মেঘকন্যা☁️
Part_05
#Writer_NOVA
আয়িশের ফ্লাটের দরজাটা হালকা করে ধরতেই খুলে গেলো।কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম।বেশ পুরোনো দেখতে একটা বাসার দোতালার ফ্ল্যাটে আয়িশ একা থাকে। বাইরের থেকে বাড়িটা দেখতে ভুতুড়ে বাড়ি মনে হলেও ভেতরটা চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের ভরপুর।দুটো রুম ও একটা বড় ড্রয়িং রুম ও কিচেন নিয়ে আয়িশের ফ্ল্যাট। খুব সুন্দর ও গোছানো।আমি ভেতরে ঢুকে আশেপাশে ওকে খুঁজতে লাগলাম।বেশ কয়েক বার লো ভয়েজে ওর নাম ধরে ডাকলাম।কিন্তু কেউ সারা দিলো না।
আমিঃ আয়িশ,আয়িশ। কোথায় তুই? বাসায় কি কেউ আছে নাকি এমনি ভুলে দরজা খুলে চলে গেছে ছেলেটা। যা মন ভুলো। আয়িশ ঐ ছেমড়া?
কিচেন থেকে খুটখাট আওয়াজ আসছে।ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে সেদিকে যেতে লাগলাম।গিয়ে যা দেখলাম তাতে ভয় পেয়ে গেলাম।কালো হাফ প্যান্ট, কালো টি-শার্ট পড়া একটা লোক মাথায় বাইকের হেলমেট পরে ছুড়ি দিয়ে ট্র-এর মধ্যে কিছু একটা কাটছে।
আমিঃ বা বা গো🥶!!! কে আপনি?(ভয়ে ভয়ে)
আয়িশঃ কি রে তুই কখন এলি?
আমিঃ আআআআয়িশ সত্যি এটা তুই?
আয়িশ মাথার হেলমেট খুললো।হেলমেট পরে থাকার কারণে ফর্সা মুখটা টুকটুকে লাল হয়ে গেছে।পুরো মুখ ঘেমে-নেয়ে একাকার।
আমিঃ তুই কিচেনে হেলমেট পরে কি করছিস?
আয়িশঃ কথা বলিস না। গরমে আমি অতিষ্ঠ।শালার, বিদ্যুৎ যাওয়ারো সময় পেলো না।
আমিঃ বললি না হেলমেট পরে কিচেনে কি করছিস?
আয়িশঃ পেঁয়াজ কাটছিলাম।
আমিঃ কি-ই-ই-ই 😳!!! তুই হেলমেট পরে পেঁয়াজ কাটছিলি।লাইক সিরিয়াসলি।
আয়িশঃ তো কি করবো?পেঁয়াজের যা ঝাঁঝ। আমার কাঁদতে কাঁদতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।তাই বুদ্ধি করে হেলমেট পরে নিয়েছি। চোখে কোন ঝাঁঝ
লাগে নি।আমার বুদ্ধিটা কেমন হয়েছে??
আমি ওর কান্ড দেখে হাসতে হাসতে ফ্লোরে হাত-পা ছরিয়ে বসে পরলাম।আল্লাহ, এমন কিছুও যে আমায় দেখতে হবে তা কখনও কল্পনা করি নি।
আয়িশঃ ভেটকাইস না মাল্টি কালার।আমার হাতে এছাড়া কোন উপায় ছিলো না। (মুখ গোমড়া করে)
আমিঃ আমাকে একটু হাসতে দে।আমি ভাবলাম কোন চোর-টোর এসেছে বুঝি।সত্যি তোর দ্বারাই এসব সম্ভব। তুই পারিসও বটে।এসব আজগুবি বুদ্ধি তোর মাথায় আসে কি করে?
