দৃষ্টির_অগোচরে পর্ব_২
#কলমে_লাবণ্য_ইয়াসমিন
হৃদীতা মন খারাপ করে রুমে গিয়ে বসলো। আজকে পড়তে যাওয়া টা অনেক জরুরী ছিল কিন্তু হলো না। সারাদিন আজ হয়তো পড়তেও বসতে পারবে না। কত কজ আজে কে জানে। আনোয়ারা ছিল বলে নয়তো এতোদিন ওর অবস্থা বেহাল হয়ে যেতো। হৃদীতা কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই উঠে দাড়ালো রুমে থাকা নিরাপদ হবে না বাড়িতে মেহমান আসবে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই বাড়ির লোকজন তো আজ সারাদিন মেকআপ ছেড়ে উঠবে বলে মনে হয়না। ওকেই যা করার করতে হবে তাই ও ধীরপায়ে নিচে আসলো। মনে মনে যা ভেবেছিল তাই আম্মু হাত পায়ের নখ পরিষ্কার করছে আর তাতে আনোয়ার সাহায্য করছে। তবে আম্মুর মুখে আজ হাসি অন্যদিন এমন হয়না। হৃদীতার বেশ ভালোলাগলো উনার মুখে হাসি দেখে। আর যাইহোক আজ ওকে বকা খেয়ে হবে না এটাই অনেক। ওকে সামনে এমন দাড়িয়ে থাকতে দেখে জামেলা বেগম ওর দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বললেন।
> শোন আজ আর তেমন কোনো কাজ করতে হবে না তোকে। আজ বাইরে থেকে খাবার আনবো। তুই শুধু সব কিছু গুছিয়ে রাখবি। আর একটু সেজেগুজে থাকবি। তোর আপুর বিয়ে বলে কথা।
> জ্বী আম্মু। উনারা কখন আসবেন?
> দুপুরের পর আসবেন। তুই আর আনোয়ারা মিলে নাস্তা গুলো রেডি করে ফেলবি। সব কিছু পরিপাটি হওয়া চাই কিন্তু।
> আম্মু আমি মন দিয়ে কাজ করবো। কোনো ভুল হবেনা ইনশাআল্লাহ। আপুর বিয়ে হবে অনেক মজা করবো।( খুশি হয়ে)
> হুম এখন যা হাতের কাজ গুলো গুছিয়ে নে।
হৃদীতা খুশি হয়ে রান্না ঘুরে গিয়ে সব গুছিয়ে নিলো তারপর মেহমানদের জন্য নাস্তা তৈরী করতে লাগলো। ওর আর আনোয়ারা মিলে সব কাজ দুপুরের আগেই শেষ করে নিলো। কাজ শেষ করে হৃদীতা গোসল করে রেডি হয়ে নিলো। ও নীল রঙের একটা থ্রী পিচ পড়েছে। আর চোখে সামান্য একটু কাজল পড়েছে এতেই ওকে অসাধারন লাগছে। এমনিতেই ও দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দরী। দুধে আলতা গায়ের রং আর ঘনকাল লম্বা চুলের জন্য ওকে তেমন সাজুগুজু করতে হয়নি এমনিতেই সুন্দর লাগছে। রিয়া এই জন্যই ওকে সহ্য করতে পারে না। হৃদীতা চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে রিয়ার রুমে গেলো। ওকে সাজাতে পার্লার থেকে দুজন মেয়ে এসেছে। মেয়ে গুলো যেনো ওদের এতোদিনের সমস্ত শিক্ষা ওর মুখের উপর ঢেলে দিয়েছে। অতিরিক্ত মেকআপ আর লাল রঙের শাড়িতে রিয়ার দিকে যেনো তাকানো দায়। হৃদীতা দাড়িয়ে দাড়িয়ে অবাক হয়ে দেখছে। ওকে এমন বোকা বোকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে রিয়া হেসে ফেলল কিন্তু হঠাৎ ওর দিকে তাকিয়ে হুটকরে মুখটা গম্ভীর করে কড়া গলায় বলল,
