বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-৩৫

0
2538

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 35
__________________________________
35,,,,,
সকাল হতে না হতে পরির মুখে এক রাশ কালো মেঘ এসে জড়ো হয়েছে।
চোখ দুটো পানিতে টুইটুম্বর,, আর একটু হলেই বুঝি তীব্র অশ্রু বর্ষন নেমে যাবে।
নীল ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে মন টা বেশ অশান্ত।
বড্ড কষ্ট হচ্ছে, ইচ্ছে হচ্ছে সব ভেঙে গুরিয়ে দিতে।
জীবনের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে।
সুখ নামক পাখিটা জীবনে কিছুতে স্থায়িত্ব পাচ্ছে না।
একটা না একটা ঝড় এসে সব উলোট পালোট করে দিচ্ছে।
সকালে নাস্তা খেয়ে উঠেছে মাত্র ঠিক তখনি লন্ডনের ম্যানেজার ফোন করে জানালো
– অন্য একটা কম্পানি টেন্ডার নিয়ে ঝামেলা করছে।
যদি আগামি চার মাসের মধ্যে সমস্ত প্রোডাক ঠিক ঠাক না ডেলিভারি করতে পারে তো কম্পানির বিশাল বড় লস হয়ে যাবে।
যার জন্য কম্পানির বিশাল মাপের টাকা অন্যান্য ডিলার দের হাতে চলে যাবে।
তার উপর কম্পানি বেশ কয়েকটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে ।
সেই গুলো বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যাবে,,, আর ব্যাংক এর কাছে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ৠন গস্ত হতে হবে।
এই লস পুষিয়ে নিতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
আর কম্পানি রেঙ্কিং এর সর্বনিম্ন তালিকায় চলে যাবে।
যা অত্যন্ত হতাশাজনক আর লজ্জার ওও।

নীলের মন বিন্দু মাত্র চাইছে না পরি কে ছেড়ে যেতে।
নীল জানি পরি কোনোভাবেই নীল কে বাঁধা দিবে না। কারন এতো বড় ক্ষতি পরি কখনোই চায় না।

কিন্তু পরির মন ,, মন তো নীল কে চাইছে না ছাড়তে।
নীল ও তো পরি কে ছেড়ে যেতে চাইছে না।
বিবেক আর মন যুদ্ধ রত,,, মাঝে দুটো মানুষ পুড়ছে কঠিন ভাবে ।

নীল পকেট থেকে সিগারেট বের করলো।
এই সিগারেট জীবনের ভয়ঙ্কর এক সঙ্গী ছিল।
অবশ্য এই দশ বারো দিনের মাঝে একটি সিগারেট ও খায় নি নীল।
কিন্তু আজ মন অশান্ত,, জীবন ব্যথিত,, প্রিয়তমা কে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না নীলের। পরি কে যে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে তার ও কোনো উপায় নেই।
ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট বানাতে গেলে ও দশ দিন লাগবে।
আর নীলের হাতে সেই সময় টুকু নেই।
তাছাড়া পরি মেডিকেলে ভর্তি হবে সব মিলিয়ে পরি কে সাথে নেওয়া সম্ভব নয়।
নিকোটিনের কালো ধোঁয়া বুকের ভেতর নেওয়া শেষ হলে নীল ব্যালকনি থেকে রুমে চলে আসলো।
পরি কে অগোছালো লাগছে ,,,, পরির বিধ্বস্ত মুখ টা দেখে নীলের বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠলো।

নীল পরির কাছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে মেঝে তে বসলো।
পরির কোলে মাথা রেখে বলল
– পরি মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিবে ?

পরি চোখের পানি যথাসম্ভব সংযত রেখে নীলের মাথায় হাত বুলাতে থাকলো।
কিছুতেই নীল কে দূর্বল হতে দেওয়া যাবে না।
আর নাহহহ নীলের কাছে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করা যাবে।
কিন্তু মন কতো ক্ষন পারবে নিজেকে দমিয়ে রাখতে।
একমিনিট , পাঁচমিনিট, দশ মিনিট করতে করতে চল্লিশ মিনিট পার হয়ে গেল কিন্তু নীল এখনো পরির কোলেই মাথা রেখে বসে আছে।
দুজন ই নীরবতা পালন করছে ,,, হাজারো কথা গলায় এসে আটকে যাচ্ছে।
এতো কাছে থেকে ও মনে হচ্ছে আজ দুজন বহু দূরে।
এই সূক্ষ্ম বিচ্ছেদ দু জনের মন কেই বিস্বাদ করে তুলছে।
দুজনেই চাইছে একে অপরকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখতে।
কিন্তু এক অদৃশ্য শক্তি বার বার বাঁধা দিচ্ছে।
আর সেই দহনে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে দুটি হৃদয়।

