আলোয় অন্ধকার পর্ব-২৭

0
1670

#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 27
— ” স্তব্ধ কি করছো? আমি ব্যাথা পাচ্ছি তো ছাড়ো! ”
স্তব্ধ টিয়াকে না ছেড়ে চিৎকার করে বললো,
— ” আমি তোমাকে ধরতে চাইনি তুমি বাধ্য করেছো!

টিয়া স্তব্ধের চিৎকার ভয়ে স্তব্ধকেই আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে৷ টিয়া হতভম্ব স্তব্ধের বিহেভিয়ারে৷ টিয়ার মাথায় ঢুকছেনা কিছু৷ হলো কি স্তব্ধের? এমন করছে কেনো স্তব্ধ আজ…
টিয়াকে আরো অবাক করে দিয়ে স্তব্ধ..ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তাকে ফ্লোরে! হতভম্ব টিয়া ব্যাথা পাওয়ার বদলে বিস্মিত চোখে তাকায় স্তব্ধের দিকে। টিয়া স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোগ গিললো। স্তব্ধকে খুবি ভয়ংকর লাগছে৷ কিন্তু টিয়া বুঝলোনা তাকে এভাবে ফেলে দেয়ার মানেকি??
টিয়ার প্রশ্নের উত্তর স্বরূপ স্তব্ধ চেচিয়ে উঠে,
— ” স্টে আওয়ে ফ্রোম মি! ওয়েল নট কাম টু মি এট অল! আমি তোমাকে.. তোমাকে.. আহহহহ! ”

মাথা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে চিৎকার করে উঠে স্তব্ধ আর বলতে পারছেনা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারছেনা। বার বার নিজের চুলে হাত বুলাচ্ছে স্তব্ধ নিজেকে শান্ত করতে ব্যর্থ স্তব্ধ শান্ত হতে না পেরে এবার চুল টেনে যাচ্ছে অনবরত। টিয়া স্তব্ধের দিকে আকস্মিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে! সে বুঝার চেষ্টা করছে কি বলতে চাইছে স্তব্ধ? এমন উন্মাদ এর মতো বিহেভিয়ার কেনো করছে স্তব্ধ, ভয় করছে টিয়া’র স্তব্ধের বিহেভিয়ারে। হুট করে স্তব্ধ টিয়ার দিকে তাকিয়ে জোরে একটা শ্বাস নিলো না শান্ত হতে পারলোনা সে। তিড়িৎ গতিতে টিয়ার মুখোমুখি বসে আবারও চিৎকার করে বললো,
— ” আই নেভার ওয়ানটেড টু লাভ ইউ বাট! আই ওয়াজ ফোর্স টু ডু দ্যাট! তোমার জন্য বাধ্য হয়েছি তোমার জন্য! বিকজ অফ ইউ! তুমি আমার কাছে এসেছো! ইউ সেইড আই লাভ ইউ স্তব্ধ! আই ডিড নট গো টু ইউ! ডোন্ট ট্রায় টু কাম টু মি এট অল!
জাস্ট স্টে আওয়ে ফ্রোম মি! ”
টিয়া স্তব্ধ হয়ে ফ্লোরে বসে আছে! স্তব্ধের বলা এক একটা কথা বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছে তার। টিয়া এতদিন মরিয়া হয়ে জানতে চাইতো স্তব্ধ তাকে কেনো একটু ভালোবাসতে পারেনি? কিন্তু আজ সেই স্তব্ধই বলছে! সে ভালোবাসতে বাধ্য হয়েছে টিয়াকে। তারি জন্য। টিয়া খুশী হবে না স্তব্ধের বিহেভিয়ারে রাগ করবে নাকি ভয় পাবে বুঝলো না! এভাবে কাউকে টিয়া ভালোবাসা প্রকাশ করতে সিনেমাতেও দেখেনি তাই চুপচাপ উঠে দাড়ালো। স্তব্ধ এখনও হাটু ভেঙে,মাথা নিচু করে ফ্লোরে বসে। টিয়া একনজর স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে। নিশব্দে কান্নার ফলস্বরূপ চোখের পানি গুলো মুছে নেয় হাতের উল্টো পঠে। তারপর বারান্দার দিকে হাটা দিতেই!
স্তব্ধের গম্ভীর গলায় বলে উঠে,
— ” ইউ হেভ টু ম্যারি মি টুমররও. গেট রেডি ফর ম্যারেজ! ”
টিয়া এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলো। তার মাথায় বাজ পড়লো স্তব্ধের এই কথায়! সে অবাক হয়ে পিছনে ফিরে তাকায়। স্তব্ধ উঠে দাড়িয়ে আছে পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে টিয়ার দিকে পিঠ দিয়ে৷ দাড়ানোর ভঙিমা টাও ভাবলেশহীন! একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব ফুটে উঠেছে তার!
