অন্ধকার মানব পর্ব-২৯

0
840

#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্বঃ২৯

লিখা✍️তাজরিয়ান খান তানভি

শীতকালে আকাশ মেঘলা কেনো থাকে?হয়তো নিলাম্বরীর মন খারাপ।
শীতের হিমশীতল জগৎপ্রান(বাতাস)শরীরে কাপন তুলে।ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।হয়তো গগন আজ কালো মেঘের পসরা সাজিয়েছে।শীতকালে বৃষ্টি তেমন মন কাড়ে না।কেনো যেনো বিধ্বস্ত মনে হয়।

চোখ পিটপিট করে তা মেলে তাকায় দ্বিধা।রিশাল,ইরাজ আর পারিজার ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি দ্বিধার দিকে।ধফ করে উঠে বসে সে।আশেপাশে তাকিয়ে দেখে নিজের ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে সে।

“জাদ কোথায়??

ভ্যাবলার মতো চেয়ে থাকা তিন নরনারী এমন মুহূর্তে দ্বিধার মুখে এমন প্রশ্ন আশা করেনি তা তাদের মুখচ্ছবি তে স্পষ্ট।

“ডল,তুমি ঠিক আছো?

“জাদ কোথায়?আর আমাকে এখানে কে এনেছে?

দ্বিধা গায়ে চড়ানো ব্ল্যানকেট টা সড়িয়ে হনহনিয়ে নিচে নেমে আসে।জাদ সেখানেই বসা কাল রাত থেকে।ওকে দেখেই উঠে দাড়ায়।দ্বিধা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে–

“আপনি আমাকে রেখে কোথায় যাচ্ছেন?

জাদ ওকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে বলে–

“কেমন আছেন আপনি?

“আপনি জানেন না আমি কেমন আছি।”

এতোক্ষনে বাকিরাও এসে দাড়ায় সেখানে।তিনজনই অনেকটা অবাক।

দ্বিধা জাদ এর হাত ধরে ওকে নিয়ে উপরে চলে যায়।আশেপাশে যে আরো কেউ আছো তাতে তার কোনা মাথাব্যথা নেই।ইরাজ ইরাম ভাবলেন,,মেয়েটা কি পাগল হয়ে গেলো?

তৃষ্ণার্ত কাকের মতো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে দ্বিধা জাদ এর দিকে।জাদ এর দৃষ্টি তার সম্মুখগামী।

“এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো??

“আমার ইচ্ছে।”

“কাল রাতে আপনার আমাকে এতোটা ডেস্পারেট করা উচিত হয়নি।”

“করেছি বেশ করেছি।আপনি এখানে বসুন আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”

একটু পর শাওয়ার সেরে একটা মিষ্টি রঙের সুতির শাড়ি পরে বের হয় দ্বিধা।চুল ছেড়ে তা মুছতে থাকে টাওয়েল দিয়ে।

“হঠাৎ শাড়ি পড়লেন??

“বিয়ের পর তো মেয়েদের শাড়ি পড়তে হয়।”

“আমাদের তো বিয়ে হয়নি।”

“ফুলসজ্জা তো হয়েছে।”
জাদ দাড়িয়ে বলে —

“বারবার একই কথা কেনো বলছেন?

“এই জন্য বলছি যেনো আজকের পর আর কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে না তাকান।”

“আপনাকে ছাড়া এই পর্যন্ত অন্য কাউকে দেখিওনি।”

জাদ বের হতেই দ্বিধা বলে–

“কোথায় যাচ্ছেন??

“নিচে।”

“কেনো??

“কাজ আছে।”

দ্বিধা জাদ এর হাত নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে সিড়ি বেয়ে নামছে।ওদের দেখে মনে হচ্ছে যেনো সদ্য বিবাহিত কপোতকপোতি।নিচে এসে সোফায় বসতেই দ্বিধা আস্তে করে ওর মাথাটা জাদ এর কাধে এলিয়ে দেয়।

“ঠিক হয়ে বসুন।”

“আমি তো ঠিক হয়েই বসেছি?

জাদ নিজের হাত ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে বলে—
“সোজা হয়ে বসুন।”

দ্বিধা আবারও ওর হাত নিজের দু হাতে নিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে ওর মাথা জাদ এর কাধে হেলান দেয়।

“আমার গরম লাগছে।”

ইরাজ মেয়ের আজব কান্ডে অবাক হয়ে কিছু বলতে যাবেন তার আগেই পারিজা আমতা আমতা করে বলে–

“এ যখন চাইছে তাহলে থাক না এভাবে।”

জাদ দ্বিধার চোখের দিকে তাকাতেই দ্বিধা ওর দিকে একবার চোখ দিয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে নেয়।

“আপনাদের সাথে আমার কিছু কথা আছে।”

ইরাজ বলে–
“বলতে পারো তুমি।”

“ধন্যবাদ মি.ইরাম।”

দ্বিধা ওর চোখ বন্ধ রেখেই আহ্লাদী গলায় বলে–
“আপনি মাম্মা,পাপা কে মি.আর মিসেস ইরাম কেনো বলেন?আঙ্কেল,আনটি তো বলতে পারেন না?

