#ধূসর_ভালোবাসা
পর্ব- ২৯
আমি কোন ভাষা পাচ্ছি না কথা বলার। মামনি আমার সামনে বসলেন, আমার হাত দুটো শক্ত করে ধরলেন। আমার মনে হচ্ছে, এ মূহুর্তে মামনির সামনে থেকে পালিয়ে যাই। হারিয়ে যাই দূরে কোথাও।
মামনির চোখে পানি, উনি মাথা নত করে বসে পড়লেন। বিড় বিড় করে কি যেন বলতে লাগলেন।
মামনি…মামনি….মা…..মা….
মায়ের জ্ঞান নেই। খুব দ্রুত এম্বুলেন্স কল করা হলো। মামনিকে হাসপাতালে নিলাম। ডাক্তার মামনিকে দেখলেন, আর বললেন, দ্রুত হাসপাতালে এনেছেন। খুব ভালো করেছেন, নইলে বড় বিপদ হতে পারতো। উনার প্রেসার অনেক বেশি। হয়ত কোন বিষয়ে খুব বেশি টেনশন করেছেন। উনাকে ভালো রাখতে চাইলে, টেনশন থেকে দূরে রাখেন। নইলে যখন তখন কোন দূর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। রাতটা হাসপাতালে রাখেন, কাল বাসায় নিয়ে যাবেন। এর বেশি আমাকে আর কিছু বললেন না। ডাক্তার আঙ্কেল বড় মামার বন্ধু, তাই যা বলার মামাকে ফোনে বললেন।
মামনি ঘুমাচ্ছে, আবীর মায়ের পায়ের কাছে বসে আছে। নানী বসে আছেন, নির্বিকারে। আমি বারান্দায় দাড়িয়ে দূর আকাশে তাকিয়ে জীবন নিয়ে ভাবছি। জীবন কখনও হাসায় কখনও কাঁদায়। কখনও আচল ভরে অনেক কিছু দেয়, আবার কখনও সবটা লুটে নেয়।
আবীর আমার কাছে এসে, আমার হাত ধরে কাঁদতে লাগলো,
– কি হয়েছে ভাই, কাঁদছিস কেন?
– আপু, মামনি সুস্থ হবে তো?
– কেন? সুস্থ হবে না কেন? অবশ্যই হবে।
– আপু জানিস, আমি ভুল করে ফেলেছি।
– কি করেছিস ভাই?
– কলেজে আমার সাথে কেউ সেভাবে মিশতে চায় না, কিছুদিন হলো কয়েকজন আমার বন্ধু হয়েছে। ওরা আমাকে খুব ভালোবাসে। শুরুতে ওদের আমার খুব ভালো লাগতো, আপন লাগতো। তারপর ওরা রোজ কি যেন খেতো, আমাকেও দিতো। আমি প্রথমে খেতাম না। কিন্তু পরে থেকে আমার বেশ ভালো লাগতো। আপু আমি নেশার মধ্যে জড়িয়ে গেছি। ইচ্ছে করে নয় আপু। আমি বুঝতেও পারিনি। যেহেতু কেউ আমার সাথে মিশতে চায় না। তাই আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম। আপুরে আমাকে বাঁচাও আপু, আমি জেনে বুঝে এগুলো খাই নি। আরেকটা কথা বলি, ওরা টাকা চেয়েছিল। না দিলে খুব রাগ করছিল। আমি কোন কিছু না ভেবেই, মায়ের আলমারি থেকে টাকা দিয়েছি। আমি আর এমনটা করবো না। বিশ্বাস করো, আমি নিজে থেকে এমনটা করতে চাইনি। ওদের কথা শুনে, ওদেরকেই বেশি আপন মনে হতে শুরু করেছিল।
