ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ১৯

0
657

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৯




– নাফিসা………..! I am right……(রুপ)
-Yes……But who are you?
– রুপের কাছে এর কোন প্রশ্নের জবাব নাই…… কি বলবে।
– রুপ নাফিসার একদম কাছে গিয়ে বলল সব ভুলে যেতে পারো অনুভূতি গুলো কেমনে ভুলবা নাফিসা?
-What?




– রুপ আর কিছু না বলে চলে যায়।
– আমিতো just অবাক হয়ে গেছি ছেলেটা কে! এভাবে কথা কেন বলছে?



– রাফসান জলদি যোগাযোগ করে এই পিকচার গুলো কোন কোম্পানি প্রদর্শন করছে!
– একটা স্টাফ ঠিকানা দিয়ে বলল স্যার এখানেই আছে।
– রাফসান সবাইকে নিয়ে একটা অফিস কক্ষে নক করতেই একজন দরজা খুলে দিয়ে বলল কাকে চান?
– রাফসান কার্ড দিয়ে বলল ওনার সাথে দেখা করব।
– ওকে আমি স্যারের সাথে কথা বলে আসছি।



– আমি বললাম রাফসান এখানে কেন এসেছো?
– দরকার আছে বলে ও ঘেমেই যাচ্ছে…….
– রাফসান তুমি ঠিক আছো?
– Yes….




– অলিভিয়া আমাকে এসে বলল নাফিসা এই জায়গাটা আমাদের জন্য সেভ না এখান থেকে এখুনি চল। বলেনা যার শত্রু সে ভাল করে ওর বিপদ বুঝতে পারে। রুপ একজন ভ্যাম্পায় আর অলিভিয়া একজন ভেরী। ২ জনের মধ্য জাত শত্রু।



– এমন সময় একটা ছেলে এসে বলল আসুন ভিতরে……
– রাফসান আমাদের নিয়ে অফিস রুমে ঢুকে। এমন সময় নেগার বলল মম আমার এখানে ভাল লাগছেনা বলেই কান্না করতে লাগল। আমি বাধ্য হয়ে একটু দুরে বিপরীত দিকে অবস্হান করে জানালা দিয়ে ওকে মানুষ গাড়ি এসব দেখাচ্ছি।




– রুপকে দেখে অলিভিয়া অস্থির হয়ে যায়……. মার্ক শেষে অলিভিয়ার হাত ধরে ওকে শান্ত করে।
– আপনারা দাড়িয়ে আছেন কেন? বসুন সবাই…….
– রাফসান বসে বলল একটা printing দেখলাম। আপনি সেটা কোথায় থেকে কালেকশন করেছেন?




– রুপ কিছুক্ষন রাফসানের দিকে তাকিয়ে বলল কারো অপেক্ষায় ছিলাম তাকে দেখানোর জন্য এটা আমি প্রদর্শন করেছি। কাজ কমপ্লিট তাই আবার ওটা নামিয়ে রাখা হয়েছে।
– সেটা বুঝলাম কিন্তু আপনি পিক কোথায় পেলেন?
– আশ্চার্য ……She is my wife……… 8 years ago
She marride me……..
– রাফসান অবাক হয়ে বলল আপনি পাগল হয়ে গেছেন? সে আপনার স্ত্রী হবে কিভাবে?
– আপনি যা শুনেছেন সেটাই সত্য……..
– অসম্ভব এটা হতেই পারেনা। আমি বিশ্বাস করিনা…. কোন প্রুভ আছে।
– আমি আপনাকে প্রুভ দিতে বাধ্য নয় মি. রাফসান….
– রাফসান টেবিলে একটা চাপড় দিয়ে বলল তাহলে আপনি কেন অযৌক্তিক কথা বলছেন বলে বের হয়ে গেল রুম থেকে ওর মেয়েকে নিয়ে……..




