আলোয় অন্ধকার পর্ব-১৪

0
1914

#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 14
স্তব্ধ দেরি না করে স্বাভাবিক ভাবে বাসায় চলে গেলো ড্রাইভ করে! গাড়ী থেকে নেমে একনজর পেছনে তাকালো! চোখ মুখ শক্ত স্তব্ধের। কিন্তু কি দেখলো স্তব্ধ পিছনে বুঝতে পারা দায়!

স্তব্ধ বাড়ীর ভিতরে ঢুকে গেলো। আস্ফি হলেরুমে নেই দেখে! স্তব্ধ আস্ফির রুমে গেলো! আস্ফি তার বারান্দায় সিগারেট খাচ্ছিলো! স্তব্ধ আস্ফির বারান্দায় গিয়ে গলা খাঁকারি দিতেই! আস্ফি বুঝলো স্তব্ধ তার পেছনে! সে দ্রুত তার হাতের সিগারেট ফেলে দুই হাতে ধোঁয়া সরাতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ এমন করে পিছনে তাকালো! স্তব্ধ দরজায় হেলান দিয়ে মাথা একটু বাকিয়ে রেগে তাকিয়ে আছে আস্ফির দিকে। আস্ফি স্তব্ধকে দেখে অবাক আর ভয় পেলো। অবাক হওয়ার কারণ!

আজ স্তব্ধ ব্ল্যাক টিশার্ট এর উপর ব্ল্যাক শার্ট পড়েছে সাথে ব্ল্যাক জিন্স ব্ল্যাক সু! তাই অন্ধকারে স্তব্ধের ফর্সা মুখ আর কালো ঠোঁট দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে আস্ফির কাছে! আস্ফির স্তব্ধের স্টাইল, এ্যাটেটিউট,পার্সোনালিটির ফ্যান, স্তব্ধকে ফলো করে সব সময় আস্ফি ছোট ভাই হিসেবে! তাই স্তব্ধের সৌন্দর্য গুলো আস্ফির চোখে পড়েই যায়!

আর ভয় পাচ্ছে কারণ স্তব্ধ আস্ফির সিগারেট খাওয়া একদম পছন্দ করেনা! স্তব্ধ এখনো রেগে তাকিয়ে আস্ফির দিকে সেটা বুঝতে পেরে আস্ফি আমতা আমতা করে বললো,

— ইয়ে মানে ভাইয়া….

স্তব্ধ কড়া গলায় বললো,
— হাউ ম্যানি টাইম আই টোল্ড ইউ?? তুই স্মকিং করবি না!!

আস্ফি আর কিছু বলতে পারলো না স্তব্ধ ধুপধাপ পা ফেলে নিচে চলে গেলো৷ আস্ফিও বিরবির করতে করতে পিছুনিলো স্তব্ধের!

— রে আস্ফি কে বলেছিলো? এতো বেশী উড়তে! দেখে ফেললোই তো? ধরা খেলেই তো! এবার কি জানি পানিশমেন্ট আছে কপালে! আল্লাহ মালুম!! রক্ষা করিও আল্লাহ এই বাঘের গর্জন থেকে!

বলতে বলতে নিচে এসে দেখলো মুগ্ধ স্তব্ধকে কিছু বলছে৷ আস্ফিও এসে চুপচাপ দাড়ালো।

মুগ্ধ বলছে,
— স্যার কি করবো? এই অফিসার এর চ্যালা আমাদের সবাইকে ফলো করছে!! এরকম হলে আমরা কিছু করতে পারবোনা! রাইজিং এর লোক আমাদের এরিয়ায় ঢুকে যাবে …..

স্তব্ধ মুগ্ধকে থামিয়ে দিয়ে নিজে বললো,
— ঢুকতে দাও রাইজিং এর লোকদের! শুধু জেসিয়াকে এখান থেকে সিফট করার ব্যাবস্থা করো আজ রাতের মধ্যে! কারণ আমি বিশেষ কাজে আমেরিকা যাচ্ছি। জেসিয়াকে কোথায় নিয়ে যাবে এড্রেস আস্ফি দিবে তোমায়।

মুগ্ধ চিন্তিত স্বরে বললো,
— স্যার এখানে তো লেডি মেইড আছে!! ওখানে জেসিয়া ম্যামকে দেখাশোনা কে করবে?? এতো দূর নেনিকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব!

— নিয়ে যেতেই হবে ব্যাবস্থা করো যে ভাবেই হোক!! আমায় কাল যেতেই হবে তাই অন্য ব্যাবস্থা করা সম্ভব নয় এটাই করতে হবে!

মুগ্ধ হতাশ স্বরে বললো,
— ট্রায় মাই বেস্ট স্যার!

