বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-২১

0
2965

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 21
______________________________
21,,,,,,

স্কুল ব্যাগ কাঁধে পরি ছুটছে ,,,, একবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার রাস্তার দিকে।
কাল রাতে যে কোন গবেট এর মুখ দেখে ঘুমিয়েছিল কে জানে।
আজ স্কুলে বিশেষ কনফারেন্স মিটিং আছে।
যেহেতু পরি দশম শ্রেণীর ক্লাস কেবিনেট,,,, সেহেতু এই মিটিং এ পরির থাকা টা বিশেষ জরুরি।
দীর্ঘ পনেরো মিনিট দৌড়ের গতিতে ছুটে পরি স্কুল গ্রাউনে পৌছালো।
কোমরে হাত গুঁজে হাঁফাতে লাগলো।
স্কুলের টিউবওয়েল থেকে এক বোতল পানি ভরে আবার ছুটতে লাগলো।
দোতলা পেরিয়ে তিন তলার মিটিং রুমে পৌছাতেই পরি স্তব্ধ হয়ে রইলো।
একজন স্যার ও নেই ,,, স্টুডেন্ট রা গালে হাত গুঁজে দাড়িয়ে আছে।
কি আজববব স্যার রাই টাইমে আসে না ,,,
পরি শুধু শুধু ছুটে এলো।
নিজের প্রতি ই রাগ হচ্ছে ওর ,,,,,
এই মিটিং এর জন্য শুধু শুধু এনার্জি লস করলো।

পরি বিরক্তি নিয়ে কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে আসলো।
বারান্দার পাশে রাখা চেয়ার টা টেনে বসে বার কয়েক শ্বাস নিলো।
ব্যাগ থেকে ওয়াটার বোতল বের করে ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিলো।
একেই তো ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে এসেছে তার উপর স্যার রা ও আসে নি।
পরির খুব ই বিরক্তি লাগছে,,,
স্যার দের মাঝেই যদি সময় এর কোনো খেয়াল না থাকে তাহলে কি করে চলে।
পরি গালে হাত দিয়ে বসে রইলো।
কিছুক্ষণ পর স্যার দের আসতে থেকে পরি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো।
স্যার দের সালাম জানাতেই হেড স্যার বললেন
– হোয়াট হ্যাপেন পরি ?
এখানে কেন বসে আছো ?
কনফারেন্স রুমে চলো ,,, হাররি আপ।

পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো ,,,, ক্লান্তি নিয়ে স্যারের পিছু পিছু গেল।
কনফারেন্স রুমে প্রায় পঁচিশ মিনিট ধরে বসে আছে সবাই।
কিন্তু স্যার রা নিজেদের মতো আলোচনা তে ব্যস্ত।
স্টুডেন্ট রা তো কথা ও বলতে পারছে না।
তাই সবাই ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে স্যার দের দিকে তাকিয়ে আছে।
চল্লিশ মিনিটের মাথায় স্যার দের আলোচনা শেষ হলো।
হেড স্যার গলা পরিস্কার করে বললেন
– ডিয়ার স্টুডেন্ট প্রতি বছর ই আমরা স্টাডি টুল এ যাই।
কিন্তু শুধুমাত্র নবম আর দশম শ্রেণীর স্টুডেন্ট দের নিয়ে।
কিন্তু এবার অষ্টম শ্রেনীর স্টুডেন্ট দের নিয়ে ও যাবো।
ক্লাস কেবিনেট রা টাকা কালেক্ট করবে,,,,
আর অবশ্যই শুনে রাখো কোনো স্টুডেন্ট স্টাডি টুরে রেগ ডে পালন করতে পারবে না।
আই নো তোমরা কেউ আমাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করবে না।
হ্যাপি এন্ড সেইফ জার্নি স্টুডেন্টস।

স্যার এর কথা শেষ হতেই সবার মনে চাপা আনন্দ কাজ করতে লাগলো।
ঠিক হলো কুমিল্লা যাওয়া হবে,,, গত দু বছরে পার্ক এ গিয়ে স্টুডেন্ট দের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
তাই এবার ঐতিহাসিক স্থান গুলো তেই ঘোরা হবে।

পরি খুশি মনে কনফারেন্স শেষ করে ক্লাসে ঢুকলো।
ক্লাসে হৈ হুল্লর পড়ে গেল ,,,, পরি কখনো স্টাডি টুর এ যায় নি।
গত বছর যাওয়ার সুযোগ থাকলে ও বান্ধবীদের জন্য যাওয়া হয় নি।
এ বছর তো যাবেই যাবেই ,,,,,, সারা দিন হৈ হুল্লর করতে করতে কেটে গেল।
পরি খুশি মনে বাসায় ফিরল,,,,
কিন্তু বাসায় ফিরে আর খুশি থাকতে পারলো না।
কারন পাশের বাসার বান্ধবী যাবে না।
কেমন লাগে,,,,,,

