#দ্বিতীয়_সূচনা
#পর্ব_৫১
লেখা – আফরোজা আক্তার
(কোনোক্রমেই কপি করা যাবে না)
আননোন নাম্বার থেকে ফোন। হাসান ব্যস্ততার মধ্যে থাকায় রিসিভ করতে পারেনি। ফোন ব্যাক করার মতো সিচুয়েশনেও ছিল না। লাঞ্চ আওয়ার পড়লে ছুটে যায় বাড়ির দিকে। সেখানে মিলি তার জন্য অপেক্ষায় থাকে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মিলির সঙ্গে দেখা করে অফিসে ফিরে এসে কাজে মন দেয় হাসান। মিলির পাসপোর্ট রেডি হচ্ছে। সব কিছু ঠিকমতো থাকলে সামনের মাসে তারা দু’জন ইন্ডিয়া যাবে। সেখানে মিলির চিকিৎসা করাবে। কম্পিউটারে চোখ রাখতেই ফোনটা আবারও বেজে ওঠে। এবার রিসিভ না করলেই নয়। হাসান ফোন রিসিভ করে।
‘হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।’
সালামের জবাবের পরিবর্তে ওপাশ থেকে নীরবতা ভেসে আসে। হাসান আবারও বলে,
‘কে বলছেন?’
‘নাম না বললে চিনতে পারবেন না?’
কন্ঠস্বরটা ধরতে না পেরে হাসান আবারও প্রশ্ন করে,
‘কে বলছেন?’
‘আমি সাজি বলছিলাম।’
‘সাজি!’
অনেকটা অবাক হয় হাসান। অসময়ে তাকে ফোন করেছে। কারণ কী?
‘সাজি, হঠাৎ তুমি ফোন দিলে?’
‘কেন, দিতে পারি না?’
‘নাহ, তা না। এর আগে তো কখনও ফোন দাওনি। তাই আর কি?’
‘এর আগে ফোন দিলে কি আপনি খুশি হতেন?’
সাজির কথাগুলো ভালো লাগছে না তার। এমনিতেই তার অনেকদিক সামাল দিতে হচ্ছে। তার উপর সাজি নামক প্যারা নতুন করে ঝামেলা করছে।
‘বলো, কী বলবে? বাসায় সবাই কেমন আছে? অয়নি কেমন আছে?’
‘সবাই ভালো আছে। আপনি কি ব্যস্ত?’
‘হ্যাঁ। অনেকটা।’
‘ওকে। কাজ করুন। এটা আমার নাম্বার। পরবর্তীতে ফোন দিলে বলবেন না যেন যে, আমি কে?’
‘তুমি কি কিছু বলতে চাও?’
‘বলার তো অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সুযোগ নেই।’
‘ভালো থাকো তাহলে।’
আর কোনো কথা না বলে ফোন রেখে দেয় সাজি।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বন্দনাকে নিয়ে ভাবছে অয়নন্দিতা। বন্দনার এইভাবে হুট করে সামনে চলে আসাটা তাকে ভাবাচ্ছে। ফারহানের কাছ থেকে আরও শুনেছে বন্দনার হাজবেন্ড অন্য লোকের মাধ্যমে ফারহানদের সাথে কাজ করছে। সবটাই তাকে ভাবাচ্ছে। কোনো বড়ো বিপদ হবে না তো?
চলবে……………………
[বিঃদ্রঃ দুঃখিত। অল্পতেই আজ মানিয়ে নিন। আগামীকাল বড়ো করে দিব।]