#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_২৪
.
আফিকে কাঁদতে দেখে পরশ একটু নরম হলো। আফির বাহু ছেড়ে দিয়ে তাকিয়ে রইলো তার দিকে। আফি কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-“পলাশের কাছে এমনি এমনি যাই নি আমি। আমি বাধ্য হয়ে গিয়েছি তার কাছে। আমি কোন পরিস্থিতিতে আছি তা যদি তুমি জানতে তাহলে বুঝতে।”
-“কি এমন খারাপ পরিস্থিতিতে আছো! ওই পলাশ যদি আজ তোমার কোনো ক্ষতি করে ফেলতো তখন কি হতো একবার ভেবেছো! তোমার মায়ের কি হতো তখন! তুমি শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবছো আফিফা। তোমার মায়ের তুমি ছাড়া আর কেউ নেই এটা কখনো ভেবেছো? তোমার কিছু হলে তোমার মা বাঁচবে বলে তোমার মনে হয়!”
আফি কোনো কথা না বলে চুপচাপ কেঁদে যাচ্ছে। তা দেখে পরশ বিরক্ত হয়ে বললো,
-“চুপ করে আছো কেন! আমার কথা শুনতে পাচ্ছো না তুমি!”
-“পরশ প্লিজ আমাকে একা ছেড়ে দাও। আমার অবস্থা বা পরিস্থিতি কোনোটাই আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আমি এখন একটু একা থাকতে চাই।”
কথাটা বলে আর এক মুহূর্তও দেরি না করে আফি দৌড়ে চলে গেল। পরশ আটকাতে চেয়েও আটকালো না আফিকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। এই এত রাতে আফিকে একা ছাড়া ঠিক হবে না ভেবে তাড়াতাড়ি আফির পেছনে ছুটলো সে। রাস্তায় এসে দেখলো আফি একটা রিকশায় উঠে চলে যাচ্ছে। পরশও অন্য একটা রিকশা ধরে আফির রিকশার পেছন পেছন গেল। আফির বাসার সামনে রিকশা থামতে আফি ভাড়া দিয়ে বাসায় ঢুকে গেল। পেছন থেকে পরশ তা দেখে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নিজের বাসার দিকে রওয়ানা হলো।
সকাল ফোনের ক্যামেরা অন করে বিয়ে বাড়ির ভিডিও করছে। স্নিগ্ধ জুস আনতে গিয়েছে। এমন সময় কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে থেমে গেল সকাল। ফোন থেকে চোখ সরিয়ে ওপরে তাকিয়ে দেখলো একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটাকে দেখতে পাক্কা বখাটে মনে হচ্ছে। চুল গুলো বড় বড়। মুখের দাঁড়ি দেখে মনে হচ্ছে গত তিন-চার মাস ধরে শেভ করেনি। চোখ দু’টো লাল হয়ে আছে অর্থাৎ পাক্কা নেশাখোর। সকাল ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“দেখেন না না-কি, আজব! এভাবে রাস্তার মাঝে কেউ দাঁড়িয়ে থাকে?”
-“দোষটা তো তোমার। ফোনের দিকে তাকিয়ে তুমি হাঁটছিলে।”
-“হ্যা আমি ফোনের দিকে তাকিয়েই হাঁটছিলাম। তবে আমি রাস্তার দিকেও খেয়াল রেখেছি। আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে হুট করে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। আপনার কি মনে হয় আমি বুঝিনা এসব! আমি কি কানা?”
-“আমি কখন বললাম তুমি কানা! তুমি নিজেই তো নিজেকে কানা বললে।”
-“ফালতু বকবক বন্ধ করে সাইড চাপেন।”
-“নাম কি তোমার?”
-“আপনাকে বলতে হবে!”
-“আহা! নাম বললে কি হয়?”
