তোমাতে মাতোয়ারা পর্ব-৯

0
1757

#তোমাতে_মাতোয়ারা ৯ম পর্ব

_আরশিয়া জান্নাত

গিটারের টুংটাং শব্দে ঘুম ভেঙে গেল ঐন্দ্রিলার।ফোন হাতড়ে দেখে রাত তিনটা পঁয়ত্রিশ মিনিট।
নিরব এখনো কলে আছে দেখে ঐন্দ্রিলা নিজের মাথায় নিজেই চাটি মারলো।নিরবের কথা শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তাঁর মনে নেই।ঐদিকে নিরব বেচারা একা একা এতক্ষণ কি বকে যাচ্ছিল আল্লাহ ই ভালো জানে।
নিরব নিঃশ্বাসের ভারী শব্দ শুনতে না পেয়ে বুঝলো ঐন্দ্রিলা জেগেছে
—মহারাণী ঘুম ভাঙলো আপনার?
—আপনি এতোক্ষণ কলেই ছিলেন!
—অন্তত বলে ঘুমাতে পারতে।হবু বরকে কলে রেখে কোনো মেয়ে এতো নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে তোমায় না দেখলে জানতাম না,,,
ঐন্দ্রিলা সংকোচ নিয়ে বললো,আসলে আমি রাত জাগি না তো তাই আর কি,,,
নিরব হেসে গাইতে লাগলো–

ঘুম জড়ানো রাতটা ঘিরে
একলা জেগে রই
আর রোজ সকালে হাসতে থাকা
ফাগুন তুমি কই

কবে আবার আসবে বল দাঁড়িয়ে একা
সেও কি তুমি জানোনা
কবে আবার পড়বে মনে নাম না জানা
সেই সে পথের ঠিকানা

ঘুম জড়ানো পথটা ধরে হাঁটছি বহুদূর
আর ক্লান্ত চোখে ক্লান্তিগুলোর অবুঝ কোন সুর
ব্যস্ত শহর বদলে গেছে থমকে আছে সব
আর বদলে যাওয়া ভাবনাগুলোর নিরব কলরব

চার দেয়ালের হাতছানিতে মোহের ভাঙ্গাগড়া
আর রোজ বিকেলের সবটা জুড়ে স্মৃতির পিছুতাড়া
আনমনেতে প্রশ্নগুলোর অলস অভিমান
আর মরচে পড়া হারমনিকায় ভুলের জয়গান

গান শুনতে শুনতে ঐন্দ্রিলা ফের ঘুমিয়ে পড়েছে।নিরব হেসে বললো–ঘুমকাতুরে মেয়ে একটা!
ফোন রেখে পূর্ব আকাশে হেলে পড়া শুকতারার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে ঘুমিয়ে পড়লো সে।
______

ঐন্দ্রিলার ফুপী দুজন একে একে চলে এসেছে।পুরো বাড়ি এখন মানুষে ভরপুর।অনেকদিন পর সবাই একসঙ্গে হওয়াতে আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।অ্যাঙ্গেজমেন্টের দিন সকালে পুষ্পি আর চৈতিও চলে এসেছে।নাহার এক ফাঁকে এসে চৈতিকে ব্লু কালারের উপর হোয়াইট স্টোনের কাজ করা গর্জিয়াস গাউন দিয়ে গেল সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে ঐন্দ্রিলাকে পড়ানোর জন্য।সবাই আজ মহাব্যস্ত।
চৈতি—নিরব ভাইয়ের সাথে ঐন্দ্রিলার বিয়ে ঠিক হয়েছে শুনেতো আমি বিশ্বাস ই করতে পারিনি।দেখেছিস নিন্দে ফুল পিন্দে বেশি।
পুষ্পি–হ্যাঁ রে ঐন্দ্রিলা সত্যি নাকি?নিরব ভাই বুঝি তোর নিন্দে ফুল???
ঐন্দ্রিলা মুখ ভার করে বললো,হু নিন্দে ফুল ই তো!আশেপাশে একগাদা মৌমাছি নিয়ে ঘুরে যেন আস্ত একটা মৌচাক মধু চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে!
চৈতি— ওহো ঐন্দ্রিলা জেলাস???
—ধুর মোটেই না।
পুষ্পি–আমরা খাই সুজি কিছু কিছু বুঝি।
—ঘোড়ার ডিম বুঝোস।
চৈতি–আচ্ছা শোন না নিরব ভাই ফোন করে??কথা হয় রোজ?
পুষ্পি— তোর বড্ড জানার শখ?
চৈতি—তো জানবোনা??একে একে তোদের দুজনের লাইন হয়ে গেল আমি এখনো সিঙ্গেল।দুঃখে আমার পরাণ যায়।
পুষ্পি—আমার অনেক হ্যান্ডসাম দেবর আছে ,তুই চাইলে সেটিং করিয়ে দিতে পারি।
চৈতি—প্রেম আর খাবারের কথা কখনো জিজ্ঞাসা করতে নেই ডিরেক্ট খাওয়াই দিতে হয়।
পুষ্পি–হ তোরে এখন প্রেম ও খাওয়াই দিমু।খালি খানার চিন্তা!
চৈতি–খাবারের জন্যই তো এতো যুদ্ধবিগ্রহ এটাকে বাদ দিয়ে কিছু হয়?
পুষ্পি–বুঝছি বোইন।এবার কথা না বলে ঐন্দ্রিলাকে রেডি করানোতে মন দে।

