ধূসর রঙে আকাশ পর্ব-৩

0
1789

#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৩
লিখা: Sidratul Muntaz

সাড়ে দশটার ক্লাস শেষ। ঘণ্টা বাজতেই সবাইকে অডিটোরিয়ামে ডাকা হয়। তোহা, মিতু আর কাকলী একসাথে গল্প করতে করতে অডিটোরিয়ামে গিয়ে বসে। স্টেজ ফুল, বেলুন আরো বিভিন্ন জিনিস দিয়ে দারুণভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছে। রঙ-বেরঙের লাইট লাগানো হয়েছে। বড় স্টেজের চারপাশে চারটা বড় সাইজের চার্জার ফ্যান। এসির ব্যবস্থা নেই। স্টেইজে কোনো মানুষ নেই তাও ওইদিকে ফ্যান আর এদিকে তোহারা পেছনে বসে ঘামছে। চীফ গেস্ট আসতে আসতে নাকি বারোটা বাজবে। তাহলে এই দেড় ঘণ্টা সবাই কি করবে? নাচের মেয়েরা কমন রুপে মেকাপ নিচ্ছে, নাচ প্র‍্যাকটিস করছে। যারা কবিতা আবৃত্তি করবে, গান গাইবে, কোরআন তেলাওয়াত শোনাবে ওরাও নিজেদের প্র‍্যাকটিসে ব্যস্ত। সম্পূর্ণ গার্লস কলেজ মেয়েদের কলরবে মুখরিত। একটু পর কাকলী আর মিতুও তোহার পাশ থেকে উঠে যায়। সামিয়ানা মিস বলেন,
” ভোলান্টিয়ার লাগবে। যারা স্টেজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাও আমার সাথে এসো।”
কাকলী আর মিতু তুমুল আগ্রহ নিয়ে সামিয়ানা মিসের সাথে চলে যায়। তোহা এবার সম্পূর্ণ একা। সে কোনো সহকারী কাজে অংশ নিতে পারছে না কারণ তাকে পুরষ্কার নিতে হবে। দেড় ঘণ্টা সময় কাটানোর জন্য তোহা বাহিরে হাটাহাটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেটা হয়না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্লাস টিচার আর প্রিন্সিপাল স্যার চলে আসেন। বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন। এ্যাসিসট্যান্ট প্রিন্সিপাল ম্যাডাম সব ছাত্রীদের বুঝিয়ে দিলেন কিভাবে ভদ্রতা দেখাতে হবে, চুপচাপ থাকতে হবে, চীফ গেস্টের সামনে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। এটা করে যাবেনা, ওই কাজ করা নিষেধ, হাটা নিষেধ,খাওয়া নিষেধ, নড়াচড়া নিষেধ, হাসা তো মহাপাপ আর কথা বলা হারাম। যারা পুরষ্কার নিবে তারা সবার আগে চীফ গেস্টকে সালাম দিবে। তারপর মাথা নিচু করে পুরষ্কার গ্রহণ করবে। চোখে চোখ রাখা যাবে না। মুখে বিনয়ের হাসি রাখতে হবে। বেয়াদবের মতো হাসাহাসি করা যাবেনা। আবার মুখ বেশি গম্ভীর করে রাখাও যাবে না। অনেক নিয়ম! তোহা একবাক্যে সব আয়ত্ত করে নিল,” সব নিষেধ।”
যত সময় গড়ায় ততই চীফ গেস্টকে দেখার জন্য তোহার মনের আকুলিবিকুলি বাড়তে থাকে। যদি হাতে মোবাইল থাকতো তাহলে এখনি গুগুল সার্চ করে ছবি দেখে নিতো। কিন্তু মোবাইল তো নেই। কলেজে মোবাইল আনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর যদি কারো একান্ত জরুরী হয় তখন কলেজে ঢোকার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন জমা দিয়ে ঢুকতে হয়। আবার ছুটির পর ক্লাস টিচারের অনুমতি নিয়ে ফোন ছাড়িয়ে নিতে হয়।