বলেই মুগ্ধ চলে গেলো স্তব্ধ আস্ফির দিকে তাকিয়ে বললো,
— একটা এড্রেস তোকে মেইল করে দিবো মুগ্ধকে দিয়ে দিস!

আস্ফি অবাক চোখে স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে বললো,
— ঠিক আছে!! কিন্তু ভাই টিয়াকি আমেরিকা আছে??

স্তব্ধ কিছু বললোনা আস্ফি আবার বললো,
— কিন্তু এতো দ্রুত কিভাবে আমেরিকা নিয়ে চলে গেলো ওরা টিয়াকে মানে পাসপোর্ট কই পেলো??

স্তব্ধ এবার উপরে যেতে যেতে বললো,
— ডাফার প্রত্যয় আগেই সব মেনেজ করে রেখেছিলো!!

আস্ফি বললো,
— ওহহ হোয়াট আ প্ল্যান..

স্তব্ধ নিজের রুমে গিয়ে ঠাশ করে দরজা লাগাতেই। আস্ফি নড়েচড়ে দাড়িয়ে বলে উঠলো,
— কি জানি হতে চলেছে আমেরিকা। গড সেভ মাই ব্রো এন্ড টিয়া…

স্তব্ধ নিজের রুমে গিয়ে টিয়ার ফোনটা হাতে নিলো। পিন লক দেওয়া ফোনে স্তব্ধ খুলার চেষ্টাও করেনি। কিন্তু ইদানীং ওয়ালপেপার এ দেওয়া টিয়ার হাস্যজ্বল ছবিটা দেখা অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে স্তব্ধ এটা দেখেই পুষিয়ে নেয় সব! স্তব্ধ লাস্ট টিয়াকে কাদতেই দেখেছিলো!! ভাবেই বিরবির করে বললো।

— মাই লাভ আর একটু! কাদতে দেবোনা তোমায় কখনো… সরি ঐ রাতে কষ্ট দেওয়ার জন্য! কিন্তু তুমি কি জানো যা আমরা দেখি সেটা সত্যি হয়না সব সময়….!

স্তব্ধ ফোনটা বেডে ফেলে টাউয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো শাওয়ার নেওয়া দরকার তার! এদিকে কবির ছেলে চলে যাওয়ার পর পরি চিন্তিত হয়ে কাকে যেনো কল লাগালো৷

— হ্যালো! রবিন??

— হ্যাঁ বল?

— আমি স্তব্ধকে তোর কথা মতন বলে তো দিয়েছি ডেনিয়ালকে কিছু না করতে কিন্তু সেকি শুনবে? তুই তো জানিস স্তব্ধ কেমন?

— হুম বুঝলাম সবি … কিন্তু কি করা যায় এখন? কারণ ডেনিয়াল কে স্তব্ধ কিছু করলে স্তব্ধ বা টিয়া কেউ বেচে ফিরে আসতে পারবেনা! আর স্তব্ধ ছাড়া টিয়াকে কেউ আনতেও পারবেনা! এ কাজ তাকে দিয়েই সম্ভব শুধু!

কবির হেসে বললো,
— আই হ্যাভ আ্য প্ল্যান….

— পারফেক্ট। কাজ হয়ে যাবে! টক লেইটার..

— বায়!

কবির ফোন কান থেকে নামিয়ে বিরবির করলো,
— স্তব্ধ মাই সোন সরি… বাট তোমার রাগকে আমি বিশ্বাস করিনা!
.
.
টিয়া মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে। সামনে সেন্টার টেবিলে হট কফি রাখা সেটা থেকে ধোঁয়া উঠছে৷ টিয়ার দৃষ্টি সেদিকেই। টিয়া খুব চিন্তিত! টাইমিং এ খুব প্রবলেম হচ্ছে তার। আজ কয় দিন সে কিডনাপ হয়েছে আজ ডেট কত কিছুই মনে পড়ছেনা টিয়ার। মাথা টা শূন্য শূন্য লাগছে… সব ধোয়াসা মনে হচ্ছে। টিয়ার মনে আছে কাল ডেনিয়াল তাকে গলা চেপে মারতে বসেছিলো কিন্তু গলায় টিয়া কোন দাগ পেলোনা! আশ্চর্য লাগছে টিয়ার সব। এত জোরে গলা চেপে ধরলো ডেনিয়াল অথচ এক ফোটা দাগ হলো না গলায়?? এটা কিভাবে সম্ভব? আর কাল রাতে তার গলা চেপে ধরেছিলো ডেনিয়াল! আর এখনো রাত…. ভেবেই বারান্দায় তাকালো টিয়া স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাইরের অন্ধকার!!