আয়িশঃ কাজের বুয়া অসুস্থ। কয়েক দিন আসতে পারবে না।তাই বলে কি না খেয়ে থাকবো নাকি?অনেক খুদা লাগছে।সর,আমাকে কাজ করতে দে।
আমিঃ এত কষ্ট না করে বাইরের থেকে খাবার আনলেই পারতি।
আয়িশঃ টাকা কি গাছে ধরে? কষ্ট আছে উপার্জন করতে।তুই কি বুঝবি?তাছাড়া বাইরে যেতে মন চাইলো না।ইস,আজকে যদি একটা বউ থাকতো।তাহলে এত কষ্ট করতে হতো না।
আমিঃ বিয়ে করে নে।আমরাও অনেক দিন পর কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারবো।
আয়িশঃ তুই করে নে।কতদিন ধরে রোস্ট, পোলাও খাওয়া হয় না।ইচ্ছে মতো খেতে পারবো।
🌨️🌨️🌨️
আয়িশ আমার বিয়ের কথা বলতেই আমার বুকটা ধক করে উঠলো।সেদিনের কথা মনে পরে গেলো।আমি যদিও বিয়েটা মানি না।তারপরেও মনটা সেটা মানতে সায় দেয় না। বারবার মনে করিয়ে দেয় আমি বিবাহিত।মন খুব জোর দিয়ে বলে,আমার শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়েছে। আচ্ছা, আমার যার সাথে বিয়ে হয়েছে কখনো যদি সে আমাকে খুঁজতে আসে।তখন কি করবো?আয়িশ আমার মুখের সামনে তুড়ি বাজাতেই আমার হুশ ফিরলো।
আয়িশঃ কিরে মাল্টি কালার।কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলি।তা মিস ভাবুকি, কি ভাবলেন এতক্ষণ?আমি যে কতগুলো কথা বলেছি তা কি আপনি শুনতে পেয়েছেন?
আমিঃ কিছু না।সর তুই। আমি রান্না করে দিচ্ছি।তুই তো হেলমেট পরে পেঁয়াজ কাটতেই আধা ঘন্টা লাগিয়ে দিলি।
আয়িশঃ সরি ম্যাডাম।আপনাকে কিছু করতে হবে না।আপনি এখন আমার বাসার মেহমান।আপনাকে দিয়ে আমি কোন কাজ করাতে পারি না।
আমিঃ ঢং হচ্ছে। এমন ভাব করছিস যে আমি জীবনের ১ম তোর বাসায় আসলাম।
আয়িশঃ না তা নয়।তবে আজকে আমি রান্না করবো নিয়্যাত করেছি। সো আমি রান্না করবো।তুই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ এই আয়িশের কামাল।তুই শুধু আমাকে একটু বলে বলে দিস।
আয়িশ আমার সাথে কথা বলতে বলতে ছুরি দিয়ে আলু কাটতে লাগলো।আমি ওর কাটাকুটি দেখতে লাগলাম।মিটমিট করে হাসছি।আলুর ছিলকা অনেক মোটা করে ফেলে ইয়া মোটা মোটা টুকরো করলো।কাঁচা মরিচ ফালা করতে গিয়ে চৌদ্দ বার ট্রে থেকে ফেলে দিয়েছে। রুই মাছ ভাজার জন্য নিলো।সেগুলোতে মশলা দিতে অবশ্য আমি বলে বলে দিয়েছি।তাই কোন সমস্যা হয়নি।
আমিঃ আয়িশ আমাকে মাছ ভাজতে দে।তুই পারবি না।তেল ছিটে আসবে।
আয়িশঃ এই মাল্টি কালার।তুই আমাকে কি ভাবিস?এই আয়িশ পারে না এমন কোন কাজ পৃথিবীতে নেই। সো,মাল্টি কালার।সরে যাও।আমি পারবো।
আমিঃ আর কিছু পারিস কিনা জানি না।তবে বড় বড় ডায়লগ দিতে পারিস তা জানি।
আমি মুখ গোমরা করে ওর সামনে থেকে সরে দরজার পেছনে আড়াল হয়ে দাঁড়ালাম। আয়িশ ভেবেছে আমি চলে গেছি।কিছু সময় পর দেখলাম ভয়ে আল্লাহকে ডাকছে।মাথায় হেলমেট পরে নিলো।দশ হাত দূর থেকে খুন্তির ওপর মাছ নিয়ে কড়াইয়ের তেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঠাস করে গরম তেলে মাছের টুকরোটা ফেলে দিয়ে এক দৌড়ে।সে কি দৌড়! এক দৌড়ে কিচেন থেকে পালিয়ে,সোজা নিজের রুমে। আমি হাসতে হাসতে দরজার পাশে বসে পরেছি।এতো সাহস দেখিয়ে দশ হাত দূর থেকে মাছ ছেড়ে সে দৌড়িয়েছে।রুমে গিয়ে হাঁপাচ্ছে। আমি হাসতে হাসতে কিচেনে গেলাম।কিছু সময় পর আয়িশ এলো।এসে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে ভয়ে ভয়ে চোখ বন্ধ করে দশ হাত দূর থেকে মাছ উল্টানোর চেষ্টা করতে লাগলো।আমি রেগে ওর কাছ থেকে খুন্তিটা নিয়ে গেলাম।
আয়িশঃ খুন্তি দে। আমি পারবো।
আমিঃ তুই যে কি পারবি তা আমার দেখা হয়ে গেছে। চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাক।আমাকে আমার কাজ করতে দে।(ধমকের সুরে)
