#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়
#Sohani_Simu
পর্ব:৪১
চোখ খুলে আশেপাশে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি আমি এখন কোথায় কিন্তু বুঝতে পারছিনা।এত সুন্দর গোছালো রুম তো আমার নয়,এটা আবার কোথায় এসেছি আমি।পুরো রুম সাদা রং করা,ফার্নিচার গুলোও অসাধারন।আমি রুমের মাঝখানে একটা বেডে শুয়ে আছি,বেডের দুপাশে দুটো বেডসাইড টেবিল একটাতে একটা সুন্দর ল্যাম্প আছে আর অন্যটাতে ফুলদানিতে তাজা ফুল সাজানো আছে।এসব দেখতে দেখতে হঠাৎই আমার মনে হল আমি তো আমাদের বাসায় ছিলাম,আমার বিয়ে হচ্ছিল নির্ভীক ভাইয়ার সাথে।বিয়ের কথা মনে হতেই আমি এক লাফে উঠে বসলাম তখনই দরজায় শব্দ হলো।আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখি নির্ভীক ভাইয়া,বিয়ের সময় উনি কালো জিন্স আর নীলের মতো শার্ট পরেছিলেন আর এখন উনি কালো ট্রাউজার কালো টি শার্ট পরে আছেন।উনাকে দেখেই আমি বেড থেকে নেমে উঠে দাঁড়ালাম।আমাকে উঠতে দেখেই উনি দ্রুত এগিয়ে আসতে লাগলেন।আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম।উনি আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
নির্ভীক:আজ আমি কতটা খুশি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।
আজকে আমার কাছে উনাকে অন্যরকম অপরিচিত লাগছে।অজানা ভয়ে ভেতরটা ধুৃকধুক করছে,আমি উনাকে ভয় পাচ্ছি ব্যাপারটা উপলব্ধি করা মাত্রই আরও বেশি ভয় লাগছে।আমি কিছু না বলে উনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু উনি আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললেন,
নির্ভীক:কেন এমন করছো?প্লিজ এরকম করো না।আমি জানি হঠাৎ এত কিছু মেনে নিতে তোমার সমস্যা হচ্ছে।তুমি দেখ আমি সব ঠিক করে দিবো।আমাদের মধ্যে কখনও কোন সমস্যা থাকবেনা।আজ থেকে আমাদের নতুন জীবন শুরু।চলো নফল নামাজ আদায় করি।
বলেই উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে কাবার্ড খুলে একটা সাদা ওড়না আর একটা প্যাকেট বের করে নিয়ে এসে আমার মাথা থেকে লাল পাতলা ওড়নাটা সরিয়ে দিয়ে সাদা ওড়না পরিয়ে দিলেন আর প্যাকেট হাতে দিয়ে চেন্জ করে নিতে বললেন।আমি নিজের দিকে তাকালাম,এর আগে মনে হয় কেউ কখনও স্কার্ট আর টিশার্ট পরে বিয়ে করেনি।
এই রুমের মধ্যে দুটো দরজা দেখতে পাচ্ছি সম্ভবত একটা বেলকুনি আরেকটা ওয়াশরুম,ওয়াশরুম কোনটা বুঝতে পারছিনা।আমি মাথা নিচু করে ক্ষীণ কন্ঠে বললাম,
আমি:আমরা কোথায়?