> তুই এমন সেজেছিস কেনো? আমার থেকে তোকে বেশি সুন্দর লাগবে তাই জন্য এমন সেজেছিস তাই না? (ভ্রু কুচকে)
> আপু আমি তো শুধু এই নতুন ড্রেসটা পড়েছি আর কিছুই করিনি। আম্মু বলেছিল তাই জন্য। (মাথা নিচু করে)
> তুই বাড়ির কাজের মেয়ে। তাই কাজের মেয়ের মতোই থাকবি। এমনি হৃদয় শুধু সুযোগ পেলেই তোকে নিয়ে কথা বলে। জানিনা ওর তোর জন্য এতো দরদ কেনো। এতো উষ্কানীমূলক কথা বলেছি তোর নামে তবুও তোর দিকেই ওর নজর। ওর সামনে তুই আর কখনও যাবিনা। এখন যা রুম থেকে আজ বের হবি না।
> জ্বী আচ্ছা। (মাথা নিচু করে)
হৃদীতা চোখ মুছতে মুছতে রুমে ফিরে আসলো। অপমানজনক কথা শুনতে শুনতে ওর অভ্যাস হয়ে গেছে এই সামান্য অপমানে ওর কিছুই হবে না। কিন্তু তবুও চোখ থেকে আপনা আপনি পানি ঝরছে। জীবন কতো কঠিন ও এইটুকু বয়সেই জেনে ফেলেছে। মা বাবা ছাড়া এতিম মেয়ের সাথে এর থেকে ভালো আর কি হবে। হৃদীতা রমে এসে বই নিয়ে পড়তে বসলো। ও বইয়ের দিকে তাকিয়ে পড়ছে কিন্তু মাঝে মাঝে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে পানিতে। তাই ও ডান হাতের তালু দিয়ে মুছে নিচ্ছে আর ফুপিয়ে উঠছে। এমন করেই ও শান্ত হলো কিছু সময় পরে। হঠাৎ বাইরে কেমন শোরগোল হচ্ছে হয়তো মেহমান এসে পড়েছে। ওর একবার ইচ্ছা হলো বাইরে যাবার জন্য কিন্তু রিয়ার কথা ভেবে নিজের ইচ্ছা টাকে দমন করে পড়াতে মন দিলো। এমন করে অনেক সময় পার হলো ও এক মনে পড়ছে। আর খাতায় লিখছে। এমন সময় হুট করে দরজা খোলার শব্দ হাদীতা ভাবছে আনোয়ারা এসেছে তাই ও না তাকিয়েই বলল
> আপু মেহমান কি চলে গেছে?
হৃদীতার কথার কোনো উত্তর আসলো না দেখে ও পেছনে তাকিয়ে দাড়িয়ে পড়লো কারণ ওর সামনে হৃদয় দাড়িয়ে আছে। ও এবার ভয়ে নিচের দিকে তাকালো। ও ভাবতেই পারেনি উনি এখানে আসতে পারেন। লোকটা বড়ই অদ্ভুত। রিয়া আপুর সাথে মাঝে মাঝেই এই বাড়িতে এসেছে তবে ওর সাথে কখনও কথা হয়নি, চোখাচোখি হয়েছে এই যা। ওকে এমন দাড়িয়ে থাকতে দেখে হৃদয় ওর দিকে একপা দুপা করে এগিয়ে এসে একদম ওর কাছে এসে দাড়ালো। হৃদীতা ওকে এমন এগিয়ে আসতে দেখে পিছিয়ে গেলো। হৃদয় ভ্রু কুচকে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
> বাড়িতে মেহমান আসলে তাদের সেবা যত্ন করতে হয় জানোনা? ঘরে বসে আছো। রিয়া সত্যিই বলে তুমি এক নাম্বারের ফাকিবাজ মেয়ে। আবার মানুষের নামে কেমন করে খারাপ কথা বলাতে হয় এটা তো খুব ভালো জানো। আমি তোমার কি করেছি যে আমার চরিত্র নিয়ে আজেবাজে কথা বলেছো রিয়াকে? এখন যদি আমি তোমার দিকে হাত বাড়াই কে তোমাকে রক্ষা করবে বলো? (রাগের সাথে)
