ধূসর ভালোবাসা পর্ব-১১

0
1079

#ধূসর_ভালোবাসা
পর্ব-১১

ছোট চাচি শাশুড়ি, শাশুড়ি মা আর ছোট চাচা শশুর আজ গেছেন আমাদের বাসায়, রংপুরে। সকাল থেকে আমার খুব অস্থির লাগছে। থেকে থেকে চোখ ভরে আসছে। কত স্মৃতি, কত ভালাবাসা, অথচ মানুষ গুলো আমার থেকে অনেক অনেক দূরে। আমি চাইলেই আর তাদের কাছে যেতে পারছি না।

আজ মনের চার কোনে ঘন কালো মেঘ। জীবনের সব আশা আকাঙ্খা আজ বর্নহীন, পানসে। আমার তিলে তিলে গড়া স্বপ্ন গুলো আজ ঠিকানাহীন। জীবনের সব চাওয়া পাওয়ার মাঝে মূল্যবান কত কি হারিয়ে ফেলেছি, তা হয়ত এখনো আমি কল্পনা করতে পারছি না, আবার হয়ত তা কল্পনার অতীত।

নিয়াজ বাসায় ফিরে আমার মন খারাপ দেখে বলল,

– চলো বাহিরে থেকে ঘুরে আসি।

– চলো।

আজ আমরা দুজন খুব ঘুরেছি, খুব, নিয়াজের বাইকে করে। সর্ব প্রথম আমরা গেলাম কান্তজীর মন্দিরে, তারপর রাজবাড়ী। সব শেষে নিয়াজ আমাকে নিয়ে গেলো নিয়াজের এক বন্ধুর বাসায়। নিয়াজের বন্ধুর নাম ওয়াসিম। সে বিবাহিত। ওদের বাসায় যাবার পর, ওয়াসিম ভাইয়ের মিসেস নাসরিন ভাবি আমাদের না খেয়ে আসতে দিলেন না। নিয়াজ আর ওয়াসিম ভাই বাহিরে গেলে আমরা দুজন অনেক গল্প করলাম।

নাসরিন ভাবি বললেন,

– তোমার কেমন যাচ্ছে দিনকাল, আফিফা?

– ভালো ভাবি। আমার শশুর শাশুড়ি অনেক ভালো মানুষ।

– আর সবাই?

– সবাই বেশ ভালো।

– আর নিয়াজ?

– নিয়াজ সবচেয়ে বেশি ভালো, আমাকে খুব ভালো বাসে নিয়াজ। দিনের মধ্যে যতটুকু সময় বাসায় থাকে, আমার খুব খেয়াল রাখে। আমার জীবনে আমার বাবা আর নিয়াজ শ্রেষ্ঠ পুরুষ।

– এতো কিছুর পরও নিয়াজ তোমার কাছে শ্রেষ্ঠ পুরুষ। আমি না জেনে ওয়াসিমের সাথে নিজের জীবন জড়িয়ে ফেলেছি, কিন্তু তুমি তো সব জেনেও নিজের জীবনটা নষ্ট করলে।

– কি জানার কথা বলছেন ভাবি?

– কেন রাতে নিয়াজের শরীরে কোন সুগন্ধ পাও না?

– হুম, মিষ্টি আবার একটু ঝাঁঝাল একটা সেন্ট পাই। কিন্তু কেন ভাবি? ঐ সেন্টটাতো নিয়াজের ফ্রেন্ড বিদেশ থেকে এনে দিয়েছে। তাই শুধু রাতে ব্যবহার করে।

– তুমি কি সত্যিই বোকা, নাকী অভিনয় করছো?

– ভাবি, আপনি এমন করে কথা বলছেন কেন? আমি আসলেই কিছু বুঝছি না।

– সত্যি তুমি নিয়াজ সম্পর্কে জানো না?

– না।

– তবে শোন, নিয়াজ আর ওয়াসিম খুব ছোট বেলার বন্ধু। এক সাথে বেড়ে ওঠা। এক সাথেই নষ্ট হওয়া। নিয়াজ আর ওয়াসিম প্রায় সব ধরনের নেশা করে। তবে সব নেশার উর্ধ্বে মেয়ের নেশা। ওরা দুজনে দুজনের সকল পাপের সাক্ষী। যেহেতু অল্প বয়সে নিয়াজের হাতে অজস্র টাকা, তাই এদের বাঁধা দেবার কেউ নেই। তবে তোমার শশুর বাড়ির সবাই জানে যে নিয়াজ একটা নষ্ট ছেলে। শুধু তাই নয়, তোমার শশুর বাড়ির অনেক মেয়ে নিয়াজের শিকার। তুমি কি কিছুই বুঝতে পারো না?

