ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ২১

0
1046

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ২১




– এই এগুলো কি পড়েছো? লজ্জা শরমের কি মাথা খেয়েছো?
– আমি আবার কি করলাম……
– কি করনি……. সেটা আর মুখে বলতে আছে বলেই নেগার কে নামিয়ে দিয়ে রুপ নাফিসার হাত ধরে হিরহির করে টেনে সোজা উপরে নিয়ে গেল।
– আমি হাত ঝটকা দিয়ে ছেড়ে নিয়ে বললাম রুপ আমার লাগছে তো?
– ইচ্ছা করছে তো ঠাশ ঠাশ করে লাগাই ২…… বাসায় এত্ত মানুষের সামনে এই পোশাক কেন বলেই রুপ আমার টপস্ ধরে জোড়ে টান দিল।
– টপস্ টা মাঝ বরাবর ফেটে গেল…… আমি চট করে বুকে হাত দিয়ে রুপ বলে একটা চিক্কুর ছাড়লাম।
– চিক্কুর মারো কেন আর হাত দিয়ে বুক ঢেকে রাখছো কেন….. দেখাও দেখাও। আমি এখানে দেখার জন্যই তো বসে আছি……. বাহিরে দেখানোর তো দরকার নেই?




– নাফিসার চিৎকারে রোজ বলে উঠল ঠিক জায়গায় পড়েছে। জংলী টাকে ভাইয়াই শুধু ঠিক করতে পারবে।
– রোজ এভাবে বলনা…… ও সমস্যা জানো তো!(আজগড়)
– তুমিতো চুপ করবা….. ওর কোন দোষ তুমি কোনদিনই দেখতে পাওনা….. তুমি কি বলতো? আজ আমায় এত্ত জোড়ে ধাক্কা দিছে যে ভাইয়া এসে না ধরলে আমি শেষ।
– জানো ত ওর সমস্যা ওর কাছে কেন গেছ রোজ!
– রোজ আর কোন কথা বলল না কারন আজগড় কে বলে কোন লাভ নাই।




– মার্ক রাফসানকে কল দিল।
– হ্যা মার্ক বলো?
– আমরা তো ব্যাক করেছি রাফসান……
– কিহ্…. আমাকে বলার একবারও প্রয়োজন মনে করলেনা তোমরা!
– আসলে খুব টেনশনেই আসছি তাই বলতে পারিনি।
– নাফিসা?
– আমাদের কাছে নেই। ওর বাচ্চাকে নিয়ে যে কই আছে ও ভাল যানে। ওর কথা চিন্তা করনা।
– রাফসান দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে ফোন রেখে দিল। সেদিন আসার পর থেকে ওর মধ্য অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
– সুমিকে সময় দেয়…. পরিবারের সাথে ভাল যোগাযোগ রেখেছে। এটা অবশ্যই নাফিসার কেলমার ফলাফল।




– রুপ খুব খুব খারাপ কাজ করে ফেলেছো বলেই আমি ঐ অবস্থায় গিয়ে একটা টপস্ পরে বললাম আমি এখানে থাকতে চাইনি…… বলেই নিচে নেগার কে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এলাম।
– এরা পাইছে টা কী?



– রাস্তার সবাই কেমন জানি করে চেয়ে আছে। থাকুক তাতে আমার কি বলেই ওকে নিয়ে হাটতে লাগলাম।



– MoM ক্ষুদা লাগছে।
– এইতো বাবা আমরা রেস্টুরেন্টে এসে গেছি বলেই একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। কিছু খাবার অর্ডার দিলাম।
– কিছুক্ষন পর খাবার এলে আমি ওকে খাবার খাইয়ে দিলাম আর নিজেও কিছু খেলাম।




– পুরটা দিন ওভাবেই কাটালো। রাতে নেগার কে নিয়ে হাটছি। রুপ আমার সাথে করেছে যে আমি আর নিজের শক্তি ব্যাবহার করতে পারছিনা। কোথায় যাব কি করব ভেবেই হয়রান হচ্ছি।



– কয়েকটা কুকুর এসে আমার সামনে ঘেউ ঘেউ করতে লাগল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ওরা নেগার কে দেখে বার বার আক্রমন করার চেষ্টা করছে।
– আমি নেগার কে নিয়ে একটা উচু জায়গায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কুকুর গুলো চলে যাওয়ার।

