Ragging To Loving 2পর্ব-২০

0
2887

#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ২০
#রিধিরা_নূর

সকাল সকাল নূর গেল পার্লির কাছে৷ বালিশে মুখ গুজে উল্টো হয়ে শুয়ে আছে।

নূর — অসভ্য মাইয়া। গতকাল বলেছিল আমার সাথে ভার্সিটি যাবে। কীভাবে যাবে? স্বপ্নে? খাড়া বিলাতি মাইয়া।

নূর অন্য একটি বালিশ নিয়ে পার্লির পশ্চাতে মারল। পার্লি হুড়মুড়িয়ে উঠে হাঁপাতে লাগলো। আচমকা ঘটনায় ভীষণ ভয় পেয়েছে। পার্লির অবস্থা দেখে নূর হাসছে। নূরকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ল পার্লি। ঠোঁট উল্টিয়ে পশ্চাতে ঢলতে লাগলো।

নূর — চল ঢংগী। যাবি না?

পার্লি জিবে কামড় দিয়ে উঠে দৌড় ওয়াশরুমে।
একদিনেই দুজনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। গতকাল রাতে পার্লি এবং নূর অনেক্ষণ আড্ডা জমালো। একে অপরের সম্পর্কে সব কিছু জানালো। স্কুল, কলেজের সব আকাম কুকামের কাহিনী বলল। পার্লি হলো নম্র, ভদ্র মিচকে শয়তান মেয়ে। চুপচাপ সব আকাম করে ভদ্র হয়ে বসে থাকবে। সে একজন মেধাবী ছাত্রী, শান্তশিষ্ট মেয়ে বলে শিক্ষকরা তাকে সন্দেহ করত না। কিন্তু তলে তলে যে সব দুষ্টুমি সে করত তা আজ পর্যন্ত কেউ জানেনি। নূর যেমন হাসলো তেমন অবাকও হলো। মিষ্টি দেখতে এই মেয়ের আড়ালে এত দুষ্টু মেয়ে রয়েছে তা দেখে প্রচুর হেসেছে। নূর শয়তানের নানি। তৃতীয় শ্রেণি অবধি সে একা এবং চুপচাপ ছিল। নতুন স্কুলে কারো সাথে পরিচয় ছিল না। চতুর্থ শ্রেণিতে তার বন্ধুত্ব হয় ঝগড়া সিমার সাথে। এরপর দুইজন মিলে কি তুলকালাম না করেছে। হাই স্কুলে গিয়ে বাকি বান্ধবীদের সাথে পরিচয়। তাদের দুষ্টুমি, নুরের খুরাফাতি আইডিয়া, এবং বন্ধুত্ব দেখে পার্লির মনে কৌতূহল জাগলো সবার সাথে দেখা করার। তাই সিদ্ধান্ত নিল আজ ভার্সিটি যাবে।

পার্লি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো। পার্লিকে দেখে নূর ইয়ায়া বড় টাস্কি খেল। হাতা কাটা, হাটু পর্যন্ত লাল জামা পরল। বেশ সুন্দর লাগছে তবে এটা বাংলাদেশ। এখানকার মানুষের চিন্তা ভাবনা বিদেশের মতো খোলামেলা না। বাজে মন্তব্য করবে। পার্লি এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান নেই। তাই এটি নূরের দায়িত্ব তার ভুল শুধরে দেওয়া। নূর দ্বিধান্বিত হয়ে পার্লির কাছে গেল।

নূর — পার্লি? আসলে… তোমার জামাটা এখানকার পরিবেশের জন্য মানানসই নয়।

পার্লি — কেন? এই ড্রেসে কি প্রবলেম?