> আমি আপনার নামে কিছুই বলিনাই। আপনি যেমনি হন আমার কি। আপনার চরিত্র ভালো হোক বা খারাপ এতে আমার কিছু যাবে আসবে না ঠিক আছে? আর আপনি কেমন গতকাল আমি বুঝে গিয়েছি। দুর্বল একটা মেয়েকে একা রাস্তায় পেয়ে তার উপরে হাত উঠানো কাপুরুষের লক্ষণ এটা জানেন তো?। আপনার সাথে আগে কখনো আমার কথা হয়েছে বলে তো মনে হয়না যে আপনার নামে আমি খারাপ কথা বলবো। এইটুকু বুদ্ধি বাচ্চাদের ও আছে।
হৃদীতা কথা গুলো বলতে পেরে শান্তি পেলো। এই লোকটা নিজেকে বিশাল কিছু ভাবে। টাকা পয়সা দিয়ে সম্মান কেনা যায় না। সম্মান সবার আছে। শুধু কি একা উনার আছে নাকি। এদিকে ওর দিকে ভয়ানক রাগী দৃষ্টিতে তাকি আছে হৃদয়। এই মেয়েটা ওকে অপমান করছে যেটা আজও পযর্ন্ত কেউ কখনো করার সাহস পাই নি। হৃদয় রেগে ওর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসলো। ও পড়ে যাচ্ছে তবুও হৃদয় শুনছে না। মনে হচ্ছে ওকে নিয়ে দৌড়াতে পারলে ভালো হয়। ওকে এমন করে নিয়ে এসে সবার সামনে দাড় করিয়ে ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে বলল,
> আম্মু আমি এই মেয়েকে বিয়ে করবো। রিয়া আমার বন্ধুর মতো। ওকে না আমি একে পছন্দ করি। আমি ওকে এখুনি বিয়ে করবো। তুমি বাড়িতে গিয়ে ব্যবস্থা করো আমি ওকে কাজী অফিসে নিয়ে যাচ্ছি।( হৃদীতার হাত ধরে)
> মানে কি? তুই জানিস না ও এই বাড়ির একজন আশ্রিত ওর বাবা মা নেই। তুই ওর হাত ছেড়ে দে।
> আমি কোনো কথায় শুনবো না। ওকে নিয়ে গেলাম আমি।।বাড়িতে দেখা হচ্ছে।
কথাটা বলেই হৃদয় ওকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। হৃদীতা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ও শুনছে না। হৃদীতা বারবার বলছে ও বিয়ে করবে না কিন্তু ওর কথায় কোনো গুরুত্ব দিলো নাও হৃদয় । বাড়ির সামনে গিয়ে ওকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও বসে পড়লো। গাড়ি ছুটছে কাজী অফিসের দিকে। হৃদীতা গাড়ির মধ্যে এলোমেলো ভাবে কাঁদছে। ওর মন বলছে হৃদয় ওকে বিয়ে করে রাতদিন টর্চার করবে। কেনো যে তখন এগুলো বলতে গেলো। গাড়ি এসে কাজী অফিসের সামনে দাড়ালো। হৃদয় নেমে গিয়ে হৃদীতার হাত ধরে নামাতে গেলো কিন্তু ও নামছে না কিছুতেই। তাই উপায় না পেয়ে হৃদয় ওকে কোলে তুলে নিয়ে একবারে ভেতরে নিয়ে গিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। ও রাস্তার মধ্যেই ফোন দিয়ে সব ব্যবস্থা করে রাখতে বলেছিল তাই এখানে সব কিছুই রেডি আছে। শুধু একটা সাইন আর তিনবার কবুল পড়ার অপেক্ষা। হৃদীতার পাশের চেয়ারে হৃদয় বসে