“হালাল প্রেম”
পর্ব-২৬
(নূর নাফিসা)
.
.
জোভান আজ পরিতৃপ্ত। দৃষ্টি ভরা প্রেম ও ঠোঁটের কোনে হাসি নিয়ে সে উচ্চারণ করলো,
“সমস্যা কি, তুমি বলতে না হয় একটু দুর্বলই হয়ে রইলাম। তবুও তো তোমার লুকিয়ে রাখা প্রেমের প্রকাশ ঘটবে আমার সামনে।”
শারমায়া লজ্জা পেয়ে তার পাঞ্জাবী ছেড়ে দিলো। টিস্যু দিয়ে আলতোভাবে চোখ মুছতে মুছতে বললো,
“আমার রাগও হয়েছিলো তখন, যখন জানতে পারলাম আপনি মঞ্চে গানও গাইতে পারেন। এটা অন্যের মুখে শুনতে হলো কেন আমাকে?”
“এতো তারাতাড়ি চেঞ্জ! মানা যায় না কিন্তু এটা।”
“যা জিজ্ঞেস করেছি, তার জবাব দিন।”
“এমন কোনো সিচুয়েশন তো আসেনি তাই বলা হয়নি। লুকিয়েও তো রাখিনি। জাস্ট প্রকাশ করা হয়নি।”
“এধরণের গান যেন আর কখনো না শুনি।”
“জান নিয়ে সুর করা তো, তাই ভালো লাগে।”
“ভালো লাগলেও গাইতে পারবেন না।”
জোভান তিন-চার সেকেন্ডের মতো চুপচাপ তাকিয়ে থেকে বললো,
“আজ এমন একটা জায়গা প্রয়োজন ছিলো, যেখানে তুমি আর আমি ছাড়া কেউই নেই।”
“কোনো প্রয়োজন নেই।”
জোভান হেসে বললো,
” দশটা ছাব্বিশ বাজে, বাসায় যাওয়া প্রয়োজন।”
“না, আমি প্রোগ্রাম দেখে যাবো।”
“এই প্রোগ্রাম সারারাতেও শেষ হবে না। আমি তোমাকে নিয়ে সারারাত নির্ঘুম কাটাবোও না।”
“আরেকটু পরে যাবো।”
“দশ মিনিট।”
“হুহ্! আসারও তাড়া, যাওয়ারও তাড়া!”
শারমায়ার বিড়বিড় শুনে জোভান হাসলো। তারা আবার স্নিগ্ধার পাশে এসে বসলো। একটু পর ইফাজ ও মিরাজের নাচ উপভোগ করলো সবাই৷ সাদাতকেও ধাক্কিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো কিন্তু সাদাত সামান্য লাফালাফি করে কোনোমতে পালিয়ে এলো। শারমায়া থাকায় জোভান বেঁচে গেলো। পারফরম্যান্স চলছে একের পর এক। জোভান তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলো। তার সাথে ইফাজও চলে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলো কিন্তু মিরাজ তা হতে দিলো না। জোভানের বউ আছে তাই তার মুক্তি। জোভান শারমায়াকে নিয়ে গাড়িতে এসে বসলো কিন্তু গাড়ি স্টার্ট না দিয়ে কেমন যে ধ্যানে বসে আছে! শারমায়া বললো,
“কি হয়েছে?”
