জীবন সাথী💜 পর্ব-৩২

0
1683

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৩২.
~
হলুদ শেষে নিজের রুমে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে অনু।মুখ ভর্তি তার হলুদ।তিহা,রিহান আর রুমি সহ অনুর যত কাজিনরা ছিল সবাই ওকে হলুদ দিয়ে ভুত বানিয়ে ফেলেছে।অনু একটা টিস্যু নিয়ে হালকা করে হলুদ গুলো তুলছে।তখনি দরজা ঠেলে আরাফ রুমে এল।আরাফ অনুর সামনে এসে দাঁড়াতেই অনু অবাক চোখে আরাফের দিকে তাকায়।আরাফের মুখেও অনেক হলুদ মাখা।মুখে মিষ্টি একটা হাসি ফুটিয়ে তুলে আরাফ অনুকে বলে,
”সবাই তো হলুদ দিলো কিন্তু আমি তো দিলাম না।”

আরাফের কথা শুনে অনু হালকা হেসে বলে,
”আপনারও দিতে হবে?এমনিতেই হলুদ দিয়ে আমাকে ভুত বানিয়ে দিয়েছে।এখন আপনি আবার হলুদ দেয়ার কথা বলছেন!”

আরাফ মুখে দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে,
”হুম অবশ্যই;সবার হলুদ দেওয়া শেষ এখন আমার পালা।”
.
কথাটা বলে আরাফ অনুর আরো কাছে গিয়ে তার কোমর জড়িয়ে ধরে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে।আরাফের এতটা কাছে এসে অনুর ভীষণ অস্বস্তি লাগছে;অনু চোখ তুলে আরাফের দিকে তাকিয়ে দেখে আরাফ অদ্ভুত দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে।আরাফের এমন শান্ত দৃষ্টি অনুর নিশ্বাস ভারী করে তুলছে।আরাফের চোখে অন্যরকম মাদকতা আছে।আরাফের চাপ দাড়িগুলোতে হলুদ মেখে একাকার হয়ে গেছে;অনুর কাছে মনে হচ্ছে এই হলুদ গুলো যেন আরাফের মুখের সৌন্দর্যটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।বেশ কিছুক্ষন আরাফের দিকে তাকিয়ে থাকার পর অনু কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,
”স্যার ছাড়ুন।”

”উহু আগে আমি হলুদ লাগাবো তারপর ছাড়বো।”

আরাফের মিহি কণ্ঠ শুনে অনু আর কিছু বলতে পারেনা।এমনিতেই আরাফের এতো কাছে আসায় বেচারির দম যায় যায় অবস্থা তার উপর আরাফের এই ঘোরলাগা কণ্ঠ অনুকে পাগল করে তুলছে।আরাফ অনুর গালের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার গালের হলুদগুলো আলতো করে ঘষে অনুর গালে লাগিয়ে দেয়।আরাফের দাড়িগুলোর খোঁচা লাগতেই অনু আরাফের পাঞ্জাবির কলারটা খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেলে।আরাফ এমন করে অনুর পাশের গালেও হলুদ লাগিয়ে দেয়।আর অনু তো এইদিকে পুরো ফ্রিজড।সে বুঝতেই পারেনি আরাফ তাকে এইভাবে হলুদ লাগবে।হলুদ লাগানো শেষে আরাফ অনুর দিকে তাকিয়ে দেখে অনু এখনো আরাফের পাঞ্জাবি খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে।আরাফ এবার মুচকি হেসে বলে,
”আমার হলুদ লাগানো তো শেষ মিস.টমেটো।এবার আপনি ছাড়ুন আমায়।”

আরাফের কথায় অনু জলদি চোখ খুলে আরাফকে ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়ায়।তারপর বড় বড় কয়েকটা নিশ্বাস নিয়ে বলে,
”আপনার হলুদ লাগানো শেষ হলে আপনি এখন যান।”

অনুর অস্থিরতা দেখে আরাফ হালকা হেসে বলে,
”জ্বি ম্যাডাম যাচ্ছি।আবার কাল দেখা হচ্ছে।আল্লাহ হাফেজ।”

কথাটা বলে আরাফ বেরিয়ে যায়।আরাফ যেতেই অনু সস্থির নিশ্বাস ফেলে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে ফ্রেশ হওয়ার জন্য।
.
”রিহান প্লিজ হাতটা ছাড়;কেউ দেখে ফেললে কি হবে বলতো?”

