ধর্মের দেয়াল পর্ব:২২

0
1106

#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ২২

– মাঝ রাতে হোস্টেল কেয়ারটেকার
নাজমা বেগমের খাট ঠক ঠক করে কেপে
যাচ্ছে। নাজমা বেগম চোখ খুলে
দেখে হুম সত্যই কাপছে।
– ওবাবাগো ভুত বলে চিৎকার দিতেই
কেউ মুখ চেপে ধরে।
– হ্যালা বুড়া বেডি আমার আম্মারে
ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে বের করবি।
তুই থাকিস কিভাবে হেইডা দেখব
বলে ঠাসসসসসস করে ২ চড় লাগায়
নাজমার গালে সম্টা।
– নাজমা বেগম শুধু ভয়ে কেপে যাচ্ছে।
– জয়মুন বলে উঠল এই সম্টা ছাড় ছাড় ঢের
ভয় দেখান হইছে বেডী যদি ভয়ে মরে
যায় তাহলে কেলেংকারী বাধবে।
– সম্টা নাজমার মুখ ধরে বলে আর যদি
দেখছি আম্মার সাথে খারাপ ব্যবহার
করতে তাহলে এর বেশি কেরামতি
তোরে দেখাইব।
– কিছুক্ষন পড় নিরবতা হয়ে গেলে
নাজমা বলে ওঠে লা ইলাহা ইন্না
আনতা ছোবহানাকা……….
.
– মিনা চলে যাওয়ার পর রুপ দেখল
নাফিসা ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ঘুমে
পড়েছে।
– রুপ ভাবল কতটা বিশ্বাস থাকলে কেউ
কাউকে জড়িয়ে ধরে এভাবে
শান্তিতে ঘুমাতে পারে।
– রুপ আস্তে আস্তে উঠে পরে এবং ওর
বলা মত সব কিছু খুজতে থাকে।
– প্রথমে ফেসবুক লগইন করে ওর দেওয়া
password দিয়ে। হুম খুলে গেল। খুলে যা
দেখল এতে ওর মাথা খারাপ হওয়ার
পর্যায়ে।
– রুপের কানাডিয়ান বান্ধবী
জেসিকা কে বিভিন্ন উল্টা পাল্টা
ছবি দিছে। আবার ব্লক ও করে দিছে।
-রুপ ভেবে পায়না একে কি করা উচিত।
– নাফিসার কাছে গিয়ে দেখে ও
ঘুমিয়ে আছে শান্ত ভাবে। একে কেউ
দেখলে বলবেইনা এত্ত চঞ্চল মেয়ে
একটা। কি মায়াবী চেহেরা । যেন
ডানা কাটা পরী। কিন্তু mom বলেছে
মেয়েটি একটা মায়াবাজ মেয়ে। mom
এর কথার সাথে একে আমি মিলাতেই
পারিনা।
– তারপর আলমারি খুলে খুজতে লাগল
নাফিসার দেওয়া তথ্য অনুসারে। হুম
এইতো চিঠি যা ও বলেছে। কিন্তু
চিঠিটা খুলতে পারছিনা কেন!
– ভোরের পাখির ডাক শুনে আমার ঘুম
ভাঙ্গল। চোখ খুলে দেখি রুপ নেই। পুরো
রুম খুজে দেখলাম নেই। ওয়াসরুমেও নেই।
– আমি যেই রুম থেকে বের হইছি ওমনি
খপ করে হাত ধরে ফেলল আন্টি।
– আমার তো জিবন নাই ওনাকে দেখে।
আ জ আমায় উনি আর আস্ত রাখবেন না।
মনে মনে আল্লাহ কে ডাকতে
লাগলাম।
.
.
.
– উনি প্রথমেই আমার গালে কষিয়ে
১টা চড় বসিয়ে দিলেন। ওনার একটা চড়
খেয়ে মাথা ঘুরতে শুরু করল।
– উনি আমার হাত ধরে নিচে নামাতে
লাগলেন। আমি গালে হাত দিয়ে
কাদছি আর নিচে নামছি।
– আন্টি চিৎকার দিয়ে আঙ্কেল কে
ডাকছে। রুপ কোথা থেকে যেন আসল।
আমায় ইশারা করে বলল কেমনে কি হল।
– আমি লজ্জায় গালে হাত দিয়ে
কেদেই যাচ্ছি।
.
.
.
.- বাসার সবাই এর মধ্য চলে আসছে।
রোজ বলল এই তুই! কইত থেকে আইলি।
আমিতো কেদেই যাচ্ছি।
– সিড বলল ওকে কই পাইলা মিনা?
– ও রুপের রুম থেকে বের হচ্ছিল ওর সাহস
দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। রুপ রুমে
ছিলনা।
– নাফিসা এটা তুমি অন্তত ঠিক করনি।
পরপুরুষের রুমে কেন ঢুকছো?