নির্ভীক:আমাদের বাসায়,এটা আমার রুম।চলো তুমি ফ্রেশ হবে আগে তারপর কথা হবে।
বলেই আমাকে নিয়ে ওয়াশরুমের কাছে এসে দরজা খুলে দিলেন।আমি ভেতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে এলাম।উনি দুটো জায়নামাজ রেডি করে রেখেছেন।আমাকে বের হতে দেখেই আমার কাছে এসে বললেন,
নির্ভীক:ওই ড্রেসটা পরোনি?এনিথিং রং?(মলিন মুখে)
আমি:ওটার ফলস নেই,ফলস ছাড়া পরা যায়না ওই ড্রেসগুলো।(মাথা নিচু করে)
নির্ভীক:অহ সরি,আমি জানতাম না।আচ্ছা আরও ড্রেস আছে,আসো কোনটা পরবে দেখ।
বলেই উনি আমাকে কাবার্ডের দিকে নিয়ে যেতে লাগলেন কিন্তু আমি উনাকে আটকে দিয়ে বললাম,
আমি:না,লাগবেনা।এটাই ঠিক আছে।(উনার দিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:উম,আচ্ছা ঠিক আছে।চলো।(মুচকি হেসে)
উনি আমাকে নিয়ে জায়নামাজে দাঁড়ালেন।নামাজ শেষ করে উঠে দাঁড়াতেই উনি আমার সামনে এসে কপালে কিস করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।আর আমি কেঁদে দিলাম।উনি ব্যস্ত হয়ে বললেন,
নির্ভীক:কাঁদছো কেন?কেঁদো না প্লিজ।(গালে হাত দিয়ে)
আমি:বাসায় যাবো।(হেঁচকি তুলতে তুলতে)
নির্ভীক:এখন থেকে এটায় তোমার বাসা আর এটা তোমার রুম।তোমাকে এখানেই থাকতে হবে আর আমার সাথেই থাকতে হবে।তুমি কয়েকদিন ধরে আমাকে ভয়ঙ্কর শাস্তি দিয়েছো এজন্যই বিয়ে করে নিলাম।এখন আমিও দেখি তুমি কি করে আমার সাথে দেখা না করে কথা না বলে থাকো।(দুই বাহু ধরে মুচকি হেসে)
উনার কথা শুনে আমি আরও জোড়ে কাঁদতে লাগলাম।
উনি আমাকে বেডে বসিয়ে দিয়ে আমার পাশে বসে বললেন,
নির্ভীক:তুমি কাঁদলে আমার কতটা কষ্ট হয় এটা যদি তুমি দেখতে পেতে তাহলে তুমি আর কখনও কাঁদতে না।(মলিন মুখে আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি উনার দিকে তাকালাম।উনি আমার চোখ মুছে দিয়ে বললেন,
নির্ভীক:কেন কাঁদছো বলোতো?তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না?(আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি মাথা নিচু করে থাকলাম।উনি আমাকে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে মুচকি হেসে বললেন,
নির্ভীক:আমি জানি আমার পিচ্চি আমাকে অনেক ভালোবাসে।আচ্ছা খাবে চলো,আম্মু খাবার দিয়ে গিয়েছে।
বলেই উনি উঠে গেলেন।টেবিল থেকে খাবার এনে আমার পাশে বসে আমার মুখে খাবার তুলে দিলেন।আমি মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে খাবো না বললাম।উনি দুবার চেষ্টা করলেন আমি দুবারই না করলাম কিন্তু ৩য় বার উনি আমার কোন কথায় শুনলেন না জোড় করে খাইয়ে দিলেন আর উনি নিজেও খেলেন।খাওয়া শেষ করে উনি বললেন,
নির্ভীক:ঘুমাবো চলো,অনেক রাত হয়ে গেছে।
উনি এটুকু বলতেই আমি এক লাফে উঠে দাঁড়ালাম।এখন থেকে উনার সাথে এক বেডে ঘুমাতে হবে নাকি?অসম্ভব,এটা আমি কিছুতেই পারবোনা।
আমি:নাআআ।(চোখ বড় বড় করে)
নির্ভীক:কি না?ঘুমাবা না?(ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি:না।(মাথা নিচু করে)
নির্ভীক:রাত দেড়টা বাজে,ঘুমাবা না তো কি করবা?আচ্ছা আসো তোমাকে আদর করি।(মুচকি হেসে)
বলেই উনি আমার হাত ধরে টান দিয়ে আমাকে উনার কোলে বসিয়ে দিলেন।আমি দুই হাত দিয়ে উনাকে আমার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকলাম।উনি আমার ঘাড়ে নাক ঘষতে ঘষতে বললেন,
নির্ভীক:খুব ভালবাসি তোমাকে, ইউ আর দ্যা লাভ অফ মাই লাইফ।
বলেই উনি আমাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে গলায়,গালে কিস করতে থাকলেন।উনার কন্ঠ অন্যরকম লাগছিল,উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি আর নিজের মধ্যে নেই।আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললাম,
আমি:না,উফ্ ছাড়ুন,না।(ভয় পেয়ে)