টিয়ার বুক ধুকপুক ধুকপুক করছে৷ মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে! শুধু মাথায় একটা কথাই ঘুরঘুর করছে যেহেতু স্তব্ধ নিজেই আবার বিয়ের কথা বলছে তাকে! তার মানে তাকে বিয়ে করেই ছাড়বে স্তব্ধ! কিন্তু টিয়া কিছুতে ই স্তব্ধকে বিয়ে করতে পারবে না। কিছুতেইনা! একবার একটি ভুল এর জন্য স্তব্ধের লাইফে নিজেকে জরিয়ে ফেলেছে। তাই আজ তার এই অবস্থা ফ্যামিলি থেকে ইভেন দেশ থেকে দূর! স্তব্ধকে বিয়ে করে নিজেকে আর তার ফ্যামিলিকে আর কষ্ট দিতে চায় না টিয়া৷ কে জানে তাকে ছাড়া বাবা মা আরাফ কিভাবে আছে! টিয়া এতদিনে এটা বুঝে গেছে স্তব্ধের লাইফে থাকতে হলে ফ্যামিলি ভুলতে হবে! ফ্যামিলি ছাড়তে হবে৷ টিয়া সেটা কিছুতেই পারবেনা! একদমি না! আর তাছাড়া স্তব্ধের বৌ আছে! যদিও আছে কি নেই টিয়া আধো সঠিক টা জানেই না। জানেই না যাকে ভালোবাসে সে কে? কি করে? কোথায় থাকে কিছুনা! এমন একটা অচেনা মানুষ’কে ভালো বাসা যায় কিন্তু তার সাথে চিরজীবন থাকা’টা কষ্টের প্রচুর কষ্টে’র সেটাও টিয়া বুঝে গেছে! নিজের একার কষ্ট টিয়া মানতে হাজার বার রাজী স্তব্ধের সাথে সারাজীবন থাকতে! কিন্তু মা বাবা’কে টিয়া কষ্ট কিছুতেই দিতে পারবেনা!
স্তব্ধের সাথে বিয়ে’র কথা অদের মিথ্যে বলে টিয়া অন্যায় করেছে সেটাই কুরেকুরে খাচ্ছে টিয়ার ভেতর’টা! আর এখন স্তব্ধ’কে বিয়ে করে তাদের থেকে নিজেকে দূরে রেখে টিয়া অদের সাথে আর অন্যায় করতে পারবেনা কিছুতেই না! টিয়া দূরে থাকলেও এটা জানে তার ফ্যামিলির কেও তাকে ছাড়া ভালো নেই! টিয়া এসব ভেবে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে! স্তব্ধ এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সে বুঝতে পারছে টিয়া কি ভাবছে টিয়া’র ডিসিশন কি হতে পারে! তাও টিয়া কি ভাবছে ভাবতে’ই স্তব্ধে চোয়াল শক্ত হয়ে আসছে। যদিও টিয়ার ভাবনা টা নরমাল সে জানে। যে কেও নিজের এবং নিজের ফ্যামিলির ভালো চাইবে। কিন্তু তাও স্তব্ধ মানতে পারছেনা টিয়া’র ভাবনা গুলো৷ সেও তো টিয়া’র ভালো জন্য’ই সব করছে৷ স্তব্ধ’কে টিয়া বুঝতে পারছে না৷ তাতে’ই স্তব্ধের রাগ টা হচ্ছে! টিয়া কিছুক্ষণ পর তার চোখ মুখ মুছে মৃদু চিৎকার করে বলে উঠে,
— ” আই ক্যান নেভার ম্যারি ইউ! নেভার! আই জাস্ট ওয়ান্ট টু গো ব্যাক টু বি ডি! ”
স্তব্ধ এর দ্রুত গম্ভীর গলায় জবাব,
— ” জানতে চাইনি! জানিয়ে দিয়েছি শুধু! ”
টিয়া স্তব্ধের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
— ” তুমি এমন কেনো?? আমি মরে গেলেও তোমাকে বিয়ে করবো না! অসম্ভব!