– ও কেন ঢুকছে সেটাতো পড়ে শুনব বলে
ওনার মায়া শক্তি দিয়ে জোরে এক
ধাক্কা দেয়।
– আমি একনিমিষে ছিটকে গিয়ে
ডাইনিং টেবিলের উপর পড়ি।
টেবিলের কোনা আমার পেটের বাম
পাশে এত জোড়ে লাগে যে আমি
পেট ধরে বসে পড়ি। মা বলে চিৎকার
দেই।
– রোজ দৌড়ে আসে আমার কাছে।
সিড গিয়ে মিনাকে ধরে বলল পাগল
হয়ে গেছ তুমি।
– পাগলের দেখেছো কি বলে এক
নিমিষেই আমার কাছে হাজির। আমি
যে আজ বাচবনা সেটা বুঝেই গেছি।
-রোজ কে ধাক্কা দিয়ে আমায় আবার
ছুড়ে দেয়ালে ফেলে দেয়।
– এবার আমার দুনিয়া অন্ধকার হয়ে
এলো ধপ করে পরে গেলাম। আমি শুধু
রুপের দিকে কোনমতে তাকালাম।
.
.
.
– চোখের পলকে এত কিছু হবে সেটা
কেউ ভাবেনি।
– mom তুমি এত জঘন্য খারাপ আমি
নিজেও ভাবতে পারিনি।
– রুপম দৌড়ে এসে নাফিসার কাছে
বসে বলল ও sis তোমার কি হয়েছে! এত্ত
রক্ত কেন বের হচ্ছে।
– নাফিসার মাথা থেকে ফিকনি
দিয়ে রক্ত পড়েই যাচ্ছে।
– রক্ত দেখে সিড সহকারে ওদের সবার
মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। রক্ত চাই
just blood.
-সিড নিজেকে control করতে না পেরে
দৌড়ে উপরে চলে গেল। রুপেরও একই
অবস্থা।
– রোজ দেখল যে শেষ বাচাটাও হয়ত
ওকে বাচানো যাবেনা। ও সাথে
সাথে আজগড় কে স্মরন করল কিন্তু
আজগড়ের কোন respons পাওয়া
যাচ্ছেনা।
.
.
.
– মিনা নিজের চেহেরায় চলে
আসছে। রুপম গিয়ে মিনার হাত ধরে বলল
mom কি করছো sis মরে যাবেতো। ওকে
বাচতে দাও।
.
– মিনা রুপম কে ২ চড় বসিয়ে দিল এবং
ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। ওর টার্গেট
এখন নাফিসার মৃত্যু।
.
.
– রোজ কোন দিশা না পেয়ে ওর চোখ
দিয়ে একঝলক নীল ধুয়া ছেড়ে দেয় যা
ওদের মেইন গেটে আঘাত হানে।
– গেট খুলে যেতেই দেখল আজগড়
দাড়িয়ে। ও ভিতরে ঢুকতে আর দেরি
করল না।
– আজগড় কে দেখে রোজের দেহে মনে
হয় প্রান ফিরে এল।
– মিনা নাফিসার কাছে যেতেই
আজগড় ওকে বর্জের আঘাত করে এতে
মিনা ছিটকে পড়ে যায়।
– মিনার উপর আঘাত পড়তেই রুপ গর্জে
ওঠে। চট করে নিজের রুপে আসে এবং
পাখা দিয়ে আজগড়কে আঘাত করে।
– আজগড় ২ পা পেছনে চলে যায়।
– আরে কাঠপুতুল তোর আবার শক্তি
আছে বলে পাল্টা আঘাত হানে
আজগড়।
– কিন্তু রুপের কোন কিছু হয়না। রোজ
আজগড় কে বলল আপনি নাফিসা কে
নিয়ে যান আমি দেখছি বলেই একটা
শব্দ করে। রুপ সহ সবাই কানে হাত দিয়ে
বসে পরে।

.
.
– এই ফাকে আজগড় নাফিসাকে নিয়ে
বের হয়ে আসে।
– নাফিসাকে এই অবস্থায় দেখে আজগড়
কেদে ফেলে।
– এই মেয়ে কি কোনদিন কারও
ভালবাসা পাবেনা? ছোট থেকে
ভালবাসার কাঙাল।
.
.
– নাফিসাকে নিয়ে আজগড় সোজা ওর
নিজের বাসায় নিয়ে গেল এবং ওর
খাটে শুয়ে দিয়ে বাবাকে ডাকল।
– এ তো একটা মানুষ ওকে এখানে এই
অবস্থায় কেন আনছিস?