কুকুর গুলো চলে যাওয়ার পর আবার ওকে নিয়ে নেমে হাটতে শুরু করলাম।

– গভীর রাত হয়ে গেছে…… কিছু দুর যেতেই দুরে কাউকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম।
– আমি কাছে গিয়ে তাকে ডাকতেই সে ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে বলল তুমি রুপের স্ত্রী?
– আমি কিছু বলার আগেই লোকটা আমাকে স্বজোড়ে আঘাত করে।
– আমি ছিটকে গিয়ে পরে গেলাম দুরে আর নেগার আমার কোলেই কেঁদে উঠল।




– সাথে সাথে অনেক গুলো জ্বীন এসে হাজির হল। জ্বীন গুলো বলল ও আমাদের শিকার। তুই কেন ওর গায়ে হাত দিস। লোকটি বলল ও আমার শিকার। ওকে আজ জান্ত পুড়িয়ে মারব।
– ও অনেক শক্তিশালী তাই সবাই মিলে ওকে আক্রমন করি।
– ওরা নাফিসার কাছ থেকে নেগার কে কেড়ে নিয়ে বলল এই বাচ্চাকে আরও আগে মারার কথা এখনও বেঁচে আছে কেন?
– আমি ভিষন ভয় পেয়ে যাই……. কারন এগুলো আদী জ্বীন আর ঐশোর্যর পাঠানো জ্বীন ছিল।




– ওরা নেগারকে একটা আছাড় মারে এতে ওর শরীর দিয়ে রক্ত বয়ে যেতে লাগে।
– আমি দৌড়ে ওদের কাছে যেতেই রুপ এক নিমিষেই নেগের কে ওর বুকে নেয়। নেগারের সেন্স নেই। রুপের সাথে আজগড়, সিড, রুপম ও এসে ওদের সামনে দাড়াল।
– সামনে যে লোকটি ছিল সে কাইফ। সে নাফিসাকে চিনতে পারেনি। তাই ওকে রুপের স্ত্রী ভেবে মারতে এসেছে।
– আমি নেগারকে রুপের কাছ থেকে নিয়ে কাঁদতে লাগলাম। রুপ এসে ওর গায়ে হাত দিতেই নেগার স্বাভাবিক। আমি ওখানেই বসে পড়লাম।




– রুপ এবার চিৎকার করে বলল কাইফ আজতো তুই গেছিস বলেই ওর টুটি চিপে ধরে একটা আঘাত করল। কাইফ এক আঘাতেই শেষ….. কথা বলার সুযোগ টুকু পায়নি। কাইফের ও রকম হাল দেখে বাকি জ্বীন গুলো ভয় পেয়ে যায় এবং ভ্যানিস হয়ে যায়।



– রুপ নাফিসা কে নিয়ে বাসায় আসে।
– নাফিসা রুমের ভিতর চুপ করে বসে আছে আর রুপ
ওকে ঝাড়ছে।
– তোমাকে বার বার বলেছি….. তোমার জিবনে অনেক বিপদ। তুমি নিজের আত্বরক্ষা করতে পারলেও নেগার পারবেনা। তুমি কি চাও এ মারা যাক?
– না বলেই কেঁদে উঠলাম।
– রুপ সাথে সাথে মার্ককে হাজির করে নেগারকে ওর কোলে দিয়ে বলে ওর খেয়াল রেখ বলেই নেগারের মাথায় হাত রেখে রুপ চোখ বন্ধ করল।
– রুপের হাত থেকে সোনালি আলোয় ছড়িয়ে গেল নেগারের শরীরে আর নেগার চুপ হয়ে গেল।
– মার্ক নেগার কে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল।
– আমার মুখ দিয়ে আর একটি কথাও বের হল না।



– কিছু খেয়েছো?
– না…….
– যা শরীরের অবস্থা যাও গোসল করে নাও।
– আমি চুপচাপ গোসল সেরে এসে দাড়িয়ে রইলাম রুপের সামনে।
– রুপ আমার দিকে না তাকিয়ে আলমারি থেকে আমাকে কিছু পোশাক বের করে দিল।
– আমি বললাম এগুলো কিভাবে পরে?
– রুপ মায়া প্রয়োগ করে শাড়ী পড়িয়ে দিল।



