আঁধারের_গায়ে_গায়ে
তমসা_চক্রবর্তী
পর্ব-৬

।।১৭।।

-“কিরকম দাবি”!!

-“রাইমা কলেজ পাশ করার পর একদিন দিদি হঠাৎ করেই শুভেন্দুদার কাছে রাইমাকে অফিসে নিয়ে গিয়ে কাজ শেখানোর দাবি জানায়”।

-“হঠাৎই”!

মিলির প্রশ্নের জবাবে প্রিয়নাথ সাহা খানিক ভেবে জবাব দেন,

-“হ্যাঁ, শুভেন্দুদার কাছে ব্যাপারটাটা অকস্মাৎই ছিল। কিন্তু দিদি যে এতগুলো বছর ধরে তিলেতিলে মেয়েটাকে শুভেন্দু সেনের যোগ্য উত্তরসুরী বানানোর চেষ্টাই করে চলেছিল,সেটা সেদিনই শুভেন্দুদা প্রথম টের পেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসায়ী মানুষ তো, তাই দুশ্চিন্তাই করেছিলেন প্রথমে। কিন্তু ওর হাজার দুশ্চিন্তার জবাবে দিদি কেবল একটাই উত্তর দিয়েছিল সেদিন।

‘এটা তো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে রাই তোমার একমাত্র উত্তরাধিকারী।তাই তোমার অবর্তমানে এত কষ্ট করে গড়ে তোলা ব্যবসা যাতে শেষ না হয়ে যায়,রাইকে যাতে আমাদের অবর্তমানে সবার কাছে ঠকতে না হয়, ঠাকুরদা হিসেবে অন্তত সেইটুকু দায়িত্ব তো পালন করে যাও’!

বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও নিজের কাজ বা ব্যবসার প্রতি সমর্পন তখনও পর্যন্ত একবিন্দুও কমেনি শুভেন্দুদার।তবুও সেদিন দিদির গলার স্বরে হয়ত কিছু একটা ছিল যেটা স্বয়ং শুভেন্দু সেনও উপেক্ষা করে উঠতে পারেনি।হয়ত দিদির যুক্তিতে মনেমনে একপ্রস্থ হেসে ছিলেন সেদিন শুভেন্দু সেন। হয়ত ভেবেছিলেন, অফিসে যাওয়া শুরু করলেই রাইমা তার ধীরে ধীরে তার নিজের অক্ষমতা ঠিকই টের পেয়ে যাবে।

কথামতই পরেরদিন থেকে শুরু হল রাইমার ব্যবসায় হাতেখড়ি।আর তার কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিবারের মতো এবারেও স্ত্রী আর নাতনিরর কাছে হার মানলেন শুভেন্দু সেন। নিয়মিত অফিস যাতায়াত শুরু করল রাইমা।কি করে নিজের অক্ষমতাকে জয় করে রাইমা এতসুন্দর করে ব্যবসার কাজ সামলে নিয়েছিল শুভেন্দুদা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেননি।আমাকে বেশ কিছুদিন আগে একবার গর্ব করে বলেও ছিল জানেন,

‘বুঝলি প্রিয়, মেয়েটার কি আশ্চর্য ক্ষমতা!!কি দক্ষতার সঙ্গে অ্যাকাউন্টস থেকে প্রিন্টিং সব কাজ সামলে নিচ্ছে। এমনকি নতুন লেখকদেরও সুযোগ দিচ্ছে জানিস।ওরমধ্যে প্রতিমুহূর্তে আমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। কাজের প্রতি এক অদ্ভুত ডেডিকেশন’!

সত্যি বলতে কি সেদিন শুভেন্দুদার চোখে মুখ বলে দিচ্ছিল রাইমার কাজে উনি কতটা খুশি।যে নাতনিকে সারাজীবন উনি খরচের খাতাতে রেখেছিলেন সেই নাতনি আজ পারিবারিক ব্যবসার সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে দেখে আমারও বেশ ভালোই লেগেছিল জানেন। এতবছর পর এই সংসারে আবার একটু একটু করে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছিল”!!

প্রিয়নাথ সাহা থামলে মিলি এবার প্রশ্ন করল।

-“আচ্ছা,এই হিমাংশু রায়ও তো একজন রাইটার শুনেছি।তা ওনার লেখাও তো শুনেছি আপনাদের সেন পাবলিকেশন থেকেই প্রথম ছাপা হয়েছিল”!!