_____________________

ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদছে হাফসা আর দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে অনিক।
কি বলবে মেয়েটাকে ,, এই প্রথম হাফসা কে কাঁদতে দেখছে অনিক।
চোখ দুটো লাল করে ফেলেছে ,,, বিগত দু ঘন্টা ধরে এক ই ভঙ্গিতে কেঁদে চলেছে হাফসা।
অনিকের কাছে মনে হচ্ছে হাফসা পৃথিবীর একমাত্র জলকন্য যার চোখের অশ্রু দিয়ে তৈরি হয়ে যায় সমুদ্র কিংবা ঝড়না।

হাফসার দিকে তাকিয়ে বার কয়েক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিলো অনিক।
মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে জ্বর না বাঁধিয়ে ফেলে।
অনিক নিজেকে শক্ত করে হাফসার দিকে এগিয়ে গেল।
অনিক কে দেখে হাফসার কান্না যেন দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে বাড়তে লাগলো।
হাফসার এমন কান্ডে অনিক ব্যক্কেল হয়ে গেল।
অনিক দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– কি করছো হাফসা।

হাফসা ছাঁদের রেলিং ধরে কেঁদে চলেছে ।
অনিকের এমন খামখেয়ালি কথাতে হাফসার বেশ রাগ হচ্ছে।
কোথায় হাফসাকে জড়িয়ে বলবে এভাবে কাঁদলে আমার ও কষ্ট হয়।
তা না বলে জিঙেস করছে কি করছো।
চোখ কি অন্ধ নাকি ,,, হাফসার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে হলো না অনিক কে উত্তর দেওয়ার।

অনিক রেলিং এ পিঠ ঠেকিয়ে দুপুরের মিষ্টি রোদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে মেয়েটা কে কি করে সান্ত্বনা দেওয়া যায়।
এমন ও নয় অনিকের খুব ইচ্ছে হচ্ছে হাফসা কে ছেড়ে চলে যেতে।
কিন্তু কম্পানির স্বার্থে যেতেই হবে।
যদি এটা শুধু নীল আর অনিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে অন্য কিছু করতে পারত ।
কিন্তু কম্পানির সাথে জড়িয়ে আছে কয়েক শ স্টাফ।
তাদের একটা পরিবার আছে ,,, প্রেমিকার থেকে কয়েক মাসের বিচ্ছেদের জন্য এতো মানুষের জীবনের রিক্স নেওয়া টা অন্যায় বই কিছু না।
অনিক দীর্ঘশ্বাস টেনে বলল
– হাফসা তুমি যদি না চাও তো আমি লন্ডনে যাবো না।
কিন্তু এতে কয়েক হাজার মানুষের জীবন বিপর্যয়ে পড়বে।
তাছাড়া আমার ফ্যামিলি কে তো আমাদের বিষয়ে ইনফর্ম করতে হবে।
তুমি ই তো চাও আমরা বি ডি তে যেন থাকি ।
তার জন্য ও কিছু টা সময়ের প্রয়োজন।
এক বছর পর তো আমরা বিয়ে করবোই তাই নাহ।

হাফসা কোনো কথা বলছে না।
অনিক দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাফসার দুই বাহু চেপে ধরে বলল
– তুমি কি কোনো ভাবে ভাবছো আমি তোমার থেকে দূরে গিয়ে তোমায় ভুলে যাবো ?
কিংবা অন্য কারো সাথে ,,,,

অনিক কে আর কিছু বলতে না দিয়ে হাফসা অনিক কে শক্ত করে জড়িয়ে হিচকি তুলে কান্না করতে লাগলো।
হাফসার হঠাৎ আক্রমণে অনিক কিছুটা বিচলিত ই হলো।
তারপর ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে বলল
– হাফসা আর অনিক এক সূত্রে বাঁধা।
তারা কখনো ই আলাদা হবে না।
ভালোবাসো তো আমায়?