পরির বাসা থেকে তাই পরি কে বারন করে দিলো।
পরির চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো,,,,,,
পরি নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো।
ছোট থেকেই শিক্ষা সফরে যাওয়ার এক বিরাট ইচ্ছে পরির।
কিন্তু যাওয়া হবে না ভাবতেই পরির চোখ ভরে যাচ্ছে।
রাত গভীর হতেই পরির কান্না বাড়তে লাগলো,,,,,, রাগে দুঃখে সাওয়ার ছেড়ে বসে রইলো।
আশ্চর্য আজ এতোক্ষন ধরে ও পানির নিচে বসে ও জ্বর ঠান্ডার কিছু ই অনুভব করছে না।
মেজাজ টা আর ও বেশি চরে যাচ্ছে।
পরির এমন কান্ডে বাসার সবাই হতবাক।
অবশেষে সবাই মেনে নিলো পরি শিক্ষা সফরে যাবে।

_______________________

শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য ভোর পাঁচ টা থেকে রেডি হচ্ছে পরি।
একদম সাদা সিদে ,,,, নেই কোনো ভারী মেকআপে ছোয়া।
ঠোঁটে লিপ বাম আর চোখে কাজল চুল টা সুন্দর করে বেঁধে কাঁধে টুর ব্যাগ , ইউনিফর্ম আর পায়ে কেইস পরে নানা ভাইয়ের সাথে বের হলো স্কুলের উদ্দেশ্যে।
টুর বাস সাত টাতে ছাড়বে তাই সাড়ে ছয়টার মধ্যে পরি স্কুলে পৌছে গেল।
কিছু নিদর্শনা নিয়ে বাসে উঠে পড়লো।
নানা ভাই কে বিদায় জানিয়ে দিলো।
বাস চলতে শুরু করলে ই সবাই হৈ হুল্লর করতে লাগলো।
স্কুল থেকে চারটে বাস ছেড়ে গেল কুমিল্লার ময়নামতির উদ্দেশ্যে।
সবার গায়েই টুর গেঞ্জি,,,,,, গান বাজাতেই সবাই নাচানাচি শুরু করে দিলো।
পরি হিয়ার সাথে বসেছে আর তার দুই সিট বাদেই হাফসা ।
হাফসার সাথে কুশল বিনিময় করে নিলো ,,,,, গ্রুপ ভিন্ন হওয়ার কারনে মেয়েটার সাথে খানিকটা দুরুত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
পরি প্রথম দিকে সবার সাথে তাল মিলিয়ে হালকা ডান্স করলে ও এখন করছে না।
ভালো লাগছে না ওর ,,,,,,,,, পুরো বাস জুরেই সবাই ফোনে কথা বলছে কেউ বি এফ এর সাথে তো কেউ রিলেটিভ এর সাথে।
পরি মলিন হেসে বাসের সিটে হেলান দিয়ে দিলো।
হিয়া পরির কাঁধে মাথা রেখে কিছুক্ষণ বসে রইলো।
হিয়ার সাথে ওর বি এফ এর ঝগড়া হয়েছে।
সেই নিয়ে ও মেয়েটার মন ভালো নেই,,, তবু ও মেয়েটা নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে।
পরি হিয়ার ফোন নিয়ে হিয়ার বি এফ কে ফোন লাগালো।
হিয়া কিছু বলল না ,,,,
হিয়ার বি এফ ফোন ধরতেই পরি সালাম দিয়ে বলল
– ভাইয়া এটা কেমন হচ্ছে,,, আমার বান্ধবী মন খারাপ করে বসে আছে।

– কি করি বলো ,,,, তোমার বান্ধবী তো মানছেই না ,,,, কতো বার সরি বলেছি।
একটু ম্যানেজ করে দেও না ,,, প্লিজ।

পরি কিছুক্ষণ ভেবে বলল
– ওকে।

পরি হিয়ার সাথে জোড় করে কথা বলিয়ে দিলো।
অবশেষে দুজনের মনোমালিন্য শেষ হলো।
হিয়া পরি কে জড়িয়ে বলল
– লাভ ইউ জানু।

পরি হিয়ার গাল টেনে বলল
– টু বেবি।

আবারো সবাই হৈ হুল্লর করতে করতে লাগলো।
মাঝে বাস থামানো হলো একটা তেলের পাম্প এর কাছে ,,,।

সবাই বাস থেকে বের হয়ে ফ্রেস হতে গেল।
পরি ফ্রেস হয়ে এসে ঝালমুড়ি কিনে নিয়ে বাসে উঠে বসলো।
একটু খেয়েই আর খেতে ইচ্ছে করলো না পরির,, মাঝে নাস্তা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরি তা ও খেতে পারে নি ,,, গরমে খানিকটা ঘেমে ও গিয়েছে।
হঠাৎ করেই প্রচুর ইচ্ছে জাগল নীলের সাথে কথা বলার।
কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন দিলো,,,,,,
নীল জল রিসিপ করে ঘুমু ঘুমু কন্ঠে বলল
– হ্যালো ।
পরি চোখের পানি টুকু আড়াল করে মৃদু স্বরে বলল
– কেমন আছেন ?