পড়লো। ওর দুজন বন্ধু এসেছে। ওরা পাশে দাড়িয়ে আছে হৃদয়ের জন্য বিয়ের টুপি আর মালা নিয়ে কিন্তু হৃদয় এই সব পড়বে না জানিয়ে দিলো। ওদের বলেছে তোরা পড়। হৃদয়ের কথার উপরে ওরা কথা বলেনা তাই চুপ করে আছে। কাজী বিয়ের কাবিননামা লিখছে আর ওদের দিকে ঘনঘন তাকিয়ে দেখছে। কারণ হৃদীতাকে ও প্রায় জোর করেই বসিয়ে রেখে। কাজীকে এমন তাকাতে দেখে হৃদয় মুখে জোর করে হাসি এনে বলল ,
> ঘনঘন তাকাবেন না আমার দিকে আমি লজ্জা পাচ্ছি। আপনার তো মনে হচ্ছে এটা নেই কিন্তু আমার আছে।
ওর কথায় কাজী সাহেব থতমত খেয়ে গেলো। এই ছেলেটা বলে কি? তবুও মনের মধ্যে থাকা প্রশ্ন টা উনার মুখে এসে গেলো।
> বাবা মেয়েটা মনে হচ্ছে রাজী না বিয়ে করতে। পুলিশের ঝামেলা হবে না তো?
> হলে হবে আপনি বুঝবেন আমার কি? টাকা দিয়েছি কি আপনাকে হাওয়া খেতে। অনেক গুলো টাকা দিয়েছি আরও দিবো। কথা না বলে কাজ করেন নয়তো কিন্তু আপনার এই কাজী অফিস আমি উড়িয়ে দিবো। (দাঁতে দাঁত লাগিয়ে)
হৃদয়ের কথা শুনে কাজী ঢোক গিলে ভাবলো বড় লোক বাপের বখে যাওয়া ছেলে।এদিকে হৃদকে ওর বন্ধ শাফিন থামতে বললো। বিয়ের সময় এতো কথা বলতে হয়না বলে। কাজী ভয়ে ভয়ে ওর সামনে কাবিননামা রাখলো। কিন্তু হৃদীতা কিছুতেই কাবিন নামায় সাইন করবে না। অনেক হুমকির পরেও কাজ হচ্ছে না দেখে হৃদয় ওর হাত ধরে জোর করে সাইন করিয়ে নিলো।।সাইন শেষে হৃদীতা চুপ হয়ে গেছে কারণ যা হবার তা তো হয়েই গেছে এখন আর কি হবে। বাকি কাজ গুলো ও কাঠের পুতুলের মতোই করে দিলো। বিয়ে শেষে ওকে হৃদয় গাড়িতে তুলে নিয়ে ওদের একটা খামার বাড়িতে নিয়ে আসলো। সারা রাস্তায় হৃদীতা একটা কথাও বলেনি। হৃদয় ওকে বাড়ির মধ্যে রেখে চলে আসলো গেইট বন্ধ করে। ও চলে যেতেই হৃদীতা চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো। হৃদয় ওকে রেখে গাড়িতে এসে বসলো। তারপর বিড়বিড় করে বলল
> আমাকে অপমান করার শাস্তি আজ থেকে বুঝতে পারবে। থাকো এই নির্জন বাড়িতে কেমন লাগে বুঝবে।
ভাবতে ভাবতেই ও গাড়ি ছেড়ে দিলো। অন্যদিকে হৃদীতা কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে পড়লো। সারারাত ও একভাবে কান্না করে ভোরের দিকে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