রিহান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে,
”না জানি না আর জানতেও চাই না।এই তিহু চল না আমরাও বিয়েটা করে ফেলি।অনু আর আরাফ স্যারের বিয়ে দেখে আমারও খুব বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে।”

রিহানের কথা শুনে তিহা ভেংচি কেটে বলে,
”হুম তো করনা আমাকে কেন বলছিস।”

রিহান তিহার হাতটা আরো শক্ত করে আকড়ে ধরে ওকে নিজের কিছুটা কাছে এনে বলে,
”আচ্ছা চল তাহলে।এখনি বিয়েটা সেরে ফেলি।তারপর বাসর,,,”
রিহানকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তিহা চিৎকার দিয়ে বলে,
”এই চুপ চুপ!এবার বেশি বলে ফেলছিস।শোন আমার ঘুম আসছে আমি ঘুমাতে গেলাম।”

কথাটা বলে তিহা এক ঝটকা দিয়ে রিহানের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে ছাদ থেকে দৌড়ে নিচে নেমে যায়।আর রিহান ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে তিহার কর্মকান্ড দেখে হাসতে আরাম্ভ করে।
.
.
ঘুমের মধ্যে অনুর মনে হচ্ছে কেউ যেন তার হাত পা ধরে টানছে।অনু বিরক্তি নিয়ে ব্রু কুঁচকে চোখ খুলে দেখে তিহা আর রুমি ওর দুই পা আর ওর দুটা কাজিন ওর দুই হাত ধরে টানছে।এদেরকে এইভাবে দেখে অনু চিৎকার দিয়ে বলে,
”কি হচ্ছে এসব?”

অনুর চিৎকার শুনে সাথে সাথে তারা চারজন অনুর হাত পা ছেড়ে দেয়।অনু ধরফরিয়ে উঠে বসে তাদের চার জনের উপর ক্ষিপ্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,
”কি শুরু করলি তোরা?সকাল সকাল কি আমার লাথি খেতে মন চাইছে তোদের?”

অনুর রাগ দেখে রুমি বোকা মার্কা একটা হাসি দিয়ে অনুর পাশে বসতে বসতে বলে,
”আসলে দোস্ত তোকে অনেকক্ষন যাবৎ আমরা ডাকছিলাম কিন্তু তুই তো উঠছিলিই না তাই এইভাবে তোর ঘুম ভাঙালাম।আমরা কত মহান একটা কাজ করলাম বলতো;তুইই বল তোর যদি আজকে উঠতে লেইট হতো তাহলে তোর ফ্রেশ হতেও লেইট হতো;ফ্রেশ হতে লেইট হলে তোর পার্লারে যেতেও লেইট হবে আর পার্লারে যেতে লেইট হলে পার্লার থেকে ফিরে আসতেও লেইট হবে আর ফিরে আসতে লেইট হলে উমমম!”
রুমিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে অনু রুমির মুখ চেপে ধরে বলে,
”হয়েছে হয়েছে আমার মা তুই এবার চুপ কর।আমাকে তাড়াতাড়ি জাগিয়ে দিয়ে তোরা অনেক বড় উপকার করেছিস।এর জন্য তোদেরকে নোবেল দেওয়া হবে।এবার তুই খুশি তো?”

