বদ্ধ হৃদয়ের অনুভুতি পর্বঃ২৩

0
3351

#বদ্ধ_হৃদয়ের_অনুভূতি
#পর্বঃ২৩
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

রাস্তার ধূলো উড়িয়ে চলছে গাড়ি।আশেপাশে চলছে জোরালো পে পু শব্দে বাস।গাড়ির জানালা বন্ধ থাকায় ভেতরের মানুষকে বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে।

আজ প্রায় একমাস পর কলেজে এসেছে আম্বের।এখন সে পুরোপুরি সুস্থ।কিন্তু বিগত ঘটনাগুলোর অভিজ্ঞতায় মাহাদ কিছুতেই আর আম্বের কে একা ছাড়তে নারাজ।আজ সে নিজেও এসেছে আম্বের এর সাথে।আম্বের এর কিছু সাজেশন্স আর নোটস এর প্রয়োজন।ওই ঘটনার পর অভি অনেকবার তাকে দেখতে আসতে চেয়েছিলো।কিন্তু আম্বের আপত্তি করে।
গাড়ি থামতেই শান্ত চোখে মাহাদ এর দিকে তাকায় আম্বের।নিরুদ্বেগ গলায় মাহাদ বললো–

“যান।আমি এখানেই আছি।আর দ্রুত আসবেন।”

“হু।”

আম্বের গাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজে ঢোকে।মাহাদ গাড়িতেই বসে থাকে।অনেক খুঁজেও সামান্তা আর অভির দেখা মিললো না।ভুলে মোবাইলটাও গাড়িতে ফেলে রেখে এসেছে।তাই বাধ্য হয়ে সেদিকে যেতে নিলেই কোথা থেকে সরাজ এসে হাঁপাতে হাঁপাতে আম্বের কে বললো—

“এই যে শুনছেন!

সরাজ আম্বের থেকে দুই এক বছরের ছোট।কিন্তু ওর ভেতর আম্বের এর জন্য চাপা রাগ কাজ করে।তাই তাকে আপু বলে সম্মোধন করে না কখনো।আম্বের স্থির গলায় বললো–

“কেমন আছো সরাজ?

“ভালো।আপনি সামান্তা আর অভি ভাইয়াকে খুঁজছেন?

“হ্যাঁ।”

“ওরা কলেজের পেছনে।”

আম্বের ভ্রু কুঁচকে উৎসুক গলায় বললো–

“কলেজের পেছনে কী করে ওরা?

“তা আমি জানি না।”

সরাজ তার কথা শেষ করেই ভো দৌঁড় লাগায়।আম্বের কিছুক্ষন ভাবতে থাকে।ওদের কলেজের পেছনটা অনেক নির্জন।তেমন কেউ যায় না।নতুন ভবন হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু নির্বাচন হওয়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়।আম্বের ধীর পায়ে সেদিকে এগুতে লাগলো।

বেশ অনেক সময় হওয়ার পর আম্বের না ফেরায় মাহাদ বিচলিত হয়।পাশ ফিরে মোবাইল দেখে কপাল ভাঁজ হয়ে আসে তার।মাহাদ আর বসে না।সে আর কোনো রিস্ক নিতে চায় না।কিন্তু এখন বের হওয়াও যাচ্ছে না।কিছুক্ষনের মধ্যে ক্লাস শুরু হয়।শিক্ষার্থীরা ক্লাসে গেলেই মাহাদ বের হয় গাড়ি থেকে।সে সোজা চলে যায় প্রিন্সিপ্যালের রুমে।সেখানে গিয়ে অভি কে ডেকে পাঠায়।অভি আসলে তাকে আম্বের কথা সরাসরি জিঙ্গেস না করে সামান্তার কথা বলে।যেহতু অভিদের বাসায় সামান্তার সাথে মাহাদ এর কথা হয়েছে তাই অভি এ নিয়ে বেশি ভাবলো না।কিন্তু মগজে এইটা ঠিকই খটকা লাগলো মাহাদ কেন কলেজে এসেছে!

কলেজের পেছনে গিয়ে আম্বের কাউকে দেখতে পায় না।বড় বড় দুইটা জারুল গাছ সেখানে। ঘাসের ভরা।সব পরিষ্কার করা হয়েছিলো।কিন্তু এ কয়মাসে আবার ভরে গেসে।চকিতে আম্বের পেছন ফিরে তাকায়।দেখে ইলহাম আর জাসিন দাঁড়িয়ে আছে।আম্বের বিস্মিত গলায় বললো—

“তোমরা?

“ইয়েস বেবস।এতোদিন পরে এলে!

আম্বের অস্বস্তিকর গলায় বললো–

“এইসব কী ধরনের কথা!