হাফসা হিচকি তুলতে তুলতে মাথা ঝাঁকালো।
অনিক মৃদু হেসে হাফসা কে ছাড়িয়ে হাফসার কপালে ভালোবাসার পরস দিয়ে বলল
– ভালোবাসা বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে হাফসা।
যেমনটা নীল আর পরির ক্ষেত্রে হয়েছে।
আল্লাহ না চাইলে কিছুই সম্ভব নয়।
তাই আমি তোমার চোখে আর পানি দেখতে চাই না।

কি কাঁদবে না তো ?

হাফসা ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে বলল
– হুম আর কাঁদবো না।
তাহলে কথা দাও রোজ ফোন করে কথা বলবে আমার সাথে।

হাফসার কথাতে অনিক মৃদু হাসলো।
তারপর হাতে হাত রেখে বলল
– কথা দিলাম আমার হাফসার সাথে রোজ ফোনে কথা বলবো।
আর মাঝে মাঝে লন্ডন টু বিডি তে ফ্লাইং চুমু ও দিবো।

অনিকের কথাতে হাফসা লজ্জা পেল।
সাথে সাথে হাসি ফুটিয়ে বলল
– ধ্যাত।

অনিক হাফসা কে টেনে জড়িয়ে নিলো আর হাফসা ও শক্ত হাতে অনিক কে আঁকড়ে ধরলো।

_____________________

সন্ধ্যা সাতটা এয়ারপোর্ট এর সামনে দাড়িয়ে আছে পরির পরিবার আর নীলের পরিবার।
সবাই নীল আর অনিক কে বিদায় জানাতে এসেছে।
পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরি এখন আর নীল দের বাসায় থাকবে না।
নীল আসলে ধর্ম মতে বিয়ে করে একে বারে শশুর বাড়ী যাবে।
অবশ্য এতে কারো দ্বিমত না থাকলে ও নীলের বেশ বিরোধ ছিলো।
নীল কিছুতেই পরি কে দীর্ঘ চার মাস বাবার বাড়িতে রাখতে রাজি নয়।
কিন্তু সবার যুক্তি আর সম্মান রক্ষার্থে নীল কে মেনে নিতে হয়েছে।
নীল পরির উপর খানিকটা রেগে আছে,, কারন পরি নিজে ও বনানীতে থাকতে চেয়েছে।
ফ্লাইট নয়টায় ,,, নীল গুরুগম্ভীর হয়ে এক পাশে দাড়িয়ে আছে।
পরি অশ্রু সিক্ত চোখে নীলের দিকে বার বার তাকাচ্ছে।
কিন্তু নীলের অভিমানের পাল্লা বেশ ভারী হয়ে গেছে।
যার ফলে নীল পরির দিকে ফিরে ও তাকাচ্ছে না।
নীলের আচারনে পরির মনে বেশ আঘাত লাগল।
পরি আর ও কিছুক্ষন নীলের দিকে তাকিয়ে থেকে অশ্রু আড়াল করে পেছন ঘুরে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।
কিন্তু নীল পেছন থেকে হাত ধরে নিলো ,,, আর তখনি পরির চোখের অশ্রু বাঁধ ভেঙে ঝড়ে পড়লো।
নীল পরিকে কাছে এনে শক্ত গলায় বলল
– কাঁদছো কেন ?
আমার কথা তো একদম ই শুনতে চাও না।
বাসায় থাকলে কি হতো ?
বনানীতেই কেন থাকতে হবে?

পরি অঝোরে কান্না করতে লাগলো।
পরির কান্না দেখে নীলের অভিমান আইসক্রিম হয়ে গলে গেল।
নীল পরির চোখের পানি দু হাতে মুছে দিয়ে বলল
– এমন করে কাঁদলে আমি কিন্তু যাবোই নাহহ।

পরি কান্না রত অবস্থা তেই বলল
– বনানীতে না থাকলে আমি রোজ কলেজ এ যেতে পারবো না।
মেডিকেল এ এডমিট হলে অন্তত তিন দিন তো যেতেই হবে তাই না।
তাছাড়া আর কতো রকমের ঝামেলা আছে আর পরিবারের সবার সাথে ও কিছুটা সময় কাটাতে চাই।
পরবর্তী তে আমি আমার আরেক পরিবারের কাছেই চলে যাবো ।

নীল অপরাধীর মতো করে বলল
– আম সরি পরি।
আমি এটার কথা ভাবি ই নি।
আমার মনে হয়েছিল কেউ যেন তোমায় বলতে না পারে বিয়ে হওয়ার পর ও তুমি বাবার বাড়িতে পড়ে আছো।
আর তাই বলেছিলাম ভিলেজ এ গিয়ে থাকতে।
অবশ্য ভিলেজ থেকে বনানী আসতে দুই ঘন্টার ও বেশি সময় লাগবে ,,তুমি একা একা ,,,সাথে জ্যাম এর বিষয় টা ও আছে।
এই সমস্ত কিছু আমার মাথাতেই আসে নি।