রুমি মুখ থেকে অনুর হাতটা সরিয়ে দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে,
”হুম খুব খুশি।এবার তুই ও তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।নাস্তা শেষে আমরা সবাই পার্লারে যাবো।”
.
সাজ শেষে অনু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।একটা গাঢ় লাল রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে অনু।সাথে ম্যাচিং জুয়েলার্স।অনু তার দুপাট্টার এক পাশ মুঠো করে ধরে ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে একটা মিষ্টি হাসি দেয়।তখনি তার আরাফের কথা মনে পড়ে।আরাফকে আজ কেমন লাগবে সেটাই ভাবছে অনু।আরাফের কথা ভাবতেই কাল রাতে আরাফের হলুদ লাগানোর কথা তার মনে পড়ে যায়।সঙ্গে সঙ্গে লজ্জায় অনু মাথা নিচু করে মুচকি হাসে।
.
অনুকে নিয়ে সবাই কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর ঢুকে।অনু মাথা নিচু করে ধীর পায়ে হেটে চলছে।তাকে একটা রুমে রাখা হলো।ধীরে ধীরে সব মেহমানরা অনুর কাছে আসে;সবাই যার যার মতো ছবি তুলায় ব্যাস্ত!অনুর আসে পাশে মানুষ গিজ গিজ করছে এতে করে তার কেমন যেন অস্বস্থি লাগছে।তখনি একটা পিচ্চি মেয়ে রুমে দৌড়ে এসে বলে যায়;বর এসেছে;বর এসেছে।
.
বর এসেছে কথাটা কানে যেতেই অনুর অস্থিরতাটা দ্বিগুন হারে বেড়ে যায়।অনুকে রেখে তিহা রুমি সহ অনুর সব কাজিনরা বরকে বরণ করতে চলে যায়।আর অনু সেখানে চুপচাপ বসে থাকে।
.
কিছুক্ষন বাদে সবাই আবার অনুর রুমে ফিরে আসে।রুমির হাতে অনেক গুলো টাকা।অনু বুঝতে পারে গেইট ধরার টাকা।রুমি টাকা গুলো তিহার হাতে দিয়ে বলে,
”নে দোস্ত এবার এগুলো আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে দে।”

তিহাও রুমির কথা মতো টাকা গুলো আলাদা করে ভাগ করতে থাকে।রুমি অনুর পাশে বসে হেসে বলে,
”জানিস অনু আমাদের জিজুটা যা ভালো না। আমরা যত চেয়েছি আমাদের ততই দিয়েছে।আর জানিস দোস্ত স্যারকে আজ যা লাগছে না।ডার্ক রেড কালারের একটা শেরোয়ানি পড়েছে।ইশ!কি মারাত্মক লাগছিলোরে।”

রুমির কথা শুনে অনু চোখ ছোট ছোট করে রুমির দিকে তাকিয়ে বলে,
”ওই পেত্নী প্রথমত উনি তোর স্যার দ্বিতয়ত উনি তোর দুলাভাই।তাই তোর এতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তাকে দেখতে হবে না।আমি আছি না তাকে দেখার জন্য।আর হ্যা দেখে মনে হচ্ছে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিস।কিছু তাহলে আমাকেও দিস!”

অনুর কথা শুনে রুমি চোখ বড় বড় করে বলে,
”কিহ!গেইট ধরার টাকার ভাগ তোকে দিবো।ইম্পসিবল!তুই না স্যারের বউ!তুই কি করে টাকার ভাগ চাস?”

রুমির কথা শুনে অনু ঠোঁট উল্টিয়ে ইনোসেন্ট ফেইস করে বলে,
”কেনোরে একটু ভাগ দিলে কি হয়?”

রুমি মুখ ঘুরিয়ে বলে,
”না একদমই না।তোর কোনো ভাগ নেয়।”

অনু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাহেলা বেগম একটা খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে সেই রুমে আসে।এসেই উনি তড়িগড়ি করে অনুর পাশে বসে বলে,
”নে অনু হা কর।তোকে খাইয়ে দেই।নয়তো পরে ভালো ভাবে খেতে পারবিনা।”

সেইযে সকালে মাকে দেখেছিলো পার্লারে যাওয়ার আগে এখন আবার দেখছে।একটা বাদামি রঙের শাড়ি পড়েছে রাহেলা বেগম।চুলগুলো একটা খোঁপা করে মাথায় বড় একটা ঘোমটা টানা।মুখে তেমন সাজ নেয় শুধু চোখের নিচে হালকা কাজল।মুখটা কেমন মলিন হয়ে আছে।অনু তার মায়ের গালে আলতো করে হাত রেখে বলে,

”মা আজ তো অন্তত একটু সাজতে পারতে।”

রাহেলা বেগম হালকা হেসে বলে,
”এই বয়সে আমার আবার কিসের সাজ।যা সেজেছি তাই যথেষ্ট।এখন নে তুই হা করতো।তোকে খাইয়ে দিয়ে আমার আবার মেহমানদের দেখতে হবে।”