দুইজন বেখাপ্পা হাসতে থাকে।শয়তানি গলায় ইলহাম বললো—

“আজ কোনো কথা হবে না বেবি।যা হবে সব দৃশ্যমান।”

আম্বের কিছু বুঝে উঠার আগেই ওরা দুজন আম্বের কে ধরে নতুন আধপাকা ভবনটার ভেতরে নিয়ে যায়।একটা কাপড় দিয়ে আম্বের এর মুখ বেঁধে দেয়।আম্বের কোনো কথা বলতে পারে না।তার মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ বের হচ্ছে।ইলহাম ক্ষীপ্র গলায় বললো—

“তোর জন্য সেদিন সবার সামনে অভি আমার গায়ে হাত তুলেছে।আজ তোর এমন অবস্থা করবো অভি কেন কেউ ই ফিরে তাকাবে না তোর দিকে।”

ইলহাম এর আচরণ হিংস্র বাঘের মতো হয়েগেলো।

সামান্তার ক্লাসে গিয়ে যখন তাকে নিয়ে আসা হলো মাহাদ অবাক হয় কারণ তার সাথে আম্বের ছিলো না।মাহাদ এর নিঃশ্বাস ঘন হতে থাকে।বুকের বা’দিক টা ভারি হতে লাগলো।কোনো কিছু না ভেবেই সামান্তার কাছে গিয়ে উদ্বেলিত গলায় বললো—

“মিস আম্বের কোথায়?

সামান্তা অভির দিকে তাকিয়ে মিইয়ে যাওয়া গলায় বললো—

“আমম্বেরর
ও তো এএএখখানে আসেনি।”

মাহাদ তপ্ত গলায় উত্তেজিত হয়ে বললো—

“কে বললো আসেনি!আমি নিজে নিয়ে এসেছি তাকে।”

মাহাদ এর শরীরে কম্পন শুরু হয়।তার সেই স্বপ্নের কথা মনে।সত্যি কী তার প্রজাপতি কে হারিয়ে ফেলবে?
প্রিন্সিপ্যাল এর কথায় তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে আম্বের কে খোঁজার ব্যবস্থা করে।তারা ধীরেসুস্থে পুরো কলেজ ঘুরে ফিরে দেখছে।অভি মাহাদ এর সাথেই আছে।মাহাদ এর মনে হচ্ছে কেউ তার হৃৎপিন্ড ছিঁনিয়ে নিচ্ছে।
ঘুরতে ঘুরতে মাহাদ এসে পৌছায় কলেজের পেছনে।মৃদু সুগন্ধ এসে লাগে মাহাদ এর ঘ্রাণেন্দ্রিয় তে।মাহাদ এর মস্তিষ্ক বলছে আম্বের আশেপাশেই কোথাও আছে।

দূর থেকে মাহাদ কে দেখে জাসিন।সাথে অভিকেও।ঘাবড়ে উঠে সে।ব্যগ্র গলায় ইলহাম কে তাড়া দিয়ে বললো—

“এই ছাড়,ছাড় ওকে।মাহাদ আবইয়াজ এসেছে আর সাথে অভিও।”

ইলহাম চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তিকর গলায় বললো–

“মাহাদ আবইয়াজ এখানে কেন আসবে?

মাহাদ এর নাম শুনতেই যেনো আম্বের এর শরীরে শক্তির সঞ্চার হয়।নিজের হাত পা জোরালো ভাবে ছুঁড়তে থাকে আম্বের।ইলহাম বেশ শক্ত করেই আম্বের কে চেপে ধরে রেখেছে।তখন ই দৌঁড়ে সেখানে আসে সরাজ।ইলহাম কে আম্বের এর সাথে ধস্তাধস্তি করতে দেখে কাঁপতে থাকে সরাজ।সরাজ কে ইলহাম বলেছে সে শুধু আম্বের কে ভয় দেখাবে।কিন্তু এখন!

সরাজ কাঁদতে শুরু করে।জড়ানো গলায় বললো—

“প্লিজ ওকে ছেড় দাও।প্লিজ ইলহাম ভাইয়া এমন করো না।”

ইলহাম এর মাথায় কিছুই ঢুকছে না।এক হিংস্র জানোয়ারে পরিণত হয়েছে সে।গমগমে গলায় জাসিন কে বললো–

“এই পুচকা রে এখান থেকে সরা।”