উনি আমার কোন কথা শুনছেন না।আমাকে বেডে ফেলে আমার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলেন।অনেকক্ষণ হয়ে গেল ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নেই।এদিকে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।উনি আমার দুহাত ধরে রেখেছেন তাই ভাল করে উনাকে বাধাও দিতে পারছিনা।আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে।আমি কাঁদছি ব্যাপারটা উনি বুঝতে পারা মাত্রই আমাকে ছেড়ে দিলেন।ছাড়া পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে বেড থেকে ফ্লোরে নেমে দাঁড়ালাম।হাত-পা থরথর করে কাঁপছে।উনি আগে ভাল ছিলেন এখন এমন করছেন কেন।আমার খুব কান্না পাচ্ছে,ভয় লাগছে আর রাগও হচ্ছে।সবগুলো অনুভূতির সংমিশ্রণ করে আটকা আটকা গলায় বললাম,
আমি:আমি এখানে কিছুতেই থাকবো না,নেভার।এখনই বাসায় চলে যাবো।(উনার দিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:কেন এমন করছো?হুয়াই?(হালকা রেগে)….এই তুমি কাঁপছো কেন এভাবে?(আমার হাত ধরে)ভয় পেয়েছো?আমি সরি,আমি কিছু করবো না আর।চলো তো ঘুমাবো।
বলেই আমাকে কোলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলেন আর উনিও আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলেন।আমার হার্টবিট এত দ্রুত হচ্ছে মনে হচ্ছে এখনই হার্ট ব্লাস্ট করবে।নির্ভীক ভাইয়ারও মনে হয় একই অবস্থা কারন আমি উনার হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি।উনি আমার গালের কাছে মুখ এনে বললেন,
নির্ভীক:ভয় পেয়ও না আমি কিছু করবো না।আমি তো তোমাকে ভালোবাসি।তোমাকে একটু আদর করতে ইচ্ছে করছিল তাই একটু, আমি সরি।আমি জানি তুমি অনেক পিচ্চি,আমার পিচ্চি বউ।(গালে কিস করে)
উনার মুখে বউ কথা শুনে আমার শরীর শিউরে উঠলো।উনি উঠে গিয়ে লাইট অফ করে টেবিল ল্যাম্প অন করলেন।তারপর আমার পাশে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
নির্ভীক:তুমি তো ছোট তাই আমার ফিলিংসটা বুঝতে পারছো না।এসব বিয়ে ভালোবাসা তুমি তো কিছুই বুঝনা,ছোট বাবু একটা!আচ্ছা এই বিয়ের ব্যাপার টা তোমাকে আগে বুঝিয়ে দিই তারপর ভালোবাসা বুঝিয়ে দিব ওকে?(মুচকি হেসে)
আমি কিছু বললাম না। উনি আমার গাল ধরে নিজের দিকে করে বললেন,
নির্ভীক:ওকে বলো।(আমাকে অর্ডার করে)
আমি:ওকে।(ক্ষীণ কন্ঠে)
উনি মুচকি হেসে আমার গালে স্লাইড করতে করতে বললেন,
নির্ভীক:তুমি জানো?তুমি আমার অংশ,আমার অর্ধাঙ্গিনী।যখন থেকে আমাদের বিয়ে হয়েছে তখন থেকে আমরা এক হয়েছি।বিয়ের মাধ্যমেই নিজের অংশকে খুঁজে পাওয়া যায়।আল্লাহ্ তোমাকে আমার একটা অঙ্গ থেকে তৈরী করেছে তাই তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ,আমি তোমাতেই সম্পূর্ণ।জন্মের পর থেকে আমি অসম্পূর্ণ ছিলাম আজ আমার অংশটাকে আমি পেয়ে গেছি। জীবনে প্রথম বার মনে হচ্ছে কেউ আছে যে আমার নিজের অংশ,আমি তাকে নিজের কাছে রাখতে পারবো,তাকে নিজের সাথে বাঁধতে পারবো,তার সাথে সারাটাজীবন কাঁটাতে পারবো।আমার তো অসম্ভব খুশি লাগছে,তুমি কি আমার ফিলিংস টা বুঝতে পারছো?(আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি উনার দিকে অবাক হয়ে তাকালাম।এরকমভাবে আমি কখনও ভাবিনি।আমি উনার অংশ,আমাকে উনার থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এটা ভাবতেই আমারও এখন ভাল লাগছে কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
আমি:তাহলে বিয়ে হলেই নিজের অংশকে পাওয়া যায়?(ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:হুম যায়।আমি তো পেয়েছি।(আমার মুখের কাছে মুখ এনে)
আমি:কিন্তু…(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:কিন্তু??