বারান্দা থেকে চোখ ফিরালো টিয়া অদ্ভুত লাগছে সব টিয়ার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। পাগল হয়ে গেলোনাত টিয়া? ভেবেই গরম কফির মগটা হাতে নিয়ে চুমুক লাগালো টিয়া! তারপর কফি হাতে উঠে দাড়িয়ে আয়নার সামনে গেলো। নিজের বাম গালে হাত রাখলো৷ একটু আগে শাওয়ার নেয় সময় গলায় খুজেও একটু দাগ পায়নি কিন্তু গালে পেয়েছে। পাচ আঙুলের ছাপ পড়ে আছে গালে! কিন্তু টিয়ার যতটুকু মনে আছে ডেনিয়াল তাকে মারেনি গালে তবে এখানে দাগ কই থেকে আসলো?? টিয়া হাতের কফিটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো৷ মুহূর্তে বিকট এক শব্দে রুম কেপে উঠলো। টিয়া দুই হাতে মাথা চেপে ধরলো কফিটাও কেমন কেমন লাগছিলো! টিয়া বিরবির করতে লাগলো!

— উফফ এমন কেনো লাগছে আমার?? মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে নিতে পারছিনা কিছু মায়ায়া!!

তখনি ডেনিয়াল টিয়ার রুমে ঢুকলো পড়নে ব্ল্যাক ট্রাউজার টিশার্ট! ডেনিয়াল টিয়াকে মাথা চেপে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আর ফ্লোরে ভাংচুর দেখে বুঝতে পারলো তার মেডিসিন কাজে দিয়েছে! টিয়া আজকে কথা কিছুই মনে নেই!

ডেনিয়াল টিয়াকে বললো,
— হোয়াটস ইউর প্রবলেম?? এসব ভাংচুর করছো কেনো??

টিয়া মাথা থেকে হাত সরিয়ে পিছনে ফিরে ডেনিয়ালকে দেখে তার দিকে তেড়ে গিয়ে গলার কাছের টিশার্ট চেপে ধরে বললো,
— কি করেছেন আপনি আমার সাথে?? আমার এমন লাগছে কেনো বলুন প্লিজ??

ডেনিয়াল টিয়াকে না ছাড়িয়ে ট্রাউজার এর পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললো,
— কি করেছি ??

— কি করেছেন সেটা তো আপনিই জানেন৷

ডেনিয়াল এবার টিয়ার দিকে একটু ঝুকে বললো,
— এখনো কিছুই করিনি মিস… তুমি চাইলে করতে পারি??

টিয়া অবাক হয়ে বললো,
— মানে??

— মানে তুমি যে আমার এতো কাছে আমার খুব ভালোলাগছে!

ডেনিয়াল এর কথা শেষ না হতেই। টিয়া ডেনিয়ালকে ছেড়ে দুই তিন হাত দূরে দাড়ালো। সে বুঝলোনা ডেনিয়াল কৌশলে তার টিশার্ট ছাড়ালো টিয়ার থেকে না অন্য কিছু?? ডেনিয়াল এর ঠোঁটে বাঁকা হাসি! এই হাসির মানে টিয়া বুঝলোনা! তাই ডেনিয়ালের হাসি এগনোর করে! কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো

— আমি কয়দিন এখানে আছি প্লিজ বলুন একটু আমাকে!!

ডেনিয়াল বললোনা তার প্ল্যান এটাই টিয়াকে কনফিউজড রাখা৷ যেনো টিয়া অন্যকিছু ভাবতেইনা পারে! তাই তো পিলটা দিয়েছে টিয়াকে যেনো টিয়া জ্যাক আর তার বলা সব কথা ভুলে যায়! ডেনিয়াল টিয়ার কাছে এসে টিয়ার হাতের কব্জি ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো রুমের বাইরে! টিয়া হাত ছাড়াতে ব্যাস্ত!

— আমি কোথাও যাবো না প্লিজ ছাড়ুন আমাকে! ছাড়ুন….

ডেনিয়াল রেগে দাড়িয়ে পড়লো কিন্তু টিয়ার হাত ছাড়লো না! সে সামনে তাকিয়েই নিজের কপালে দুই আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বললো,
— তুমিকি কাল রাতের কথা ভুলে গেছো??

টিয়া এবার ভয় পেলো কাল রাতের কথা মনে পড়তে সে চুপচাপ ছুটাছুটি বন্ধ করেদিলো। ডেনিয়াল টিয়ার হাত ধরে ডাইনিং এ গিয়ে চেয়ার টেনে টিয়াকে বসিয়ে দিলো! টিয়া দেখলো দুই তিন জন সার্ভেন্ট খাবার সার্ভ করে দিচ্ছে টিয়া আর কিছু বললোনা তার মাথা নুইয়ে বসে রইলো!!