– আমি শাড়ী পরে চলতে পারছিনা। মনে হয় বের লেগে পড়ে যাব।
– রুপ আমার কাছে এসে বলল এভাবেই তোমাকে থাকতে হবে।
– আমি কি বিবাহিত যে শাড়ী পড়ব?
– না তুমি অবিবাহিত না তুমি ভার্জিন…… কোন টাই তুমি না ওকে…..
– কি! আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করছে ও। এই মি. I am varjin girl…. you understand!
– রুপ একটা হাসি দিয়ে বলল তাই! তুমি ভার্জিন তো?
– হুম….
– এবার রুপ একের পর এক আমার শরীরের বর্ননা দিতে লাগল।
– আমিতো জাষ্ট অবাক…….
– আর কিছু জানা বাকি আছে? না সেটাও বলব jan…..
– দেখ jan বলবানা একদম বলেই সুয়ে পড়লাম।




– নাফিসা কাঁদছে হয়ত নেগারের জন্য। রুপ এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল কখন নাফিসা পুরপুরি ভেঙ্গে যায়।
– রুপ নাফিসার কাছে গিয়ে বলল খুব কষ্ট হচ্ছে?
– আমি কোন কথা না বলে পাশ ফিরে শুইলাম।
– রুপ চট করে আমার পাশে সুয়ে পরে বলল আমার জন্য তো তোমার কষ্ট হয়না যাকে তুমি এত্ত ভাল বাসতে?
– আমার কিছু মনে নেই রুপ।
– এবার রুপ পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল তুমি কি প্রুভ চাও আমি সেটাই দিব ইনশাল্লাহ্।
– আমি পাশ ফিরে রুপকে জড়িয়ে ধরেই বললাম আমার কিছু মনে পড়ছেনা রুপ……….
– ওকে সমস্যা নাই কিছু মনে করতে হবেনা।




– তা জুংলি হলা কেন বলতো?
– কি আমি জংলি।
– হুম…… অনেকটা জংলি শিকারীদের মত।
– আমি জংলী না….. আমারও ফিলিংস আছে। দেখবা?
– তোমাকে দিয়ে ওটা হবে না…… ওটা তোমার যোগ্যতা নাই বলে রুপ পাশ ফিরে মুচকি হাসল।
– আমি চট করে ওর পেটের উপর বসে বললাম আমিও সব পারি হুম।
– সেটা কতটা পার আমি জানি বলে নাফিসাকে নামিয়ে রুপ উঠে বসল।
– নাফিসা কোন কথা না বলে রুপকে জড়িয়ে ধরেই বলল আজ তোমার মজা বুঝাবো…….
– রুপ এবার নাফিসাকে খাটে ফেলে ওর পর উঠে বলল আমি দেখাব নোট ইউ বলেই রুপ নাফিসাকে পুরোটাই গ্রাস করে ফেলে।
– অদ্ভুদ টান ওর প্রতি…… নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে একদম ইচ্ছা করছেনা। পাগলের মত রুপের স্পর্শে আরও পাগল হয়ে যাচ্ছি।
– রুপের এক একটা স্পর্শ আমার শরীরে দাগ যাচ্ছে। অদ্ভুদ সুখের যন্ত্রনা। আমিও কম নাকি উল্টো আমিও আমার কেলমা দেখাইলাম। পরিপূর্ন রুপে ২ জনে আদিম খেলায় মেতে উঠলাম।♥♥♥♥




– আমি সকালে মন খারাপ করে বসে আছি। আবেগের ঠেলায় কি করে ফেললাম আমি। রুপ তখন উঠে বলল কিছুই হয়নি। আগেও যা করেছি আজও তা করলাম। এখানে টেনশনের কি আছে?
– আমি রুপের দিকে চেয়ে দেখি বান্দরটা আমার দিকে চেয়ে হাসছে।।
– ঠিক ওর মুখের কাছে গিয়ে বললাম তুমিতো খুব বেহায়া পুরুষ।
– নিজের ওয়াইফের সাথে যতি বেহায়া গিরী না দেখাই তাহলে আমি কেমন পুরুষ বলেই আমার কপালে একটা কিস করল।
” রুপ আমাকে জড়িয়ে ধরেই বলল জাষ্ট এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম বলেই আমাকে নিয়ে ভ্যানিস হয়ে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে গেল।
– এটা কোন জায়গা রুপ?
– এখানে আমরা আগেও এসেছি কিন্তু তুমি ভুলে গেছ।
– রুপ আমার শক্তির সম্পর্কে সব ধারনা দিতে লাগল।
– এভাবে প্রতিরাতে রুপ আমাকে এখানে নিয়ে আসত।
– রুপের অত্যাধিক ভালবাসা….. প্রায় রাতে মধুর মিলন আর কিভাবে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে সব কিছু যেন নাফিসাকে অনেকটা আগের জিবনে ফিরে আনে।