– আব্বা আগে ওকে ঠিক করুন পরে সব
বলছি।
– আজগড়ের বাবা নাফিসার গায়ে
হাত বুলে দিতেই সব ঠিক হয়ে গেল।
তারপর সব খুলে বলল বাবাকে।



– আমি চোখ খুলেই দেখি আমার মুখের
উপর এক মহিলা তাকিয়ে আছে। আমি
তা দেখে ধরপড় করে উঠে পড়ি। নিচের
দিকে তাকিয়ে দেখি মহিলার পা
কোন স্বাভাবিক মানুষের পায়ের মত
নয়। একদম ঘোড়ার পায়ের খুরের মত আর
সেখানে অনেক লোম
আমি এটা দেখে চিৎকার করে উঠি।
– আজগড় দৌড়ে আমার কাছে আসে।
আমি ওকে বললাম এই মহিলাকে
সামনে থেকে সরাও। ও মানুষ না আমার
ভয় করছে।



– আজগড় ধমক দিয়ে বলল নাফিসা উনি
আমার মা।
– আমি এবার পিটপিট করে তাকালাম
ওনার দিকে।
– চট করে সালাম দিলাম। উনি সালাম
নিল না কি বুঝতে পারলাম না। উনি
কথা না বলে চলে গেল। লে বাব্বা
আমি কি করলাম! মনে হয় খালাম্মা
রাগ করছে।
– ওর বাবার সাথে পরিচয় করে দিল।
ওনি খুব রসিক মানুষ। সময়টা দারুন কাটল।
– আমি একটু পাশের রুমে গিয়ে দেখি
ওর মা আমার দিকে চেয়ে আছে। চোখ
গুলা মনে হয় আগুনের ছোট বল।
– আমি ফট করে বলে উঠলাম ভয় দেহান
কিয়ের লায়? আমি কিটা করছি
আন্নের।
– আর সাহস হলনা ওনার সামনে এভাবে
দাড়িয়ে থাকতে।
– দুপুরে খাওয়ার আয়োজন করল। wow এত্ত
খাবার জিবনেও দেখিনি। কি
ছিলনা তাতে। আহাহা সবসময় যদি এত
খাবার পেতাম তাহলে মনে হয় আমায়
রুম থেকে বের হতে দরজা কাটতে হত।
– আমি, আঙ্কেল, আজগড় খেতে বসলাম।
আহাহা কি সুস্বাধু খাবার। আজগড়
চটকরে বলে উঠল রুবিও এভাবে
আমাদের সাথে খাবার খেত তাইনা!
যেভাবে নাফিসা খাচ্ছে। এবার ওর
মা হুহু করে কেদে উঠল। আমি বললাম
রুবি কে?
– আন্টি এই প্রথম বলল আমার মেয়ে ঠিক
তোমার বয়সী তোমার মত।
– ও কই?
– আজগড়ের গলা দিয়ে আর খাবার
নামল না। মারা গেছে বলেই উঠে
চলে গেল।
– আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।



– বাসায় দিনটা ভালয় কাটলো সন্ধ্যার
সময় আমরা চলে আসব এই সময় আন্টি আমার
কপালে আদর করে চুমু দিল এবং বলল
আবার এসো।
– ভালয় সময় গুলো কেটেছিল কিন্তু দ্রুত
ফুরিয়ে গেল।
– আসার সময় আজগড়কে বললাম আমায় কই
পাইলা?
– সেটা তোমার না জানলেও হবে।
রুপের সাথে আর মিশবা না।
.
.
– যে তোমাকে চায়না তার কাছে
কেন বার বার যাও।
– আমি কিছু বললাম না। হোস্টেলে
চলে আসলাম। মনে মনে ভয় ছিল।
কাউকে না জানিয়ে একদিন উধাউ
ছিলাম। ঢুকতে দিবে কিনা মালিক
জানে।
.
.
.
– রুমে ঢুকে আমার মাথা ঘুরে গেল।
আমার মত দেখতে একটা মেয়ে বসে
আছে। এএএএএই তুমি কে?
– আম্মা ভয় পাইয়েন না আমি আয়মুন। অহ
তুই এই বেশে।
– কি করতাম আপনিতো নাই তাই এই
ব্যবস্থা।
ভাল করেছিস কিন্তু রুমের এই হাল!
এখুনি ঠিক কর ঘুমাব একটু।
– ও ঠিক করলে আমি বিছানায় গিয়ে
ঘুমালাম।
– ৯ টার দিকে নাজমা আন্টি আসল।
আমায় বলল বাবা তুমি কি ভুত পোষ?
– আমিতো ওনার কথা শুনে হতবাক।
নাতো আন্টি মানুষ আবার ভুত পোষে?
.
.
.