জোভান তার জবাব না দিয়ে গাড়ির সব লাইট অফ করে দিলো এবং অন্ধকার গাড়িতে পরপর তিনটি চুমু একে দিলো শারমায়ার দুই গালে ও কপালে। হুটহাট আক্রমণে দৃষ্টি লুকিয়ে নিয়েছে শারমায়া। জোভান অন্ধকারেই বললো,
“আমি তখন কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছি না জানি অবিশ্বাসের বাসা বেঁধে যায় তোমার মনে। সুইটহার্ট, তুমি জানো না এখন আমি কতটা পিচফুল আছি। আল্লাহর হুকুমে বাবা এক সঙ্গী খুঁজে এনে দিয়েছে, যাকে গ্রহণ করেছি ভালোবেসে। এই ভালোবাসা আমি হারাতে চাই না। আমার উপর অবিশ্বাস এনো না কখনো, কিছু জানার ইচ্ছে হলে জিজ্ঞেস করবে। আমি সব সত্য বলবো।”
জোভান লাইট জ্বালিয়ে দেখলো শারমায়া বিপরীত দিকে জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। জোভান মৃদু হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। দু-তিন মিনিট নিরবতা পালন করে শারমায়া জানালার বাইরে তাকিয়ে থেকেই বললো,
“কয়টা বাজে?”
জোভান ফোনের স্ক্রিন জ্বালিয়ে বললো,
“এগারোটা চার মিনিট।”
শারমায়া আর কিছু বললো না। জোভান ড্রাইভ করতে করতে বললো,
“জান, আজ যদি আমরা বাসায় না গিয়ে অন্যকোথাও যাই তবে কি তোমার আপত্তি আছে?”
শারমায়া চমকে উঠে তার দিকে তাকিয়ে বললো,
“অন্যকোথাও মানে!”
জোভান তার দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো,
“ভয় পাচ্ছো কেন? আমার সাথে সময় কাটাতে তোমার ভয় লাগে? আমরা তো আর গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড না।”
শারমায়া কিছুটা নরম গলায় বললো,
“না, সেটা না। আপনি যে অন্যকোথাও বললেন তাই…”
“ভয় পেয়ো না। কোনো হোটেলের কথা বলছি না। অন্যকোথাও মানে, নিজ বাসা ছেড়ে অন্যকোনো বাসায়।”
“না, নিজ বাসায়ই যাবো।”
“দেখো, এগারোটা বেজে গেছে। তোমাদের বাসায় যেতে যেতে প্রায় বারোটা বেজে যাবে। তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আমি আবার আমাদের বাসায় যাবো। যদি ভাগ্যে জ্যাম পড়ে যায় যেতে যেতে দেড়-দুইটা বাজবে। তাছাড়া এতো রাতে তোমাদের বাসায় গেলে আংকেল আন্টি না-ও ছাড়তে পারে! তখন আমার কি হবে বলো!”
“না ছাড়লে নেই। থেকে যাবেন। সমস্যা কি? এমন তো নয় যে আমাদের বাসায় থাকার জায়গা নেই।”
জোভান মৃদু হেসে বললো,
“এই লোভ দেখিয়ো না গো। তাহলে আবার বারবার চলে যেতে মন চাইবে।”
“মন চাইলে যাবেন। আপনার কি ধারণা, আমার আব্বু আম্মু অসন্তুষ্ট হবেন?”
“তা নয়। বরং তখন আবার আমার অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে। বউ ছাড়া ঘুমানো কষ্টদায়ক হয়ে পড়বে। চারবছর আর অপেক্ষা করা হবে না।”
শারমায়া মুখ চেপে হেসে বাইরে তাকালে জোভান বললো,
“সিরিয়াসলি বলছি, যত রাতই হোক কখনো থাকতে বলবে না আমাকে। যখন বউ সেজে আমার ঘরে যাবে, তারপর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে থাকবো। তখন সমস্যা নেই।”
শারমায়া কিছু বললো না। জোভান একটু থেমে আবার বললো,
“তাহলে আজ আমরা অন্যকোথাও যাচ্ছি?”
“আমার অন্যকারো বাসায় থাকতে ভালো লাগে না।”
“আমি আছি তো, ভালো লাগবে। আর সেটা আপন বাসাই ভাবতে পারো।”
“আপন বাসা মানে!”
জোভান শরীর কাপিয়ে হেসে উঠে বললো,
“তুমি কি ভেবেছো বিনা আয়োজনেই আমাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছি?”
