Ragging To Loving 2পর্ব-৪৮

0
2740

#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ৪৮
#রিধিরা_নূর

আফরান নিস্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ নূরের দিকে তাকিয়ে ছিল। পরক্ষণে পেট চেপে ধরে দম ফাটানো অট্টহাসি হাসতে লাগলো। নূর মুগ্ধ নয়নে দেখছে সে হাসি। এতক্ষণ সময় ধরে নূর এই হাসির অপেক্ষায় ছিল। নিরপেক্ষ, মন খোলা এই হাসি।

নূর নিষ্পলক তাকিয়ে ভাবছে, “হ্যাঁ! আমি বুঝতে ভুল করেছি। কিন্তু আমি এতটা বোকা নয় যে আপনাকে হারানোর বোকামি করব। একটি মেয়ের জীবনে ভালবাসার চেয়ে দামী কিছু থাকে তা হলো তার সম্মান। কেউ যাতে আমাকে কিছু না বলে, যাতে আমার সম্মান হানি না হয় তার জন্য আপনি সব দোষ নিজের মাথা পেতে নিতে রাজি। এবং এটাও বুঝতে পেরেছি আপনি আমায় ভীষণ ভালবাসেন। আপনার প্রতি আমার মনের গহীনে লুকায়িত অনুভূতি গুলো ভালবাসা কি-না উপলব্ধি করতে পারছি না। কিন্তু আপনার চেহারায় এই বিষন্নতা আমি মানতে পারছি না। আপনার ঠোঁটের কোণে এই হাসি আমার মুখে আপনা আপনি হাসি ফোঁটায়। সবচেয়ে বড় বিষয়, আপনার সঙ্গে ঝগড়া করা। আজীবন ঝগড়া করার জন্য কাউকে তো লাগবেই। এতো বছর ধরে রিহানকে জ্বালিয়েছি। বিয়ের পর কাউকে তো লাগবে জ্বালানোর জন্য। তাহলে আপনি কেন নয়। যার কাছে আমার সম্মান সুরক্ষিত, তার কাছে অবশ্যই আমিও সুরক্ষিত থাকব। ভালবাসি তা জোর দিয়ে বলতে পারছি না। তবে ভালবাসবো তা জোর দিয়ে বলতে পারবো। থাকব আজীবন আপনার আনন্দিতা হয়ে। আপনার মিস খিটখিট থেকে মিসেস খিটখিট হব।”

আফরানের ঝাঁকুনিতে আচমকা নূরের ধ্যান ভাঙল। চমকে উঠে বিস্মিত নয়নে তাকাল।

আফরান — কি ভাবছ এতো? কবে থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না? শুধু অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছ আমার দিকে। কি ম্যাডাম আবারও আমার প্রেমে পড়লেন নাকি? (দাঁত কেলিয়ে হাসি দিল)

আফরানের কথা নূর বেশ লজ্জা পেল। কিন্তু দেখাল না। চোখ দুটো সরু করে রাগী ভাব দেখাল। জোর পূর্বক হেসে আফরান কথার প্রসঙ্গ পাল্টালো,

আফরান — নূর, একটি রিকুয়েস্ট।

নূর — কি?

আফরান — আর যায় কর কিন্তু প্লিজ কখনো গান গাইতে যেও না। তোমার শুনে বোধহয় আমার শ্রবণশক্তি আশি ভাগ কমে গিয়েছে। (করুণস্বরে)

নূর — আফরান। (চেঁচিয়ে)

আফরান ফিক করে হেসে দিল। ফোন রিং হতেই দেখে রিহান। জিবে কামড় দিয়ে নূরের দিকে তাকাল। নূর চিন্তিত হয়ে ইশারায় জানতে চাইল কি হয়েছে। কিন্তু আফরান কিছু না বলে ফোন রিসিভ করল।

আফরান — হ্যালো!

রিহান — আফরান, কি হয়েছে নূরের? এক ঘন্টার বেশি হলো তোরা গিয়েছিস। সবাই এখানে ভীষণ চিন্তিত। বিষয় কি খুব গম্ভীর? কোন সমস্যা হয়েছে? নূর এভাবে হুট করে উঠে চলে গেল কেন?