নীল রঙের গাউনে ঐন্দ্রিলাকে নীলপরীর মতো লাগছে।চুলগুলো হালকা কার্ল করে অল্প কিছু বা পাশে সামনে রাখা।কানে ব্লু হোয়াইটের কম্বিনেশন এর ইয়াররিং,কপালে সাইড সিথির মাঝখানে টিকলি,চোখে ব্লু আইশ্যাডো আর আইলাইনার দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।ঠোঁটে রেড লিপস্টিক।এক হাতে বেশ গর্জিয়াস ব্রেসলাইট।ঐন্দ্রিলাকে দেখে চৈতি বললো,,”মাশাআল্লাহ তোর জেল্লা আমায় পাগল করেছে”,,,,
পুষ্পি—নিরব ভাই আজকে চোখ ফেরাতে পারবেনা রে।দেখ গিয়ে আজকেই কাবিন করার তাড়া দেয় কিনা।
ঐন্দ্রিলা লজ্জায় মাথা নীচু করে ফেললো,,,তোরাও না সবকিছুতে বেশি ।
চৈতি—ওহো লজ্জাবতী !!!
নাহার এসে বললো, হ্যাঁ রে তোদের হলো??মাশাআল্লাহ!আমার মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে।
পুষ্পি–কে সাজিয়েছে দেখতে হবে না??
নাহার হেসে বললো,সেটাই।তোরা কিছু খেয়েছিস তো?দেখ মা ঘরভর্তি মেহমান নিজের ঘর ভেবে ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে খেয়ে নিস কিন্তু।হাতে একদম সময় নেই ওরা চলে আসলো বলে।
পুষ্পি—আন্টি চিন্তা করবেন না।আমরা একটু আগেই নাস্তা খেয়েছি।আপনি বরং কাপড় পাল্টে নিন এখনো দেখি তৈরি হলেন না।
—দেখেছিস একদম খেয়াল ই নেই।আমি যাই রেডি হয়ে নি।অ্যাঙ্গেজমেন্টেই এই দশা চিন্তা কর বিয়েতে কি হবে।টেনশনে আমি এখুনি শেষ।
ঐন্দ্রিলা–মা এতো চিন্তা করোনা তো।বিপি লো হয়ে যাবে পরে।
নাহার মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললো,আমার মেয়েটা চলে যাবে ভাবলেইতো বিপি লো হয়ে যায়।কাজের প্রেশার তো কিছুই না
চৈতি–আন্টি এখনই না প্লিজ।এতো কষ্ট করে সাজিয়েছি সব নষ্ট হয়ে যাবে।।
নাহার হেসে চলে গেল।
পুষ্পি–কিরে রাকিবরা এখনো আসেনাই যে?ওরা সব কি হেঁটে আসছে নাকি?
চৈতি–দেখ গিয়ে নীচে এসে খাবার টেবিলে বসে আছে।হাহাহা,
নিরব আজ হোয়াইট শার্টের উপর ব্লু ব্লেজার পড়েছে সাথে কুইন রেড টাই।চুলগুলো বেশ সুন্দর করে ব্রাশ করা,হাতে ব্র্যান্ডেড ওয়াচ,পায়ে ব্ল্যাক ফর্মাল সুজ।তাইয়্যেবা এসে ব্লেজারে ব্রোচ সেট করে দিলো।নিরব টাই ঠিক করতে করতে বললো,
—আপু আমাকে ঠিকঠাক লাগছে তো?
—Any doubt?
—দেখ না ভালো করে।
—আল্লাহ রে আল্লাহ মেয়েরাও এতো নার্ভাস হয় না যতোটা তুই হয়ে যাস।তোর কনফিডেন্ট কই গেছে বলতো ভাই?ক্যাম্পাস কাঁপানো ছেলেটা এমন নেতিয়ে যায় কেন হু?
—আপু ঐন্দ্রিলা ও আজ ব্লু হোয়াইট পড়বে শিওর তুই?
— তুই ও না!শিওর না হবার কি আছে?
—ওকে একবার কল করে জিজ্ঞাসা করবো ?
—As ur wish.তোর বৌকে কল করবি কর না আমার পারমিশন নিচ্ছিস কেন?
তাইয়্যেবার মুখে বৌ শব্দটা শুনে নিরবের মনে অজানা ভালো লাগা কাজ করলো।ঐন্দ্রিলা ওর বৌ আহা!!!
____________
ঐন্দ্রিলাদের বাড়ির লন খুব আকর্ষণীয়ভাবে সুন্দর করে ডেকোরেট করা হয়েছে।ইশতিয়াক,ফয়সাল,দিহান,ইমতিয়াজ, সব ভাইয়েরা মিলে সবকিছু তদারকি করছে।গেস্টদের যেন কোনো অসুবিধা নাহয় সেই খেয়াল রাখছে।