– এবার অলিভিয়াকে আর আটকাতে পারেনা মার্ক…. অলিভিয়া এক নিমিষেই ওর রুপ ধারন করে রুপের দিকে তাড়িয়ে যায়।
– রুপের কাছে আসতেই এক অদৃশ্য শক্তি এসে অলিভিয়াকে ছিটকে ফেলে দেয়।
– একটা শব্দে আমি পিছন ফিরে দেখি অলিভিয়া পরে আছে আর ব্যাথায় কুকড়াচ্ছে।
– আমি নেগার কে কোল থেকে নামিয়ে অলিভিয়ার কাছে দৌড়ে গিয়ে ওকে গিয়ে তুলি।
– মার্ক সাথে সাথে বিশাল সাপ হয়ে রুপের সামনে দাড়ায়……..




– উমম্…..হুম মার্ক ভুলেও আমার কাছে আসার চেষ্টা করোনা তানাহলে তোমার স্ত্রীর থেকেও হাল বহুত খারাপ হয়ে যাবে তোমার……. এত্ত শক্তির দম্ভ কাউকে দেখাতে নেই…. যেটা তোমার স্ত্রী দেখিয়েছে। আস্তে ধীরে সুস্থে তোমাদের আমার সাথে কথা বলা উচিত ছিল।
– আমি অলিভিয়াকে তুলে রেগে যাই। আমার চোখ দিয়ে আগুনের শিখা আস্তে আস্তে জলতে শুরু করে দেয়।



– এমন সময় রুপ মিষ্টি স্বরে নাফিসা বলে ডেকে ওঠে সাথে সাথে আমি ফ্রীজ হয়ে যাই। আমার শক্তি আর ব্যবহার করতে পারছিনা। এটা আমার সাথে কি হচ্ছে। আমার শক্তি কেন কাজ করছেনা বলেই ছেলেটির দিকে তাকায়।



– উফ্ এটাতো সেই ছেলে……. এই তুমি এখানে বলেই তেড়ে ওর কাছে যেতেই রুপ হাত ধরে ফেলে নাফিসার।
– আমি ছটফট করছি কিন্তু ছেলেটি ছেড়ে দেওয়ার কোন নাম নাই।
– ছাড়ুন বলছি……… তাছাড়া এর পরিনিতি কিন্তু ভাল হবেনা।
– কি করবা শুনি!
– আপনাকে খুন করব……
– কর…. আমি কি নিষেধ করেছি নাকি?
– উম্ ছাড়ুন বলেই একটা ধাক্কা দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেই।



– আপনি অত্যাধিক সুদর্শন একজন বিখ্যাত বজ্জাত মানুষ।
– আর তুমি বান্দরনীর মাপকাঠি সাথে ওর কলকাঠিও ……. বান্দরনী চিনো? নিজেকে আয়নার সামনে দাড় করালেই দেখতে পাবে।
– কিহ্ আমি বান্দর!
– না তো! তুমি বান্দর হতে যাবা কেন? তুমিতো মহিলা বান্দর………
– উমহ্ বলেই হাত উচিয়ে তুলতেই মার্ক এসে আমাকে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসে।




– রাফসান হটেলে এসে নানান চিন্তার মধ্য পরে যায়। মারিয়াম শেষবার ওকে বলেছিল নাফিসার বর্তমানের জন্য ওর রকম হাজার টা অতীত রাফসানকে কুরবানী দিতে একবার ভাববে না। তাহলে মারিয়াম এই বর্তমানের কথা বলেছিল!
– এই জন্য নাফিসার মধ্য এতটা পরির্বতন দেখেছিলাম। কিন্তু ও তো কিছু বলেনি…….. না না সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।