পারিজা মেয়েকে বলে–

“আমেরিকা তে এরকমই হয়।জাদ হয়তো তাই,,,,,,

“আপনারা ভাসিত এন্চটা কে চিনেন?

ইরাজ বলে—
“তুমি তাকে কি করে জানো??

“তার গ্র্যান্ডডটার নবনীযুক্তার কথা জানেন?

“হ্যাঁ,অপঘাতে মৃত্যু হয় তার।”

“সে ফিরে এসেছে।”

“মানে??
“আপনার মেয়ে দ্বিধা নবনীযুক্তাই ভাসিত এন্চটার গ্র্যান্ডডটার নবনীযুক্তার পুনর্জন্ম।”

রিশাল,পারিজা,ইরাজ সবাই জাদ এর কথায় বিষম খায়।

দ্বিধা নিশ্চুপ।যেনো এইসব হবারই ছিলো।কাল রাতের ঘোর এখনো তার কাটেনি।তার দেহ আর মস্তিষ্ক যেনো জাদ এর আগেপিছে কিছুই ভাবতে পারছে না।তাই সে শুধু শুনে যাচ্ছে।

জাদ আবার বলতে শুরু করে–

“ভাসিত এন্চটা ছিলো প্রকৃতি প্রেমি।আমেরিকার নর্থ ক্যারোলনার একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির প্রতিটি আনাচে কানাচে সে তার প্রকৃতি প্রেমের টান ফুটিয়ে তুলেছে।
বিপত্নীক ভাসিত এন্চটা তার একমাত্র ছেলে ইরহাম আর পুত্রবধূ নুসরার সাথে সেখানে থাকত।ইরহাম আর নুসরার একমাত্র মেয়ে নবনীযুক্তা।
ভাসিত এন্চটা জীববিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন।সেখানকার একটি প্রখ্যাত ইউনিভার্সিটির লেকচারার ছিলেন তিনি।কাজের চাপে পড়ে নিজের গাছপালার যত্ন না নেওয়াতে তা নির্জীব হয়ে পড়ে।তাই তিনি মৃত গাছ কে কিভাবে আবার সজীব করা যায় অতি দ্রুত তা নিয়ে রিসার্চ শুরু করে।কিন্তু পথিমধ্যেই এক কার অ্যাকসিডেন্টে তার ছেলে এবং পুত্রবধূ মারা যায়। স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি তার শেষ আশাটুকু হারিয়ে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন।তাই তাদের স্মৃতি ভুলে থাকার জন্য তিনি তার গ্র্যান্ডডটার কে নিয়ে গ্রীসের ছোট্ট শহর আরাচোয়ায় চলে যান।

এর মধ্যেই রিশাল বলে উঠে–
“এই জন্যই তোমার মা স্পাইসি কে জিঙ্গেস করেছিলো যে সে কখনো গ্রীস গিয়েছিলো কিনা?

“হ্যাঁ।”

জাদ আবার বলতে শুরু করে—

“সেখানকার একটি ছোট কলেজে তিনি আবার জয়েন করেন।এইবার তিনি তার রিসার্চ কে নতুন রূপ দেন।তিনি মৃত শরীর কে কিভাবে পুনর্জীবিত করা যায় তা নিয়ে রিসার্চ করেন।
সেই কলেজেই তার সাথে পরিচয় হয় ইতাফের সাথে।ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক চরম বিশ্বস্ততায় পরিনত হয়।ইতাফ তার রিসার্চ সম্পর্কে জানতে পারে।ইতাফের ভাই ইমারাজ কে আমিই খুন করি।সে তাকেই বাচাতে চায়।
ভাসিত এন্চটা তার পুরো রিসার্চ থিউরি একটি বই এ লিখে রাখে যার নাম ‘দ্যা ডেড এলাইভ বুক’।
ভাসিত এন্চটা তাতে সফল হোন।তিনি চেয়েছিলেন এর মাধ্যমে তিনি তার ছেলে আর পুত্রবধূ কে পুনরায় জীবিত করবেন।কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন ভাগ্য নির্ধারিত।মৃত্যুর স্বাধ সবাইকে গ্রহন করতে হবে।মৃত ব্যক্তি কে জীবিত করন উপর ওয়ালার নিয়ম কে অমান্য করা,প্রকৃতির বিপরীত কাজ করা যা কোনোভাবেই ঠিক নয়।তাই তিনি তার বই গোপন জায়গায় রেখে দেন।
ইতাফ সেই বই পাওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।একদিন ভাসিত এন্চটা নবনীযুক্তা কে নিয়ে হাটতে বের হলে ইতাফ তাদের উপর অ্যাটাক করে।তিনি যখন কোনমতেই ইতাফের কথায় রাজি হয় না তখন ইতাফ তাকে সেখানেই মেরে তার দেহ ভক্ষন করে নেয় তার সাথিদের নিয়ে।ইতাফ তাদের ভবিষৎ রাজা।নেকড়েদের অধিরাজ তার বড় ছেলের চেয়ে ইতাফ কে যোগ্য ভাবতেন।আর সেই বিভৎস দৃশ্য নবনীযুক্তার সামনেই ঘটে।