– নাজমা আন্টি বলল আসলে বাবা
তোমাকে সেদিন ও ভাবে কথা বলা
আমার ঠিক হয়নাই। পারলে আমায় ক্ষমা
করে দিও।
– আমি মনে মনে ভাবলাম কি ব্যাপার
ভুতের মুখে রাম নাম।
– উনি চলে যেতেই সম্টা আমার কাছে
হাজির। আম্মা বেডীরে যা দিছি না
হারা জিবন মনে রাখব।
– অহ তুই এগুলো করছিস?
– খিটখিট হেসে বলল হ আম্মা।
– আরে যখন তখন এগুলো করিস না পরে
আবার ডংঙ্গী বাবাদের এনে তোদের
বোতলে তুলবে। সারা জিবন বোতলে
পচে মরবি।
– সম্টা এবার ভয় পেয়ে মুখ কাঁচুমাচু করে
ফেলল।
– ওদের ভয় দেখাতেও ভাল লাগে।
.
.
.
– ডিনার করতে গিয়ে একটা মেয়ে
বলল আপু কাল আপনি ওভাবে কেন
খাচ্ছিলেন?
– কিভাবে?
– বাম হাত দিয়ে গপ গপ করে।
– এই রে সারছে। না মানে প্রাক্টিস্
করছিলাম আর কি ও ভাবে খেতে
কেমন লাগে।
– সন্দেহের চোখে মেয়েটি আমার
দিকে তাকাল।
.
.
.
– আমি আর কিছু না ভেবে খেয়ে রুমে
চলে আসলাম।
– রুমের ভিতর এসে দেখি কোলাহল।
ওরা সবাই আজগড়ের সাথে
চেঁচামেচি করছে।
– এই ওকে ছাড় বলছি। ওর সাথে লাগছ
কেন?
– ওরা আজগড় কে ছেড়ে দিলে আজগড়
এসে বলল এই উপজাতি গুলো তোমার বন্ধু
হইল কামনে।
– সে অনেক কথা।
– আজগড় কে ওদের সাথে পরিচয় করে
দিয়ে বললাম এ আমার জিগারের
দোস্ত তাই no বিয়াদপী।
– ওদের মধ্য বৃদ্ধ শুকরা জ্বীন বলল আম্মা
এইহানে আমরা একখান কাজে
আইছিলাম।
– আল্লাহ্ এই বুইড়ার ও আম্মা হওয়া লাগল
শেষ পর্যন্ত!
– আজগড় ধুরে মিটমিট করে হাসছে আর
বলছে বলে ফেলুন চাচা।
– তুমি আমারে এত্ত সম্মান দিলা কথা
দিলাম আপনার বন্ধুকে জিবন দিয়ে
হলেও রক্ষা করব।
.
.
– শুকরার কথা শুনে আজগড় চিন্তায় পড়ে
গেল সামনে কি কোন বড় বিপদ আসছে?
– আমি গননা করে দেখলাম আম্মার
পিছে বহু শক্র অপেক্ষায় আছে তাকে
শেষ করে দেওয়ার জন্য। এবং খুব শিঘ্রই
আঘাত হানতে যাচ্ছে।
.
.
– আজগড় চট করে বলে উঠল নাফিসা আর
রুপের সাথে দেখা করবানা বলে
দিলাম। কাল যদি রোজ কিছু না করত
তাহলে কি হত!
– আজগড়ের চোখে পানি চিকচিক
করছে।
– আমি শুধু মাথা নাড়ালাম।
.
.
– সবাই রুম থেকে চলে গেল আর আমি
হতাশ হয়ে বসে পড়লাম। কোথায়
ছিলাম আর কই আসলাম। আচ্ছা
রাফসানের কি বাচ্চা হয়েগেছে?
ছেলে হইছে না মেয়ে হইছে। রাফী,
বিথী কেমন আছে? রাফসান কি সুমি
আপুকে আমার মত করে ভালবাসে। আর
ভাবতে পারছিনা। হয়ত আমি চলে
আসাতে তাদের দ্বায়িত্ব মুক্ত হয়ে
গেছে। খুব কান্না পাচ্ছে। আর কারো
কাছে ভালবাসার দাবী নিয়ে যাব
না।
.
.
.
– রুপদের বাসায় এক প্রকার মিটিং
চলছে।
– সিড বলল মিনা তুমি এটা করবা আসা
করিনি। তুমি এতটা নিচে নামবা।
মেয়েটার কি অবস্থা god ভাল
জানেন। রুপ চুপ করে বসে আছে। ও
মোটেও এটা চায়নি। নাফিসা কেন রুম
থেকে বের হতে গেল। রুপ উঠে গেল।
– রোজ বা রুপম কেউ নেই। রুপম তো
কেদেই যাচ্ছে। mom আমায় মারছে।
আমায় কেন মারল?
