হুজুরের বউ যখন ডক্টর পর্ব-২০

0
1402

#হুজুরের_বউ_যখন_ডক্টর

লেখকঃ রাকিবুল ইসলাম

পর্বঃ ২০

মেহেদী ওজুকরে প্রথমে দু’রাকাত অযুর নামাজ আদায় করে নিল,
এরপর সালাতুল হাজত এর নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রাথনা করলো।

নামাজ শেষ করে মেহেদি জাফরির কেবিনে প্রবেশ করল।

সেখানে গিয়ে দেখল নাসরিন ও তার স্ত্রী মাথা নিচু করে বসে আছে। মেহেদী হঠাৎ তাদের কাছে এগিয়ে গেল আর বলল…

কি ব্যাপার! আপনারা এত চিন্তিত কেন? কিছু হয়েছে কি?
নাসরিন বললো – আসলে ভাইয়া,আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কিন্তু…

মেহেদী বলল -কিন্তু কি?

আসলে ভাইয়া আমরা জাফরীকে বাঁচাতে পারলাম না। হয়তো আর কিছু সময় অতিথি হয়ে আছে জাফরি আমাদের মাঝে।

এই কথা শোনা মাত্রই মেহেদী হাটুগেড়ে মেঝেতে বসে পড়লো, আর অঝোরে কান্না করতে লাগলো।

খাদিজার আম্মুও মাথানিচু করে কান্না করছে তার সতীনের জন্য,।আসলে তার ভুলের জন্যেই আজ জাফরীর এই অবস্থা,সে যদি মেহেদীকে আর না লুকিয়ে রাখতো তবে জাফরীর এমন অবস্থাও হতো না,এই জন্যে বার বার নিজেকেও দোষারোপ করছে খাদিজার আম্মু।

মেহেদী জাফরীর একটা হাত তার নিজের হাতের মূঠোয় করে নিয়ে অঝোরে কান্না করতে থাকে।

– জাফরী.. আজ আমার জন্যেই হয়তো তোমার এই অবস্থা,সেদিন যদি তোমায় ওভাবে তাড়িয়ে না দিয়ে মেনে নিতাম, তাহলে হয়তো তুমি এমন করতে না। আর আমিই বা কি করতাম বলো? আমি তো তোমায় চিনতে পারিনি? আর আমার এখনো কিছুই মনে পড়ছে না,কিন্তু তোমার মত, হ্যা ঠিক তোমার মতো কেউ একজন আমার সপ্নে আসে,এসে আমাকে আদর করে, মাথায় বিলি কেটে দেয়,আমার মাথা ব্যাথা করলে মাথা টিপে দেয়,আমার পাঞ্জাবি টেনেধরে বলে. কি গো হুজুর,এভাবে কোথায় যাচ্ছো আমাকে একা রেখে? আমাকেও সাথে নাও তোমার? আমি তোমার পর? কিন্তু বিশ্বাস করো জাফরী,আমি তাকে স্পষ্ট দেখতে পাইনা,শুধু আবছায়া দেখতে পাই। কিন্তু আমার যেন মনে হয়,ওটা তুমিই ছিলে।

প্লিজ জাফরী,আমাকে একা রেখে যেন,প্লিজ ফিরে এসো আমার কাছে? কথা দিচ্ছি আমি, আর কখনই তোমাকে কষ্ট দিবো না।

প্লিজ জাফরী,আমাকে একা রেখে যেও না,

এভাবে অনেকক্ষন ধরে কান্না করছে মেহেদী কিন্তু জাফরীর কোন সারা নেই।

চোখ ড্যাবড্যাব করে অনেকক্ষন হলো মেহেদীর দিকে চেয়ে আছে জাফরী । সে দেখছে কান্নায় আর চোখের পানিতে মেহেদীর মুখ ভিজে গেছে,এভাবেই অনেক্ষন জাফরী মেহেদীর দিকে তাকিয়ে থাকে।

একটু পর মেহেদী যখন মাথাতুলে একবার জাফরীর দিকে তাকায় তখন সে বড়সরো একটা টাস্কি খায়, সে কি ঠিক দেখছে নাকি চোখের ভুল?