– আমি তো রাগে গালি গালি দিতে আসছিলাম….. বজ্জাদ, ফুটো কলসি, হুনমান, শিম্পাঞ্জী, কলা গাছের মোথা, আবাল বলে কিনা আমি মহিলা বান্দরনি।
– নাফিসা চুপ করনা…… সবাই আমাদের দিকে তাকাচ্ছে।
– তাকানো মাই ফুট বলেই চিৎকার করে উঠলাম। এর শোধ যদি না নিছি আমার নামও নাফিসা নয় বলে চলে আসলাম।
– আমার ক্ষেপে যাওয়া দেখে নেগার ভয়ে চুপ করে আছে। মম তুমি আমাকে মারবা?
– আমি এবার শান্ত হয়ে বললাম না মা আমি তোমার উপর কেন রাগব বলে অলিভিয়ার কাছ থেকে ওকে নিয়ে হোটেলে চলে আসলাম।




– হোটলে এসে দেখলাম রাফসানের বউ সুমি রাফসেনের পাশে বসে আছে। ও কোথা থেকে জুটল!
– আমি মুচকি হেসে বললাম আপনি এসে বেশ ভালয় করেছেন।
– সুমি আমার দিকে তাকিয়ে আর কোন কথা বলল না।
– না বলুক আমার তাতে কি……… I don’t care.




– নাফিসা রুপ আমাদের বিষয়ে সব কিছু জানেরে(অলিভিয়া)
– রুপ কেটাই?
– ঐ ছেলেটার নাম।
– অহ এত সুর্দশন বলেই বাবা মা রুপ নাম রাখছে।
– সে যাই হোকনা কেন…… কিন্তু ও আমাদের বিষয়ে কেমনে জানে?(মার্ক)




– সেটাই বুঝতে পারছিনা। রুপ অনেক শক্তিশালী একটা ভ্যাম্পায়ার জ্বীন। তোর শক্তিও কাজে লাগছেনা।
– হুম সেটাই চিন্তার বিষয়…… আমরা এখানে এসে ভুল করলাম না তো?
– সেটাই ভাবছি………(মার্ক)
– তোকে লুকিয়ে থাকতে হবে নাফিসা এভাবেই। এই জায়গাটা তোর জন্য সেভ।
– কোন থাকার দরকার নেই ও আমাদের সাথেই ফিরে যাবে।(অলিভিয়া)




– রুপ ছাদে দাড়িয়ে আছে আর নাফিসার কথা ভাবছে। মারিয়াম ওর কথা রেখেছে। ও জিবিত থাকতে নাফিসাকে রুপের কাছে আসতে দেয় নি। মারিয়াম সব কিছু তছনছ করে দিয়ে গেছে। পুরোটা নাফিসাকে চেঞ্জ করে দিয়ে গেছে…….. একে কি আগের নাফিসাতে ফিরিয়ে আনতে পারব?
– রুপ ছাদে কি করছো একা?(লুসি)
– কি করছি সেটাতো দেখতেই পারছো……..
– তুমি সবসময় আমার সাথে এভাবে কেন কথা বল?(লুসি)
– লুসি বিরক্ত করনাতো আমার কিছু ভাল লাগছেনা বলে রুপ চলে আসতেই লুসি রুপের হাত ধরে বলে রুপ I love you♥
– স্যরি লুসি আমার একজন প্রিয় মানুষ আছে আর তার জন্য আমি দীর্ঘদিন অপেক্ষায় আছি……. তাই আমাকে নিয়ে না চিন্তু করে নিজের রাস্তা ধর…..




– রুপ ৭ বছর ধরে একই কথা তোমার মুখ দিয়ে শুনছি…… কাউকে দেখেওনি। তাহলে কেন মিথ্যা বলছো?
– আমি আমার পার্সোনাল লাইফ কারো সাথে শেয়ার করি না….।
– কিন্তু আমি তোমার কাছে অন্য কোন মেয়েকে কখনো আসতে দিবনা বলেই লুসি রুপকে জড়িয়ে ধরে।
– রুপ লুসিকে এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে বলল আগাছা কেমনে পরিষ্কার করতে হয় সেটা আমি খুব ভাল করে জানি লুসি। তাই আমাকে চটিও না বলেই রুপ দ্রুত নিচে নেমে গেল।
– লুসি রাগে ক্ষোভে চিৎকার দিয়ে বলল রুপ আমি ছাড়া তোমার জিবনে ২য় কোন নারীকে কখনই আসতে দিবনা।