নূর — কারণ এখানকার মানুষের চিন্তা ভাবনা তেমন খোলামেলা নয়। এসব জামা পরিধান করে বাইরে গেলে লোকে নানান ধরনের মন্তব্য করবে।

পার্লি আর কথা বাড়ালো না। জামা পাল্টে জিন্স,টপস পরল।
.
.
আফরান, আহিল মিউজিক হলে বসে আছে। বাকিরা গেল তাদের ক্লাসে৷আহিল জানালার পাশে বসে আফরানের ভিডিও করছে এবং গিটার হাতে আফরান সুর তোলার চেষ্টা করছে। ভিডিও রেকর্ড করে একটি মিউজিক কোম্পানিতে দিবে। যদি তাদের পছন্দ হয় তাহলে আফরানের নিজস্ব কন্ঠে গানের অ্যালবাম প্রকাশ করা হবে। এই নিয়ে চারবার রেকর্ড করল কিন্তু কোন ভাবে সুর মিলছে না বা কোন না কোন একটা সমস্যা রয়েই যাচ্ছে। একসময় বিরক্ত হয়ে আফরান উঠে গেল।

আহিল — একটু সময় দে নিজেকে। বিশ্রাম নে। সুযোগ বারবার আসে না। (জানালা দিয়ে দেখল আমরিন, সিমা আসছে। আইরিন দেখা মাত্রই ঠোঁটের কোণে এক চিলতি হাসি ফুটে উঠল।) তুই শান্ত হো। আমি যায় আমার অশান্ত মনটাকে শান্ত করতে। (এক দৌড়ে চলে গেল।)

আমরিন, সিমা হেসে হেসে হাটছিল। দূর থেকে আহিলকে দেখে মূহুর্তেই আমরিনের মুখের হাসি উধাও হয়ে গেল। আচমকা হৃদস্পন্দন এতো জোরে বেড়ে গেল মনে হচ্ছে যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। বিস্মিত হয়ে সিমার দিকে তাকাল। এতো জোরে বুকের ভেতর ধুকপুক করছে সিমা শুনছে না তো। আহিল যতই কাছে আছে তার ধুকপুকানি তত বেড়ে চলেছে। জামা খামচে ধরে ঘন ঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো। দম যেন আটকে আসছে। মনে হচ্ছে যেন আহিল সামনে এলেই তার মুখ দিয়ে হৃদয় বেরিয়ে হাতে চলে আসবে। আমরিন সাত পাঁচ না ভেবে উল্টো দিকে দৌড় দিল। সিমা বকবক করছে আর সামনের দিকে হাটছে। পাশে তাকিয়ে দেখে আমরিন নেই। ভ্রু কুচকে গোল হয়ে ঘুরে চারপাশে তাকিয়ে দেখল কিন্তু আমরিন নেই।

সিমা — ম্যাংগো বার গেল কই? চিকনি একটা মেয়ে বাতাসে উড়ে গেল না তো? হু নোজ? (পিছন ফিরতেই কপাল ফুটে গেল। কপাল ঘেষতে ঘেষতে তাকিয়ে দেখে ওয়াসিম কপালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।) এত্তো বড় খাম্বার মতো মানুষ। চোখ কি হাতে নিয়ে হাট?

ওয়াসিম — এক্সকিউজ মি মিস পিংকি। তুমিও কম কীসে। ড্রামের মতো একটা মানুষ, চোখ তো নয় যে আস্ত দুইটা ফুটবল। তুমি চোখে দেখতে পাও না? আমি সোজায় আসছিলাম। তুমি উল্টো হয়ে হাটছিলে আর আমার কপাল ফুটো করে দিলে।

সিমা রাগে ফোপাঁতে লাগলো। লে জ্বালামুখী বিস্ফোরণ হয়ে গেল।

সিমা — আমি ড্রাম? আমার চোখ দুটো ফুটবল? (রেগে) তুমি একটা খাটাশ, খবিশ, খাচ্চোর, ধামড়া, খাম্বা, ধলাচিকা, ইঁদুরের লেজ, মশার ডিম, হাতির কান, কালা গরিল্লা, ঝুলে থাকা বান্দর, চেগাইন্না মোরগ, লেংড়া ছাগল।

ওয়াসিমের মাথার উপর তারা ঘুরছে। মাথা ঘুরান্তি দিয়ে উঠল।

ওয়াসিম — এসব কি ছিল মিস পিংকি?