-“আমি বলতে ইচ্ছুক নই। এবার সরে দাঁড়ান। যেতে দিন আমাকে।”
-“নাম না বললে তো তোমাকে এখান থেকে যেতে দিচ্ছি না মিস…”
-“আজব! এগুলো কী ধরনের অসভ্যতামি? তার মানে আমি ঠিকই আন্দাজ করেছিলাম। আপনি আসলেও একজন পাক্কা বখাটে। রাস্তাঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করেও শান্তি হয় না যে এখন বিয়ে বাড়িতে এসে এসব শুরু করেছেন!”
-“ওই মিস! বেশি কথা না বলে শুধু যা জিজ্ঞেস করেছি তাই বলো। নাম কি তোমার! কোথায় থাকো! কীসে পড়ো!”
-“বললাম না আমি আপনাকে এসব বলতে ইচ্ছুক নই। কথা কি কানে যায় না!”
-“ওকে ফাইন! তুমি যখন বলতে ইচ্ছুক নও তখন এখান থেকে এক’পা নড়তেও পারবে না।”
সকাল ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড ভয় পেলেও তা প্রকাশ করছে না। কিন্তু ভয়ে শরীর কাঁপছে সকালের। ছেলেটির দিকে তাকিয়ে দেখলো খুব বাজে দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে সকালের দিকে। মুহূর্তেই সকালের কান্না পেয়ে গেল। কিন্তু নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে যে যার যার মতো ব্যস্ত। সাউন্ড বক্সে জোরে জোরে গান বাজছে। চিল্লিয়েও কোনো লাভ হবে না। মনে মনে শুধু স্নিগ্ধকে ভাবছে সকাল। এই মুহূর্তেই যেন স্নিগ্ধ চলে আসে এখানে সেই প্রার্থনাই করছে। হঠাৎ ছেলেটির পেছনে তাকিয়ে মুখে হাসি ফুটে উঠলো সকালের। তার দু’আ যে এত তাড়াতাড়ি কবুল হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি। ছেলেটি আবার কিছু বলার আগেই স্নিগ্ধ এসে পৌঁছালো সেখানে। সকাল স্নিগ্ধর কাছে যেয়ে কিছু না ভেবেই স্নিগ্ধর হাত শক্ত করে ধরলো। স্নিগ্ধ অবাক হয়ে তাকালো সকালের দিকে। পরক্ষণেই সকালের কাঁপুনি টের পেলো সে। সকাল গুটিগুটি পায়ে তার পেছনে যেয়ে দাঁড়ালো। ভ্রু কুঁচকে সকালের দিকে তাকিয়ে আবার ওর সামনে থাকা ছেলেটার দিকে তাকালো স্নিগ্ধ। ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-“কিছু হয়েছে শিহাব?”
শিহাব স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
-“না তো! কি হবে?”
স্নিগ্ধ বুঝতে পারলো যে কিছু একটা হয়েছে। নাহলে সকাল অযথা কারণে ভয় পাওয়ার মতো মেয়ে না। শিজাব সকালের দিকে তাকিয়ে স্নিগ্ধকে বললো,
-“উনি কে ভাই?”