– মিনা রুপমের রুমে গিয়ে ডাকল রুপম
মাই বেবি কই তুমি।
– রুপম চুপ। মিনা কাছে এসে বলল কথা
বলবেনা mom এর সাথে। রুপম দৌড়ে রুম
থেকে বের হয়ে আসল। কিন্তু তবুও
মিনার মনে এতটুকু আফসোস নাই
নাফিসার জন্য।
.
.
.
– রুপ রুমে এসে নিজের শার্টটি খুলতে
গিয়ে দেখে কিছু রক্ত ওর শার্টে
লেগে আছে এখনও। সারাদিন গেল তবুও
চোখে পড়লনা বলেই শার্ট খুলে ফেলল।
– রক্তে স্মেল নিতে এত ভাল লাগছে
মনে হয় কত চেনা এই ঘ্রান। এটা কি
নাফিসার রক্ত? ও কে আর কেনই বা বার
বার আমার কাছে আসে এই বলে
ব্যালকুনিতে আসলে কালকে ড্রেস
গুলো ও এখানেই রেখে গেছে। টপস্
নিয়ে বার বার ঘ্রান নিচ্ছে। খুব
পরিচিত ঘ্রান। কিন্তু সব গুলিয়ে
যাচ্ছে মাথা থেকে।

– সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হইলাম।
রুমে বসে কিছু ক্লাসের কাজ করলাম
দেন না খেয়েই বের হইলাম।
– আজ সকাল সকাল বের হইছি। ইচ্ছা এই
সকালে পাহাড়ি রাস্তা ধরে হাটব
তার পর কাম্পাসে যাব।
– হাটছি আমি একজন পিছন থেকে বলল
mam কি করছেন?
– পিছন ফিরে দেখি কাইফ sir.ড্রেস আপ
দেখে মনে হচ্ছে জগিং করতে আসছে।
– আমি সালাম দিলাম।
– উনি উত্তর দিয়ে বলল শুভ সকাল।
– আমি ওনাকে বললাম জগিং করছেন?
– হুম। এত্ত সাকালে তুমি এখানে কি
করছ? দিনকাল এখন খারাপ আর তুমি একা
রাস্তায় হাটছো।
– আপনি যে হাটছেন!
– আমিতো পুরুষ তাই আমার ভয় নেই। আর
তুমি নারী।
– sir আপনার বাসায় কে কে আছে!
– মা বাবা আর ২ টা বোন।
– oh gret.
-আমি চুপ করে হাটছি।
– মন খারাপ?
– না sir. কেন বলুনতো।
– এমনি বললাম আর কি। যাও কাম্পাসে
এই রাস্তাটা বেশি ভাল না। আর
এভাবে আসবা না।
– ok sir বলে চলে আসলাম।
– কাইফ দাড়িয়ে আছে আর পরের নকশার
প্লান করছে।
– আজগড় সামনে এসে একটা চড় মারে
কাইফকে। ভাল সাজতে আসছিস ওর
কাছে? জানে মেরে দিব ওর আশপাশ
তোকে দেখলে।
– আজ কাইফ আর কিছু না বলল না শুধু মুচকি
হেসে বলল ওকে যদি আমি না পাই
তাহলে আমিই ওকে মেরে দিব। মনে
রাখিস বলে চলে গেল।
– আজগড় ভেবে পায়না কি করবে এখন।
নাফিসাকেও বলতে পারছেনা।
কাইফের মুখোস ওর কাছে খুলে ফেললে
কাইফ তখন আর লুকিয়ে কাজ করবে না।
ও সরাসরি এট্যাক করবে আমার একার
পক্ষে নাফিসাকে সেভ করার সম্ভব
না।
– আজগড় অনুভব করছে পিছনে কেউ একজন।
– এক ঝটকায় গলা চিপে ধরে।
– এই ছাড়ুন আমি রোজ।
– আপনি! এখানে কি করছেন?
– আপনাকে দেখতে আসলাম। ওর অবস্থা
কি?
– হুম ভাল।
– কিছু বলবেন? আমার তাড়া আছে।
– বলার জন্যই আসছি। এত্ত ব্যাস্ত থাকেন
কেন সবসময়!
-কি বলবেন বলেন।
– আমি আপনাকে ভালবাসি একদম দম বন্ধ
করে বলে ফেলল রোজ।
– আজগড় হতবাক হয়ে বলল আপনার মাথা
ঠিক আছে?
– দেখুন আমি পাগল হইনি কিন্তু
আপনাকে না পেলে পাগল হতে বাধ্য
হব।
– হুমহ্ দুই দিন পর আপনার ভাইয়ের মত
বলবেন আমি আপনাকে চিনি না বলেই
আজগড় চলে গেল।
– রোজ অপমানে কেদে ফেলল।
.
.
.