আমি:না কিছু না।
নির্ভীক:উম,আচ্ছা ঠিক আছে।এখন আসি ভালোবাসার কথায়।ভালোবাসা হলো শিখার জন্য সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট ।ভালোবাসা সহজ নয়,এটা খুবই ডিফিকাল্ট।ভালোবাসায় প্রচুর কষ্ট।(আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমাকে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসে ব্যস্ত হয়ে বললেন,
নির্ভীক:তুমি আমাকে কেন ভালোবাসলে বলো তো?তোমার তো অনেক কষ্ট হবে।না না আমি তোমাকে কোন কষ্ট পেতে দিবো না।তোমার আমাকে ভালোবাসার দরকার নেই কিন্তু তুমি শুধু আমার থাকবে,কাউকে ভালোবাসতে পারবেনা।
আমিও উঠে বসে উনার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকলাম।উনার চোখ ছলছল করছে।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
নির্ভীক:আমি বছরের পর বছর তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি,তোমাকে একটা বার দেখার জন্য পাগলের মতো করেছি,তোমার জন্য কেঁদেছি।যখন বুঝতে পেরেছি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি তখন থেকে আরও উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।উফ্ এত কষ্ট!ওসব কথা মনে পরলে আমি জাহান্নাম ফিল করি।
উনার চোখ দিয়ে পানি পরছে।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।আমি উনার কষ্ট সহ্য করতে পারছিনা।আমি কাঁপা কাঁপা হাতে উনার চোখের জল মুছে দিতেই উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলেন।হাত বাড়িয়ে টেবিল ল্যাম্পটাও অফ করে দিয়ে বললেন,
নির্ভীক:ঘুমাও পিচ্চি।(মাথায় কিস করে)
আমি:হুম কিন্তু আপনি আগে আমাকে ছেড়ে দিন।
নির্ভীক:নেভার।
আমি:কিন্তু…
নির্ভীক:আর একটা কথা বললে কিন্তু কিসি দিবো তখনকার মতো।(আমার গালে গাল ঠেকিয়ে)
আমি:নাআআ।
নির্ভীক:হুম।
আমি আর কিছু বললাম না।উনিও কিছু বললেন না।অন্ধকারে ভাবতে থাকলাম,নির্ভীক ভাইয়ার সাথে আমার বিয়েটা হয়েই গেল?কয়েক ঘন্টা আগেও আমি জানতাম নির্ভীক ভাইয়া আমার ভাগ্যে নেই,উনি আমাকে ভালোবাসেন না কিন্তু এখন জানলাম উনি তো আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন।আমিও উনাকে অনেক ভালোবাসি আর ভালোবাসবোও।এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে গেলাম।
.
