স্বপ্ন
সাদিয়া_সৃষ্টি
পর্বঃ- ০৭
— “আমার থেকে লুকাচ্ছ কিছু? কিংবা আমাদের সবার থেকেই?”
— “না, আমি কি লুকাব? কিছুই না। এমনিই খারাপ লাগছিল। আজ মনে হয় কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষন তাকিয়ে ছিলাম, তাই এমন হচ্ছে।”
— “কিন্তু তোমার চশমায় না রিফ্লেকশন গ্লাস লাগানো? মাথা ব্যথা হওয়ার কথা না তো।”
— “আপনি একটু বেশিই ভাবেন সবসময়। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি গেলাম। আপনার ইচ্ছা হলে আপনিও চলে যাবেন ঘুমাতে।”
বলেই বৃষ্টি স্থান ত্যাগ করল। নিশান্ত শুধু তাকিয়ে রইল। ওর ভাবনায় ছেদ ঘটল ফোন বেজে ওঠায়। ভাইব্রেশন দিয়ে রাখায় শব্দ না হলেও ভাইব্রেট হচ্ছিল ফোনটা অনবরত। স্ক্রিনে “প্রান্ত” লেখাটা ফুটে উঠছে। সে দেরি না করে রিসিভ করল। অপরপাশ থেকে একটা ছেলের আওয়াজ ভেসে আসলো।
— “কেমন আছিস তুই?”
— “হঠাৎ এতো রাতে? কি হয়েছে? আমি বলেছি না কাজের সময় কখনো ফোন দিবি না। আমি না বলা পর্যন্ত।”
— “কিন্তু এদিক থেকে তো চাপ দিচ্ছে। অনেকটা সময় পার হয়ে গিয়েছে, তুই এখনো যোগাযোগ করছিস না। কখনো তো তুই এতো সময় নিস না।”
— “এসব আমার একদম পছন্দ না। জানিয়ে রাখবি। আসল কথা বল।”
— “কিছু জানতে পারলি?”
— “না।”
নিশান্তের সোজা উত্তর। এতে প্রান্ত নামের ছেলেটি হতাশ হলো। সাথে অবাকও হলো। যা ফুটে উঠল তার পরের কথায়,
— “একটুও জানতে পারিসনি কিছু?”
— “না।”
— “রাগ করে কিছু বলিস না, সত্য কথা বল।”
— “আর কিছুদিন লাগবে।”
— “ঠিক আছে। শেষ হলে বলিস, দেরি করিস না।”
নিশান্ত কেটে দিল। তার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। সে মনে মনে ভাবল, সত্যিই তো! এবার সে প্রতিবারের তুলনায় অনেক বেশি সময় নিয়ে ফেলেছে। মাস খানেক পার হতে চলল। কিন্তু বলতে গেলে সে সবটা আন্দাজ করলেও সেই অনুযায়ী কোন কাজ করেনি তেমন। নিজের ইচ্ছাতেই। বৃষ্টিদের বাড়িতে থাকতে ইচ্ছা করছে খুব। ইচ্ছা করছে কোন একটা জায়গাকে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী ঠিকানা বানাতে। সেটাও সম্ভব না।
নিজের রুমে ঢুকতেই বিছানায় পড়ে থাকা ফোনের স্ক্রিনে আলো জ্বলতে দেখল বৃষ্টি। কেউ কল করেছে। বিছানায় শোয়ার পর ফোনটা হাতে নিল। সেটা তুলে কিছুক্ষণ হ্যালো হ্যালো করার পরও কোন সাড়া পেল না। সেটা কেটে দিবে কি না তাই ভাবতে ভাবতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠে ভেসে এলো কিছু কথা। কিন্তু ঘুমের তীব্রতা প্রচুর থাকায় ঘুমিয়ে পড়ল সে কলটা না কেটেই।
🍂🍂🍂
অফিস থেকে ফিরছিল বৃষ্টি। ফেরার পথে রিকশা পাচ্ছিল না বলে হাঁটা ধরল সে। কিন্তু একটা পর্যায়ে তাকে পেছন থেকে কেউ চেপে ধরল। মুখে একটা রুমাল ধরতেই জ্ঞান হারাল সে।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন নিজেকে একটা চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় পেল। সামনে কয়েকটা লোক বসে আছে চেয়ারে, তবে সেগুলো বৃষ্টির থেকে দূরে। বৃষ্টি চোখ হালকা খুলে রেখেই পুরো পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করল। নিজের হাত পা বাঁধা দেখে সাময়িক ভাবে ধরে নিল তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। কিন্তু এর কারণ খুঁজে পেল না। আবার নাকে রুমাল চেপে ধরার কথা মনে পড়তেই সে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হলো এ বিষয়ে। আশেপাশে আর কোন মেয়ের আওয়াজ পেল না। তার সাথে ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেগুলো আন্দাজে ধরে নিল কয়েকটা। আর সবগুলোই বাজে বাজে পরিণতি। মেয়ে পাচার কিংবা কোথাও বিক্রি করে তাকে দিয়ে নানান কাজ করানো- এসবের ব্যাখ্যা না দিলেও বোঝা যায় ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে। নিজের পরিণতির কথা ভেবে শিউরে উঠল।
