#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৪
– নাফিসা সে ভাবেই সুয়ে কাপছে
যেভাবে রুপ ওকে ফেলে গিয়েছিল।
– রুপের নিজেরও খারাপ লাগছে, ওকে
এভাবে টর্চার করা ঠিক হয়নি।
.
.
– রোজকে ওর ড্রেস চেঞ্জ করতে বলে
রুপ বাহিরে গেল এবং ডক্টর কে ফোন
দিল।
– মিনা, সিড সবাই রুমে আছে। ওরা
কেউ জানে না নাফিসার এভাবে
জ্বর বাধাল কেমনে।
.
.
.
– রুপম ওর মাকে বলল সব ভাইয়ার জন্য
হইছে।
– সিড গিয়ে রুপের ঘাড়ে হাত দিয়ে
বলে আসলে কি ঘটনা হইছে?
– রুপ শুধু বলল Dad আমার কিছু ভাল ঠেকছে
না। ওর সামনে বড় বিপদ মনে হচ্ছে।
–
–
–
– সিড আর কিছু বলল না। ওখান থেকে
চলে গেল।
– রাত ৯ টায় ডাক্তার আসল দেন
ট্রিটমেন্ট করল।
– ডাক্তার চলে যাওয়ার আগে বলে
গেল কোন প্রবলেম হবে না। বেশি
ঠান্ডা লাগার জন্য এই অবস্থা।
.
.
.
– রাত ১২ টার দিকে নাফিসার জ্বর
কমে আসে এবং ও চোখ মেলে দেখে
জানালার গ্লাসে একটা বিশাল
মেয়ের ছায়া মূর্তি।
– এটা দেখে ও চিৎকার দেয়। পাশে
রোজ সুয়ে ছিল।
– রোজ ধরফর করে উঠে বসে। বলল কি
হইছে। চিৎকার দিছিস ক্যান।
.
– আমি ভয়ে শুধু ওকে জানালার দিকে
হাতের ইশারা করে দেখালাম। ও
তাকাতেই ছায়াটি সরে গেল।
.
.
.
– রোজ বলল কই কিছু নাইতো।
– দেখি তোর জ্বর সারছে, বলে কপালে
হাত দিয়ে দেখল এবং বলল হুম একদম
সেরে গেছে।
.
.
– আমি বললাম তুই ঘুমা আমি নিচে
গেলাম। খুব খুদা লাগছে।
– ও আসতে চাইল কিন্তু নিষেধ করলাম।
– নিচে নেমে দেখি রুপ ডিংক করছে।
ওকে প্রায় দেখি ডিংক করা , আজ নতুন
না। এটা নাকি ওদের কালচারাল।
–
–
– ওকে কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে
খাবার বের করে গরম করে খেতে
বসলাম।
– এমন সময় রুপ এসে বলল এখানে এসে নতুন
করে বাসা বেধেছিস? বলেই আমার
গলা চেপে ধরল।
– আমি রুপের ২ চোখ দেখে হচকিয়ে
যাই আর ও কেমন জানি কাপছিল।
.
.
.
– আমার রুপের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে
যায়। আমি গলা থেকে ওর হাত
সরাতেই পারছিনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে।
.
.
.
– এমন সময় আন্টি কই থেকে এসে রুপ কে
এক ঝটকায় দুরে ছুড়ে মারে। আন্টি
আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে।
– সিড আঙ্কেল রুপের গায়ে হাত
দিতেই রুপ ছায়া মূর্তি হয়ে উড়তে
থাকে। সেই ছায়া মূর্তি যাকে
জানালার গ্লাসে দেখছিলাম।
.
.
.
– আমি ভয়ে আন্টিরে জড়িয়ে ধরে
কান্না করতে থাকি। এমন সময় রুপ আমার
সামনে আসে।
– আমি রুপকে দেখে আরও ভয় পেয়ে যাই
এবং বলি এ রুপ হলে ওটা কে ছিল?
.
.
.
– ছায়া মূর্তিটি চিৎকার করে বলে
ওঠে কত দিন ওকে বাচিয়ে রাখবি
আমাদের হাত থেকে বলেই জানালা
র কাচ ভেঙ্গে চলে গেল।
– আমি আন্টিকে বললাম শুধু ও কে আর
আমাকে কেন মারতে চায়।
.