– ভাই, তোমাকে কি বলবো বুঝতে পারছি না। তুমি আমাদের বাস্তবতা বোঝ। আমরা কোন কষ্টের মাঝে রাত দিন পার করি, তুমি সব বোঝ। তুমি কিংবা মামনি আমার জীবনের বহু কষ্টের কথা জানো না। আমি তোমাদের জানতে দেইনি। তোমরা কষ্ট পাবে। মামনিরও এমন বহু কষ্ট আছে। যা আমাদের বলেনি, আমরা কষ্ট পাবো। তুমি যেমন হেনস্তা হচ্ছো তোমার কলেজে। এমন ভাবে বহু জায়গায় আমি কষ্ট পেয়েছি। বহু যায়গায়, আমাকে আমার প্রাপ্য স্থান দেয়া হয়নি। কোথাও বাবার পরিচয় দিতে হবে দেখে আমি সরে গেছি। কখনও কারো সামনে বড় মুখ করে কিছু বলতে পারি না। আমাদের বাবা বিশাল বড়লোক ছিলেন। সেটা এখন অলিক স্বপ্ন। মানুষ ভাবে আমরা খুব ছোট ঘর থেকে এসেছি। কিন্তু কি করে বলবো, আমরা কিভাবে মানুষ হয়েছি। কতো আভিজাত্যের মাঝে বড় হয়েছি। আমার একটা বান্ধবীকে দু:খ করে বলেছিলাম, মনের ভেতরে জমানো গোপন সব কষ্টের কথা। সে কিছুদিন আমার সাথে খুব ভালোই ছিল, এরপর বুঝতে পারি, আমার গোপন কথা গুলো আর গোপন নেই। সবাই জেনে গেছে। এবং আমার থেকে বহু দূরে সরে গেছে অনেকেই। বিশ্বাস কর ভাই, আমি খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম, খুব। এরপর নিজে নিজেকে বোঝাতাম। সাদ সে সময়টায় খুব বোঝাতো। ধীরে ধীরে উপলব্ধি করলাম, জগতে কেউ আপন হয় না। আপন হবার অভিনয় করে।
তুমি যতক্ষন নিজের ব্যাথায় মলম না দিতে পারবে, ততক্ষন কেউ তোমার আপন হবে না। একজন মানুষ, শুধু মাত্র তার নিজের স্বত্তাকেই বিশ্বাস করতে পারে। আর কাউকে নয়। পৃথিবীতে মানুষ তোমার অপ্রাপ্তি আর কষ্ট নিয়ে হা হুতাস করবে। কিন্তু তোমার কষ্টের সাথে যুক্ত হয়ে, তোমাকে সাহায্য করবে না। তবে ব্যাতিক্রম ও আছে, কিন্তু তা খুব কম।
রাতে আমি আর নানী মামনির সাথে হাসপাতালে থাকলাম। সকালে মামনি বেশ সুস্থ। ডাক্তার মামনিকে বাসায় নিতে বললো, আর বার বার সাবধান করে দিলে যেন, টেনশন না করে।
সাদকে জানাইনি, যে মামনি অসুস্থ। সে ফোন দিয়েছিল রাতে। আমি রিসিভ করিনি। আমার ইচ্ছে হচ্ছে আর কোন দিন যেন সাদের ফোনটা না ধরি। আমি এখন থেকে আমার মতো থাকতে চাই। শুধু মা, ভাই আর নানী এই আমার জগত। আমি এদের জন্যেই বাঁচবো। তবে আগে একটা ভালো চাকরী নিতে হবে।
সারারাত চোখের পাতা একবারের জন্যেও এক করতে পারিনি। বার বার সাদের বাবার কথা গুলো কানে ভেসে আসছিল। নিজেকে কতটা অসহায় লাগছে তা কাউকে বোঝাতে পারবো না।
বাবা, তোমাকে আজ খুব প্রয়োজন। তুমি ঐ পারে হয়তো পুরোটাই দেখতে পাও। তুমি আমার কষ্ট গুলো দেখতে পাও বাবা? আমার আর আবীরের জীবনের ঘাত প্রতিঘাত গুলো দেখতে পাও না? তুমি কি করে সহ্য করতে পারো? বাবা খুব কষ্ট। আমি আর আবীর ভালো নেই। যেই আফিফাকে তুমি একটা সময় ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে চেয়েছিলে, সেও ভালো নেই বাবা। তুমি কখনও ভাবতে পারবে না, বাবা ছাড়া সন্তানরা কতটা অসহায়।
তুমি জানো না, কি দুর্বিসহ জীবন আমাদের উপহার দিয়েছো। বাবা কেন তুমি এমন ভাবে আমাদের জীবন গুলো তিলে তিলে নিঃশেষ হবার জন্য ছেড়ে দিলে। যদি তুমি……………।একটা সুস্থ জীবন যাপন করবার কোন অধিকার কি আমার নেই?