আকস্মিক চিৎকারে তার ভাবনায় ছেদ ঘটল। সামনে তাকিয়ে দেখল লোকগুলো একটা লোককে এতক্ষণ আড়াল করে রেখেছিল। তাকে বেঞ্চে বেঁধে রাখা হয়েছে। লোকটার চেহারা চেনা চেনা মনে হলেও ঠিক ধরতে পারল না। চোখ আধ বোজা অবস্থায় সবটা পরোখ করে নিতে থাকল শুধু। লোকটার উপরে হয়তো অনেকখানি গরম পানি ঢালা হয়েছে। নিজের পায়ের ১-২ ফোঁটা পানির অস্তিত্ব পেতেই পানির তাপমাত্রা আন্দাজ করতে সমস্যা হলো না। সামনের লোকটিকে এরা ইচ্ছামতো আঘাত করছে। তাদের প্রতিটা পদক্ষেপে শুধু হিংস্রতা ফুটে উঠছে। তবে পানি ঢালার পর তার হাত একটা কাঁচের গ্লাসে ছুঁইয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপরের ঘটনা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর আর দেখার সাহস হলো না বৃষ্টির। তার চোখে আঘাত করছে মারের দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দূর থেকেও। আগে যেই পানি ঢালা হয়েছিল সেটা নিচেই পড়ে আছে, তার সাথে মিলেছে রক্ত। সেদিকে তাকাতেই বৃষ্টি চোখটা পুরো বন্ধ করে নিল। শুধু সময়ের সাথে সাথে একটু করে দেখে আবার চোখ বন্ধ করছে সে। এর মাঝেই জ্ঞান হারাল বৃষ্টি।
চোখ খুলতেই আবার নিজেকে নিজের ঘরের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখল। তাই পূর্বের ঘটনাকে নিছক স্বপ্ন ভেবে ভুলে গেল নিমেষেই। হাত মুখ ধুয়ে একেবারে নিজের কক্ষ ত্যাগ করল। সামনে তাকাতেই ড্রয়িং রুমে নজর পড়ল। বিভোর মায়ের ফোনে গেমস খেলছে। বাবা হয়তো নিজের রুমে তৈরি হচ্ছে। আর মা রান্নাঘরে রান্নার যুদ্ধ করছেন।
বৃষ্টি মুচকি হেসে সামনের দিকে তাকাল। অকারণেই টিভি চলছে। বাবার ডাক পড়ায় বিভোর ফোন বন্ধ করে সেদিকে চলে গেল। বৃষ্টি রিমোট নিয়ে টিভি বন্ধ করতে গেলে দেখতে পেল একটি খবর।
“একজন সৎ পুলিশ অফিসারের আকস্মিক মৃত্যুর রহস্য। এটা কি আদৌ স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা? লাশ সম্পর্কিত সকল তথ্য গোপন রাখার কারণ কি হতে পারে? গোপন ক্যামেরা পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর ভয়াবহ দৃশ্য ধারণ।”
ছবিটার দিকে নজর পড়তেই বৃষ্টি চিৎকার করে উঠল। এই লোকটাকে সে কিছুক্ষণ আগেই দেখেছে স্বপ্নে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তার চিৎকার কেউ শুনতে পেল না। সে নিজেও না। কপাল বেয়ে পানির অস্তিত্ব নিচে পড়ার বিষয়টা অনুভব করতেই উপরের দিকে তাকাল। তাকে রক্তে স্নান করিয়ে দিচ্ছে যেন কেউ। সামনের ফ্লোরেও রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। টিভি কোণ বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে। বৃষ্টি সেই কখন থেকে চিৎকার করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। ভয় পেয়ে সে নিজের দুই হাত দিয়েই গলা চেপে ধরল। তাও যেন কথাগুলো গলায় আটকে আসছে। কথা বলতে ভুলে গিয়েছে সে। পাশে কারোর ছায়া দেখতে পেয়েই আন্দাজে তার হাত চেপে ধরল বৃষ্টি। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে খামচি দিয়ে ধরল হাতটা। মুখ খুলে কিছু বলার চেষ্টা করল কিন্তু বলতে পারল না তবুও। চোখ তখনও টিভির স্ক্রিনে আবদ্ধ। সামনে সেই ভয়ংকর মুখ থেকে বের হয়ে এলো তার নাম।
“বৃষ্টি! আপনি আমাকে বাঁচালেন না কেন?”