আম সরি পরি ,,, প্লিজ কাঁদে না।

পরি কান্না থামিয়ে নীলের ব্লেজারের কলার ঠিক করে দিতে দিতে বলল
– আই প্রমিস আপনি আসার পর আমি কখনোই দীর্ঘদিন বনানীতে থাকবো না।

নীল মুচকি হেসে বলল
– সেটার আর দরকার হবে না ম্যাডাম।
আমার সেই বিষয়ে খেয়াল আছে।

নীলের কথার মানে পরি বুঝতে পারলো না। কিন্তু তবুও পাল্টা প্রশ্ন করলো না পরি।
পরি মুচকি হেসে বলল
– সাবধানে যাবেন।
আর হ্যাঁ পৌছে আমায় কল করে জানাবেন।

নীল মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল
– তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না পরি।
যদি এতো গুলো মানুষের জীবনের কথা না হতো তাহলে আমি কিছুতেই যেতাম নাহহ।

পরি নীল কে জড়িয়ে বলল
– এমন টা বলতে নেই।
আমাদের এই সূক্ষ্ম বিচ্ছেদ এর জন্য আমরা অন্য কারো জীবনকে বিপর্যয়ে ফেলতে পারি না।

নীল পরি কে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো।
পরির থুতনি উচু করে আলতো ভাবে পরির ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।
নীল মুচকি হেসে বলল
– নিজের খেয়াল রেখো পরি।
আমি আমার কলিজাকে রেখে যাচ্ছি,, যত্ন করে রাখবে কিন্তু।

নীলের যাওয়ার কথা ভাবতেই পরির মুখ বিস্বাদ এ ছেয়ে গেল।
কিন্তু বিস্বাদ কে ছাপিয়ে নীল কে আর ও শক্ত হাতে জড়িয়ে নীলের বুকে মাথা রেখে বলল
– আপনার আমানত সব সময় ই রক্ষিত থাকবে নীল।
আমি সম্পূর্ণ খেয়াল রাখবো।

নীল মুচকি হেসে বলল
– পরি আজ ও কি বলবে না তুমি?

পরি চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো।
সামান্য তিন শব্দের বাক্য উচ্চারণ করতে গিয়ে পরির শরীর কাঁপছে।
নীল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পরির মুখ থেকে স্বগীর্য় সেই শব্দ শোনার জন্য।
পরি নীলের ব্লেজার খিচে ধরে বলল
– আমি আপনাকে ভালোবাসি নীল।
আই লাভ ইউ নীল ,,,, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অব্দি আপনার সাথে কাটাতে চাই আমি।

নীলের কানে পরির বলা সেই দুর্ভেদ্য শব্দ বার বার বেজে চলছে।
পরিকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো নীল।
তারপর মৃদু স্বরে বলল
– আমার জীবনের অংশ বিশেষ তুমি।
তোমায় ছেড়ে বেঁচে থাকাটা অতি ভয়ঙ্কর পরি।
আমি ও খুব ভালোবাসি তোমায় খুব ভালোবাসি।

দুজনে একে অপরকে বেশ কিছুক্ষণ আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে থাকলো।
এক মেয়েলি কন্ঠ ভেসে আসতেই পরি আর নীল নিজেদের ছাড়িয়ে নিলো।
দুজনের মুখেই মৃদু হাসি কিন্তু অন্তরে তকতকে ঘা।
দুজনেই একে অপরকে হাসি মুখে বিদায় জানালো।
প্রকৃতি সাক্ষী হলো দুটি হৃদয়ের সূক্ষ্ম বিচ্ছেদের।

আবার দেখা হবে , নতুন এক ভোরে।
সঙ্গী হবে ত্রিভুবন, অন্তরে রবে প্রশান্তি, মুখে রবে বিশ্বজয়ের হাঁসি।
এই সূক্ষ্ম বিচ্ছেদ কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
শারীরিক অবস্থানের বিচ্ছেদ হলে ও দুটো মনের বিচ্ছেদ কখনোই হবে না।

⛔ গল্প কিন্তু শেষের পথে।
আর কয়েকটা পর্ব হবে ,, আশা করি শেষ অব্দি পাশে থাকবেন।
গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি।

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। গল্প কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here