নীল – হুমম ভালো আছি।
তুমি কেমন আছো ?

– হুমমম অনেক বেশি ভালো আছি।

নীল নিঃশব্দে হেসে বলল
– হুমমম স্টাডি টুরে যাচ্ছো।
ভালো থাকার ই কথা ,,,, খুব ইনজয় করো,,,,,

পরি হালকা হেসে বলল
– হুমমম তা তো করছিই।
আপনি এখনো ঘুমে ?

নীল – হুমম এই তো এখনি উঠলাম।

– ডিস্টার্ব করে ফেললাম তো।

নীল – হা হা তেমন নাহহ।

– আচ্ছা ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিন।
পরে কল দিবো ,,,,,

নীল – আচ্ছা,,,, তুমি মানে তোমরা সবাই নাস্তা করেছো ?

– হ্যা কিন্তু খেতে ভালো লাগছিল না।

নীল – একটু খারাপ লাগবেই।
কিন্তু না খেয়ে থেকো না।
আমরা ও গিয়েছিলাম ,,,, তবে সেটা গাজীপুরে।
ভালোই ছিলো দিন টা ,,,
মন দিয়ে উপভোগ করো ,,,, সেইফ জার্নি।

– হুমম।
আচ্ছা রাখছি,,,, পরে কথা হবে।
আল্লাহ্ হাফেজ ।

নীল – আল্লাহ্ হাফেজ।

পরি ফোন টা রাখতেই চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
হিয়া পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলো ।
পরি হিয়া কে দেখে খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো।
হিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরির পাশে বসলো।
পরি মলিন হেসে বলল
– সবাই বাসে উঠে পড়েছে ?

হিয়া মাথা ঝাকালো,,,,,

_______________________

বাস ময়নামতির চত্বরে পৌছাতেই সবাই হৈ হৈ করতে লাগলো।
সবার মাঝে আনন্দ যেন আর ধরছে না।
পরি ধীরে ধীরে বাস থেকে নেমে পড়ল।
বাস যেই বিশাল মাঠ টাতে থেমেছে সেখানে আর ও স্কুল টুর ব্যানার লাগানো ছয় টা বাস দেখতে পেল ওরা।
বোধহয় আর ও দুটো স্কুল এখানে শিক্ষা সফরে এসেছে।
সাইটে হালকা মেলার মতো বসেছে ,,,,,,,
পরি সহ সবাই ই একটা করে হ্যাট কিনে নিলো।
পরি নীল রঙের উপর সাদা রঙের বডার টানা হ্যাট টা কিনলো।
মাথায় দিয়ে দুটো ছবি ও তুলে নিলো।
সবাই স্যার দের কমান্ড মতো হাঁটা লাগালো।
পাঁচ মিনিটের মতো হাঁটতেই পরি রাস্তার পাশে উড নেইম কার্ড দেখতে পেলো।
হাজারো নামের কাঠের নেইম ভাস্কর্য দেখতে পেয়েই পরির মন খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল।

পরি দৌড়ে গিয়ে একটা নাম খুঁজল,,,,, কিছুক্ষণের মধ্যেই পেয়ে গেল।
নাম হাতে নিয়ে পরি যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে লাগলো ।
নীলের নামের নেইম কার্ড টা কিনে নিলো পরি।
হিয়া তাড়া দিতেই দৌড়ে সবার সাথে তাল মেলালো।