.
.
– রুপ বলল সময় হলে সব জানতে পারবে।
– রুপের কথা শুনে গায়ে যেন আগুন ধরে
গেল আমার।
– আমি বললাম এই আপনি একদম আমার
সাথে কথা বলবেন না। আপনার জন্য সব
হইছে খাটাস্ ব্যাটা কোথাকার
আমাকে মেরে ফেলার ধান্দা!
থানায় জিডি করে রাখব আমি মরে
গেলে যেন এই ব্যাডারে জেলে
পোরে বলেই দৌড়েই উপরে উঠলাম। না
জানি আর কিছুক্ষন থাকলে গালে আরও
কয়টা থাপ্পড় পড়ত আল্লাহ্ ই জানত।
.
.
.
– রুপ তোহ আমার কথা শুনে হতবাক। শুধু রুপ
না আঙ্কেল আন্টিও অবাক।
– রুপ এবার বেশ রেগে চিল্লায় বলল এই
মেয়ের মাথায় ছিট আছে। এরে
পাবনায় রাখা উচিত। ও যে এখানে
কেন আছে এটাই আমি ভেবে পাচ্ছি
না।
– কোন পরিস্থিতি তে কি বলতে হয়
সেটা ওর কান্ড ঙ্গান নেই।
যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর!
.
.
.
– রুপ সেখান থেকে চলে গেল। মিনা ও
সিড কে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে।
– রুমে সিড আসনে বসে আছে আর অপর
পাশে মিনা।
– সিড বিভিন্ন মন্ত্র পাঠ করছে এবং
বিভিন্ন কিছু আগুনে আহুতি দিচ্ছে।
– এবার মিনা নিজের হাত কেটে রক্ত
আহুতি দেয় এবং পরে সিডও রক্ত দেয়।
– সামনে একজন ধুয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে
এক বৃদ্ধ হাজির হল।
– মিনা বলল ফাদার আমাদের সামনে
বিপদ আমরা এখন কি করব?
– ফাদার বলল তোদের বিপদ না শুধু ঐ
মুসলিম মেয়ের বিপদ। ওকে একদল
মারতে চায়, একজন ভোগ করতে চায়,
কেউ বাচাতে চায়।
– তোর ছেলের বিপদ ঐ মেয়ের জন্য
এতে রুপের মৃত্যু অবদি হতে পারে।
– মেয়েটিকে তোর ছেলে হতে
আলাদা করে রাখ আর মেয়েটি কে
বাহিরে কোথাও দুরে রাখ তাহলে
তোর পরিবার নিরাপদ থাকবে।
– বলেই জিনিসটা চলে যায়।
–
–
–
–
– মিনা এবং সিড ২ জনেই বেশ ভয় পায়।
এখন তারা কি করবে। একদিকে ঋন
পরিশোধ অন্য দিকে নিজের ছেলের
জিবন।
– যেকোন একটা তাকে বেছে নিতে
হবে।
.
.
.
.
– মা অবশ্যই নিজের ছেলের জিবনই
বেছে নিবে।
– সিড বলল দেখ মিনা আমরা সবাই
মিলে একসাথে থাকলে বিকল্প কোন
পথ খুজেই পাব।
.
.
.
– মিনা বলল না আমি আমার ছেলের
জিবন নিয়ে কারও সাথে কোন
Compromise করতে পারব না।
– এবার যা করার আমি করব বলে মিনা
রুম থেকে বের হয়ে গেল।
.
.
.
– পরদিন নাফিসা এবং রোজ নিয়ম মত
ভার্সিটি তে গেল।
– আজ রুপ ভার্সিটি তে যায় নি বলে
নাফিসা খুব খুশি।
– আজ ইচ্ছামত আনন্দ করতে পারবে। রোজ
বার বার বিপদের আশংকা করছে। আজ
কিছুতো একটা খারাপ কিছু ঘটবে।
.
.
.
– নাফিসা রোজ কে বলল চল আজ ফুচকা
খাই।
আজ তোর হুনোমান ভাই নাই তাই আজ
কিন্তু না করতে পারবিনা।
– রোজ বলল আজ যাসনা রে মনটা কেমন
জানি করছে।
.