-“তোমার ভাবী।”
সকাল মাথা নিচু করে স্নিগ্ধর হাত শক্ত করে ধরে ওর পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ও এতটাই ভয় পেয়েছে যে স্নিগ্ধ আর শিহাব কি কথা বলছে তা ওর কান পর্যন্তই পৌঁছায়নি। স্নিগ্ধ শিহাবের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে সকালের হাত ধরে সিঁড়ির বেয়ে ওপরে চলে গেল। স্নিগ্ধ রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে সকালের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“আমার দিকে তাকাও মিস বিকাল।”
সকাল তাকালো না তার দিকে। স্নিগ্ধ আবারও একই কথা বললো। কিন্তু তাতেও লাভ হলো না। সকালের কাঁপুনি আগের মতোই আছে, তবে এবার হালকা ফোঁপানোর আওয়াজ আসছে তার ভেতর থেকে। স্নিগ্ধ একহাত সকালের গালে রেখে আবারও ওর দিকে তাকাতে বললো। আর চুপ করে থাকতে পারলো না সকাল। ঝরঝর করে কেঁদে দিল। সকালের চোখে পানি দেখে স্নিগ্ধও চুপ হয়ে গেল। কারণ সে আগেই বুঝতে পেরেছে কিছু একটা হয়েছে। শিহাব কেমন ছেলে তাও স্নিগ্ধ জানে। সকালের গাল থেকে হাত সরিয়ে সকালকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো স্নিগ্ধ। এবার সকাল শব্দ করেই কেঁদে দিল। শিহাবের পথ আটকে দাঁড়ানো আর বাজেভাবে তাকাতে দেখে ভীষণ ভয় পেয়েছে সে। স্নিগ্ধ সকালের মাথায় কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে দিয়ে সকালকে বুকের মাঝ থেকে সরিয়ে তার দু’গালে হাত রেখে চোখের পানি মুছে দিল। পাশ থেকে চেয়ার নিয়ে সকালকে বসিয়ে দিয়ে পানির গ্লাস এগিয়ে দিল। অল্প একটু পানি খেয়ে নিলো সকাল। কিছুটা স্বাভাবিক হতেই স্নিগ্ধ হাঁটু মুড়ে বসলো তার সামনে। সকালের একহাত নিজের এক হাতের মাঝে নিয়ে আরেক হাত সকালের গালে রাখলো। সকাল স্নিগ্ধর দিকে ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেললো। স্নিগ্ধ বেশ স্বাভাবিকভাবেই তাকে জিজ্ঞেস করলো,
-“কি হয়েছে বলো আমাকে।”
-” (…..)”
-“আমার চোখের দিকে তাকাও।”
সকাল মাথা নিচু করে রেখেছে বলে স্নিগ্ধ আবারও বললো,
-“কি হলো তাকাও আমার দিকে।”
মুখ তুলে স্নিগ্ধর দিকে তাকাতেই স্নিগ্ধ প্রশ্ন করলো,
-“বিশ্বাস করো আমাকে?”
সকাল কিছু না বলে শুধু হ্যা বোধক মাথা নাড়লো। সকালের আঙুলের মাঝে স্নিগ্ধ নিজের আঙুলগুলো গুঁজে দিয়ে বললো,
-“তাহলে বলো কি হয়েছে! শিহাবকে দেখে ওভাবে তখন আমার পেছনে লুকিয়ে পরলে কেন? আর এখন কাঁদলে কেন?”
-“(…..)”
-“বলো আমাকে। আমি জানি তোমার কোনো দোষ নেই। শিহাব কেমন ছেলে তা আমার খুব ভালো করেই জানা আছে। ও তোমাকে কি বলেছে শুধু সেটা বলো।”
-“উনি ইচ্ছে করে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমি উনাকে সরতে বলায় উনি আমার নাম জিজ্ঞেস করেছেন। উনাকে প্রথম দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম উনি ভালো না। আমি যখন আমার নাম বলতে অনিচ্ছুক জানিয়েছি তখন উনি আমার পথ আটকে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন, আমি যদি আমার নাম না বলি তাহলে উনি আমাকে নড়তে দিবেন না ওখান থেকে। আর তারপর…”
-“তারপর!”
-“তা..তারপর উনি আমার দিকে খুব বাজেভাবে তাকিয়ে ছিলেন।”
কথাটা বলেই আবারও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো সকাল। স্নিগ্ধ সকালের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
-“ধুর পাগলি এর জন্য কেউ কাঁদে! একদম কাঁদবে না। দেখি তাকাও আমার দিকে।”
সকাল স্নিগ্ধর কথামতো তার দিকে তাকালো। স্নিগ্ধ মুচকি হেসে সকালের কপালে চুমু দিয়ে বললো,
-“আর কেঁদো না। তোমাকে কাঁদলে ভালো লাগে না। আমার তো সেই মিস বিকালকে ভালো লাগে যে সব সময় হাসিখুশি থাকে, দুষ্টুমি করে, বোকা বোকা কথা বলে। সেই মিস বিকালকে কতটা কিউট লাগে। মন চায় সব সময় তার গাল দু’টো টেনে দিই।”
স্নিগ্ধর কথায় সকালের মন খারাপ নিমিষেই গায়েব হয়ে গেল। অজানা একরাশ ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল তার মনটা। তার মলিন মুখটা হাস্যজ্বল হয়ে উঠলো। হালকা লজ্জাও পেলো স্নিগ্ধর কথায়। চোখ দু’টো নিচে নামিয়ে মুচকি হেসে মুখের সামনে চলে আসা ছোট চুলগুলো একহাত দিয়ে কানের পেছনে গুঁজে দিল। এই দৃশ্যটা মুগ্ধ হয়ে দেখলো স্নিগ্ধ। কারো এই সামান্য জিনিসও যে অসাধারণ লাগতে পারে তা জানা ছিল না তার। সকাল আড়চোখে স্নিগ্ধর দিকে তাকিয়ে দেখলো স্নিগ্ধ তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সকাল নিচু স্বরে বললো,
-“নিচে যাবেন না!”