স্তব্ধ বাঁকা হাসলো একটু। তারপর পিছন ফিরে টিয়া’র একদম চোখে চোখ রেখে তীব্র তীক্ষ্ণতা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। টিয়া’র খুব অস্বস্তি হচ্ছে স্তব্ধের তীব্র তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে। তাই সে স্তব্ধের চোখ হতে পালানোর জন্য বারান্দার দিকে’ই ছুটে চলে গেলো! স্তব্ধ আবারও বাঁকা হেসে ফ্লোর থেকে শপিং ব্যাগটা তুলে কাবার্ডে রেখে। ধীরে পারে বেডে গিয়ে ধুপ করে শুয়ে পড়লো উল্টো হয়ে পা তার বেডে’র বাইরে ঝুলে আছে৷ মাথা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে রইলো স্তব্ধ! মাথায় খুব পেইন হচ্ছে তার এই মুহুর্তে শ্রেষ্ঠ হতো টিয়া তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে। যা স্তব্ধ না চাইতেও বেহায়া মন’টা চেয়ে বসছে! তবে এমন’টা হলে স্তব্ধের মন্দ লাগতো না বরঞ্চ তার সব ক্লান্তি ধোঁয়াশা হয়ে যেতো কিছু সময়ে’র জন্য.. যার হাতে’র ছোঁয়ায় স্তব্ধের ক্লান্ত গুলো দূর হবে ভাবছে! তার থেকে আজ স্তব্ধ সব থেকে বড় কষ্ট’টাই পেয়েছে। স্তব্ধের কাছে আজ টিয়া’য় ভাবনা গুলো’র জন্য স্বার্থপর শুধু স্বার্থপর!
টিয়া চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। টিয়া স্তব্ধকে নিয়ে তার কল্পনা রাজ্যে নতুন একটা জিনিস যোগ করেছে! সেটা হচ্ছে স্তব্ধের বাঁকা হাসি! টিয়া স্তব্ধকে এর আগে কোনদিন হাসতে দেখেনি! আজ বাঁকা হোক ট্যারা হোক সে স্তব্ধকে হাসতে দেখেছে এতে’ই অনেক। বাঁকা হাসিতেও স্তব্ধকে অমায়িক লাগছিলো! এত অসাধারণ কেনো স্তব্ধ? ইশ, ভুলতে’ই পারে না টিয়া এতকিছুর পরেও! স্তব্ধের স্তব্ধ মার্কা ফেইস’টা চোখ বন্ধ করতে’ই ভেসে ওঠে ঝল ঝল করে টিয়া’র কল্পনায়! যে খান’টায় স্তব্ধ আরও বেশি সুন্দর! কারণ ওখানে টিয়া স্তব্ধ’কে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে! যেখানে শুধু শান্ত স্তব্ধের বসবাস। রাগী স্তব্ধের দেখা মিলে না সেখানে। কারণ স্তব্ধের হিংস্র রাগী দৃষ্টি টিয়া’কে ঘুমুতে দেয় না.. রাতে’র পর রাত! টিয়া নড়েচড়ে দাঁড়ালো৷ এই মুহুর্তে আর ভাবতে চায় না টিয়া স্তব্ধ’কে নিয়ে! কিন্তু কাল কি হবে স্তব্ধ কাল বিয়ে’র কথা বললো! কি করবে টিয়া! উফফ মাথা ফেটে যাচ্ছে টিয়া ইদানীং একদমি স্ট্রেস নিতে পারে না। মাথা মনে হয় ব্লাস্ট হয়ে যাবে। এমন হওয়ায় কারণ টাও টিয়া’র অজানা। বেশকিছু ক্ষণ পর টিয়া গুটিগুটি পায়ে রুমে ঢুকে। বেডে’র কাছে যেতে’ই। দেখতে পায় স্তব্ধ ঘুমিয়ে সু-পায়ে বেডে’র বাইরে পা ঝুলে আছে! টিয়া এগিয়ে গিয়ে স্তব্ধের পায়ে’র কাছে বসে স্তব্ধের পড়নের সু গুলো খুলে দেয়। তারপর আস্তে করে বেডে উঠে গিয়ে স্তব্ধের মাথা’র কাছে বসে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে স্তব্ধের ক্লান্ত ফেইস’টার দিকে টিয়া! ঘুমুন্ত অবস্থায়’ও খুবি ক্লান্ত দেখাচ্ছে স্তব্ধ’কে সুন্দর ফেইস’টা চোখের নিচে হাল্কা লাল হয়ে আছে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে৷ চকলেট কালার ঠোঁট দুটো শুকিয়ে কাঠ দেখাচ্ছে! টিয়া এই প্রথম স্তব্ধ’কে এত কাছ থেকে দেখা’র