন?
– এই চুপ একদম চুপ।
নয়ন উল্টো দিকে ঘুরেছিল,যেই মাত্র না খাদিজার আম্মুর দিকে তাকালো অমনি সে চিনতে পেরে যায়।
– আপনি?
– আপনি মানে? তুমি আমাকে চেন?
– কেন চিনবো না,আপনিই তো সেই লোক যে মেহেদী কে মেরে মাটিচাপা দিয়েছিলেন।
-ও তাহলে তুমিই মেহেদী কে বাচিয়ে ছিলে সেদিন তাই না?
– জি,
– আমার শত্রুকে বাচানে ওয়ালা তো শত্রুই হয়,তাই না? ঠিক আছে,এবার তোমাকেও মরতে হবে তাহলে।
এই বলে নয়ন খাদিজার আম্মুর দিকে অগ্রসর হতে লাগলো,
– খবরদার আমার দিকে এগুবেন না,নইলে..
– নইলে কি হুম? বলো,
নয়ন ওনার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে,এই দেখে খাদিজার আম্মু ভয় পেয়ে জায়।
নয়ন গিয়ে জাফরির আম্মুর দিকে ছুরি চালিয়ে দেয়,কিন্তু খাদিজার আম্মু তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করায় ছুরি গিয়ে তার হাতে লেগে অনেক খানি কেটে যায়,অনেক রক্ত বের হতে থাকে সেখান থেকে।
ঠিক সেই মূহুর্তে মেহেদীর আগমন ঘটে কেবিনে। মেহেদি আশা মাত্রই নয়ন টের পেয়ে যায় আর বাইরের দিকে যেতে থাকে। মেহেদি দরজা খুলতেই নয়ন তার মুখোমুখি হয়ে পড়ে,
– কে আপনি,আর এই কেবিনে কি করছেন?
নয়ন কিছু না বলে মেহেদী কে জোরে ধাক্কা দিয়ে বাইরে চলে গেল।
মেহেদি টাল সামলাতে না পেয়ে পড়ে যায়। খাদিজার আম্মু তার স্বামীকে দেখতে পেয়ে বলে…
– ওগো খাদিজার আব্বু,এটাই সেই লোকটাই যে তোমাকে মেরর ফেলতে চেয়েছিল,আর আজ সে জাফরীকে মারতে এসেছিল,ধরো ওকে,
মেহেদি সাত- পাচ না ভেবে বাইরের দিকে দৌড়াতে লাগলো,সে দেখলো নয়ন পালিয়ে যাচ্ছে।
মেহেদী নয়নের থেকে অনেক দূরে থাকায় নয়ন কে ধরতে পারছে না,তাহলে এবার কি করা যাবে?
মেহেদী দৌড়াতে দৌড়াতে ভাবলো ওকে থামানোর উপায়।
– চোর, চোর, চোর,কেউ ধরো অকে,ও চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে,
এবার আর নয়ন জায় কোথায়, জনগন মিলেই ওকে ধরে গন ধোলাই দিতে থাকলো,
মেহেদি ভীরঠেলে ভিতরে গিয়ে দেখে জনগনের মার খেয়ে নয়ন বেচারা আধমরা হয়ে গেছে,।তাই জনগণকে থামিয়ে দেয় সে। কোন মতে নয়ন কে পাশের একটা বেডে উঠায় মেহেদি।
নয়নের কলার চেপে ধরে বলে ওঠে,
– তোর এত্তো বড় সাহস তুই আমার জাফরীর গায়ে হাত দিস
– আমাকে মাফ করে দেন ভাই,আর এমন…….
পুরোটুকু বলার আগেই দেহেদী জোরে একটা থাপ্পর মারে নয়নের গালে,নয়ন তার মার সহ্য করতে না পেরর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,পরে মেহেদী আবার পুলিশকে খবর দিয়ে নয়ন সহ সবাই কে ধরিয়ে তুলে দেয় তাদের হাতে।
এতোকিছু করার পর হঠাৎ মেহেদীর মনে হলো আমার জাফরীর কি অবস্থা এখন? তার কিছু হয় নি তো?