মুহূর্তেই স্নিগ্ধর ঘোর ভেঙে গেল। বললো,
-“কিছু বললে?”
-“হ্যা। বললাম নিচে যাবেন না?”
-“হ্যা যাবো, চলো।”
স্নিগ্ধ দরজা খুলতেই সকাল ওকে ডেকে উঠলো। স্নিগ্ধ পেছন ঘুরে সকালের দিকে তাকাতেই সকাল পা দুটো উঁচু করে টুপ করে স্নিগ্ধর গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। স্নিগ্ধ গালে হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে রইলো। সকাল আবার ফেরত এসে বললো,
-“সন্ধ্যার সময় আপনি আমার দু’গালে দুটো দিয়েছিলেন, তার একটা আমি মাত্র শোধ করলাম। আরেকটা সুযোগ বুঝে শোধ করে দিব।”
আবারও দৌড়ে চলে গেল সে। সকালের কথা শুনে গালে হাত রেখেই হেসে দিল স্নিগ্ধ। দরজা লাগিয়ে সে নিজেও নিচে নেমে গেল। সকালের মন খারাপ ভালো করতে পেরেছে ভেবেই ভালো লাগছে। মেয়েটা যখন কাঁদছিল, মনে হচ্ছিল কেউ তার বুকের ভেতর ছুরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। পরক্ষণেই আবার নিজের গালে হাত দিয়ে হেসে দিল। মেয়েটা সত্যিই পাগল।
রেহেনা বেগম ও আসমা বেগমের পাশে বসে আছে সকাল। ফোন টিপছে আর একটু পর পর আশেপাশে তাকাচ্ছে। একটু আগে স্নিগ্ধকে দেখেছে শিহাবের গলা জড়িয়ে ধরে হেসে হেসে কি যেন বলছিল তাকে। কিছুক্ষণ বাদেই কোথায় যেন চলে গেল শিহাবকে নিয়ে। আধঘন্টা হয়ে গেছে এখনো ফিরছে না। হঠাৎ করে শিহাবের সাথে এত ভাব কেন করলো স্নিগ্ধ কিছুই বুঝতে পারছে না সে। একটু আগেই নিপার বিদায় হয়ে গেছে। তারাও এখন চলে যাবে। যাওয়ার আগে যদি স্নিগ্ধকে একবার দেখতে না পায় তবে তার মনটা ভীষণ ভাবে ছটফট করবে। আসমা বেগমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যখন বের হচ্ছিল তার মনটা খুব আকুপাকু করছিল স্নিগ্ধকে একটা বার দেখার জন্য। কিন্তু নাহ! স্নিগ্ধ এলো না তখনো। মন খারাপ করে রেহেনা বেগমের সাথে গাড়িতে উঠে বসতেই কোত্থেকে যেন স্নিগ্ধ দৌড়ে এলো। মুহূর্তেই সকালের চেহারা খুশিতে ভরে গেল। রেহেনা বেগম বললেন,
-“কিছু বলবে বাবা?”
স্নিগ্ধ সকালের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“একটু অপেক্ষা করুন আন্টি। আসলে মিস বিকাল কতগুলো গোলাপ গাছ চেয়েছিল। সেগুলোই আনতে যেয়ে দেরি হয়ে গিয়েছে।”
-“সে-কি! গোলাপ গাছ কোত্থেকে আনতে গিয়েছিলে তুমি?”