– রাফসান সেই কখন থেকে চুপ করে বসে আছে। সুমি গিয়ে রাফসানের পাশে গিয়ে বসে বলল তোমার কিছু হয়েছে রাফসান?
– রাফসান রাগী দৃষ্টিতে সুমীর দিকে তাকিয়ে বলল তুই আমার জিবন নষ্ট করে দিয়েছিস……. নিজের সুখের জন্য আমাকে পুরাই শেষ করে ফেলেছিস।
– সুমি রাফসানের এই লুক দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায় আর ওখান থেকে নাফিসার রুমে আসে।



– সুমি কিছু বলবেন?
– সুমি নাফিসার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
– আমিতো জাষ্ট অবাক…… সুমি আপনি ঠিক আছেন তো?
– নাফিসা সত্যি করে বলবা রাফসানের সাথে কি তোমার বিয়ে হয়েছে?
– What! কি পাগলের মত প্রলাপ বকছেন? রাফসানের সাথে আমার বিয়ে হবে কেমনে?
– সুমি চুপ করে গেল……. তার মানে রাফসান মিথ্যা বলেছে!
– কি হল সুমি চুপ কেন! কথা বলুন?
– আমার আর রাফসানের মধ্য ভাল সম্পর্ক নেই। আমার কাজিনের সাথে ওর সম্পর্ক ছিল। তারপর আমার সাথে বিয়ে হয়। ও আমার কাজিনকে এখনও ভুলতে পারেনি তাই আজও আমায় মেনে নিতে পারেনি। আমায় ছুয়ে অবদি দেখে না।





– আপনি এককাজ করুন সুমি রাফসানকে কাল সকালে নিয়ে যান বাসায়……. দেখি আমি রাফসানকে বুঝিয়ে সব বলছি। তাছাড়া ওর মন হয়ত ভাল নেই। সকাল থেকে খুব টেনশনে ভুগছে ও।
– সুমি কথা গুলো শুনে রুম থেকে চলে গেল।
আজব মানুষ তো যে চায়না তার কাছে বার বার ছুটে যায় আর যে চায় তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়।




-কায়িফ তার বোতল বন্দী জিবন থেকে মুক্তি পেয়েছে মারিয়ামের জিবন সমাপ্তি ঘটার সাথে সাথে। রাগ আর প্রতিহিংসায় জ্বলজ্বল করছে ওর ২ টি চোখ। আমি আসছি প্রস্তুত থাকো বলেই ও ভ্যানিস হয়ে যায়।



– আমি রাফসানকে অনেক বুঝিয়ে সুমির সাথে যেতে বাধ্য করলাম সকালে। বললাম আমাদের কিছু প্রয়োজন হলে অবশ্যই তোমাকে জানাবো……..
– রাফসান চলে যাওয়ার পর আমি রুমে এসে বসে আছি। মার্ক এসে বলল সব কিছু খুব জটিল লাগছে রে। আমাদের মনে হয় ফিরে যাওয়া উচিত। তাছাড়া এই জায়গাটা আমাদের কাছে সম্পূর্ন অপিরিচিত।




– হুম ঠিকি বলেছিস। কবে যাব তাহলে আমরা?
– দেখি ২/১ দিন পর হয়ত………(মার্ক)
ওকে….



– পুরোটা দিন আমাদের ওভাবেই চলে গেল। রাতে ঘুমাইছি এমন সময় বাজে একটা দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। খুব অস্বস্তি লাগছিল। নেগার পাশেই ঘুমিয়ে আছে। বিছানা থেকে উঠে বেনকুনিতে এসে দাড়িয়ে আছি। এমন সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল। আমার ভিষন ভাল লাগছিল। হঠাৎ মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চেপে গেল। এক নিমিষেই ভ্যানিস হয়ে নিচে নেমো এসে রাস্তায় নামলাম। বৃষ্টিতে তখন চারদিকে একাকার।