________________
এদিকে নয়ন খাদিজার আম্মুর হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করায় অনেক রক্ত পড়ছে,আবার জাফরীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ায় সেও জন্ত্রনায় ছটফট করছে।
খাদিজার আম্মু ডাক্তার দের কে ডাক্তে লাগলো, তার চিৎকারে সবাই কেবিনের দিকে যেতে থাকে,নাসরীন দ্রুত কেবিনের দিকে গিয়ে দেখতে পায় তাদের এই অবস্থা। পরে একজন নার্স এসে খাদিজার আম্মুকে ড্রেসিং টেবিলে নিয়ে জায় আর নাসরীন জাফরীর কাছে গিয়ে দেখে সে অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করছে, তা সে যথা সম্ভব মাক্সটা পরিয়ে দেয় আর শরীরে ইনজেকশন পুশআপ করে দেয়।
একটু পর জাফরী সাভাবিক অবস্থা চলে আসে, দেখে নাসরীন সস্থির নিস্বাস ছাড়ে,।
___________________
মেহেদি জাফরীর কেবিনে এসে দেখে খাদিজার আম্মুর হাতে ব্যান্ডেজ করা,আর জাফরীর পাশে বসে আছে।
নাসরীন- আপনারা জাফরীকে রেখে কোথায় গিয়েছিলেন?..
মেহেদি – মাফ করবেন আপু,আজ আমার ভুলের জন্যেই এমনটা হলো, না যেতাম আমি জাফরিকে একা রেখে না হতো এমন ঘটনা,।
– খাদিজার আম্মু- দেখো,জা হয় ভালোর জন্যেই হয়।
আল্লাহ বলেন,
তোমার যে কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর যে অকল্যাণ হয়, তা তোমার নিজের আমলের কারণে হয় (নিসা ৪/৭৯) ।
অর্থাৎ আল্লাহ সব সময় বান্দার মঙ্গল করেন।
কিন্তু বান্দা ভুলক্রমে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেই নিজের অকল্যাণ করে থাকে। আল্লাহ তাতে বাধা দেন না বান্দার স্বাধীন ইচ্ছা
শক্তিকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে। তাই যে ভাল কর্ম করবে সে নে‘মত লাভ করবে।
আর যে অন্যায় করবে সে বিপদে পতিত হবে
—(ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/২৩৯) ।
তবে এটাও তাক্বদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে, যা পূর্বেই নির্ধারিত ছিল। প্রকৃত ঈমানদারের জন্য ভাল-মন্দ উভয়টিই কল্যাণকর হয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন,
মুমিনের ব্যাপারটি কতই না বিস্ময়কর! তার সমস্ত কাজই তার জন্য কল্যাণকর।… যদি তার কোন মঙ্গল স্পর্শ করে, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তার কোন মন্দ স্পর্শ করে, সে ছবর করে। আর এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭) ।
আর তাছাড়া নয়নের কি অবস্থা এখন?
– ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
নাসরীন – নয়ন করেছে এসব?
মেহেদি – জি কেন বলুন তো?
নাসরীন – ভাই আপনি হয়তো জানেন কিন্তু মনে নেই,নয়ন এর আগেও জাফরীর ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে,এর জন্য ওকে একবার জেলেও দেওয়া হয়েছিল।।
খাদিজার আম্মু – ওইছেলেটাই মেহেদীকে মেরে মাটিচাপা দিয়েছিল,।
নাসরীন- এসব আপনি কি বলছেন আপু?
– খাদিজার আম্মু – জি আমি ঠিকই বলছি,আমায় মাফ করবেন আপু, আসলে মেহেদীর ভুলে যাওয়ার সুযোক নিয়ে আমি জাফরীর থেকে আলাদা রেখেছিলাম,এটা আমার একদম ঠিক হয়নি। আর হ্যা,সেদিন রাতে……( বিস্তারিত বলল নাসরীন কে)
আর হ্যা,এবার আমি আর কারো অধিকার থেকে বঞ্চিত করবো না,
কারন আল্লাহ তায়ালা কারো অধিকার বঞ্চিতকারী কে কখনো ক্ষমা করেন না।
আচ্ছা ঠিক আছে,এবার জাফরীর সুস্থ হওয়া অবদি অপেক্ষা।
৪৮ ঘন্টা হতে আর মাত্র ২ ঘন্টা সময় আছে। এর মধ্যে যদি জাফরী সুস্থ না হয় তবে আর কখনো সুস্থ হতে পারবে না।
আসুন জেনে নেই পরের পর্বে।
( আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক গন,প্রথমেই আমি আপনাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই কারনে যে আমি পর্বগুলো অনেক দেরি করেই দিচ্ছি। অবশ্য এর অনেক কারন আছে,তবে আমি আর বাহানা ধরতে চাই না। আর বুঝতেই তো পারছেন,একে তো রমজান মাস,আবার গল্পশুধু লিখলেই তো হয় না,তাতে বর্নিত হাদিস গুলো নিজে মেনেই তো অপরকে শিক্ষা দেওয়া হয়,তাই না? গল্পটিও যেন কেমন, শেষ করেও যেন শেষ হচ্ছে না,ইনশাআল্লাহ আশা করবো হয়তো পরের পাঠেই গল্প শেষ হতে পারে।জাযাকুমুল্লাহ খইরান)