-“হ্যাঁ।সেই সুত্রেই তো ওর রাইমার সাথে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু আলাপ থেকে সম্পর্কটা কিভাবে বন্ধুত্ব পেরিয়ে বিয়ে পর্যন্ত এগিয়েছিল আমার ঠিকঠাকভাবে জানা নেই।কারন সেই সময় আমি ভোটের কাজে ভীষন ব্যস্ত ছিলাম।তবে দিদির মুখে শুনেছিলাম, ছেলেটি অনাথ।ছোট থেকে কাকা কাকিমার সংসারেই মানুষ।কলেজে পড়াকালীনই লেখালেখি শুরু করে এবং পরে বেশ কিছু লেখার পান্ডুলিপি জমা করে আমাদের অফিসে। তারমধ্যে থেকেই বেশ কিছু পান্ডুলিপি রাইমার পছন্দ হওয়ায় সেন পাবলিকেশন থেকে সেই পান্ডুলিপি মলাটবন্দী হয়ে গত বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়।তারপর অবশ্য হিমাংশুকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রাইমার সাথে বন্ধু হওয়ার সুবাদে সে খুব তাড়াতাড়িই শুভেন্দুদার সুনজরে চলে আসে।তারপর তো হিমাংশুর আরও চারটে বই প্রকাশিত হয়েছে, তিনটে বেস্ট সেলারও হয়েছে।আর সব থেকে বড় কথা কি জানেন!শুভেন্দুদা আর দিদির এত বছরের সংসার জীবনে একমাত্র এই হিমাংশুর ব্যাপারেই দুজনকে একসাথে সহমত হতে দেখেছিলাম। রাইমার পছন্দে ওরা দুজনেই সানন্দে শিলমোহর লাগিয়েছিল”।

-“আচ্ছা মিস্টার সাহা, রাইমা ঠিক কিভাবে পান্ডুলিপি চুজ করত!মানে ওতো দেখতে ..”!!

-“আগে তো পান্ডুলিপিগুলো বাড়িতেই নিয়ে আসত।দিদি পড়ত সেসব পান্ডুলিপি।তারপর যেগুলো ভাল লাগত সেগুলোই রাইমাকে পড়ে পড়ে শোনাত। কিন্তু দিদির মৃত্যুর পর থেকে সমতা মানে রাইমার সেক্রেটারিই পান্ডুলিপি শোনাবার কাজটা করছে বলে জানি”!

-“আচ্ছা স্যার, রাইমার সাথে কি একবার কথা বলা যাবে আজকে”!!

খানিকটা ইতস্ততভাবেই প্রশ্নটা করল মিলি। স্বাভাবিকভাবে রাইমার কথা উঠতেই কিছুটা চিন্তিত দেখাল প্রিয়নাথ সাহাকে।

-“কথাতো বলতেই পারতেন, কিন্তু দেখলেনই তো খবরটা পাওয়ার পর থেকেই মেয়েটা কেমন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতগুলো ধাক্কা পেয়েছে পরপর। কিভাবে যে সামলাব মেয়েটাকে,কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না”- তারপরই উজানের দিকে তাকিয়ে অনুরোধের সুরে হাত জোড় করে বললেন-“যদি খুব অসুবিধা না হয়, তাহলে আজকের দিনটা রাইমাকে একটু বিশ্রাম করতে দিলেই মনে হয় ভাল হয়।কাল কথা বলে নেবেনখনে”!

।।১৮।।

-“আমি সকাল থেকে এই কেসেটা নিয়েই কাজ করছি ইন্সপেক্টর অরণ্য।কুশল ছেলেটি আপনাকে যে বয়ান দিয়েছে, মোটামুটি সত্যি কথাই বলেছে।আমি সকালে ওই ধাবাতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ এনে চেকও করেছি বুঝলেন। কিন্তু এত বৃষ্টির মধ্যে কোনো ফুটেজই ঠিক ক্লিয়ার নয়।তবে একটা সুত্র পেয়েছি জানেন”!!

-“সুত্র”!! চমকে উঠলো মিলি।

কথা হচ্ছিল সার্ভে পার্ক থানার সাব ইন্সপেক্টর অভিজিৎ মজুমদারের চেম্বারে বসে। ইন্সপেক্টর মজুমদারের বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা আর চোখের তীক্ষ্ণতা মিলিকে প্রথম থেকেই বেশ প্রভাবিত করছিল।

-“হ্যাঁ ম্যাডাম। সুত্র একটা পেয়েছি। দাঁড়ান দেখাই আপনাদের”।

কথা শেষ করেই নিজের ল্যাপটপটা খুলে বসলেন সাব ইন্সপেক্টর মজুমদার। কয়েকমিনিট পরে ল্যাপটপটা মিলি আর অরণ্যের দিকে ঘুরিয়ে একটা ক্লিপিং জুম করতে থাকলে মিলি হঠাৎই উত্তেজিত কন্ঠস্বরে বলে উঠলো,