সিমা — এই খাটাশ পঁচা শিমের ভর্তা। কতবার বলব তোমায় আমার নাম পিংকি না। সিমা। সিমা আমার নাম।

ওয়াসিম — পিংকি। পিংকি আইসক্রিম।

সিমা প্রচুর রাগ উঠল। তেড়ে গিয়ে ওয়াসিমের চুল মুটি ধরে টানতে লাগলো। ব্যাথায় ওয়াসিম চিল্লাতে লাগলো।

ওয়াসিম — আহ্ পিংকি আমার চুল ছাড়। ব্যাথা পাচ্ছি আমি।

সিমা — আবার পিংকি? সিমা বল। যতক্ষণ না সিমা বলছ ততক্ষণ ছাড়ছি না। চুল সব ছিড়ে টাকলা বানিয়ে দিব। তারপর আমি ডাকব তোমায় টাকলা লেবু। বুঝছ?

ওয়াসিম — রিহান, আরিফ, ইয়াশ বাঁচা আমাকে।

ওয়াসিমের চিৎকার শুনে তারা দৌড়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে এলো। এসে যে দৃশ্য দেখল তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ওয়াসিম বাচ্চাদের মতো কাঁদছে আর সিমা তার চুল টানছে।

ইয়াশ — কি হচ্ছে এসব? (অবাক হয়ে)

ওয়াসিম — ভাই বাঁচা আমাকে। এই পিংকি আমাকে টাকলা বানিয়ে দিবে।

সিমা — আবার পিংকি? এখন একটা চুলও আস্ত রাখব না। সব ছিড়ে ফেলব।

রিহান — (এমা। নূরির সব বান্ধবী দেখি ওর মতোই গুন্ডি। এভাবে সবার সামনে ওয়াসিমের চুল টানতে দ্বিধাবোধ করছে না।)

ইয়াশ — এই মেয়ে ছাড় ওকে। কি হচ্ছে এসব? তোমাদের সব ফ্রেন্ডের কি ঝগড়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই?

সিমা — আছে। অনেক কাজ আছে। যদি আপনারা এসে মাঝখানে বা হাত না দেন তাহলে সেই কাজই করব।

ইয়াশ — তুমি….

কিছু বলতে যাবে তখনই আরিফ বাঁধা দেয়। ইশারা বারণ করে। ইয়াশ বিরক্তি ভঙ্গি নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। সিমা ওয়াসিমের চুল ছেড়ে দিল। ওয়াসিম গুটিসুটি পায়ে রিহানের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে তাকিয়ে আছে সিমার দিকে। সিমা চোখ রাঙিয়ে চলে গেল।

আমরিন এভাবে দৌড়ে চলে যাওয়ায় আহিল বেশ অবাক হলো। সেও গেল আমরিনের পিছে। আমরিন লাইব্রেরীতে গতকালের বই গুলো জমা দিতে গেল। বই রেখে বুকশেলফের অপর পাশে দেখে আহিল এক গাল হেসে হাত নাড়ছে। আমরিন তড়িঘড়ি অন্যদিকে চলে গেল। আহিল আরেক দফা অবাক হলো। অন্যদিকে যেতেই আহিল আবারও আমরিনের বিপরীতে দাঁড়ালো। ইশারায় জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? আমরিন মাথা নেড়ে “না” বলে অন্যদিকে চলে গেল। এবার আহিল আমরিনের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ালো। আচমকা আহিল সামনে এসে দাঁড়াতে আমরিন কেঁপে উঠল।

আহিল — কি হয়েছে তোমার? এভাবে আমাকে এভয়েড করছ কেন? আমাকে দেখেই পালিয়ে যাচ্ছ। (আমরিন অবাক হয়ে তাকাল) অবাক হওয়ার কিছু নেই। তুমি যে আমাকে দেখে লাইব্রেরীতে পালিয়ে এসেছ তা আমি দেখেছি। কিন্তু এর কারণ কি জানতে পারি?