.
.
– রাখ তো আজ সুযোগ পাইছি আজতো
খাবই।
– রাস্তার মোড়ে ফুচকার দোকান বসে।
সেখানে নাফিসা একাই এসেছে
রোজ কে না বলে।
– কারণ ও হয়ত আসতে দিত না।
– নাফিসা মজা করে খাচ্ছে। ওর প্লান
ফুচকা খেয়ে তার পর ঝালমুড়ি খাবে
দেন ভার্সিটি তে ঢুকবে।
.
.
.
– এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল।
– একটা দোকানে গিয়ে দাড়ায়। এমন
সময় কয়েকটা ছেলে বলে, দেখতো ঐ
মাইয়া না?
– অপরজন বলল হ্যাঁ ঐ মাইয়াই তো।
.
.
.
.
– ওরা নাফিসার কাছে আসে এবং
মুখে রুমাল চেপে ধরে। ওদের গন্তব্য
স্থান পাশের বিশাল জঙ্গলে ঢোকা।
– নাফিসা ঙ্গান হারিয়ে ফেলে
তার পর আর কিছু মনে নেই।
.
.
.
– রোজের সিক্স সেন্স ওকে বার বার
বলছে নাফিসার কোন বিপদ হইছে।
কিন্তু এতগুলো মানুষের মাঝে ওর
নিজের শক্তিও ব্যাবহার করতে
পারছেনা।
.
.
.
– রোজ ওর মার কাছে ফোন দিয়ে সব
বলে। মিনা রোজ কে বাসায় আসতে
বলে।
– রোজও কোন কথা না ভেবে বাসায়
যায়। বাসার সবাই মিলে ওর
ব্যাপারটা সলভ্ করা যাবে।
.
.
.
– ও নিজেও জানেনা ওর মা কি চ্যাল
চেলেছে।
– রোজ বাসায় এসে বলল mom নাফিসা
কি বাসায় আসছে?
– মিনা বলল ওর যেখানে যাওয়ার
দরকার সেখানে চলে গেছে।
– রোজ অবাক হয়ে বলে ও কই গেছে?
– মিনা বলল ওর নিজের বাসায় গেছে।
আর আসবে না। আর এ কথা নিয়ে যেন
বাসায় আলোচনা না হয়। এমনি ওর জন্য
এই পরিবার অনেক বিপদে আছে।
.
.
.
– রোজের কেমন জানি সন্দেহ হচ্ছে ওর
মার উপর।
– mom হঠাৎ এত চেঞ্জ হল কেন। oh god
please help me……
নাফিসা যেন ভাল থাকে।
.
.
.
– রুপ বিকেলে বাসায় আসে.। ফ্রেস
হয়ে নিচে এসে ডাইনিং টেবিল এ
খাবার নিয়ে বসেছে কেবল এমন সময়
রুপম এসে বলে ভাইয়া sis কই!
–
আমায় কেন বলছিস দেখ রুমেই কোথাও
আছে!
– কেন! mom যে বলল sis নাকি তোমার
সাথে বাহিরে গেছে?
– আজ sis কে নিয়ে পার্কে যাব।
.
.
.
– রুপের গলা দিয়ে আর খাবার
নামলনা।
– সব রেখে রোজের রুমে গেল এবং বলল
নাফিসা কই?
– রোজ সব ঘটনা খুলে বলল। রুপ রেগে
গিয়ে বলল তোর মাথায় এতটুকু বুদ্ধি
আসেনি যে এটা mom এর চ্যাল?
– রুপ ওর মায়ের রুমে গিয়ে শুধু একটা
কথাই বলল mom আজ যদি নাফিসার কিছু
হয় তাহলে আপনাকে কখনও ক্ষমা করব
না।
.
.
.
.
– রুপ বার বার ওর শক্তি কাজে
লাগাচ্ছে কিন্তু নাফিসার কোন ক্লুই
খুজে পাচ্ছেনা।
রোজ ও চেষ্টা করেই যাচ্ছে। কিন্তু
কোন ফল হচ্ছেনা।
– রুপ বলল নাফিসাকে শেষ কোথায়
দেখছিস বলতো!