– কাম্পাসে বসে আছি একটা গাছের
নিচে এবং প্রকৃতির চিএ আকাতে
চেষ্টা করছি।
– এমন সময় রুপের গাড়ি হাজির। দেখলাম
রুপ বের হচ্ছে। বরাবরের মত সেই
সাজগোজ। বরং বেশি। আমি আবার
নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের
কাজে মনযোগী হলাম।
– ক্লাসে বসে আছি। রোজ এসে আমার
পাশে বসে বলল আজগড়ের বাসা কই রে?
– কেন ওর প্রেমে পড়ছিস নাকি?
– হুম।
– আমি চোখ বড় বড় করে ওর দিকে
তাকালাম।
– Are you serious
– হুম। বলনা কোথায় থাকে ।
– ওকে ভুলে যা সম্ভব না। আমিই সম্ভব
হতে দিবনা।
– মানে! কি বলতে চাস?
– ২ দিন পর তোর ভাই যেমন আমাকে
ভুলে গেছে সেরকম তুইও যাবি। তোদের
চিনে ফেলছি।
– দোস্ত এরকম করিস না প্লিজ।
– রুপের ক্লাস চলছে আর এই সময় ওর
প্যানপ্যানানি শুরু করে দিছে।
– আমি তোর প্রেমের ক্ষেত্রে কত
উপকার করছি এবার আমায় কর প্লিজ।
– দেখি কি করা যায় বলে চুপ করতে রুপ
আমাদের ২ জন কেই দাড়াতে বলল।
এবার তোর সুখ হইছে থাক পুরো ক্লাস
দাড়িয়ে।
– এই তোমরা ২ জনে কথা কেন বলছ!
– আমি চুপ করে আছি। অন্যদিন হইলে
অন্তত কথা বলতাম কিন্তু ইচ্ছা নেই
– রোজ বলল ভুল হয়ে গেছে sir.
-তোমাদের ভুল প্রতিদিনই হয়ে থাকে?
পুরো ক্লাস ২ জনে দাড়িয়ে থাক।
– আশা মিটছে তোর এবার এখন পুরো
ক্লাসে হাসার পাত্রী হয়ে দাড়িয়ে
থাক বলে রোজের দিকে তাকালাম।
– দাড়িয়ে থাকতে থাকতে পা
ব্যাথা হয়ে গেছে।
– মেঘলা বলে উঠল এই রোজ তোর
ভাইকে দারুন লাগছে। কি স্টাইল।
– রোজ মনে মনে ভাবল এই যা ওর কথা
শুনে যদি নাফিসা পাগলামি করে
তোহ সব শেষ।
– এই মেয়ে ওঠো।
– মেঘলা দাড়িয়ে গেল। কথার বলার
শাস্তি হিসেবে ওকে আমাদের
সাথে যোগ করল।
– sir আমিতো আপনার জন্য যুগ যুগ এভাবেই
দাড়িয়ে থাকতে চাই।
– আমি খালি ওর দিকে তাকালাম
কিন্তু কিছু বললাম না।
– আরও ২০ মিনিট পর ক্লাস শেষ হয়ে
গেল।
আমি বসে পড়লাম।
.
.
– ৩০ মিনিট পর কাইফ স্যারের ক্লাস।
তাই আর কোথাও যাচ্ছি না।
– ঐ চল ওঠ।
– কেন কই যাবি। ক্লাস করবি নাহ্
– না ওঠ বলে হাত ধরে টেনে আনল। এই
কাইফ স্যারের ক্লাস কেন করিস না?
– ভাল লাগেনা তাই।
– শোন তোর হিটলার ভাইয়ের থেকে
অন্তত ভাল। সব সময় হাসি মুখে কথা
বলে।
– উমহ্ দরদ উছলে পড়ছে মনে হয়। জানিস
না তোহ ঐ কতবড় হারামি। নিজের
স্বার্থে তোকেও মেরে দিবে।
– ঘাপটি মেরে তাকিয়ে আছিস কেন?
– কিছু না চল বলে রোজ আমাকে টেনে
নিয়ে গেল।
.
.
.
– আমাদের ডিপার্টমেন্টর পিউন এসে
বলল মা তোমায় রুপ sir ডেকেছে।
– রোজ ও আমি ২ জনেই অবাক। রোজ
আমাকে নিয়ে যেতেই ওনি বলল
আপনাকে নয় শুধু নাফিসাকে।
– রোজ ২ দিনে রুপ কে ভালয় চিনছে।
গতকাল তো আরও বেশিই চিনছে তাই
নাফিসাকে নিয়েই হাটা ধরল।
– আমি হিসাব মিলাতে পারছিনা
উনি কেন আমায় ডাকছে!
.
.
.
– রোজ সোজা রুমে ঢুকে বলল কিছু বলবি
ভাইয়া?