আমরিন — তেমন কিছু না।

অন্যপাশে যেতে নিলে আহিল তার হাতের কব্জি চেপে ধরল। আমরিন মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে। তার হাত পা কাঁপছে।

আহিল — তেমন কিছু না হলে এমন করছ কেন? কাল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তাহলে আজ হঠাৎ কি হলো যে আমার দিকে তাকাচ্ছো না। (আমরিন মোচড়াচ্ছে। আহিল আরও শক্ত করে চেপে ধরে হেচকা টান দিয়ে কাছে নিয়ে এলো। আমরিন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।) কি হয়েছে তোমার? এমন করছ কেন?

আমরিন — জানি না কি হয়েছে? আমি নিজেও কিছু বুঝতে পারছি না কি হয়েছে? কি হচ্ছে? কেন হচ্ছে? আমি কিছু বুঝতে পারছি না। (অস্থির হয়ে এক নাগাড়ে বলল)

আহিল — শশশ। (আমরিনের মুখে আঙুল দিয়ে শান্ত করল।) আস্তে। আস্তে। নিশ্বাস নাও। এবার বল কি হয়েছে?

আমরিন — বললাম তো আমি জানি না কি হয়েছে। জানি না কেন না চাওয়া স্বত্তেও আপনার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করে? কেন আপনি কাছে এলেই আমি আমার মধ্যে থাকি না? কেন দম আটকে যায়?

আহিল মুচকি হাসছে। আহিলের হাসার কারণ আমরিনের মাথায় ঠেকল না। আহিলের হাসি যেন তার কাছে বিষের মতো লাগছে। ধাক্কা দিয়ে আহিলকে সরিয়ে দিল।

আমরিন — আমি চিন্তায় মরছি আর আপনি হাসছেন?

রেগে চলে যেতে নিল। আহিল পিছন আমরিনের কানে কানে বলল,

আহিল — প্রেমে পড়লে এমনই হয় ম্যাডাম।

মূহুর্তেই আমরিন থমকে গেল। আহিলের বলা প্রতিটি শব্দ যেন তার মধ্যে এক প্রকার তড়িৎ শিহরণ বয়ে চলছে। এবার তো পাক্কা হৃৎপিন্ডটা হাতে চলে আসবে।

আহিল — কি? অদ্ভুত লাগছে না? মনে হচ্ছে যেন শরীরের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত হচ্ছে। যা চেয়েও থামাতে পারছ না। আর হৃৎপিন্ডটা ধপাস ধপাস করছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি বেরিয়ে আসবে। (আমরিন বিস্মিত হয়ে উপর নিচে মাথা নাড়লো। আহিল ফিক করে হেসে দিল। আমরিনের ঘোর এখনো কাটেনি।) কারণ এটাই প্রেম। মাই লাভ। আমার তো হয়েছিল প্রথম দেখায়। লাভ এট ফার্স্ট সাইট। মনে আছে সেদিনের এক্সিডেন্ট? যখন এলোমেলো চুলের আড়ালে এক মিষ্টি চেহারা উঁকি দিয়েছিল মনে হয়েছিল যেন আমার পুরো পৃথিবীটা উলটপালট হয়ে গিয়েছে। পূর্ণিমার আলোয় যেন আমার জীবনটা ভরে গিয়েছে। প্রেম প্রথম দেখায় হয়। কিন্তু ভালবাসা হয় ধীরে ধীরে। প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভূতি ধীরে ধীরে বিশাল হয়ে ভালবাসার রূপ নেয়। হ্যাঁ! ভালবাসি তোমায়। আই লাভ ইউ আমরিন। আই রিয়েলি লাভ ইউ।

এই মূহুর্তে আমরিনের মাথায় কিছু কাজ করছে না। সব কিছু এলোমেলো হয়ে মাথায় ঘুরছে। এই মূহুর্তে কিছুই ভাবতে পারছে না। সব ঘুলিয়ে যাচ্ছে। তাই কিছু না ভেবে উল্টো দিকে এমন ভৌ-দৌড় দিল যে পলক ফেলতেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেল। আহিল অট্টহাসি হাসতে লাগলো।