🍂🍂🍂
বৃষ্টি ধড়ফড় করে উঠে পড়ল। ফ্যানের বাতাসের মধ্যেও ঘেমে একাকার হয়ে গিয়েছে সে। জানালা আর দরজা খোলা থাকায় ঠাণ্ডা বাতাসটা বেশিই বয়ে চলেছে। তবুও ঘামছে সে। অনেকক্ষণ ধরে সেভাবেই বসে থেকে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলল কয়েকবার। তারপর শান্ত হতেই খেয়াল করল সে কারো হাত খামচে ধরে আছে। সাথে সাথে ছেড়ে দিল সে। সামনে তাকাতেই নিশান্ত বলে উঠল,
— “এখন ঠিক আছো?”
— “জ্বি।”
নিশান্ত কথা না বাড়িতে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে চোখের ইশারায় বলল পানি পান করে নিতে। বৃষ্টি বিনা বাক্যব্যয়ে তাই করল। নিশান্ত আরও কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠল,
— “কি হয়েছে? ছটফট করছিলে কেন এভাবে? খারাপ স্বপ্ন দেখেছিলে? নাকি অন্যকিছু?”
— “কিছু না। আপনি এখানে কেন?”
— “পানি নিতে এসেছিলাম। আবার লুকাচ্ছ কথাটা? কি হয়েছে? কাউকে না বললেও আমাকে তো বলতে পারো। বন্ধু হিসেবেই জানাও।”
— “কিছু হনি তো বল…”
— “হ্যাঁ, জানি কিছু হয়নি। কিভাবে ছটফট করছিলে জানো? তুমি তো নিজেকে দেখনি। এমনকি একটু আগে নিজের গলাও চেপে ধরেছিলে। কি হয়েছিল? খুব একটা সাধারণ কারণে নিজে নিজের গলা চেপে ধরার মানুষ তো তুমি না। এমনকি ঘুমের মধ্যেও না। শুধু একটা কারণ হতে পারে, স্বপ্ন তাও বাজে স্বপ্ন। প্লিজ বল। জানো, তোমাকে যখন নিজের সামনে এ অবস্থায় দেখলাম, তখন আমার কি অবস্থা হয়েছিল? আমি বলে বোঝাতে পার…”
কথা থামিয়ে দিল নিশান্ত। সে নিজেও বুঝছে না আসলে কি বলবে। কি করলে বৃষ্টি তাকে সবটা খুলে বলবে। বৃষ্টি নিশান্তের দিকে শূন্যচোখে তাকিয়ে থেকে সরাসরি তাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলে ওঠে,
— “আমি উনাকে বাঁচাতে পারলাম না নিশান্ত। আমার জন্য উনার এই অবস্থা হলো। খুব বাজে অবস্থা।”
নিশান্ত মুহূর্তের জন্য ভড়কে গেলেও আলতো করে বৃষ্টির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
— “কিছুই হয়নি দেখ, সব ঠিক আছে। আর আমাকে পুরোটা বল।”
— “আমি অফিস থেকে বের হচ্ছিলাম। রিকশা পেলাম না তাই হাঁটছিলাম তখন কেউ একটা রুমাল…”
— “থেমে গেলে কেন? তারপর বল।”
— “কিছু না। আমি ঠিক আছি। আপনি এখন যান।”
নিশান্তের থেকে সরে এসে বলল বৃষ্টি। নিশান্ত মনে মনে একবার “শিট” বলে সেখান থেকে উঠে পড়ল। বৃষ্টির মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেল। আর জোর করল না। বৃষ্টিকে জোর করলে সে উল্টো সবটা আরও লুকানোর চেষ্টা করবে। কথা বের করতে হবে অন্য উপায়ে।
_____
প্রতিদিনের মতো কাজের জন্য বের হয়ে একটা রিকশা আশা করেছিল বৃষ্টি। যেখানে সামনে রিকশাওয়ালা আর পিছনে হুড তুলে ভেতরে নিশান্ত বসে থাকে। এতদিনে এই অভ্যাস তৈরি হয়েছে তার। কিন্তু আজ দেখল অন্য দৃশ্য। সামনে রিকশা থাকলেও তাতে রিকশাওয়ালার জায়গায় নিশান্ত বসে আছে। একেবারে শার্ট জিন্স পরিহিত আধুনিক কালের রিকশাওয়ালা। পিছন্দের সিটের দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল বৃষ্টি, আসল রিকশাওয়ালা পিছনে বসে আছে কি না। না, নেই। বৃষ্টি প্রশ্নসূচক দৃষ্টি নিক্ষেপ করল নিশান্তের দিকে। তার কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই বলে উঠল,
— “আপনার গামছা নাই?”