এইবার জাদ দ্বিধার দিকে তাকিয়ে বলে—
“আপনার মনে আছে যখন থেকে আপনার বারো বছর পূর্ণ হয় আপনি রোজ স্বপ্নে দেখতেন একজন বৃদ্ধ আর তার সাথে একটি মেয়েকে??

“হুম।”

“সে নবনীযুক্তা আর ভাসিত এন্চটা ছিলো।মৃত্যুর সময় নবনীযুক্তার বয়স বারো বছর ছিলো।”

রিশাল উদগ্রীব হয়ে বলে—
“তারপর???

“ইতাফ নবনীযুক্তা কে তার সাথে নিয়ে যায়।অনেক টর্চার করার পরও নবনীযুক্তা বই সম্পর্কে কিছুই বলেনি।এতে করে ক্ষীপ্ত হয়ে যায় ইতাফ।নিজেকে কন্ট্রোল করে আবার অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নবনীযুক্তা কিছু না বলায় ইতাফ ওর হিংস্র থাবায় নবনীযুক্তার হৃৎপিন্ডের স্পন্দন করে দেয়।নেকড়ে অধিরাজ তার ছেলের এই বোকামি তে রেগে যান।কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায়।তাই নবনীযুক্তার নিঃশ্বাস পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে তিনি ওর সমস্ত স্মৃতি একটি জাদুআবৃত পাথরের কয়েনে আবদ্ধ করে নেয়।
সেদিনও ছিল পূর্ণ চন্দ্রগ্রহন।নবনীযুক্তার পর ভাসিত এন্চটার বংশে আর কোনো কন্যা সন্তানের জন্ম হয়নি।

“তাহলে ইতাফ স্পাইসির কাছে সেই বই এর সন্ধান চায়??

“হ্যাঁ।”

“কিন্তু ওর তো এইসব মনে নেই।আর তোমরা ভ্যাম্পায়ার রা এই সম্পর্কে জানলে কি করে?

“পূর্ন চন্দ্রগ্রহনের দিন কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা নবনীযুক্তার মাথায় স্পর্শ করালে তার অভ্যন্তরে থাকা ওর স্মৃতি নবনীযুক্তাকে তার পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিবে আর কয়েনটি অদৃশ্য হয়ে যাবে।
আর ভ্যাম্পায়ারদের সাথে প্রকৃতিগত কারনেই নেকড়েমানবদের শত্রুতা।ভ্যাম্পায়ার কিং গোপন সূত্রের মাধ্যমে তা জানতে পারেন।তাই তিনি চান আমাদের মধ্যে যারা মারা যায় তাদের পুনরায় জীবিত করে নিজেদের আরো শক্তিশালী করতে।”
ইরাজের গলায় কথা আটকে গেছে ও বুঝতে পারছেন না ওর কি বলা উচিত।
দ্বিধা বলে—

“তাহলে ওরা আমাকে আবার মেরে ফেলবে??

“আমি থাকতে কেউ আপনাকে স্পর্শও করতে পারবে না।”

রিশাল জাদ কে বলে–
“তাহলে আমাদের এখন কি করতে হবে??

“আর তিনদিন পর পূর্ন চন্দ্রগ্রহন।তাই সাইকিক ভ্যাম্পায়ার রা আজ রাতেই এখানে আসবে নবনীযুক্তাকে নিতে।”

জাদ এর কথায় সবাই আতকে উঠে।
“এইসব তুমি কি বলছো??

“ইয়েস মি.ইরাম।আর তাই আপনাদের কে এখান থেকে এখনি যেতে হবে।”

“কোথায় যাবো আমরা?