বারোটায় না, চীফ গেস্টের ভিআইপি গাড়ি কলেজ প্রাঙ্গণে এসে থামলো যখন দুপুর দেড়টা বাজে। সব মেয়েরা অপেক্ষা করতে করতে কাহিল। উনি যেই গেইট দিয়ে ঢুকবে সেই গেইটেও হুলুস্থুল আয়োজন। মেয়েরা সারিবদ্ধভাবে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়ায়। যখন উনি গেইট দিয়ে প্রবেশ করছিলেন সিসিটিবির মাধ্যমে সেই দৃশ্য প্রজেক্টরে দেখানো হচ্ছিল। অডিটোরিয়ামে বসেও ছাত্রীরা সব দেখতে পাচ্ছিল। তোহা হা করে তাকিয়ে রইল। চিফ গেস্টকে দেখে সে মোটামুটি আশাহত। তার ধারণা ছিল তাক লাগানোর মতো কোনো স্মার্ট মানুষ আসবে। যার গায়ে থাকবে পঞ্চাশ হাজার টাকার ব্লেজার, হাতে রোলেক্স ব্র‍্যান্ডের ঘড়ি, টাই,ফরমাল শার্ট-প্যান্ট আর চোখেমুখে গাদা গাদা ভাব। কিন্তু উনাকে দেখে মনে হচ্ছে রাতে যে পোশাক পড়ে ঘুমিয়েছিলেন সে পোশাকেই উঠে চলে এসেছেন। চুলটাও আঁচড়ায়নি। ঘন কালো, রেশমের মতো চুলগুলো এলোমেলো অবস্থাতেও খারাপ লাগছে না। ধবধবে ফরসা উনি, গায়ে নরমাল একটা পোলো টি-শার্ট। এইরকম টি-শার্ট নীলাভ্রকে বাসায় পড়তে দেখেছে তোহা। কিন্তু নীলাভ্রর টি শার্টের রঙ ঝলসানো ছিল। উনারটা দেখে মনে হচ্ছে একদম নতুন। গোলাপি টি শার্টের সাথে একটা নরমাল জিন্স প্যান্ট। এতোটাই সহজ স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উনি হাসছে আর হাঁটছেন, মাঝে মাঝে চুল ঠিক করছেন, মনে হচ্ছে কলেজের সবাই উনার বাড়ির লোক। অথবা উনিই কোনো আউটসাইডার। চিফ গেস্টের মতো একদমই লাগছে না। যখন অডিটোরিয়ামের ভেতরে উনি প্রবেশ করলেন সবাই একাধারে দাড়িয়ে গেল। একই ধ্বনিতে সালাম দিল। উনি শব্দ ছাড়া হাসলেন। সবাইকে হাতের ইশারায় বসতে বললেন। তোহার কাছে মনে হচ্ছে এই লোকটাকে আগেও কোথাও দেখেছে। খুব চেনা লাগছে। কিন্তু কোথায় দেখেছে মনেই পড়ছে না। ব্রেইনে একটু প্রেশার দিলেই মনে পড়ে যবে। আপাতত ব্রেইনে প্রেশার দিতেও ইচ্ছে করছে না। মেয়েরা এমনভাবে উনাকে দেখছে যেন রাজপুত্র। আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর। বেশ লম্বা, ধবধবে ফরসা, নিখুত ত্বক, চেহারা আর হাসিটাও নজরকাড়া কিন্তু পোশাক-আশাকের জন্য মনে হচ্ছে খুব সাধারণ মানুষ। এতো অসাধারণ একজন মানুষ এমন সাধারণ রূপে কেন এলো? তোহা নিজের মতো কল্পনা করল, উনি হয়তো এই কলেজের সবার জন্য বিশেষ কেউ কিন্তু এই কলেজটা উনার জন্য বিশেষ কোনো জায়গা না। এই যেমন, তোহাকে যদি পাশের বাসার কোনো ঘরোয়া জন্মদিনে দাওয়াত করা হয় তোহা সাধারণ একটা সেলোয়ার কামিজ পড়ে, চুলটা বেধেই চলে যাবে। কিন্তু জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা যদি আলিশান হোটেল বা ক্লাবে হয় তখন নরমাল সেলোয়ার কামিজ চলবে না। তখন লাগবে গর্জিয়াস কোনো পার্টি ড্রেস। চীফ গেস্টের বিষয়টাও কিছুটা এমন। তোহাদের কলেজ হয়তো উনার জন্য পাশের বাসার মতোই সাধারণ কোনো জায়গা। তাই এখানে উনি সাধারণভাবেই এসেছেন। অসাধারণত্ব প্রকাশ করে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করেন নি। অদৃশ্য দেয়াল তুলে দেন নি। যেন সাধারণ জনগণের সাথে সাধারণভাবেই মিশে গেছেন। তোহার কাছে এই বিষয়টাই খুব ভালো লাগলো। উনি যখন স্টেজে দাড়ান, অত্যন্ত বিনয়ী ভঙ্গিতে সবাইকে জিজ্ঞেস করেন,
” কেমন আছো তোমরা?”
