#বদ্ধ_হৃদয়ের_অনুভূতি
#পর্বঃ৩১
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি
নিজেকে ধীরে ধীরে গুঁছিয়ে নিচ্ছে আম্বের।অনেকটা শক্ত হয়েছে সে।কিন্তু সে জানে মাহাদ যা করেছে তা তার মন থেকে করেনি।সেদিন যখন আম্বের মাহাদ এর গায়ে হাত তুলেছে যখন মাহাদ কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না তখন আম্বের বুঝতে পেরেছে মাহাদ নিজ ইচ্ছায় এইসব করছে না।কেউ তাকে ব্ল্যাকমেল করছে।যেমনটা আগেও করেছে।তার উপর এতো এতো বাজে কথা বলার সময়ও আম্বের খেয়াল করেছে কিভাবে মাহাদ এর শরীর কাঁপছে আর তার ঠোঁট হতে নিঃসৃত প্রতিটি শব্দ যেনো তার চোখের কোনে জল হয়ে বের হচ্ছে।যখন আম্বের কে জোর করে নিয়ে আসা হচ্ছে মাহাদ একবারো ফিরে তাকায় নি।
কিন্তু যাই হোক।বারবার কেন তাকেই এইসব সহ্য করতে হবে!মাহাদ যে কারণেই এমন করে থাক সে এইবার কিছুতেই তাকে ক্ষমা করবে না।কিছুতেই না।আয়নার সামনে বসে বসে এইসবই ভাবছে আম্বের।তাকে একটা বড় খোঁপা করে তাতে ক্রাউন লাগিয়ে দিয়েছে ফাইরুজা।একটা সাদা জামদানি পড়িয়ে সাজিয়ে দিয়েছে আম্বের কে ফাইরুজা।আজ একটা পার্টিতে যাবে তারা।রেডি হতেই উঠে দাঁড়ায় আম্বের।ফাইরুজা কে বললো–
“তুমিও চলো না আপু!আমার একা একা ভালো লাগবে না।”
ফাইরুজা হাসি হাসি মুখে বললো—
“আরে না।আমার এইসব পার্টি টার্টি একদম ভালো লাগে না।এই শাড়ি,জুয়েলারি ব্লা ব্লা তে কোনো ইন্টারেস্ট নাই আমার।”
কথা শেষ করেই একগাল হাসে ফাইরুজা।ফাইরুজা অলটাইম শার্ট প্যান্ট পড়ে থাকে।নাহলে টপস।এইসব সালোয়ার-কামিজ,শাড়ি-চুড়ি,বলতে গেলে মেয়েলি কোনো জিনিসেই তার তেমন কোনো ইন্টারেস্ট নেই।
ফাইরুজা আম্বের কে নিজের সামনে সোজা করে দাঁড় করায়।দৃঢ় গলায় বললো—
“দেখো আম্বের,আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ।সবাই মুখোশের আড়ালে।কে কেমন তা আমরা জানি না।সবাই কে জানা আমাদের পক্ষে সম্ভবও নয়।মেয়ে মানুষ চিনির মতো।ছড়িয়ে থাকলে তাতে পিঁপড়া হানা দিবেই।আমাদেরকে নিজেকে সামলাতে হবে।শক্ত হতে হবে।উপরটা না বদলানো গেলেও ভেতরটা বদলাতে হবে।চিনির মতো দেখতে হলেও ভেতরটা হবে নুনের মতো।বিষ।যেনো পিঁপড়া রূপি জঘন্য মানুষগুলো আমাদের কাছে আসতেও দশবার ভাবে।
বারবার হেরে গেলেও উঠে দাঁড়াতে হবে।লড়তে হবে।রবার্ট ব্রুস এর গল্প তো পড়েছো নিশ্চয়ই।আর বাংলায় একটা প্রবাদ আছে,”একবার না পারিলে দেখো শতবার।”
কেউ আমাদের ভেঙে দিলো তার মানে আমরা ভেঙে নিঃশেষ হয়ে গেলাম তা নয়।আমাদের কে নিজেকে একজোট করতে হবে।নিজেকে দৃঢ় করতে হবে ভাবতে হবে আমি পারবো।মনের জোর সবচেয়ে বড় জোর।সামনের ব্যক্তিকে কখনো বুঝতে দেওয়া যাবে না আমার মনে কী চলছে। তার সামনে নিজেকে বজ্রকঠোর হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।সে যেনো ভুলেও ভাবতে না পারে তুমি হার মেনেছো।বুঝতে পেরেছো আমার কথা?