-“হোল্ড,হোল্ড মিস্টার মজুমদার”। ক্লিপিংটা মুহুর্ত খানেক তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখার পর মিলির মুখে একটা হালকা হাসির ঝিলিক দেখা গেল।

-“মাইন্ড ব্লোয়িং মিস্টার মজুমদার।এত সুক্ষ একটা সুত্র আমি তো কোনদিন খুঁজেও পেতাম না।অ্যান্ড ইফ আই অ্যাম নট রং, আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষনে এ মহাপুরুষের একটি স্কেচও বানিয়ে ফেলেছেন”!

অভিজিৎ বাবুর মুখে চওড়া হাসি ছড়িয়ে পড়ল।

-“তা একটা বানিয়ে আশেপাশের পুলিশ স্টেশনগুলোকে পাঠিয়ে দিয়েছি ম্যাডাম”!ড্রয়ার থেকে একটা ছবি আঁকা কাগজ বের করে মিলির হাতে তুলে দিতে ছবিটা একঝলক দেখল মিলি আর অরণ্য।

-“শুধুই পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়েছেন, মিস্টার মজুমদার”!! ভ্রূ জোড়া কুঁচকে সন্দেহ প্রকাশ করল মিলি।

-“হা হা.. আসলে ম্যাডাম..”,

-হ্যালো মোটো- ইন্সপেক্টর মজুমদারের কথার মাঝেই মুঠোফোনটা নিজের অস্তিত্ব প্রমানের চেষ্টায় জোরে গলায় গান গেয়ে উঠলো। স্ক্রিনের চোখটা পড়তেই চোখমুখের অভিব্যক্তি পরিবর্তন হল সাব ইন্সপেক্টর মজুমদারের।

-“এক্সকিউজ মি ফর অ্যা হোয়াইল”! মিলির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিজিৎ মজুমদার ফোনটা রিসিভ করলেন।

-“বল ইসমাইল। কিছু খবর আছে”!!

-“স্যার,রঙ দে বাসন্তীতে রন্টু প্রধান ঘাঁটি গেড়েছে।দশ মিনিটের মধ্যে আসতে পারলে হাতে না হাতে ধরে ফেলতে পারবেন”!!

-“বলছিস কি!নজর রাখ, আমি এখনই ফোর্স নিয়ে পৌঁছাচ্ছি”!!

ফোনটা কেটেই কনস্টেবল সামন্তকে তড়িঘড়ি ফোর্স রেডি করার নির্দেশ দিয়ে অভিজিৎ মজুমদার অরণ্যের দিকে তাকালেন।

-“ইন্সপেক্টর অরণ্য, আমাকে এখনি একটু বেরতে হবে,না হলে রন্টু প্রধান এবারও ফস্কে যাবে”!

-“রন্টু প্রধান মানে,ওই ব্যাঙ্ক ডাকাতি কেসের মূল অভিযুক্ত”!! কথা বলতে বলতেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল অরণ্য আর মিলি।”যদি অসুবিধা না থাকে আপনার সাথে আমিও আসছি মিস্টার মজুমদার”!

-“বেশ,আসুন তাহলে”!

-“মিলি তুই তাহলে এখানেই ওয়েট কর। আমরা বেরলাম”!

।।১৯।।

-“কপাল মন্দ থাকলে যা হয় আর কি!হাতের মুঠোয় এসেও মালটা হাতছাড়া হয়ে গেল”!

পুলিশ ফোর্স রঙ দে বাসন্তী ধাবায় পৌঁছানোর আগেই রন্টু প্রধান চম্পট দেওয়ায় আফসোসের শেষ নেই অভিজিৎ মজুমদারের। তবে এতকিছুর মধ্যেও মিলির মুখটা বেশ উজ্জ্বল দেখে ইন্সপেক্টর মজুমদার বেশ অবাক হয়েই প্রশ্ন করলেন,

-“কি ব্যাপার বলুন তো ম্যাডাম! পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ফেলিওর দেখছি আপনাকে বেশ খুশি করেছে”!!

-“আরে না না, প্লিজ ডোন্ট টেক মি‌ রং! আপনাদের অপারেশনটা হয়ত ফেলিওর হয়েছে ঠিকই, তবে থানায় ওয়েট করতে করতে একটা মক্ষম আইডিয়া মাথায় এসেছে। আচ্ছা ঋক, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দু একটা নতুন বুলেট পাওয়া যাবে”!! দু চোখ চকচক করছে মিলির।

-“আপনি কি কোনো ফাঁদ পাতার প্ল্যান করছেন নাকি ম্যাডাম”!! সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে মিলির দিকে তাকালেন অভিজিৎ মজুমদার।

ভ্রূ যুগল নাচিয়ে ইন্সপেক্টর মজুমদারের কথায় সায় দেয় মিলি।

-“কিন্তু ফাঁদটা পাতবি কোথায়? এরকম মহান চোর কি তোকেছদণ অ্যাড্রেস টেক্সট করে চুরি করতে আসবে”!