মামনি বাসায় বিছানায় শুয়ে পড়লেন। শরীরটা খুব দুর্বল। আমি আর আবীর কাছে গিয়ে বসলাম, মামনির চোখের দিকে তাকানোর ক্ষমতা নেই আমাদের দুজনে।
মা হাত বাড়িয়ে আমাদের দুজন বুকের মাঝে নিলেন। বহুক্ষন কাঁদলেন মা। তারপর বললেন,
– আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ তোমরা, তোমাদেরকে কেউ ছোট চোখে দেখলে তা আমার সহ্যের বাহিরে। আমার খুব কষ্ট হয়, তোমাদের চোখের পানি। আমি ভাবতেও পারিনি তোমাদের জীবনে এ রকম দিন আসবে। যা গত কাল আমি দেখেছি।
আবীর মায়ের হাত ধরে বললো, মা আমি আর কোন ভুল করবো না। তুমি দেখো, তোমার কথার বাহিরে আমি আর যাবো না। তোমাকে আর কখনও আমি কারো সামনে ছোট হতে দেবো না।
আমাকে মা কাছে নিয়ে বললেন, মাগো জীবনে কিছু পেতে গেলে, কখনও কখনও অনেক কিছু হারাতে হয়। জীবনে একটু ভালো থাকতে হলে, সিদ্ধান্ত গুলো সময়োপযোগী নিতে হয়। আবেগ দিয়ে সবসময় জগতে ভালো থাকা যায় না মা। প্রেম ভালোবাসা আর বাস্তবতা খুব কঠিন জিনিস। আশা করি তুমি বুঝতে পারছো, আমি কি বলতে চাচ্ছি।
আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, মা আমার কাছে সব কিছুর উপরে তুমি। যেখানে তোমাকে আমার জন্য ছোট হতে হয়, সেখানে আমার অবস্থান আমি বুঝি মা।
– মা, তোর কষ্ট হবে। আমার কথায় কিংবা সিদ্ধান্তে। কিন্তু আমি তাই করবো যা তার জন্য ভালো হবে।
– মা, তুমি যা বলবে আমি তাই করবো। তোমার কথার বাহিরে আমি যাবো না, মা।
বিকেলে তমালিকা আন্টি মামনিকে দেখতে এসেছেন, সাথে তহমিনা আন্টি ও এসেছেন। মামনি ঘুমাচ্ছে। তাই আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। তহমিনা আন্টি খুব মজার মানুষ। এক নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়, তার সাথে গল্প করে। সন্ধ্যার দিকে মামনির ঘুম ভাঙ্গলো। মামনি ঘুম থেকে উঠে, তমালিকা আন্টিকে দেখে খুব খুশি হয়েছেন। সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটছে। আবীর আজ চা করেছে সবার জন্য। আমি আর নানী বেশ কয়েক রকম পিঠা বানালাম। মা, আন্টিদের রাতে খেয়ে যেতে বললেন।
মা, তমালিকা আন্টি আর তহমিনা আন্টি নানীকে কি যেন বুঝাচ্ছেন। কিন্তু নানী কিছুতেই উনাদের কথায় সাত দিচ্ছেন না। আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই, সবাই চুপ হয়ে গেলো। আমাকে কিছুই বললে না। সানেকা খালা রাতের রান্না করছেন। অনেক কিছু রান্না করছেন। আমি খালাকে জিজ্ঞেস করলাম,
– খালা রাতে কি আরও কেউ আসবে?