শরীরের উপর ভারি ফিল হওয়ায় ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল হয়ে গেছে নির্ভীক ভাইয়া আমাকে কোলবালিশ বানিয়ে ঘুমেচ্ছেন।আমি উনার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখি উনি ঘুমোননি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি উনার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালাম।উনি মুচকি হেসে বললেন,
নির্ভীক:গুড মর্নিং পিচ্চি বউ।
আমি:আপনি সত্যি একটা ডাইনোসর,উফ্ কি ভারি।সরুন।(রাগ করে উনাকে ধাক্কা দিয়ে)
নির্ভীক:উফ্ কি কিউট লাগছে।
বলেই উনি কিস করা শুরু করে দিলেন।জোড় করে উনাকে ঠেলে ঠুলে বেড থেকে উঠে দাঁড়াতেই আমি অবাক।একটা চিৎকার দিয়ে আরেকটা দিবো তখনই উনি আমার মুখ চেপে ধরলেন।
নির্ভীক:কি হয়েছে?চিৎকার করছো কেন?সবাই শুনতে পাবে তো।
আমি:আমার স্কার্ট আর ওড়না কোথায় গেল??(রেগে মুখ থেকে উনার হাত সরিয়ে)
নির্ভীক:অহ,রাতে ওগুলো আমি খুলে দিয়েছি।(মুচকি হেসে)
আমি:কি?(রেগে)
নির্ভীক:রাগ করছো কেন?তোমার গরম লাগছিল তাই খুলে দিয়েছি।তুমি তো ওসব পরে ঘুমাওনা।আমি দেখেছি বাসায় তুমি টিশার্ট আর থ্রি কোয়াটার পরে পেট বের করে রেখে ঘুমাও।(মুচকি হেসে)
আমি:নাআআআআআ।(রেগে)
নির্ভীক:হুম,চলো চলো ফ্রেশ হতে হবে আজকে আমার ক্লাস টেস্ট আছে।
নিচে আসতেই সবাই আমাকে ঘিরে ধরলো।খালা তো ছোট বউ ডাকতে শুরু করে দিয়েছে।এত লজ্জা আমি কখনও পাইনি।নাস্তা করার পরই অ্যান্টি আমাকে তার রুমে নিয়ে গেল।আমি লাল রঙের ড্রেস পরেছিলাম ওটা চেন্জ করে অ্যান্টি আমাকে একটা শাড়ি পরিয়ে দিল আর বলল,
অ্যান্টি:চাঁদ ঠিকই বলে তুই একটা পরী।
আমি মাথা নিচু করে থাকলাম।সারাটাদিন সবাই আমাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিল।সকালের পর আর নির্ভীক ভাইয়ার সাথে দেখা হয়নি।উনি সেই সকালে বেড়িয়েছেন আর এখন সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে তাও উনার কোন দেখা নেই।একবার ফোন করে বলেছেন দরকারি কাজ আছে বাসায় আসতে দেরি হবে।
সন্ধ্যায় আমি নির্ভীক ভাইয়ার ঘরের কাবার্ড খুলেছি নিজের ড্রেস নেওয়ার জন্য।সারাদিন শাড়ি পরে ছিলাম এখন চেন্জ করতে হবে।অ্যান্টি বলল কাবার্ডে সব রাখা আছে।আমি এসে কাবার্ড খুলে পুরো থ।এত ড্রেস উনি কবে কিনেছেন।সব গুলো অনেক সুন্দর। আমি ১টা নীল রঙের ড্রেস নিয়ে চেন্জ করে আসলাম।আয়নার সামনে দাঁড়াতেই কেউ দুরমুর করে রুমে ঢুকলো।আমি চোখ বড় বড় করে লোকটার দিকে তাকালাম।আরাফ ভাইয়া ভয়ঙ্কর রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ভাইয়া আমার গলা ধরে আমাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।এত জোড়ে ধরেছে যে আমি নিঃশ্বাস নিচে পারছিনা।গলার হাড় মনে হয় সব ভেঙ্গে যাচ্ছে। আরাফ ভাইয়ার পেছন পেছন আপু,অ্যান্টি আর খালাও এসেছে।
চলবে………….