সরাজ অনুনয় করতে থাকে।কিন্তু তার ছিঁটেফোটাও ইলহাম এর মনে জায়গা করতে পারে না।আম্বের তার মাথা হেলিয়ে উু উু শব্দ করে সরাজ কে ইশারা করছে যেনো মাহাদ কে ডেকে নিয়ে আসে।কিন্তু পিচ্চি সরাজ তার ঘোলা চোখে কিছুই বুঝতে পারছে না।
ইলহাম আম্বের এর ওড়না সরিয়ে ফেলে তার বুকের উপর থেকে।ভীতসন্ত্রস্ত আম্বের এইবার যেনো পুরাই বিবশ হয়ে যায়।বড় বড় নিঃশ্বাসের সাথে বরফের মতো জমে যায় সে।

আচমকা মাহাদ এর দারাজ গলার আওয়াজ এ পেছন ফিরে ইলহাম আর জাসিন।মাহাদ এর উগ্রমূর্তি দেখে ভয়ে চুপসে যায় ইলহাম আর জাসিন।আম্বের কে রেখেই তড়িঘড়ি করে সেই জায়গা থেকে প্রস্থান করে ওরা দুজন।তড়িৎ বেগে আম্বের এর কাছে এসে হাঁটু গেড়ে বসে মাহাদ।মুখের উপর থেকে কাপড় খুলেই আম্বের কে নিজের বুকে চেপে ধরে ।আম্বের ঝুমঝুমিয়ে কেঁদে চলছে।মাহাদ অধর ছড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলে শান্ত গলায় বললো—

“শান্ত হোন মিস সুগন্ধি।শান্ত হোন।কিছু হয়নি।জাস্ট ক্লাম ডাউন।”

আম্বের মাথা তুললো না।মাহাদ এর বুকেই মুখ গুঁজে ধরা গলায় বললো—

“ওরা…
আমাকে…।”

“শিষষষ!
একদম চুপ।কিছু হয়নি।ভুলে যান।”

মাহাদ এর গলা জড়িয়ে তার বুকেই পড়ে রইলো আম্বের।ঝরঝর করে কাঁদছে সে।
ওদের কে এই অবস্থায় দেখে থমকে যায় অভির হৃদকম্পন।তার চোখ জোড়া ভিজে উঠে।হয়তো তা গড়িয়েও পড়েছে।অভির পাশে এসে দাঁড়ায় সামান্তা।আলতো করে অভির হাত নিজের হাতের মুষ্টিতে নেয়।সামান্তা স্পষ্ট অনুভব করে অভির শরীর কাঁপছে।স্থির গলায় সামান্তা বললো—

“ওদের সম্পর্কটা যে এতোটা গাঢ় আমি বুঝতে পারিনি।”

অভি নির্নিমেষ তাকিয়ে আছে।অসহায় গলায় বললো—

“এভাবে কেন ধোঁকা দিলি আমাকে!

“বিশ্বাস কর আমি ভাবতেও পারিনি এমনটা।”

ঝপাৎ করে সামান্তাকে জড়িয়ে ধরে অভি।ঝরঝর করে কেঁদে বললো—

“এখন আমি কী করে ভুলবো ওকে!

সামান্তা আলতো হাতে অভিকে জড়িয়ে ধরে।সামান্তার কষ্ট হলেও তার চেয়ে বেশি সে খুশি হয়েছে।মনের অজান্তেই সে ছোটবেলা থেকে অভিকে ভালোবেসে এসেছে ।

মাহাদ তটস্থ গলায় বললো—

“অভি!
প্লিজ হেল্প মি।আমার ড্রাইভার কে বলো সে যেনো গাড়ি ঘুরিয়ে কলেজের পেছনের গেইটে নিয়ে আসে।
আর প্লিজ এইসব যেনো কেউ জানতে না পারে।”

“ওকে।”

গাড়ি আসতেই আম্বের কে কোলে তুলে নেয় মাহাদ।আম্বের এখনো মাহাদ এর বুকে মুখ গুঁজে আছে।সে যেনো আর এই অসুস্থ পৃথিবী কে দেখতে চায় না।সে চায় যা হয়েছে সব মিথ্যে হয়ে যাক।সব মিথ্যে।

মাহাদ এর গাড়ি যাওয়ার পরও নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে অভি।স্বাভাবিক গলায় বললো—

“আমার পক্ষে আর এখানে থাকা সম্ভব নয়।”

সামান্তা অনেকবার ডাকে অভি কে।অভি পেছন ফিরে তাকায় না।
,
,
,
আজ সাতদিন হলো সেই ভয়ংকর ঘটনার।মাহাদ আম্বের এর কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।সে চায় না নতুন কোনো ঝামেলা হোক।
সেই ঘটনার পর প্রায়ই আম্বের অজানা কারণে ডুকরে কেঁদে উঠে।মাহাদ তার সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।এখন সে আর বাড়ির বাইরে যায় না।আঠার মতো লেগে থাকে আম্বের এর সাথে।