আয়িশঃ তোর কথার মধ্যে আজ বউ বউ গন্ধ পাচ্ছি। ঘটনা কি বল তো?তুই দেখছি আগের থেকে সুন্দর হয়ে যাচ্ছিস।না মানে তোর হাত দেখে বললাম।বিয়ে-শাদি করেছিস নাকি।শুনেছি মেয়েরা নাকি বিয়ের পর সুন্দর হয়ে যায়।
🌨️🌨️🌨️
বুকটা আবারো ধক করে উঠলো। আমি যত বিয়ের ব্যাপরটা ভুলতে চাইছি।ততই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমাকে চুপ করতে দেখে আয়িশ গলা ঝেড়ে বললো।
আয়িশঃ আরে আমি এমনি বললাম মাল্টি কালার ।যাস্ট কিডিং। তুই সিরিয়াসলি নিস না।
আমি ওর কথায় তোয়াক্কা না করে রান্নায় মনোযোগ দিলাম।আয়িশ কিছু সময় পর পর আমার পেছন দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মেরে রান্না দেখছে।ভয়ে আমার পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে।
আয়িশঃ জলদী রাঁধিস মাল্টি কালার। দুপুরে কিছু খাইনি।অনেক খুদা লাগছে।
আমিঃ এত বড় বাড়িতে একা থাকিস ভয় করে না।এত বড় ফ্ল্যাটে তুই একা।বাই চান্স তুই অসুস্থ হলেও তো কেউ কিছু টের পাবে না।
আয়িশঃ এসেছি একা যাবোও একা।তাহলে মাঝখানে সময়টুকুতে ভয় পাবো কেন?
আমিঃ দরজা খুলে রেখেছিলি কেন?
আয়িশঃ কে জানে,খেয়াল নেই তো।কখন দরজা খুলেছি বলতে পারবো না।
আমিঃ আঙ্কেল, আন্টি কোথায় থাকে রে?তুই তো তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু বলিস না।এতবড় ফ্ল্যাটে একা না থেকে তাদেরও নিয়ে আয়।তাহলে তো তোর এতো কষ্ট করতে হয় না।
আয়িশের বাবা-মায়ের কথা বলতেই ওর চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গেল। মুখের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো।সাপের মতো ফোঁস করে উঠলো।কপালের রগ ফুলে উঠেছে। কঠিন গলায় বললো।
আয়িশঃ আমি আগেও বলেছি তাদের কথা কখনো জিজ্ঞেস করবি না।আমার কেউ নেই। (রেগে)
আমিঃ তুই তাদের কথা বললে এতো রেগে যাস কেন? এত রাগ ও ঘৃণা কেন তোর, তাদের প্রতি।উনারা তোর বাবা-মা আয়িশ।
আয়িশ কিছু না বলে রুমে চলে গেল। কিছু সময় পর কিছু একটা ভাঙার আওয়াজ পেলাম।রুমে গিয়ে দেখি কাচের টি-টেবিলেটা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে পরে আছে।আমি চুপ করে সেখান থেকে এসে রান্নায় মন দিলাম।একটু পর এমনি ঠান্ডা হয়ে যাবে।আমার ওপর সে কখনি রাগ করে থাকতে পারে না।
পুরো নাম আয়িশ রহমান।বাবা-মা কে বা কোথায় থাকে তা আমি জানি না। আমি কেন কেউ জানে না।বয়সে আমার ৪ বছরের বড়।মানে ২৬ বছর।আমার তিন ক্লাশ ওপরে পড়ে।এখন আপনাদের প্রশ্ন হতে পারে তাহলে আমাদের বন্ধুত্ব কিভাবে হলো?আমরা একসাথে একটা সেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজ করতাম।সেখান থেকে পরিচয় ও বন্ধুত্ব।
আয়িশ দেখতে ধবধবে সাদা। চুলগুলো হালকা কালো ও লালের কম্বিনেশন। ঠোঁট দুটো মাত্রাতিরিক্ত লাল।মনে হয় লিপস্টিক দিয়েছে।চোখ দুটো ঘোলাটে। সরু টানা চোখ ও চোখা নাক মিলে অসম্ভব সুন্দর দেখতে।কলেজের মেয়েরা তো আয়িশ বলতেই অজ্ঞান।কিন্তু আয়িশের সামনে আমি ছাড়া কোন মেয়ে ভিড়তে পারে না।আমি মনে মনে আয়িশকে অনেকটা পছন্দ করি।কখনো বলিনি। যদি আমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায় সেই ভয়ে।কিন্তু এখন চিন্তা করেছি না বলেই ভালো করেছি। কারণ আমি বিবাহিত।হ্যাঁ,
এই কথাটা শুনতে তিক্ত হলেও এটাই সত্যি।
🌨️🌨️🌨️
হঠাৎ আয়িশের কথায় আমি ভাবনা থেকে ফিরে এলাম।দুই দিন ধরে আমি নিজের মধ্যে থাকি না।ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই।
আয়িশঃ কি রে আজ কি খেতে পারবো?আমি আর সহ্য করতে পারছি না।পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে মাল্টি কালার। আমি আজকে শেষ।
আমিঃ তুই আমাকে মাল্টি কালার কেন বলিস?