– আমি বৃষ্টিতে হাঁটছি আর ভিজছি। এমন সময় পিছন থেকে কেউ ডাক দিল……… পিছন ঘুরে দেখি অলিভিয়া।
– তুই!
– হুম আমি…….. কেন কোন সমস্যা?
– আরেহ না আয় একসাথে ভিজি……
– ভিজতেই তোহ আসছি সাথে জন্মের মত ভিজাতেও
– কিছু বললি?
– আরেহ না….. চল বলেই আমার হাত ধরে রাস্তায় হাটতে লাগল।।




– অলিভিয়া তুই কেমনে জানলি আমি এখানে?
– অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তোকে খুঁজতে…….
– অনেক কষ্ট হয়েছে মানে……. এভাবে কথা বলছিস কেন অলিভিয়া?
– কই নাতো…….. তোর সাথে ফ্যান করছি…. চল ওদিকটাই যাই বলে আমাকে নিয়ে রাস্তা থেকে নেমে একটা জঙ্গলের দিকে নিয়ে যেতেই আমি বললাম ওদিক কেন যাচ্ছিস?
– তোকে একটা জিনিস দেখাব আয়(অলিভিয়া)
– কি?
– আয় না……. এত্ত কথা বলিস কেন আসতে বলছি আয়।
– রাস্তা থেকে অনেক দুর নিয়ে এসেছে……… আর কতদুর?

– আর বলেই অলিভিয়া ভ্যানিস হয়ে গেল…… আমি অবাক হয়ে সামনে দেখি কে যেন দাড়িয়ে আছে। আমি বুঝতে পারলাম কারো ফাঁদে আমি পা দিছি। আমি চোখ বন্ধ করতেই অলিভিয়া আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয়। আমি চোখ খুলে পিছন দিকে তাকাতেই একটা হাত আমার ঘাড়ে স্পর্শ করে আর আমি সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।





– রুপ ধপ করে ঘুম থেকে উঠে পরে নাফিসা বলে। ইয়েস ও ভাল নেই বলেই রুপ চোখ বন্ধ করে নাফিসাকে খুঁজার চেষ্টা করল। কিন্তু না কোন এক শক্তি শালী অদৃশ্য শক্তি বার বার আঘাত করছে রুপকে তাই কোন খোঁজ পাচ্ছেনা। শেষে রুপ ওর হাঁত কেটে ফেলে এবং কয়েক ফোটা রক্ত ঝর ঝর করে বের হয়েই শূন্যতে ভাঁসতে লাগল। রুপ আদেশ দিল নাফিসা যেখানেই থাকুক না কেন ওর সামনে জলদি সম্মুখ হও। রক্ত গুলো চোখের পলকেই ভ্যানিস হয়ে গেল। নাফিসাকে খোঁজার হাজার হাজার পন্থা আছে রুপের তাই এগুলো করা ওর জন্য কোন ব্যাপারই না বিশেষ করে মারিয়াম মারা যাওয়ার পর কাজগুলো আরও সহজ হয়ে গেছে। নাফিসার শক্তি, অতিত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ সব রুপের জানা আছে যা আর কারও ওর সম্পর্কে জানা নেই।





– নেগার নাফিসাকে বিছানায় না পেয়ে মম…… মম বলে ডাকতে থাকে কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে করতে ডাকতে থাকে।
– নেগারের কান্নার শব্দে মার্ক ঘুম থেকে উঠে অলিভিয়াকে ডাক দিয়েই নাফিসার রুমে গিয়ে দেখে নেগার কাঁদছে।
– নেগার কাঁদছো কেন মা……..!
– আঙ্কেল মম নেই বলে মার্কের কাছে আসে। মার্ক নেগার কে কোলে নিয়ে বলল চলে আসবে জলদি তোমার মম কেঁদনা…… কিন্তু নেগার কোন কথাই শুনছে না ।
– অলিভিয়া এসে বলল কই ওকে তো সব জায়গায় খুজলাম পেলাম না তো?