আমি কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, অঝোরে কেঁদেই যাচ্ছি। মনে হচ্ছে কোথাও চলে যাই। আমি কি করবো এখন, আল্লাহ তায়ালাই জানে।

বেশ কিছুক্ষন বাদেই নিয়াজ আর ওয়াসিম ভাই চলে আসলেন। বাড়ি ফেরার পথে বাইকেই আমি কেঁদে ফেলি। আর নিয়াজকে সব কথা বলে, প্রশ্ন করি,

– কেন তুমি আমাকে বোকা বানালে, মিথ্যে বললে?

– তুমি আমাকে বিশ্বাস করবা, নাকি নাসরিনকে। তুমিতো জানোনা, নাসরিন আমাকে খুব ভালোবাসতো। আমি ওর প্রস্তাবে রাজি হইনি, তাই তোমাকে এগুলো বলেছে। যাতে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়। তুমি কেন আমার থেকে অন্যের কথায় বিশ্বাস করো? যাও তুমি অন্যকেউ বিশ্বাস করো, আমার তো কোন মূল্য নেই তোমার কাছে।

– আমি কি করবো? নাসরিন ভাবি এমন করে বললো যে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। যাও আর কারো কথা শুনবো না। রাগ করো না, প্লিজ।

আমরা বাসায় ফিরে আসার আগেই, শাশুড়ি মা আর চাচিরা সবাই চলে এসেছেন। উনাদেরকে দেখে আমার মন আবার অস্থির হয়ে উঠলো। দৌড়ের শাশুড়ি মায়ের কাছে গিয়ে বললাম,

– মা, আমার বাসায় সবাই কেমন আছে? আমার কথা কিছু জিজ্ঞেস করছিল? বাবা আমার কথা কিছু বলেছে? উনারা আমাকে জেতে বলেছে? বাসায় সবাই ভালো আছেতো? আপনাদের সাথে ভালো করে কথা বলেছ তো?

– বৌ থামো বাপু, থামো। সব বলছি। আগে তুমি একটু স্থির হয়ে বসো।

– বলেন না, আম্মা।

– উনারা খুব ভেঙ্গে পড়েছেন। খুব কষ্ট পেয়েছে মা। সবাই শারিরীক ভাবে ভালো আছে, তবে তোমার আব্বা মনের দিক দিয়ে খুব ভেঙ্গে পড়েছে। তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছে। তোমার কলেজ থেকে বার বার তোমাদের বাসায় লোক আসছে। কলেজে তোমার ভালো রেজাল্ট সব চেয়ে ভালো তাই, কলেজের ম্যাডামরা তোমার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে। আর আমাদের খুব সন্মান করেছে মা।

– আম্মা আমি কালই যেতে চাই।

– নিয়াজ আর নিয়াজের বাবা আসুক, ওদের সাথে কথা বলে তোমাকে পাঠানোর দিন ঠিক করবো।

রাতে নিয়াজ আর ওর বাবা খেতে বসলে আম্মা বললেন,

– নিয়াজের আব্বা, বৌ তো বাড়ি যেতে চাচ্ছে, বৌয়ের বাবা মাও তাড়াতাড়ি যেতে বললো। কলেজের কি কাজ আছে।

– বৌমা তাহলে আগামী পরশুদিন তুমি যাও বাবার বাসায়। নিয়াজ তুই যেয়ে বৌমাকে রেখে আসবি।

আমার আনন্দ আর ধরে না। কিন্তু নিয়াজের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুশি নয়। কিন্তু আব্বার সামনে কিছুই বলতে পারলো না। পরদিন আমার সময় যেন কাটে না। সারাদিন কত কথা মনে মনে ভেবে রাখলাম, বাবা মাকে বলবো তাই।

এর পর সেই সময় আসলো, যার অপেক্ষায় আমি এতোদিন ধরে প্রহর গুনি। আমি আর নিয়াজ রওনা দিলাম। বাড়ির সামনে এসে আমার পা পাথরের মতো ভারি হয়ে গেলো। আশে পাশের সব কিছু আগের মত আছে। দুই মাস পর বাড়ি এসেছি, মনে হচ্ছে কত যুগ পর বাসায় ফিরছি।

বাসার ভেতরে পা রাখতেই, ইরা চিৎকার দিয়ে উঠেছে,

– আপা এসেছে, আপা এসেছে।

মা ঘর থেকে বাহিরে এসে আমাকে দেখেই পড়ে গেলেন। দৌড়ে মাকে তুলে কোলে নিলাম। মুখে চোখে পানি বেশ কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরল।

মা আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদলেন। মা অনেক শুকিয়ে গেছেন, চোখ মুখ শুকিয়ে রোগা হয়ে গেছে।