.
.
-রোজের এতক্ষন পর মনে পড়ল ওর তো
মোড়ে ফুচকা খাওয়ার কথা বলছিল।
– রুপ রোজের কথা মত কলেজ
ক্যাম্পাসের মোড়ে গাড়ি থামাল।
– রুপ আর রোজ স্মেইল নিচ্ছে সব কিছুর।
– রোজ সেই দোকানের সামনে এসে
বলে এই সেই লাষ্ট জায়গা। এখানে ও
শেষ বারের মত ছিল।
.
.
.
– রুপ চোখ বন্ধ করে বার বার খুজার
চেষ্টা করছে কিন্তু বার বারই ব্যার্থ
হচ্ছে।
– রুপ কি যেন মন্ত্র পড়ে আর কাকে যেন
আহ্ববান করে।
.
.
.
.
– সামনে একটি বাজ পাখি এসে
দাড়ায়। নাফিসার ব্যবহিত ওড়না ওর
নাকে ঘ্রান শুকায় আর কি জানি
ভাষায়
কিছু বলে।
– পাখিটি সাথে সাথে উড়ে যায়।
.
.
.
-রুপ আর রোজ এবার ওদের মত খুজতে
লাগে।
-.
.
.
– নাফিসা চোখ খুলে দেখে ওর হাত
পা বাধা অবস্থায় একটা পরিত্যাক্ত
বাড়িতে পড়ে আছে। সামনে ৭ টা পুরুষ
বসে তাস খেলছে।
– নাফিসার গলা শুকিয়ে গেল।এবং
বলল এরা কি আমায় মারবে না ধষর্ন
করবে। আজকাল পেপার খুললেইত এই সব
খবর পাওয়া যায়।
– আল্লাহ আমায় রক্ষা কর।
.
.
.
– এমন সময় ওদের মধ্য একটা ছেলে বলে
উঠল মামা! মালটা কিন্তু হেব্বি।
– ওরেতো মারার জন্য বলছে সাথে
রেপ করলে কেমন হয়!
– কথাটি শুনে নাফিসার কলিজা শুকে
গেল।
– হুম তা ঠিক কইছোস কিন্তু মাইয়ার
তোহ ঙ্গানই ফিরে না।
– আরে দেখ আমাদের দেখে মনে হয়
কাপ্টি-কালা ধরে আছে।
-৭জনই একসাথে হেসে উঠল। একজন তো
বলেই ফেলল ঙ্গান না ফিরুক আমার আর
তর সইছে না বলে শার্ট খুলে ফেলল।
.
.
.
-ছেলেটা যখন ওর কাছে এগিয়ে
যাচ্ছিল তখন নাফিসা চিৎকার দিয়ে
কান্না করে ওঠে।
– ছেলেটি বলল এতক্ষন কি অভিনয় করে
পড়ে ছিলি মাইয়া? তোর অভিনয় শেষ।
এবার দেখ তোর কি হাল করি বলেই
খেকিয়ে হেসে উঠল।
– প্লিজ আমায় যেতে দিন। আপনাদেরও
তোহ বোন আছে।
– ছেলেটি বলল বোন তো আছে মাগার
বউ নাই বলে হিহিহি করে হেসে উঠল।
.
.
.
– মালকিন ওটাতো আমাদের শিকার ঐ
মানুষগুলো তোহ ওকে মেরে ফেলবে।
– আরে বোকা আমরা আর মানুষ যেই
মারুক না কেন মরতে তো ওকে হবেই।
– আমরা মারলে কৈফিয়ত দিতে হবে
মানুষ মারলে সেটার নো চান্স।
.
.
.
– ওদের একজন বলল এই ভিডিও করি একটু
খাড়া বলে মোবাইল বের করল।
.
.