“আমার ভালো লাগছে না আপনার এসব প্যাচানো কথাবার্তা।”
“আরে আমাদের বাসায় যাবো না। অন্যকোথাও যাবো। দাড়াও আগে শিওর হয়ে নেই।”
জোভান একপাশে গাড়ি পার্ক করে জেভাকে ফোন করলো,
“আসসালামু আলাইকুম, আপু।”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। কিরে, বিয়ে বাড়ি থেকে চলে এসেছিস?”
“হ্যাঁ। তুমি কোথায়?”
“এইতো, হসপিটাল থেকে মাত্র বাসায় আসলাম।”
“এতো দেরি!”
“পেশেন্ট বেশি থাকলে দেরি হয়ে যায় মাঝে মাঝে।”
“ওহ্। আহনাফ ঘুমিয়ে পড়েছে?”
“হ্যাঁ।”
“আমরা আসছি তোমার বাসায়।”
“আমরা মানে! কে কে?”
“আমি আর শারমায়া।”
জেভা কিছুটা ধমকে বললো,
“তোরা আসবি আগে বলবি না! তাহলে তো আমি আরো আগে বাসায় এসে রান্নাবান্না করে রাখতাম।”
“কেন, আমরা না এলে রান্নাবান্না করতে না?”
“তোর ভাইয়া অফিসে খেয়েছে। আহনাফকে তার চাচী খিচুড়ি রান্না করে খায়িয়েছে। আমি এখন একটা ডিম সিদ্ধ করে খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতাম। এতো রাতে আমি রান্নাবান্না করতে পারবো না৷ আয়, বউ নিয়ে না খেয়ে থাকবি। আমার কি!”
“করতে হবে না রান্নাবান্না। আমরাও খেয়েছি মিরাজের বাসায়।”
“কোথায় এখন?”
“কাছাকাছিই আছি।”
“আয়, সাবধানে আসিস।”
জেভার বাসায় যাওয়ার কথা শুনে শারমায়ার বড্ড অস্বস্তি লাগছে। কিন্তু জোভান নাছোড়বান্দা! সে বেশ উত্তেজিত যার ফলে শারমায়া নিষেধও করতে পারলো না! অবশেষে তারা চলে এলো জেভার বাড়িতে। জোভান শারমায়ার মায়ের কাছে কল করে জানিয়ে দিয়েছে জেভার বাসায় যাওয়ার কথা। শারমিন কোনো আপত্তি জানালো না। জেভা অনেক খুশি হয়েছে শারমায়াকে দেখে।
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। কেমন আছে বুলবুলিটা?”
“আলহামদুলিল্লাহ, আপু। তোমরা কেমন আছো?”
“আমরাও আলহামদুলিল্লাহ।”
অতঃপর জোভানের হাতে একটা মেরে বললো,
“ফাজিলটা, সন্ধ্যায় একটা সংকেত দিলে কি হতো!”
“হুটহাট ডিসিশন নেওয়ার মজাই আলাদা। তুমি বুঝবা না। ভাইয়া কোথায়? ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি?”
“শুয়ে পড়েছিলো। আমি ধাক্কিয়ে তুলে আবার বাইরে পাঠালাম খাবার আনার জন্য। আমি আজ অনেক ক্লান্ত, সম্ভব না রান্নাবান্না।”
“আবার বাইরে পাঠিয়েছো কেন! বললাম না আমরা খেয়ে এসেছি!”
“চুপ থাক! শুধু বেশি কথা। কখন না কখন খেয়েছে, আসতে আসতেই এটুকু হজম হয়ে গেছে।”
“ওহ্, তুমি যে ডাক্তার আমি তো সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম!”
“মেয়েটার মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে। খাওয়াদাওয়া করো না ঠিকমতো?”