মেহেদি ক্ষীন গলায় বলল,

-জাফরী…

– হুম্

– জাফরী,তুমি বেচে আছো?

– কেন? আমার মারা যাবার অপেক্ষায় আছেন নাকি? যে কখন আমি মারা যাবো?

যখন মেহেদী এসব বলছে তখন খাদিজার আম্মুও জাফরীর দিকে একপলক তাকায়, সেও অবাক হয়ে যায় যে জাফরী বেচে আছে নাকি সে ভুল দেখছে।

– আমি কি চোখের ভুল দেখছি নাকি সত্যি তুমি….

– আরে বাবা হ্যা আমি বেচে আছি,তো কি হয়েছে শুনি?

এই কথা বলার সাথে সাথেই মেহেদী ফ্লোর থেকে উঠে জাফরীকে জোরিয়ে ধরে,আর অনেক্ষন ধরে জাফরীর চোখে মুখে,কানে চুমু দিতে থাকে। যেন আজ যে জাফরী কে প্রথমবার আদর করছে। জাফরী বলল,

– ব্যাস অনেক হয়েছে, আর না,এখানে অনেক মানুষ আছে।

– জাফরী, জাফরী,আমি জাস্ট বিশ্বাস করতে পারছি না যে তুমি বেচে আছো।

– কেন আমার মৃত্যুর প্রতিক্ষা করছিলেন বুঝি?

এই কথা বলার সাথেই মেহেদী জাফরীর মুখ চেপে ধরে,আর বলে।

– এসব তুমি কি বলছো? আর একবার যদি মরার কথা বলেছো তো আমার থেকেই খারাপ আর কেও হবে না এই বলে দিলাম।

– আপনাকে ছাড়া আমার বেচে থেকে কি লাভ শুনি? জাকে এত্তো ভালোবাসলাম সেই আমাকে দূরে ঠেলে দিল,তাহলে আমি কি নিয়ে বাচবো বলতে পারেন?

– আসলে আমার কিছুই মনে নেই, সেই জন্যেই তোমাকে চিনতে পারিনি,কিন্তু বিশ্বাস করো,আমি যখন জানতে পেরেছি যে তুমিই আমার স্ত্রী,তখন নিজের উপর অনেক রাগ হয়েছিল,যানো যে আমি কেনই বা তোমার উপর এমন ব্যবহার করে ছিলাম।

– হুম,

– কিন্তু তুমি তো মারা গিয়েছিলে,তাহলে আবার বেচে উঠলে কিভাবে?

– আসলে আমি মারা যাইনি,।

– মানে?

– আসলে গতকাল রাতেই আমার হুস ফিরে যখন আপনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যখন আমার হুস ফেরে তখন আমি প্রথমেই আপনাকে দেখতে পাই আর চমকে উঠি,যে আমি কি ভুল দেখছি নাকি ঠিক দেখছি। পরে নিজেকে একবার চিমটি দিয়ে দেখলাম নাহ আমি ঠিকই দেখছি। পরে ভাবলাম আপনাকে একবার ডেকে দেই। কিন্তু সেদিন কার কথা মনে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে যায় আমার যে,জাকে আমি নিজের থেকেও বেশি প্রিয় ভাবতাম,জাকে নিজের থেকেও বেশি ভালো বেসেছি আজ সেই আমাকে অস্বীকার করে?

পরে ভাবলাম আপনি হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই আমার কাছে এসেছেন,কিন্তু তবুও বুঝতে পারছিলাম না যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন কিনা,নাকি আমার অসুস্থতার জন্যেই এখানে এসেছেন,তাই আপনাকে যাচাই করতে আমি নাসরীন কে এসব বলি যে আমি মারা যাচ্ছি।

মেহেদী নাসরীনের দিকে তাকাতেই নাসরীন এক চিলতে হাসি ছুড়ে দিল মেহেদির দিকে।

– ওও,তাহলে এসব আপনারা প্ল্যান করেই করেছেন আমার জন্যে?