কথাটা বলে তিনি অনুর মুখে একটা লোকমা তুলে দেয়।অনু ছলছল নয়নে তার মাকে দেখছে।এত কাজের চাপেও তাকে খাইয়ে দেয়ার কথাটা ঠিক মনে রেখেছে।
.
অনুকে খাইয়ে দিয়েই রাহেলা বেগম আবার তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে বেরিয়ে যান।
.
ছোট একটা ফটোসেশন শেষে বিয়ের আসল কাজ কবুল বলার সময় আসে।একটা বিশাল চাদরের একপাশে অনু আর অন্য পাশে হুজর,অনুর বাবা আর আনোয়ার মোহাম্মদ সহ আরো কয়েকজন মুরুব্বি বসা।একটা হুয়িল চেয়ারে করে আনোয়ার সাহেবকে এখানে আনা হয়েছে,উনি এখন আগের থেকে কিছুটা সুস্থ।সবাই অধীর আগ্রহে অনুর কবুল শুনার অপেক্ষা করছে।কাজী সাহেব বার বার বলছে মা কবুল বলো;কিন্তু অনুর যে আজ কি হয়েছে তা সে নিজেই জানে না।তার গলা জমে গিয়েছে যার ফলে মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে।এক অজানা ভয় তাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে।অনু বুঝতে পারছে তার গাল বেয়ে টুপটাপ চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে।অনুকে কাঁদতে দেখে পাশ থেকে তিহা আর রুমি অনুর চোখের পানি মুছে দিয়ে আস্তে করে বলে,
”দোস্ত এবার কবুল বলে ফেল।”

অনু এবার আলতো করে তিহা দিকে তাকিয়ে কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,
”মা কোথায় তিহা?”

”কি জানি বোধ হয় বাইরের মেহমানদের কাছে আছেন।”

”মাকে একটু ডেকে দেনা।আমার কেন যেন খুব ভয় করছে;মাকে বল না আসতে।”

অনুর কথা শুনে চাদর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা তার মামী বলে উঠে,
”অনু ভাবি খুব ব্যাস্ত আছেন।তিনি আমাদের এখানে তোমার কাছে থাকতে বলেছেন;তুমি এতো টেনশন না করে কবুলটা বলে ফেলো।”
.
অনু জানে তার মা এখানে আসলে নিজেকে সামলাতে পারবেন না।তাই তিনি কাজের বাহানা দিয়ে অনুর থেকে দূরে আছেন।অনুর এই মুহূর্তে তার বাবা মার্ সাথে কাটানো আনন্দকর মুহূর্তগুলোর কথা মনে পড়ছে।এত দিন বিয়ের জন্য যে আগ্রহটা ছিল এখন সেই আগ্রহটা যেন সে আর খুঁজে পাচ্ছে না।তার এখন মন চাচ্ছে সব ছেড়ে উঠে যেতে।কি করে থাকবে তার বাবা মাকে ছেড়ে।এই একটা শব্দ বলে ফেললেই তো সব শেষ।কথা গুলো ভাবতেই অনুর চোখ থেকে গড়গড়িয়ে পানি পড়ে যায়।তিহা টিস্যু দিয়ে অনুর চোখ মুছে দিয়ে বলে,
”দোস্ত এইভাবে কাঁদিস না।আমরাও কিন্তু এবার কাঁদতে আরাম্ভ করবো।”

পাশ থেকে রুমি বলে উঠে,
”ওই কুত্তি এইভাবে কেঁদে কি তোর এতো দামি মেকাপ নষ্ট করবি নাকি।তখন কিন্তু তোর এই পেত্নী মার্কা মুখ দেখে স্যার ভয়ে তোকে বিয়ে না করেই উঠে দৌড় দিবে।তাই প্লিজ এখন কান্না কাটি বন্ধ করে কবুলটা বলে ফেল।”
.
সবার আগ্রহের দরুন এক পর্যায়ে অনু কাঁপাকাঁপা গলায় তিনবার কবুল বলে দেয়।অনুর কবুল বলা শেষ হতেই আরাফের পালা শুরু।আরাফ বেশি সময় না নিয়ে চটজলদি কবুল বলে ফেলে।যেন এতক্ষন সে এটা বলারই অপেক্ষা করছিলো।আরাফের কবুল বলার মধ্যে দিয়ে অনু আর আরাফের বিয়েটা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়।
.
চলবে..
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{আসসালামু আলাইকুম।উহুম উহুম আমার পাঠক পাঠিকারা একটা শোক সংবাদ আছে,গল্পের অন্তিম পর্ব কিন্তু ঘনিয়ে আসছে;তো গল্পটা শেষ হয়ে গেলে কে কে মিস করবে?তোমাদের সবার মতামত চাই!সো কমেন্ট প্লিজ😊}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here