আম্বের দীপ্ত হাসি হেসে বললো—
“হু।”
“ভেরি গুড।উপরটা চিনির মতো মিষ্টি হলেও ভেতরটা হবে নুনের মতো বিষাক্ত।যেনো তার অধিক প্রয়োগ প্রান কেড়ে নিতে সক্ষম হয়।”
আম্বের ফাইরুজাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে।আজকাল ফাইরুজাকেই তার সবচেয়ে আপন মনে হয়।একদম মায়ের মতো করে আগলে রাখে তাকে।
ফাইরুজা আম্বের কে তাড়া দিয়ে বললো—
“যাও,যাও।ওয়েট করছে তারা।”
আম্বের উজ্জ্বল হাসে।
,
,
,
ফিল্ম ইন্ডাসট্রির বিখ্যাত প্রযোজক,কিন্তু বর্তমানে একজন প্রতাপশালী রাজনীতিবীদ মাহতাব খান।শৌর্য-বীর্যে কোনোদিক থেকে হারানো অসম্ভব।আজ তার একমাত্র মেয়ের জন্মদিন।চিত্র জগতের সবাই যেমন এসেছে তেমন এসেছে রাজনৈতিক সদস্যরাও।
আম্বেরদেরও ইনভাইট করা হয়েছে সেখানে।আলোয় আলোকিত পুরো কনভেনশন হল।এই ধরনের পার্টিতে আম্বের আগে কখনো আসেনি।ভীষন উশখুশ করছে তার মন।ফাইরুজা সাথে থাকলে তার ভীষন ভালো লাগতো।ওলিজার পাশেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আম্বের।কতো কতো মানুষ।এদিক ওদিক তাকাতেই আম্বের এর চোখ পড়ে ব্লু কালারের ব্লেজার পড়া আনমনে বসে থাকা মাহাদ এর দিকে।মাহাদ কে দেখেই দম আটকে আসে আম্বের এর।কোনো মতে নিজের চোখের পানি আটকায় আম্বের।যতই অন্যদিকে চোখ সরায় বেহায়া চোখ বারবার সেদিকেই যায়।
মাহাদ আম্বের কে দেখেও সেদিকে ফিরে তাকালো না।তার পাশে এসে নিঃশব্দে বসলেন এক সুশ্রী মহিলা।পড়নে তার হালকা বেগুনি রঙের শাড়ি।তাকে দেখেই শীতল শ্বাস ফেললো মাহাদ।কোমল গলায় জিঙ্গেস করলো—
“কেমন আছেন মিসেস খান?
মিসেস খান ফিকে হাসলেন।নরম গলায় বললেন—
“মা ডাকলে কী অন্যায় হবে!
“সেই অধিকার তো আদ্রিতার মৃত্যুর সাথে সাথে চলে গেছে।”
মিসেস খান খেয়ালিপনায় বললেন—
” আমি কিন্তু তোমাকে কখনো দোষী মনে করিনি।যা ভাগ্যে ছিলো তাই ই হয়েছে।”
মাহাদ গাঢ় গলায় বললো–
“রাগ হয়না আপনার আমার উপর?
“নাহ।বরং খুশি হয়েছি।মানুষটা এখন বুঝতে পারছে সন্তান হারানো কী কষ্ট!
আমি কখনো আদ্রিতাকে পর ভাবিনি।কিন্তু সৎ মা বলে আদ্রিতার অনাদর হবে বলে মি.খান আমাকে কখনো মা হতে দেয় নি।দু দু বার এবোর্শন করিয়েছে আমার।”
মাহাদ কিছু বললো না।এইসব তার জানা।যতটা কষ্ট সে পাচ্ছে মিসেস খানও ভালো নেই।
মিসেস খান আক্ষেপের গলায় বললেন—
“নিয়তি বুঝলে।আজ যদি আমার নিজের গর্ভের একটা সন্তান থাকতো তাহলে কী তাকে বাবা বলে ডাকতো না!
আদ্রিতা মারা যাওয়ার পর মি.খান ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে ডুবে যায়।আর তার দরুন তার আজ এই অবস্থা।প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেয় না।”
এক তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললেন মিসেস খান।নিরীহ গলায় বললেন—
“নিজের জেদের বসে তোমার জীবনটাও মরুভূমি বানিয়ে ছাড়লো।”
মাহাদ নিঃশ্চুপ।কিছু বললো না সে।একবার তাকালো আম্বের এর দিকে।আম্বের বার কয়েক তাকিয়েছে তার দিকে।মিসেস খান উঠে যেতে চাইলে মাহাদ নম্র গলায় বললো—
“একটা রিকোয়েস্ট করবো?
মিসেস খান চোখে হাসলেন।স্মিত গলায় বললেন–
“বলো।”
“ওই যে সাদা শাড়ি পড়া মেয়েটাকে দেখছেন,আপনি তার সাথে একটু কথা বলবেন?