সাদা একটা গাউন পড়ে সুন্দর একটা বাগান বাড়িতে হৃদীতা বসে আছে। চারদিকে হাজারো রঙের ফুল ফুটে আছে আর ফুলে ফুলে রঙিন প্রজাপতি পাখা মেলে উড়ছে।এই অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য হাদীতা প্রাণ ভরে উপভোগ করছে।কিন্তু হঠাৎ ওর ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যাথা করে উঠলো।আর ওকটু ওকটু করে সেই ব্যাথা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে আবার কমে গেলো তার সাথে সাথেই ওর দু হাতের পাশ থেকে ডানা গজালো। হৃদীতা বুঝতেই পারছে না ওর এমন হঠাৎ ডানা কেনো গজালো। ও ভয় পাচ্ছে কারণ ও বাতাসে এই ডানার সাহায্যে উড়ছে আকাশে।কিছুক্ষণ পরে হৃদীতার মন থেকে সমস্ত ভয় কেটে গেলো বাতাসে উড়তে যে ওর দারুণ মজা লাগছে। ও সামনে তাকিয়ে হাসি মুখে চারদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলো। হৃদীতার দৃষ্টি হঠাৎ প্রখর হয়ে উঠেছে ও বহুদুর পযর্ন্ত সব কিছু দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ ও একটা অদ্ভুত কান্ড করে ফেলল সামনে উড়ে আসা একটা বাঁজ পাখিকে চোখের নিমিষে ধরে ওর সমস্ত রক্ত চুষে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলো। ওর সারা মুখে রক্ত মেখে আছে। হৃদীতার এই বাজ পাখির রক্ত কেমন অদ্ভুত স্বাদ লাগলো। ওর মনে হলো এটা কোনো অমৃত পান করলো।। কিন্তু মনের মধ্যে কেমন ভয় কাজ করছে। ও মুখ থেকে রক্ত দুহাতে মুছে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সেই দিকে। এমন সময় চারদিকে আযানের শব্দে ওর ঘুম ভাঙে গলো। হৃদীতা দ্রুত উঠে বসে হাপাচ্ছে। কি অদ্ভুত খারাপ দৃশ্য ওটা। মনে হয়েছিল সব কিছু বাস্তবেই হচ্ছে ঘুম ভেঙে ওর মনে হলো বেঁচে গেলাম।হৃদীতা হামি ছেড়ে চারদিকে তাকিয়ে দেখলো রুমের মধ্যে আবছা অন্ধকার বিরাজ করছে। গতরাতে এই ঘরের লাইট বন্ধ ছিল না কিন্তু এখন বন্ধ ও ভাবলো হয়তো বিদ্যুৎ নেই তাই এমন হয়েছে। হৃদীতা উঠে দাড়ালো তারপর ওযু করে নামাজ পড়ে বাইরে বের হবার চেষ্টা করলো কিন্তু দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। রাতে হৃদয় ওকে এখানে বন্ধ করে রেখে গেছে। হৃদীতা বুঝতেই পারছে না সামান্য এই কথায় লোকটা এতোবড় একটা সিদ্ধান্ত কেমন করে নিলো। লোকটা হয়তো পাগল আর মাথা খারাপ একটা মানুষ। কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছে তাকে কষ্ট দেবার জন্য। লোকটা অন্যভাবেও প্রতিশোধ নিতে পারতো কিন্তু তা না করে হুট করে ওকে বিয়ে করে নিলো। এই বন্ধ ঘরে ওর জানা নেই কতোদিন বন্ধ থাকতে হবে। হৃদীতা গতকাল সকালে খেয়েছিল এর মধ্যে আর খাওয়া হয়নি কিন্তু ওর এখনো তেমন একটা ক্ষুধা পাইনি। ওর জানা নেই হৃদয় ওকে আর কখনও নিতে আসবে কি না। হয়তো আসবে নয়তো না। এই বাড়িতেই ওকে হয়তো শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে।
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। এটা একটি ভৌতিক কাল্পনিক গল্প।তাই ভালো না লাগলে ইগনোর করুন।