এই ছোট্ট বাক্য তোহার মনে বুলেটের মতো আঘাত করে। তোহা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে। অত্যন্ত গরমেও তার চারিপাশে শীতল বাতাস বয়ে যায়। প্রেমময় বাতাস। শাহভীর খানের চমৎকার হাসি তোহার মনে এনে দেয় বসন্তের দোলা। একঝাঁক জড়তাকে ছাপিয়ে প্রশান্তির স্রোত বাহিতে হতে থাকে সারা শরীর ও মনজুড়ে। সবার কথার ধ্বনি,ধুমধাম বিরক্তিকর শব্দ, মাইকের তীক্ষ্ণতা সবকিছুই মনে হয় পাখিদের সুমধুর গুঞ্জন। মনে হয়, একটা সবুজ বাগানে তোহা বসে আছে। সামনে সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছেন সুদর্শন প্রেমিক পুরুষ শাহভীর খান। উনি বারবার হাসছেন আর তোহার হৃদয় বেসামাল স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তোহা মাতালের মতো তাকিয়ে থাকে। দুনিয়া ভুলে যায়। তার জগতের একমাত্র চরিত্রের নাম তখন শুধু শাহভীর খান।কিভাবে যে সময় কেটে যায় তোহা টেরও পায়না। ফারজানা মিস তোহাকে ধমক দিয়ে ডাকেন,
” রোল নাম্বার ছয়শো আশি?”
তোহা জবাব দিতে পারেনা। এরপর নেইম প্লেট চেক করে নাম ধরে ডাকা হয়,
” তাসনিয়া তোহা!”
তোহা চমকে উঠল। আশেপাশে তাকাতেই সব মরুভূমির মতো মনে হয়। কোথায় সবুজ বাগান?পাখিদের গুঞ্জন? শাহভীর খানের মায়াময় মুখ? কিচ্ছু নেই! বরং ভয়ংকর কয়েকজোড়া চোখ তোহার দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ তোহা ভয় পেয়ে যায়। ঢোক গিলে দাঁড়ায়। ফারজানা মিসকে উত্তর দেয়,
” সরি মিস।”
ফারজানা ম্যাডাম বলেন,” স্টেজে আসো।”
তোহার ছোট্ট মনে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যায়। তাকে শাহভীর খানের সামনে যেতে বলা হচ্ছে? তোহা চোখ তুলে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়। শাহভীর খান ঠোঁট চেপে হাসেন। উনার হাসিতে সারা অডিটোরিয়ামে অট্টহাসির সৃষ্টি হয়। ফারজানা ম্যাডাম একটু আগে কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন এখন উনিও হাসছেন। তোহার নিজেকে বোকা বোকা লাগে। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যাই করে সেটাই সবার জন্য আদর্শ হয়ে যায়। এখন শাহভীর খান হেসেছেন বলে সবাই উনার সাথে হেসেছে। শাহভীর খান যদি বিরক্ত হতেন তাহলে সবাই বিরক্তই হতো। ফারজানা ম্যাডাম হয়তো আরও ধমকাতেন তাকে। তোহা স্টেজে যাওয়ার জন্য আসন থেকে বের হলো। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কখন শুরু হয়ে গেছে তোহা খেয়ালও করেনি। সব বিজয়ীরা পুরষ্কার হাতে পেয়ে দাড়িয়ে আছে। ক্যামেরাম্যান ছবিও তুলেছেন। এখন সবার অপেক্ষা তোহার জন্য। ফারজানা ম্যাডাম মাইকের কাছে গিয়ে বললেন,
” কলেজ ডিবেট কম্পিটিশনের সেরা বক্তা তাসনিয়া তোহা এবার আমাদের চীফ গেইস্ট শাহভীর খানের থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করবে৷ তোহাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি স্টেজে আসার জন্য। ”