আফরান — আহা থাম। এতো প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিব কি করে? সামান্য একটু সমস্যা ছিল তা এখন সমাধান হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। আমার হবু বউয়ের সঙ্গে একটু সময় কাটাচ্ছিলাম এই আর কি।

রিহান — শালা এদিকে চিন্তায় সবার অবস্থা খারাপ আর তুই আমার বোনকে নিয়ে বসে আছিস? (রেগে)

আফরান — শালা না দুলাভাই ডাক। তুই আমার শালা, আমি না।

রিহান — ওহ্ হ্যালো! আমি তোর শালা না সম্বন্ধী। আমি নূরের চেয়ে চার মিনিটের বড়। সেই হিসেবে তুই আমাকে বড়ভাই হিসেবে সম্মান দিবি।

আফরান — বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার বোনের সাথে তোর বিয়ে দিব না।

রিহান — আরে দুলাভাই কি যে বলেন না। হেহেহেহে। (শালা নিজে আমার বোনের সাথে সেটিং করে এখন আমাকে ধমক দেয়। একবার শুধু আমিও বিয়েটা করি তারপর দেখাব কে কার শালা। শালা হারামি।)

আফরান — আসছি আমরা। কাউকে চিন্তা করতে বারণ কর।

রিহান সবাইকে নিশ্চিন্তে থাকতে বলল। এতক্ষণে যেন সবার জানে জান ফিরে এলো।

আফরান নূরের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপি দিল। লজ্জায় নূর মাথা নিচু করে ফেললো। এখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে তার কারণই উপলব্ধি করতে পারলো না। তবে মনে মনে অপরাধবোধ কাজ করছে। সবার সামনে এভাবে উঠে আসা উচিৎ হয়নি। নূর বিষন্ন হয়ে নিচে তাকিয়ে আছে। আফরানের ডাকে মাথা তুলে।

আফরান — এসব কনফিউশনের ব্যাপারে কাউকে বলার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে হঠাৎ উঠে এলে কেন তখন বলবে আমার সঙ্গে অভিমান করে চলে এসেছ। প্রথমে একটু কঠোর হলেও তেমন কিছু বলবে না। যদি তোমার অবুঝ মনে খিচুড়ির কথা জানতে পারে তাহলে ঝামেলা আরও বাড়বে। চল।

আফরান পা বাড়াতে নূর আবারও পাঞ্জাবির হাতা টেনে ধরে। আফরান প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকাল। নূর কিছু বলছে না। নীরবে তাকিয়ে আছে।

আফরান — কিছু বলবে?

নূর না বোধক মাথা নাড়লো। বলার মতো অনেক কথা ছিল। কিন্তু এই মূহুর্তে বলতে পারছে না। তবে বলবে। সময় করে কোন এক প্রহরে সব বলবে।

নিচে নামতেই নানান প্রশ্নের ঘিরায় আটকা পড়লো। এতো সব প্রশ্নে নূর বিচলিত হয়ে পড়ে। কিন্তু আফরান সব সামলে নেয়। যথারীতি অনুষ্ঠানের কার্যক্রম সমাপ্ত হলো।

আলিফা নূরকে খোঁচা মারল।

আলিফা — কিরে নাচবি না? তুই তো আমাদের পাগল করে ছাড়লি এই কয়দিন নাচবি বলে। এখন বসে আছিস কেন?

নূর অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। একবার আফরানের দিকে তাকাল, একবার সবার দিকে। সবাই বেশ কৌতূহল হয়ে নূরের দিকে তাকিয়ে আছে। লজ্জায় হাত মোচড়াতে লাগলো। না বুঝে সে সবার সামনে কত বোকামিই না করেছিল। না জানি সবাই কি ভেবেছে? হয়তো ভেবেছে কেমন নির্লজ্জ বউ। নিজের বিয়েতে নাচার জন্য পাগলের মতো ছুটছে। এখন এসব ভেবে লজ্জায় পারছে না মাটি ফাঁক করে ভেতরে ঢুকে যেতে। আফরান নূরের অবস্থা বুঝতে পেরে মুখ টিপে হাসছে।

আফরান — হ্যাঁ! নূর। তুমি তো কত উত্তেজিত ছিলে বাগদানের জন্য। নাচার জন্য বাগদানের তারিখ এগিয়ে এসেছ। তোমার পা দুটো নাকি তর সইছে না। কিলবিল করছে। যাও নাচ।

নূর ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাল আফরানের দিকে। সে খুব ভালো বুঝতে পারছে আফরান ইচ্ছে করেই সবার সামনে তাকে লজ্জিত করছে৷ আফরান যথাসম্ভব নিজের হাসি দমিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

সবাই অনুপ্রাণিত স্বরে নূরের নাম ধরে ডাকছে। নূর অসহায় দৃষ্টিতে সবার দিকে তাকাল। সবাই মিলে তাদের কাপল ডান্স করার জন্য উৎসাহিত করছে। নূর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল এই আফরাইন্নাকে শায়েস্তা করতে হবে। এভাবে সবার সামনে তাকে লজ্জিত করা। খাচ্চোর, খাটাশ, খবিশ।