ডেনিয়াল বললো,
— বসে থাকতে এখানে আনিনি তোমায়। ডিনার ফিনিশ করো।

টিয়া অবাক চোখে ডিনিয়ালের দিকে তাকিয়ে বললো,
— আপনি কে??

— তোমার যম।

— আমার এমন লাগছে কেনো মাথায়??

ডেনিয়াল খেতে খেতে বললো,
— তোমার জ্বর কাল রাত থেকে তাই!

টিয়ার একটু ও পছন্দ হয়নি ডেনিয়ালের এই শান্ত জবাব টিয়া রেগে চিৎকার করে বললো,

— আমি বাড়ী যাবো!! শুনছেন আপনি??

বলেই টিয়া উঠে দাড়িয়ে টেবিলের সব খাবার হাত দিয়ে ফেলে দিলো! ডেনিয়াল এর কপালে রগ ফুলে উঠে কিন্তু সে খাওয়া বন্ধ করলোনা তার প্লেট এর খাবার সে খাচ্ছে। আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে! কিন্তু সেটা বেশীক্ষণ পারলোনা কারণ টিয়া মেইন ডোর এর দিয়ে দৌড়ে বাইরে চলে গেছে! গার্ডরা টিয়ার পিছু ছুটতে চাইলে। ডেনিয়াল হাত দিয়ে ইশারায় মানা করে৷ সে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে পানি খায়।

টিয়া যেনো বিশ্বাস করতে পারছেনা সে এই বাড়ী থেকে বেরুতে পেরেছে! প্রান পনে ছুটে চলছে টিয়া সামনের দিকে! কোথায় যাচ্ছে জানা নেই যাচ্ছে একদিকে!

অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পড় টিয়া ক্লান্ত হয়ে দুই হাটুতে ভর দিয়ে দাড়িয়ে পড়ে। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে টিয়া৷ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে আশেপাশে দেখলো না কেউ নেই আশেপাশে একদম খালি! টিয়া আস্তে আস্তে হাটতে লাগলো! বেশকিছু ক্ষণ হাটার পড় টিয়ার কানে পানির শব্দ এলো৷ আগ্রহ নিয়ে টিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে হাটতে লাগলো। তারপর হঠাৎই সামনে তাকিয়ে টিয়া ভয়ে আবার পিছনে দৌড়ে যেতে গেলেই কাউর সাথে ধাক্কা খেলো! মাথা উচু করে তাকাতেই ডেনিয়াল এর রাগী ফেইস দেখতে পেলো। টিয়া আবার অন্যদিকে পালাতে নিলেই ডেনিয়াল টিয়ার চুলের মুঠি ধরে টেনে নিজের মুখোমুখি দাড় করালো। টিয়া তাতে ব্যাথায় চিৎকার করে উঠে,

— আহহ… লাগছে ছাড়ুন!!

ডেনিয়াল দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— ফিরছিলে কেনো মিস পালাবেনা??

এইটুকু বলেই ডেনিয়াল হঠাৎ ই চেচিয়ে উঠে,
— ইউ ইডিয়ট ভাবলে কি করে? ডেনিয়াল এর হাত থেকে পালাতে পারবে?? সেটা আমি না চাইলে সম্ভব না ইউ স্টুপিট!

বলেই টিয়ার চুল টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো৷ টিয়া ভয়ে কেদে দিলো সামনে টিয়া যতটুকু দেখেছে শুধু পানিই দেখেছে চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখেছে টিয়া কেমন উথাল-পাথাল করছিলো পানি কতটা অশান্ত ঐ পানি গুলো যেমন তাকে খেয়ে ফেলবে ! তাই সে ভয়ে ফিরে যাচ্ছিলো! আর ডেনিয়াল তাকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে তাই ভয়ে টিয়া বললো,

— আমি আর কখনো পালাবোনা প্লিজ আমায় এখান থেকে নিয়ে চলুন প্লিজ!

ডেনিয়াল টিয়ার চুলের মুঠি টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
— এটা তোমার আগে ভাবা উচিৎ ছিলো ডেনিয়াল কি করতে পারে?? নাউ পানিশমেন্ট এর জন্য তৈরী হও!