-জি মসাই। কিন্তু,

– কিন্তু কি?

– আপনি পরিক্ষায় ফেল করেছেন।

– কেন?

– কারন আপনি এখনো আমাকে ভালোবাসেন কিনা বলেন নি,

– এটা কি এখনি শুনতে হবে?

– এখন মানে এখনি।

এদিকে যখন জাফরী আর মেহেদী দুজনের মাঝে খুনশুটি ঝগড়া চলছিল তখনও খাদিজার আম্মু বুঝতে পারছিল না ব্যাপারটি যে এখানে হচ্ছে টা কি?

খাদিজার আম্মু জাফরীর কাছে এগিয়ে এসে বলে,

– আমাকে ক্ষমা করদিয়েন আপু,আসলে আমার এই কাজ করা একদম অন্যেয় হয়েছে,আমি আপনার স্বামীকে আপনার থেকে দূরে রেখেছিলাম।

– ঠিক আছে,মাফ করে দিলাম,কিন্তু তোমাকে কেন জেন চেনা চেনা লাগছে?

– জি আমি সেই মেয়ে যার সাথে আপনার বাসে দেখা হয়েছিল,আর আমি আপনাকে না বলেই চলে গিয়েছিলাম।

– ওহ,আচ্ছা ঠিক আছে,

– আপু আপনি কত্তোভালো,এতো সহজেই আমাকে মাফ করে দিলেন? দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার সংসারে বরকত দান করেন।

– আমার সংসার মানে? এখন তো তুমিও এই সংসারেরই একজন সদস্য, আর আমার প্রিয় সতীন,তাই না।

– জি।

– আচ্ছা আপু এটা আপনার নতুন সন্তান তাই না?

– জি আপু

– আমাকে একটু কোলনিতে দিবেন?

– হ্যা অবশ্যই,কেন নয়.

খাদিজার আম্মু আব্দুল্লাহ কে জাফরীর কোলে তুলে দিল।

– মাশা আল্লাহ হুজুরের সন্তানটি কত্তোকিউট হয়েছে,একদম হুজুরের মতন।

– দেখতে হবে না কার ছেলে?

– হুম,দেখেনিয়েছি,তা আপু খাদিজা কোথায়?

– ওকেতো বাসায় রেখে এসেছি,খালাম্মার কাছে,

– ওহ!
এভাবেই কেটে গেল ২ দিন,এই দুই দিনে জাফরী।মোটামুটি সুস্থহওয়ার পথেই।

আজ সবাই অনেক খুশি,কেননা জাফরী সুস্থ হয়ে গেছে, কিন্তু একজন বাদে। সে হলো খাদিজার আম্মু

জাক,অবশেষে ওনাদের মিলন তো হয়েই গেল,আমার কাজ আপাতত শেষ, এবার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে আমার। হুজুর আপনাকে অনেক ভালোবাসি,জানি আর কখনো আপনার সাথে দেখা হবে না,কিন্তু আমি মনে মনে আপনাকেই ভালোবেসে জাবো।
খাদিজার আম্মু আজ নিজের দেশে ফিরে যাবে,তবে এবার মেহেদী কে রেখেই।

যাওয়ার আগে হুজুরের নামে একটা চিঠি লিখে একজন নার্স এর হাতে চিঠিখানা দিয়ে বলল, এটা ওমক নাম্বার কেবিনে একজন হুজুর আছেন,ওনাকে দিবেন প্লিজ,আসলে আমার হাতে সময় কম তাই যেতে পারলাম না।

– আচ্ছা ঠিক আছে,আমি নিজেই দিয়ে আসছি ওনাকে।

– জি শুকরিয়া আপু।

– আচ্ছা,

বিকেল ৫ টার টিকেট আগেই সংগ্রহ করে রেখেছিল খাদিজার আম্মু,যদি জাফরী সুস্থ হয়,তবে সে একাই বাড়ি ফিরে যাবে।মেহেদীর উপর আর কোন অধিকার রাখতে চায়না সে। তাই কাওকে কিছু না বলেই বেরিয়ে পরে।