সুযোগ পেলো। আর এই ক্লান্ত ফেইস দেখে টিয়া’র কেনো যেনো চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত হয়ে গেলো৷ টিয়া’র বড্ড মন চাইছে স্তব্ধের উষ্কখুষ্ক এলোমেলো সিল্কি চুল গুলোতে হাত বুলিয়ে দিতে। কিন্তু পারছে না। কিছুক্ষণ আগে’ই যে স্তব্ধ তাকে বললো! স্তব্ধের থেকে দূরে থাকতে! যদি যেগে গিয়ে তাকে এত কাছে দেখে আমার মিস বিহেভিয়ার করে স্তব্ধ সেই ভয়ে টিয়া শুধু তাকিয়ে’ই রইলো স্তব্ধের দিকে। কিন্তু টিয়া’র মন’টা মানছে না! বেশ কিছুক্ষণ নিজে’র দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাটিয়ে টিয়া স্তব্ধের চুলে হাত ডুবিয়ে’ই দিলো। স্তব্ধ টিয়া’র হাতে’র স্পর্শে নড়েচড়ে টিয়ার কোলে মাথা রাখলো৷ স্তব্ধের এই কাজে টিয়া ভয় পেয়ে গেলেও, স্তব্ধ’কে আবার ঘুমিয়ে পড়তে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো সে। তারপর মন দিয়ে স্তব্ধের চুলে হাত বুলাতে বুলাতে টিয়া মনে মনে বিরবির করতে লাগলো,
— ” কি আছে তোমার মধ্যে স্তব্ধ? তুমি হিংস্র একটা খুনি যেনো’ও, তোমাকে ভালো না বেসে থাকা যায় না! তবুও, তোমাকে বিয়ে আমি করতে পারবো না! তাহলে ডেনিয়াল তোমায় ছাড়বে না! না আমাকে বাঁচতে দিবে! আমি যে ওর চোখে ভয়ংকর কিছু দেখেছি স্তব্ধ! তোমার জন্য নিজের জন্য! আমাদের দূরত্ব আমাদে’র সবার জন্য ভালো স্তব্ধ সবার জন্য ভালো ! ”
টিয়া ফুপিয়ে কেঁদে উঠে স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে! এক সময় যেই সিনিয়র এর ভালোবাসা পেতে টিয়া মরিয়া হয়ে ছিলো। এক রাত ঘুমাতে পারেনি শান্তিতে। আজ তাকে পেয়েও সবার কথা চিন্তা করে তাকে আপন করে নিতে পারছে না সে। মনে হাজার প্রশ্ন উঠে দাঁড়ায় কোন দিকে যাবে সে৷ এর থেকে যন্ত্রণা’র আর কিছু নেই টিয়া’র জন্য! ডেনিয়াল তাদের লাইফে হুট করে চলে না আসলে খুব কি ক্ষতি হতো! টিয়া ঠোঁটে ঠোঁট চেপে নিশব্দে কাঁদছে যার ফলস্বরূপ টিয়ার মুখ মুহূর্তে লাল আভায় ছেয়ে গেছে। স্তব্ধ পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে, জেনো আজ সে শেষ বারের মতো শান্তিতে ঘুমিয়ে নিচ্ছে! কাল কি হয় কে জানে??
এদিকে ডেনিয়াল শিকাগো থেকে ক্যালিফোর্নিয়া শহরে আসার জন্য রওনা দিয়েছে! তার পুরো গার্ড টিম নিয়ে! সাথে টনি, কায়রা ও আছে। দুজন এর একজন ও স্তব্ধ’কে নিয়ে মুখ খুলেনি একবারের জন্যও না। তাই তাদের অবস্থা ও ডেনিয়াল ভালো রাখেনি। গার্ডদের টর্চারে দুজন মরতে মরতে বেঁচে আছে! ডেনিয়াল শুধু অপেক্ষা করছে ক্যালিফোর্নিয়া শহরের পৌঁছানোর। কারণ টনি, কায়রা না মুখ না খুললেও ডেনিয়াল যা জানার জেনে’ই গেছে!

চলবে!
[ গাইছ আমি অনেক পঁচা আই নো আই নো । গল্প লেইট করে দিলাম। গল্পের মোড় ঘুরানোর কথা ছিলো। সেটাও পারিনি লিখে কুলানো যায়’নি দুঃখিত তার জন্য । আমি সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ এখন তো নেক্সট পার্ট দ্রুত দিবো এবং গল্পের মোড়’ও ঘুরে যাবে। আবারও বলছি অপেক্ষা করানোর জন্য মাফ করবেন আমি অসুস্থ ছিলাম তাই গল্প লিখতে পারিনি ❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here