তোহা পিপড়ার মতো হাটতে হাটতে এগিয়ে যায়। লজ্জায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত কাপছে। সারা শরীরে জড়তা ভর করেছে৷ যেন হাত-পা প্যারালাইজড হয়ে যাবে। নিজের শরীরটাকে এতো ভারি আগে কখনো লাগেনি তোহার। সবাই বিরক্ত হলেও চুপ ছিল। কারণ চিফ গেস্ট নিজেই চুপ করে আছেন। উনার হয়তো অনেক ধৈর্য্য। হঠাৎ গরম লাগায় টি-শার্টের সামনের কয়টা বোতাম খুলে দিলেন উনি। স্টেজের চারপাশে চারটা ভোলান্টিয়ার। বামপাশে মিতু দাড়িয়ে ছিল। তোহা বামপাশ দিয়েই স্টেজে উঠতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করল চিফ গেস্টের গলা। খুবই পরিচিত লাগছে। একদম শাহের মতো। মস্তিষ্কে বোমের মতো বেজে উঠে শব্দটা৷ মাথায় বিস্ফোরণ সৃষ্টি হয়। দপদপ করে আগুন জ্বলতে থাকে। যখন তোহা দেখতে পায় ফরসা গলায় ভয়ানক সবুজ শিরা, আর.. আর সাদা দড়িতে বাধা সেই ব্লেড! তোহা আৎকে উঠে পিছিয়ে যায় কয়েক কদম। আমীর মুচকি হেসে বলল,” কংগ্রাচুলেশনস। ”
এই বলে গিফট এগিয়ে দিতে নেয়। কিন্তু তোহা পিছিয়ে যাচ্ছে। সবাই বুঝতে পারে তোহা ভয় পাচ্ছে। কিন্তু কেন ভয় পাচ্ছে সেটা কেউ বুঝে না। কেউ কেউ বিরক্ত হয়। কপাল কুচকে ফেলে। তোহা বড় বড় চোখে তাকিয়ে ঘামতে থাকে। ফ্যান বরাবর দাড়িয়েও ঘামছে সে। গলা শুকিয়ে খরা নামে। মানুষটার মুখে সেদিনের মতো কাঠিন্যতা হয়তো নেই। কঠিনমুখের বদলে আছে মায়াবি হাসি। দূর থেকে যে মানুষটি এতো অপরূপ কাছ থেকে তাকে বুঝি এতো ভয়ানক লাগে! তোহার ভয় পাওয়া দেখেও আমীর ঠোঁটের হাসি প্রসারিত করে। নিজ উদ্যোগে তোহাকে র‍্যাপিং পেপারে মোড়ানো পুরষ্কার হাতে তুলে দিতে এগিয়ে আসে। কিন্তু তোহা পিছিয়ে যেতেই থাকে। পেছন থেকে একটা মেয়ে কি যেন বলে। তোহার পেছন থেকে নয়, আমীরের পেছনে। আমীর সেটা আগ্রহ নিয়ে শুনে। সে আবার সবার কথাতেই আগ্রহ দেখায়। হাসির কথাতে হাসে, সিরিয়াস কথাতে ভ্রু কুচকায়। খুবই স্বাভাবিক আচরণ। তোহার মুখ দিয়ে শব্দ বের হয়,
” শশশ।”
তোহা ‘শাহ’ উচ্চারণ করতে পারছে না। গলায় আটকে যাচ্ছে। মিতু তোহার পিছনে দাড়িয়ে ছিল। ফিসফিস করে বলল,
” হিসু ধরসে? ওয়াশরুমে যাবি?”
তোহা ভীত দৃষ্টিতে তাকাল। মিতু বলল,
” পরে যাইস। আগে পুরষ্কার নে। অসময়ে সব অকাজের কথা মনে পড়ে তোর?”
তোহা আবার শব্দ করল,” শশশ।”
মিতু বিরক্ত হয়ে বলল,” আচ্ছা যাবি তো। আমি নিয়ে যাবো। আগে পুরষ্কারটা হাতে নে দোস্ত। কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবে তোর জন্য? ”
আমীর হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল,” আর ইউ ওকে?”
তোহা কণ্ঠ শুনে ভয় পায়। দুইকান চেপে ধরে৷ ছোট্ট মনটায় বিষাক্ত নিষঙ্গতার সৃষ্টি হয়। তোহা কাপে, শুধু কাপে। তোহাকে কান ধরতে দেখে কেউ কেউ হেসে ফেলে। বিষয়টা অদ্ভুত না? বিজয়ী পুরষ্কার নিতে এসে স্টেজে কান ধরে দাড়িয়ে আছে। আমীর বুঝতে পারলো না। তোহা কি দেরি করে আসার জন্য ক্ষমা চাইছে? কি বলবে সে? আমীর কিছু বুঝতে না পেরে আবারও হাসে। হাসলে গলার রগ ফুলে উঠে। তোহার রক্তহিম হয়ে যায়। ভয়ে কাপতে কাপতেই হঠাৎ জ্ঞান হারায় সে। চোখমুখ বন্ধ হয়ে পেছনে হেলে পড়তে নেয়। মিতু ওকে পেছন থেকে ধরে। কিন্তু ভার নিতে না পেরে ধাক্কা মেরে ছেড়ে দেয়। অজ্ঞান অবস্থায় তোহা আমীরের বুকে লুটিয়ে পড়ে। উপস্থিত সকলে দাড়িয়ে যায়। সবাই বিস্মিত,হতবাক, বাকরুদ্ধ এবং একইসাথে বিচলিত।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here