চলবে!
[গঠন মূলক কমেন্ট করুন এতে নেক্সট পার্ট আরো সুন্দর হবে! আপনাদের রেসপন্স আমায় উৎসাহিত করে কারণ গল্প আপনাদের জন্যই লিখা ❤]#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 14
স্তব্ধ দেরি না করে স্বাভাবিক ভাবে বাসায় চলে গেলো ড্রাইভ করে! গাড়ী থেকে নেমে একনজর পেছনে তাকালো! চোখ মুখ শক্ত স্তব্ধের। কিন্তু কি দেখলো স্তব্ধ পিছনে বুঝতে পারা দায়!

স্তব্ধ বাড়ীর ভিতরে ঢুকে গেলো। আস্ফি হলেরুমে নেই দেখে! স্তব্ধ আস্ফির রুমে গেলো! আস্ফি তার বারান্দায় সিগারেট খাচ্ছিলো! স্তব্ধ আস্ফির বারান্দায় গিয়ে গলা খাঁকারি দিতেই! আস্ফি বুঝলো স্তব্ধ তার পেছনে! সে দ্রুত তার হাতের সিগারেট ফেলে দুই হাতে ধোঁয়া সরাতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ এমন করে পিছনে তাকালো! স্তব্ধ দরজায় হেলান দিয়ে মাথা একটু বাকিয়ে রেগে তাকিয়ে আছে আস্ফির দিকে। আস্ফি স্তব্ধকে দেখে অবাক আর ভয় পেলো। অবাক হওয়ার কারণ!

আজ স্তব্ধ ব্ল্যাক টিশার্ট এর উপর ব্ল্যাক শার্ট পড়েছে সাথে ব্ল্যাক জিন্স ব্ল্যাক সু! তাই অন্ধকারে স্তব্ধের ফর্সা মুখ আর কালো ঠোঁট দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে আস্ফির কাছে! আস্ফির স্তব্ধের স্টাইল, এ্যাটেটিউট,পার্সোনালিটির ফ্যান, স্তব্ধকে ফলো করে সব সময় আস্ফি ছোট ভাই হিসেবে! তাই স্তব্ধের সৌন্দর্য গুলো আস্ফির চোখে পড়েই যায়!

আর ভয় পাচ্ছে কারণ স্তব্ধ আস্ফির সিগারেট খাওয়া একদম পছন্দ করেনা! স্তব্ধ এখনো রেগে তাকিয়ে আস্ফির দিকে সেটা বুঝতে পেরে আস্ফি আমতা আমতা করে বললো,

— ইয়ে মানে ভাইয়া….

স্তব্ধ কড়া গলায় বললো,
— হাউ ম্যানি টাইম আই টোল্ড ইউ?? তুই স্মকিং করবি না!!

আস্ফি আর কিছু বলতে পারলো না স্তব্ধ ধুপধাপ পা ফেলে নিচে চলে গেলো৷ আস্ফিও বিরবির করতে করতে পিছুনিলো স্তব্ধের!

— রে আস্ফি কে বলেছিলো? এতো বেশী উড়তে! দেখে ফেললোই তো? ধরা খেলেই তো! এবার কি জানি পানিশমেন্ট আছে কপালে! আল্লাহ মালুম!! রক্ষা করিও আল্লাহ এই বাঘের গর্জন থেকে!

বলতে বলতে নিচে এসে দেখলো মুগ্ধ স্তব্ধকে কিছু বলছে৷ আস্ফিও এসে চুপচাপ দাড়ালো।

মুগ্ধ বলছে,
— স্যার কি করবো? এই অফিসার এর চ্যালা আমাদের সবাইকে ফলো করছে!! এরকম হলে আমরা কিছু করতে পারবোনা! রাইজিং এর লোক আমাদের এরিয়ায় ঢুকে যাবে …..

স্তব্ধ মুগ্ধকে থামিয়ে দিয়ে নিজে বললো,
— ঢুকতে দাও রাইজিং এর লোকদের! শুধু জেসিয়াকে এখান থেকে সিফট করার ব্যাবস্থা করো আজ রাতের মধ্যে! কারণ আমি বিশেষ কাজে আমেরিকা যাচ্ছি। জেসিয়াকে কোথায় নিয়ে যাবে এড্রেস আস্ফি দিবে তোমায়।

মুগ্ধ চিন্তিত স্বরে বললো,
— স্যার এখানে তো লেডি মেইড আছে!! ওখানে জেসিয়া ম্যামকে দেখাশোনা কে করবে?? এতো দূর নেনিকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব!

— নিয়ে যেতেই হবে ব্যাবস্থা করো যে ভাবেই হোক!! আমায় কাল যেতেই হবে তাই অন্য ব্যাবস্থা করা সম্ভব নয় এটাই করতে হবে!

মুগ্ধ হতাশ স্বরে বললো,
— ট্রায় মাই বেস্ট স্যার!