রাতের খাওয়া শেষে মাহাদ এর বুকে মুখ গুঁজে বসে আছে আম্বের।আম্বের কে আজকাল নিজ হাতেই খাওয়ায় মাহাদ।খাবার সামনে নিয়ে ধ্যান ধরে বসে থাকে আম্বের।খাবারের দিকে ভুলেও নজর ফেলে না।তাই মাহাদ আর সময় নষ্ট না করে নিজের হাতেই খাওয়ায়।

টিভিতে একটা টক শো চলছিলো।এর মাঝেই ব্রেকিং নিউজ আসে (**) সিটির মেয়রের ছেলের আর সেইখানকার একটা কলেজের সভাপতি ছেলের লাশ পাওয়া যায়।নাম শুনতেই মাহাদ এর বুক থেকে মাথা উঠায় আম্বের।তার বিস্ফোরিত চোখ দুটো অবিশ্বাস্য কিছু দেখছে।ব্লা করে যখনই ওদের লাশ দেখায় আম্বের ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জড়িয়ে ধরে মাহাদ কে।মাহাদ তার এক হাত আম্বের এর পিঠে রেখে টিভিটা অফ করে দেয়।

আম্বের ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলে অস্ফুটভাবে বললো—

“মাহাদ ওরা…।আপনি…।”

মাহাদ আম্বের কে সোজা করে বসায়।তার চিবুকে হাত দিয়ে মুখটাকে একটু উঁচু করে শীতল গলায় বললো—

“আমাকে দেখে কী আপনার খুনি মনে হয়!
ইটস কলড রিভেঞ্জ অফ ন্যাচার।যেমন কর্ম তেমন ফল।এইসব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।এক দুঃস্বপ্ন মনে করে সব ভুলে যান।”

আম্বের ভীত গলায় বললো—

“ওদের কে মারলো?

“ওর বাবা পলিটিকস করে।কতো শত্রু তাদের।কেউ একজন হয়তো মেরে ফেলেছি।
যান আমার জন্য কফি নিয়ে আসেন।অনেকদিন হলো আপনার হাতের কফি খাইনা।”

আম্বের তবুও মানতে পারলো না মাহাদ এর কথা।কিছু বলতে যাবে তার আগেই মাহাদ তাকে জোর করে কিচেনে পাঠায়।

টিভি অন করে মিউট করে দেয় মাহাদ।বাঁকা হাসে মাহাদ।বিভৎষ মৃত্যু পেয়েছে তারা।মরার পরও বেচারারা শান্তি পায়নি।চোখ তুলে নিয়েছে সাথে হাতের কবজি পর্যন্ত কেটে নিয়েছে।শরীরে চাকু দিয়ে এতোবার আঘাত করা হয়েছে যে পুরো শরীরের মাংস থেঁতলে গেছে।
মাহাদ কাউকে কল করে গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলো—

“ওদের এই অবস্থা করলো কে?

“জানি না স্যার।নিউজ দেখে তো আমারাই হতবাক।”

“খুঁজে বের কর কে করেছে।”

মাহাদ কাউচে বসে।স্থির,নিরব,নিশ্চল দৃষ্টি আবদ্ধ করেছে টিভির স্ক্রিনে।অভির কথা মনে পড়ে মাহাদ এর।কিন্তু অভি এই কাজ করতে পারে না।কারণ তিনদিন আগেই অভি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে।তাহলে কে করতে পারে এইসব!
আম্বের এর কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী !কিন্তু মাহাদ ছাড়া তো আম্বের এর কেউ নেই।

মাহাদ উঠে দাঁড়ায়।আম্বের তখনই কফি নিয়ে ঘরে ঢোকে।চিন্তিত গলায় প্রশ্ন করলো—

“কোথায় যাচ্ছেন?

মাহাদ সহজ গলায় বললো—

“বাইরে।”

“এখন!

“হ্যাঁ।কাজ আছে আমার।আর আপনি ঘর থেকে বের হবেন না।যতক্ষন না আমি আসছি ততক্ষন দরজা খুলবেন না।”

আম্বের মৃদু হেসে বিগলিত গলায় বললো—

“চাচা এলেও না?

মাহাদ শক্ত গলায় বললো—

“না।আপনার ক্ষেত্রে আমি আমার ছায়াকেও বিশ্বাস করি না।”

আম্বের মাহাদ কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।মাহাদ আশ্বস্ত গলায় বললো—

“ভয় পাবেন না।আমি যত দ্রুত সম্ভব সব ঠিক করার চেষ্টা করছি।

“তোমায় ভাবতে থাকা অবিরত মন
হঠাৎ যায় থমকে,
অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা তোমার প্রতিচ্ছবি
বদ্ধ হৃদয়ের আরশিতে।”

—–তানভি

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here