দুপুরের পর বাবা বাসায় আসলেন। আমাকে দেখে ছোট বাচ্চার মতো কাঁদতে শুরু করলেন। আমাকে সে ছোট বেলার মতো করে আদর করলেন। ভাত খেতে বসে আমাকে ডাকলেন। পাসে আমাকে বসিয়ে মুখে তুলে খাইয়ে দিলেন।

বিকেলে শেফালি আন্টির বাসায় গেলাম আমি আর নিয়াজ। আমাকে দেখে আন্টি খুব খুশি হয়েছেন। নিয়াজ আমাকে শেফালি আন্টির বাসায় রেখে রফিক চাচার সাথে দেখা করতে গেলেন।

শেফালি আন্টি বললেন,

– কেউ এতো বড় ভুল করে আফিফা? তুমি এতো ভালো ছাত্রী। তোমার সামনে রয়েছে উজ্জল ভবিষ্যত। আর তুমি কিনা সব শেষ করে দিলা।

– আমি পড়বো আন্টি।

– শোন মুখে বলা আর করে দেখানো এক নয়। তুমি জানো, তুমি চলে যাবার পর, তোমার বাবা মা একটু পর পর জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। তোমার বাবা পাগলের মতো করে কাঁদছিলেন, সবার হাতে পায়ে ধরছিলেন যেন তোমাকে কেউ খুঁজে দেয়। তোমার বাবাকে ভোরের দিকে হাসপাতাল ও ভর্তি করা হয়। তখন ডাক্তার বলেন যে উনি স্ট্রোক করেছেন। এর পর থেকে তোমার আম্মা খুব অসুস্থ। উনি চলতে ফিরতে অজ্ঞান হয়ে যান। তোমার বাসায় কেউ ভালো করে খাওয়া দাওয়া করে না। পুরো পাড়ায় মনে হচ্ছে যে কেউ মারা গেছে। এমন শোকের ছায়া। তোমাদের বাসা থেকে রাত বিরাতে কান্না কাটির আওয়াজ পাওয়া যায়।
তোমার ভাই রাগ করে বাড়ি আসে না। শুনেছি তোমার খবর শুনে, তোমার দাদা আর নানা খুব খারাপ অবস্থা।

– কিন্তু শেফালি আন্টি, রফিক চাচা যে বলেছিল, বাবা খুব রেগে আছেন। আমাকে পেলে কেটে ফেলবে, মেরেই ফেলবে। বাবা নাকি আমার মুখ দেখতেই চায় না!

– তুমি ঐ বদমাশ টার কথা শুনেছো। ওটা তো একটা শয়তান। তোমাকে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে সব বলেছে। এটাও বলেছে, কিভাবে মিথ্যে বলে, ভয় দেখিয়ে তোমাকে বিয়েতে রাজি করেছে। তারপর থেকে রফিকের সাথে আমি কোন সম্পর্ক রাখিনি। আর কখনো ওর মুখ দেখবো না।

– আমার জন্য আপনাদের সম্পর্কের ক্ষতি হলো, এটা কেন করছেন আন্টি।

– তুমি সাদা সিধে বোকা মেয়ে, তাই চোখের সামনে সত্য থাকতেও দেখতে পাওনা মা, কিন্তু আমিতো বোকা নই। রফিক যদি বন্ধুর জন্য একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারে। তাহলে নিজের জন্য আরো ভয়ংকর হতে ওর বাঁধবে না। শোন মানুষের উপরে যা দেখা যায়, সেটাই সত্য নয়। ভেতরে থাকে চরম সত্য, সেটা কেউ তোমাকে দেখিয়ে দেবে না। তোমার নিজেকেই দেখে নিতে হবে।

পরদিন কলেজে গিয়ে বড় আপার সাথে মানে হেড ম্যাডামের সাথে দেখা করলাম। কলেজের সবাই খুব খুশি, বড় আপা নিজে আমাকে মুখে তুলে মিষ্টি খাওয়ালেন। তারপর পেপার বের করে আমার ছবি দেখালেন।
বড় আপা আমার মাথায় হাত রেখে বললেন,

– শুনেছি তোমার বিয়ে হয়ে গেছে। শোন মা জীবন বড় কঠিন। আর কঠিন এ জীবনে বিদ্যা হলো সবচেয়ে বড় সঙ্গী। তোমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা টাকে কবর দিওনা যেন। সেই ইচ্ছাটাকে লালন করো, জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে হারিয়ে দিও না।

সবার সাথে কথা বলে দেখা করে বাড়ি আসবো, এমন সময় বড় আপা ডেকে বললেন,

– কিছু দিনের মধ্যেই ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে, খেয়াল রেখ। আর অবশ্যই পরীক্ষা দিও, তোমাকে চান্স পেতে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