বলেই মুগ্ধ চলে গেলো স্তব্ধ আস্ফির দিকে তাকিয়ে বললো,
— একটা এড্রেস তোকে মেইল করে দিবো মুগ্ধকে দিয়ে দিস!

আস্ফি অবাক চোখে স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে বললো,
— ঠিক আছে!! কিন্তু ভাই টিয়াকি আমেরিকা আছে??

স্তব্ধ কিছু বললোনা আস্ফি আবার বললো,
— কিন্তু এতো দ্রুত কিভাবে আমেরিকা নিয়ে চলে গেলো ওরা টিয়াকে মানে পাসপোর্ট কই পেলো??

স্তব্ধ এবার উপরে যেতে যেতে বললো,
— ডাফার প্রত্যয় আগেই সব মেনেজ করে রেখেছিলো!!

আস্ফি বললো,
— ওহহ হোয়াট আ প্ল্যান..

স্তব্ধ নিজের রুমে গিয়ে ঠাশ করে দরজা লাগাতেই। আস্ফি নড়েচড়ে দাড়িয়ে বলে উঠলো,
— কি জানি হতে চলেছে আমেরিকা। গড সেভ মাই ব্রো এন্ড টিয়া…

স্তব্ধ নিজের রুমে গিয়ে টিয়ার ফোনটা হাতে নিলো। পিন লক দেওয়া ফোনে স্তব্ধ খুলার চেষ্টাও করেনি। কিন্তু ইদানীং ওয়ালপেপার এ দেওয়া টিয়ার হাস্যজ্বল ছবিটা দেখা অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে স্তব্ধ এটা দেখেই পুষিয়ে নেয় সব! স্তব্ধ লাস্ট টিয়াকে কাদতেই দেখেছিলো!! ভাবেই বিরবির করে বললো।

— মাই লাভ আর একটু! কাদতে দেবোনা তোমায় কখনো… সরি ঐ রাতে কষ্ট দেওয়ার জন্য! কিন্তু তুমি কি জানো যা আমরা দেখি সেটা সত্যি হয়না সব সময়….!

স্তব্ধ ফোনটা বেডে ফেলে টাউয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো শাওয়ার নেওয়া দরকার তার! এদিকে কবির ছেলে চলে যাওয়ার পর পরি চিন্তিত হয়ে কাকে যেনো কল লাগালো৷

— হ্যালো! রবিন??

— হ্যাঁ বল?

— আমি স্তব্ধকে তোর কথা মতন বলে তো দিয়েছি ডেনিয়ালকে কিছু না করতে কিন্তু সেকি শুনবে? তুই তো জানিস স্তব্ধ কেমন?

— হুম বুঝলাম সবি … কিন্তু কি করা যায় এখন? কারণ ডেনিয়াল কে স্তব্ধ কিছু করলে স্তব্ধ বা টিয়া কেউ বেচে ফিরে আসতে পারবেনা! আর স্তব্ধ ছাড়া টিয়াকে কেউ আনতেও পারবেনা! এ কাজ তাকে দিয়েই সম্ভব শুধু!

কবির হেসে বললো,
— আই হ্যাভ আ্য প্ল্যান….

— পারফেক্ট। কাজ হয়ে যাবে! টক লেইটার..

— বায়!

কবির ফোন কান থেকে নামিয়ে বিরবির করলো,
— স্তব্ধ মাই সোন সরি… বাট তোমার রাগকে আমি বিশ্বাস করিনা!
.
.
টিয়া মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছে। সামনে সেন্টার টেবিলে হট কফি রাখা সেটা থেকে ধোঁয়া উঠছে৷ টিয়ার দৃষ্টি সেদিকেই। টিয়া খুব চিন্তিত! টাইমিং এ খুব প্রবলেম হচ্ছে তার। আজ কয় দিন সে কিডনাপ হয়েছে আজ ডেট কত কিছুই মনে পড়ছেনা টিয়ার। মাথা টা শূন্য শূন্য লাগছে… সব ধোয়াসা মনে হচ্ছে। টিয়ার মনে আছে কাল ডেনিয়াল তাকে গলা চেপে মারতে বসেছিলো কিন্তু গলায় টিয়া কোন দাগ পেলোনা! আশ্চর্য লাগছে টিয়ার সব। এত জোরে গলা চেপে ধরলো ডেনিয়াল অথচ এক ফোটা দাগ হলো না গলায়?? এটা কিভাবে সম্ভব? আর কাল রাতে তার গলা চেপে ধরেছিলো ডেনিয়াল! আর এখনো রাত…. ভেবেই বারান্দায় তাকালো টিয়া স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বাইরের অন্ধকার!!