______________________

সবাই টিকেট হাতে করে শালবন বিহারে ঢুকে পড়ল।
শালবন বিহারে ঘুরে পাশের জাদুঘরে ও ঘুরলো।
দুপুর হয়ে যাওয়াতে সবাই লান্স করার জন্য বের হলো।
প্রায় পনের মিনিট হেঁটে পাহাড়ের উপর এক রিসোর্ট এর কাছে আসলো।
এই বিশাল রিসোর্ট ই ওদের জন্য বুক করা হয়েছে। এতোক্ষন হাঁটার পর
প্রায় 78 টা সিঁড়ি বেয়ে উঠার কথা ভাবতেই পরির শরীর কাঁপছে।
কোনো মতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়লো।
ঘামে শরীর চুপ চুপ করছে ,,,,,,
সবাই একে একে ফ্রেস হতে লাগলো।
ফ্রেস হয়ে এসে সবাই খাবার টেবিলে বসে পড়লো।
ওরা ভাতের আয়োজন করতে বলেছিল,,,, কারন অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এই গরমে খাওয়া টা কষ্টকর।
টেবিলে ভাত , মাংস , রুই মাছ , সবজি , ডাল , মাছের ভর্তা , আচার , সালাত দেওয়া হলো।
এতো খাবার খাওয়া টা এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়।
সবাই একটু একটু করে খেলো ,,,,,,,
টেবিলের অর্ধেক খাবার ই কেউ ছুঁয়ে ও দেখলো না।
এতে স্যার রা বিরক্ত হলেন ,,,, কারন এতো শত খাবারের বিল তো দিতেই হবে।
অথচ খাবার খাওয়াই হলো না।
খাবারের শেষ পাতে কোক আর কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই দেওয়া হলো।
সবাই খেয়ে খানিকটা রেস্ট নিয়ে নিলো।
পাহাড়ের উপর রিসোর্ট ,,,,, যেহেতু তাই আশে পাশে দেখতে বেশ লাগছে।
পরি রিসোর্ট টা ঘুরে দেখতে লাগলো ।
রিসোর্ট এ আবার কোনো অনুষ্ঠান ও চলছে।
পরি কিছুক্ষণ নাচ গান উপভোগ করে চলে আসলো।
সবাই মেকআপ ঠিক করতে ব্যস্ত,,,, পরির বেশ হাসি পাচ্ছে এতে।
পরি হিয়া কে নিয়ে ধীর গতিতে চত্বরে আসতে লাগলো।
তারপর পরি নীল কে ফোন দিয়ে কথা বলতে লাগলো।
পুরো পঁচিশ মিনিট কথা বলে পরি ফোন রাখলো।
সবাই বৌদ্ধ মন্দিরের দিকে রওনা হলো।
বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে পৌছাতেই আইসক্রিম স্ট্রল দেখতে পেয়ে পরি দৌড়ে আইক্রিম কিনতে গেল।
দুটো আইক্রিম খেয়ে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করলো ।
এখানে তেমন কিছুই দেখতে পেল না।
সবাই আপসোস এর সুরে বলল
– শুধু 40 টাকার টিকেট টাই নষ্ট।

______________________

ময়মতি থেকে কুমিল্লা বার্ড এ পৌঁছানোর পুরো সময় টা পরি নীলের সাথে কথা বলতে বলতে আসলো।
মোট কথা দিনের এক তৃতীয়াংশ ই পরি নীলের সাথে ফোনআলাপ করেছে ।
আজ নীল ও পরির সাথে বেশ আমেজেই কথা বলছে।
এতে পরির খুব ভালো লাগছে,,,,,
হাজারো চাঁপা অভিমান টা যেন এক নিমেষেই সাদা ধোঁয়া হয়ে আকাশে উড়ে গেলো।
কুমিল্লা বার্ড এ পৌছে ও পরি নীলের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত।
ক্লাসের ছেলে গুলো থেকে থেকেই বলছে কি রে বি এফ সাথে কথা বলছিস বুঝি।
প্রতি উত্তরে পরি ভেঙ্চি কেটে যাচ্ছে।
পাহাড়ের উঠার আগে পরি ফোন রেখে দিলো।
পাহাড় টা বেশি উঁচু নয় ,,,,,, কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড়ের উপরে উঠে গেল।
সবাই উপরে উঠে হৈ হুল্লর করতে লাগলো।
কিন্তু পরির মনে কাউকে দেখার জন্য তীব্র বাসনা জাগল।
ইসসস আজ যদি নীল এখানে থাকতো।
নাচ গানের আসর বসলো ,,,,,, পড়ন্ত বিকেলে সবাই গোল হয়ে আসর জমাতে ব্যস্ত।
সবার জোড়াজোড়িতে পরি গান গাওয়ার জন্য রাজি হলো।
নীলের কথা ভাবতে ভাবতে পরি গানের সুর ধরলো।

কোন গোপনে মন পুড়েছে
বৃষ্টি থামার পরে

আমার ভেতর ঘরে

নয়ন কালো , মেঘ জমালো, ঝিনুকের অন্তরে
আমার ভিতর ঘরে

নয়ন কালো , মেঘ জমালো, ঝিনুকের অন্তরে
আমার ভিতর ঘরে

কোমল ধানের শীষে, দুঃখ রা যায় মিশে,

কোমল ধানের শীষে, দুঃখ রা যায় মিশে,

সুখ পাখিটা নিশে, হারায় অবচরে

দিন খোঁজে যাই ,দিন আসে না, রাত আসে রাত করে

আমার ভিতর ঘরে ,,,,,,,,,,,,

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। গান টা কিন্তু অনেক সুন্দর।গল্প কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন)

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here