“শারমায়ার আগে জোভানই জবাব দিলো,
“একদমই করে না, আপু।”
শারমায়া তার কথার প্রেক্ষিতে বললো,
“না খেয়ে বাঁচি তো, তাই না?”
“দেখেছি তো, কেমন খাও।”
জেভা শারমায়ার উদ্দেশ্যে বললো,
“আন্টির কাছে শুনি তো আমি মাঝে মাঝে। খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করে স্বাস্থ্য আরেকটু বাড়াও। ভালো না লাগলে বারবার খাবে। নয়তো পরে সমস্যা হবে।”
জেভার জোরাজুরিতে তারা সবাই ই আবার খাওয়াদাওয়া করে ঘুমাতে চলে গেলো। রুমে আসার পূর্বে জেভা তার সালোয়ারকামিজ ধরিয়ে দিয়ে বলেছে,
“শাড়ি পড়ে তো আর ঘুমাতে পারবে না। এটা পড়ে নিয়ো। একটু ঢিলে হবে। রাতই তো, সমস্যা নেই। কেউ দেখবে না। সকালে আবার পাল্টে নিয়ো।”
কিন্তু রুমে আসার পর জোভান বললো,
“শারমায়া, শাড়ি পড়ে তুমি ঘুমাতে পারবে না? শাড়িতেই তোমাকে ভালো লাগছে দেখতে। আমার মন ভরেনি, আরও দেখতে চাই।”
শারমায়া দুই ভাইবোনের মাঝে পড়ে না পারছে সইতে আর না পারছে কিছু বলতে! ওদিকে বোন বলে দিলো রাতে কেউ দেখবে না আর এদিকে উনি বলে শাড়িতে দেখতেই ভালো লাগছে! আরও দেখবে! এমনিতেই অস্বস্তিতে মরছে, উনার কি না দেখলে হতো না!
যতই হোক, প্রিয়জনের কথা ফেলতে পারবে না। তাই সালোয়ারকামিজ রেখে দিলো৷ জোভান শুধু পাঞ্জাবি খুলে সাদা সেন্টু গেঞ্জি দেহে রেখে শুয়ে পড়লো তা-ও দুই বালিশ একত্রিত করে!
“একি! আমার বালিশ কোথায়?”
“আমার বুকে।”
শারমায়া দৃষ্টি নিচে নামিয়ে বললো,
“আমার যে কেমন লাগছে, আপনি বুঝতে পারছেন না?”
জোভান তাকে টেনে ঝাপটে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিতে নিতে বললো,
“বুঝতেই তো চাইছি। এতোটা নার্ভাস কেন তুমি?”
জোভান এতোটা চেপে ধরেছে, শারমায়ার মনে হচ্ছে যেন হাড়গোড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। সে জোভানকে হালকা ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে বললো,
“হচ্ছে কি এসব! মেরে ফেলবেন?”
জোভান হেসে হাতের বাঁধন হালকা করে বললো,
“তুমি জানো, আজ কেন এখানে এলাম আমরা?”
“কেন?”
“আজ তোমাকে একটু বেশি ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে, তাই।”
শারমায়া চুপ করে রইলো। জোভান আবার বললো,
“জানো, কেন তোমাকে চেঞ্জ করতে দিলাম না?”
প্রথমবার কারণ জানতে চেয়ে লজ্জায় পরে শারমায়া আর প্রশ্ন করলো না। জোভান মৃদু হেসে তার কপালে কোমল স্পর্শ দিয়ে নিজেই কারণ বললো,
“শাড়িতে তোমাকে বউ বউ লাগছে, তাই। আমার মিষ্টি বউ। শুধু নোজ পিনটার অভাব।”
শারমায়া জোভানকে থামাতে বললো,
“ঘুমাবো আমি।”
“ঘুমাও।”
“এভাবে ঘুম আসবে না।”
“আজ এভাবেই ঘুমাতে হবে। আমি ঘুম পাড়িয়ে দিবো। শারমায়া, মিরাজদের বাসায় বিরিয়ানিটা মজা হয়েছে না? ঝালটা একটু বেশি ছিলো। দেখেছো, আমি কতগুলো খেয়েছি?”