আহিল — যাক। অন্তত এটা তো জেনে গেলাম তোমার মধ্যেও সেই সূক্ষ্ম অনুভূতি জন্ম নিয়েছে। এবার সেই অনুভূতি বিশাল হয়ে ভালবাসার রূপ নেওয়ার পালা। হায়…. মাই লাভ। এত্তো কিউট কেন তুমি? (মাথা চুলকাতে চুলকাতে বেরিয়ে এলো।)
.
.
আফরান জানালার দ্বারে বসে আকাশে পানে তাকিয়ে আছে। শীতল হাওয়ায় এলোমেলো চুল দুলছে। বাইরে তাকিয়ে দেখে পার্লি এবং নূর আসছে। নূর আঙুল দিয়ে কিছু একটা দেখালো পার্লি সেদিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেসে উঠল। নূর পার্লিকে গতকাল আলিফার কান্ড বলে হাসছিল।

আফরান — আনন্দিতা? এখানে কি করছে? আর মিস চাশমিশ ওর সাথে কি করছে? (পরক্ষণে হেসে উঠল।) কম কীসে দুজনে। আনন্দিতা ছোট বেলায় এমনই চঞ্চল ছিল। আর মিস খিটখিট ঝগড়াটে। আচ্ছা আনন্দিতার কি মনে আছে ছোট বেলার সেই স্মৃতি গুলো? না থাকলেও মনে করিয়ে দিব। ছোট বেলার সব প্রতিশোধ এখন গুনে গুনে নিব।
.
.
আলিফা ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে গাছের ডালে ঝুলন্ত ওড়নার দিকে। তার ওড়না আর ওড়না নেই। কাকের পাবলিক টয়লেট হয়ে গিয়েছে। সবুজের মাঝে সাদা হাগুর সমাহার। কোমরে হাত দিয়ে রাগে ফুঁসছে।

আলিফা — এই কালা কাউয়া। তোরা পাইছস কি আমার ওড়নাটাকে।(রেগে) আমার ফেভারিট ওড়না ছিল এটা।(করুণ স্বরে) এটা কি সরকারি টয়লেট পাইছস যে যখন ইচ্ছা এসে হেগে যাবি।(রেগে)

তখনই পেরেৎ করে কাক আবারও ওড়নায় হেগে দিল। এবার আলিফার রাগ চরম পর্যায়ে। রেগে ইট ছুড়ে মারল কাকের দিকে। সেই কাকটি উড়ে নি। বরং অনেকগুলো কাক একসাথে কাম সেরে গেল। মেহের, সিমা পেট চেপে ধরে হাসতে লাগলো। এরই মাঝে নূর,পার্লি এসে হাজির। তারাও উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো। আলিফাকে রাগানোর এই সুযোগ নূর হাত ছাড়া করতে চাই না। তাই আলিফাকে রাগানোর জন্য গান গাইতে শুরু করল।
”এমন যদি হতো
আমি পাখির মতো উড়ে উড়ে তোর ওড়নায় হাগু করিতাম
উড়ে বহুদূরে, পেরেৎ করে হাগু করে
তোর রঙিন ওড়না সাদা করিতাম

পার্লি আর আফরান একসাথে চিল্লিয়ে বলল, “ছিঃ!”

আলিফার ঝগড়া দেখে ওয়াসিম, রিহানদের নিয়ে এলো ঝগড়া দেখতে। পার্লিকে দেখে আফরান নিচে এসেছিল ওয়াসিম তাকেও টেনে নিয়ে এলো।

সিমার উপর নজর পড়তেই ওয়াসিম হুড়মুড়িয়ে রিহানের পিছনে লুকিয়ে গেল। ভয়ার্ত চোখে সিমার দিকে তাকিয়ে চুলে হাত বুলাতে লাগলো।

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here