– তুই এখানে কেন? ও কই।
– ওকে কেন ডাকছিস। কাল যা তোর
স্বভাব দেখেছি তোর কাছে
পাঠাতেও এখন ভয় লাগে।
– shut up যা বলছি তাই কর। মানে এক্ষুনি
কর।
– রোজ বাহিরে এসে বলল আমি
এখানেই আছি। ওর কাছে একদম
যাবিনা। দুর থেকে কথা বলবি।
– আমি রুমে গেলাম। বেশ দুরেই আছি।
– এত দুরে আছো কেন? আগেতো কাছে
আসার জন্য পাগলামি করতে।
– আমি চুপ করে নিচে তাকিয়ে আছি।
– ও আমার কাছে এসে আমাকে গভীর
ভাবে দেখতে লাগল। হয়তবা কালকের
আঘাতের চিহ্ন খুজছে।
– ছেলেটি কে ছিল?
– তবুও আমি কথা বললাম না। আরও দুরে
সরে এলাম ওর কাছ থেকে।
– আমি কিছু বলছি কথা শুনতে পাওনা
বলে জোড়ে ধমক দিল রুপ।
– আমি ভয়ে কেপে উঠলাম।
– ও হাঠাৎ আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার
গায়ের ঘ্রান নিতে লাগল। আমি আরও
ভয় পেয়ে গেলাম। উনি যেন আমার
ঘ্রান নিতে মগ্ন।
– আমি যতই ছাড়িনোর চেষ্টা করি উনি
ততই আমাকে জড়িয়ে ধরে।
– রোজ বলে ডাক দিলাম। আমাকে ঐ
অবস্থায় দেখে রোজ চমকে উঠল। দৌড়ে
এসে আমাকে ছাড়িয়ে নিল। আমি থর
থর করে কাপছি কারণ আজ ওনার যে
ব্যবহার দেখলাম এতে হতবাক।
– রোজকে ধাক্কা দিয়ে আবার উনি
আমার কাছে আসল। রোজ চিৎকার
দিয়ে উঠল ভাইয়া প্লিজ ঐ কাজ করিস
না তুই তোর ভেতর নাই। তোর দ্বারা ওর
কিছু হলে কখনও ক্ষমা করতে পারবিনা
নিজেকে।
– নাফিসা এখান থেকে চলে যা
জলদি। আমি রোজের কথা শুনে আমার
আরও ভয় লাগল হাত পা চলা বন্ধ হয়ে
গেল। আমার হাটার শক্তি নাই
সেখানে দৌড়াব কেমনে।
.
.
– এবার উঠে এসে রুপকে জোড়ে
ধাক্কা দেয় রোজ। রুপ ২ পা পিছে যায়
আর ওর চোখ আস্তে আস্তে নীল হয়ে
ওঠে। মনে হচ্ছে আমি ওর কাছে
নিতান্ত একটা শিকার।
– রুপ এটা কেমন করে পারল ভাবতেই
রোজ রুপের চোখে কি যেন ছুড়ে মারে
আর আমায় নিয়ে ভ্যানিস হয়ে যায়।
– রুপ ক্রোধে ফেটে পড়ে। অনেকক্ষন পর
স্বাভাবিক হয়।



– আমায় নিয়ে কম্পাস থেকে বের হয়ে
আসে রোজ। কিরে ঠিক আছিস।
– হুম কিন্তু ও আমায় খেতে চায় কেন?
– এটা মমের কোন চাল। তুই এখানে থাক
আমি ভাইয়াকে দেখে আসি।
– আমি সামনে ফুচকাওয়ালা
দোকানের দিকে তাকিয়ে থাকি। খুব
খাইতে মন চাচ্ছে। কিন্তু সেদিনের
ঘটনা মনে করে আর যাচ্ছিনা
– কাইফ sir বলল এখানে কেন দাড়িয়ে
আছো?
– এমনি রোজের জন্য দাড়িয়ে আছি।
একটু পর ও আসবে।
– আমি ফুচকার দিকে তাকিয়েই আছি।
– ফুচকা খাবে! বলে কাইফ সোজা
আমাকে নিয়ে দোকানে গেল।
– এই ফুচকা দেন তো?
– আমি ইস্তত বোধ করলাম। না sir
খাবনা।
– এই মেয়ে লজ্জা পাইতে হবেনা।



– রোজ রুপের রুমে গেল। রুপ চুপ করে বসে
আছে হয়ত অনুধাবন করেছে কি ভুলটাই
না করছে।
– তুই একটা জানোয়ার হয়ে গেছিস।
এতটা নিচে নামতে পারলি
কিভাবে। তুই রক্ষক থেকে ভক্ষক হয়ে
গেছিস?
– ও কোথায়?