– রুপ আমাকে একটা বেবি দিবা?
– নাফিসার কথা শুনে রুপ ল্যাপটপ থেকে মুখ উঠিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দেখল…… নাফিসাকে একজন পরিপূর্ন নারী লাগছে।
– কি হল বল?
– কিছু কাজ আমাদের বাকি আছে তারপর বাচ্চা এখন নয়।
– না আমার এখনই চাই।
– পাগলামি করনা। আমি চাইনা তুমি বা আমাদের বেবি বিপদে পড়ুক।
– আমি ওখান থেকে উঠে ছাদে আসলাম। কিছু বোঝেনা রুপ।
– অনেকক্ষন পর রুপ ছাদে এসে বলল আগামী সপ্তাহে আমরা ব্যাবিলন যাচ্ছি বুঝছো।
– কেন?
– অনেক কাজ আছে সোনা গেলেই বুঝতে পারবা। নিচে চল বলে আমাকে নিয়ে নিচে আসল।
– আমি এখানে এসে প্রায় ৯ মাস হয়ে যাচ্ছে। সব মানিয়ে গুছিয়ে নিছি অনেকটা। আমি রুপের কথার বাহিরে একটা কাজও করি না। ওকে এতটা ভালবেসে ফেলেছি যে ওকে ছাড়া এক মুহুত্বে ও থাকতে পারিনা।


– রুপ বাহিরে থাকলে সবসময় ওয়েট করে থাকি ও কখন বাসায় ফিরবে। রোজের একটা ছেলে হয়েছে। দারুন দেখতে। ওদের সাথে স্বাভাবিক জিবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।



– একদিন রুপ আমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যায় রাতে। আমার সামনে অনেক বৃদ্ধ একটি জ্বীন দাড়িয়ে থেকে বলল আম্মা কেমন আছেন?
– আমিতো হতবাক। উনি আমাকে আম্মা বলছেন কেন?
– আরও কিছু নারী পুরুষ জ্বীন এসে হাজির হল আমার সামনে। তাদের ও একই রকম কথা।
– আমি রুপের দিকে তাকাতেই রুপ ইশারা করে বলল ওদের সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে।
– আমি কিছু কথা বলে একটু দুরে দাড়িয়ে আছি আর রুপ ওদের সাথে কথা বলছে।


– আম্মা কি সব ভুলে গেছে রুপ।(শুকরা জ্বীন)
– হুম সব। কত কষ্ট যে করতে হয়েছে ওকে এই পর্যায়ে আনতে। তাছাড়া এতক্ষন আপনাদের আক্রমন করে বসত।
-আমি একটা উপায় জানি। ওর স্মৃতি ফেরানো সম্ভব।
– কথাটি শুনে রুপের মনে আশার আলো জ্বলে উঠল।
– আপনিতো অনেক পুরনো জ্বীন দয়া করে বলুন না আগের সব কিছু কেমনে ফিরে আনা যাবে।
– যে সরোবরে ওকে ফেলে দেওয়া হয়েছে সেখানের জল যদি আমায় এনে দিতে পারো তাহলে কিছু করতে পারব।
– আমি যেভাবে পারি ব্যবস্হা করে দিব।( রুপ)
– এত্ত সহজ না বাবা….. তবুও তুমি চেষ্টা কর।



– রুপ সে দিন আমাকে নিয়ে ফিরে এসে বলল আমার যদি কিছু হয়ে যায় তুমি কি আমাকে ভুলে যাবে নাফিসা?
– আমি ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম। তুমি আমার নিঃস্বাস। নিঃস্বাস ছাড়া আমি কেমনে থাকব।
– এবার তোমার কাছে অতীত ফিরে আসবে…… আমি আমার ভালবাসা দিয়ে এতদুর অবদি এনেছি….. এবার দেখবে তুমি অতিতে আমার কাছে একটু থাকার জন্য কি কি করেছ বলেই রুপ ভ্যানিস হয়ে যায়।
– রুপ তুমি কোথায় গেলে বলেই একটা চিৎকার দেই। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই।