“”
– মার্ক নেগারকে ওর কোলে দিয়ে বলে আমি আসছি।
– তুই কই যাচ্ছিস…….. আমি তোকে একা যেতে দিবনা।
– অলিভিয়া নেগারকেও একা রেখে যাওয়া ঠিক না আর আমার সমস্যা হবেনা বলেই মার্ক ভ্যানিস হয়ে গেল।
-অলিভিয়া ছল ছল চোখে নেগারকে নিয়ে বসে পড়ল।





– ২ টা প্রজাপতি জ্বীন যাদের ডানা প্রজাপতির আকার আর দেখতেও বিশাল। একজন বলল মালিক বলেছে একে যেখানেই পাব সেখানেই মেরে ফেলতে কোন বিলম্ব না করতে।
– এমন সময় কয়েক ফোটা রক্ত নাফিসার সামনে ভাসতে থাকে। জ্বীন গুলো বলল এটা আবার কি বলতেই রক্ত গুলো নাফিসার শরীরে প্রবেশ করে।





– এই জলদি কর এর অনেক শক্তি…… কখন কি করতে কি করে বলেই একটা ছুড়ি মায়া বলে হাজির করে ওরা।
– কিরে কি করছিস……….. এমন কথা শুনে জ্বীন ২ টি পিছন ঘুরে দেখে একটা অপূর্ব সুন্দর ভ্যাম্পায়ার ২ টি পাখা মেলে দাড়িয়ে আছে ওদের সামনে। যার চোখ ২ টি রাগে আগুনের মত জ্বলছে।





– এই তুই কেরে?
– তোদের বাপ……..
– আমাদের বাপ! বলেই ওরা খিট খিট করে হেঁসে উঠল।
– রুপ একটা হুংকার ছেড়ে বলল বাপের রাজ্যতে এসে মাকে কেই ধরে মারার চেষ্টা করবি আর আমি তোদের এই কাজগুলো দেখে আঙ্গুল চোষব?
– এই ভাল চাসতে সর এখান থেকে তাছাড়া তোকেও আজ বলি দিব ওর সাথে।
– নাফিসার গায়ে হাত দেওয়ার মত দুঃসাহস তোদের কে দিল বলেই রুপ এক লাফে ওদের এক জ্বীনের কাছে এসে ওকে পাখা দিয়ে আঘাত করে……….
জ্বীন টিও ছিটকে পরে যায়।
– অপর জ্বীনের টুটি চেপে ধরে ওকেও একটা আছাড় দিল রুপ।
– রুপ এত্ত শক্তিশালী যে ওরা কিছু বোঝার আগেই ওদের এ্যাটাক করে নাস্তানাবুদ করে ফেলে।





– মার্ক দুর থেকে কান্ডগুলো দেখে নাফিসার কাছে চলে আসে এবং বসে পরে।
– নাফিসা নিজের মধ্য আর নেই দেখে মার্ক ওর মায়া বিদ্যা দিয়ে নাফিসাকে স্বাভাবিক করতেই নাফিসা রাগে জ্বলে ওঠে আর চোখের পলকে ঐ জ্বীনদের মধ্য এক জ্বীনের গলা চিপে ধরেই হা করে। আর ওর মুখ দিয়ে আগুন বের হয়ে এসে জ্বীনকে পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেয়। এটা দেখে অপর জ্বীন থরথর করে কাঁপতে শুরু করে কিন্তু ঐ জ্বীনটিও রেহাই পায়না নাফিসার হাত থেকে। সব কিছু এক নিমিষেই চোখের পলকে করে ফেলে নাফিসা……. যেন কাজ গুলো করা ওর হাতের ময়লা ঝাড়ার মত।




– রুপ এসে ফটাফট ২ টা চড় মারে নাফিসার গালে এতে নাফিসা আরও রেগে গিয়ে রুপকে আক্রমন করে বসে……………..যা ছিল ওর জিবনের সব থেকে ভুল সির্ধান্ত।

চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here