হুজুরের বউ যখন ডক্টর, ⚡⚡⚡
রাইটার : রাকিবুল ইসলাম
2 part
জাফরী তাকিয়ে দেখছে মাথার চুল গুলো কেমন যেন এলোমেলো।মেহেদির পান্জাবীতে ময়লা।
জুতা গুলো ছেড়া।
যেন সবটাই ফকিরি হালত,
জাফরী : আপনার এমন অবস্থা কেন হুজুর
মেহেদী : আসলে কিছু নাহ রাস্তাঘাটে কতো ময়লা তাইনা
জাফরী : তো পায়ের জুতা ছেড়া কেন
মেহেদী : বাদ দাও তো ওসব কথা
জাফরী : কেন বাদ দেব একটু ভাল কাপড় পরে আসতে পারতেন।আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম
মেহেদী : আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে মানে
তুমি তো সেদিন বললে কাজ আছে
তাহলে ঘুরতে যাবে।
জাফরী : আরে কয়েকদিন এর জন্য কলেজ বন্ধ তাই বরকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো, তারপর বাড়িতে কয়েকদিন থাকতাম।
মেহেদী : ওহ
হঠাৎ জাফরীর একদল বান্ধবী চলে আসলো
বান্ধবীরা বললো কিরে জাফরী এটা কি তোদের বাসার কাজের লোক নাকি।
জাফরী চুপ করে আছে, কারণ মেহেদী এমন পোশাক পরিধান করে গেছে ভার্সিটির সামনে
যে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছে জাফরী
বান্ধবীরা : জাফরী এই জাফরী
জাফরী : হুম বল
বান্ধবীরা : কি ভাবতেছিস
জাফরী : নাহ কিছু নাহ
মেহেদিও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে
জাফরী পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছে
মেহেদি তা বুঝতে পারলো তাই মেহেদি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
বান্ধবীরা বলতে লাগলো কে…..
জাফরী বিরক্তি হয়ে জবাব দিলো আমার স্বামী
হয় বুঝলি তোরা।
আমার স্বামী হয় এই হুজুর
বান্ধবীরা : তা সেটা ভালভাবে বলতে পারতিস
শেষমেষ হুজুরের বউ হইলি,হুজুরেরা তো মানুষের বাড়িতে মাদ্রাসার নাম করে করে খায়।
জাফরী : একদম চুপ কোন কথা বলবি নাহ তোরা
তোদের বর কেমন ভাল হয় সেটাই দেখব
বান্ধবীরা : আমরা বেচে থাকতে এমন কোন মোল্লাহ মানুষকে বিয়ে করব নাহ।
এই বলে বান্ধবীরা চলে গেল, মেহেদী দাড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে।কারণ আমার জন্য জাফরীকে লজ্জা পেতে হচ্ছে।
জাফরী এসে মেহেদীর কাধে হাত দিয়ে বলছে
হুজুর আপনি কোন টেনশন করবেন নাহ
আমি আপনাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালবাসি
তাই আমার বর আমার কাছে কখনোই অপরিস্কার নয়।আপনি আমার সব।
হুজুর দাড়ান আমি ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছি
ব্যাগটা আনতে যাই আজ বাসায় যাবো
শ্বাশুড়ী আম্মুর খেদমত করার সুযোগ পাব
জাফরী দৌড়ে যাচ্ছে ব্যাগ আনতে এমন সময় মেহেদি নজর করে দেখলো একটা ছেলে জাফরীর পিছনে পিছনে যাচ্ছে।ছেলেটার নাম নয়ণ।
এমন সময় মেহেদি বুঝতে পেরে সেও পিছু পিছু
গেলো। মেহেদি দূর থেকে তাকিয়ে দেখছে ছেলেটা জাফরীর হাত ধরেছে।