এদিকে অনেকক্ষন হলো খাদিজার আম্মু কে দেখতে না পেয়ে জাফরী বলল,

– কি ব্যাপার হুজুর,সাথি আপু কই?(খাদিজার আম্মুর নাম)

– আসলেই তো,অনেক ক্ষন হলো দেখছিনা।

– বাইরে গিয়ে একটু দেখে আসুন তো কোথায় আছে।

– আচ্ছা,

মেহদি যেই না চেয়ার ছেড়ে উঠেছে ঠিক তখনি কেবিনে নার্স প্রবেশ করে বলল,

– এখানে মেহেদী কে?.

– জি আমি,

– আপনার নামে একটা চিঠি এসেছে।

– আমার নামে?

– জি

– আমার নামে আবার কে চিঠি পাঠালো?

একটা মেয়ে আমাকে এই চিঠিটা দিয়ে বলল এটা আপনাকে দিতে।

– আপনি কি ওনাকে চেনেন?বা আগে দেখেছেন?

– নাহ,তবে এই টুকু বলতে জানি যে ওনার কোলে একটা শিশুবাচ্চাছিল।

এটা শোনার পর মেহেদী আর জাফরী যেন আকাশ থেকে পড়লো,এটা খাদিজার আম্মু নয় তো?

– হুজুর খুলে দেখুন তো কি লিখেছে চিঠিতে( জাফরী)

– আচ্ছা দেখছি।

চিঠি তে লেখাছিল…..

প্রিয় হুজুর, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের দুজনকে নিজেদের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম এই জন্য।
অন্যের জিনিস যে নিজের করে যতই রেখে দেইনা কেন একদিন তা ঠিকই প্রকাশ পাবে।আর আমার কাজের জন্য আমি খুবই লজ্জিত। আমি আপনাদের মাঝে দেয়াল হয়ে আপনাদের হক নষ্ট করেছি,এই জন্যে হয়তো আল্লাহ আমায় ক্ষমা করবেন না।তবে আমি আশাবাদী যে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আসলে আমার এটা উচিৎ হয়নি আপনাদের মাঝে এভাবে এসে আপনাদের কে আলাদা করে দেই। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আবার যখন আপনারা এক হতে পেরেছেন তখন তৃতীয় হিসেবে আমি আর থাকতে চাইনা।তাই না জানিয়ে চলে যাচ্ছি নিজের গন্তব্যে। নিজের খেয়াল রাখবেন,আর আমার সতীনের জেন আর একটুও কষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখিয়েন।
যদিও ডিভোর্স হয়নি,তবুও কখনো স্ত্রীর হক ফলাতে আসবো না কথা দিলাম।

,নিজের আর আমার প্রিয় সতীনটার খুব যত্ননিবেন কিন্তু। বারাকিল্লায় ফিহ,

ইতি খাদিজার আম্মু……

মেহেদী অবাক নয়নে চেয়ে আছে জাফরীর দিকে। জাফরী ছলছল নয়নে বলল,

– আপনি প্লিজ আর এক মূহুর্তের জন্যেই দেরি করবেন, এখনি বেরিয়ে পড়ুন আর যেখানে থেকে পারেন আমার সতীনটাকে খুজে বের করবেন।

– ঠিক আছে আমি এখনি যাচ্ছি,নিজের খেয়াল রেখো।

মেহেদী খাদিজার আম্মুকে খোজার জন্য বেরিয়ে পড়লো। রাস্তার চারদিকে খুজলো,বাসষ্ট্যান্ডে,রেলওয়ে স্টেশন সহ আরো অনেক জায়গায় খুজে দেখলো কিন্তু কোথাও সাথি কে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না,অনেক ক্লান্তিনিয়ে যখন একস্থানে বসে পড়লো তখন হঠাৎ তার মনে পড়লো যে সাথি বলেছিলে যে সে নিজের গন্তব্যে চলে যাবে,আর খাদিজা তো মুম্বাই আছে? এর মানে খাদিজার আম্মু প্লেনে করে যাচ্ছে,আর এখন হয়তো বিমানবন্দরেই আছে।