কেউ আসবেনা আসবেনা করেও রিলেটিভরা সবাই কমবেশ চলে এসেছে,ওদিকে নিরবদের গেস্টরাও আসতে শুরু করে দিয়েছে।সবশেষে নিরব তাঁর ফ্রেন্ডদের নিয়ে এলো।
ইশতিয়াক ওয়েটারকে সঙ্গে নিয়ে সবাইকে কোল্ড ড্রিঙ্কস সার্ভ করছিল এমন সময় দিয়াকে দেখে তাঁর হার্টবিট বেড়ে গেল।ডার্ক অ্যাশ কালারের লং গাউনে দিয়াকে অপ্সরীর চেয়ে কম লাগছেনা।দুধে আলতা গায়ের রঙে রংটা বেশ মানিয়েছে।চুলগুলো খুব সুন্দর করে একপেশে বান করা,তাতে গোল্ডেন হেয়ার পিন সেট করা।লাইটের আলোতে গাউনে কাজ করা সিলভার স্টোন গুলো কেমন ঝলমল করছে,এতে সৌন্দর্য যেন দ্বিগুণ বেড়েছে।
দিয়া ইশতিয়াকের মুগ্ধচোখ দেখে মুচকি হেসে বললো,আমাকে বুঝি অনেক সুন্দর লাগছে চোখের পলক ই ফেলছেন না দেখছি??
ইশতিয়াক হকচকিয়ে ওয়েটার কে ঐদিকে যেতে বলে দিয়াকে বললো,এমন সেজেগুজে ছেলে পাগল করতে আসছো কেন?
দিয়া ডোন্ট কেয়ার মুডে বললো,আপনি তো পাগল হবেন না তাই অন্য কারো চোখে পড়ার ব্যবস্থা করেছি।
ইশতিয়াক কিছুটা রেগে বললো,নাইস।
দিয়া— কিছু একটা পুড়ে যাওয়ার স্মেল পাচ্ছি।Are u jealous??
ইশতিয়াক কিছু না বলে চলে গেল।দিয়া হাসতে হাসতে ঐন্দ্রিলাকে দেখতে ভেতরে গেল।
কিছুক্ষণ পর ঐন্দ্রিলাকে লনে আনা হলো।তাঁর পাশে চৈতি,পুষ্পি আর দুই ভাবী।দিয়া আর তাইয়্যেবা নিরবের পাশে দাঁড়ানো।
সবাই ঐন্দ্রিলার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে রইলো।দিয়া আর তাইয়্যেবা ওর দিকে এগিয়ে গেল,
নিরব বিড়বিড় করে বললো,অপূর্ব!
তারিক ওর পাশে এসে আস্তে করে বললো,পড়েনা চোখের পলক কি তোমার রূপের ঝলক!আমি জ্ঞান হারাবো মরে যাবো বাঁচাতে পারবেনা কেউ।
নিরব কনুই দিয়ে তারিকের পেটে পাঞ্চ মারলো।
চৈতি ফিসফিস করে বললো,ঐন্দ্রিলা দেখ নিরবভাই কেমন হা করে তাকিয়ে আছে।বলেছিলাম না চোখ ফেরাতে পারবেনা।একবার তাকিয়ে দেখ উনাকে কতো ড্যাশিং লাগছে।
পুষ্পি বললো–বান্ধবীর বরের দিকে কুনজর দিস না।মাশাআল্লাহ বল।
চৈতি — মাশাআল্লাহ মাশাআল্লাহ মাশাআল্লাহ।হ্যাপি??
ঐন্দ্রিলাকে নিরবের পাশে দাঁড় করানোর পর মনোয়ারা বেগম ইরফাজ সাহেবকে বললে,আল্লাহুম্মা বারিকলাহু।দেখতাছো কি সুন্দর লাগতাছে ওগো দুইজনরে!
ইরফাজ—-আল্লাহ ওদের সুখী করুন।
ফটোসেশনের পর তাঁদের আংটি বদল হলো।তারপর বড়রা সবাই ভেতরে গিয়ে বসলো।
সানিয়া বললো–এরকম ঠান্ডা কেন পরিবেশ।ডান্স হবেনা?
পুষ্পি বললো—অবশ্যই হবে।সবকিছুর ব্যবস্থা আছে।তবে শুরু হবে নিরব ভাইয়ার গান দিয়ে।
ভাইয়া প্লিজ??
তারিক—সবসময় তো নিরব গান গায়,আজ নাহয় ঐন্দ্রিলা গাইবে?কি বলো সবাই??
নিরব পরিস্থিতি সামলে বললো—না হবেনা।ঐন্দ্রিলার গান কেবল আমি শুনবো।তোদের শুনতে হবেনা।বরং আমার গান ই শোন।
সানিয়া—ওহোহোওওও এতো প্রজেজিভ! বৌয়ের গান আর কাউকে শোনাবেনা।সো কিউট!
তাহলে ঐন্দ্রিলাকে ডেডিকেট করে একটা গান শোনা??
নিরব ঐন্দ্রিলার দিকে চেয়ে খালি গলায় গাইতে লাগলো,