আর জাফরী মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
মেহেদী দেখার পর ভাবতে লাগলো জাফরীতো চুপ করেই দাড়িয়ে আছে।
নজর করে দেখলো জাফরীর হাতে একটা চুমু দিলো ছেলেটি।এটা দেখার পর মেহেদি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো নাহ।
চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়া শুরু হয়ে গেল
আমার স্ত্রীর হাতে আরেকজন চুমু খাচ্ছে
এটা কি করে সম্ভব,যেখানে একটা পুরুষ একা দেখা করা যায়েয নাই।
সেখানে জাফরীর হাতে অন্য একজন পর পুরুষ চুমু দিচ্ছে।এটা তো মানা যায় নাহ।
মেহেদী আর কিছু বললো নাহ যেখানে দাড়িতে থাকতে বলেছিলো মেহেদী গিয়ে ওই জায়গায় গিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মাথা ঘুরতেছে সবকিছু যেন উলট পালট লাগতেছে।হঠাৎ মেহেদী তাকিয়ে দেখছে জাফরী আসতেছে। মনটা ভার করে।
মেহেদী কষ্টটা চাপা রেখে বললো কি ব্যাপার মন
খারাপ হয়ে গেল নাকি।
জাফরী : আচ্ছা হুজুর একটা কথা বলবেন
মেহেদী : কিহ
জাফরী : আপনি আমাকে কখনো ভুল বুঝবেন নাতো।
মেহেদী : এ কেমন কথা তোমাকে ভুল বুঝতে যাবো কেন। আচ্ছা কি হয়েছে বলুন তো।
জাফরী আশেপাশে তাকিয়ে দেখছে।
দেখে মেহেদির হাতটা ধরে বলছে চলুন বাসায়
যাবো প্রায় তিন মাস ধরে বাসায় যাওয়া হয়নি।
চলুন এখান থেকে তাড়াতাড়ি
মেহেদী : কি আশ্চর্য এতো জোরে টানছেন
জাফরী : নাহ এখানে বেশি থাকা যাবে নাহ
চলুন।
________________
জাফরী যতোই চেষ্টা করোনা কেন মেহেদীর কাছ
থেকে তোমাকে আমি আলাদা করবোই।
কাউকে হতে দেবনা তোমাকে।
তুমি শুধু আমার,,,,,,,
______________
জাফরী আর মেহেদি দাড়িয়ে আছে বাসের জন্য।
উফ এতো দেরি হচ্ছে কেন বাস আসতে
জাফরী : হুজুর ব্যাগটা ধরুণ তো
মেহেদী : হুমমম দেন
জাফরী : এতো গরম পড়েছে আজ কি করে বাসে বসে থাকবো।
মেহেদী : বরফের কাপড় পরেন
জাফরী : কি বললেন
মেহেদী : কই নাতো, কিছু বলিনি
জাফরী : নাহ কি যেন বললেন বরফের কাপড়
মেহেদী : নাহ কিছু না
জাফরী : আচ্ছা আমার কি পর্দা করা হয়নি
মেহেদী : নাহ হয়েছে খুব ভাল হয়েছে।
জাফরী : তাহলে কাপড়ের কি কথা বললেন আপনি।
মেহেদী : তোমার জন্য একটা উপহার নিয়েছি
জাফরী : কি উপহার দেখি
মেহেদী : দাড়াও আগে বাসে উঠি তারপর দেখাবো
জাফরী : আচ্ছা ঠিক আছে
____________
জাফরীর ক্লাসমেন্ট এর একটা ছেলে জাফরীকে
সব সময় বিরক্ত করে নাম তার নয়ন
নয়ন : বাবা আমি ওকে ছাড়া বাচবনা
বাবা : তোর কি মাথা খারাপ হইছে ও মেয়ে বিবাহিত
নয়ন : জাফরী যতোই বিবাহিত হোক তবুও ওকে আমি বিয়ে করব।ওকে ছাড়া বাচবনা
বাবা : চুপ….. যদি আর একটা কথা উচ্চারণ করলে তোর জিহবা টেনে ছিড়বো
আল্লাহ তোর কপালে ভাল মেয়ে রাখছে
ধৈর্য ধর বাবা।কারো এমন ক্ষতি করিস নাহ।
কারো সংসার নষ্ট করিস নাহ
চলবে…….