বাসায় বাবাকে বললাম যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আমি দিবো, বাবা খুব খুশি হলেন। কিন্তু নিয়াজের খুশি বুঝতে পারলাম না।
বাবা নিয়াজকে বললেন,

– তুমি আফিফাকে রেখে যাও বাবা, আফিফা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিক। তারপর তুমি তোমার বাবা মা সহ এসে আফিফাকে নিয়ে যাবা। তখন আমি আমার আত্নীয় স্বজনদের ও বলবো।

নিয়াজ মন ভার করে চলে গেলো। আমি খুব করে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। বেশ কয়েক জায়গায় পরীক্ষা দিলাম। আমার রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স হয়ে গেলো। আনন্দে বাবা সারা পাড়া মিষ্টি খাওয়ালেন। আমার শশুর বাড়িতে খবর পাঠালেন।

দিন গুলো খুব সুন্দর কাটছে, আবার আমি আগের জীবন ফিরে পেয়েছি। যেদিন রাজশাহীতে ভর্তি হতে গেলাম, সেদিন আমি বাবা মা ইরা আর আমাদের সাথে নিয়াজ গেলো। ছোট ফুপুর বাড়িতে উঠলাম। হোস্টেলের সিট না পাওয়া পর্যন্ত আমি ছোট ফুপুর বাসায় থাকবো। ছোট ফুলপুর ছেলে রাকিব ভাই বোটানিক অনার্স করছে রাজশাহী উইনিভার্সিটিতে। ছোট বেলায় ভাইয়ার সাথে খুব খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা। ভাইয়ার সাথে খুব আড্ডা হলো।

এর পর সবাই এক সাথে বগুড়াতে গেলাম।
দাদা কি যে খুশি তা বোঝানো যাবে না। নাতি জামাই এসেছে এই আনন্দে কতজনকে যে দাওয়াত করলেন। গরু খাসি জবাই করে সবাইকে খাওয়ালেন।

সেখানে কয়েকদিন থেকে তারপর নানা ভাই এসে আমাদের নানা বাসায় নিয়ে গেলেন। সেখানেও একই অবস্থা। নিয়াজ অল্প সময়ে সবার সাথে মিশে যেতে পারে এবং সবার মন জগত করতে পারে। সবার নিয়াজকে খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমি খেয়াল করেছি যে নিয়াজ রাকিব ভাইকে কিছুতেই সহ্য করতে পারেনা।

পেপারে রেজাল্ট আসলো, আমি রাজশাহী মেডিকেল চান্স পেয়েছি। পরদিনই আমরা রাজশাহী গেলাম এবং ভর্তির সব কাজ শেষ করে রংপুরে ফিরলাম। রংপুরে আসতেই নিয়াজ বাবাকে বললো যে,

– এবার আমার আব্বা আম্মাকে ডেকে আফিফাকে কিছুদিনের জন্য দিনাজপুরে পাঠিয়ে দেন। ক্লাস শুরু হলেতো আর যেতে পারবে না।

বাবা টেলিফোনে আমার শশুরের সাথে কথা বলে দিন ঠিক করলো। বাবা বিশাল আয়োজন করলো। আমার শশুর শাশুড়ি তাদের সব আত্নীয় নিয়ে আমাদের বাসায় আসলেন।

লিয়াকত চাচারা সহ পাড়া প্রতিবেশি সবাই মিলে খুব আদর যত্ন করলেন। কিন্তু আমার শশুর শাশুড়ি শুধু শুধু বাবার ভুল ধরছিলেন।

বাবার সাথে আমার শশুরের কথা হয়েছিল ৬/৭ জন আসবে। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন সকালে জানায় যে প্রায় ৭০ জন আসবে। বাবা সেই মতোই সব আয়োজন করেছে। কোন আয়োজনের কমতি করেন নি।

যেখানে তাদের বিকেলে চলে যাবার কথা, সেখানে এতো মানুষ নিয়ে তিনদিন থাকলেন। এতো জন থাকবেন, শুনে বাবা অপারগতা জানালে, আমার শাশুড়ি এতে মনোক্ষুন্ন হলে, বাবা তাদের থাকার ব্যবস্থাও করেন। পরের দিন বেশ কয়েকজন চলে গেলেও বাকি ২৫/২৬ জন তিনদিন থাকলেন। কিন্তু তবুও আমার শশুর শাশুড়ির মন যেন ভরলো না।
বাবা মা ভাই সবাই হাসি মুখে আমাকে বিদায় দিলেন। কিন্তু বাবার মুখ কেমন যেন মলিন লাগলো।

#সিরাজুম_মনিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here