– জানি না ছোট বু।
আবীরকে জিজ্ঞেস করলে সেও কিছু বলতে পারলো না। রাত ৯.০০ টার দিকে নানী আমাকে বললেন,
-বুবু, আজ আমাদের বাসায় কিছু গেস্ট আসবে। তহমিনার ছেলেরা। তুমি একটু ড্রেস চেন্জ করো বুবু। তোমার মামনি আমাকে বললো, যেন তোমাকে আমি এগুলো বলি।
-মানে কি, নানী? তোমরা এবার আমাকে হাটে তুলবা?
– এটা তোমার মামনির ইচ্ছা।
আমার জীবনে কি ঘটতে যাচ্ছে, তা হয়ত আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু কোন কথা বলার ভাষা আমার নেই। আজ সকালে আফরীন ফোন করেছিল, বলল-
– অবন্তি, তুই আমার ছোট্ট বেলার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী। আজও তাই আছিস। তবে বান্ধবী হয়ে থাক, প্লিজ। তোকে নিয়ে পরিবারে বহু গন্ডগোল হয়ে গেছে। বহুদিন পর সাদভাই বাসায় এসেছে। সবাই খুব খুশি। তুই আমাদের এই হাসিখুশি জীবনটা নষ্ট করিস না। সংসারের কষ্ট তুইতো বুঝিস। তুই কি চাস যে তোর জন্য, অন্যা কারো সংসারে কষ্ট হোক। প্লিজ আমাদের বাড়ির খুশি আমাদেরকে ভিক্ষা দে। সাদের জীবন থেকে তুই সরে যা।
আমি কিছু বলতে পারছিলাম না, তবুও বলেছি – ঠিক আছে বন্ধু, দোয়া করি ভালো থাক।
আমি সাদা রঙ্গের একটা থ্রিপিস পরলাম। নানী আমার রুমে এসে একটা ফিরোজ রঙ্গের থ্রিপিস বের দিয়ে বললেন, এটা পরো। এটাতে তোমাকে বেশি মানাবে।
আমি আজ কাঠের পুতুলের মতো। যে যা বলবে তাই করবো। কারন আমি আমার পরিবার আর আমার আত্মসম্মান, এ দুটোতে খুব ভালোবাসি। আমার পরিবারের সুখের জন্য আমি সব বিসর্জন দিতে পারি। আমার মা, নানী, আবীর বহু কষ্টের সহ্য করেছে। কিন্তু আমার জন্য নতুন করে আর কোন কষ্ট পাক ওরা, আমিতা হতে দেবো না। এতে আমার যতই কষ্ট হোক না কেন।
আমি ফিরোজা রঙ্গের থ্রিপিস পরে বারান্দায় দাড়িয়ে আকাশ দেখছি। আর নিজের বিবর্ন জীবনের হরেক রকমের আভা ছডানো শুকনো রঙ গুলোকে দেখছি। মানুষের ভেতরটা কখন যে নদীর পাড়ের মতো ভেঙ্গে পড়ে সে নিজেও জানে না। হয়ত এখন আমার জীবনে পালা বদলের সময়, এই বদলের নামই হয়ত জীবন। কখনও কখনও বদলে যাবার ইচ্ছা না থাকলেও বদলে যেতে হয়, এটাই বাস্তবতা।
মা আমার পিছনে দাড়িয়ে আছে, মায়ের উপস্থিতি আমি বুঝতে পারি। কেমন করে, জানা নেই। আমার মাথায় হাত রেখে বললেন,
– আমাকে ভুল বুঝিস না মা।
– অসুস্থ শরীরে তুমি কেন আসলে, আমাকে ডাকতে। (স্বজতনে চোখের পানি লুকিয়ে ফেললাম, মামনির চোখ ভেজা তা বোঝা যাচ্ছে)