– ৭ দিন হয়ে গেল রুপের কোন খোঁজ নেই। মিনাতো নাফিসাকে যা ইচ্ছা তাই বলছে। তোমার জন্য রুপের জিবন শেষ। যেদিন থেকে ওর জিবনে আসছো সেদিন থেকে ও জিবনের পিছে পরে আছো। জানিনা আমার ছেলেটা আবার কোন বিপদের দিকে নিজেকে বলি দিয়েছে বলেই মিনা কাঁদতে লাগল।



– আমি তুমি কোথায় গেলে আমাকে ছেড়ে। এখানে রুপের জন্য আমি শুধু আছি। আর সেই নেই। আমার স্মৃতি ফেরত আনা কি খুব জরুরি ছিল? বেশ তো ছিলাম। হয়ত রুপ আগের নাফিসাকে খুব মিস করত যে তার কাছে একটু থাকার জন্য হাজারো পাগলামো করত। রুপ হয়ত সেই নাফিসাকেই চায়।



– রুপ প্রায় ১২ দিন পর বাসায় ফিরে আসে এবং এক মুহুত্ব দেরি না করে নাফিসাকে নিয়ে শুকরা জ্বীনের কাছে যায়।
– আমি রুপকে পেয়ে পাগলের মত কিস করতে থাকি আর বলি তুমি কই গিয়েছ আমায় ছেড়ে হুম….. আমার কি কষ্ট হয়না?
– কিন্তু রুপ কোন কথায় বলে না।
– শুকরা জ্বীন নাফিসাকে জলদি একটা বেদীর উপর শুয়ে দেয়। নীল সরোবরের পানিগুলো নাফিসার গায়ের উপর ঢেলে দিয়ে বিভিন্ন একের পর এক মন্ত্র পড়তে থাকে।
– নাফিসা মনে হয় একটা নীল সমুদ্রের ভিতর পরে যায়। সম্পূর্ন ডুবে যায়।
– ও এভাবে কতদিন থাকবে?
– জানিনা বাবা যেদিন পরিপূর্ন ভাবে ও স্বাভাবিক ওর রুপে আসবে সেদিন ওকে সমুদ্র এমনি বের করে দিব



– আমাদের হাতে সময় নেই যে।
– করার কিছু নেই বাবা…… আমরা এখন সময়ের কাছে বন্দী।

– রুপ ধপ করে বসে পরে। শুকরা জ্বীন গায়ে হাত দিয়ে দেখে রুপের সারা শরীর রক্তে ভিজে গেছে। বহু আঘাতের চিহ্ন রুপের শরীরে।
– শুকরা জ্বীন বলল তোমার মত স্বামী পাওয়া ওর জন্য সৌভাগ্য রুপ।


– রুপ কিছু না বলে বাসায় ফিরে আসে। মিনা রুপকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগল।
– mom আমি ক্লান্ত বলেই রুপ ওর রুমে আসে।
– আয়নার সামনে দাড়িয়ে রুপ শার্ট খুলে দেখল পুরো শরীর ওর ক্ষত বিক্ষত। খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু বলার মত কেউ নেই। জানেনা এই ক্ষত গুলো জিবনে সারবে কিনা?



– বানায় নাফিসা নাই আজ ২ মাস হয়ে গেল। বাসার সবাই প্রশ্ন করে রুপকে নাফিসা কই। রুপের একটাই জবাব ওর জায়গা মত আছে নাফিসা। রুপের দিন গুলো যেন কাটতেই চাচ্ছেনা নাফিসাকে ছাড়া।
– পুর ৯৬ দিন পর রুপ খবর পায় নাফিসাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
– রুপ শুধু সিডকে বলে গেল dad আজ নাফিসা আসবে।
– রুপ শুকরা জ্বীনের কাছে ছুটে যায়। কত বছর পর ওর জিবন মনে হয় ফেরত নিতে যাচ্ছে।
– রুপ হাজির হতেই শুকরা জ্বীন বলল ঐ কক্ষে আছে যাও।
– রুপ দ্রুত কক্ষে প্রবেশ করল ও দেখল একটা মেয়ে যার ঘনকালো কোকড়ানো চুল কোমর ছাপিয়ে চুল গেছে। উজ্জল গৌর বর্ন পাতলা চেহারা । ভুবন ভোলানো মুচকি হাসি…… যাকে দেখে রুপ দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিল। এই সেই নাফিসা যে রুপের হাজারও দেওয়া যন্ত্রনা মুখ বুঝে সহ্য করে।