“তা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না।সাইকিক ভ্যাম্পায়ার রা আমাদের সহজাতী।কিন্তু তাদের মধ্যে রক্তের পিপাসা বেশি।এতে করে তাদের সাথে আমাদের লড়াই লেগেই থাকে।
আমি আপনাদের নিরাপদ জায়গায় রেখে আসবো।
কিন্তু নবনীযুক্তা এখানেই থাকবে।”

“মানে?দ্বিধা কেনো এখানে থাকবে।যদি ওরা সত্যিই এখানে আসে তাহলে দ্বিধাকে এখানে রাখা সেফ না।”

“আই নো।বাট নবনীযুক্তা আপনাদের সাথে গেলে ওরা সেখানেও পৌছে যাবে।আর আপনারা এখানে থাকলে আপনাদের সবাইকে আমার একার পক্ষে রক্ষা করা সম্ভব নয়।”

পারিজা হকচকিয়ে বলে–
“তাই বলে আমরা আমাদের মেয়েকে রেখে কোথাও যেতে পারিনা।”

জাদ দ্বিধার দিকে তাকিয়ে বলে–
“আপনার আমার উপর বিশ্বাস নেই?

“আমি নিজের নিঃশ্বাসের চেয়ে আপনাকে বেশি বিশ্বাস করি।”

জাদ উঠে দাড়ায়।রিশাল এর কাছে গিয়ে বলে–
“ওনারা আমার চেয়ে তোমাকে বেশি বিশ্বাস করে।আমার মনে হয় তুমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হবে।”

“ওকে।”

রিশাল অনেক বোঝায়।কিন্তু পারিজা আর ইরাম কোনো মতেই মেয়েকে এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে একা ফেলে যাবেন না।তাই বাধ্য হয়ে দ্বিধা বলে–

“মাম্মা,পাপা তোমাদের আমার উপর তো বিশ্বাস আছে।তাহলে জাদ কেও তোমাদের বিশ্বাস করতে হবে।ও ইচ্ছে করলে আমার ক্ষতি করতে পারতো।কিন্তু ও আমাকে বাচাতে এসেছে।আর আমি জানি ও ওর কথা রাখবে।”

অবশেষে তারা রাজি হলেন।জাদ তাদের দুজনকে শহর থেকে দুরে একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে আসে।

নিজের রুমেই বসে আছে দ্বিধা আর জাদ।রিশাল ড্রয়িং রুমে বসে কি করা যায় তাই ভাবছে।বিছানায় আধশোয়া বসে নিজের পা দুটো জাদ এর পায়ের উপর উঠিয়ে রেখেছে দ্বিধা।

“কি হচ্ছে এইটা?

“দেখতেই তো পাচ্ছেন কি হচ্ছে।”

“এখানে পা রাখার মানে?
“আমার পা ব্যথা করছে।”
জাদ আর কিছুনা বলে চুপ করে থাকে।

দ্বিধা পা সরিয়ে বলে—
“আচ্ছা,আচ্ছা এই যে নামালাম এখন তো খুশি!!

“আপনি রাখতে পারেন।আমার কোনো সমস্যা নেই।”

“থাক লাগবে না।”

“আপনার ভয় করছে?

“কেনো?

“এই যে আজ কিছু হতে চলছে।”

“একদম ই না।”

“কেনো??

“আপনি আছেন তো।আপনি থাকতে আমার কিছুই হবে না।আপনি তো আমার রক্ষাকবচ।”
জাদ উঠে বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়।দ্বিধাও ওর পিছু পিছু গিয়ে দাড়ায়।

“জাদ,আপনি একা পারবেন তো?

“আমাকে যে পারতেই হবে।আমি আমার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।”

“যদি আপনার কিছু হয়!!

“আমি আমাকে নিয়ে ভাবি না।”

দ্বিধা আর্দ্র কন্ঠে বলে–
“আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।”

“আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না।নিজেকে সেফ রাখবেন।আপনি ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো।”

দ্বিধা জাদ এর বুকে ঝাপিয়ে পড়ে কাদতে থাকে।
“কাদবেন না।আপনাকে লড়তেই হবে।”

জাদ ওকে আলগা করে ঘুরিয়ে দাড় করিয়ে একটা লকেট ওর গলায় পড়িয়ে দেয়।পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ওর পিঠ নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে চিবুক ওর ঘাড়ে রাখে।

“আজকের পর আমি না বলা পর্যন্ত এই লকেট আপনি খুলবেন না।”

“হুম।”

“সুধানিধী,একটা কথা বলবো??

“বলুন।”

“আপনি কিন্তু বেশ মিষ্টি।”

জাদ এর কথায় দ্বিধার চোখ,মুখ লজ্জায় লাল হয় উঠে।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here