নূর — ওহ্ আসলে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে আমার পা মচকে গিয়েছিল।

আফরান — কীভাবে? আমাকে বলনি কেন? (চিন্তিত হয়ে)

নূর — আহা হা হা! আগলা পিরিত দেখানো হচ্ছে। একবার পায় আপনাকে। এরপর আপনার সব পিরিত বের করছি। (দাঁতে দাঁত চেপে)

আফরান হকচকিয়ে উঠল। নূর যে মিথ্যা বলেছে তার টের পেয়েছে। এবং তার উপর যে নূরের প্রকোপ পড়বে তাও বেশ ভালোই বুঝতে পারছে।
কেউ আর নূরকে জোর করল না। আবার যদি উঠে চলে যায় সেই ভয়ে সবাই চুপ ছিল।

মুরুবিরা বিয়ের আয়োজন নিয়ে আলোচনা করছে।
নূর,আফরান সবাইকে নিয়ে ছাদে গেল। তন্বীসহ তাদের কাজিনরা একসাথে আড্ডার আসর জমালো।

ছেলেরা আলদা হয়ে ছাদের কোণায় টেবিলে বসল।

আরিফ — আফরান। ফর্দের অনুষ্ঠানে তো তেমন আয়োজন হয় না। তা ঘরোয়া ভাবেও করতে পারতি। এতো আয়োজন করলি কেন?

আফরান — তোদের জন্য। সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত। কারো অফিস, কারো সংসার, কারো নানান কাজ। এসবে ব্যস্ত। বলতে পারিস আমরা শেষ কবে একসাথে হয়েছিলাম। আহিলের বিয়েতে। এরপর আবারও সবাই ব্যস্ত। মাঝে মাঝে আলাদা ভাবে দেখা হয় কিন্তু একসাথে হয়নি। কোন দাওয়াত বা অনুষ্ঠান উপলক্ষ ছাড়া আমরা এক হতে পারি না। তাই ভাবলাম উপলক্ষ আমি নিজেই তৈরি করি।

ইয়াশ — তাও ঠিক। আমরা বড় হলাম কেন? আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে পুরনো সেই দিনে। একসাথে জমানো আড্ডা, কলেজ গ্যাং লিডারের ধোলাই, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া। মিস করছি সব।

সবাই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে একে অপরের দিকে তাকাল। সকলের মাঝে এক রাশ আফসোস। কেন যে বড় হলাম।
.

অন্যদিকে মেয়েরা ব্যস্ত শপিং নিয়ে। বিয়েতে কে কি পরবে? কীভাবে সাজবে এই নিয়ে বৈঠক বসেছে৷ সবাই নানান কথায় হৈচৈ করছে৷ কিন্তু সিমার মুখে মলিন হাসি। যেন কেউ তার মাথায় বন্দুক তাক করে তাকে হাসতে বলছে। সিমা আড়চোখে ওয়াসিমের দিকে তাকাল। চোখে চোখ পড়তেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। নূর খেয়াল করল বিষয়টা। ওয়াসিমের দিকে তাকিয়ে দেখে তারও একই অবস্থা।

সবাই সিদ্ধান্ত নিল আজ রাত ফার্ম হাউসেই থাকবে। সকালেই যে যার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে নূর ওয়াসিম-সিমা এবং বাকিদের নিয়ে একটি আফরানের কক্ষে একত্রিত হলো।
নূর হলো বিচারক। অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে সিমা,ওয়াসিম। ওয়াসিমের পক্ষ আইনজীবী আফরান। সিমার পক্ষ আইনজীবী পুষ্প। বাকিরা দর্শক।

নূর — অর্ডার, অর্ডার, অর্ডার।

আলিফা — আমার জন্য চিজি পিৎজা।

আমরিন — আমার জন্য স্ট্রবেরি মিল্কশেক।

মেহের — আমার জন্য কফি হলে চলবে।

ওয়াসিম — আমার জন্যও কফি হলে চলবে।

সিমা — আমার জন্য চকোলেট পেস্ট্রি।

আলিফা — আমার পপকর্ণও অর্ডার করিস। খেতে খেতে সিনেমার ড্রামা দেখুম।

নূর — থাপরাইয়া মুতাই দিমু। আমি কি এখানে রেস্টুরেন্ট খুলে রাখছি? যে একে একে সবাই অর্ডার দিচ্ছে।