বারান্দা থেকে চোখ ফিরালো টিয়া অদ্ভুত লাগছে সব টিয়ার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। পাগল হয়ে গেলোনাত টিয়া? ভেবেই গরম কফির মগটা হাতে নিয়ে চুমুক লাগালো টিয়া! তারপর কফি হাতে উঠে দাড়িয়ে আয়নার সামনে গেলো। নিজের বাম গালে হাত রাখলো৷ একটু আগে শাওয়ার নেয় সময় গলায় খুজেও একটু দাগ পায়নি কিন্তু গালে পেয়েছে। পাচ আঙুলের ছাপ পড়ে আছে গালে! কিন্তু টিয়ার যতটুকু মনে আছে ডেনিয়াল তাকে মারেনি গালে তবে এখানে দাগ কই থেকে আসলো?? টিয়া হাতের কফিটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো৷ মুহূর্তে বিকট এক শব্দে রুম কেপে উঠলো। টিয়া দুই হাতে মাথা চেপে ধরলো কফিটাও কেমন কেমন লাগছিলো! টিয়া বিরবির করতে লাগলো!

— উফফ এমন কেনো লাগছে আমার?? মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে নিতে পারছিনা কিছু মায়ায়া!!

তখনি ডেনিয়াল টিয়ার রুমে ঢুকলো পড়নে ব্ল্যাক ট্রাউজার টিশার্ট! ডেনিয়াল টিয়াকে মাথা চেপে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আর ফ্লোরে ভাংচুর দেখে বুঝতে পারলো তার মেডিসিন কাজে দিয়েছে! টিয়া আজকে কথা কিছুই মনে নেই!

ডেনিয়াল টিয়াকে বললো,
— হোয়াটস ইউর প্রবলেম?? এসব ভাংচুর করছো কেনো??

টিয়া মাথা থেকে হাত সরিয়ে পিছনে ফিরে ডেনিয়ালকে দেখে তার দিকে তেড়ে গিয়ে গলার কাছের টিশার্ট চেপে ধরে বললো,
— কি করেছেন আপনি আমার সাথে?? আমার এমন লাগছে কেনো বলুন প্লিজ??

ডেনিয়াল টিয়াকে না ছাড়িয়ে ট্রাউজার এর পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললো,
— কি করেছি ??

— কি করেছেন সেটা তো আপনিই জানেন৷

ডেনিয়াল এবার টিয়ার দিকে একটু ঝুকে বললো,
— এখনো কিছুই করিনি মিস… তুমি চাইলে করতে পারি??

টিয়া অবাক হয়ে বললো,
— মানে??

— মানে তুমি যে আমার এতো কাছে আমার খুব ভালোলাগছে!

ডেনিয়াল এর কথা শেষ না হতেই। টিয়া ডেনিয়ালকে ছেড়ে দুই তিন হাত দূরে দাড়ালো। সে বুঝলোনা ডেনিয়াল কৌশলে তার টিশার্ট ছাড়ালো টিয়ার থেকে না অন্য কিছু?? ডেনিয়াল এর ঠোঁটে বাঁকা হাসি! এই হাসির মানে টিয়া বুঝলোনা! তাই ডেনিয়ালের হাসি এগনোর করে! কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো

— আমি কয়দিন এখানে আছি প্লিজ বলুন একটু আমাকে!!

ডেনিয়াল বললোনা তার প্ল্যান এটাই টিয়াকে কনফিউজড রাখা৷ যেনো টিয়া অন্যকিছু ভাবতেইনা পারে! তাই তো পিলটা দিয়েছে টিয়াকে যেনো টিয়া জ্যাক আর তার বলা সব কথা ভুলে যায়! ডেনিয়াল টিয়ার কাছে এসে টিয়ার হাতের কব্জি ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো রুমের বাইরে! টিয়া হাত ছাড়াতে ব্যাস্ত!

— আমি কোথাও যাবো না প্লিজ ছাড়ুন আমাকে! ছাড়ুন….

ডেনিয়াল রেগে দাড়িয়ে পড়লো কিন্তু টিয়ার হাত ছাড়লো না! সে সামনে তাকিয়েই নিজের কপালে দুই আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বললো,
— তুমিকি কাল রাতের কথা ভুলে গেছো??

টিয়া এবার ভয় পেলো কাল রাতের কথা মনে পড়তে সে চুপচাপ ছুটাছুটি বন্ধ করেদিলো। ডেনিয়াল টিয়ার হাত ধরে ডাইনিং এ গিয়ে চেয়ার টেনে টিয়াকে বসিয়ে দিলো! টিয়া দেখলো দুই তিন জন সার্ভেন্ট খাবার সার্ভ করে দিচ্ছে টিয়া আর কিছু বললোনা তার মাথা নুইয়ে বসে রইলো!!