তার ভালো লাগতে পারে।”
মিসেস খান অবিচলিত গলায় বললেন—
“তিনি কী সেই?
“হুম।”
“আচ্ছা।”
মিসেস খান বিড়াল পায়ে এগিয়ে গেলেন আম্বের এর কাছে।আম্বের ভালো করেই দেখেছে যে এই মহিলা এতোক্ষন যাবৎ মাহাদ এর সাথে কথা বলেছে।তাই মিসেস খান কে দেখেই ফুঁসে উঠে আম্বের।সেখান থেকে সরে যেতে চাইলেই মিসেস খান স্নিগ্ধ গলায় ডেকে উঠলেন—
“শোনো মেয়ে!
আম্বের থমকে গেলো।কিন্তু তার চোখ মুখ রাগে রক্তিম আভা ছড়াচ্ছে।মিসেস খান বললেন–
“কী নাম তোমার?
আম্বের কড়া গলায় বললো—
“কেন?
আপনি জানেন না দুই টাকার মেয়েদের নাম হয় না!
আম্বের ত্রস্ত পায়ে সরে আসে সেখান থেকে।মিসেস খান মাহাদ এর দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন।
কিছুক্ষন পর অনুষ্ঠানের মধ্য মনি মাহতাব খান এলেন।সবাই তাকে দেখে সন্ত্রস্ত হলেন।ঘিরে ধরলেন তাকে প্রেস মিডিয়ার লোক।মাহতাব খান সবাইকে দেখে প্রসন্ন হাসলেন।তার পাশেই এসে দাঁড়ালো মাহাদ।একটুপর একটা বাইশ কী তেইশ বছরের মেয়ে এসে দাঁড়ালেন তার পাশে।জাস্ট লাইক আ ফেয়ারী।
মেয়েটি মাহতাব খান এর পাশে এসে দাঁড়ালো।ঝলমলে হাসি তার।মাহতাব খানও হাসলেন।জন্মদিনের কেক কেটে মেয়েটি সবার আগে মাহাদ কে খাওয়ালো।আম্বের তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।রাগে রি রি করে উঠে তার শরীর।সেদিন সে অন্য এক মেয়েকে দেখেছে।আজ অন্য।ভাবতেই বিদ্রুপপূর্ণভাবে হাসে আম্বের।তার বাবা ঠিক ই বলেছে চিত্রজগতের মানুষ কখনো ভালো হয় না।আম্বের এর আর কিছু দেখতে ইচ্ছে হলো না।চোখ ভরে আসে তার।কোনোমতে তা দমন করে ওয়াশরুম খোঁজায় ব্যস্ত হয় সে।উপস্থিত মেহমানদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়।মৃত মেয়ের জন্মদিন মাহতাব খান ধুমধাম করেই পালন করেন।প্রতি বছরই এইরকম একটা মেয়েকে সাজিয়ে নিয়ে আসেন।কিন্তু সবাই এইটা বুঝতে পারে না মেয়ের হাতের ওই কেক প্রথম মাহাদ কেই কেনো খাওয়ানো হয়!এই নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলে।কিন্তু সামনাসামনি বলার সাহস কারোই হয় না।
,
,
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মাহতাব খান এসে দাঁড়ান আম্বের এর সামনে।চোখের পাল্লা দুটো প্রশস্ত করে দাম্ভিক গলায় বললেন—
“তুমি মাহাদ এর বাসায় থাকতে?
মাহতাব এর কথায় চকিতে মাথা তুলে তাকায় আম্বের।মাহাদ এর দিকে একবার তাকিয়ে ফুঁসলে উঠে সে।গনগনে আগুনের মতো জ্বলে উঠে বললো—
“আমি কোথায় ছিলাম তা দিয়ে আপনার কী!ছিলাম এখন তো আর থাকি না।তো সেই প্রশ্ন করার মানে কী!আর আপনি কে আমাকে প্রশ্ন করার! এতো প্রশ্ন করার হলে আপনাদের মাহাদ আবইয়াজ কে গিয়ে করেন।”
ওলিজা তটস্থ হয়ে আম্বের কে থামানো চেষ্টা করছেন।কিন্তু আম্বের যেনো দাবানলের মতো ছড়িয়ে দিচ্ছে তার আগুন।মাহতাব চমকে উঠলেন আম্বের এর এহেন আচরণে।তিনি ভেবেছিলেন আম্বের কে শান্ত শিষ্ট।তপ্ত গলায় মাহতাব বললেন—-
“আমার সাথে এইভাবে কথা বলার সাহজ হয় কী করে তোমার!তুমি জানো আমি কে!