বাকিরা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। কি হচ্ছে কেউ কিছুই বুঝতে পারছে না।

আলিফা — তুই তো বললি অর্ডার অর্ডার। আমি ভাবলাম খাওয়ার জন্য অর্ডার দিতে বলেছিস।

আমরিন — আলিফা অর্ডার দিছে তাই আমিও দিলাম। (অসহায় ভঙ্গিতে)

এবার বুঝতে পেরে সবাই হোহো করে হেসে উঠল। কিন্তু নূরের ভীষণ রাগ উঠল। এক ধমকে সবাইকে চুপ করিয়ে দিল।

নূর — এখন বল কি সমস্যা তোদের। সিমা, ওয়াসিম কি হয়েছে তোমাদের মধ্যে। আমি যা খেয়াল করেছি তা অভিমান নয় বরং আরও গম্ভীর কিছু। সমস্যা কি?

ওয়াসিম — সিমার আম্মু আমাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না।

নূর — কেন?

ওয়াসিম — জানি না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি আন্টিকে বোঝানোর কিন্তু তিনি কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না। উনার অটল সিদ্ধান্ত সিমার বিয়ে আমার সঙ্গে কিছুতেই দিবেন না।

সিমা — ছাই চেষ্টা করেছে। চেষ্টা করলে আম্মু এখনো রাজি হচ্ছে না কেন?

ওয়াসিম — তোমার আম্মু বাংলা সিনেমার চৌধুরী সাহেব হয়ে গিয়েছেন। আমি তোমাকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দিব তার বিনিময়ে আমার মেয়ের জীবন থেকে চলে যাও৷ ওই টাইপ।

সিমা — ওয়াসিম। (চেঁচিয়ে) নূর কিছু একটা আইডিয়া দে। আম্মুকে কি করে রাজি করাবো৷

নূর চিন্তার ভান করে অনেক্ষণ ভাবলো। থুড়ি বাজিয়ে বুদ্ধি পাওয়ার ভঙ্গি করল।

নূর — আইডিয়া! তোরা পালিয়ে যা।

সিমা — পাগল হয়েছিস? পালিয়ে যাওয়ার হলে সেই অনেক আগেই পালাতাম। আমি পালিয়ে নয় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করতে চাই। ওয়াসিমের বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার আগেই আলাপ হয়েছে। আব্বু আর বড় আপুরাও রাজি। শুধু আম্মু বিপত্তি বাঁধছে।

নূর — না পালালেও পালানোর ধমক তো দেওয়া যায়।

নূর ভ্রু নাচিয়ে সবার দিকে তাকাল। সবাই সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নূরের দিকে।

.

পরের দিন সবাই নিজ বাসায় পৌঁছালো। সপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সবাই অবসর সময় পেল। গ্রুপ ভিডিও কলে সবাই অপেক্ষা করছে প্লান কার্যকর হওয়ার।

সিমা উঁকি মেরে দেখল তার মা কোথায়। দুপুরে খাবার খায় বলে যেকোনো মূহুর্তে তার মা আসতে পারে খেতে ডাকার জন্য। তাই দেখছে তিনি আসছেন কি-না। অবশেষে মায়ের দেখা মিললো। তড়িঘড়ি দরজা হালকা চেপে সরে দাঁড়াল। বিছানায় ট্রলিব্যাগে জামা কাপড় রাখছে। খালেদা বেগম দরজা খুলে সিমার কারসাজি দেখে চমকে গেলেন। কিন্তু কিছু বললেন না দরজার আড়ালে কান পেতে আছেন। সিমা আয়নায় তার মায়ের কর্মকান্ড দেখছে৷ ফোন কানে দিল।

সিমা — হ্যালো! ওয়াসিম৷ আমি সব গুছিয়ে নিয়েছি। তুমি আমাদের বাড়ির বাইরে চলে এসেছ?
ভেরি গুড। আমি আসছি। কি করব বল আম্মু তো মেনে নিচ্ছে না। তাই তো এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। কোথায় ভাবলাম আম্মু আমার বিয়েতে আনন্দ করবে, নাচবে। আমাদের গুলুমুলু বেবিদের কোলে নিবে৷ কিন্তু আম্মু তো তা চাই না। তাই..… আমি….

খালেদা বেগম টুকুস করে ভেতরে প্রবেশ করে সিমার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিল।

খালেদা বেগম — এই ছেলে তোমার সাহস তো কম না। আমার মেয়েকে নিয়ে পালাতে চাইছ।

ওয়াসিম — আ…আন্টি?

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here