“হুম। তবে চর্বি বেশি থাকার কারণে খাওয়া শেষে আমার খারাপ লাগছিলো। কেমন বমি বমি লাগছিলো।”
জোভান কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললো,
“তাই নাকি! ভাগ্য ভালো যে তাদের সামনে এমন কিছু বলোনি!”
“কেন?”
“এখনই বমি! আমাকে পঁচিয়ে শেষ করে ফেলতো!”
“ছি!”
“সিরিয়াসলি। তোমার সামনে না বললেও পেছনে ডুবিয়ে ফেলতো।”
“চুপ!”
জোভান হাসলো। শারমায়া প্রসঙ্গ পাল্টে বললো,
“আপনাদের পারফরম্যান্স অনেক সুন্দর ছিলো। এক্সপারিয়েন্স অনেক ভালো দেখলাম। শিখেছেন নাকি এমনি পারেন?”
“মিউজিক স্টেশনে এক ফ্রেন্ড কাজ করতো। মাঝে মাঝে গিয়ে আড্ডা দিতাম, একটু আধটু শিখেও নিতাম।”
“মিরাজ ভাইয়া তো ভালোই নাচতে পারে।”
“ইফাজও পারে।”
“ইফাজ ভাইয়া এতোটা ভালো পারে না।”
“হুম? এখানে নাচেনি বলে! দাড়াও দেখাচ্ছি।”
জোভান ফোন নিয়ে একটা ভিডিও বের করে দেখালো। একটা রুমের মধ্যে মিরাজ ও ইফাজ নাচছে৷ মিরাজ ওড়না শাড়ির ন্যায় পরে মেয়ে সেজেছে আর ইফাজ নরমাল হিরো। সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে তারা কাপল ডান্স করছে। দুতিনজনের কণ্ঠে হাসিযুক্ত হৈ-হুল্লোড় শোনা যাচ্ছে। জোভানকে তাদের বিপরীতে চেয়ারে বসে টেবিলে হাত বাজিয়ে মিউজিকের তালে গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। শারমায়া মিরাজের অবস্থা দেখে হেসে উঠলো এবং বললো,
“পেছনে ওইটা আপনি না?”
“তোমার বর।”
“শর্ট প্যান্ট পড়েছেন কেন? এগুলো জায়েজ না।”
“শর্ট কোথায়! কোয়ার্টার। হাটুর নিচ পর্যন্ত থাকলেই হয়।”
“ভিডিও করেছে কে?”
“মেহেরাব আর সাদাত।”
“আপনি নাচেননি?”
“আরে নাহ! আমি নাচতে পারি না।”
“হুহ্, বললেই হলো! বন্ধুরা নাচবে আর উনি বসে থাকবে!”
“আসলেই পারিনা৷ তবে তুমি নাচতে চাইলে তোমার সাথে নাচবো।”
“একদম চুপ! আরেকবার আমাকে লজ্জা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভালো হবে না কিন্তু।”
“আরেকবার তুমি করে বলো, আর দিবো না লজ্জা।”
শারমায়া ঘুমের ভান করে চোখ বন্ধ করে আছে। জোভান তাকে ঝাকিয়ে বললো,
“এই? বলো?”
“….”
“টুকটুকির আম্মু?”
শারমায়া বিরক্তির সাথে বললো,
“আবার!”
জোভান হেসে বললো,
“জান, একবার বলো।”
“ইশ! ঘুমাও তো!”
জোভান এবার মুচকি হেসে তার কপালে উষ্ণ ছোয়া দিয়ে ঘুমাতে রাজি হলো। শারমায়া তার পাগলামোতে মুচকি হেসে মিশে রইলো প্রিয়’র সাথে।