আম্বের তাচ্ছিল্যের সাথে হাসলো।উপহাসমিশ্রিত গলায় বললো—
“আপনি কী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নাকি অামেরিকার প্রেসিডেন্ট যে আপনাকে জানতে হবে!
মাহতাব সজোরে তার হাত তুললেন।কিন্তু তা থামালেন মিসেস খান।নিচু স্বরে বললেন–
“কী করছেন কী!সবাই দেখছে।”
মাহতাব চারদিকে চোখ বুলালেন।দেখলেন,তাদের ঘিরে জটলা বেঁধে আছে।প্রেস মিডিয়া ছবি তোলায় ব্যস্ত।কোনোমতে অবস্থা সামলে তিনি সরে আসলেন।ফাহাদ রেগে যায় আম্বের এর উপর।তাকেও কড়া কথা শোনাতে দ্বিধাবোধ করেনি আম্বের।
দূর থেকেই সব দেখলো মাহাদ।বাঁকা হাসলো সে।কনভেনশন হল থেকে তড়িৎ গতিতে বের হতে হতে কল করে ফাইরুজা কে।
“কী খবর নায়ক সাহেব?
মাহাদ উৎফুল্ল গলায় বললো–
“ধন্যবাদ।মিস আম্বের উচিত জবাব দিয়েছে আজ মাহতাব খান কে।আর এইসব তোমার জন্য সম্ভব হয়েছে।”
“আমি আর কী করলাম!তুমি যা বললে ভাঙা রেডিওর মতো তাই ই ওকে শুনিয়ে দিলাম।আর তোমার মিস আম্বের তাই তোতাপাখির মতো শিখে নিলো।
তবে মেয়েটা তোমায় প্রচন্ড ভালোবাসে।”
মাহাদ গাড়ির দরজা খুলে ড্রাইভিং সিটে বসে।শান্ত গলায় বললো—
“জানি।আর এই সবকিছু আমি তার জন্যই করছি।এখন শুধু সে আমাকে ক্ষমা করলেই হয়।কম তো কষ্ট দেইনি তাকে।”
“আই উইশ!আম্বের তোমার অসহায়ত্বটা বুঝতে পারে।”
“ওকে রাখছি।টেক কেয়ার,ওলসো হার।”
“হুম।”
গাড়ি স্টার্ট করে মাহাদ।ঝড়ের গতিতে চলছে তার গাড়ি।প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে একটা হাইওয়ে তে এসে থামে মাহাদ এর গাড়ি।সেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলো রিমেল।মাহাদ ত্রস্ত পায়ে বেরিয়েই জড়িয়ে ধরে রিমেল কে।বুক ভরে প্রশান্তির শ্বাস নেয় সে।রিমেল অতি আনন্দের সাথে চাপড় দেয় বন্ধুর পিঠে।সোজা হয়ে দাঁড়াতেই দেখে মাহাদ এর জ্বলজ্বলে চোখ দুটো কাতর হয়ে আছে।রিমেল একটা ফাইল এগিয়ে দেয় মাহাদ এর দিকে।মাহাদ ফাইলটা দেখে প্রসন্ন হাসে।উচ্ছ্বসিত গলায় বললো—
“থ্যাংকস ইয়ার।”
রিমেল ছোট্ট দম ফেলে আশ্বস্ত গলায় বললো—
“আই উইশ তোর সব সমস্যার সমাধান এইবার হবে।”
খুশিতে মাথা ঝাঁকায় মাহাদ।ঠোঁট চেপে ধরে কিছু একটা ভেবে তা ছড়িয়ে লম্বা দম ফেলে।স্বাভাবিক গলায় প্রশ্ন করলো—
“রিঝুম কোথায়??
“ওকে হোস্টেলে পাঠিয়েছি।”
“ভালো করেছিস।এইবার তুইও কিছুদিনের জন্য শহরের বাইরে চলে যা।আমি বললে ফিরে আছিস।”
“ওকে।
ভাবি কেমন আছে।”
ফিকে হাসে মাহাদ।শান্ত গলায় বললো–
“ভালো।”
ব্যস্ত গলায় প্রশ্ন করলো রিমেল—
“তোর মা আর ভাই ঝামেলা করছে নাতো!
“ফাইরুজা আছে।”
“ও আচ্ছা।”
“এখন তুই যা।সময় নেই হাতে।”
রিমেল তার বাইকে করে চলে যায়।মাহাদ আবারও দেখে ফাইল।তার অক্ষিযুগল চকচক করে উঠে।সে এইবার তার প্রজাপতিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবে।আর কখনো নিজের কাছ থেকে আলাদা করবে না।শুধু তাকে ক্ষমা করলেই হয়।মলিন হাসে মাহাদ।
চলবে,,,