আয়িশঃ তোকে এই কালারটা পরলে অনেক সুন্দর লাগে।অবশ্য আকাশি কালারটায় পুরো মেঘকন্যার মতো।
আমিঃ মেঘকন্যা!!!! (আনমনে)
আয়িশঃ আরে রুপকথার রাজকন্যাদের কথা বলছি।
আমিঃ না তুই অন্য কিছু বলছিস।
আয়িশঃ আমি রাজকন্যা বলেছি।তুই ভুল শুনেছিস।
আমিঃ হতে পারে।এমনি আজকাল আমার প্রচুর হ্যালুসিয়েশন হয়।ভুলভাল দেখি ও শুনি।
আয়িশঃ যাক বাবা বাঁচা গেল। কথা কাটাতে পেরেছি।(বিরবির করে)
আমিঃ কি বিরবির করছিস?(ভ্রু কুঁচকে)
আয়িশঃ কিছু না।আমি ডাইনিং টেবিলে বসলাম তুই খাবার নিয়ে আয়।
আমিঃ আচ্ছা যা।আমার রান্না শেষ।
আমি ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজিয়ে আয়িশকে প্লেটে খাবার বেড়ে দিলাম।
আয়িশঃ আহা!! কি ঘ্রাণ? নিশ্চয়ই রান্না অনেক মজাদার হবে।তুইও বসে পর।
আমিঃ নাহ্।আমার পেট ভরা।
আয়িশ খাবার খেতে শুরু করলো।আম্মির সাথে কিচেনে কাজ করতে করতে রান্নাটা ভালোয় রপ্ত করতে পেরেছি।
আমিঃ আচ্ছা আয়িশ।তুই যদি কখনো শুনিস আমি তোদের না জানিয়ে বিয়ে করে নিয়েছি।তোরা কি বিশ্বাস করবি?
আয়িশ খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে কপাল কুঁচকে তাকালো।বড় করে একটা শ্বাস ছেড়ে বললো।
আয়িশঃ আমি জানি তুই এমনটা করবি না।
আমিঃ কেন করতেও তো পারি।
আয়িশঃ তোকে শুধু আমি বিয়ে করবো।তুই আমার ছাড়া অন্য কারো হতেই পারবি না। (আনমনে)
আমিঃ কি-ই-ই-ই???
আয়িশঃ কোথায় কিছু না।বললাম রান্না অনেক ভালো হয়েছে। তোকে এখন পুরো আমার বউ বউ লাগছে।মানে তুই রান্না করে খাবার বেড়ে দিলি।এখন আবার না খেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে খাওয়া দেখছিস।
আমিঃ খুব ইচ্ছে ছিলো তোর বউ হওয়ার।তোর মতো গুড পার্সনালিটির মানুষ সব মেয়েরা স্বপ্নে দেখে। কিন্তু তুই আমার ভাগ্যে নেই রে।আল্লাহ আমাকে অন্য কারো বাম পাঁজরের হাড় দিয়ে বানিয়েছেন। নয়তো আমার এভাবে বিয়ে হতো না। (মনে মনে)
আয়িশের খাওয়া শেষ হতেই আমরা কিছু সময় গল্প করলাম।অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে আসছে। আমি বাসায় যেতে চাইলাম।কিন্তু আয়িশ আমাকে একা ছারলো না।নিজে বাইকে করে বাসায় পৌঁছে দিলো।এতকিছুর মধ্যে আমি কি জন্য আয়িশের বাসায় গিয়েছিলাম তাই ভুলে গেছি।
বাসায় গিয়ে যা দেখলাম তাতে আমার মাথা হাই লেভেলের গরম হয়ে গেলো। তাছাড়া রাতে_____
#চলবে