Jise zindagi dhoondh rahi hai
Kya ye woh makaam mera hai
Yahaan chain se bas ruk jaaun
Kyun dil ye mujhe kehta hai
Jazbaat naye se mile hain
Jaane kya asar ye huaa hai
Ik aas mili phir mujhko
Jo qubool kisi ne kiya hai

Haan…
Kisi shaayar ki ghazal
Jo de rooh ko sukoon ke pal
Koi mujhko yun mila hai
Jaise banjaare ko ghar
Naye mausam ki sehar
Yaa sard mein dopahar
Koi mujhko yun mila hai
Jaise banjare ko ghar
Hmm…

Jaise koi kinaara
Deta ho sahaara
Mujhe wo mila kisi mod par
Koi raat ka taara
Karta ho ujaala
Waise hi roshan kare woh shehar

Dard mere woh bhula hi gayaa
Kuch aisa asar huaa
Jeena mujhe phir se woh sikha raha

Hmm.. Jaise baarish kar de tar
Yaa marham dard par
Koi mujhko yun mila hai
Jaise banjare ko ghar
Naye mausam ki sehar
Yaa sard mein dopahar
Koi mujhko yun mila hai
Jaise banjaare ko ghar

ঐন্দ্রিলা পুরোটা সময় চোখ নামিয়ে বসে রইলো।গানের প্রতিটা শব্দ তাঁর মনে অন্যরকম শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে।এর আগেও তো অনেকবার এই গানটা শুনেছে কই এমন লাগেনি তো?নাকি এভাবে কেউ ডেডিকেট করে গায়নি বলে!
সবার করতালিতে ধ্যান ভাঙলো নিরবের।সে মাথা চুলকে হাসি দিলো।
।।
বিয়ের দিন করা নিয়ে আলোচনাসভায় ইরফাজ সাহেব বললেন,আপনাদের আপত্তি না থাকলে আমার একটা আর্জি আছে।
তাহজীব–জ্বী বলুন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো রাখার।
—আপনারা তো জানেন ঐন্দ্রিলা আমার একমাত্র নাতনি।আমি চাই আমার নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান দৌলতপুর হোক।ওরে আমি আমার ওখান থেকে বিদায় দিমু।
তাহজীব–কিন্তু,,,
নাঈমা বললেন–কোনো কিন্তু না।আপনার ইচ্ছেমতোই হবে চাচাসাহেব।আপনি আপনার আদরের নাতনির বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্নই হয়তো দেখেছেন,সেসবে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।বরং গ্রামে বিয়ে হলে আরো বেশি মজা হবে।আমরাও দীর্ঘদিন গ্রামবাংলার সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ পাইনা।
ইরফাজ–আপনারা বরযাত্রী নিয়ে চিন্তা করবেন না,প্রয়োজনে বিয়ের কয়েকদিন আগে আপনারা দৌলতপুর চলে আসবেন,আমাদের পুব দিকের বাংলোটা আপনাদের জন্য প্রস্তুত রাখবো।
তাহজীব–আচ্ছা তবে হলুদের আগেরদিন সবাই যাবো।দৌলতপুরেই বিয়েটা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
ইরফাজ সাহেব আনন্দিত গলায় বললো ,আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।
দুই সপ্তাহ পর ঐন্দ্রিলা আর নিরবের বিয়ে ঠিক হলো।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here