– তহমিনা আপার বড় ছেলে ঈশান, ওরা ছোট থাকতে তহমিনা আপার বর মারা যান।উনার হাসবেন্ড মারা যাবার পর তহমিনা আপা কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করেছেন। উনার দুই ছেলে, এক মেয়ে। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ছেলেটা ক্লাস টেন এ পড়ে। তহমিনা আপার বড় ছেলে ঈশান। নিজের পায়ে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে, মা বোনের সব দায়িত্ব পালন করে তারপর বিয়ে করবে। এসব করতে যেয়ে বয়সটা বেড়ে গেছে। কিন্তু ছেলেটা খুব ভালো মা। তমালিকা আমাকে বেশকিছু দিন আগে প্রস্তাবটি দিয়েছিল। আমি খোঁজ নিয়েছি, খুব ভালো ছেলে। তারপর তুমি দেখো। আর দেখতে আসলেই বিয়ে হয় না মা। তুমি কথা বলো, দেখো। তোমার পছন্দ হলে তারপর আমি কথা বলবো।
আমি মাথা নাড়ালাম। মা, তোমার পছন্দ?
– খোঁজ নিয়েছি, সবাই ভালো বলেছে মা।
– তোমার পছন্দ হলে, আমারও পছন্দ।
– তারপরও, কথা বল। দেখা যাক, যদি ভালো মনে হয়। তাহলে তোর মামার সাথে কথা বলতে হবে।
রাত ৯.৫০ বাজে। তহমিনা আন্টির ছেলেরা আসলেন। সবাই গল্প করছেন। নানী আর আবীর আমাকে ডাকতে এসেছে। নানী আমার কপালে একটা আদর দিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন। আবীর বললো,
– তুমি আমাদের খুশির জন্য, তোমার ভালোলাগা বিসর্জন দিলে আপু। তুমি দোয়া করো, দেখো আমিও তোমার যোগ্য ভাই হয়ে দেখাবো।
আমি ড্রইংরুমের দিকে এগিয়ে গেলাম। সোফায় বসে, নিজের বাড়ি কেমন অচেনা অজানা লাগছিল। তমালিকা আন্টি পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি সালাম দিলাম, তারপর খেয়াল করলাম, ইনি তহমিনা আন্টির বড় ছেলে ঈশান। পাশে বসা ১৫/১৬ বছরের একটা ছেলে। সম্ভবত এটা তহমিনা আন্টির ছোট ছেলে অর্ক।
নিজের ভেতর নিজেকে খুঁজে পেতে সময় লাগলো বেশ। কারন নিজেকে কারো সামনে এভাবে উপস্থাপন করা, ব্যাপারটা খুব কঠিন। তবুও সমাজের চিরায়িত নিয়মে প্রায় মেয়েকেই এই কাজটা করতে হয়। জীবনের প্রতি বাঁকে বাস্তবতা গুলো ভিন্ন। আজ সবাই হয়ত আমার উপরটা দেখতে পাচ্ছে, কিন্তু আমার বুকের পাজরে যে একটা মন আছে তার আকুতি কেউ কোনদিন শুনতে পাবেনা।
নিবিড় গহিনে বিষাদের ওপারে আমার স্বপ্নেরা আর নেই, কারা যেন বদলে দিয়েছে স্বপ্নের বর্নিল রঙগুলো। মুছে গেছে শিশিরে ভেজা স্মৃতিরা সব, নি:শব্দ নির্জন শূন্যতায় আমার স্বপ্নেরা বিলীন।
#সিরাজুম_মনিরা
বি:দ্র: আমি খুব অসুস্থ, তাই লিখতে পারছি না। আমি এবং আমার পরিবার করোনা আক্রান্ত, আপনাদের সাময়িক সমস্যার জন্য আমি দু:খিত।