তাই মেহেদী দেরি না করে বিমানবন্দরের দিকে যেতে লাগলো,

_________________

এদিকে একা একাই চলে এসেছে সাথি,সাথে শুধু একটা দুধের শিশু। আর আজ পথ চলতেই যেন তার শরীর ক্লান্তিতে ভরে যাচ্ছে,।সারা রাস্তা কান্না করতে করতে এসেছে সাথি(খাদিজার আম্মু)
কোনমতে পাসপোর্ট নিয়ে ওয়েটিংরুমে বসে পড়ে সে।

হুজুর,আমাকে মাফকরে দিয়েন প্লিজ,আমি আর আপনাদের মাঝে বাধা হয়ে থাকতে চাইনা,তাই আপনাকে না জানিয়েই চলে এসেছি। এতোক্ষন হয়তো আপনি আমাকে খোজাও শুরু করে দিয়েছেন,কিন্তু আপনি এখানে আসার আগেই আমি হয়তো চলে যাবো,হ্যা,অনেক দূরে চলে যাবো আপনার থেকে যাতে আপনার আর জাফরীর মাঝে কখনো বাধা না হতে পারি। ( মনে মনে বলছে সাথি)

________________

এদিকে নিজের তোয়াক্কা না করে সাথির খোজ করেই যাচ্ছে মেহেদী। অনেক ক্ষন পর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাতে পেরেছে সে। এখানে এসে ভিতরের দিকে যাচ্ছ সে,বেখেয়ালি ভাবে দ্রুত ভিতরের দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ………

————————-

অনেকক্ষন হলো বসে আছে সাথি,এদিকে ছেলের কান্না যেন থামছেই না,তাই বাধ্যহয়েই বাইরে দিকে যেতে হলো তাকে,

– ওলে বাবালে, কাদে না কাদে না সোনা,দেখেছো আমরা প্লেনে চড়ে খাদিজা আপুর কাছে যাবো,তখন অনেক মজা হবে কেমন? এমন করে না বাবা,লোকে তো পচা বলবে,বলবে যে ছি ছি,আব্দুল্লাহ কত্তো পচা,কত্তো কান্না করে, দেখেছো কান্ডো,এখনো থামার কোন নাম নেই।
সাথেই এদিকে ওদিকে হাটাহাটি করছে কিন্তু বাচ্চার কান্না যেন থামছেই না,তাই ভাবলো একবার বাইরে থেকে একটু খাবার কিনে দেই তাহলে হয়তো থামবে।
সাথি যখন বাইরের দিকে যাচ্ছিলো তখন দেখলো বাইরে অনেক ভির লেগে রয়েছে, সবাই কি নিয়ে যেন বলাবলি করছে,ব্যাপারটা প্রথমে গ্রুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো কিন্তু সে যতই এগিয়ে যাচ্ছে বাচ্চার কান্নার আওয়ার যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে,সে যেন জানানদিতে চাইছে আম্মু সামনে চলো,সামনে চলো, অনেক্ষন খেয়াল করার পর সাথির কেমন যেন মনে হলো ভিরের লোকটাকে একবার দেখা উচিৎ, কিন্তু এতো ভির ঠেলে যাবো কিভাবে?

আসসালামু আলাইকুম প্রিয়,,
আজকের প্রশ্ন, ভিরের মাঝে ওটা কে ছিল? আর মেহেদীর ই বা কি হলো? গল্পকি এখানেই শেষ নাকি পর্বের মোড় অন্যদিক নিতে চাইছে। জানতে হলে পরের পর্ব এর অপেক্ষা করুন। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here