আজগড়ের কেমন জানি অসস্থি লাগছে।
নাফিসা ঠিক আছেতো বলেই চোখ বন্ধ
করল।
– আজগড় যা দেখল তাতে ওর মাথা
খারাপ হওয়ার অবস্থা। এক দৌড়ে
নাফিসার কাছে গেল।
– কিন্তু ও জানত না ওকে ধরার জন্য শত্রু
রা ফাদ পেতে আছে।
– আজগড়কে মায়াজালে বেধে ফেলল।
একটা মেয়ে এসে বলল খুব দরদ না ওর জন্য
তোর! দেখ এখন তোর চোখের সামনে ওর
মৃত্যু লীলা। বহু দিন থেকে তোকে
খুজছি। আজ তুই হাতেই এসে গেলি।
আজগড় নিজেকে ছাড়ানোর জন্য
চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু সফল হতে
পারছেনা।
.
.
.
– রুপ কিছু একটার সিগনাল পাচ্ছে। সেই
অনুসারে ও আর রোজ এক নিমিষেই সেই
পথ ধরল।
-বাজ পাখিটি ওদের সামনে এসে
দাড়াতেই বাজ কেও বন্ধী করল। জ্বীন
মেয়েটি বলল এখানে আরও কিছু ঘটতে
চলেছে তাই সাবধান।
.
– নাফিসার দিকে ছেলেগুলো
এগিয়ে আসছে। এমন সময় সেখানে রুপ
আর রোজ হাজির।
– রুপ হুংকার দিয়ে বলল তোদের সাহস হয়
কেমনে ওর গায়ে হাত দেওয়া।
– ৭ টা ছেলে পিছনে ফিরে রুপ আর
রোজ কে দেখে একটু ভয় পেয়ে যায়।
– পরক্ষনে ছেলেগুলো বলে আমরা ৭ জন
কি এই লোকটির সাথে পেরে
ওঠবোনা বলেই চাকু বের করল।
.
.
– রুপ তখন একটু হেসে বলল আজ যদি
তোদের রক্ত নিয়ে আমি হুলি না
খেলছি তো আমার নাম রুপ না বলেই ওর
২ টি পাখা মেলে দিয়ে হংকার
ছাড়ে।
– সাথে রোজ ও একই কাজ করে একটা শব্দ
ছাড়ে।
– সেই শব্দে আজগড়ের + বাজ পাখির
বাধন খুলে যায়।
– আর ঐ শয়তান গুলোও ছিটকে পড়ে যায়।
– এবার রুপ কে পায় কে ওদের ৭ জনের
মধ্য যখন ১ জনের ঘাড়ে কামড় দিয়ে রক্ত
খেতে লাগল বাকি গুলো থরথর করে
কাপতে লাগল।
.
.
– ওরা হাটু জোর করে ক্ষমা চাইল কিন্তু
রুপের আর ওদের কে ক্ষমা করার ইচ্ছাও
মনে
জাগল না। সব একেকটার রক্ত তৃপ্তি
সহকারে শুষে খেল। সব সমাপ্ত।
– আজগড় দুর থেকে এদের দেখতে থাকে
কারণ ওর আসার অনুমতি নেই।
.
.
– নাফিসা রুপ আর রোজ কে ঐ অবস্থায়
দেখে
চিৎকার করে উঠল।
– এবার রুপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে
আসল। ওরা ২ জনেই নাফিসার কাছে
গেলে নাফিসা বলল এই তোমরা
কারা। আমি কাদের সাথে এত দিন
থাকতাম। একদম কাছে আসবেনা
তোমরা।
– রুপ একটু রেগেই বলল কেন আবার বুঝি
আমার কোলে তোমার ওঠার ইচ্ছা
জাগছে? তাই পাগলামির ভান ধরতেছ!
– বলেই রুপ নাফিসা কে কোলে নিয়ে
এক নিমিষেই গাড়ির কাছে আসল এবং
গাড়ির ভিতর ঢুকে বাসার দিকে
এগুতে লাগল।
.
.