– একদম ওর কাছে ঘেষার চেষ্টা করবি
না।
– sry বলব।
– sorry my foot. বলে রোজ চলে যেতে
লাগলে রুপ ওর হাত ধরে বলল সত্যি আমি
ওর কাছে ক্ষমা চেতে চাই।
– রুপ আর রোজ বাহিরে এসে দেখে
নাফিসা নাই।
– একটু চোখ বুলতেই দেখে নাফিসা
ফুচকা খাচ্ছে আর পাশে কাইফ
দাড়িয়ে ওর সাথে কথা বলছে।
– oh no বলেই রোজ জলদি নাফিসার
কাছে যায়।
– রোজ ফুচকা খাবি? দারুন খাইতে।
– কাইফ হেসে বলল রোজ চাইলে তুমিও
খেতে পারো।
– না আমি খাবনা। নাফিসা চল এখান
থেকে
– দেখছো না ও খাচ্ছে! খাবার ফেলে
ও কেমনে যাবে?
– রোজ অগত্যা দারিয়ে রইল।
– খাওয়া শেষ করে বিল দিতে গেলে
মামাটা বলল আপা মুনি sir টাকা
দিছে।
– আমি বললাম এ মা আপনি কেন বিল
দিছেন! আমি খেলাম তাই আমি দিব।
– কাইফ বলল অন্য কোন দিন পরিশোধ করে
দিও।
– নাফিসা ভাইয়া তোকে ডাকছে।
– আমি যাবনা।
– না চল বলে আমার হাত ধরে টেনে
নিয়ে গেল।
– কাইফ কটমট করে রোজের দিকে
তাকাল কিন্তু কিছু বলল না।
.
.
.
– একটা নির্জন জায়গায় রুপ দাড়িয়ে
আছে।
– আমায় নিয়ে গেল রোজ ওর কাছে।
– আর কয়টা ছেলে লাগে? আমাকে
তো বল তুমি নাকি ভালবাস আমায়
কিন্তু অন্য ছেলেদের সাথেও দেখছি
রঙ্গ তামাশা কম নয়
তোমার।


– আমি রেগে বলে উঠলাম মিশেছি
বেশ করেছি আরও মিশব আপনার কি
তাতে?
– এমনি mom বলেনি তুমি একজন prostitute
girl.
– এবার আমার ধর্য্যর বাধ ভেঙ্গে গেল।
ঠাস
করে চড় লাগিয়ে দিলাম ওর গালে।
– তোর ভাই পাগল হয়ে গেছে আমি ওর
মুখও দেখতে চাইনা বলে চলে আসলাম।
– ভাইয়া যে আঘাত দিচ্ছিস
মেয়েটাকে এর জন্য তুই নিজেই
নিজেকে ক্ষমা করতে পারবিনা।
– রুপ গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায়
ফিরছিল এমন সময় গাড়ির সামনে এসে
কাইফ দাড়ায়
– রুপ ব্রেক করে নেমে আসল কাইফের
কাছে।
– কাইফ বলল ২ বার তোকে মারলাম তাও
মরিস নি তুই। স্মৃতি তো ভুলে গেছিস
তবুও নাফিসার পিছ ছাড়ছিসনা বলে
ধাক্কা দিয়ে নিচে জঙ্গলে ফেলে
দেয়।
– রুপ পরে গিয়ে আবার উঠে দাড়ায়।
তোকে নাফিসা পাঠিয়েছে বলে
হংকার ছাড়ে রুপ।
– নাফিসা পাঠাক আর যেই পাঠাক ওর
গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পেলি কই
থেকে বলেই আবার ধাক্কা দেয় কাইফ।
– কিন্তু রুপ একটুকুও নড়লনা। রুপ একটু হেসে
বলল মায়া বিদ্যা মনে হয় আমার তোর
থেকে একটু বেশিই।
– আগে ২ বার তোর সাথে কেন
পারিনি সেটা আমি বলতে পারব না
হয়ত আমার কিছু দুর্বল জিনিস কাছে
ছিল কিন্তু আজ আয় দেখি তোর শক্তির
কত জোড় বলে কাইফকে ছুড়ে ফেলে
দিল। এতে কাইফ মারাত্বক জখম হলো।
– রুপ আবার কাইফের কাছে যেতেই
কাইফ উধাউ হয়ে যায়।
– রুপ চিৎকার দিয়ে উঠল কাপুরুষ
কোথাকার ভয়ে চলে গেলি কেন। আর
তোর নাফিসা! ওর এমন হাল করব যা
এতদিনও আমি কারো সাথে করিনি।
আমাকে মারতে কুলাঙ্গার জ্বীন
পাঠানো?
– প্রস্তুত থাকো নাফিসা! তোমার
জিবনের সব থেকে বড় দুর্ঘটনা আমিই
ঘটাতে যাচ্ছি বলে বিশ্রী একটা
হেসে উঠল।
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here