ডেনিয়াল বললো,
— বসে থাকতে এখানে আনিনি তোমায়। ডিনার ফিনিশ করো।

টিয়া অবাক চোখে ডিনিয়ালের দিকে তাকিয়ে বললো,
— আপনি কে??

— তোমার যম।

— আমার এমন লাগছে কেনো মাথায়??

ডেনিয়াল খেতে খেতে বললো,
— তোমার জ্বর কাল রাত থেকে তাই!

টিয়ার একটু ও পছন্দ হয়নি ডেনিয়ালের এই শান্ত জবাব টিয়া রেগে চিৎকার করে বললো,

— আমি বাড়ী যাবো!! শুনছেন আপনি??

বলেই টিয়া উঠে দাড়িয়ে টেবিলের সব খাবার হাত দিয়ে ফেলে দিলো! ডেনিয়াল এর কপালে রগ ফুলে উঠে কিন্তু সে খাওয়া বন্ধ করলোনা তার প্লেট এর খাবার সে খাচ্ছে। আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে! কিন্তু সেটা বেশীক্ষণ পারলোনা কারণ টিয়া মেইন ডোর এর দিয়ে দৌড়ে বাইরে চলে গেছে! গার্ডরা টিয়ার পিছু ছুটতে চাইলে। ডেনিয়াল হাত দিয়ে ইশারায় মানা করে৷ সে পানির গ্লাস হাতে নিয়ে পানি খায়।

টিয়া যেনো বিশ্বাস করতে পারছেনা সে এই বাড়ী থেকে বেরুতে পেরেছে! প্রান পনে ছুটে চলছে টিয়া সামনের দিকে! কোথায় যাচ্ছে জানা নেই যাচ্ছে একদিকে!

অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পড় টিয়া ক্লান্ত হয়ে দুই হাটুতে ভর দিয়ে দাড়িয়ে পড়ে। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে টিয়া৷ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে আশেপাশে দেখলো না কেউ নেই আশেপাশে একদম খালি! টিয়া আস্তে আস্তে হাটতে লাগলো! বেশকিছু ক্ষণ হাটার পড় টিয়ার কানে পানির শব্দ এলো৷ আগ্রহ নিয়ে টিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে হাটতে লাগলো। তারপর হঠাৎই সামনে তাকিয়ে টিয়া ভয়ে আবার পিছনে দৌড়ে যেতে গেলেই কাউর সাথে ধাক্কা খেলো! মাথা উচু করে তাকাতেই ডেনিয়াল এর রাগী ফেইস দেখতে পেলো। টিয়া আবার অন্যদিকে পালাতে নিলেই ডেনিয়াল টিয়ার চুলের মুঠি ধরে টেনে নিজের মুখোমুখি দাড় করালো। টিয়া তাতে ব্যাথায় চিৎকার করে উঠে,

— আহহ… লাগছে ছাড়ুন!!

ডেনিয়াল দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— ফিরছিলে কেনো মিস পালাবেনা??

এইটুকু বলেই ডেনিয়াল হঠাৎ ই চেচিয়ে উঠে,
— ইউ ইডিয়ট ভাবলে কি করে? ডেনিয়াল এর হাত থেকে পালাতে পারবে?? সেটা আমি না চাইলে সম্ভব না ইউ স্টুপিট!

বলেই টিয়ার চুল টেনে সামনের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো৷ টিয়া ভয়ে কেদে দিলো সামনে টিয়া যতটুকু দেখেছে শুধু পানিই দেখেছে চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখেছে টিয়া কেমন উথাল-পাথাল করছিলো পানি কতটা অশান্ত ঐ পানি গুলো যেমন তাকে খেয়ে ফেলবে ! তাই সে ভয়ে ফিরে যাচ্ছিলো! আর ডেনিয়াল তাকে সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে তাই ভয়ে টিয়া বললো,

— আমি আর কখনো পালাবোনা প্লিজ আমায় এখান থেকে নিয়ে চলুন প্লিজ!

ডেনিয়াল টিয়ার চুলের মুঠি টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
— এটা তোমার আগে ভাবা উচিৎ ছিলো ডেনিয়াল কি করতে পারে?? নাউ পানিশমেন্ট এর জন্য তৈরী হও!

চলবে!
[গঠন মূলক কমেন্ট করুন এতে নেক্সট পার্ট আরো সুন্দর হবে! আপনাদের রেসপন্স আমায় উৎসাহিত করে কারণ গল্প আপনাদের জন্যই লিখা ❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here