– মিনা খুব টেনশনে ভুগছে কাজটা হয়ত
ঠিক করে নি। কিন্তু কি করবে ও। ওতো
মা হয় রুপের। রুপের ক্ষতি কিছুতেই
মেনে নিতে পারবেনা।
– রুপ,রোজ, আর নাফিসা রাত ১ টার
দিকে বাসায় ফিরল। মিনা আর সাহস
করে নাফিসার কাছে আসল না দুর
থেকে একটু হাসল।
– নাফিসা সোজা রুমে গেল পিছে
পিছে রোজ ও ওর রুমে গেল।
– নাফিসা রুমে গিয়ে রোজকে বলল এই
তোরা কারা হুম আমি এই বাসায় এক
মুহুত্বও থাকব না।
– রোজ নাফিসার কাছে গেলে
নাফিসা ধাক্কা দিল রোজকে আর
বলল এই ছুবিনা আমাকে। নোংরা
প্রানী কোথাকার। আগে শখ করে
শাঁকচুন্নি বলতাম তোকে কিন্তু আমি
কি জানি তুই সত্যই একটা শাঁকচুন্নি?
– এমন ব্যবহারে রোজ খুব কষ্ট পায় এবং
সেই রুম থেকে বের হয়ে আসে।
– রুপ একটু দুর থেকে সব কথা শুনছিল কিন্তু
নাফিসার লাষ্ট কথায় খুব রেগে যায়।
– এই মেয়ে তুমি কোন দিনও মানুষ
হবানা। বলেই রুমের দরজা লাগিয়ে
দেয়।
– আপনি মানুষ! তাই মানুষের মর্যাদা
বুঝবেন?
– নাফিসা বলল এই রে এবার বুঝি এই
রাক্ষস টা তোকেও খেয়ে ফেলবে
নাফিসা।
– ও কান্না সুরে বলল আপনি কি
আমাকেও খেয়ে ফেলবেন?
– রুপ কি বলবে ভেবেই পায়না। এই
সিরিয়াস মোডেও যে কেউ এভাবে
কথা বলে সেটা এই পাগলিরে না
দেখলে কেউ বুঝবেনা।
– রুপ বলল আমরা নোংরা প্রানী না!
রোজ শাঁকচুন্নি, আমি রাক্ষস, আমরা
তোমাকে স্পর্শ করলে তোমার গা
অপবিত্র হবে তাই না! এই কথাগুলো
বলছিল আর রুপ ওর শার্ট খুলছিল।
নাফিসা রুপের কথা শুনে ভয় পেয়ে
বলে আমাকে প্লিজ মারবেন না। আর
আপনি শার্ট কেন খুলছেন?
আমিতো আপনাদের কোন ক্ষতি
করিনি তাহলে কেন মারবেন। আর
জিবনেও আপনাদের গালি দিবনা
বলে কাদতে লাগল।
– রুপ বলল তোমাকে মারবনা Just
তোমার এই ভিমরতি গুলি ছাড়াবো
বলেই নাফিসা কে জড়িয়ে ধরল।
– আমি ছুলে তোমার গা নাকি
অপবিত্র হবে দেখি কেমনে হয় বলে
পুরো শরীর ওর শরীরের সাথে এক করে
দিল এবং ২ ঠোট ওর ঠোটের দখলে করে
নিল।
– নাফিসা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে
কিন্তু পারছেনা। পুরো ৫ মিনিট
এভাবে থাকার পর ছেড়ে দিল।
– রুপ বলল এহ্ বাব্বা তোমার এই ঠোট,
গাল, তোমার শরীরটা তো অপবিত্র
হয়ে গেল এখন কি করবা হুম! একটা কাজ
কর যেগুলো যেগুলো জায়গা আমি স্পর্শ
করছি সেগুলো কেটে ফেল না হয় শরীর
থেকে ডিলেট করে দিও কেমন!
বিশেষ
করে তোমার ঐ ২ ঠোটটা কেটে আমায়
দিয়ে দিও পাগলি কোথাকার।
– নাফিসা রেগে বলল ইতর,বদমাইশ, লুচু
কোথাকার।
– রুপ একটা হাসি দিয়ে বলল এই মেয়ে
আমাকে আবার গালি দিচ্ছো! আমায়
ভয় পাওনা বুঝি বলে ২ ডানা মেলে
ধরে ওর সামনে এবং ডানা দিয়ে খুব
করে জাপটে ধরে এক ঝটকায় বুকের
কাছে টেনে নিল…….
ভালবাসার কোন শেষ নেই। ভালবাসা
গুলি এমনই হয়। সেটা হোক কোন মানুষ
বা জ্বীনের মধ্য…….
চলবে……..