ঋকের ব্যাঙ্গের জবাবে সামনের টেবিলে রাখা আঁকিবুঁকি কাটা একটা কাগজ অরণ্য আর ইন্সপেক্টর মজুমদারের সামনে মেলে ধরলো মিলি।

-“ভাল করে লক্ষ্য করুন মিস্টার মজুমদার।প্রথম বাইকটা চুরি হয় উল্টোডাঙ্গার খুব কাছে সওয়ারি নামের একটা ধাবা থেকে।তারপরেরটা চুরি হয় জৈন ধাবায়।যেটা কিনা ম্যাপ ওয়াইস আগেরটার প্রায় স্ট্রেট লাইনে,টু ওয়ার্ডস সায়েন্সসিটির দিকে।তিন নম্বর চুরিটা হয় সায়েন্সসিটির পার্কিং থেকে,পরেরটা আর একটু এগিয়ে খাইবার পাস ধাবা থেকে আর পাঁচ নম্বর চুরিটা হয় কাল রাতে শের ই কলকাতা থেকে।এবার ম্যাপটা ভাল করে দেখ ঋক। সবকটা চুরির ডিরেকশন উল্টোডাঙ্গা টু রুবি আর অ্যাজ পার ম্যাপ মোটামুটি স্ট্রেট লাইনে।তাই আমার প্রডিকশন বলছে আগামী চুরিটা হয় সাঁঝবাতিতে হবে আর নাহলে রং দে বাসন্তীতেই হবে।কারন শের ই কলকাতার পর এই দুটোই ঠিকঠাক ধাবা উইথ নো পার্টিকুলার টু হুইলার পার্কিং।আর দুটো জায়গাতেই প্রতিদিন প্রচুর দামি বাইকের আনাগোনা আছে। এবং যেহেতু প্রত্যেকটা চুরিই মুষলধারে বৃষ্টির সুযোগে নিয়ে করা হয়েছে, তাই ধরেই নেওয়া যায়, তাই এক্ষেত্রে কাল পরশুর মধ্যেই পরবর্তী চুরির সম্ভাবনাটা প্রবল।অনন্ত আবহাওয়া দপ্তর তাই বলছে”!!

-“সুপার্ব আইডিয়া ম্যাডাম। আপনি এই ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই এত পড়াশোনাও করে ফেললেন”! স্বভাবতই উচ্ছাসিত হয়ে উঠলেন অভিজিৎ মজুমদার। কিন্তু সেদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ না করেই অরণ্য বলে উঠলো,

-“প্ল্যানটা ভাল তবে ওয়ার্ক করবে না বুঝলি”!

-“কেন”! চোখ কোঁচকায় মিলি।

-“এ চোরের যা রকমসকম,তাতে পাতি বুলেট চুরি করতে ইন্টারেস্টেড হবে না বুঝলি।আমি বরং অভির বাইকার্স ক্লাব থেকে দুটো ছেলেকে কাজে লাগিয়ে দিই। ওদের গাড়িগুলোর দাম অনেক বেশি তো তাই মনে হয় প্রলোভনটাও বেশি হবে।আর দু জায়গাতেই সিভিল ড্রেসে পুলিশ পিকেটিং করানোর ব্যবস্থাও করে দেওয়া যাবে।কি বলিস”!

-“গ্রেইট।তাহলে মিস্টার মজুমদার আপনি ঋকের সাথে এদিকটা সামলে নিন, আমি আর উজান বরং কাল ময়নাতদন্তের রিপোর্টটা পেলে একবার সেন পাবলিকেশনের অফিস হয়ে সেনবাড়িতে রাইমার সাথে দেখা করে সন্ধ্যের মধ্যেই আপনাদের জয়েন করব “!!

#ক্রমশ

/*কমেন্ট বক্সে আগের পর্বগুলির লিংক শেয়ার করা আছে*/

*ছবি সংগৃহীত**
© আমার ভিনদেশী তারা-amar bhindeshi tara-কলমে তমসা চক্রবর্তী
#AmarBhindeshiTara
#TamosaChakraborty
# ভালো লাগলে লেখিকার নাম সহ শেয়ার করবেন 🙏।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here