“””” অনেক সাধনার পরে আমি…. পেলাম তোমার মন
পেলাম খুজে এ ভুবনে আমার আপন জন….
তুমি বুকে টেনে নাও না প্রিয় আমা……কে
আমি ভালবাসি ভালবাসি ভা…..ল… বা…সি
তোমা……কে♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥




– রুপ একটা মুচকি হাঁসি দিয়ে দাড়িয়ে আছে। এই নাফিসাকে ও খুব ভাল করে চিনে। তাই ওকে আর কিছুই করতে হবে না। যা করার নাফিসাই করবে।


– আমি আমার রুপকে সামনে দেখছি অহ মাই গড আমি পাগল হয়ে যাব বলেই দৌড়ে এসে রুপকে জড়িয়ে ধরলাম। আমি ওকে একটার পর একটা কিস ♥♥♥ ♥ করতে থাকি।
– নাফিসা নিজেকে কন্টোল কর…. আমরা অন্য জায়গায় আছি। বাসায় গিয়ে সব হবে।
– আমি রুপ কে ছাড়তে নারাজ যাই যে ভাবুক আমার কিচ্ছু যায় আসেনা। আমি ওকে জড়িয়েই কাঁদতে লাগলাম।
– নাফিসা আমরা বাসায় যাই! এখানে তোমার শুকরা জ্বীন দাদু আছে। তাই বড়দের সম্মান করতে হয়।
– আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে শুকরা জ্বীনের কাছে এলাম।
– আম্মা এবার আমারে চিনতে পারছেন?
– চিনতে পারবোনা কেন? আমার কি এমন হয়েছিল যে চিনতে পারবনা?
– রুপ! ওর অতীত সুষে নিয়ে এই বর্তমান ওকে দেওয়া হয়েছে। ছোটখাটো কাজ এখন তোমাকে করতে হবে।

– ওকে বলেই নাফিসাকে নিয়ে বাসায় চলে আসল রুপ।

– নাফিসাকে দেখে তো বাসার সবাই অবাক। এ এখানে থাকলে ও কোথায়।
– কার কথার কি জবাব দিবে রুপ। পাগল হয়ে যাচ্ছে।
– ওকে সবাই চুপ কর আমি বলছি বলেই রুপ সব ঘটনা খুলে বলল।
– যা হোক সবাই খুব খুশি হয়ে গেল।
– কিন্তু নাফিসার মাথার ভিতর দিয়ে কিছুই ঢুকছেনা।
– আমরা রুমে এসে দেখি ট্রী টেবিলে রুপের সাথে একটা মেয়ের ছবি। যে রুপকে জাপটে ধরে গালে কিস দিচ্ছে।
– রুপ এটা কে?
– আমার আগের গার্লফেন্ড….. কি করবো তুমিতো আমাকে ছেড়ে গেছ তাই ওকে আমার প্রয়োজন ছিল।
– আমি কোন দিক থেকে তোমাকে অসুখী রাখছি যে তোমার গার্লফেন্ডের প্রয়োজন হইছে বলেই দরজা নক করে রুপের দিকে তাকালো।
– সেটার কোন কমতি নাই কিন্তু তুমিতো ছিলানা আমার কাছে। আমারও তো একটা শারিরীক চাহিদা বলে কিছু আছে তাই না নাফিসা।
– এবার নাফিসা ওর শরীরে সব পোষাক খুলে রুপের সামনে এসে দাড়িয়ে আমার কোন দিকটা খারাপ যে তুমি অন্য মেয়ের কাছে গেছ কাঁদো কাঁদো সুরে।
– রুপ নাফিসা দিকে তাকিয়ে বলল কি বলছো সব…. পোষাক পরে নাও বলেই মুচকি হাঁসি দিল।
– দাড়াও চাহিদা মিটাচ্ছি বলেই রুপের দিকে ঝাপিয়ে পরে নাফিসা।
– ইয়েস রুপ এই নাফিসাকেই চায়। যা আজ পেয়ে গেল। মেঘ না চাইতেই যেমন বৃষ্টি।
চলবে……………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here