নিশান্ত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। সে ভেবেছিল বৃষ্টি অন্য প্রশ্ন করবে। সে উত্তর দেওয়ার জায়গায় নিজেই প্রশ্ন করে বসল,
— “কেন?”
— “ভাবলাম রিকশা যেহেতু আপনি চালাবেন, তাহলে একটা গামছা থাকা অত্যাবশ্যক।”
— “তোমার ওড়না আছে না?”
— “আবার ফ্লার্ট করছেন?”
— “ঠিক ধরেছ। এবার চুপচা বসে পড়।”
বৃষ্টি বসে পড়তেই নিশান্ত রিকশা চালানো শুরু করল। কিছু পথ যেতেই বৃষ্টি বলে উঠল,
— “আপনি কি কাজ করেন জিজ্ঞেস করলেই এড়িয়ে যান সব সময়। তাহলে কি আপনি রিকশা চালান?”
— “আজকের জন্য আমি রিকশাওয়ালা।”
— “হ্যাঁ তো, এর আগেও কাজ হিসেবে কত কিছু বললেন! একদিন ফুচকাওয়ালা হলেন, একদিন ঝালমুড়িওয়ালা হলেন, একদিন তো আইসক্রিম পার্লারে বসলেন। এরপর মুদি দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছি, সেদিন হয়ে গেলেন দোকানদার। আরেকদিন রাস্তায় জ্যাম লাগল বলে সেদিন হলেন ট্র্যাফিক পুলিশ। আর কিছু হওয়া বাকি? আপনি আসলে কি করেন?”
— “তোমার সাথে ফ্লার্ট করি।”
— “আর এতকিছু করার টাকা আসে কোথা থেকে?”
— “ধরে নেও টাকার গাছ আছে।”
— “আপনি বেআইনি কিছু করেন?”
— “নাহ, ওদের ধরিয়ে দেই।”
— “কি বললেন বিড়বিড় করে?”
— “হ্যাঁ করি তো। এখন বেআইনি ভাবে তোমার সাথে ফ্লার্ট করছি। এরপর আংকেল অ্যান্টির অনুমতি নিয়ে বিয়ে করে আইনের পথে ফ্লার্ট করব।”
— “আপাতত আপনি রিকশা ওয়ালা হিসেবেই থাকেন। আর কিছু করা লাগবে না। আর বেশি বকবক করলে ভাড়া দেবো না।”
— “ভাড়া লাগবে না। শুধু তোমার মনের ঘরে প্রবেশ করার ঠিকানা দিয়ে দেও, আমি আমার রিকশা নিয়ে উড়ে উড়ে হাজির হব।”
বৃষ্টি যখন দেখল নিশান্তের সাথে কথায় পেরে উঠবে না, তখন প্রতিবারের মতো নিজের ফোন বের করে গেমস খেলতে লাগল। নিশান্ত কিছুক্ষণ পর আবার বলে উঠল,
— “ও শান্তর মা, তুমি এতো গেমস খেললে ত শান্ত আর পড়াশোনা করবে না।”
— “না করলে মেরে তক্তা বানাবো।”
— “তাহলে তুমি সহমত আমাদের ছেলের নাম শান্ত হবে। বাহ!”
বৃষ্টি গেমস খেলা বাদ দিয়ে নিজের কপাল চাপড়ানো শুরু করল।
চলবে।
আগের পর্বঃ-
https://www.facebook.com/106145991733793/posts/135532092128516