-“আমার বাসার ছাদেই গোলাপের একটা ছোটখাটো বাগান আছে। সেখানে বিভিন্ন রকমের গোলাপ আছে যা মিস বিকালের খুব পছন্দ হয়েছে।”
-“ওহ আচ্ছা তাই বলো।”
সকাল গাড়ি থেকে নেমে গেল। স্নিগ্ধ গাড়ির ডিকি খুলে দারোয়ানের সাহায্যে গোলাপ গাছগুলো সেখানে তুলে দিল। সকাল মুচকি হেসে স্নিগ্ধর পাশে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বললো,
-“আমার উত্তর কিন্তু আমি এখনো পাইনি। তবে আপনার উত্তর যে নেগেটিভ নয় তা আজকে আপনার কার্যকলাপে আমি শতভাগ নিশ্চিত।”
স্নিগ্ধ সকালের দিকে তাকাতেই সকাল একচোখ টিপ দিয়ে স্নিগ্ধর উত্তরের অপেক্ষা না করে গাড়িতে যেয়ে বসলো। স্নিগ্ধ কিছু না বলে হেসে গাড়ির ডিকি লাগিয়ে দিয়ে গাড়ির দিকে তাকিয়ে রইলো। গাড়ি বাসার মেইন গেইট পাড় হতেই সকাল জানালার বাইরে মাথা বের করে স্নিগ্ধকে ফোন দেখার জন্য ইশারা করলো। পকেট থেকে ফোন বের করতেই একটা ম্যাসেজ এলো। ম্যাসেজ ওপেন করতেই দেখলো তাতে লেখা, “ভালোবাসি ডাক্তার সাহেব।” এরপর কতগুলো হলুদ ইমোজি দেয়া যার ঠোঁটের সামনে লাভ রয়েছে। স্নিগ্ধ হেসে ফেললো সকালের পাগলামি দেখে।
চলবে….
নোটঃ গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি সকলের কাছ থেকে। কয়েকজন পাঠক/পাঠিকা বাদে বাকি সবাই নাইস, নেক্সট, অওসাম, জোস, খুব সুন্দর বলে মন্তব্য শেষ করে দেয়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আপনাদের এক একটা গঠনমূলক মন্তব্য প্রত্যেক লেখক/লেখিকার মনে কতটা আনন্দ সৃষ্টি করে তা কি আপনারা জানেন! লেখক/লেখিকারা কিন্তু আপনাদের জন্যই লেখে। আপনাদের কি উচিৎ নয় তাদের জন্য ২-৩ মিনিট ব্যয় করে ছোট্ট একটা গঠনমূলক মন্তব্য করা? মন্তব্যটা কমেন্ট বক্সে না করতে চাইলে গ্রুপে তো করতেই পারেন! গল্পটা ভালো হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে বা আপনারা কেমন চান, কি চান সেটাও তো শেয়ার করতে পারেন! আমি তো বলেই দিয়েছি আমার ব্যাপারে বা আমার গল্পের ব্যাপারে ভালো হোক বা খারাপ হোক সবটাই আপনার শেয়ার করতে পারেন। এতে আমিও খুশি হবো। আমি নিজের আইডিতে না থাকলেও গল্প দেয়ার পর আম্মুর আইডি দিয়ে নিজের টাইমলাইনে ঢুকে দিনে ১০ থেকে ১২ বারের উপরে কমেন্ট চেক করি। শুধুমাত্র আপনাদের কাছে পর্বটা কেমন লেগেছে সেটা জানার আশায়। কিন্তু প্রতিবারই হাতে গোণা কয়েকজনের কমেন্ট বাদে বাকি সকলের কমেন্ট দেখে নিরাশ হই। যাই হোক, আমি গল্প লেখার পর রিভাইস করি না। তাই ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পারলে কোথায় কোথায় ভুল আছে বলে দিবেন, আমি পরে ঠিক করে নিবো।